নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্তর মম বিকশিত করো/ অন্তরতর হে/ নির্মল করো, উজ্জ্বল করো,/ সুন্দর কর হে

মহান অতন্দ্র

কবিতার মত মেয়ে

মহান অতন্দ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

নার্সিসিস্টিক পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৮

আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে একজনের লেখা পড়েই লেখাটা লিখতে ইচ্ছে করল। এই মেয়েটিকে আমি চিনি না। ক্যাম্পাসের জুনিয়র। মেয়েটি মেধাবী, ভাল। এ কারনে তাকে এড করেছিলাম। মেয়েটি অবশ্য এরকম লেখা আগেও লিখেছে। এড়িয়ে গেছি। আজকে মনে হল কিছু লিখি। কারণ অনেককেই দেখি এরকম লিখতে।



“ সব দুমুখো সাপ, এদের থেকে সাবধান” (তুমি কি বাবা!, সাবধান কি তোমার থেকেও হওয়া উচিৎ নয়?)। “ অবেশেষে তার আসল চেহারা দেখলাম” ( তোমারটাও তো অন্যরা দেখেছে) ”। “পৃথিবীতে মানুষ চেনা দায়” (যেন সে একাই ভাল মানুষ )। “আমার চারপাশে এত ভণ্ড, মানুষরূপী শয়তান আগে জানা ছিল না” (অন্যদের ও তোমার ব্যাপারে জানা ছিল না) । “ ফিলিং বিরক্ত, কিছু সুবিধাবাদী চিনলাম, এদের ডিলিট করতে চাই” (অন্যরাও চায় )। “ স্বার্থপরদের থেকে মুক্তি চাই” (তুমি কি নিঃসার্থবান?) ...........................এরকম আরও কিছু।



এগুলো বিভিন্ন জনের ফেসবুক স্ট্যাটাস। হয়ত আক্ষরিক ভাবে ঠিক এরকম নয়। তবে মুল ভাবটা এরকম। এগুলো তারা রাস্তাঘাটের অচেনা কাউকে নিয়ে লেখেনি। নিজের বন্ধুবান্ধব পরিচিতদের নিয়ে লিখেছে।

আপনাদের মনে হতে পারে এ বিষয় নিয়ে আমি কেন হঠাৎ পড়লাম। তাহলে কি এগুলো সব আমাকে উদ্দেশ্য করেই লেখা। না এর কোনটিই আমাকে নিয়ে লেখা নয়।



প্রত্যেকটি মানুষের জীবন আসলে কি? একটা গোটা এন্সাইক্লোপেডিয়া ছাড়া আর কিছুই নয় । জীবনে চলতে গেলে মানুষের নিত্যদিন নতুন নতুন শব্দের ব্যাবহারের দরকার পড়ে আর তখনি শব্দকোষের কাছ থেকে সে শব্দ ধার করে। তবে কে কোন শব্দটি আজ ধার করবে সেটি নির্ভর করে তার আজকের প্রয়োজন, অনুভূতি ও দীর্ঘদিনের নিজস্ব অভ্যাসের উপর। কারণ প্রত্যেকটি মানুষেরই স্বভাব, কর্মকাণ্ড, চলাফেরা, দীর্ঘশ্বাস সবকিছুরই যেন একটা আলাদা ধরণ আছে।



তাই বলা যায় প্রত্যেকটি মানুষের জীবনই যেন এক একটা শব্দকোষ। আর সেই শব্দকোষের শব্দ গুলো সাজিয়ে ফেললেই এক একটা আলাদা গল্প।



ধরা যাক দুজন মানুষ রাস্তায় হাঁটছে। হাঁটতে হাঁটতে একটি ঢিল পেল। প্রথম ব্যাক্তিটি লক্ষই করল না। কারণ তার মনোজগতের পুরা জগত জুড়ে তখন অন্য কোন বিষয় স্থান দখল করে আছে। দ্বিতীয় ব্যাক্তি এক লাথিতে ঢিলটা আকাশে তুলল। ঢিলটির তো কোন দোষ ছিল না। হয়ত এটা তার গতকালের হতাশার অথবার এক সপ্তাহের বিক্ষিপ্ত মানসিক অবস্থার ফলাফল অথবা এমনও হতে পারে ঠিক ঐ সময় লোকটি নিউটনের গতিসূত্র নিয়ে ভাবছিল। কতটা ফোর্স দিলে ঢিলটি কত দুরে যাবে।



কিছুদিন আগে আমি আমেরিকার সিরিয়াল কিলারদের জবানবন্দী দেখছিলাম টিভিতে। খুনোখুনি আমার বরাবর অসহ্য। শুধু দেখছিলাম তাদের সাইকোলজি বোঝার জন্য। আমি দেখলাম এসব খুনিদের কেউই তাদের কাজের জন্য অনুতপ্ত নয়। বরং সম্পূর্ণ বিনা কারনেই তারা হত্যা করত আর এক একটা হত্যার পর অদ্ভুত আনন্দ পেত।



কিন্তু প্রশ্ন হল তারা এই খুনটা কেন করত। একজন লোককে দেখলাম সে তার জবানবন্দীতে বলেছে সে এমন একটা পরিবেশে বড় হয়েছে সেখানে সোশ্যাল ইন্টারেকশনের কোন সুযোগ ছিল না। তাদের বাসাটা ছিল অসংখ্য বন্দুক আর ধারালো অস্ত্রে ভরা। বাড়িতে তার মা ছিল না। একেবারে ছোটবেলা থেকে বাবার সাথে শিকারে যেত সে। তার বাবা কোন কারণ ও প্রয়োজন ছাড়াই পশু-পাখি হত্যা করত। হত্যা করে অদ্ভুত আনন্দ পেত। একসময় সেই ছেলেটিও আনন্দ পেতে শুরু করে। বড় আনন্দের আশায় বড় হয়ে সে মানুষ হত্যা শুরু করে।



ভিডিওতে একজন সাইকলজিস্ট দেখা যাচ্ছিল, তিনি এদের কেস স্টাডি সম্পর্কে বলছিলেন। তিনি বলছিলেন যদিও বিষয়টা বেশ জটিল। তবে এসব অপরাধীদের অপরাধ প্রবনতার সাধারণ কারণ হল এব্রুপ্ট চাইল্ডহুড, ফ্যান্টাসি এবং ম্যালিগন্যান্ট নার্সিসিজম। ম্যালিগন্যান্ট নার্সিসিজমকে সাইকোলজির ভাষায় বলা হয় নার্সিসিস্টিক পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার । অর্থাৎ ব্যাপারটি এরকম এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তি নিজের প্রেমে এতটাই তুষ্ট থাকে যে অন্য সবকিছুই তার কাছে তুচ্ছ মনে হয় আর তুচ্ছ যেকোনো কিছুই তার কাছে ধ্বংসের দাবী রাখে।



আমাদের ব্যাক্তিগত জীবনে এরকম সিরিয়াল কিলারদের সাথে খুব একটা পরিচিতির সুযোগ ঘটে না। আর ঘটলে হয়ত এই মুহূর্তের বিশুদ্ধ অক্সিজেনের স্বাদটুকু থেকে আমরা বঞ্চিত হতাম।



কিন্তু সিরিয়াল কিলার যে নেই তা আমি বলব না। আমাদের আশেপাশে অসংখ্য সিরিয়াল সম্পর্ক কিলার আছে। এরা নিজেদের ভুল কখনও খুঁজে পায় না। পেলেও অন্যকে দোষ দিয়ে নিজের দোষটাকে এরা ঢেকে ফেলে। এরা খুঁজে খুঁজে কারণ বের করে এবং অবশেষে নিশ্চিত হয় এদের আসলেই কোন দোষ নেই। এভাবে এরা অন্যকে দোষারোপ করে, অপমান করে। তার উপর নিজের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করে এবং অদ্ভুত আনন্দ পায়। তার এই অদ্ভুত আনন্দের কারনে যেটি হয়, তার দীর্ঘদিনের বন্ধুটি অভিমান করে তাকে ছেড়ে দুরে চলে যায় আর সেও এরকম আচরণ করে যেন তার বন্ধুটির মত নিকৃষ্ট কীট আর এ পৃথিবীতে নেই ।



অবশেষে তাদের সম্পর্কের মৃত্যু ঘটে এবং এই সম্পর্ক হত্যার জন্য তার মনে কোন অনুশোচনা পর্যন্ত হয় না । এর পিছনে দুটি কারণ থাকতে পারে। প্রথম কারণ ভেতরে ভেতরে ব্যাক্তিটি ভীষণ দুর্বল আর রুঢ়তাই দুর্বলতার লক্ষণ। দ্বিতীয় ও প্রধান কারণ সেই ব্যাক্তি নিঃসন্দেহে নার্সিসিস্ট। নার্সিসিস্টদের কোন অনুশোচনা হয় না কারণ সে মনে করে সে নিজেই শ্রেষ্ঠ, তার ভুল হতে পারে না। আর ভুলটা জানলেও স্বীকার করার মত মাথা অবনত করার কাজ সে করতে পারে না।



আমি জানি, তুমিও হয়ত একজন নার্সিসিস্ট। একবার ভেবে দেখোতো তুমি কি কখনও জানতে চেয়েছ, তোমার বন্ধুটির আসলে সেদিন কি হয়েছিল, কি ঝামেলার মধ্যে তার বসবাস ছিল, তার জীবন কতটা জটিল ছিল। যেদিন ও তোমার উপর খুব রেগে গিয়েছিল তুমি কি জান, সকালে ওর মা ওকে খুব বকেছিল, ও পরীক্ষাতে খুব খারাপ গ্রেড পেয়েছিল। অথবা এর কিছুই ওর হয়নি। হয়ত ওর হাই টেম্পার প্রব্লেম আছে ও নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে না। তাই সেদিন রেগে গিয়েছিল অথবা তোমার দীর্ঘদিনের অবজ্ঞা ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের চোখ সেদিন ওকে খেপিয়ে দিয়েছিল। তুমি কি পারতে না ওকে ক্ষমা করতে? আর কি হয় ক্ষমা করলে? ভুলগুলো উপেক্ষা করলে?



নিঃসন্দেহে বিশৃঙ্খলা কমে। জীবনটা অনেক প্রশান্তির হয়। কি দরকার আরও বিশৃঙ্খলা বাড়িয়ে? তুমি কি জানো এরপর ও কত অনুতপ্ত হয়ে কেঁদেছে। অথবা কাঁদেইনি। ওও তোমার মত নার্সিসিস্ট। কিন্তু তুমি কি জান তুমি যদি সরি বলে ওকে একটা টেক্সট করতে অথবা লিখতে চল ছাদে যাই। দারুন চাঁদ উঠেছে। আজকের জোৎস্নাটা একসাথে দেখি। এরপর থেকে কি হত জানো ? ওর আচরণ গুলো শুধরে যেত। তোমার বন্ধুটা তোমাকে ভালবাসত। কারণ তুমিই তো ওকে ভালবাসতে শিখিয়েছ। আর সেই ভালোবাসায় তুমি যে তৃপ্তি পেতে তোমার আত্ন অহঙ্কারের কাছে সেটা নিতান্তই তুচ্ছ হত।



হুমায়ুন আহমেদ এর বইয়ের লেখার একটা দিক আমাকে খুব টানত। উনি ওনার লেখাতে চরিত্রগুলো এমনভাবে তৈরি করতেন যেন পৃথিবীর কোন মানুষই খারাপ নয়। একজন পেশাদার ভয়ংকর খুনিও দিনশেষে একজন ভাল বাবা। একজন দায়িত্বশীল স্বামী। হয়ত এই দায়িত্ব পালন করতে যেয়েই সে খুনের পথ বেছে নিয়েছে। “পাপকে ঘৃনা কর। পাপীকে নয়”। পোপ আসলে যথার্থই বলেছেন।



এরপরও যারা মনে কর নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবার চেয়ে শ্রেষ্ঠ কিছু নেই, গ্রীক দেবতা নার্সিসাস এর গল্পটা জানো তো । নার্সিজমের জন্য যাকে প্রান দিতে হয়েছিল। তাই সাবধান থেকো। তোমার এই শ্রেষ্ঠত্বের বড়াই ই তোমাকে হয়ত কোনোদিন এমন পরিনতিতে নিয়ে যাবে।



সম্পর্কগুলো আসলে এক একটা চারাগাছ। সেটাকে সার মাটি দিয়ে লালন করতে হয়। ফল দিতে দেরি করছে বলে রেগে সেটাকে উপড়ে ক্ষতবিক্ষত করার মানে নেই। আর একটু সবুর কর। আর একটু যত্ন কর। ফুল-ফল ছায়া সবই পাবে। সেই ছায়াই তুমি জীবন যুদ্ধে ক্লান্ত হলে ঠাই ও পাবে। আর ভরসা রাখ মানুষের প্রতি। তুমি কাউকে ছেড়ে যেও না। কেউ ও তোমাকে ছেড়ে যাবে না। সৃষ্টিকর্তা নিখুত বিচারক। সবাইকেই সমান মায়ামমতা দিয়েই তিনি পাঠিয়েছেন।



*** আমার সাইকোলজি জ্ঞান খুব কম। কিছুটা অভিজ্ঞতা ও ইন্টারনেট ঘেঁটে লিখেছি।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: নার্সিসিস্টিক পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার।
পৃথিবীতে মানসিক রোগের দেখি কোন শেষ নাই। তবে এই রোগটা আসলেই ভয়ংকর। কারণ এই রোগে যারা আক্রান্ত হয়, তাদের কারো সাথে কোন বন্ধুত্ব গড়ে উঠার কথা নয়। কারো সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠার কথা নয়। কারণ বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসার সম্পর্কের প্রধান শর্ত পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস থাকা এবং ভালোবাসা থাকা। কিন্তু নার্সিসিস্টিক পারসোনালিটি ডিসঅর্ডারে ভুগলে সেতো অন্য কারো ভালোটাই সহ্য করার কথা না। নিজেই যেখানে নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করে।
এই রোগের প্রতিকার কী জানি না। তবে তার চারপাশে ভালোবাসার দেয়াল গড়ে তুলতে পারলে ধীরে ধীরে হয়তো কারো নার্সিসিস্টিক পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার রোগ থাকলে সাড়িয়ে তোলা সম্ভব। পোস্টটা প্রিয়তে তুলে রাখলাম। সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন। উদাহরণসহ দেয়ায় বুঝতেও সুবিধা হয়েছে মহান অতন্দ্র। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী বাঙালী এরকম বিশ্লেষণমূলক সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভাষার মাসের শুভেচ্ছা রইল। ভাল থাকবেন।

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪১

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: সম্পর্কগুলো আসলে এক একটা চারাগাছ। সেটাকে সার মাটি দিয়ে লালন করতে হয়। ফল দিতে দেরি করছে বলে রেগে সেটাকে উপড়ে ক্ষতবিক্ষত করার মানে নেই।


চমৎকার বলেছেন। পোস্টে প্লাস।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৩৮

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আমার নিজের জীবন থেকে এই উপলব্ধিই হয়েছে আমার। যদিও জীবনটাই হয়ত অনেক বাকি আরও অনেকটা সময় হাঁটতে হবে। অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকবেন।

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:০২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: নতুন একটা বিষয় সম্পর্কে ঝরঝরে ভাষায় গুছিয়ে লিখেছেন। ফেবুতে দেখেই পড়তে ইচ্ছা হলো। শুভেচ্ছা থাকলো অনেক অনেক।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:০৭

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। ভাল থাকবেন।

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:২৩

জাফরুল মবীন বলেছেন: আপনি বরাবরই ভাল লিখেন :) আপনাকে নার্সিসাস ফুলের শুভেচ্ছা....

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৫২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জাফরুল ভাই :) আপনি তো মনটাই ভাল করে দিলেন। আপনার মত এত গুণী জনের কাছ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা পেয়ে খুব ভাল লাগছে। ভাল থাকবেন।

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:২৩

যোগী বলেছেন:
হাই!
দোষ-গুন মিলিয়ে মানুষ এই ব্যাপারটা দারুন ভাবে ফুটিয়ে তুলতেন রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম সে আর বলতে গুরুর মত বর্ণনা শৈলী দেবার ক্ষমতা আর কার আছে। তার লেখা পড়লে মনে হয় জীবনের সব কথা যেন তিনিই বলে দিয়েছেন।

অনেক ধন্যবাদ যোগী। ভাল থাকবেন।

৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৩৩

কয়েস সামী বলেছেন: ইন্টারেস্টিং টপিক। সাইকোলজিস্ট না হয়েও বেশ ভালভাবে গুছিয়ে লিখেছেন। চালিয়ে যান।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: গোছানো হয়েছে কিনা জানি না। তবুও ধন্যবাদ ভ্রাতা। শুভেচ্ছা জানবেন।

৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৬

নিলু বলেছেন: লিখতে থাকুন

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ নিলু।

৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩

সোহানী বলেছেন: এ বিষয় নিয়ে প্রায় চিন্তা করি..... আমি কিন্তু সবকিছু পজিটিভলি দেখতে ভালোবাসি.... তাই আমার মতে পজিটিভ চিন্তাই পারে সব কিছু সুন্দর করে দিতে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৪

মহান অতন্দ্র বলেছেন: সহমত আপু। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: একটা মানুষের মাঝে ভাল মন্দ দুটিরই উপস্থিতি সরব।
কিন্তু অন্যের মন্দটা পাশে রেখে ভালোটা খুঁজে নেওয়াই শ্রেয়।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: সহমত দিশেহারা। ধন্যবাদ।

১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগলো লেখা।

গ্রীক পুরাণের একটি বিশেষ অংশের কথা মনে পড়লো।

মনে পড়লো দালির 'মেটামরফসিস অফ নার্সিসাস' এর কথা।

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৪

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ দীপংকর চন্দ দা। 'মেটামরফসিস অফ নার্সিসাস' সম্পর্কে জানা নেই। পড়তে হবে।

১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭

একজন সৈকত বলেছেন:
ভালো লাগলো অনেক।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৫

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ একজন সৈকত।

১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৭

ময়ূখ কিরীটি বলেছেন: লেখাটা পড়লাম আর মনে মনে কিছুক্ষণ হাসলাম.....হাসলাম কেন পরে বলছি।

আমার যতদূর বিশ্বাস নার্সিসিজম (এমন অদ্ভূত টার্ম এই প্রথম জানলাম) জিনিসটা বয়:সন্ধির সময়ই জন্ম নেয় যেটা খুব স্বাভাবিক, বেশ ক'বছর এমন ধারণা যে "অাপাতত আমিই সঠিক" বহাল থাকে- সময়ের সাথে সাথে এটার মাত্রাও কমতে থাকে কেননা পারিপার্শ্ব দেখতে দেখতেই বাকিটা বুঝতে শেখে......কিন্তু তাদের বেলায়ই এটা কমতে সময় নেয় অথবা কমে না যারা ঐ সময়টাতে মেলামেশার সুযোগটাই কম পায়- চারপাশ সম্পর্কে ধারণাটাই যদি গ্রো না করে করে তবে তো জীবনের অনেকটাই বোঝা হয় না......আরেকটা হতে পারে যে - অনেকটা সময়ই নিজের ডিসিশানের সাফল্য মানুষকে নিজের ওপর অতি বিশ্বস্ত করে ফেলে!!! আমি দুই ধরনের পাবলিকই কাছ থেকে দেখেছি- যারা এখনও পর্যন্ত নিজের চিন্তার বাইরে বেশি কিছু চিন্তাই করতে পারে না :|

এবার হাসির কারণ বলি- উপরোক্ত প্রথম দলের মানুষ ছিলাম আমি অনেক অনেক কাল আগে- যখন গোলা ভরা ধান ছিল.......পুকুর ভরা মাছ.......ব্লা ব্লা..... :D
আর উত্তরণের জন্য যেই উদাহরণটা আপনি দিলেন ঠিক ঠিক সেভাবেই আমি নিজে থেকেই ওরকম ভাবতে শেখা শুরু করি একসময়......সম্পূর্ণভাবে নিজে নিজেই- কীভাবে কখন এইটা মনে নেই......একটা জিনিস জীবন দিয়ে বুঝেছি- দুনিয়ার কোন কাজের পেছনেই শুধুমাত্র একটা কারণ থাকে না !!!!

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৮

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আপনার সহজ স্বীকারোক্তি ভাল লাগল। আসলে প্রায়ই সবাই কোন না কোন সময় এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে যায়। হয়ত কম বেশি। আসলে আত্ম প্রেম না থাকলে কি বাঁচবার আকুতি এত প্রগাঢ় হয়।

১৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৫

তাশমিন নূর বলেছেন: ভালো লেগেছে পোস্ট। উঁহু, শুধু ভালো লেগেছে বললে কম বলা হবে। খুবই ভালো লেগেছে।

নার্সিসাস কমপ্লেক্স-এ ভোগা লোকজনও ভালোবাসে। তবে এই জটিলতার কারনে তারা নিজের ভালোবাসাকেও অস্বীকার করে। ভাবলেই কষ্ট হয়।

লেখকের জন্য শুভকামনা।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তাশমিন। ধন্যবাদ আপনাকেও ।

১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৯

শায়মা বলেছেন: প্রবাসী পাঠক বলেছেন: সম্পর্কগুলো আসলে এক একটা চারাগাছ। সেটাকে সার মাটি দিয়ে লালন করতে হয়। ফল দিতে দেরি করছে বলে রেগে সেটাকে উপড়ে ক্ষতবিক্ষত করার মানে নেই।


আর ক্ষতবিক্ষত একবার করেই ফেললে আর রক্ষা নেই।


জীবনেও আর ফল দেবেনা ।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: সহমত আপু। ধন্যবাদ।

১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই ধরণের বিষয়ের প্রতি আগ্রহ ব্যাপক আমার। আপনার লেখাটি পড়ে তৃষ্ণা মিটলো। শুভেচ্ছা।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আমার জ্ঞানের দৌড় বেশি নয়। তবুও আপনার তৃষ্ণা মিটেছে জেনে ভাল লাগলো ভাইয়া।

১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বিষয় নিয়ে অাপনার চিন্তার বহিঃপ্রকাশ জানা গেল।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর। ভাল থাকবেন।

১৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

আমি ইহতিব বলেছেন: বরাবরের মতই ভালো লিখেছেন আপু। আমার মাঝে মাঝে এই রোগের স্বীকার তাদের ও মনে হয় যারা খুব ফ্রিকোয়েন্টলি সেলফি তুলে আর ফেসবুকে দেয়। রাগও লাগে মায়াও হয় এমন সেলফি ম্যানিয়াকদের জন্য।

+++

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হা হা হা ভাল বলেছেন। সহমত।

১৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৫

আরজু পনি বলেছেন:

পোস্টটা অফলাইনে পড়েছিলাম ।

ভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা পড়ে ভালো লেগেছে ।

ব্লগে নার্সিসাস নিয়ে ম্যাভেরিক ও পরে ব্লগার রেজোওয়ানা লিখেছিলেন ।

আমি একটা কবিতা লিখেছিলাম নার্সিসিজম

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: কারো লেখায় আগে পড়িনি । তোমার কবিতাটা পড়ে আসলাম । প্রিয়তে নিয়েছি ।

১৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন! ++++

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ ।

২০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

সিফাতুল্লাহ বলেছেন: আমি অল্পতেই বিরক্ত হই (সাইকোলজিতে এই রোগের ও নিশ্চয়ই ভালো নাম আছে)। নার্সিসিজম আমাকে চরম ভাবে বিরক্ত করে।
...
অনেক কঠিন বিষয়গুলো অনেক সহজ করে গুছিয়ে লিখেছেন। আমি সাধারণত ধৈর্য ধরে বড় পোস্ট পুরোটা পরতে পারি না। আপনার লেখাটি পড়তে কোন সমস্যা হয় নি। সুন্দর পোস্ট! ++++

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন । শুভ কামনা।

২১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

মেহেরুন বলেছেন: সম্পর্কগুলো আসলে এক একটা চারাগাছ। সেটাকে সার মাটি দিয়ে লালন করতে হয়। ফল দিতে দেরি করছে বলে রেগে সেটাকে উপড়ে ক্ষতবিক্ষত করার মানে নেই। আর একটু সবুর কর। আর একটু যত্ন কর। ফুল-ফল ছায়া সবই পাবে। সেই ছায়াই তুমি জীবন যুদ্ধে ক্লান্ত হলে ঠাই ও পাবে। আর ভরসা রাখ মানুষের প্রতি। তুমি কাউকে ছেড়ে যেও না। কেউ ও তোমাকে ছেড়ে যাবে না। সৃষ্টিকর্তা নিখুত বিচারক। সবাইকেই সমান মায়ামমতা দিয়েই তিনি পাঠিয়েছেন।

অনেক দামী কথা বলেছেন আপু। ভালো লাগলো।

আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । শুভ কামনা আপনার জন্যও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.