নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাচনের আগে সিপিডি ঘটা করে একটি মিডিয়া ব্রিফিং। কতটুকু সত্য।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৯



নির্বাচনের আগে সিপিডি ঘটা করে একটি মিডিয়া ব্রিফিং করলো।
ওনারা ইসলামী ব্যাঙ্কের সব ঋনকেই খেলাপি বলছেন

সিপিডি ওনারা নিজেরা কোন ইনভেষ্টিগেশন করেন নি। বাংলাদেশেশ ব্যাঙ্ক এমনকি কোন ব্যাঙ্ক থেকেও তথ্য নেন নি
সুত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন ২০০৯ থেকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা অনলাইন পত্রিকা থেকে ভুয়া অর্ধসত্য খবর।
হলমার্ক ডেষ্টিনি পিকে হালদার এসব বহু পুরনো পাপ। কিন্তু পাকড়াও করে জেলে ঢুকাইছে এই সরকার সেটা বলছে না সিপিডি।

খেলাপি ঋন নিয়ে খুব বেশী উদবেগ দেখা যায়।
বাংলাদেশে অগ্রনি জনতা ইত্যাদি সরকারি ব্যাঙ্কের খেলাপি ঋন ২০-২২% মত যা উদ্বেগজনক।
এটা একদিনে হয় নি, সাইফুর রহমানের আমলের ঋনের বোঝা বর্তমানের সাথে যুক্ত হয়ে এখনো ঘানি টানতে হচ্ছে রাষ্ট্রকে। এই টাকা ফিয়ে আসবে না নিশ্চিতই বলা যায়, তবে খেলাপিদের বন্দকি জমি আছে কারখানা আছে, এলসি তে আনা পন্য বন্ডেড ওয়ার হাউসে নিলাম করে কিছু ক্ষতিপুরন হচ্ছ, যদিও সরকারি ব্যাঙ্কে অনিয়ম অনেক। তবে বিভিন্ন কারনে বর্তমানে কয়েক বছর ধরে সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে বেসরকারি খাতে ঋন প্রদান প্রায় সম্পুর্ন বন্ধ আছে।
বর্তমানে দেশের ব্যাঙ্কিং খাতের সব ঋনই বেসরকারি খাতের। বেসরকারি খাতেও অনিয়ম থাকলে খেলাপি ঋন খুবই কম। ৫.৫% মাত্র। (আইএমেফের বিপদ সীমা ১০%) বিদেশী ব্যাঙ্কে খেলাপি ৪% মাত্র আর বহুল আলোচিত ইসলামী ব্যাঙ্কের খেলাপি ৪.৪%

ব্যাঙ্ক সব দেউলিয়া হয়ে গেছে বলছেন, আসলে ৭ বছর ধরে বলে যাচ্ছেন, কিন্তু একটি ব্যাঙ্কও দেউলিয়া হয় নি।
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের ব্যাঙ্কিং অর্থনীতি বহুগুন বর্ধিত হয়েছে হিসেব করলে ৫০ গুন হবে
দেউলিয়া বা লস খাওয়ার লক্ষন হচ্ছে বেতন বন্ধ, কর্মচারি ছাটাই। কিন্তু ইসলামী ব্যাংক বা দেশের কোন ব্যাঙ্কই কর্মচারি ছাটাই হয় নি, করছে না বরং উচ্চ বেতনে শত শত কর্মকর্তা নিয়োগ হচ্ছে। শেয়ারে ভাল ডিভিডেন্ট দিচ্ছে, স্টাফদের বেতন প্রতি বছর বৃদ্ধি হচ্ছে, একেক জন কর্মচারি বেতন লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আর মুলধন ঘাটতি একটি চরম বিভ্রান্তিমুলক কথা। ব্যাঙ্ক কোন টাকার গুদাম নহে। ব্যাঙ্ক মালিকরা কি মুলধন ট্রাঙ্কে তালামেরে রাখবে না কি যেখানে বিনিয়োগ করলে আয় বৃদ্ধি পাবে সেখানেই বিনিয়োগ করবে।
তারল্যসংকট মানে তাৎক্ষনিক ক্যাশ টাকার সংকট। অন্য ব্যাঙ্ক থেকে কয়েক দিনের জন্য সর্ট লোন নিয়ে তাৎক্ষনিক মিটিয়ে ফেলা হয়। এর জন্য কোন টাকা ছাপানো লাগে না ইহা কোন আর্থিক সংকটই না।

ব্যাঙ্কিং খাতের মুল ভিত্তি হচ্ছে সম্পদের পরিমান (এসেট) আমানতের ও ঋণের ভারসাম্য, ঋণ কিস্তি রিটার্ন, কম খেলাপি ঋন। এবং মুনাফা। সব কিছুর ভিত্তিতে তৈরি হয় মুডিসের ক্রেডিট স্কোর।ইসলামী ব্যাঙ্কের সেই ক্রেডিট স্কোর এখনো সবচেয়ে ভাল।
এখনো ব্যাঙ্কটি লাভজনক,
বিদায়ী বছরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের নিট মুনাফা হয়েছে ৬১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
২০২১ সালে এ ব্যাংকের নিট মুনাফা ছিল ৪৮০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
নিট মুনাফা বেড়েছে ২৮.২৮%।
২০২২ সালের জন্য শেয়ারধারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের (ডিভিডেন্ট) সুপারিশ করেছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।
শুধু শেয়ার বিনিয়োগ না, ব্যাঙ্কটি গ্রাহকদের জমা (ডিপোজিট)ও বেড়েছে যদিও প্রথম আলো-ডেইলিস্টার কোন প্রমান ছাড়াই বলছে দিন দিন কমছে।
২০০৮ সালে ইসলামী ব্যাংকের মোট ডিপোজিট ছিল ২৫,০০০/- কোটি টাকা,
২০১৭ তে এস আলমের শেয়ার প্রাধান্যে আসে।
২০১৯ এ করোনার আগে মোট ডিপোজিট ছিল ৮২, ০০০/- কোটি টাকা প্রায়
বর্তমানে কথিত ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ প্রভাবে এত টাকা সরিয়ে নেয়ার পরও ২০২২ শেষে ব্যাংকের মোট ডিপোজিট ১,৪৭,০০০/ কোটি টাকা প্রায়।
ভুল হিসেব দেয়া সম্ভব নয় বিদেশী(ভারতীয়) অডিটিং ফার্ম।

এস আলম সমিট কে ইঙ্গিত করে বলছেন ঋন নিয়ে সিংগাপুরে জমা করছে, হোটেল বাড়ীঘর করছে একটা চুরিও তো প্রমান হইলো না।
সিংগাপুর মালয়েশীয়াতে মাত্র কয়েক মাস আগে এত এত পাচারকারি ধরলো, ভারতীও চাইনিজ রাঘব বোয়াল কম্পানীর পাচাররের বিলিয়ল ডলার জব্দ করলো, কিন্তু সেখানে বহুল আলোচিত এস আলম সমিট সহ ৩০-৪০ বাংলাদেশী কম্পানীর কিছুই হলোনা তো বলতে গেলে ক্লিন প্রমানিত হইলো।

সব মিথ্যা। এসব সাধারন ব্যাঙ্কিং কার্যক্রম। অতচ ৩ বছর জাবত মিডিয়াগুলো প্যানিক ছড়াচ্ছে। কিন্তু মানুষ বিশ্বাস করে না। তেমন সিরিয়াস কিছু হলে বিশ্বব্যাঙ্ক আইএমেফ বলতো। রিসেন্ট ঋনের কিস্তি দেয়ার আগে অনিয়ম নিয়ে কিছু উপদেশ দিয়েছে পরে তাদের রিপোর্টে বলেছে এখনো এশিয়ার ভেতর বাংলাদেশের অর্থনীতি সবচেয়ে সঠিক পথে সবচেয়ে দ্রতগামি আছে, সব ক্ষেত্রেই প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। মুল্যস্ফিতি কমা শুরু হয়েছে, ২০২৪ এ আরো কমবে।

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৭

রানার ব্লগ বলেছেন: গুনলো টা কে ?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

সিপিডি। ওনারা নিজেরা কোন কিছু গুনেন নি। বাংলাদেশেশ ব্যাঙ্ক এমনকি কোন ব্যাঙ্ক থেকেও তথ্য নেন নি
সুত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন ২০০৯ থেকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা অনলাইন পত্রিকা থেকে ভুয়া মিথ্যা অর্ধসত্য খবর।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৮

বাকপ্রবাস বলেছেন: সব ষড়যন্ত্র, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার প্রকৃয়া। এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া উচিত। বিএনপি জামাত এর হাত আছে কিন খতিয়ে দেখা দরকার। এদের কারণে দেশের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সব হেসে উড়িয়ে দিলে তো হবে না।
শেয়ার বাজার ব্যাঙ্ক অর্থনীতি ইত্যাদি খুবই নাজুক বিষয়। সামান্য প্যানিক শৃষ্টি হলেও চরম ধ্বস নামে সব দেশেই।
কিন্তু এরা গত দশ বছর জাবত বিরামহীন ভাবে অর্থনৈতিক আতঙ্ক শৃষ্টি করে যাচ্ছে কিন্তু ফল হয়েছে উল্টোটা।
অর্থনীতি আরো বড় হয়েছে।

অতচ যারা বিনা সুদে বা নামমাত্র সুদে বড় বড় ঋন দেয় এডিবি বিশ্বব্যাঙ্ক আইএমএফ প্রতি বছর এনুয়াল রিপোর্ট দিচ্ছে। -

৬.২০ শতাংশ + - প্রবৃদ্ধি হবে। আসন্ন মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতিও অনেকটা কমে সহনীয় হয়ে যাবে,
আন্তর্জাতিক বাজারের পণ্যের দাম কম থাকাতে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমার গতি বৃদ্ধি পারে। এ ছাড়া বাংলাদেশে ভালো ফলন হওয়াতেও মূল্যস্ফীতি আরো দ্রুত কমাতে পারে।
এডিবি আরও বলছে, এশিয়ার গড় মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৪.৮ শতাংশ হলেও বাংলাদেশে বেশী হবে ৬.২০।

খেলাপি ঋন ১০% নামিয়ে আনতে বলছে,
সরকারি ব্যাঙ্কে খেলাপি ১৮-২০% হলেও মুল খাত বেসরকারি ব্যাঙ্ক খেলাপি ৫ এর ঘরে।

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৪

পবন সরকার বলেছেন: কোনটা বিশ্বাস করবো আর না করবো বুঝতে পারতেছি না।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিশ্বাস অবিশ্বাসের কিছু নেই
এডিবি বিশ্বব্যাঙ্ক আইএমএফ প্রতি বছর দেশভিত্তিক এনুয়াল রিপোর্ট দিচ্ছে। বাংলাদেশ চ্যাপ্টার, সেই অংশগুলো ভাল ভাবে পড়ুন। তাহলে কিছুটা বুঝবেন।

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি গত ১০ বছর ধরে শুনে আসতেছি 'দেশের সব ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে।'

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এইসব গন্যমান্য শুশীলগন চাইছিল বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মত হোক।
এর আগেও আমেরিকা যখন নিশেধাজ্ঞা দিল তখনো এরা আরো বেশী চাচ্ছিল, রপ্তানি বন্ধ করা চাচ্ছিল।
২০১৯ এ - পঙ্গপাল আসছে, পঙ্গপাল সীমান্তের কাছে এসে গেছে - ওরে খুসিতে কি উল্লাশ! এইবার পতন হবেই।
হাসিনাকে নামাতে দেশের ধ্বংশ, নাদানগুলো নিজেরাও গরিব ফকির হয়ে যেতেও রাজি।
এত বিপুল মানুষ নিজেদের সর্বনাশ চাইলে দেশটি শ্রীলংকর চেয়েও ভয়াবহ হওয়ার কথা ছিল নিশ্চিত। কিন্তু কিছুই হয় নি।
কোন লাভ হয়নি, দেশের অর্থনীতি বহুগুন বর্ধিত হয়েছে।
বিএনপি-জামাত আমলে সর্বশেষ বাজেট ছিল ৬২ হাজার কোটি টাকা মাত্র।
আর তথাকথিত দেউলিয়া সরকারের বাজেট ৭ লাখ ৬৬ হাজার কোটি মাত্র।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

সারা বছর মিডিয়াতে শুশীল কুশীলরা ক্রমাগত বলে গেছে রেমিট্যান্সে ধ্বস, এক্সপোর্ট আর্নিং তলানীতে।
বাস্তবতা হচ্ছে ২০২৩ বছর শেষে দেখা যাচ্ছে রেমিট্যান্স ও রপ্তানী আয় দুটি ক্ষেত্রেই আগের বছরের চেয়ে অল্প হলেও বেড়েছে।

৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩০

বিজন রয় বলেছেন: দেশে আসলে সিপিডির কাজ কি?

পরের টাকা পায়, কিছু কাজতো দেখাতে হবে!!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সিপিডি সুজন এরা মূলত এনজিও।
গ্রাম গঞ্জে কিছু ট্রেনিং ট্রুনিং দেয় বিভিন্ন জরিপ করে। সবচেয়ে বেশি করে সংবাদ সম্মেলন বিভিন্ন বুলি ছাড়ে।

৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এরা মূলত সরকারের কাছ থেকে টু পাইস খাওয়নের ধান্দা করতেছে, এদের হাতে ৫০০ টাকা ধরিয়ে দিন তাহলে পরের দিন থেকে উল্টো কথা বলা শুরু করবে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
না ভাই এরা বড় কিছুর আশা পোষন করে
ভাবে এক এগারোর মত কোন সরকার তৈরি হলে কিছু পদ ভিক্কা পাবে।

৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: টাকা আছে যেখানে প্রশাসন, এসপি সেখানে: আওয়ামী লীগ নেতা আওয়ামীলীগের ব্যাংকের টাকা দরকার হয় নাকি , "চেরাগ " আছে না !

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আওয়ামীলীগের "চেরাগ" তো অবস্যই আছে।

পাকিস্তানের পত্রিকা দ্য ডনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এক পাকিস্তানি সাংসদের আক্ষেপ লেখা হয়েছিল,
পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার পর বাংলাদেশের অর্থনীতির জাতীয় আয় বেড়েছে ৫০ গুণ। আর মাথাপিছু আয় বেড়েছে ২৫ গুণ, যা পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে, এমনকি শক্তিশালি ভারতও পিছে পড়েছে।
বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনও বেড়েছে চার পাচ গুণ। রপ্তানি বেড়েছে শতগুণ। দেশটির শতভাগ বিদ্যুতাইত হয়ে গেল।
১৯৯০ সালে বাংলাদেশে ৬০ শতাংশ দারিদ্র্য ছিল। বর্তমানে তা কমে এখন ২০ শতাংশে নেমেছে।
গড় আয়ু বেড়ে ৭৩ বছরের কাছাকাছি। যা ভারত পাকিস্তান বটেই গ্লোবাল গড় আয়ু থেকেও বেশী।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আর বাংলাদেশের আর্থিক সক্ষমতা কতটুকু বেড়েছে?
প্রায় ৩ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার কে ঘর করে দিয়েছে জমি সহ
১২০টি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ভাতাভোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮ লাখের বেশি।
এদের জন্য সরকার কত খরচ করছে জানেন?
এ অর্থবছরে এ কর্মসূচিতে বরাদ্দ - ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা
যা বিএনপি-জামাত আমলের মোট জাতীয় বাজেটের দ্বিগুণ!
টাকা মেরে দেয়ার কোন উপায় নেই, মোবাইল ব্যাঙ্ক সরাসরি ব্যাক্তি মোবাইলে আসছে।
মাত্র ১০০ টাকা বয়স্ক ভাতা দিয়ে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুচনা করেছিল আওয়ামীলীগ।
যেমন ‘বয়স্ক ভাতা’, ‘বিধবা ভাতা এবং ‘প্রতিবন্ধী ভাতা’। দুস্থ মহিলা ভাতা ইত্যাদি ১২০ ধরনের ভাতা
এ অর্থবছরে প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী আরো ৩ লাখ ৫৭ হাজার জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মোট ১ কোটি ৮ লাখ জন।
প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা মোট সংখ্যা ২৩ লাখ ৬৫ হাজার জন। ভাতার পরিমাণও বেড়েছে ১০০ টাকা। মাসে ৮৫০ টাকা হয়েছে।
এ ছাড়া অন্যান্য ভাতাভোগীর মধ্যে ‘চা–শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি’র জন্য শ্রমিকসংখ্যা আরো ১০ হাজার বাড়িয়ে ৬০ হাজার করা হয়েছে।
গত বছর নতুন অন্তর্ভুক্ত চারটি ভাতা কর্মসূচি হচ্ছে, প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি, হিজড়া, বেদে এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি।
১২০টি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ভাতাভোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮ লাখের বেশি।
এ অর্থবছরে এ কর্মসূচিতে বরাদ্দ ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা
যেটা বিএনপি-জামাত আমলের মোট জাতীয় বাজেটের দ্বিগুণ!
বিম্পি আমলের মোট বাজেটের দ্বিগুন অর্থ শুধু গরিবকে ডাইরেক্ট মোবাইল ব্যাঙ্কিংএ দিচ্ছে এই সরকার।
তাইলে বুঝেন চেরাগ আছে কি না।

৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০১

কথামৃত বলেছেন: হাহাহাহাহা

৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সিডিপির প্রতিবেদন যখন যে সরকার ক্ষমতায় ছিল কেউ বিশ্বাস করেনি

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইহা মোটেই সিডিপির নিজস্ব প্রতিবেদন না।
বিভিন্ন পত্রপত্রিকা আর ভুইফোড় অনলাইন পত্রিকা থেকে ভুয়া অর্ধসত্য খবর জড় করেছেন।

১০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৪

এমজেডএফ বলেছেন: সিডিপি এবং কিছু তথাকথিত বিশেষজ্ঞরা সব সময় নেতিবাচক কথা বলে। এটা ওদের রাজনৈতিক ও পেশাগত এজেন্ডা।
এরা সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ ও পরিকল্পনায় শুধু ভুল ও বিপর্যয় দেখে। দেশের টাকায় পদ্মা সেতু করতে গেলে বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে, বিশ্বব্যাংককে নাখোশ করলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ধস নামবে, জ্বালানীর দাম বৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে, শর্ত পূরণের না হওয়ায় আইএমএফ বাংলাদেশকে ঋণ দেবে না, বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করবে না, নির্বাচনের পরে দেশে মারাত্মক অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটবে ইত্যাদি একটার পর একটা লেখতেই আছে :P

আগে আওয়ামী লীগ বিরোধীরা এসব লেখায় তালিয়া বাজিয়ে লাইক দিত। এখন ওরা ক্লান্ত ও হতাশ। এগুলো আর পড়ে না। কিন্তু এই তথাকথিত নির্লজ্জ জ্ঞানপাপীরা লিখেই যাচ্ছে, কী লিখলো আর বাস্তবে কী ঘটলো তা দেখেও না দেখার ভান করে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে নতুন নতুন নেতিবাচক টপিক লিখতেই আছে :)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলেছেন। ধন্যবাদ।

১১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




বড়ই আচানক ঘটনা।
আফসোস

১২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৬

কলাবাগান১ বলেছেন: @মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন,

আপনি মানসিক ভাবে ঠিক আছেন কি? এটা কি আরম্ভ করলেন....

১৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: নেই কাজ তো খই ভাজ- সিপিডি :)

১৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:২০

শ্রাবণধারা বলেছেন: সিপিডির হিসেব অনুযায়ী লোপাট ৯২ হাজার কোটি টাকা। আপনার হিসেব অনুযায়ী এটা কত হতে পারে?

আপনার দেওয়া ইসলামী ব্যাংকের নিট মুনাফার হিসেবে একটা বড় ফাকি আছে। ধরুন এস আলম গ্রুপ যদি ইসলামী ব্যাংক থেকে এ বছর ১ হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে পুরো টাকাটা মেরে দেয়, তবু কিন্তু ইসলামী ব্যাংকের ফিনানসিয়াল স্টেটমেন্টে লাভ হয়েছে বলে আপনি দেখবেন। কারন এই ১ হাজার কোটি টাকা খেলাপী ঋণ (bad debt) বাবদ খরচ (expenses) হিসেবে দেখানো হয়নি।

ইসলামী ব্যাংকের পলিসি হল তারা তাদের ব্যাংকের মোট ঋণের ৪.৪% ধরে খেলাপী ঋণের provision তৈরি করে। তাই শুধুমাত্র এই ৪.৪% তাদের লাভ লোকসান হিসেবে বা প্রফিট এন্ড লস একাউন্টে হিট করে। যদিও আসলে হয়তো ১ হাজার কোটি টাকা লোনের পুরোটাই মেরে দেয়া হয়েছে এবং এই টাকা উদ্ধারের আর কোন সুযোগ নেই।

আপনার উল্লেখুত "খেলাপী ঋণ ৫.৫% মাত্র, ইসলামী ব্যাংকের খেলাপী ঋণ ৪.৪%" এই তথ্য গুলো সঠিক নয়। এগুলো প্রকৃত (actual) খেলাপী ঋণের পারসেন্টেজ নয়। এগুলো ব্যাংকের বাৎসরিক খেলাপী ঋণ হিসেবের পলিসি রেট মাত্র।

পোস্টে আপনি একটি ভালো কথা লিখেছেন তা হলো "বাংলাদেশের সরকারী ব্যাংকের খেলাপী ঋণ ২০-২২% যা উদ্বেগজনক"। মনে হচ্ছে সরকারী ব্যাংক কিছুটা হলেও সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

লোপাট ৯২ হাজার কোটি টাকা। আপনার হিসেব অনুযায়ী এটা কত হতে পারে?

আমার অনুমানে এটা আরো বেশি। বেশী হওয়াই সম্ভব। তবে লোপাট শব্দটিতে একমত নই। খেলাপি বলা ভাল।
চারিদিকে তাকালেই দেখা যায়। লোপাট তো দুরের কথা নিজেরাই দেউলিয়া হয়ে গেছে।
কত প্রভাবশালি ব্যক্তি লোন নিয়ে করা ফ্যাক্ট্রি ব্যাবসায়ে মার খেয়ে মালিক জেলে। এরপর জেল থেকে মুক্ত হয়ে শুন্য হাতে অষ্ট্রলিয়া গমন। ব্যাংক ফ্যাক্ট্রি জমি নিলাম দেয়, টাকা পায় কম। কিন্তু ব্যাঙ্কের খুব বেশি ক্ষতি হয় নি। যার ব্যাবসা সে মার খেয়ে সব হারিয়ে পথে বসেছে, সে টাকা কে মারলো?

২০১২ থেকে আবাসন সেক্টর মন্দা চলছে।
আমার নিজের দেখা অনেক কোম্পানী ভাল দাম পাওয়ার আশায় ব্যাংক ঋন নিয়ে ভবন নির্মাণ করে ধরা। ভবন হাফ ডান, বুঝিয়ে দিতে পারেনি, টাকাও অর্ধেক পেয়েছে ব্যাংকের লোন কয়েকগুন বেড়ে শোধ দিতে পারেনি। ব্যাংক এ টাকা কিভাবে আদায় করবে? ৫০% ডেভেলপারের, কিন্তু নির্মান ব্যয় ১০০%, অল্প কয়েকটা বিক্রি করেছে, পুরো টাকা পায়নি। শক্তিশালি ক্রেতারা নিজেরা একত্রিত হয়ে নিজেদের খরচে বাকিটাটা করেছে। কিন্তু জমির মালিকের অংশ হাফ ডান পড়ে আছে। কিছু মালিক জবরদখল করে বসে আছে, কাজ কমপ্লিট না হলে কাউকে ঢুকতে দিবে না, মামলা ঠুকে দিয়েছে ১০ কোটি টাকার লোন ২৫ কোটি হয়ে গেছে। কিন্তু হাতে এক পয়শাও নেই। এরকম কয়েকজন মামলার চাপে হার্ট এটাক করে মরেই গেছে বাকিরা বিদেশে গিয়ে আর ফিরেনি। ব্যাংক টাকা উদ্ধার করবে কিভাবে?

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এস আলম গ্রুপ যদি ইসলামী ব্যাংক থেকে এ বছর ১ হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে পুরো টাকাটা মেরে দেয়াটা সম্ভব নয়।কেউ নিজের পায়ে কুড়োল মেড়ে নিজের কেনা প্রতিষ্ঠান ধ্বংশ করে নাকি, যার প্রতিষ্ঠান দেড় দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করছে।

ইসলামী ব্যাঙ্ক সরকার দখল করেছে বলে গুজব চারিদিকে।
অতচ কেউ কাউকে দখল করেনি। সরকারও মালিকানা নিয়মে হস্তক্ষেপ করে নি।


জামাত নেতা ইসলামি ব্যাঙ্ক মালিকের ফাঁসি হওয়ার পর পরিবারে সদস্যরা শেয়ার গুলো বিক্রি করে বিদেশে যাওয়া শুরু করে, উম্মুক্ত প্রতিযোগিতায় এস আলম গ্রুপ সেখানের অনেক শেয়ার কিনে নেয় পর যে গ্রুপের শেয়ার বেশী ছিল তারা প্রাধান্য পায় আর ব্যাংকটিতে জামায়াতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের একচ্ছত্র আধিপত্যে অনেকটা ভাটা পড়ে। কিন্তু জামাতের ভারাটে মিডিয়া প্রথম আলো ডেইলিস্টার বলেছিল জামাতের উপর জুলুম হচ্ছে। দখল হচ্ছে। অতচ শেয়ারের হাতবদল মার্কেটে খুবই মামুলি ঘটনা।
পরে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২০১৭ সালে শেয়ারবাজার থেকে বেশকিছু শেয়ার কিনে ব্যাংকটির মালিকানায় চলে আসে চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপ। সংগত কারনেই বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হলেন এস আলম গ্রুপের একজন। তবে ইসলামি ব্যাঙ্কের মালিক পরির্তন হলেও ম্যানেজার ডাইরেক্টার কর্মচারি একজনও পরির্তন হয় নাই।
ইসলামি ব্যাঙ্কের ৯৯% কর্মি জামাত শিবিরের সদস্য।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নিয়ম, যাদের শেয়ার বেশি পরিচালকও বেশি। তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে পরিচালক হতে হলে ওই পরিচালকের হাতে কোম্পানিটির ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকতে হয়। সারা বিশ্বেই এই শেয়ার বাজারে এই নিয়ম।
সারা বিশ্বেই অর্থনীতির এই নিয়ম। কেউ কাউকে দখল করে নি।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বেসরকারি ব্যাঙ্কের খেলাপী ঋণ ৫.৫% মাত্র, ইসলামী ব্যাংকের খেলাপী ঋণ ৪.৪%" এই তথ্য গুলো সঠিক না হওয়ার কোন কারন নেই।
আপনার হয়তো জানা নেই বাংলাদেশের বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে সব কিছু ওয়েল ডকুমেন্টেড। কারন শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত। অনেক বিদেশী এমনকি আরবরাও এই দেশের শেয়ার বাজারে লগ্নি করে। তাই এস আলম সহ বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে বিদেশী নামকরা অডিট ফার্ম মারফত কঠিন ভাবে হিসেব চেক করা হয় বার্ষিক রিপোর্ট তৈরি হয়।

১৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের দুই একটা ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলি ভালোই চলছে। ওদের আর্থিক প্রতিবেদন দেখলেই বোঝা যায়। সরকারি ব্যাংকে ঋণ খেলাপি বেশী। কিন্তু সেটার জন্য ব্যাংকগুলি দেউলিয়া হয়ে যাবে না। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলির দেউলিয়া হওয়ার ঝুকি খুব কম উন্নত অনেক দেশের চেয়ে। সিপিডি মনে এনজিও টাইপের প্রতিষ্ঠান। এরা সরকারের কোন ভালো কিছু দেখে না। উপরে ব্লগার এমজেডএফ ১০ নাম্বার মন্তব্যে কিছু উদারহন দিয়েছেন যেখানে তাদের ভবিষ্যৎ বাণী ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

সরকারি ব্যাংকে ঋণ খেলাপি বেশী। সত্য।
তবে সরকারি ব্যাঙ্কে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ঋন প্রদান বর্তমানে বন্ধ আছে, ৩ বছর জাবত। কৃষি ঋন ও অন্যান্ন ছোট খাটো ঋন বাদে

ব্যাঙ্কে অবস্যই বিশৃক্ষলা দুর্নিতি আছে তবে যতটা বলছে ততটা না।
ঋনের টাকা নিয়ে বিদেশ চলে গেছে এটাও বাজে অ্তিকথন।
ব্যাঙ্ক ঋন নেয়া হলেো ব্যাঙ্ক কখনোই গ্রাহককে সরাসরি টাকা দেয় না। এক দফায় কখনোই পুরো এমাউন্ট দেয়া হয় না।
বরাদ্দ লোন এমাউন্ট সবটাই ব্যাঙ্কে থাকে। ধাপে ধাপে দেয়, গ্রাহকের হাতে নগত কিছুই দেয় না।
ঋন গ্রহিতা যে যে কাজের জন্য ঋনের আবেদন করা হয়েছিল শুধু তাদের দায় বাই নেইম চেকে মেটায়। যেমন রডের দোকানদার, বিদ্যুৎ বিল, পরিবহন ঠিকাদারের বিল ইত্যাদি ভাউচার সাপোর্টিং পেপারস দেখে বিল মেটায় চেকের মাধ্যমে। গাড়ি কিনলে ব্যাঙ্ক গাড়ীর ডিলারকে চেক দিবে। অন্য কাউকে না।
গ্রাহকের হাতে কোন টাকা দেয়া হয় না। কোন ইনভয়েস বাজারদরের চেয়ে বেশি হলে বা সন্দেহজনক হলে, ব্যাঙ্ক কখনোই চেক দিবে না। সরকারি ব্যাঙ্ক বিভিন্নভাবে প্রভাবিত হয়ে দিয়ে দিলেও বেসরকারি ব্যাঙ্ক এতটা ছাগল না। নিজেদের ব্যাবসা ভাল বোঝে।

গ্রাহক চুক্তি মাফিক প্রতি মাসে ঋনের কিস্তি মেটায়, অন্যথা কাজের অগ্রগতি না হলে ব্যাঙ্ক ঋনের বাকি টাকা ছাড় করবে না।

কিন্তু এরা এমনভাবে লিখেছে যেনো টাকা নিয়ে পালিয়েছে কম্পানী মালিক।
অতচ সেই আলোচিত হাজার কোটি টাকার ঋণের গ্রেস পিরিয়ডের (ঋণ কিস্তি শুরু) মেয়াদ এক বছর, এখনো শেষ হয় নি। কিন্তু খেলাপি বলছে প্রথম আলো।
ডেইলিস্টা র বলেছিল আইডি বাদে লোন দিয়েছে
আর ক্লায়েন্টের নথিপত্র আইডি সাংবাদিককে বা যারে তারে দেখানোর প্রশ্নই উঠে না, বর্তমান ব্যাঙ্ক আইনে ইভেন নিজের বউয়ের একাউন্ট তথ্য দেয় না। একমাত্র মামলা থাকলে আদালতের নির্দেশে পুলিশকে দেখাতে পারে। সাংবাদিককে ঋন গ্রহিতার আইডি দেখাইনি বলে 'আইডি বাদে লোন দিয়েছে' বলাটা প্রথম আলোর হলুদ সাংবাদিকতার নিকৃষ্ট্তম উদাহরন।

১৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



Centre for Policy Dialogue তথা সিপিডি নামের মধ্যেই তো নিহীত আছে
যে এটা হলো বাচন কৌশলী কেন্দ্র
সিপিডি গড়েই উঠেছে সময়মত দেশের অর্থিক খাতের কথামালা রচনার জন্য ।
এদের কথা ও তথ্যের মধ্যে যতার্থতা খুজে পাওয়া যায় কথাগুলি তারা কথন কোন
সময়ে বলেছে সে দিকটি খেয়াল করলে । এ থেকেই তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
বুঝা যায় । যাহোক, এরা উল্টা পাল্টা সত্য মিথ্যা কিছু কথা না বললে সরকারের
তরফ হতে সঠিক কথা ও তথ্য আমরা জানার সুযোগই হয়ত পেতাম না ।
যাহোক, দেশের মানুষ সকলেই বুঝমান, বুঝে নেয় সংস্লিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক সঠিক
তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে। হাওয়ায় ভেসে চলা কথায় এখন কেও তেমন
কান দেয়না , এই প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট ঘেটে সঠিক তথ্য যে কেও জেনে
নিতে পারে অতি সহজেই ।

যাহোক, কামনা করি দেশের কোন অর্থই যেন কোন মতেই লোপাট না হয় ।
জনগনের সচেনতাই বেশী কাম্য । মানুষজন সচেতন হলে অর্থ
লোপাটের কপাট রুদ্ধ হয়ে যাবে সহজেই । আর কোন মনগড়া কথা বলে
জনমনে ভিতি সঞ্চারো কাম্য নয় । কথার পিছনে উপযুক্ত ও গ্রহনযোগ্য
তথ্য সুত্রও থাকা প্রয়োজন । এটা সকলের জন্যই প্রযোয্য । আশা করি
সিপিডি বিষযটি মেনে চলবে । দেশের সামগ্রিক আর্থিক বিষয়াদি
( Macro economy) নিয়ে জনসমুখ্য কথা বলার জন্য সিপিডির
সমগ্র দেশব্যপী প্রাতিষ্ঠানিক ও জনবল অবকাঠামো থাকা প্রয়োজন ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুন্দর বলেছেন।
কামনা করি দেশের কোন অর্থই যেন কোন মতেই লোপাট না হয় ।
জনগনের সচেনতাই বেশী কাম্য।
এটাই হোক। ধন্যবাদ।

১৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সিপিডি/টিআইবি - সব সময় ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনায় মুখর থাকে। এ কারণে যখন যার বিপক্ষে যায়, অন্য পক্ষ তা দিয়ে অপর পক্ষকে ঘায়েল করে। তবে বাংলাদেশের সরকার ও ব্যবসায়ীদের হাতে এত কালো টাকা যে, ইসলামী ব্যাংক বা অন্য কোন ব্যাংক দেউলিয়া হলেও অন্য গ্রুপ বা ব্যাংক তা কিনে নিবে। এমন কি কোন সরকারও সেরকম কিছু হতে দেয় না। আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এখনও চলছে, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক এখনো চলছে। এগুলোর কয়দিন পরপরই শুনি বেহাল অবস্থা...
তবে আমার মন্তব্য আপনার পোস্টকে সমর্থন বা অসমর্থন করার জন্য নয়। লুটপাট যে হয়েছে, সেটা সত্যি। কিন্তু বিশাল অর্থনীতির কারণে সেটা সাধারণ চোখে ধরা পড়ে না। যেমন - যানজটে কত কোটি টাকা নাকি ক্ষতি হয়। কিন্তু কেউ টের পায় না। কারো জীবন থেমে নেই। সাবেক অর্থমন্ত্রীর ভাষায়, ৪০০০ কোটি টাকা কিছু না। রিজার্ভের ৮০০ কোটি চুরি হলেও অর্থনীতি টিকে আছে (গরীব ও মধ্যবিত্তের জীবন সবসময়ই ঝামেলায় আছে)...

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

লুটপাট হয়েছে সত্য।
তবে এস আলম নিজের ব্যাঙ্ক থেকে টাকা লোন নিয়ে আত্নস্বাত করে খেলাপি হচ্ছে এই কথাটা ভিত্তিহীন।

সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে সে আগে টাকা মেরে থাকতে পারে কিন্তু নিজের ব্যাঙ্ক থেকে অসম্ভব। অন্য বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকেও অসম্ভব।
তবে এটা সত্য বাংলাদেশে কোন ব্যাবসায়ী সৎ নয়। ১০০% ভাগ সৎ থেকে বাংলাদেশে ব্যাবসা করা অসম্ভব।
ট্যাক্স ফাঁকি তো আছেই ওভার ইনভয়েস আন্ডার ইনভয়েস করে কৌশলে কিছুটাকা বিদেশে রাখে করফাঁকি দেয়। তবে বেশিদিন রাখতে পারে না, টাকা পড়ে থাকলেই তো লস। বাংলাদেশে ইনভেষ্ট করে যতদ্রুত টাকা বানানো সম্ভব বিশ্বে কোথাও সম্ভব না।

১৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমার কিছু মন্তব্য করার নাই।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাই চোখ বন্ধ করে বসে থাকলে চলবে না।
কিছু জিনিষ বুঝতে হবে।
উন্নত দেশে কর্পোরেট অর্থমামলা, করফাঁকি মামলা শ্রমিক ক্ষতিপুরন মামলা আদালতে যাওয়ার আগে উভয়পক্ষের উকিলরা কাগজপত্র দেখে বুঝতে পারে মামলার ভবিষ্যৎ। তখন ক্ষতিপুরন দিয়ে সেখানেই মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যায়। এরপরেও কোন পক্ষ জেদাজেদি করে আদালতে যেতে চাইলে আদালত থেকে একজন নিরোপেক্ষ আইন জানা লোক 'অরবিটার' দেয়া হয় মধ্যস্ততা করা জন্য, তখন সেখানেই মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যায়। সবকিছুই করা হয় আদালতের সময় ও খরচ বাচানোর জন্য।
২০০৫ এ সিমেন্স ঘুষ মামলা আদালতের বাইরেই নিষ্পত্তি হয়েছিল। সিমেন্স দোষ স্বীকার করে মোটা অংকের জরিমানা দিয়ে রেহাই পেয়েছিল। তারেকের ঘুষের টাকা সিংগাপুরে কোকোর একাউন্টে বাজেয়াপ্ত ও তারেকের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়েছিল, যা এখনো জারি আছে, উত্তর আমেরিকায় ফ্লাইট ব্যানও বহাল আছে।

১৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অনকেগুলো তথ্য আপনার ঠিক আছে ।
...................................................................
কিছু বিষয়ে নুতন করে জানলাম ।
আমি ইসলামী ব্যাংকের অনেক গভীরে জানি, কারন
তাদের সকল পর্যায়ে যেতে হয় ।
এস আলমের বিষয়টি সত্য, তবে তিনি
অনেক সুক্ষ কারিগর ।
উনার নিয়ন্ত্রনে ৮টি ব্যাংক আছে , সুতরাং শুধু মাত্র এক ব্যাংক থেকে টাকা
গিয়েছে তা নয় । তবে মানি লন্ডারিং বলে প্রমান করা যাবেনা ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এস আলম অনেক অনিয়ম দুর্নিতি করে থাকলেও ঋন নিয়ে পালায় নি।
যেই লোক ৪০ বছর আগে কম্পানী প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ৬২টি টি কম্পানীর মাধ্যমে ২ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান করছে, পরক্ষভাবে ১০ লাখ মানুষের রুটিরুজি হচ্ছে বিভিন্ন সেবা ও সাপ্লাই চেইনের অংশিদার হয়ে ও সাবকন্ট্রাকটারি করে।
তার বিরুদ্ধে সিংগাপুরে টাকা পাচার বাড়ী কেনার অভিযোগ করেছিল মিডিয়া।
যে গ্রুপের নেট মুনাফা বছরে ৪-৫ বিলিয়ন ডলার। তাকে পৃথিবীর যে কোন দেশ মাথায় তুলে রাখবে। টাকা পাচার করা লাগে নাকি? সামান্য বাড়ী হোটেল, একটি বাণিজ্যিক স্পেস কিনতে পৃথিবীর যে কোন ব্যাঙ্ক বিনা দ্বিধায় ঋন দিবে। আর রিয়েলস্টেট সেক্টরে খুব সহজেই লোন পাওয়া যায়। যেহেতু স্থাপনার ভ্যালু কখনো কমেনা আর ব্যাঙ্ক ঝুকিমুক্ত থাকে।
আমার পরিচিত গন্ডির ভেতরে বাংলাদেশে কপর্দকশুন্য অনেকে সুধু ট্যাক্সি চালিয়ে একাধিক বাড়ী গ্যাস স্টেষনের মালিক হয়েছে অনেকেই। এরা কেউ নিজের টাকায় কিনে নি। ব্যাঙ্ক ঋনে কিনেছে। ব্যাঙ্ক যদি নিশ্চিত হয় সে মাসে মাসে কিস্তি দিতে সক্ষম, ব্যাঙ্ক তো দিবেই, ব্যাঙ্কের মুল আয় তো এভাবেই।

সিংগাপুর কিছুদিন আগে অবৈধ টাকা পাচারকারি দের বিরুদ্ধে ক্রাকডাউন চালায়।
ভারতীও চাইনিজ রাঘব বোয়াল কম্পানীর পাচাররের বিলিয়ল ডলার জব্দ করে, কিন্তু সেখানে বহুল আলোচিত এস আলম সমিট সহ ৩০-৪০ বাংলাদেশী কম্পানীর কিছুই হয়নি।

২০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৭

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: সত্য কথা সব সময় তিক্ত ! যুক্তরাজ্যে ভূমিমন্ত্রীর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন অবশ্য এই সবই বিএনপির ষড়যন্ত্র। এদের সব কটাকে জেলে ঢুকানো উচিত।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

যুক্তরাজ্যে ভূমিমন্ত্রীর রিয়েলস্টেট সম্পদ তথ্য না দেয়ার কারন আছে।
যেহেতু তিনি ২০২৩ এর আয়কর বিবরনিতে উনি বিদেশী ব্যাবসার বিবরনি দেন নি, তাই হলফনামাতে দিলে কন্ট্রাডেক্টরি হয়ে যায়।
তবে উনি নিশ্চিতই তার ব্যাবসার লাভ ক্ষতি ইউকের আয়কর বিভাগে নিয়মিত কর দেন। সাধারনত বিদেশী ব্যাবসা তথ্য দেশি আয়কর বিবরনিতে উল্লাখ হয় না, ঝামেলার ভয়ে, কেউ দেয় না । যেহেতু সেই দেশে আফটার অল আয়কর দিচ্ছে।
আর ৩ হাজার কোটি টাকা একটি অতিকথন। রিয়েলস্টেট ব্যাবসায় এত পুজি লাগে না। বাড়ীওয়ালা বিক্রি করে ক্রেতা কেনে ভায়া ব্যাঙ্ক। ২% লাভ ব্যাঙ্কের ৪-৫% লাভ রিয়েলস্টেট কম্পানির। নিখুত হিসেব। এখানে কালো টাকার কিছু নেই।

২১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২১

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: @লেখক বলেছেন:লুটপাট হয়েছে সত্য।তবে এস আলম নিজের ব্যাঙ্ক থেকে টাকা লোন নিয়ে আত্নস্বাত করে খেলাপি হচ্ছে এই কথাটা ভিত্তিহীন।

- এস আলম এর বিরুদ্ধে কোনোরকম তদন্ত করা নিষেধ করা হয়েছে সর্বোচ্চ আদালত থেকে। কি জানি ভাই এটাও হয়তো অপপ্রচার ,ষড়যন্ত্র। "ষড়যন্ত্র " শব্দটি অবশ্য শেখ হাসিনার খুব প্রিয় !

২২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৩

বিজন রয় বলেছেন: কাল ভোট, আজ আপনার একটি পোস্ট দেওয়া দরকার ছিল, তাই না?

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

হ্যা। তবে তবে টাইম খুব সর্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.