নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যে কারনে বাতিল হয়েছিল।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সব সময় বিতর্ক ছিল।
তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা বর্তমানে বহাল থাকলেও নির্বাচন নিয়ে এরচেয়ে বড় নৈরাজ্য ও অচলবস্থা থাকতো।

তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা বাতিল হওয়ার দায় বিএনপিরই বেশী।
পেছনের কথা হয়তো অনেকেই যানে না। ২০০৬ এর আওয়ামী আন্দলোন নকল করে বিম্পি-জামাত ২০১০ এ ঘোষনা দিয়ে রাখে যে পদাধিকার বলে প্রাপ্ত তত্তাবধায়ক সরকার প্রধান বিচারপতি খাইরুল হক এর অধিনে কোন নির্বাচনে যাবেনা। এটা তাদের ফাইনাল ডিসিশন। তার মানে একটা বড় অচলবস্থা!
বিচারপতি খাইরুল হকও ঘোষনা দিয়ে রাখলেন এইরুপ অনাস্থা অপমানের ভেতর পদাধিকার বলে প্রাপ্ত তত্তাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে তিনি থাকবেন না। দ্বিতীয় বিচারপতি পদাধিকার বলে তত্তাবধায়ক সরকার প্রধান হবেন, কিন্তু তিনিও তার অনিচ্ছার করা জানিয়ে দিলেন। বললেন বিচারপতিদের বাদ দিয়ে অন্য কাউকে নেয়ার জন্য।
তার মানে সেই আবার একজন নিরপপেক্ষ লোক খুজে বের করার কাহিনী। একজন মানবে তো আরেকজন মানবেনা। সরকার বিহীন অবস্থায় থাকার মত।
তার মানে তত্তাবধ্যক থাকলেও বিম্পি-জামাতের ঘারামির কারনে তত্তাবধায়ক
সরকার ব্যাবস্থা একটি গুরুতর অচলবস্থার ভেতরেই দির্ঘদিন থাকার সম্ভাবনা ছিল। এই অস্থির অনিশ্চিত অবস্থা তত্তাবধায়ক সরকার থাকা না থাকা সমান।

হাসিনা জেনে শুনে এত বড় গর্থে পরতে চায়নি। দেখলো এই ডেডলক থেকে বের হওয়ার একটাই উপায়, তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা আগাম বাতিল করা। এতে হাতে থাকবে নিগোসিয়েশন পাওয়ারের অতিরিক্ত একটি মুদ্রা।
মামলা অনেক আগেই ছিল, তা চালু করা হয়। রায়ও হয়ে যায়।

যেভাবে সেই ফালতু মামলা অনেক বছর পর গুরুত্বপুর্ন হয়ে উঠলো।
এই তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা্র বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এক অচেনা অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহ ২০০৪ সালে। হাইকোর্ট এ একটি রিট আবেদন করেছিলেন। তবে সেই রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ বলে ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। মিডিয়াতেও এই খবর আসে নি। তবে ঐ রায়ের বিরুদ্ধে রিট আবেদনকারি সলিম উল্লাহ আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল। তবে আপিলটি পেন্ডিং রাখা হয়েছিল। ইতিমধ্যে এম সলিম উল্লাহ অসুস্থতার কারণে মারা যাওয়ায় আব্দুল মান্নান খান নামের আরেকজন আইনজীবী রিট আবেদনটিকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। আপিলের মামলাটি বিএনপির মওদুদ ইচ্ছে করেই এই মামলা পেন্ডি রেখেছিল, ভবিষ্যৎ ব্যাবহারের জন্য। কিন্তু বিধি বাম। সেই সুযোগ আর আসে নি।

দীর্ঘ সময় পরে এসে ২০১১তে পহেলা মার্চ আপিল বিভাগে এর শুনানি শুরু হয়।

আপিল আবেদনকারি এবং রাষ্ট্রপক্ষ ছাড়াও শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে শীর্ষস্থানীয় আটজন আইনজীবী বক্তব্য দিয়েছেন। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সিনিয়র আইনজীবী টি এইচ খান, ড. কামাল হোসেন, আমীর-উল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম ও রোকনউদ্দিন মাহমুদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

তবে রফিক-উল হক ও এম জহির বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। আরেকজন অ্যামিকাস কিউরি আজমালুল হোসেন কিউসি বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।


যেহেতু আগেই জানা যায় কে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হবে তখনই তাকে কিনে ফেলে কোন এক পক্ষ।পদাধিকার বলে অবসরপ্রাপ সর্বশেষ বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হবেন। এটা সবাই আগেই জেনে যায়। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলে সেনাবাহিনী স্বাধীনতা পেয়ে যায়, দেশের সেনাবাহিনী এখনো পাকিস্তানী পয়েন্ট পাকিস্তানের কারিকুলাম মেনে চলে এবং ১৫ ই আগস্ট এরপর জিয়াউর রহমান ২০০০ মুক্তিযোদ্ধা সমর্থক সেনা সদস্য অফিসার কে কচুকাটা করেছিলেন এরপর মোটামুটি ২১ বছরে সেনাবাহিনী পুরোপুরি পাকিস্তানপন্থী করে ফেলা হয়েছিল।


হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিরপেক্ষ হওয়ার কথা,
বাংলার শত বছরের ইতিহাসে একবারই শান্তিপুর্ন ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছিল ২০০১ এ

সেটা একমাত্র আওয়ামীলীগই করেছিল
২০০১ এ ক্ষমতা ছাড়ার পর কি হয়েছিল? বিচারপতি লতিফুর রহমান শপথ গ্রহণ শেষে গাড়ীতে উঠেই শেষ হাসিনার বাস ভবনের ফোন লাইন বিচ্ছিন্ন করেন। তখনো হাসিনা বাসা বদলাবেন কিনা সেটা তখনো সিদ্ধান্ত হয় নি। তখন মোবাইল যুগ মাত্র সুরু, মোবাইলফোন থেকে টিএন্টিতে কল যেত না। টিএন্টি লাইন বিচ্ছিন্ন মানে ডায়ালআপ মডেম বিচ্ছিন্ন বিশাল বিপর্যয়।
এরপর গাড়ীতে বসেই সচিবালয়ের সব সচিবদের পদচুত করে পুর্বেই নির্ধরন করা জামাত সমর্থিত সোলায়মানদের মত সচিবদের নিয়োগ দেন।
আইনত উনি সেটা পারেন না। যদি নিতেই হয় উপদেষ্টাদের সাথে পরিচিত হওয়া, উপদেষ্টাদের সাথে আলোচনা বাদে এসব উনি পারেন না।
প্রধান উপদেষ্টা যেকোন বড় ডিসিশন নেয়ার আগে বাকি দশ উপদেষ্টারদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কথা। কিন্তু উনি শপথ নিয়েই বাসায় ফেরার পথে একপাক্ষিক আচরন করলেন। কারন সিদ্ধান্ত পদগ্রহন করার আগেই নিয়ে ফেলেছেন ষড়যন্ত্রের অংশ হয়ে।
এরপর সেনা চক্র জামাত সমর্থিত সচিবদের সমর্থনে তৃনমুলে চালানো হয় আওয়ামী নেতা উচ্ছেদ, হাজারিদের মত নেতাদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল কিন্তু হাজারিদের চেয়ে শতগুন টেরর সাকা চৌ, মোশারফ, জয়নাল আবেদিন ফারুকদের কিছুই করা হয় নি। আমি তখন চাদপুরে ছিলাম দেখেছিলাম বিএনপি-জামাতের ক্যাডাররা শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, আর আওয়ামী ক্যাডার, নেতা কর্মিরা কেউ নেই পালিয়ে বেড়াচ্ছে। নির্বাচনের দিনও আসতে পারে নি বয়বৃদ্ধ আওয়ামী নেতারাও তখন আর্মির প্রকাশ্য পিটুনি থেকে রক্ষা পায় নি।


২০০৬ এ বিএনপি সবচেয়ে কলকিত করেছিল এই ব্যাবস্থাটিকে।
নির্বাচন ম্যানিপুলেট করতে বিচারপতির বয়স বৃদ্ধি করে, তবে প্রবল লগি বৈঠা আন্দলনে সেসব নস্যাৎ হয়ে যায়।

২০০৭ এর ১-১১র বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারও কম বিতর্কিত হয় নি।


তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার বেশ আগেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল
ইউনুস নোবেল পাওয়ার ৩ মাসের ভেতর পরিকল্পিত ভাবে সেনাতন্ত্র ও আমেরিকার সহায়তায় ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল।
প্রচলিত রাজনীতি ও নির্বাচনে দুর্নিতী ম্যানিপুলেশনের সুচনা হয় তখনই।
আমেরিকার সহযোগিতায় সিপিডি প্রথম আলো ডেইলি স্টার ও মইন ইউ আহমেদ আমেরিকার পরামর্শে আমেরিকার কৌশলে ইউনূসকে বসানোর জন্যই বিএনপি তারেক খালেদা কে বিতাড়িত করে ১-১১ আনা হয়।
ইউনুসের প্রথম ইচ্ছা ছিল তত্তাবধায়ক সরকার প্রধান হবে।
কিন্তু দুই দিনের বাদশা না হয়ে স্থায়ী বাদশা হওয়ার ইচ্ছায় পরে আলাদা একটি রাজনীতি দল করার প্লান হয়। ১-১১ কুশিলবদের পরামর্শে।
ইউনূসের ১ম শর্ত ছিল হাসিনা ও খালেদা কে দির্ঘস্থায়ী ভাবে গ্রেফতার করে নিষ্ক্রিয় রাখা। বা জোড় পুর্বক বিদেশে বিতাড়ন।
বিএনপি ও আওয়ামীলীগের হাত পা বেধে এর মধ্যে ইউনুস একটি রাজনৈতিক দল গঠন করবে এবং নির্বাচিত হয়ে আমেরিকার পছন্দমত একটি 'গণতান্ত্রিক' সরকার গঠন করবে।
২০০৭ এর জানুয়ারি মাসে ১-১১র পরের সপ্তাহেই ড. ইউনূস ভারত সফরে যান। সে সফরে যাওয়ার দিন বিমানবন্দরে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেবার জোরালো সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সাথে বৈঠকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সে সফরে অধ্যাপক ইউনূস ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জীর সাথেও বৈঠক করেন।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি প্রথম আলো দৈনিক আমার দেশ ও আরো কয়েকটি পত্রিকা।

জানুয়ারি্র শেষ সপ্তাহে দিল্লীতে এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দেশের পরিস্থিতি বাধ্য করলে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেবেন।
সে সফরে অধ্যাপক ইউনূস ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জীর সাথে বৈঠক করেন। মানে বোঝালেন যে তিনি ক্ষমতায় আসছেন।




ইউনুসের রাজনীতিতে আসা নিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবির একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফালুর পত্রিকা দৈনিক আমার দেশ।
অধ্যাপক ইউনূসকে উদ্ধৃত করে দৈনিক আমার দেশ লিখেছে, "রাজনীতিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করার মতো ব্যক্তি আমি নই। কিন্তু পরিস্থিতি যদি বাধ্য করে তাহলে রাজনীতিতে যোগ দিতে আমি দ্বিধা করবো না"।

কিন্তু ইউনুস পারেনি, ব্যার্থ হয়ে সব লেজে গোবরে করে ফেলেছিল। প্রচলিত রাজনীতি ও নির্বাচনে ম্যানিপুলেশন ষড়যন্ত্র কারনে সিপিডি প্রথম আলো ও ড.ইউনুসের কঠিনতম শাস্তি হওয়া দরকার ছিল।
যে নোবেল বিজয়ী এত বৈদেশিক সমর্থন, দেশের সেনাবাহিনীর সর্বাত্বক সমর্থনের পরও সামান্য একটি দল চালাতে পারে না, সে একটি দেশ চালাবে কিভাবে? বিম্পি-জামাতের ভৃত্য হয়ে থাকাটাই তার উপযুক্ত স্থান।
যাক, যা বলছিলাম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সম্পুর্ন অকার্যকর হয়ে গেছিল অনেক আগেই।
এখন যেই সরকারই আসুক এই ব্যাবস্থা আর ফিরে আসবেনা।
তারাহুড়া করে লিখেছি, পরে এডিট করবো।
সুত্র বিবিসি বাংলা। বিডি নিউজ ট্যেন্টিফোর

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: নতুন করে আরেকটা গুজব শুরু হইছে, পশ্চিমারা নাকি এ মাসের মধ্যেই ডক্টর ইউনুস কে বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসাবে। =p~

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

গুজবে বিশ্বাস করেই বিএনপির আজ এমন দুরবস্তা।
কিছু সংখক বুদ্ধিজীবি আর ফালতু ইউটুবার টিকটকার বিভিন্ন উদ্ভট আশা দেখিয়ে বিএনপির সর্বনাশ করেছে।
এমন অবস্থা হয়েছিল যে এক ভুয়া বাইডেন উপদেষ্টাকে পর্যন্ত বিশ্বাস করে বসে ছিল।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:





এই মাত্র আমি ভোট দিয়ে এলাম।

বড়ই আচানক ঘটনা।
বড়ই সৌন্দর্য।
বড়ই আরাম।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভোট দিয়েছেন ভাল কথা। একজন সুনাগরিক ভোট দিবে এটাই স্বাভাবিক।
আপনি কোন জেলায় কোন কেন্দ্রে ভোট দিলেন?

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৮

নতুন বলেছেন: অধ্যাপক ইউনূসকে উদ্ধৃত করে দৈনিক আমার দেশ লিখেছে, "রাজনীতিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করার মতো ব্যক্তি আমি নই। কিন্তু পরিস্থিতি যদি বাধ্য করে তাহলে রাজনীতিতে যোগ দিতে আমি দ্বিধা করবো না"।

দেশে ইউনুসের মতন মানুষের রাজনিতিতে আসা উচিত না।

হিরু আলম, মাহী, সাকিব, ফেরদৌসেরা আসলে দেশর জনগন নিরাপদ থাকবে...

ওরা যত বেশি পড়ে তত বেশি জানে তত কম মানে।
--- হীরক রাজার

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

হিরোআলম এর কথা বাদ দেন
হিরো আপনাদের লোক। হিম্যানরাইট ওয়াচ জাতিসংঘ এম্নেষ্টি এদের লোক।

রাজনীতিতে শিক্ষিত তরুনদের কি আসা উচিত নয়? নাকি রাজনীতি শুধু চোরাদের জন্য।
সিনেমার রা খেলাধুলার তারকাদের রাজনীতিতে আসা নতুন কিছু ?
আমেরিকা ভারত ব্রাজিল পৃথিবীর সব দেশেই নজির আছে প্রচুর। সিনেমা তাররারা আমেরিকায় গভর্নর হয়েছে একজন প্রেসিডেন্টও হয়েছিল।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২

বিজন রয় বলেছেন: আমি সবসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিপক্ষে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

বিচারকরা তত্তাবধায়ক সরকার প্রধান হতে অনিচ্ছুক হওয়াতে, আর আর্মিরা প্রতিটি তত্তাবধায়ক ব্যাবস্থায় বাড়াবারি করাতে তত্তাবধায়ক ব্যাবস্থা বাতিল না করে উপায় ছিল না।

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০০

কথামৃত বলেছেন: বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর পক্ষে আমি। কারণ একেক দেশের গণতন্ত্র একেক রকম

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইতিহাসে তত্তাবধায়ক সরকার কখনোই নিরোপেক্ষ ছিল না,

তত্তাবধায়ক সরকার বহাল থাকার পরও মেয়াদ শেষে বিএনপি-জামাত কোনবারই ক্ষমতা ছাড়তে চায় নি,
পিটিয়ে নামাতে হয়েছে।
একমাত্র আওয়ামীলীগ শান্তিপুর্নভাবে ক্ষমতা ছেড়েছিল। ২০০১ এ

আর বাংলাদেশে তত্তাবধায়ক সরকার কখনোই নিরোপেক্ষ ছিল না, ২০০১ এ আর্মি সরাসরি বিএনপির পক্ষ নিয়েছিল।
১৯৯৬এও আর্মি হস্তক্ষেপ করতে চেয়েছিল, সুবিধা করতে না পেরে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে ঢাকার বাইরের একটি ট্যাঙ্ক ব্রিগেডের ঢাকা দখলের চেষ্টা রুখে দেয় তৎকালিন তত্তাবধায়ক সরকার প্রাধান ও ঢাকার কিছু আর্মি।

২০০৬ এর অপচেষ্টা রুখে দেয়া হয় লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে।
এরপর ২০০৭ থেকে ২০০৮ এ আর্মিরা ইউনুস গং কে দীর্ঘমেয়দে ক্ষমতায় রাখতে বিভিন্ন ভাবে অপচেষ্টা চালায়। পরে ব্যার্থ হয়ে নিজেরাই অনির্দিষ্ট কাল থাকতে চায়। ইতিমধ্যেই এই তত্তাবধায়করা বিভিন্ন দুর্নিতীতে ও বড় অংকের চাঁদাবাজিতে জরিত হয়ে যায়, ময়নামতি ও বরেন্দ্র যাদুঘরের অতি মুল্যবান মুর্তিগুলো ফ্রান্সে বিক্রি করে যাদুঘর খালী করার ব্যাবস্থার চুক্তি পর্যন্ত করেছিল চক্রটি।
কিন্তু পরে হকারদের ও বিশ্ববিদ্যালএ ছাত্রদের লাখি খেয়ে নাস্তানাবুদ হয়ে কোনমতে একটি নির্বাচন দিয়ে ভেগে যায়।

পাকিস্তানেও তত্তাবধায়ক সরকার পক্ষপাত দুষ্ট।
ইমরানকে উৎখাত করেই থামেনি।
ইমরানকে নির্বাচনে দাড়াতে অযোগ্য ঘোষনা করেছে তত্তাবধায়ক সরকার। ইমরানের দলের প্রায় সতাধিক প্রার্থির নমিনেশান বাতিল করেছে।

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১১

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: দুঃখের কথা কী আর কমু!
দুইবার ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে গেছি, দুইবারই দুর্বৃত্তরা ককটেল ফাটাই দিছে...
পরে, সেই কেন্দ্রই বন্ধ করে দিছে...

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যে যে কেন্দ্রে মারামারি হয়েছে সেসব কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ যে বিজয়ী হবে সেটা অনুমিতই ছিল।
তবে বিরোধীদল জাপা মাত্র ১১টা নিয়ে যে ধরাশায়ি হবে সেটাও অনুমিত ছিল। যে ৪০ শতাংশ বা তার অধিক ভোট পড়েছে তা আওয়ামীলীগেরই ভোটার, এবং এরা পরবর্তি সব নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে বিজয় এনে দিবে |

বিএনপির ২০০১এ ভোটব্যাংক ছিল৪০% কিন্তু দেড় কোটি ভুয়া ভোটার বাদ দেয়ার পর ২০০৮এ ৩২% নেমেছিল।
বর্তমানে আরো কমেছে নিশ্চিত। সেই আশঙ্কাতেই ওরা নির্বাচনে যায় না, বিএনপি আসলে যে জাপার মতই ভরাডুবি হত এতেও কোন সন্দেহ নেই।
তবে যাই হোক, ৫৬ জন মন্ত্রী সহ জাদরেল নৌকা প্রার্থিদের পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়জয়কার প্রমান করে তৃণমূল লীগ কর্মীরাও ম্যাটার্স। জয় বাংলা।

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি ভোট দিয়েছেন?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
না। তবে নির্বাচনের আগে দেশে আসা উচিত ছিল।
আপনি কি ভোট দিতে পেরেছেন?

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬

এম ডি মুসা বলেছেন: ভোট শেষ, এই নিয়ে আপনার পোস্ট না পড়ে মন্তব্য করছি, আপনি অনেক দিন কোন পোস্ট করেন না

৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৯

নতুন বলেছেন:

ভাই আপনার ফেসবুকের একাউন্ট কি কেউ হ্যাক করছে? না কি এটা আপনার একাউন্ট না?

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ধন্যবাদ ভাই।
আপনি সতর্ক করার পর দেখলাম এ ধরনের কয়েকটি ভাসছে, পরে ডিলিট করে ব্লক করেছি।
এরকম ঘটনা এর আগেও হয়েছিল, গত বছর তখন কায়রো ভাইয়ের নজরে পরে আমাকে জানায়, সেগুলোও ডিলিট ও ব্লক করেছিলাম।
তবে তখনও একাউন্ট হ্যাক হয় নি। কারন আমার লগইন করতে কখনোই সমস্যা হয় নি। তবে এবার পাসওয়ার্ড চেইঞ্জ করলাম।

আপনি যখন ব্যাপারটা জানিয়েছিলেন তখন আপনাকে একদমই চিনতে পারি নি, ভেবেছিলাম কেউ একজন হবে।
এখন বুঝলাম আপনিই সেই। তাৎখনিক চিনতে না পারার জন্য আমি ভীষন ভাবে লজ্জিত। প্লিজ ভাই, আমি ক্ষমা প্রার্থি।

১০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২২

সোনালি কাবিন বলেছেন: কে যেন বলেছিল পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়।

১১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আমি ভোট দিয়েছিলাম ঢাকা-৫ আসনে।
আমার প্রার্থী ফেল মেরেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.