নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

সেলিম জাহাঙ্গীর

সেলিম জাহাঙ্গীর যে দ্যাশে নাই জীন মরণরে আমার মন ছুটেছে সেই দ্যাশে গুরু লওনা আমায় তোমার সে দ্যাশে

সেলিম জাহাঙ্গীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে দাসী ও যুদ্ধলব্ধ গণিমতের নারীরাকি বর্বরতার শিকার?

২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৩৮

কিছু হাদীস
সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২১৫০:
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন: হুনাইন যুদ্ধের সময় আল্লাহ্‌র রসুল আওতাসে এক অভিযান চালালেন। মুসলিম সৈন্যরা তাদের শত্রুকে মোকাবেলা করল এবং তাদেরকে পরাজিত করল। তারা অনেক যুদ্ধবন্দিনী পেল। যুদ্ধবন্দিনীদের কাফের স্বামীরা একই স্থানে থাকার দরুন রসুলুল্লাহর অনেক সাহাবি তাদের হাতে গচ্ছিত বন্দিনী কাফের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করতে বিব্রত বোধ করলেন। এই সময় আল্লাহ্‌ নাজেল করলেন কোরানের আয়াত
সূরা নিসা ৪:২৪
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায় এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্‌র হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তাদের স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য ব্যভিচারের জন্যে নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ্‌ হবে না। যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সু-বিজ্ঞ, রহস্য-বিদ।


সহিহ মুসলিম বই ৮, হাদিস ৩৪৩২

আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:
হুনায়েন যুদ্ধের সময় আল্লাহ্‌র রসুল আওতাসে এক সৈন্যদল পাঠালেন। তারা শত্রুর সাথে যুদ্ধ করে তাদের পরাজিত করল। এরপর মুসলিম সৈন্যরা যুদ্ধবন্দি নিলো। মহিলা বন্দিদের সাথে তাদের পৌত্তলিক স্বামীরাও ছিল। নবীজির সাহাবিরা ঐ মহিলাদের সাথে তাদের স্বামীর সামনে সহবাস করতে নারাজ থাকলেন। এই সময় আল্লাহ পাঠিয়ে দিলেন এই আয়াত: “এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায় এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্‌র হুকুম।

সূরা নিসা ৪:২৪
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায় এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্‌র হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তাদের স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য ব্যভিচারের জন্যে নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ্‌ হবে না। যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সু-বিজ্ঞ, রহস্য-বিদ।

এই আয়াতের মানে পরিষ্কার মুসলিম সৈন্যরা তাদের হাতে পাওয়া গনিমতের মাল, তথা যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে অবাধ সহবাস করতে পারবে এমনকি যখন ঐ সব মেয়েদের কাফের স্বামীরাও আশেপাশে থাকবে।

সহিহ বোখারি, ভলুম ৫ বই ৫৯ হাদিস ৬৩৭:
বুরায়দা বর্ণনা করলেন: রসুলুল্লাহ আলীকে খালেদের কাছে পাঠালেন খুমুস (যুদ্ধে লব্ধ মাল) নিয়ে আসার জন্যে। আমি আলীকে ঘৃণা করতাম। সে সময় আলী গোসলে ছিলেন (এক যুদ্ধ বন্দিনীর সাথে সহবাস করার পর)। আমি খালেদকে বললাম: আপনি কি তাকে দেখলেন (অর্থাৎ আলীকে)? আমরা নবীজির কাছে পৌঁছিলে তাঁকে এ ব্যাপারে অবহিত করলাম। তিনি বললেন: “হে বুরায়দা, তুমি কি আলীকে ঘৃণা কর?” আমি বললাম: “জী হ্যাঁ”। তিনি বললেন: “তুমি তাকে ঘৃণা করছ, তবে সে তো ঐ খুমুস থেকে আরও বেশী পাবার যোগ্য”।

এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে, কোন যুদ্ধ বন্দিনী যদি গর্ভবতী থাকে অথবা জিহাদিদের সাথে সহবাস করার ফলে গর্ভবতী হয়ে যায় তাহলে তার কি হবে? এই ব্যাপারে ইসলামে উত্তর আছে। নবীজি যুদ্ধ বন্দিনী ধরার পর সেগুলো তাঁর বাহিনী আনসারদের মাঝে বিতরণ করে দিতেন । জিহাদিরা সাধারণত: তাদের স্ব স্ব ভাগে পড়া ‘মেয়ের’ সাথে সহবাস করে ঐ মেয়েটিকে মদিনা অথবা নিকটবর্তী ক্রীতদাসের হাট বাজারে বিক্রি করে নগদ টাকা নিয়ে নিতেন। যদি মেয়ে কুৎসিত, বৃদ্ধা, মোটা, রুগ্ন হয়ে থাকে তাহলেতার দাম অনেক কম পেত হতো। আর মেয়েটি যদি গর্ভবতী হত তো সেই মালের প্রায় কোন মূল্যই থাকত না। মাল কেন বললাম? ক্রীতদাসের হাট বাজারে নারী-মেয়েদের মাল হিসাবেই উঠানো হতো। তায় জিহাদিরা এমনভাবে তাদের স্ব স্ব মেয়েদের’ সাথে যৌন সংযোগ করতো যেন মেয়েটি’ গর্ভবতী না হয়ে যায়। সেই যুগে তো আধুনিক জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিল না। তায় জিহাদিদের জন্যে একটি পথও খোলা ছিল যাকে ‘আজল’ বলা হয়ে থাকে। তবে এর সরাসরি মানে হচ্ছে যোনির বাইরে বীর্যপাত করা। অর্থাৎ চরম পুলকের মুহূর্তে পুংলিঙ্গ যোনির বাইরে এনে বীর্যপাত ঘটানো। অনেক জিহাদি আবার এই ভাবে অতীব যৌন সুখ উপভোগ করতে পছন্দ করত। কেননা তারা সহজে তাদের স্ত্রীর সাথে এইভাবে যৌন উপভোগ করতে পারত না, স্ত্রীরা তা পছন্দও করতোনা। ইসলামী আইন বলে যে স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া ‘আ্জল’ করা যাবেনা। শুধুমাত্র ক্রীতদাসী অথবা যুদ্ধ বন্দিনীর সাথে ‘আজল’ করা যাবে কোন অনুমতি ছাড়াই। আজকের দিনেও ইসলামী এই আইন বলবত আছে।

আরও কিছু হাদীস
সহিহ্‌ বোখারী ভলুম ৫ বই ৫৯ হাদিস ৪৫৯:
ইবনে মুহাইরিয বর্ণনা করেছেন:
আমি মসজিদে প্রবেশ করলাম এবং আবু সাইদ আল খুদরিকে দেখলাম। আমি তাঁর পাশে বসে পড়লাম। তাঁকে আজল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। আবু সাইদ বললেন: “আমরা আল্লাহ্‌র রসুলের সাথে বনি মুস্তালিকের যুদ্ধে গেলাম। আমরা আরব যুদ্ধবন্দিনী পেলাম। আমাদের জন্যে কৌমার্য পালন করা অসাধ্য হয়ে উঠেছিল। তাই আমরা চাইলাম সহবাস করতে। সত্যিই আমরা আজল করতে ভালবাসতাম। তাই আমরা যখন আজল করার সিদ্ধান্ত নিলাম তখন চিন্তা করলাম: “রসুলুল্লাহ আমাদের সাথে আছেন, এমতাবস্থায় আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসা না করে কি ভাবে আজল করি?” আমরা তাঁকে আজলের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি উত্তর দিলেন: “তোমাদের জন্যে উত্তম হবে এটা না করা কেননা যা জন্ম হবার তা হবেই।“

সহিহ্‌ বোখারি ভলুম ৭ বই ৬২ হাদিস ১৩৭:
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:
এক জিহাদে আমরা শত্রুপক্ষের নারী বন্দি পেলাম। তারা আমাদের হাতে আসলে আমরা তাদের সাথে আজল করে সহবাস করলাম। এরপর আমরা রসুলুল্লাহকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: “তাই নাকি! তোমরা কি এরূপ করে থাক?” রসুলুল্লাহ তিনবার এই প্রশ্ন করলেন, এবং বললেন: “আখেরাত পর্যন্ত যত লোক সৃষ্টি হবে তাদের প্রত্যেকটি অবশ্য জন্মলাভ করবে”।

বলা বাহুল্য, ইসলামের এহেন নৈতিক নিম্নতায় অনেক শিক্ষিত ইসলামী স্কলার, ইসলামী বিশারদরা লজ্জিত হয়ে থাকেন। তায় ইসলামের লজ্জা শরম চাপা দিবার জন্যে অনেক কিছুও বলে থাকেন আজও অবধি অনেক আলেম গোছের মানুষ। অনেক ইসলামী বিশারদর বলেন: আমাদের এসব দেখতে হবে স্থান, কাল, ও প্রসঙ্গ ভেদে। অনেকেই বলেন ইসলামকে ভুল বুঝা হচ্ছে, ইসলাম বুঝতে হলে প্রচুর পড়াশোনা করা দরকার, এই ব্যাপারে ইসলামের পণ্ডিত স্কলারদের সাথে আলোচনা করা দরকার । ইসলামে কোন কিছু এমনি আসেনী ইসলামকে জানতে হবে বুঝতে হবে তার পর আলোচনা। অনেকে এমনও যুক্তি দেখান যে ঐ সব বন্দিনীদেরও যৌন ক্ষুধার নিবৃত্তি হচ্ছে তায় মন্দ কি? যখন প্রশ্ন করা হয় আজকের দিনেও কি ঐ ইসলামী প্রথা মানা যাবে কি না, তখন উনারা প্রশ্নটা এড়িয়ে যাওয়া পছন্দ করেন বরাবরের মত। অনেকে হয়তো বলেই বসবেন: দেখুন এ ব্যাপারে ইসলামে ন্যায়সঙ্গত নিয়ম কানুন আছে। তাই ইসলাম যা করবে তা ভালোর জন্যেই করবে”।

মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২.২৩.৯০:

ইয়াহিয়া মালিক নাফি থেকে। ইয়াহিয়া বললেন যে আবদুল্লাহ ইবনে উমরের ক্রীতদাসীরা তাঁর পা ধৌত করতো এবং তাঁর কাছে খেজুর পাতার তৈরি এক মাদুর নিয়ে আসত। সে সময় তারা ঋতুমতী ছিল।

মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল কোন এক ব্যক্তি গোসল করার আগেই কি তার সব ক্রীতদাসীদের সাথে যুগপৎ সহবাস করতে পারবে? তিনি (অর্থাৎ মালিক) উত্তর দিলেন যে গোসল ছাড়াই পরপর দুইজন ক্রীতদাসীর সাথে সহবাসে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু যখন কোন স্বাধীন স্ত্রীর সাথে সহবাসের দিন থাকবে সেদিন অন্য আর এক স্বাধীন স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম করা যাবে না। কিন্তু এক ক্রীতদাসীর সাথে যৌন সঙ্গমের পর সাথে সাথে অন্য ক্রীতদাসীর সাথে সহবাস করা আপত্তিকর নয় যদিও তখন লোকটি জুনুব (সহবাসের পর তার কাপড়ে অথবা দেহে বীর্য ও অন্যান্য কিছু লেগে থাকা)।

এরপর মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল। এক ব্যক্তি সঙ্গম করল এবং জুনুব হয়ে গেল। তার কাছে পানি আনা হল গোসলের জন্য। সে ভুলে গেল গোসল করতে। পানি উত্তপ্ত না শীতল তা জনার জন্যে সে তার আঙ্গুল ডুবিয়ে দিল পানির মাঝে”। মালিক উত্তর দিলেন: “তার আঙ্গুলে যদি কোন ময়লা না থাকে তবে আমার মনে হয় না ঐ পানিকে দুষিত বলা যাবে”।

মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৮.১৪.৩৩:
ইয়াহিয়া,মালিক, ইবনে শিহাব, ওবায়দুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ, ইবনে উতবা ইবনে মাসুদ,তাঁর পিতা থেকে। ইয়াহিয়া বর্ণনা করলেন: উমর আল খাত্তাবকে জিজ্ঞাসা করা হল: এক ব্যক্তির কাছে এক ক্রীতদাসী ও ক্রীতদাসীর কন্যা আছে। এখন ঐ ব্যক্তি কি পারবে ক্রীতদাসী ও তার তার কন্যার সাথে পরপর সহবাস করতে? উমর বললেন: “আমি এ রকম করা পছন্দ করি না”। এর পরে উমর এই প্রথা নিষিদ্ধ করে দিলেন।

মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৮.১৪.৩৪:
ইয়াহিয়া, মালিক, ইবনে শিহাব, কাবিসা ইবনে দুবায়েব থেকে।
ইয়াহিয়া বর্ণনা করলেন:
এক ব্যক্তি উসমানকে জিজ্ঞাসা করল: এক ব্যক্তির কাছে দুই সহোদরা বোন আছে ক্রীতদাসী হিসাবে। ঐ ব্যক্তি কি এই দুই ভগিনীদের সাথে যুগপৎ সহবাস করতে পারবে? উসমান উত্তর দিলেন: “এক আয়াতে বলা হয়েছে এই প্রথা হালাল; অন্য আয়াতে বলা হয়েছে হারাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ভাবে সহবাসের পক্ষপাতী নই”। ব্যক্তিটি উসমান থেকে বিদায় নিলো। তার পর সে রসুলুল্লাহর এক সাহাবির সাথে দেখা করল এবং ঐ একই প্রশ্ন রাখল। সাহাবি উত্তর দিলেন: “ আমার জানা মতে কেউ যদি এমন সহবাস করে তবে তাকে আমি দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিব”।
ইবনে শিহাব বললেন: “আমার মনে হয় উনি (সাহাবি) ছিলেন আলী ইবনে আবু তালিব”।

মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৮.১৫.৩৮:
ইয়াহিয়া,মালিক,ইবরাহিম ইবনে আবি আবলা,আবদ আল মালিক ইবনে মারোয়ান থেকে।
ইয়াহিয়া বর্ণনা করলেন:
ইবনে মারোয়ান তাঁর এক বন্ধুকে এক ক্রীতদাসী দিলেন। পরে ইবনে মারোয়ান বন্ধুকে ক্রীতদাসী সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলেন। বন্ধু উত্তর দিলেন: আমি চাচ্ছিলাম ক্রীত দাসীকে আমার ছেলের হাতে দিবো যাতে ছেলেটি তার সাথে যেমন খুশী তাই করতে পারে”। আবদ আল মালিক বললেন: “মারোয়ান আপনার চাইতে অনেক বিবেকবান ছিলেন। তিনি তাঁর এক ক্রীতদাসী তাঁর ছেলেকে দিলেন এবং বললেন: “তুমি এই দাসীর ধারে কাছে যাবে না, কেননা আমি তার উন্মুক্ত পা দেখেছি”।

মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৯.১৭.৫১:

ইয়াহিয়া,মালিক,নাফি থেকে।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর বললেন:
কোন ব্যক্তি যদি তার ক্রীতদাসকে বিবাহ করার অনুমতি দেয়, তবে তালাকের ভার থাকে ক্রীতদাসের হাতে। এ ব্যাপারে কারো কোন কিছু বলার অধিকার থাকবে না। এক ব্যক্তি যদি তার ক্রীতদাসের কন্যা অথবা তার ক্রীতদাসীর কন্যা নিয়ে নেয় তবে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না।

মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৯.৩২.৯৯:
ইয়াহিয়া, মালিক, দামরা ইবনে সাইদ আল মাজনি, আল হাজ্জাজ ইবনে আমর ইবনে গাজিয়া থেকে:
উনি (অর্থাৎ আল হাজ্জাজ) জায়েদ ইবনে সাবিতের সাথে বসে ছিলেন। এই সময় ইয়ামান থেকে ইবনে ফাহদ আসলেন। ইবনে ফাহদ বললেন: “আবু সাইদ! আমার কাছে ক্রীতদাসী আছে। আমার কোন স্ত্রীই এই ক্রীতদাসীদের মত উপভোগ্য নয়। আমার স্ত্রীর কেউই মন তৃপ্তিদায়ক নয় যে আমি তাদের সাথে সন্তান উৎপাদন করতে চাই। তা হলে কি আমি আমার স্ত্রীদের সাথে আজল করতে পারি?” জায়েদ ইবনে সাবিত উত্তর দিলেন: “হে হাজ্জাজ, আপনি আপনার অভিমত জানান”। আমি (অর্থাৎ হাজ্জাজ) বললাম: “আল্লাহ্‌ পনাকে ক্ষমা করুন। আমরা আপনার সাথে বসি আপনার কাছে কিছু শিক্ষার জন্যে”। তিনি (অর্থাৎ জায়েদ) বললেন: “আপনার মতামত জানান”। আমি বললাম: “ঐ ক্রীতদাসী হচ্ছে তোমার ময়দান। তুমি চাইলে সেখানে পানি ঢাল অথবা তৃষ্ণার্ত রাখ। আমি এইই শুনেছি জায়েদের কাছ থেকে”। জায়েদ বললেন; “উনি সত্যি বলেছেন”।

এই হাদীস গুলো পড়ে যা উপলব্ধি করা যায় তা হলো ইসলামে দাসী ও যুদ্ধ লব্ধ গণিমতের নারীরা কতটা সন্মানিত! অনেকেই এই লেখা পড়ে আমাকে গালি দিবেন্ আমি জানি আপনারা বলবেন হাদীসগুলো ভুল। কিংবা হাদীসগুলো আপনার বানানো কথা। অবশ্য বুদ্ধিমান লোকেরা তা বলবেনা কেননা হাদীস নাম্বারগুলো সাথে দেওয়া আছে। আমি ইসলামের বিরোধীতা করছিনা, হাদীস পড়ে আমি বলছি এই যদি হয় শান্তির ধর্মের মানুষের আচরণ তাহলে ভাবতে হবে হাদীস গুলো আদৌ সঠিক না জাল? যদি জাল হয়ে থাকে তবে আজও কেন বহাল তবিয়তে এই হাদীস গুলো বইয়ের পাতায় জায়গা করে আছে? কারা এইসব দেখবে?

মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৩৯

হানিফঢাকা বলেছেন: Dear Brother, please go to the link below, where I tried to response regarding your mentioned hadith.
http://www.somewhereinblog.net/blog/hanifdhaka/30055599

২০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: হানিফঢাকা আপনি আপনার লিংকে বলেছেন:
because it is a vast subject and linked with many areas of our belief system. It hurts, really hurts when someone reads anything against his own long belief system. Human nature is very diverse. People tend to believe what he wants to believe, rather what is truth. People often try to defend his belief system rather justify it with open mind.
হানিফঢাকা, মানুষতো একটি জায়গাতে থাকতে চাই যেখানে সত্য চির উজ্জল। ভাই আপনার লিখাটা পড়লাম এটা যদি আপনি ইংরেজীতে না দিয়ে বাংলায় করতেন তাহলে সামুতে সকলেই আপনার এই লিখাপি মনযোগ সেহকারে পড়তে পারতো। এবং বুঝতো কি সত্য আর কি মিত্যা। আশা করবো আপনি এর পড় বাংলায় উত্তর গুলো দিবেন সামুর সকল বন্ধুদের জন্য। আপনি বলেছেন আরও বলছেন: I am not going in to details of the history of hadith collections, its criteria set, isnad (chain of narration) and motives. Rather, What I will say, no one including all those hadith writers is infallible. Only infallible is Allah and His word Quran. আপনি হাদীসের ইতিহাসে যেতে চাননা। হাদীসের infallible হিসাবে একজনকে অন্তভূক্ত করা যাবে না। এখন আপনার কথাতে যদি যায় তাহলেতো নতুন করে আবার ধন্য সাজাতে হবে। আপনি নিশ্চয় জানেন কোরআন ব্যতিত হাদীস;ই এখন ধর্মের চালিকা শক্তি। কে পড়ছে কোরআন, কে মানছে কোরআন? How it works, while Humane Brain is Mercurial ভালো থাকুন আলোতে থাকুন, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৩৫

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: @হানিফঢাকা, উত্তর যদি বাংলায় রুপান্তরিত করতেন।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৭

হোয়াইট ফায়ার বলেছেন: "এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ;"
-সূরা নিসা ৪:২৪
লেখক বানালেন

"এই আয়াতের মানে পরিষ্কার মুসলিম সৈন্যরা তাদের হাতে পাওয়া গনিমতের মাল, তথা যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে অবাধ সহবাস করতে পারবে এমনকি যখন ঐ সব মেয়েদের কাফের স্বামীরাও আশেপাশে থাকবে।"

২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১৮

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: হোয়াইট ফায়ার, আয়াতটা পুরো ভভালো করে পড়েছেন? আবার তুলে দিলাম দেখুন:
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায় এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্‌র হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তাদের স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য ব্যভিচারের জন্যে নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ্‌ হবে না। যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সু-বিজ্ঞ, রহস্য-বিদ।

এইযে নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া বললেন এই তাদের বলতে কাদের বুঝিয়েছেন? তা ছাড়া আমিতো অনেক হাদীস এর রেফারেন্স দিয়েছে যেগুলো সহি কিতাব হিসাবে বিদ্যমান, সেগুলো কে কি বলবেন? নাকি বলবেন হাদসিগুলো ঠিক নাই? একই কিতাবের কিছু হাসীদ সহি যেগুলো আপনাদের মনমতো, আবার যেগুলো শুনতে খারাপ সেগুলো ঠিক নেই বলে অনেকেই চিৎকার পাড়ে। অথচ হাদীস রাইটাররা সবগুলো হাদীস একই পন্থায় সংগ্রহ করেছে। এটাও সত্য যে যিনারা হাদীসগুলো সংগ্রহ করেছেন তাদের বুদ্ধি, বিছক্ষনতা খুবযে কম ছিলো তা নয়। তারাইবা কেন এই আপত্তির হাদীসগুলো সংকলন করলেন এটাই জানার বিষয়। হাদীস রচয়িতাদের কিছু কথা সত্য বলছি আবার কিছু কথা মিথ্যা বলছি। যে কিতাবে কিছু মিথ্যা কথা থাকে সে কিতাবের সত্যগুলো কি প্রশ্ন বিদ্ধ হবে না?

২১ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: শুধু এই নিসা ২৪ আয়াতটা নয় আরও অনেক আয়াত আছে যেগুলো ভালো করে অনুধাবন করতে হবে
গোপনাঙ্গ রক্ষার সাধারণ বা সর্বজনীন আদেশ থেকে দুই প্রকারের নারীকে বাদ রাখা হয়েছে: (ক) স্ত্রীগণ, (খ) আইনগত বা বৈধভাবে কারো অধিকারে থাকা নারী অর্থাৎ ক্রীতদাস-বালিকা। এরূপে আয়াতটিতে (কোরানে ২৩:৫-৬) স্পষ্টরূপে আইন করা হয়েছে যে, একজন মুসলিম তার স্ত্রীর মতোই তার ক্রীতদাসীর সঙ্গে যৌন-সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে, অধিকার বা মালিকানার ভিত্তিতে, বিবাহের ভিত্তিতে নয়। বিবাহের শর্ত থাকলে ক্রীতদাস-বালিকাও স্ত্রীগণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে এবং তাদেরকে পৃথকভাবে উল্লেখের প্রয়োজন পড়তো না।

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

এই ব্যাপার গুলো এবং ওভার অল দাস প্রথা নিয়ে ইসলামের নিয়মনীতি আমাকে ভাবায়, এখনো রেশনালাইজ করতে পারি না। প্রতিবারই সবশেষে মনে হয় আরো অনেক স্টাডি করতে হবে!!!

২১ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৩০

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: বিশ্বব্যাপী উদয়নশীল বিপ্লবী ইসলামপন্থি আন্দোলন যদি তার লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়, ইসলামি দাসপ্রথার পবিত্র প্রতিষ্ঠানটি আবারো বিশ্বমঞ্চে তার অতীত গৌরব নিয়ে পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৫৬

মিতক্ষরা বলেছেন: দাস প্রথা এক সময় প্রচলিত ছিল এবং বেশীর ভাগ রীতি নীতি গুলো ইসলামের অনেক অনেক আগে থেকেই প্রচলিত ছিল। ইসলাম এই প্রথাকে মানবিক করেছে বেশ কিছু নিয়মের প্রচলন করে। যেমন, দাসী যদি মালিকের সন্ত্যানের জন্ম দেয় তবে তাকে আর বিক্রয় করা যাবে না এবং সে মুক্ত হয়ে যাবে। দাস সন্তানরাও স্বাভাবিক সন্তানের মর্যাদা সম্পন্ন। ইত্যাদি। যার ফলে পর্যায়ক্রমে দাস/দাসী স্বাধীনতা পেতে পারে।

কিন্তু আপনি আয়াতটির ব্যখা ঠিক দিচ্ছেন না। কাফের স্বামী সমেত বন্দী হলে সেই সব দাসী নারীরা মুসলিমদের জন্য যৌনতার জন্য হালাল হয় না। হালাল হবে যদি স্বামীহীন অবস্থায় বন্দী হয়। সেজন্যেই বিভিন্ন সময় অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠত যে হাত পা বাধা শত্রুকে হত্যা করা হয়েছে শুধু তার স্ত্রীকে পাওয়ার জন্য। উল্লেখ্য হাত পা বাধা শত্রু হত্যা ইসলাম অনুমোদন করে না।

দাস প্রথা এখন আর প্রচলিত নেই। এ নিয়ে এত আলোচনা করে লাভ কি হবে। ইসলাম সর্বপ্রথম এই প্রথাকে অমানবিক ঘোষনা করেছে। বিশেষত যেখানে ইসলামে যুদ্ধবন্দীদের প্রতি আচরনের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা জেনেভা কনভেনশনের চেয়ে উত্তম। তালিবানদের হাতে বন্দীনিরা এর সাক্ষ্য দিয়েছে।

২১ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:২৭

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আজ পর্যন্ত দাসপ্রথা সৌদি আরব, সুদান ও মৌরিতানিয়ায় নানা আকারে অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি রয়টার ‘শ্লেইভারি স্টিল এক্জিস্ট ইন মৌরিতানিয়া’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে:

তারা শৃঙ্খল পরে না, প্রভুদের কোনো চিহ্ন দ্বারা তারা চিহ্নিত নয়, কিন্তু মৌরিতানিয়ায় এখনো ক্রীতদাস রয়েছে। সাহারার রৌদ্র-তপ্ত বালিয়াড়ির মধ্যে তারা উট-ছাগলের পাল চড়িয়ে বেড়ায়, কিংবা নোয়াকোচটের ধনাঢ্যদের কার্পেট বিছানো ভিলায় তারা গরম পুদিনার চা পরিবেশন করে অতিথিদেরকে। মৌরিতানিয়ার ক্রীতদাসরা তাদের মালিকদের জন্য কাজ করে; প্রজন্মের পর প্রজন্ম তারা মালিক-পরিবারের অস্থাবর সম্পত্তির মতো কাটিয়ে দিচ্ছে… তাদের সংখ্যা হাজার হাজার হতে পারে বলে দাবি করে দাসপ্রথা-বিরোধীরা। ক্রীতদাস হিসেবে জন্ম-গ্রহণকারী বুবাকার মেসোদ, যে বর্তমানে দাসপ্রথা-বিরোধী আন্দোলনের কর্মী, সে রয়টারকে বলে: ‘এটা যেন ভেড়া-ছাগল রাখার মত। কোনো নারী ক্রীতদাসী হলে তার সন্তানরাও ক্রীতদাস।

দাস-চর্চা সৌদি আরবেও অব্যাহত রয়েছে, কিন্তু এ পবিত্র ইসলামি রাজ্যটি চরম গোপনীয় প্রকৃতির হওয়ায় ভিতরে সংঘটিত খুব কম তথ্যই বাইরে প্রকাশ পায়। বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন ও শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি গরিব দেশগুলো থেকে লাখ লাখ যুবতী নারী, যারা সৌদি আরবে শেখদের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে যায়, তারা মূলত গৃহের চৌহদ্দির মধ্যে ক্রীতদাসত্বের জীবন কাটায়। তাদের অধিকাংশই কোরান-অনুমোদিত উপপত্নীরূপে মালিকের যৌন-সম্ভোগের পণ্যরূপে ব্যবহৃত হয়। সৌদি থেকে আসা কলোরেডো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পি.এইচ.ডি.’র ছাত্র হামাইদান আল-তুর্কি ২০০৬ সালে যাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তার ইন্দোনেশীয় গৃহ-পরিচারিকাকে যৌন-নির্যাতনের অপরাধে, (তিনি) যৌন-নির্যাতনের অভিযোগটি প্রত্যাখান করে বলেন: ‘এটা ঐতিহ্যগত একটা মুসলিম আচরণ’, যৌন নির্যাতন নয়।২৬৫ সৌদিতে বিদেশী গৃহ-পরিচারিকাদের অপব্যবহার সম্পর্কে ‘হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ’ রিপোর্ট করেছে যে:
আমাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া কিছু নারী-শ্রমিক সৌদি পুরুষ মালিকের হাতে ধর্ষণ ও যৌন-হয়রানির কারণে তখনো যন্ত্রণাকাতর ছিল, যারা ক্রুদ্ধ না হয়ে ও কান্নায় ভেঙ্গে না পড়ে নিজেদের দুর্ভাগ্যের কাহিনী বর্ণনা করতে পারেনি। নিজ দেশে অবাধ চলাফেরায় অভ্যস্ত এসব নারী ও অন্যান্যরা আমাদের কাছে বর্ণনা করে কীভাবে রিয়াদ, জেদ্দা, মদীনা ও দাম্মাম-এ তালা লাগানো দরজার মধ্যেকার কারখানা, বাড়ি ও গণ-আবাসের মতো জায়গায় তাদেরকে কারারুদ্ধ জীবনযাপন করতে হয়। জোরপূর্বক চার-দেয়ালের ভিতর আবদ্ধ এবং নিঃসঙ্গ বসবাসকারী এসব মহিলার জন্য কোনোরূপ সাহায্য চাওয়া, পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া, হয়রানি ও অর্থনৈতিক শোষণ থেকে মুক্তি, এবং আইনগত সাহায্য ও ক্ষতিপূরণ চাওয়া একেবারেই দুস্কর।
নারগিস বেগম নামের ২৬ বছরের এক বাংলাদেশী যুবতী বৈরুতে গৃহ-পরিচারিকা হিসেবে কাজ করার সময় তার মালিকের দ্বারা বৈদ্যুতিক শক, শেকল ও চামরার বেল্ট দিয়ে পিটানি, গরম লৌহদণ্ড দিয়ে শরীরে ছেকা ও সে সাথে ধর্ষণের শিকার হয়। ‘আমি সেখানে যেসব গৃহকর্মী বাংলাদেশী মেয়েদের সাথে কথা বলেছি তাদের ৯৫ শতাংশই ধর্ষিত হয়েছে, কিন্তু ভয়ের কারণে তারা তাদের পরিবারের কাউকে তা বলে না,’ বলেছে নারগিস। সৌদিতে বিদেশী গৃহ-চারিকাদের উৎপীড়ণ-নির্যাতন আরো খারাপ।

১৯৯৩ সালের ১০ই ডিসেম্বর টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখে: “কোনো সন্দেহ নেই যে, আরবের ধনাঢ্য প্রাসাদগুলোতে হাজার হাজার ক্রীতদাস আজও কাজ করে যাচ্ছে।” বৃদ্ধ-বয়সী ধনী সৌদি শেখরা প্রায়শঃই মালয়েশিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মিশর ও অন্যান্য দরিদ্র দেশে ভ্রমণে যায় অল্প-বয়সী সুন্দরী বালিকাদেরকে বিয়ে করার জন্য। তারা গরিব পিতামাতাকে মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে যুবতী কন্যাদেরকে সৌদিতে নিয়ে আসে, যেখানে তারা ক্রীতদাসীসুলভ জীবনযাপন করে।

৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩

যোগী বলেছেন:
খুবই অবাক হইলাম!
শুনেছি ৭১ এ পাকিস্থানিদের দ্বারা অনেক বেশি নারী ধর্ষিত হওয়ার কারন নাকি এগুলাই।
এখন এই সব হাদিস কে মাইল্ড ওয়েতে যুক্তিপূর্ণ আর সময় উপযোগী করে অনেকে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্ট করে থাকে, কিন্তু অন্য সময় ইসলামে কোন ছাড় দিতে চায় না তারা।

২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:০২

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: বাংলাদেশে ৭১ সালে নারীদের উপর যে যৌন নির্যাতন চালানো হয় সেই সম্পর্কে অনেক ইসলামী আতেলরাতো বলেছে এটাতে পাপ নেই কারন এই নারীদেরকে নাকি গনিমতের মাল হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। পাকিস্তানীদের কে এই দেশ সম্পর্কে সরেকম;ই ধারনা দেওয়া হয়েছিলো যে, এই দেশের মানুষগুলো সব বিধর্মী হিন্দু। ইসলামের পরিভাষায় বিধর্মীদের কব্জা করতে পারলে তারাই হলো গনিমাতের মাল। গনিমতের মাল ভোগ করলে পাপ নেই এটা ইসলামে অনেক সূত্রে পাওয়া যায়। যেমন:

সহিহ বোখারি, ভলুম ৫ বই ৫৯ হাদিস ৬৩৭:
বুরায়দা বর্ণনা করলেন: রসুলুল্লাহ আলীকে খালেদের কাছে পাঠালেন খুমুস (যুদ্ধে লব্ধ মাল) নিয়ে আসার জন্যে। আমি আলীকে ঘৃণা করতাম। সে সময় আলী গোসলে ছিলেন (এক যুদ্ধ বন্দিনীর সাথে সহবাস করার পর)। আমি খালেদকে বললাম: আপনি কি তাকে দেখলেন (অর্থাৎ আলীকে)? আমরা নবীজির কাছে পৌঁছিলে তাঁকে এ ব্যাপারে অবহিত করলাম। তিনি বললেন: “হে বুরায়দা, তুমি কি আলীকে ঘৃণা কর?” আমি বললাম: “জী হ্যাঁ”। তিনি বললেন: “তুমি তাকে ঘৃণা করছ, তবে সে তো ঐ খুমুস থেকে আরও বেশী পাবার যোগ্য”।

৭| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:১৯

বাঘ মামা বলেছেন: এককথায় বলবো একজন আল্লাহ বিশ্বাসী মানুষ হিসেবে -যদি যুদ্ধে প্রাপ্ত নারীদের গনিমতের মাল হিসেবে এভাবে বন্টন করে ভোগ করা হয় তো আমি এই হাদিস গুলো মানিনা

বিস্তারিত নিয়ে পরে আসছি।

২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:০৭

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: বাঘ মামা আপনার মানা না মানায় কি আসে যায় ধর্মের। একই হাদীস গ্রন্থের কিছু কথা বিশ্বাস করবেন যেগুলো শুনতে ভালো লাগে, আর যেগুলো শুনতে খারাপ লাগে সেগুলো বিশ্বাস করবেন না কেন? তবে কি হাদীস রচয়ীতারা তাদের লেখার মাঝে কিছু সত্য আর কিছু মিথ্যা লেখেছে? যদি তায় হয় যে কিছু সত্য লিখেছে আবার কিছু মিথ্যা লেখেছে তবে কি এই মিথ্যা হাদীস গুলোর জন্য সত্যগুলোও মিথ্যার সাথে মিশ্রিত হবে না?
আপনার পরে আসার অপেক্ষায় রইলাম।

৮| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

মিতক্ষরা বলেছেন: আপনি আমার মন্তব্যের যে প্রতি উত্তর করেছেন, তাতে নির্যাতনের কথা লিখেছেন যা আনুষ্ঠানিক দাস প্রথা নয়। নির্যাতন ইসলাম কোনকালেই সমর্থন করেনি, এমনকি দাসদের উপরেও নয়। উমর (রা) ছুতায় নাতায় দাসমুক্তির ব্যবস্থা করতেন। তন্মধ্যে একটি ছিল নির্যাতনের চিহ্ন শরীরে থাকা।

এবার আসা যাক আপনার লেখার কিছু অংশে।

"“কোনো সন্দেহ নেই যে, আরবের ধনাঢ্য প্রাসাদগুলোতে হাজার হাজার ক্রীতদাস আজও কাজ করে যাচ্ছে।” বৃদ্ধ-বয়সী ধনী সৌদি শেখরা প্রায়শঃই মালয়েশিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মিশর ও অন্যান্য দরিদ্র দেশে ভ্রমণে যায় অল্প-বয়সী সুন্দরী বালিকাদেরকে বিয়ে করার জন্য। তারা গরিব পিতামাতাকে মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে যুবতী কন্যাদেরকে সৌদিতে নিয়ে আসে, যেখানে তারা ক্রীতদাসীসুলভ জীবনযাপন করে।"

--- অবশ্যই এটি খুবই অমানবিক। বেশ্যাবৃত্তি কিংবা যৌন দাসত্বের মত অমনাবিক বিষয়গুলো পৃথিবী জুড়ে বহাল তবিয়তে রাজত্ব করছে। শুধু সৌদি কেন, বাংলাদেশেও এরকম খুব বেশী হয়ে থাকে। মুসলিম দেশগুলোই শুধু যে ভূক্তভোগী তা নয়, চাইল্ড পর্নোগ্রাফি তো পশ্চিমেও রয়েছে।

"নিজ দেশে অবাধ চলাফেরায় অভ্যস্ত এসব নারী ও অন্যান্যরা আমাদের কাছে বর্ণনা করে কীভাবে রিয়াদ, জেদ্দা, মদীনা ও দাম্মাম-এ তালা লাগানো দরজার মধ্যেকার কারখানা, বাড়ি ও গণ-আবাসের মতো জায়গায় তাদেরকে কারারুদ্ধ জীবনযাপন করতে হয়। জোরপূর্বক চার-দেয়ালের ভিতর আবদ্ধ এবং নিঃসঙ্গ বসবাসকারী এসব মহিলার জন্য কোনোরূপ সাহায্য চাওয়া, পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া, হয়রানি ও অর্থনৈতিক শোষণ থেকে মুক্তি, এবং আইনগত সাহায্য ও ক্ষতিপূরণ চাওয়া একেবারেই দুস্কর।"

-- এটি অবশ্যই সত্য যে সৌদির রক্ষনশীল সমাজে কিছু ইমিগ্রান্ট নারীদের অবস্থা শোচনীয় থাকে। রক্ষনশীলতার নামে এরকম বৈষম্য ও নির্যাতন প্রশ্রয় দেয়া অমানবিক। তবে এর সাথে দাস প্রথার কোন সম্পর্ক নেই। মুসলিম ইতিহাস দাসদের ক্ষমতায়নের যে উদাহরন রেখেছে তার নজির আর দ্বিতীয়টি নেই। "মামলুক" রা দাস রাজবংশ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আলীবাবা গল্পে দাস নারী মর্জিনার নাম নিশ্চয়ই ভুলে যান নি।

২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫২

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: সূরা নাহল ১৬:৭১ আয়াত
وَاللّهُ فَضَّلَ بَعْضَكُمْ عَلَى بَعْضٍ فِي الْرِّزْقِ فَمَا الَّذِينَ فُضِّلُواْ بِرَآدِّي رِزْقِهِمْ عَلَى مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَهُمْ فِيهِ سَوَاء أَفَبِنِعْمَةِ اللّهِ يَجْحَدُونَ
অর্থ: আল্লাহ তা’আলা জীবনোপকরণে তোমাদের একজনকে অন্যজনের চাইতে শ্রেষ্টত্ব দিয়েছেন। অতএব যাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে, তারা তাদের অধীনস্থ দাস-দাসীদেরকে স্বীয় জীবিকা থেকে এমন কিছু দেয় না, যাতে তারা এ বিষয়ে তাদের সমান হয়ে যাবে। তবে কি তারা আল্লাহর নেয়ামত অস্বীকার করে।

সূরা রূম ৩০:২৮ আয়াত
ضَرَبَ لَكُم مَّثَلًا مِنْ أَنفُسِكُمْ هَل لَّكُم مِّن مَّا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُم مِّن شُرَكَاء فِي مَا رَزَقْنَاكُمْ فَأَنتُمْ فِيهِ سَوَاء تَخَافُونَهُمْ كَخِيفَتِكُمْ أَنفُسَكُمْ كَذَلِكَ نُفَصِّلُ الْآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْقِلُونَ
অর্থ: আল্লাহ তোমাদের জন্যে তোমাদেরই মধ্য থেকে একটি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেনঃ তোমাদের আমি যে রুযী দিয়েছি, তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীরা কি তাতে তোমাদের সমান সমান অংশীদার? তোমরা কি তাদেরকে সেরূপ ভয় কর, যেরূপ নিজেদের লোককে ভয় কর? এমনিভাবে আমি সমঝদার সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শনাবলী বিস্তারিত বর্ণনা করি।

এ আয়াতটির ব্যাখ্যায় মওলানা আবুল আলা মওদুদি ক্রীতদাসদেরকে সম্মান ও ধনসম্পদে সমান গণ্য করাকে ইসলামে সবচেয়ে ঘৃণ্য শিরক বা অংশীদারিত্বের মতো কাজ বলে মনে করেন। অন্যত্র আল্লাহ স্বয়ং তার স্বর্গীয় পরিকল্পনার অংশরূপেই কম আনুকূল্যপ্রাপ্ত ক্রীতদাসদের চেয়ে কিছু মানুষকে, অর্থাৎ প্রভু বা দাসমালিকদেরকে, বেশি আশীর্বাদপুষ্ট করেছেন বলে দাবি করেন। তিনি মুসলিমদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন যাতে তারা ক্রীতদাসদেরকে তাঁর দেওয়া উপহার বা প্রতিদানে সমান অংশীদার না করে। যারা ক্রীতদাসদেরকে নিজেদের সমান মর্যাদার ভাববে, আল্লাহ তাদেরকে সাবধান করে দেন এটা বলে যে, সেরকম ভাবলে আল্লাহকে অস্বীকার করা হবে:
সূরা মুমিনূন ২৩:৫-৬-৭ আয়াত
وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ
এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে।

إِلَّا عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ
তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।


فَمَنِ ابْتَغَى وَرَاء ذَلِكَ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْعَادُونَ
অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।

সুতরাং বন্দি ও ক্রীতদাসদের মধ্যে নারীরা থাকলে মুসলিম পুরুষরা তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে যেরূপে যৌনক্রিয়া করে, তাদেরকেও সেরূপে ভোগ করার স্বর্গীয়ভাবে অনুমোদিত অধিকার পেয়েছে। কোরআন এ রায় ইসলামে যৌনদাসীত্ব বা উপপত্নী প্রথা প্রতিষ্ঠা করে, যা উপনিবেশ-পূর্ব মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক রূপ লাভ করেছিল এবং বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। যদিও বৈধ বিবাহের ক্ষেত্রে একজন পুরুষের জন্য একই সময়ে চারজন স্ত্রী রাখার বিধান রয়েছে কোরআনে

সূরা নিসা ৪:৩আয়াত
وَإِنْ خِفْتُمْ أَلاَّ تُقْسِطُواْ فِي الْيَتَامَى فَانكِحُواْ مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاء مَثْنَى وَثُلاَثَ وَرُبَاعَ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلاَّ تَعْدِلُواْ فَوَاحِدَةً أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ذَلِكَ أَدْنَى أَلاَّ تَعُولُواْ
অর্থ: আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।

কিন্তু যৌনদাসী রাখার বেলায় সংখ্যাগত এরূপ কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।
কোরআন মুসলিমদেরকে যৌনকর্মে ব্যবহারের জন্য অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নারী ক্রীতদাস সংগ্রহের স্বর্গীয় অনুমোদনও দিয়েছেন
সূরা আহযাব ৩৩:৫০ আয়াত

يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَحْلَلْنَا لَكَ أَزْوَاجَكَ اللَّاتِي آتَيْتَ أُجُورَهُنَّ وَمَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ مِمَّا أَفَاء اللَّهُ عَلَيْكَ وَبَنَاتِ عَمِّكَ وَبَنَاتِ عَمَّاتِكَ وَبَنَاتِ خَالِكَ وَبَنَاتِ خَالَاتِكَ اللَّاتِي هَاجَرْنَ مَعَكَ وَامْرَأَةً مُّؤْمِنَةً إِن وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ إِنْ أَرَادَ النَّبِيُّ أَن يَسْتَنكِحَهَا خَالِصَةً لَّكَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ قَدْ عَلِمْنَا مَا فَرَضْنَا عَلَيْهِمْ فِي أَزْوَاجِهِمْ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ لِكَيْلَا يَكُونَ عَلَيْكَ حَرَجٌ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
অর্থ: হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।

কোরানে আরো অনেক আয়াত রয়েছে যাতে ক্রীতদাসের কথা বলা হয়েছে এবং তাদেরকে যুদ্ধের মাধ্যমে আটক বা সংগ্রহ করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরূপে পবিত্র কোরানে উপস্থাপিত ইসলামি ঈশ্বরের স্বর্গীয় আদেশ অনুযায়ী মুসলিমরা ক্রীতদাস রাখার অনুমোদন প্রাপ্ত। যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে তারা ক্রীতদাস যোগাড় করতে পারে, ক্রীতদাসীদের সঙ্গে যৌন-সংসর্গে লিপ্ত হতে পারে ও অবশ্যই তাদেরকে নিজেদের খুশি মতো কাজে লাগাতে পারে। মুসলিমদের জন্য নারী ক্রীতদাসদের সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়া তাদের বিবাহিতা স্ত্রীর সঙ্গে যৌনকর্মের মতই বৈধ। প্রকৃতপক্ষে দাসপ্রথা ইসলামে অতি আনাকাংক্ষিত একটি স্বর্গীয় প্রথা, কেননা কোরআন বহু আয়াতে বারংবার এ ‘স্বর্গীয় অধিকার’ সম্পর্কে মুসলিমদেরকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
সূরা আহযাব ৩৩:২৬-২৭ আয়াত
وَأَنزَلَ الَّذِينَ ظَاهَرُوهُم مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِن صَيَاصِيهِمْ وَقَذَفَ فِي قُلُوبِهِمُ الرُّعْبَ فَرِيقًا تَقْتُلُونَ وَتَأْسِرُونَ فَرِيقًا
কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফেরদের পৃষ্টপোষকতা করেছিল, তাদেরকে তিনি তাদের দূর্গ থেকে নামিয়ে দিলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতি নিক্ষেপ করলেন। ফলে তোমরা একদলকে হত্যা করছ এবং একদলকে বন্দী করছ।

وَأَوْرَثَكُمْ أَرْضَهُمْ وَدِيَارَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ وَأَرْضًا لَّمْ تَطَؤُوهَا وَكَانَ اللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرًا
তিনি তোমাদেরকে তাদের ভূমির, ঘর-বাড়ীর, ধন-সম্পদের এবং এমন এক ভূ-খন্ডের মালিক করে দিয়েছেন, যেখানে তোমরা অভিযান করনি। আল্লাহ সর্ববিষয়োপরি সর্বশক্তিমান।

এ আয়াতটিতে আল্লাহ বানু কোরাইজা ইহুদিদেরকে নিজস্ব বস্তির মধ্যে বসে থেকেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে মক্কার কোরাইশদেরকে সমর্থন করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। এ অবান্তর অভিযোগের ভিত্তিতে আল্লাহ অনুমোদন দেন: ইহুদি গোত্রটির বয়স্ক পুরুষদেরকে হত্যা করতে হবে এবং অবশিষ্ট নারী ও শিশুদের ক্রীতদাস বানাতে হবে। নবি যথাযথরূপে সে আদেশ পালন করেন এবং তাঁর অনুসারীদের মাঝে ক্রীতদাসকৃত নারী ও শিশুদেরকে বিতরণ করে দেন ও এক-পঞ্চমাংশ গনিমাতের মাল হিসাবে নিজের ভাগ রাখেন। বন্দি নারীদের মধ্যে যারা তরুণী ও সুন্দরী তাদেরকে যৌনদাসী করা হয়। নবি নিজে যৌনদাসী হিসেবে ১৭-বছর-বয়স্কা সুন্দরী রায়হানাকে গ্রহণ করেন, যার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা সে হত্যাকাণ্ডে নিহত হয়েছিল।

ঐ বছরই খাইবার ও বানু মুস্তালিকের ইহুদিদেরকে আক্রমণ ও পরাজিত করার পর মুহাম্মদ তাদের নারী ও শিশুদেরকে ক্রীতদাসরূপে উঠিয়ে নিয়ে যান। অন্যান্য অনেক আক্রমণে নবি ও তাঁর অনুসারীরা পরাজিতদের নারী ও শিশুদেরকে একইভাবে ক্রীতদাসরূপে কব্জা করেছিল। সুতরাং অবিশ্বাসীদের উপর নিষ্ঠুর আক্রমণ চালিয়ে পরাজিত করার পর তাদের নারী ও শিশুদেরকে ক্রীতদাসকরণ মুহাম্মদের যুদ্ধের মডেল বা আদর্শ কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়, যা উপরোক্ত আল্লাহর নির্দেশের বাস্তবায়ন মাত্র। নবি কিছু ক্রীতদাসকে বিক্রি করেছিলেন এবং তাদের কিছু সংখ্যককে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য জিম্মি হিসেবে ব্যবহার করতেন। নারী বন্দিদের মধ্যে সুন্দরী যুবতীরা যৌনদাসী হতো।
ইসলামি চিন্তা-চেতনায় খাঁটি মুসলিম জীবনের কেন্দ্রীয় বিষয় যেহেতু তাদের কর্ম ও কৃতিত্বে মুহাম্মদের সমকক্ষ হওয়ার প্রয়াস, সে কারণে মুসলিমরা যথার্থরূপেই তাঁর দাসপ্রথা চর্চার এ মডেলকে (ক্রীতদাসকরণ, দাস-বাণিজ্য ও দাস-উপপত্নীকরণ) আঁকড়ে ধরে থেকেছে; এবং এ প্রক্রিয়া পরবর্তী শতাব্দীগুলোত ইসলামিক শাসনাধীনে চিরন্তনরূপে বহাল থাকে। খাইবার বা বানু কুরাইজার সঙ্গে যুদ্ধে মুহাম্মদের আচরণ ক্রীতদাস আটককরণের মানদণ্ডে পরিণত হয়। এবং সেটাই মধ্যযুগের ইসলামি রাজত্বে ক্রীতদাসকরণ, যৌনদাসীত্ব ও দাস-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসারের জন্য দায়ী। মুহাম্মদের মৃত্যুর পর মুসলিমরা কোরআন ও সুন্নতের অনুমোদন-অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইসলামের প্রসার ও শাসন সম্প্রসারণে বিশ্বজয়ের নিমিত্তে পবিত্র ধর্মযুদ্ধের এক লাগামহীন কর্মকাণ্ড শুরু করে। আরবাঞ্চলে ইসলামের বিস্ফোরণ ঘটার সাথে সাথে মুসলিম হানাদাররা পরাজিত অবিশ্বাসীদের নারী ও শিশুদেরকে ব্যাপক সংখ্যায় ক্রীতদাসরূপে আটক করণে দক্ষ হয়ে উঠে।
ইসলামি চিন্তাধারায় (ইতিমধ্যেই উল্লেখিত) ইসলাম-অতীত ও ইসলাম-বহির্ভূত সভ্যতা হলো ‘জাহিলিয়া’ বা ভ্রান্ত প্রকৃতির, যা ইসলামের আগমনে অকার্যকর ও বাতিল হয়ে গেছে। ইসলাম একমাত্র সত্যধর্ম হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কেবলমাত্র মুসলিমরাই প্রকৃত সত্যের অধিকারী। তাদের চিন্তায়, বার্নার্ড লুইস উল্লেখ করেছেন,
‘ইসলামের সীমানা ও ধর্মের বাইরের জগতে কেবল বিধর্মী ও বর্বররাই বসবাস করতো। তাদের কেউ কেউ কোনো প্রকারের ধর্ম ও সভ্যতার একটি আভার অধিকারী ছিল; অবশিষ্ট বহু-ঈশ্বরবাদী ও পৌত্তলিকদেরকে প্রধানত ক্রীতদাসের উৎসরূপে দেখা হয়।
মুসলিমরা এত বেশি পরিমাণে মানুষকে ক্রীতদাস বানিয়েছে যে, দাস-ব্যবসা একটা বিস্ফোরিত ব্যবসায়িক উদ্যোগে পরিণত হয়: মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র বাজারগুলো দাসে ভরে উঠে। সুতরাং, অধ্যাপক লাল লিখেছেন:
‘ব্যাপকহারে দাস-বাণিজ্যের সৃষ্টি ও মুনাফার উদ্দেশ্যে অন্যান্য ব্যবসার মতো দাস-ব্যবসা চালিত করার কৃতিত্ব ইসলামেরই।’


প্রাচীন বিশ্বে দাসপ্রথা
ইসলাম দাসপ্রথার প্রবর্তক নয়; তাতে শুধু ইসলামের একচেটিয়া কর্তৃত্বও ছিল না। খুব সম্ভবত সেই আদিম বর্বরতার যুগে দাসপ্রথার উৎপত্তি হয়েছিল এবং তা লিখিত ইতিহাসের পুরোটা ব্যাপী বিশ্বের প্রধান প্রধান সভ্যতার বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল। দাসপ্রথা ব্যাবিলোনিয়া এবং মেসোপটেমিয়াতেও প্রচলিত ছিল। খ্রিষ্টান ধর্মের আবির্ভাবের পূর্বে প্রাচীন মিশর, গ্রিস ও রোমেও দাসপ্রথা বিশেষ লক্ষ্যণীয় ছিল। খ্রিষ্টান ধর্মগ্রন্থে দাসপ্রথা অনুমোদিত ও মধ্যযুগের খ্রিষ্টানজগতে দাসপ্রথা চালু ছিল।
প্রাচীন মিশরে:
প্রাচীন মিশরে পিরামিড নির্মাণে ক্রীতদাসরা শ্রমিকের কাজ করেছে। বিখ্যাত গ্রিক পরিব্রাজক হেরোডটাস (খ্রিষ্টপূর্ব ৪৮৪-৪২৫ সাল) জানান: গিজার বিখ্যাত পিরামিডটি নির্মাণে প্রায় ১০০,০০০ শ্রমিক ২০ বছর ধরে কাজ করেছিল; মিশরের প্রাচীন সাম্রাজ্যের চিওপ্স নামক ফারাও (শাসনকাল খ্রিষ্টপূর্ব ২৫৮৯-২৫৬৬ সাল) এটি নির্মাণ করেছিলেন, যা ছিল বিশ্বের প্রাচীন সপ্তম আশ্চর্যের একটি।[৭] কিংবদন্তির কাহিনী থেকে শোনা এ সংখ্যা স্পষ্টতঃই ছিল অতিরঞ্জিত; তথাপি এ তথ্যটি প্রমাণ করে যে, তৎকালে এরূপ কাজে ব্যাপক সংখ্যায় ক্রীতদাস ব্যবহৃত হতো। মিশরের ফারাওরা যুদ্ধের মাধ্যমে ক্রীতদাস সংগ্রহ করতেন অথবা বিদেশ থেকে তাদেরকে ক্রয় করতেন। সেসব ক্রীতদাস ছিল রাষ্ট্রের সম্পদ, ব্যক্তিগত সম্পদ নয়, কিন্তু মাঝে মাঝে তাদেরকে উপহার হিসেবে সেনানায়ক বা যাজকদেরকে দেওয়া হতো।
প্রাচীন গ্রিসে:
গ্রিসের প্রাচীন নগররাষ্ট্রে, যেমন এথেন্স ও স্পার্টায়, দাসপ্রথা আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ছিল। স্বাধীন নাগরিক এবং বিদেশীদের পাশাপাশি ‘হিলোট’ নামক একটি শ্রেণীও বাস করতো গ্রিসে। হিলোটরা ছিল দাসশ্রেণীর, যারা দাসের মতই দায়বদ্ধভাবে কৃষিকাজসহ চাকর-বাকরের মতো কাজ করতো। অনেক পণ্ডিত ধারণা করেন যে, এর ফলে সমাজের উঁচু স্তরের লোকজন ও স্বাধীন নাগরিকরা অন্যান্য কাজের পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় রত হওয়ার সুযোগ পায় এবং সে কারণেই প্রাচীন গ্রিস বুদ্ধিবৃত্তিক, রাজনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও সাহিত্যক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছিল। গ্রিক কৃষকদের বড় একটা অংশ ভূমির মালিক ছিল না। ফলে উৎপাদিত ফসলের বড় একটা অংশ জমির মালিকদেরকে দিতে হতো। এর ফলে তারা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়তো এবং শেষ পর্যন্ত নিজেদেরকে দাস হিসেবে সমর্পণ করে ‘হিলোট’ শ্রেণীতে যুক্ত হতো। জানা যায়, এক সময় এথেন্সে মাত্র ২,১০০ স্বাধীন নাগরিকের বিপরীতে ৪৬০,০০০ ক্রীতদাস ছিল। স্পার্টার চেয়ে এথেন্সে ক্রীতদাসরা তুলনামূলক ভাল আচরণ পেতো। পরবর্তীকালে ড্রাকো’র সংবিধান (খ্রি: পূ: ৬২১) ও সলোন (জীবনকাল খ্রি: পূ: ৬৩৮-৫৫৮)-এর আইনে তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বানানো হয়; ফলে তাদের অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটে। সলোনের ফরমান ঋণের কারণে দাসকরণ নিষিদ্ধ করে। এ সময় ক্রীতদাসরা কিছু মৌলিক অধিকার ভোগের সুযোগ পায় এবং রাষ্ট্র ব্যতীত অন্য কারো দ্বারা ক্রীতদাসকে মৃত্যুদণ্ডদান নিষিদ্ধ করা হয়।
রোমান সাম্রাজ্য:
প্রাচীন রোম প্রজাতন্ত্র ও রোম সাম্রাজ্যের প্রাথমিক যুগে জনসংখ্যার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ছিল ক্রীতদাস।[৮] অগাস্টাস সিজারের শাসনামলে (শাসনকাল খ্রি: পূ: ৬৩-১৪) এক দাসমালিক নাকি ৪,০০০ ক্রীতদাস রেখে মারা যান।[৯] খ্রি: পূ: দ্বিতীয় শতাব্দি পর্যন্ত দাসমালিকরা বৈধভাবে ক্রীতদাসকে হত্যা করতে পারতো, যদিও তা ঘটতো খুবই কম। খ্রিষ্টপূর্ব ৩২ অব্দে কর্নেলিয়ান আইনের মাধ্যমে ক্রীতদাস হত্যা নিষিদ্ধ হয়; ৮২ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের পেট্রোনিয়ান আইন ক্রীতদাসদেরকে যুদ্ধে ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। সম্রাট ক্লডিয়াসের শাসনকালে (৪১-৫৪ খ্রি:) মালিকের অবহেলার কারণে ক্রীতদাসের মৃত্যু ঘটলে, মালিক খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হতো। বিখ্যাত বক্তা, লেখক, দার্শনিক ও ইতিহাসবিদ ডিয়ো ক্রিসোস্টোম সম্রাট ট্রজানের শাসনামলে (৯৮-১১৭ খ্রি:) দাসপ্রথার নিন্দা করে ‘ফোরামে’ প্রদত্ত তার দুটি বক্তৃতা (১৪ ও ১৫) উৎসর্গ করেছিলেন। ঐতিহাসিক, দার্শনিক ও উচ্চপদস্থ রাষ্ট্রীয় কর্মকতা সেনিকা দ্য এল্ডার (৫৪−৩৯ খ্রি: পূ:) কর্তৃক লিখিত ‘দা ক্লিমেন্সিয়া’ (১:১৮)-তে লিখিত হয়েছে যে, ক্রীতদাসদের উপর নিষ্ঠুর আচরণকারী মালিকদেরকে প্রকাশ্যে ভড়ৎসনা করা হতো। পরবর্তীকালে সম্রাট হাড্রিয়ান (শাসনকাল ১১৭-১৩৮ খ্রিষ্টাব্দ) কর্নেলিয়ান আইন পুনঃপ্রবর্তন করেন। সম্রাট কারাকালার (শাসনকাল ২১১-২১৭ খ্রিষ্টাব্দ) অধীনে স্টয়িক (ভোগবিরোধী) আইনজীবী আলপিয়ান পিতা-মাতা কর্তৃক সন্তানদেরকে ক্রীতদাসরূপে বিক্রি করা অবৈধ করেন। রোমের সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য পৌত্তলিক সম্রাট ডিয়োক্লিশিয়ান (শাসনকাল ২৮৪-৩০৫ খ্রিষ্টাব্দ) ঋণদাতা কর্তৃক ঋণগ্রস্তকে ক্রীতদাসকরণ এবং ঋণগ্রস্তকে ঋণ পরিশোধের জন্য নিজেকে ক্রীতদাস হিসেবে সমর্পণ করা নিষিদ্ধ করেন। কনস্টানটাইন দ্য গ্রেট (শাসনকাল ৩০৬-৩৩৭ খ্রিষ্টাব্দ) ক্রীতদাস বিতরণকালে পরিবারের সদস্যদেরকে বিচ্ছিন্ন করা নিষিদ্ধ করেন। স্পষ্টতঃ খ্রিষ্টানপূর্ব রোমান সাম্রাজ্যে ক্রীতদাসদের অবস্থার ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছিল।
প্রাচীন চীনে:
প্রাচীন চীনে ধনী পরিবারগুলো ক্ষেত-খামারের ও বাড়ির চাকর-বাকরের কাজের জন্য ক্রীতদাস রাখতো। সম্রাটরা সাধারণত শত শত, এমনকি হাজার হাজার ক্রীতদাস রাখতেন। অধিকাংশ ক্রীতদাস ছিল ক্রীতদাস মায়ের গর্ভে জন্মগ্রহণকারী। কিছু সংখ্যক ক্রীতদাস হতো ঋণশোধে ব্যর্থ হয়ে; অন্যেরা ছিল যুদ্ধে আটককৃত বন্দি।
প্রাচীন ভারতে:
অপর একটি বড় প্রাচীন সভ্যতা ভারতে দাসপ্রথার উল্লেখ খুবই সামান্য। বিখ্যাত গ্রিক পরিব্রাজক মেগাস্থিনিস (খ্রি: পূ: ৩৫০-২৯০) − যিনি গ্রিসসহ তার সফর করা অন্যান্য বহু দেশে দাসপ্রথা সম্পর্কে বিশেষ পরিচিত ছিলেন − তিনি লিখেছেন: ‘ভারতীয়রা সবাই স্বাধীন; তাদের কেউ-ই দাস নয়; এমনকি তারা বিদেশীদেরকেও দাস বানায় না; সুতরাং তাদের নিজস্ব দেশীয় লোকদেরকে ক্রীতদাস বানানোর প্রশ্নই উঠে না।’[১০] একইভাবে মুসলিম ইতিহাসবিদরা, যারা ভারতে ইসলামি ক্রীতদাসকরণের ভুরি-ভুরি বিবরণ লিখে গেছেন, তারাও ইসলামপূর্ব হিন্দু সমাজে দাসপ্রথার কথা উল্লেখ করেননি। তবে প্রাচীন ভারতেও দাসপ্রথা যে কিছু মাত্রায় বিদ্যমান ছিল, তা অনুমান করা যায়, কেননা ঋগবেদে (প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থ) দাসপ্রথার উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও বুদ্ধের শিক্ষাসহ অন্যান্য দার্শনিক ও ধর্মীয় সাহিত্যে দাসপ্রথার উল্লেখ পাওয়া যায়।
বুদ্ধ (জীবনকাল অনুমান খ্রি: পূ: ৫৬৩-৪৮৩ সাল) তাঁর অনুসারীদেরকে নির্দেশ দেন ক্রীতদাসদেরকে এমন পরিমাণ কাজ দিতে, যা তারা সহজেই করতে পারে। ক্রীতদাসরা অসুস্থ হলে তাদের সেবাযত্ন করতে তিনি দাসমালিককে উপদেশ দেন। তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কৌটিল্য (বা চানক্য), যার শিষ্য চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য বিখ্যাত মৌর্য সাম্রাজ্য (আনুমানিক ৩২০-১০০ খ্রিঃ পূর্বাব্দ) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তিনি দাসমালিক কর্তৃক বিনা কারণে ক্রীতদাসদেরকে শাস্তি দান নিষিদ্ধ করেন; এ নির্দেশ ভঙ্গ করলে রাষ্ট্র মালিকদেরকে শাস্তি দিতো। মৌর্য বংশের সম্রাট অশোক (শাসনকাল ২৭৩-২৩২ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দ) তার পাথরে খোদাইকৃত ৯ নং অনুশাসনে দাসমালিককে ক্রীতদাসের প্রতি সহানুভূতিশীল ও বিবেচনাপ্রসূত আচরণ করার উপদেশ দেন।
প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ঋগবেদে ক্রীতদাস উপহার দেওয়ার কথা উল্লেখিত হয়েছে এবং শাসকরা উপহারস্বরূপ নারী ক্রীতদাসদেরকে প্রদান করতেন। ভারতে ক্রীতদাসরা শাসকদের প্রাসাদে, অভিজাতদের প্রতিষ্ঠানসমূহে ও ব্রাহ্মণদের ঘরে গৃহ-পরিচারক বা চাকর-বাকরের কাজ করতো। সম্ভবত ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ লোকেরা ভারতে ক্রীতদাস হতো।[১১]
তবে এটা বোঝা যায় যে, প্রচীন ভারতে দাসপ্রথার চর্চা ছিল খুবই সামান্য এবং তৎকালীন মিশর, গ্রিস, চীন ও রোমের তুলনায় ভারতে ক্রীতদাসরা অধিকতর মানবিক আচরণ পেত। ক্রীতদাসরা কখনোই বাণিজ্যিক পণ্য বিবেচিত হয়নি ভারতে, সেখানে কখনোই দাস বেচাকেনার বাজার ছিল না। মুসলিমরা দাস-বাণিজ্য আনয়নের আগে দাস-বাণিজ্য ভারতীয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কোনো অংশ বা বৈশিষ্ট্য ছিল না।
খ্রিষ্টান ধর্মে দাসপ্রথা:
নিউ টেস্টামেন্টে দাসপ্রথা সুস্পষ্টরূপে স্বীকৃত, এমনকি অনুমোদিত (ম্যাথিউ ১৮:২৫, মার্ক ১৪:৬৬)। উদাহরণস্বরূপ যিশু ঋণগ্রস্তকে ঋণ পরিশোধের জন্য পরিবারসহ নিজেদেরকে ক্রীতদাসরূপে বিক্রি হওয়ার পরামর্শ দেন (ম্যাথিউ ১৮:২৫)। একইভাবে সেন্ট পলের কয়েকটি শ্লোকে, যেমন ইফ. ৬:৫-৯, কর. ১২:১৩, গল. ৩:২৪ ও কোল. ৩:১১ প্রভৃতি দাসপ্রথা এবং দাস (বাঁধা) ও মুক্ত মানুষের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে ।
নিউ টেস্টামেন্টের এসব অনুমোদনমূলক বা সম্মতিসূচক উক্তিই সম্ভবত অবিশ্বাসীদেরকে (অখ্রিষ্টানদেরকে) ক্রীতদাসকরণে খ্রিষ্টানদেরকে উৎসাহিত করেছিল। স্পষ্টতঃ খ্রিষ্টানপূর্ব রোম সাম্রাজ্যে দাসপ্রথা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছিল এবং দাসদের অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছিল। চতুর্থ শতাব্দীতে সম্রাট কনস্টানটাইনের খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণের পর যখন খ্রিষ্টানরা রাজনৈতিক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়, তখন পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করে। উদাহরণস্বরূপ খ্রিষ্টানপন্থি সম্রাট ফ্লাভিয়াস গ্রাটিয়ানাস (শাসনকাল ৩৭৫-৩৮৩ খ্রিষ্টাব্দ) এ অনুশাসন জারি করেন যে, কোন ক্রীতদাস মালিকের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ করলে তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হবে। ৬৯৪ সালে স্পেনীয় সম্রাট চার্চের চাপে ইহুদিদেরকে খ্রিষ্টানধর্ম গ্রহণ অথবা ক্রীতদাসত্ব বরণ করার নির্দেশ দেন। ধর্মের দোহাই দিয়ে চার্চের ফাদার ও পোপরা মধ্যযুগে খ্রিষ্টান জগতে দাসপ্রথার বৈধতা দিতো। আধুনিক যুগের শুরুতে ইউরোপে এ ঘৃণ্য প্রথার বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান বিরোধিতার মুখেও তারা দাস-বাণিজ্যের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখে। বার্ট্রান্ড রাসেল লিখেছেন: ‘প্রত্যেকেই জানে যে, চার্চগুলো যতদিন পেরেছে সাধ্যমতো দাসপ্রথা বিলুপ্তিকরণের বিরোধিতা করেছে।

সূত্র: এম, এ, খানের ইংরেজি বই থেকে অনুবাদিত “জিহাদঃ জবরদস্তিমূলক ধর্মান্তরকরণ, সাম্রাজ্যবাদ ও ক্রীতদাসত্বের উত্তরাধিকার” গ্রন্থের ‘ইসলামি ক্রীতদাসত্ব’ অধ্যায়ের অংশ এবং লেখক ও ব-দ্বীপ প্রকাশনের অনুমতিক্রমে প্রকাশিত আবুল কাশেম থেকে।

৯| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৫৬

মাসূদ রানা বলেছেন: দেখেন ভাই, দাসী বাদী রাখা ইসলামে নিষিদ্ধও নয়, ফরজও নয় । সুতরাং যে দাসী বাদি রাখবে না সে রাখবে না, যে রাখতে চায় সে রাখবে ........ ইসলাম তো এখানে ব্যাক্তিস্বাধীনতার খুবই সুন্দর দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করেছে ।

দাসপ্রথা চালু হবার মূলে ছিল নিজের জীবনযাত্রা পরিচালনায় অক্ষম মানুষদের সক্ষমদের কাছে অধিনস্ত হবার আকাংখা থেকে ....... এতে দাসদের মালিকেরা দাসদেরকে কাজের বিনিময়ে আশ্রয়ের, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতেন ........

আধুনিক যুগে যদি বাংলাদেশকেও উদাহরন হিসেবে দেখা হয়, দেখা যাবে লাখ লাখ কিশোরী পতিতালয়ে বদ্ধ-অমানবিক পরিবেশে দিনানিপাত করছে । ৩০ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করছে .........অথচ বাংলাদেশ থেকে যারা সৌদি, আরব আমিরাত,কাতারে দাস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ...... তারাই আজকে টেনে দাড় করাচ্ছে বাংলাদেশকে .......

সুতরাং দাসপ্রথাকে আমি একটা দারুন সলিউশন হিসেবেই দেখি ! অন্তত ভিক্ষাবৃত্তি- পতিতাবৃত্তির তুলনায় ....... কি বলেন ?

২২ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: মাসূদ রানা আপনি বলেছেন: দাসী বাদী রাখা ইসলামে নিষিদ্ধও নয়, ফরজও নয় তবে আমাদের ধর্মীয় আলোতে করনীয় কি?
আবার আপনি বলেছেন: সুতরাং দাসপ্রথাকে আমি একটা দারুন সলিউশন হিসেবেই দেখি ! অন্তত ভিক্ষাবৃত্তি- পতিতাবৃত্তির তুলনায় ....... কি বলেন ?
দাসপ্রথাকে আপনি একটা দারুন সলিউশন হিসেবেই হিসাবে দেখছেন সেটা একটি ক্লিয়ার করে বললে সকলের জন্য সুবিধা হয়। ভিক্ষাবৃত্তি- পতিতাবৃত্তির তুলনায় ....... কি বলেন ? কি বোঝাতে চেয়েছেন একটু খুলে বললে ভালো হয়।

১০| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৩৩

বাঘ মামা বলেছেন: কাজে ফাঁকে আমি সবার মন্তব্য গুলো দেখতে এসে আপনার প্রশ্ন চোখে পড়লো, হাতে অল্প কিছু সময় আছে তা থেকে আপনার প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত জবাব দিচ্ছি।

আপনি প্রশ্ন করেছেন কেন আমি আংশিক বিশ্বাস করবো একটা ধর্মের গ্রন্থের, .....

কেন নয়? দেখুন নবীজির পরে চার শত বছর হাদিস লিপিবদ্ধ হয়নি, ইয়াজিদের শাষন আমলে কেউ হাদিস মুখে আনতে পারতোনা,তার পর বোখারী সাহেব হাদিস সংগ্রহ করতে লাগলো, এই হাদিস গুলো কোন রেকর্ড ছিলোনা, যাখনি উনি জেনেছেন কোন লোক কোন সাহাবির সাথে দেখা করেছিলেন তার জীবদ্ধশায় তার কাছেই ছুটে গেছেন, বোখারি সাহেব হাজার হাজার ঘটনা লিপিব্ধ করেছেন। যদি তিনি তা পুনরায় কপি করতেন তাহলে ওনার জীবদ্ধশায় শেষ করতে পারতেননা, তখন তিনি কি করলে ওনার সকল ছাত্রদের বললেন উনি একবার করে বলে যাবেন তা যেন সবাই লিপিব্ধ করেন এবং নিজ নিজ এলাকায় প্রচার করেন। উনি যখন হাদিস বলতে শুরু করতেন তখন তার সামনে চার পাঁচ শত স্টুডেন্ট থাকতেন। এবং সবার শেষে বসা ছাত্রের সাথে বোখারি সাহেবের দুরত্ব ছিলো অনেক তাতে বোখারি সাহেব কি বলছেন পুরোটা পরিষ্কার বুঝা সহঝ ছিলোনা,এবং কোন হাদিস তিনি দ্বিতীয় বার বলতেনা সময়ের অভাবে।এখন এমনও হতে পারে একদম সবার শেষে বসা ছাত্রটি কোন হাদিস শোনায় ভুল করে ভুল কিছু লিখে ফেলেছে। পরে যখন এই হাদিস লিপিব্ধ হয়ে বই আকারে আসলো তখন বৈষঃম্য গুলো সবার নজরে আসছে,এবং এখানেই শুরু হয়েছে যত বিপত্তি,এক শ্রেনঈর মন্দ মানুষ নিজেদের সুবিধার্থে হাদিসের মধ্যে সংযোজন বিয়োজন করেন ,এবং ১২০০ সালে আবার কিছু হাদিসের প্রতিহাদিস সৃষ্টি হয়ে যায়।যদি তাই হয় তাহলে কেন একটা গ্রন্থ্যের মধ্যে ভুল আসবেনা? আর আল্লাহ কোরাণের দায়িত্ব নিয়েছেন হাদিসের দায়িত্ব নেননি।

(আবার আসবো ,পুরো মন্তব্যের পর বলবেন)

২২ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: বাঘ মামা তাহলেকি আমরা হাদীস দিয়ে জীবন গড়বো, নাকি হাদীস বাদে কোরআন মেনে চলবো?

১১| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:২৫

যোগী বলেছেন:
একটা ধর্মে মূল জীবন বিধানই হলো হাদিস আর সেটা সংগ্রহেই এত বিশৃঙ্খলা? সেটাই যদি হয় তাহলে মানুষ তার ইচ্ছামত হাদিস মানবে। যেটা পছন্দ না সেটা মানবে না আর যেটা পছন্দ সেটা মানবে। এটা কিছু হইল, আজব!

২২ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: যোগী একটা ধর্মের মূল জীবন বিধান হাদীস এটা আপনি বলছেন। কিন্তু সঠিক হাদীস কোথায়? হাদীস সংগ্রহের ইতিহাস পড়লে যা দেখি তাতেতো ভ্রু কপালে উঠে। চলুন একটু জানার চেষ্টা করি।

পৃথিবীতে এর আগেও বহু নবী রাসুল এছেছিলো। তাদেরও চলা, কথা বলা এমন সব কিছুই সেই সব নবী রাসুলরা করেগেছে। কিন্তু তাদের উম্মতদের প্রয়োজনে সেই সব হাদীস গ্রন্থ কি ছিলো? সেই সব হাদীস গ্রন্থ কি আছে? অনুমান বড় গুনাহ্। কোরআন বলছে:

সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে আল্লাহ্ বলে

وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ

অর্থঃ বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।



আল-হাদীস আর জাল হাদীস কোনটায় কোনআন সমর্থন করে না। আল্লাহ্ কেবলী তার কিতাবের কথা বলে এবং এও বলে যে এই কোরআনের সংরক্ষ সে নিজেই। আর হাদীস (মুখে মুখে চার শত বছর ধরে ছিলো) মানুষের লিখা এর সংরক্ষ সয়ং মানুষ নিজেই।

১। আল্লাহ্ কোরআনের সূরা কাহফ ১৮:২৭ আয়াতে বলেনঃ

وَاتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِن كِتَابِ رَبِّكَ لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَلَن تَجِدَ مِن دُونِهِ مُلْتَحَدًا

অর্থঃ আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না।

২। সূরা ইয়াসিন ৩৬:৬৯ আয়াতঃ

وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُّبِينٌ

অর্থঃ আমি রসূলকে (নিজস্ব কথা) কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।

৩। সূরা আনকাবুত ২৯:৪৮ আয়াতঃ

وَمَا كُنتَ تَتْلُو مِن قَبْلِهِ مِن كِتَابٍ وَلَا تَخُطُّهُ بِيَمِينِكَ إِذًا لَّارْتَابَ الْمُبْطِلُونَ

অর্থঃ আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেননি এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা কোন কিতাব লিখেননি। এরূপ হলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত।



লিখার ৩ নং সূরায় আল্লাহ বলছে রাসুল তার নিজ হাতে কিছু লিখেনী। এইরকম কিছু লিখলে মুশরেক, মিথ্যাবাদীরা সন্দেহ পোষন করতো, বা বিতন্ডা করতো। কেন একজন সফল সয়ং সম্পূর্ণ রাসুল তার উম্মতদের জন্য হাদীস লিখলেন না তা ভাবতে হবে। কেনই বা তার চার জন খলিফা এই গুরু দায়ীত্ব পালন করলেন না। তবে কি তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে! নাকি হাদীস লিখা তাদের জন্য নিষেধ ছিলো? যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে এবং তার বিনিময়ে কিছু অর্থ উপার্জন করে তাদের সম্পর্কেও কোরআন এর

৪। সূরা বাবারা ২:৭৯ আয়াতে বলেছেঃ

فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَـذَا مِنْ عِندِ اللّهِ لِيَشْتَرُواْ بِهِ ثَمَناً قَلِيلاً فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُمْ مِّمَّا يَكْسِبُونَ

অর্থঃ অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।



আবার যে হাদীস নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি সেই হাদীস গুলি আজ আমাদের ধর্মে নানা দল ও উপদলে বিভক্ত করেছে। এক এক হাদীস প্রনেতা এক এক মতবাদ সৃষ্টি করেছে। কেউ বলঝে রাসুল এভাবে নামাজ পড়তো, কেউ বলছে না এভাবে নয় ওভাবে পড়তো। এই সব নানান ফেকাহহ্ সৃষ্টি করেছে হাদীস। এই সম্পর্কে কোরআনের

৫। সূরা আন-আম ৬:১৫৯ আয়াতে বলছেঃ

إِنَّ الَّذِينَ فَرَّقُواْ دِينَهُمْ وَكَانُواْ شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِي شَيْءٍ إِنَّمَا أَمْرُهُمْ إِلَى اللّهِ ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُواْ يَفْعَلُونَ

অর্থঃ নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপার আল্লাহ তা'আয়ালার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি বলে দেবেন যা কিছু তারা করে থাকে।



আমাদের কে বুঝতে হবে কোরআন আর হাদীস কখনো এক হতে পারে না। অনেকেই বলবে কোরআন আর হাদীস তো এক নয় আপনি বলছেন কেন। আমি অনেককে বলতে শুনেছি যে কোরআনে অনেক কিছু নাই তায় হাদীস দেখতে হয়! তার মানে আল্লাহ্ কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হলো যে, তার কোরআনে যা নাই হাদীসে তা আছে। কোরআন পড়লেই বোঝা যায় আল্লাহ্ কোরআনের বিধান দিয়ে ফায়সালা করতে বলছে কখনো বলেনী হাদীস দিয়ে ফায়সালা কর।

৫। সূরা মায়েদাহ ৫:৪৭ আয়াতঃ

وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ অর্থঃ যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।

৬। সূরা কাহফ ১৮:৫৪ আয়াতঃ

وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا

অর্থঃনিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।


হাদীস লিপিবদ্ধ করা রাসুলের বারণ ছিলো নিম্নের হাদীস গুলি দেখি।


হযরত আবু ছাইদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন যে, কোরআন ব্যতীত আমার কোন কথাই লিখিও না। আর কোরআন ব্যতীত আমার নিকট থেকে অন্য কিছু লিখে থাকলে, তা যেন মুছে ফেলা হয়।” [ দ্র: সহিহ্ মুসলিম, আ. ফা. ভুইয়া, ১ম খ. ১ম সংস্করণ, পৃ: ৫১]

শরীয়তি আলেমরা কি সব মুছে ফেলেছে?

আমার কাছ থেকে তোমরা কোরান ছাড়া আর কিছুই লিখবেনা। যদি কেউ লিখে থাকে তবে অবশ্যই তা নষ্ট করে ফেল।'' -সহিহ মুসলিম, ভলিউম১, পৃষ্ঠা ২১১, হাদীস নং ৫৯৪, প্রিন্টার-মতকবে আদনান, বৈরুত,১৯৬৭।

শরীয়তি আলেমরা কি সব নষ্ট করে ফেলেছে

হাদীসটি সম্বন্ধে বিশ্বের সকলেই একমত; আবার বিশ্বের সকলেই (শরীয়ত) হাজারো ফন্দি-ফিকির, কুট-কৌশলে হাদীসটি বাতিল বলে সাব্যস্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকেন।

আসুন আমরা কোরআনের আলোয় আলোকিত হই। আল্লাহ আমাদের সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করুন----আমেন

রসূলের আনুগত্য প্রকাশ করার অর্থ এই নয় যে, রাসুলকে বাদ দিয়ে (মানুষ) বোখারী সাহেবদের আনুগত্য করতে হবে। আল্লাহ্ রাসুল মানতে গিয়ে কোরআন ও হাদীসের কারনে তাদের মধ্যে বিষদ পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে

হাদিছ সংকলনে খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের ভূমিকা

হযরত আবুবকর

প্রথম খলিফা হযরত আবুবকর ছিদ্দীক (রা) নিজে পাঁচ শত হাদিছের

এক সংকলন তৈরি করেছিলেন। কিন্তু জীবনের শেষ ভাগে তিনি নিজেই তা বিনষ্ট করে ফেলেন (জ্বালিয়ে ফেলেন)। এর কারণ স্বরূপ মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন যে, হাদিছসমূহ সংকলন করার পর তিনি মোটেই স্বস্তিলাভ করতে পারেননি। তার মনে কয়েক প্রকার ভয়ের সঞ্চার হয়। তিনি এজন্য ভাবিত হয়ে পড়েন যে, তাঁর সংকলিত হাদিছ সমূহের মধ্যে একটি কথাএকটি শব্দও যদি রাছুল করিমের মূল বাণীর বিন্দুমাত্রও বিপরীত হয়ে পড়ে, তা হলে রাছুলের কঠোর সতর্কবাণী অনুযায়ী তাকে জাহানড়বামের ইন্ধন হতে হবে।

দ্বিতীয়ত তার মনে এই ভয়ও জাগ্রত হল যে, তার সংকলিত হাদিছ

গ্রন্থকে মুসলিম জনগণ যদি কোরানের সমতুল্য মর্যাদা দিয়ে বসে কিংবা অন্যান্য ছাহাবীদের বর্ণিত ও সংকলিত হাদিছ অপেক্ষা অধিক মর্যাদা দিতে শুরু করে, তা হলেও মুসলমানদের পক্ষে বিশেষ ক্ষতির কারণ হইবে। তার ফলে হাদিছ সংকলনের ক্ষেত্রে ব্যাপক কাজ ও অগ্রগতি ব্যাহত হতে পারে। এই সব চিন্তার ফলেই তিনি তা নষ্ট করে ফেলেন। ব্যাপারটিকে আমরা যতই গভীর ও সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে বিচার করে দেখি না কেন, একে একটি বিশেষ মনস্তাত্ত্বিক ও মানসিক অবস্থার পরিণাম বলা ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না-।”

হযরত ওমর ফারূক

হযরত ওমর ফারূক (রা)-এর সময়ই সরকারি পর্যায়ে বিচ্ছিনড়ব হাদিছ সম্পদ সংকলন ও লিপিবদ্ধ করা হয় এবং সু-সংবদ্ধ করে নেয়ার প্রশ্ন সর্বপ্রথম উত্থাপিত হয়। হযরত ওমর (রা) নিজেই এই বিরাট কাজ সম্পন্ন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং এ সম্পর্কে অন্যান্য ছাহাবীর সঙ্গে পরামর্শও করেছিলেন। মুসলমানরা তাঁকে এর অনুকূলেই পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁর নিজের মনেই এই সম্পর্কে দ্বিধা ও সন্দেহের উদ্রেক হয় যে, এটা করা সমীচীন হবে কিনা! তিনি প্রায় একমাস কাল পর্যন্ত অনেক চিন্তা-ভাবনা ও ইস্তেখারা করতে থাকেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই একদিন বললেন: ‘আমি তোমাদের নিকট হাদিছ লিপিবদ্ধ ও সংকলিত করার কথা বলেছিলাম, একথা তোমরা জান। কিন্তু পরে মনে হল তোমাদের পূর্বের আহ্লে কেতাব লোকেরাও এমনিভাবে নবির কথা সংকলিত করেছিল, ফলে তাঁরা তাই আঁকড়ে ধরল এবং আল্লাহর কিতাব

পরিত্যাগ করল। আল্লাহর শপথ, আমি আল্লাহর কিতাবের সাথে অন্য কিছুই মিশ্রিত করব না।’ অতঃপর তিনি হাদিছ সংকলিত করবার সংকল্প ত্যাগ করেন-।”

হযরত ওসমান

হযরত ওসমান [রা] নিজে হাদিছ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু খুব অল্প সংখ্যক হাদিছই তার নিকট হইতে বর্ণিত হয়েছে। এর কারণ প্রদর্শন সম্বন্ধে তিনি নিজেই বলেছেন: ‘রাছুলের ছাহাবীদের মধ্যে রাছুলের অধিক হাদিছ সংরক্ষণকারী আমি নই; এই কারণটি আমাকে রাছুলের হাদিছ বর্ণনা করা হতে বিরত রাখে নি। বরং হাদিছ বর্ণনা হতে বিরত থাকার কারণ এই যে, আমি নিজেই রাছুল করীমকে [সা] এই কথা বলতে শুনেছি বলে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাছুল যা বলেননি তা যদি কেউ তার উপরে আরোপ করে তবে সে যেন জাহানড়বামে তাঁর আশ্রয় খুঁজে নেয়।’ হযরত ওসমান অল্প কয়েকটি হাদিছ বর্ণনা করা ছাড়া অপর কোনো বৃহত্তর খিদমত করেছেন বলে কোথাও উল্লেখ পাওয়া যায় না।

হযরত আলী

যে কয়জন ছাহাবী নিজেদের হাতে রাছুলের নিকট শ্রুত হাদিছ লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলেন, হযরত আলী [রা] তাঁহাদের অন্যতম। তিনি কোরানের ব্যাখ্যা ও বিশে−ষণ সম্পর্কে কয়েকটি হাদিছ রাছুলের নিকট হতে শ্রবণ করে লিখেছিলেন। - একে ভাঁজ করে তিনি তাঁর তলোয়ারের খাপের মধ্যে রেখে দিয়েছিলেন। এতে ব্যবহারিক কাজ-কর্ম সংক্রান্ত হুকুম আহকামের কয়েকটি হাদিছ লিখিত ছিল। (সূত্র-হাদিছ সংকলনের ইতিহাস; মু: আ: রহিম; ১ম সংস্করণ, সলামিক ফাউন্ডেশন; ৬ষ্ঠ প্রকাশ, পৃ: ২৯০-৩০০, খায়রূন প্রকাশনী;, পৃ: ২৯০ ও কোরান বনাম শরিয়ত



(ক) কোরআন বাদে আমিকি হাদীস দিয়ে ফায়সালা করবো?

(খ) কোরআন বাদে আমরা কি হাদীস দিয়ে ফায়সালা করছি না?

(গ) আমরা কি তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের নামে বেশীর ভাগ'ই

হাদীসের বয়ান করছি না?

কোরআনের পাশে হাদীসকে জুড়তে গিয়ে আলেমরা অনেক মতবাদ সৃষ্টি করেছে, তর্ক সৃষ্টি করেছে। সাড়ে তিন থেকে চার শত বছর মানুষের মুখে মুখে ধরে রাখা কথা যে রুপ কথার গল্প হতে পারে যা কেবলী আন্দাজ আর অনুমানের ভিত্তি ছাড়া বিশ্বাসের কোন পথ নাই। এই সম্পর্কেও কোরআনে আল্লাহ্



৫। সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে বলেছেনঃ

وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ

অর্থঃ বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।

(ক) আমরা আজ যে হাদীস পড়ছি তা কি আন্দাজের উপর নয়?

(খ) হাদীস কি কখনো পৃথিবীতে লিখিত আকারে ছিলো? যে ভাবে

কোরআন ছিলো?



পৃথিবীতে এত নবী রাসুল আসলো কেবল মুহাম্মাদের উম্মতদের বেলায় হাদীস দরকার হলো?

ক। ঈশা (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?

খ।ইব্রাহীম (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?

গ। ইসমাইল (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?

ঘ। ঈশাহাক (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?

ঙ। ইদ্রীশ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?

চ। ইয়াকুব (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?

ছ। ইউসুফ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?


আসুন বোখারী সাহেবদের উম্মত না হয়ে প্রকৃত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উম্মতে পরিনত হই।

বললে অনেক বলা হবে, তবে এই রকম অনেক নবী রাসুল পৃথিবী থেকে বিদায় নিলো তাদের উম্মত গুলি কিসের ভিত্তিতে ইবাদত করলো বা চললো। অনুমানের চর্চা না করে কোরআনের সঠিক চর্চা করুন। আল্লাহ্ যেন সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করেন---আমেন

১২| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০৯

যোগী বলেছেন:
আমার কথা হলো মহা নবী (সা.) কী ছিলেন সেটা সেই সময় তাঁর আসে পাশের সবাই জানতো তাঁর প্রতিটা কথাই যুগে যুগে মানুষের পরম জীবন বিধান, তবে কেন তাঁর কথাগুলো ঠিক মত সংরক্ষন করা হয়নি। বড় ভূল একটা শ্রেষ্ঠ ধর্মে কী ভাবে হয়? মহা নবী কেন অন্যদের লিখতে বলেননি?

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪১

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: যোগী আমি আপনার সাথে সহমত। আমার একই প্রশ্ন যে, হাদীস যদি ইসলামে এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে ৪জন খলিফা হযরত আবুবকর, হযরত ওমর ফারুক, হযরত ওসমান ও হযরত আলী কেন এই গুরু দায়ীত্ব পালন করলো না। কেনইবা তারা হাদীস লিপিবদ্ধ করলো না। তাহলেকি আমরা বলবো এই খেলাফত তাদের দায়ীত্ব পালনে অবহেলা করেছে? কিংবা তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে? যদি তারা চুপ করে বসে;ই থাকে তাহলে আল্লাহ কেন তাদের সেগুলো লিখতে সে সময় তাগিদ দিলেন না? কেনইবা মক্কা মদিনার বাইরের মানুষ এসে রাসুলের মৃত্যুর সাড়ে তিন থেকে চার শত বছর পর এগুলো মানুষের মুখে থেকে শুনে শুনে সংগ্রহ করলো। কেনইবা আমরা এই কুড়ানো কথাগুলো, মানুষের মুখে থেকে শোনা কথাগুলো কে সহী বলছি। আল্লাহ কোরআনে বলছে মক্কা মদিনার বাইরের লোক যদি রাসুল হতো তাহলে মানুষে কথা তুলতো যে বাইরের লোক কেন নবী বা রাসুল। তায় স্ব-গোত্র থেকে আল্লাহ নবী দিয়েছে।আরবী ভাষাভাসি মানুষের জন্য আরবী ভাষায় কোরআন দিয়েছে। আল্লাহ্ এই ক্ষেত্রে বলেছে আমি যদি অন্য ভায়ষায় কোরআন দিতাম তাহলে এটা নিয়েও মানুষে কথা তুলতো যে, মাতৃ ভাষা আরবী কোরআন কেন অন্য ভাষায়।
সূরা ইউসুফ ১২:২ আয়াত
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لَّعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
অর্থ: আমি একে আরবী ভাষায় কোরআন রূপে অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার।
সূরা হামিম ৪১:৪৪ আয়াত
وَلَوْ جَعَلْنَاهُ قُرْآنًا أَعْجَمِيًّا لَّقَالُوا لَوْلَا فُصِّلَتْ آيَاتُهُ أَأَعْجَمِيٌّ وَعَرَبِيٌّ قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ آمَنُوا هُدًى وَشِفَاء وَالَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ فِي آذَانِهِمْ وَقْرٌ وَهُوَ عَلَيْهِمْ عَمًى أُوْلَئِكَ يُنَادَوْنَ مِن مَّكَانٍ بَعِيدٍ

অর্থ: আমি যদি একে অনারব ভাষায় কোরআন করতাম, তবে অবশ্যই তারা বলত, এর আয়াতসমূহ পরিস্কার ভাষায় বিবৃত হয়নি কেন? কি আশ্চর্য যে, কিতাব অনারব ভাষায় আর রসূল আরবী ভাষী! বলুন, এটা বিশ্বাসীদের জন্য হেদায়েত ও রোগের প্রতিকার। যারা মুমিন নয়, তাদের কানে আছে ছিপি, আর কোরআন তাদের জন্যে অন্ধত্ব। তাদেরকে যেন দূরবর্তী স্থান থেকে আহবান করা হয়।
সূলা মারইয়াম ১৯:৯৭ আয়াত
فَإِنَّمَا يَسَّرْنَاهُ بِلِسَانِكَ لِتُبَشِّرَ بِهِ الْمُتَّقِينَ وَتُنذِرَ بِهِ قَوْمًا لُّدًّا
অর্থ: আমি কোরআনকে আপনার ভাষায় সহজ করে দিয়েছি, যাতে আপনি এর দ্বারা পরহেযগারদেরকে সুসংবাদ দেন এবং কলহকারী সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন।
এমন অনেক আয়াত আছে। এই আয়াত গুলো থেকেই বোঝা যায় অন্য এলাকার মানুষের দ্বারা হাদীস সংগ্রহ সত্যি কোরানের ভাষায় প্রশ্নবিদ্ধ!

এখনতো কথা উঠতেই পারে নবীর কথাগুলো কেন অনারবী মানুষ সংগ্রহ করলো। কেনইবা আরবের মানুষ সংগ্রহ করলো না।
ভালো থাকবেন আবারো কথা হবে ইনশ আল্লাহ্।

১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৩৯

মাসূদ রানা বলেছেন: ২২ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩ ০
লেখক বলেছেন: মাসূদ রানা আপনি বলেছেন: দাসী বাদী রাখা ইসলামে নিষিদ্ধও নয়, ফরজও নয় তবে আমাদের ধর্মীয় আলোতে করনীয় কি?....................

বেশি বেশি করে পবিত্র কোরান পাঠ করুন ......... উত্তর পেয়ে যাবেন ।

দাসপ্রথাকে আপনি একটা দারুন সলিউশন হিসেবেই হিসাবে দেখছেন সেটা একটি ক্লিয়ার করে বললে সকলের জন্য সুবিধা হয়।


বিষয়টাকে কম্লিকেটেড না করে একটু সরলভাবে দেখুন ...........

যারা কোন ব্যাক্তি কিংবা সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তারা প্রত্যেকেই স্ব স্ব কম্পানীর/প্রতিষ্ঠানের কৃতদাস, যুগের আধুনিকায়নে হয়ত নিক পাল্টে গেছে কিন্তু চাকরি নিকের মোড়কে উপাদান এক ও অভিন্ন ......... অর্থের বিনিময়ে মনিবের আদিষ্ট দায়িত্ব পালন করা। সে হিসেবে আপনি নিজেও একজন কৃতদাস কিংবা মনিব ........ হয়ত ফুলটাইম নন পার্ট টাইম কৃতদাস । আপনি কৃতদাস হয়ে পরিশ্রম করে মেধা দিয়ে আপনার জীবিকা নির্বাহ করছেন এটা বেশী সুসভ্য নাকি রাস্তায় বিনা শ্রমে ভিক্ষা করে জিবীকা নির্বাহের প্রথা বেশী সভ্য ?

ভালো থাকবেন ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: মাসূদ রানা আপনি বলছেণ:
যারা কোন ব্যাক্তি কিংবা সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তারা প্রত্যেকেই স্ব স্ব কম্পানীর/প্রতিষ্ঠানের কৃতদাস, যুগের আধুনিকায়নে হয়ত নিক পাল্টে গেছে কিন্তু চাকরি নিকের মোড়কে উপাদান এক ও অভিন্ন ......... অর্থের বিনিময়ে মনিবের আদিষ্ট দায়িত্ব পালন করা। সে হিসেবে আপনি নিজেও একজন কৃতদাস কিংবা মনিব ........ হয়ত ফুলটাইম নন পার্ট টাইম কৃতদাস ।

আমার ধারনা আপনি কৃতদাসের অর্থ জানেন না। কৃতদাস আর কর্মচারী একনয়। কৃতদাসকে ইসামে বলছে অধিকারভূক্ত দাস-দাসী। তার মালিক চায়লে অধিকার ভূক্ত দাসীকে যৌনকাজে ব্যবহার করতে পারবে।

আয়াত রয়েছে যাতে ক্রীতদাসের কথা বলা হয়েছে এবং তাদেরকে যুদ্ধের মাধ্যমে আটক বা সংগ্রহ করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরূপে পবিত্র কোরানে উপস্থাপিত ইসলামি ঈশ্বরের স্বর্গীয় আদেশ অনুযায়ী মুসলিমরা ক্রীতদাস রাখার অনুমোদন প্রাপ্ত। যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে তারা ক্রীতদাস যোগাড় করতে পারে, ক্রীতদাসীদের সঙ্গে যৌন-সংসর্গে লিপ্ত হতে পারে ও অবশ্যই তাদেরকে নিজেদের খুশি মতো কাজে লাগাতে পারে। মুসলিমদের জন্য নারী ক্রীতদাসদের সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়া তাদের বিবাহিতা স্ত্রীর সঙ্গে যৌনকর্মের মতই বৈধ। প্রকৃতপক্ষে দাসপ্রথা ইসলামে অতি আনাকাংক্ষিত একটি স্বর্গীয় প্রথা, কেননা কোরআন বহু আয়াতে বারংবার এ ‘স্বর্গীয় অধিকার’ সম্পর্কে মুসলিমদেরকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
সূরা আহযাব ৩৩:২৬-২৭ আয়াত
وَأَنزَلَ الَّذِينَ ظَاهَرُوهُم مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِن صَيَاصِيهِمْ وَقَذَفَ فِي قُلُوبِهِمُ الرُّعْبَ فَرِيقًا تَقْتُلُونَ وَتَأْسِرُونَ فَرِيقًا
কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফেরদের পৃষ্টপোষকতা করেছিল, তাদেরকে তিনি তাদের দূর্গ থেকে নামিয়ে দিলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতি নিক্ষেপ করলেন। ফলে তোমরা একদলকে হত্যা করছ এবং একদলকে বন্দী করছ।

وَأَوْرَثَكُمْ أَرْضَهُمْ وَدِيَارَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ وَأَرْضًا لَّمْ تَطَؤُوهَا وَكَانَ اللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرًا
তিনি তোমাদেরকে তাদের ভূমির, ঘর-বাড়ীর, ধন-সম্পদের এবং এমন এক ভূ-খন্ডের মালিক করে দিয়েছেন, যেখানে তোমরা অভিযান করনি। আল্লাহ সর্ববিষয়োপরি সর্বশক্তিমান।

কোরআনে আল্লাহ বলছে বানু কোরাইজা ইহুদিদেরকে নিজস্ব বস্তির মধ্যে বসে থেকেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে মক্কার কোরাইশদেরকে সমর্থন করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। এ অবান্তর অভিযোগের ভিত্তিতে আল্লাহ অনুমোদন দেন: ইহুদি গোত্রটির বয়স্ক পুরুষদেরকে হত্যা করতে হবে এবং অবশিষ্ট নারী ও শিশুদের ক্রীতদাস বানাতে হবে। নবি যথাযথরূপে সে আদেশ পালন করেন এবং তাঁর অনুসারীদের মাঝে ক্রীতদাসকৃত নারী ও শিশুদেরকে বিতরণ করে দেন ও এক-পঞ্চমাংশ গনিমাতের মাল হিসাবে নিজের ভাগ রাখেন। বন্দি নারীদের মধ্যে যারা তরুণী ও সুন্দরী তাদেরকে যৌনদাসী করা হয়। নবি নিজে যৌনদাসী হিসেবে ১৭-বছর-বয়স্কা সুন্দরী রায়হানাকে গ্রহণ করেন, যার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা সে হত্যাকাণ্ডে নিহত হয়েছিল।
ঐ বছরই খাইবার ও বানু মুস্তালিকের ইহুদিদেরকে আক্রমণ ও পরাজিত করার পর মুহাম্মদ তাদের নারী ও শিশুদেরকে ক্রীতদাসরূপে উঠিয়ে নিয়ে যান। অন্যান্য অনেক আক্রমণে নবি ও তাঁর অনুসারীরা পরাজিতদের নারী ও শিশুদেরকে একইভাবে ক্রীতদাসরূপে কব্জা করেছিল। সুতরাং অবিশ্বাসীদের উপর নিষ্ঠুর আক্রমণ চালিয়ে পরাজিত করার পর তাদের নারী ও শিশুদেরকে ক্রীতদাসকরণ মুহাম্মদের যুদ্ধের মডেল বা আদর্শ কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়, যা উপরোক্ত আল্লাহর নির্দেশের বাস্তবায়ন মাত্র। নবি কিছু ক্রীতদাসকে বিক্রি করেছিলেন এবং তাদের কিছু সংখ্যককে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য জিম্মি হিসেবে ব্যবহার করতেন। নারী বন্দিদের মধ্যে সুন্দরী যুবতীরা যৌনদাসী হতো।

১৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:০১

মাসূদ রানা বলেছেন: হাহাহাহা .......... আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে ইসলামই সর্বপ্রথম যুদ্ধবন্দীদের দাসকরনের রীতি চালু করেছে । এটা একটা ভূল ধারনা । মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স) এর আবির্ভাবের বহু পূর্ব থেকেই যুদ্ধবন্দীদের দাস হিসেবে ব্যবহারের রীতি ছিল । তখন দাসদের প্রতি আচরন আরো বর্বর ছিল, ইসলাম বরংচ দাসদের প্রতি বর্বরতাকে নিষিদ্ধ করেছে ।

পবিত্র কোরানে দাসদের মুক্তি দেবার জন্যও উতসাহিত করা হয়েছে ::

"Zakat expenditures are only for the poor and for the needy and for those employed to collect (zakāt) and for bringing hearts together and for freeing captives (or slaves) and for those in debt (or bonded labor) and for the cause of Allah and for the (stranded) traveler - an obligation (imposed) by Allah . And Allah is Knowing and Wise." --Surah 90:13


কৃতদাসকে ইসামে বলছে অধিকারভূক্ত দাস-দাসী।

আপনারা যারা কর্মচারী(যদি), তারা কি আপনাদের মালিকের অধিকারভূক্ত নন ? হয়ত আপনাদের উপর সকল ধরনের অধিকার আপনাদের মালিকের নেই, তবে আংশিক তো রয়েছে । সেজন্যই আমি পার্ট টাইম ফুলটাইম টার্মদুটো ব্যবহার করেছি ।

ভালো থাকুন ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: কোরআনের আয়াতগুলো তুলে দিলাম তার পরেও আপনাদের চোখে পড়ে না।
আপনি বলেছেন: মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স) এর আবির্ভাবের বহু পূর্ব থেকেই যুদ্ধবন্দীদের দাস হিসেবে ব্যবহারের রীতি ছিল ।
আমিতো অস্বীকার করিনি। আমিতো আমার লিখায় দাস প্রথা প্রচলনের কয়েকটি দেশের কথা উল্ল্যেখ করেছি। কিন্তু আপনি বলছেন পবিত্র কোরানে দাসদের মুক্তি দেবার জন্যও উতসাহিত করা হয়েছে যেমন উৎসাহ দেওয়া হয়েছে তেমন দাসদের ব্যবহারের কথাও বলা হয়েছেঅ আমার এই লিখায় কোরআনরে আয়াত গুলোর উল্ল্যেখ করা আছে দয়া করে পড়ে দেখুন। অযথা তর্তকরা ঠিক নয়। ইসলাম একেবারে দাস প্রথা মুছে ফেলতে পারতো কি তা না করে বরং জিইয়ে রেখেছে হাদীস জুড়ে ও কোরআনের বেশ কিছু জায়গায়।

১৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৬

জোৎস্নাআলো বলেছেন: বুঝতে পেরেছি আপনি আহলে কুরআন। bortomane ki bangladshe kritodash-dashi ache naki? amader deshe procholito kajer manushra ki dash dashir porjaye pore?

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১১

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: এমন প্রশ্নগুলো আপনার শুনে অবাক লাগে, মনে হয় একদম কাঁচা কথা।

১৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৭

জোৎস্নাআলো বলেছেন: apnar kothar shathe ami ekmot noi. ebong obosshoi er pichone jotheshto karon ache, amar kache mone hoy, apnar boktobbo batulota chara kichuina.

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৪

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: কেন আপনি আমার কথার সাথে একমত নন সেটা জানা জরুরী নয়। আমার কথাগুলো আমার পেট বানানো নয়। এগুললো রেফারেন্স দিয়েছি।

১৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২২

জোৎস্নাআলো বলেছেন: shunen, apni ki namaj poren?

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৬

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: জি আমি সালাত কায়েম করি।

১৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৩

জোৎস্নাআলো বলেছেন: Hujure karim (sm) er biday hajjer vashon ki apni porechen? ebong janen?

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৮

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: জি বিদায় হাজ্জ্বের ভাষন আমি পড়েছি। কিন্তু কেন আপনি একথা বললেন তাতো বলেননি।

১৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৫৭

মাসূদ রানা বলেছেন: লেখক বলেছেন: অযথা তর্তকরা ঠিক নয়।

এখানে কোন অযথা তর্ক হচ্ছে না ........ আপনি না বুঝে ইসলামের কিছু টার্ম নিয়ে ভুলভাল কথা বলছেন সেগুলো ধরিয়ে দেয়া মুসলমান হিসেবে আমাদের কর্তব্য ....... নতুবা অন্যান্যরা ইসলাম সম্পর্কে ভুল মেসেজ পাবেন ।

কোরআনের আয়াতগুলো তুলে দিলাম তার পরেও আপনাদের চোখে পড়ে না।

কোরানের আয়াত তো শুধু আপনিই দেননি আমিও দিয়েছি , সেগুলো কেন আপনার চোখে পড়ছে না ? নাকি আবেগে অন্ধ হয়ে গেছেন ?

যেমন উৎসাহ দেওয়া হয়েছে তেমন দাসদের ব্যবহারের কথাও বলা হয়েছেঅ আমার এই লিখায় কোরআনরে আয়াত গুলোর উল্ল্যেখ করা আছে দয়া করে পড়ে দেখুন।

আপনি কোরানের যে আয়াতগুলো উপস্থাপন করেছে সেগুলোর কোথাও বলা হয় নি অসহায় নিরীহদের, দুস্থদের আক্রমন করে দাসে পরিনত কর। কিংবা কোথাও বলা হয়নি তোমরা বন্দীদের ধরে নির্যাতন কর । তাহলে সমস্যা কোথায় ? গুয়ান্তানামো বের মত ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে নির্যাতনের নির্দেশ দিলে ঠিক ছিল, ঠিক কিনা ?

ইসলাম একেবারে দাস প্রথা মুছে ফেলতে পারতো কি তা না করে বরং জিইয়ে রেখেছে হাদীস জুড়ে ও কোরআনের বেশ কিছু জায়গায়।

ইসলাম চাইলে দাসপ্রথা মুছে ফেলতে পারতো । কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ পাক তো আর তোমাদের ঘিলু নিয়ে কোরান রচনা করেননি,তোমাদের বুঝ আর আল্লাহ পাকের বুঝ তো আর এক না, তাই দাসপ্রথা জিইয়ে রেখেছেন ........ কেননা যারা অর্থাভাবে স্বেচ্ছা দাসত্ব বরন করে পেট চালাতে চাইতো তাদের পেটে তিনি লাথি মারেন নি । বোঝা গেছে ?

কটু কথার জন্য দুঃখিত । ভালো থাকুন ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: মাসূদ রানা, আমার সালাম নিবেন।
আপনি বলেছেন: ইসলাম চাইলে দাসপ্রথা মুছে ফেলতে পারতো । কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ পাক তো আর তোমাদের ঘিলু নিয়ে কোরান রচনা করেননি,তোমাদের বুঝ আর আল্লাহ পাকের বুঝ তো আর এক না, তাই দাসপ্রথা জিইয়ে রেখেছেন ........ কেননা যারা অর্থাভাবে স্বেচ্ছা দাসত্ব বরন করে পেট চালাতে চাইতো তাদের পেটে তিনি লাথি মারেন নি । বোঝা গেছে ?

এখনতো অনেক অসহায় গরীব দু:খি আছে তারাও কি পেট চালানোর জন্য স্বেচ্ছায় দাসত্ব বরন করবে? এটা একটা খোড়া যুাক্তি। ইসলামে যুদ্ধলব্ধ মালা মাল সবগুলো;ই ছিলো গণিমাতের মাল। আপনি কোথায় দেখাতে পারবেন না যুদ্ধ জয়েরপর যুদ্ধবন্দিনীদের ইসলাম ছেড়ে দিয়েছে।
আপনি কোরআনের সূরা আল বালাদ এর ৯০ নং আয়াত দিয়ে দেখিয়েছেন দাস মুক্তির কথা। আপনার মাথায় ঘিলু থাকলে ঠিকি বুঝতের দাসরা অর্থ হিসাবে বিনিময় হতো, কাপফারা হিসাবে দাস মুক্তি দেওয়া হতো। দাসকে যখন কাপফারা হিসাবে মুক্তি দেওয়অ হতো তখন দাসকেতো অর্থ কিংবা মাল হিসাবেই মানুষ রাখতো, প্রয়োজনে তাকে বিক্রিও করা হতো এটা ইতিহাস বলছে। আমার কথা ইসলাম এটা রাখার;ইবা বিধান কেন দিলো।
আপনি কি শিকার করেন ইসলাম দাসদের যৌনসম্ভোগের অনুমোতি দিয়েছে?

সুদানে দাসপ্রথার পুনরুজ্জীবন: সুদান (নুবিয়া) ইসলামি দাসপ্রথার সবচেয়ে জঘন্যতম শিকার। মুসলিম দাসপ্রথা সুদানে আঘাত হানে ইসলামের একবোরে প্রাথমিককাল থেকে। খলিফা উসমান আরোপিত চুক্তি অনুযায়ী ৬৫২ থেকে ১২৭৬ সাল পর্যন্ত সুদান বার্ষিক আনুগত্য-কর হিসেবে ৪০০ করে ক্রীতদাস পাঠাতে বাধ্য হয়েছে। দশম শতাব্দীর প্রামাণিক দলিল ‘হুদুদ আল-আলম’ অনুযায়ী, ইসলামের প্রাথমিক দিনগুলো থেকেই সুদান মুসলিম দাস-শিকারিদের উর্বর-ক্ষেত্রে পরিণত হয়, যা আজও সে রকমই রয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে সুদানে ক্রীতদাস মুক্তকরণ কর্মসূচিতে নিযুক্ত জন ইবনার আরব মিলিশিয়া ও সরকারের-সমর্থনপুষ্ট পপুলার ডিফেন্স ফোর্স (পি.ডি.এফ.) কর্তৃক খ্রিষ্টান, সর্বেশ্বরবাদি, এমনকি মুসলিম কৃষ্ণাঙ্গ সুদানি নারী ও শিশুদেরকে ক্রীতদাসকরণের এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে বলা হয়েছে: ক্রীতদাসকৃত নারীদেরকে জবরদস্তিমূলকভাবে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয় এবং তাদেরকে সাধারণত যৌনদাসীরূপে ব্যবহার করা হয়। আর ছোট শিশুদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে জিহাদীরূপে গড়ে তোলা হয় তাদের পূর্বতন স্বধর্মীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য। ইবনার ১,৭৮৩ জন কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাসকে মুক্ত করেন ১৯৯৯ সালে; অপরদিকে তার সংগঠন ‘ক্রিশ্চিয়ান সলিডারিটি ইন্টারন্যাশনাল’ ১৯৪৫ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত মুক্ত করে ১৫,৪৪৭ জন ক্রিতদাসকে।২৬৮ সুদানে ক্রীতদাসকরণ ও দাস-বাণিজ্য কার্যকরভাবে বন্ধে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ সরকারও (১৮৯৯-১৯৫৬) ব্যর্থ ছিল। ব্রিটিশ সিভিল সার্ভেন্টদের দ্বারা প্রস্তুতকৃত ১৯৪৭ সালের এক স্মারকে উল্লেখ করা হয়: ‘১৯২০-এর দশকের শেষদিকে চলমান ইথিওপিয়ার ক্রীতদাসদের একটা বিস্তৃত ব্যবসার কথা উন্মোচিত হয়ে পড়ে; এখনো সেখানে মাঝে মাঝেই অপহরণ করে হতভাগ্যদেরকে দ্রুত দূরবর্তী উত্তরাঞ্চলীয় যাযাবরদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’২৬৯

আরো জঘন্য ঘটনা হলো: ১৯৮০’র দশক থেকে সরকার সমর্থিত ইসলামি পুনর্জাগরণ সাথে সুদানে সহিংস ক্রীতদাসকরণ পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে। ১৯৮৩ সালে প্রেসিডেন্ট জাফর নিমেরী’র নেতৃত্বাধীন ইসলামপন্থি সুদানি সরকার ইসলামবাদি নেতা ড. হাসান আল-তুরাবির প্ররোচনায় কৃষ্ণাঙ্গ খ্রিষ্টান ও সর্বেশ্বরবাদী (অ্যানিমিস্ট) অধ্যুষিত দক্ষিণ সুদানের সঙ্গে আরব-প্রধান উত্তরের একত্রীকরণ ঘোষণা দেয়, যার ফলে দক্ষিণের দীর্ঘকালের স্বায়ত্তশাসন বাতিল হয়ে যায়। সরকার সারা সুদানব্যাপী ঢালাওভাবে শরীয়তী আইন চালু করে। সরকারের লক্ষ্য ছিল জিহাদের মাধ্যমে বহুধর্মী ও বহুজাতিক পুরো সুদানকে একটি আরব-প্রভাবাধীন ইসলামি রাষ্ট্রে পরিণত করা।

প্রতিবাদে অমুসলিম-প্রধান দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্রোহীরা ‘সুদান পিপলস লিবারেশন আর্মি (এস.পি.এল.)’ নামে একটি প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলে কর্নেল জন গারাঙ-এর নেতৃত্বে। এর প্রতিউত্তরে ইসলামপন্থী সরকার আরব গোত্রীয় বেসামরিক বাহিনীকে (মিলিশিয়া) সশস্ত্র করতে থাকে। স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র-সজ্জিত বাকারা নামে পরিচিত এ সশস্ত্র মিলিশিয়া বাহিনী বিদ্রোহী ও তাদের প্রতি সহানুভূতিশীলদের বিরুদ্ধে সরকারের যুদ্ধ-প্রয়াসে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। সরকার-সমর্থিত এ রাহাজান দলগুলো গ্রামে গ্রামে হানা দিয়ে বয়স্কদেরকে হত্যা করে, নারী ও শিশুদেরকে অপহরণ করে, গরু-ছাগল ও শস্য লুটপাট করে এবং অবশিষ্ট সবকিছু পুড়িয়ে দেয়। ১৯৮৫ সালে ইসলামপন্থী সরকার উৎখাত হওয়ার পর কিছুদিনের জন্য এসব জঘন্য কর্মকাণ্ডের বিরতি ছিল। কিন্তু ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে তুরাবির শ্যালক ও আরেক ইসলামবাদী সাদিক আল-মাহদি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর পুনরায় জিহাদ জাগরিত হয়। আরব মিলিশিয়াদের আক্রমণ এবার ঠাণ্ডা মাথায় সুচিন্তিতভাবে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক হত্যার মিশনে পরিণত হয়; সে সাথে একই গতিতে চলে নারী ও শিশুদেরকে অপহরণ করে ক্রীতদাসকরণের পালা।২৭০

১৯৮৯ সালে আল-তুরাবি ও ‘ন্যাশনাল ইসলামিক ফ্রন্ট (এন.আই.এফ.)’-এর জেনারেল উমর আল বশিরের নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুত্থান (কু)-এর মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর আরব মিলিশিয়াদের ক্রীতদাস-শিকার তৎপরতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেয়। প্রেসিডেন্ট আল বশিরের স্বেচ্চাচারী ইসলামবাদী সরকার বিদ্রোহী ও তাদের শুভাকামীদের বিরুদ্ধে জিহাদ-অভিযানের কার্যকারক হিসেবে ‘পি.ডি.এফ.’ নামে একটি সশস্ত্র-বাহিনী গঠন করে। পি.ডি.এফ. হানাদারদের হামলার সবচেয়ে শোচনীয় শিকার হয় দক্ষিণ-পশ্চিমের বাহর আল-গাজাল প্রদেশগুলোর ‘দিনকা’ জনগণ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় কর্ডোফান অঞ্চলের ‘নুবা’ উপজাতির লোকেরা। মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণের নুবা পার্বত্য অঞ্চলের কৃষ্ণাঙ্গদেরকে এক ইসলামি ফতোয়া জারি করে ইসলামত্যাগী বলে ঘোষণা করা হয় বিদ্রোহীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার কারণে। জাতিসংঘের বিশেষ দূত গ্যাস্পার বিরো জানান, ফতোয়াটির ভাষ্য ছিল নিম্নরূপ

কোনো বিদ্রোহী, যে আগে মুসলিম ছিল, সে এখন ধর্মত্যাগী (মুর্তাদ) হয়ে গেছে; এবং অমুসলিমরা হলো অবিশ্বাসী, যারা ইসলামের প্রসারে প্রাচীরের মতো বাঁধা; ইসলাম এদের উভয়কেই হত্যার স্বাধীনতা প্রদান করেছে।

আজ পর্যন্ত দাসপ্রথা সৌদি আরব, সুদান ও মৌরিতানিয়ায় নানা আকারে অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি রয়টার ‘শ্লেইভারি স্টিল এক্জিস্ট ইন মৌরিতানিয়া’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। পালে পড়ে দেখেন।

২০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:১৫

বাঘ মামা বলেছেন: আপনার পোস্ট নিয়ে আমার অনেক কিছু বলার ছিলো,যার পুরো অংশ বলতে পারলে আপনি বুঝতে পারতেন।কিন্তু আমি কোনবারই ব্লগে বেশি সময় নিয়ে আসতে পারছিনা,বরাবরের মত আবারো সার সংক্ষেপে যেতে হবে।

বাঘ মামা তাহলেকি আমরা হাদীস দিয়ে জীবন গড়বো, নাকি হাদীস বাদে কোরআন মেনে চলবো?

হাদিস বাদ দেন এমন কথা বলার মত সাহস যুক্তি কোনটাই আমার কাছে নেই, তবে আমি যেটা নিজে বুঝে চলি সেটা হলো বিধাতা আমাদের একটা বিবেক দিয়েছেন জগতের সকল কিছু থেকে ধারালো।আমাদের এই বিবেক বুদ্ধি ব্রেইন যাই বলেন এটা ওনারি সৃষ্টি।কোরান আমাদের জন্য সংবিধান।সেখানে অনেক কথাই বলা আছে যা বিধাতা আমাদের মগজে দেননি। সুতরাং প্রথমত আমাদের কোরাণ দেখতে হবে এর পরের অংশই হলো আমাদের বিবেক কাজে লাগাতে হবে,সেখানে আমরা অসহায় হলে আমাদেরকে হাদিস খুজতে হবে।হাদিসের তথ্য আমাদের বিব্রত করলে আবার আমাদের বিবেকের কাছে ফিরে আসতে হবে, এইভাবেই ধর্ম চর্চা করলে অনেক সংঘাত থেকে সামলে থাকা যাবে।বিধাতা ধর্মে আমাদের জন্য অনেক নিয়ম নীতি সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন ,নবীজি আমাদের ভবিষ্যৎ অনেক সমস্যার সমাধান তার ৬৫ বছর বয়সে ডেমো হিসেবে দেখিয়ে গেছেন,বলে গেছেন।এই ডেমো গুলো আজকের জন্য আগমীর জন্য, এবং হাজার বছরের পরের জন্যও বটে।পৃথিবী আরো হাজার বছর বেঁচে থাকবেন হয়তো, এত দীর্ঘ সময়য়ের সকল সমস্যা সমাধান নবীজি স্বল্প পরিসরের সময়েই দেখিয়েছেন বলে অনেক কিছুই উঠে আসছে একসাথে তার সবগুলোই আমাদের স্বাভাবিক জীবন ও সময়ের জন্য নয় বলে আমার মনে হয়।

এবার আসুন ধর্মীয় বিষয়ে বিবেক কি জিনিস সেটা একটু বুঝি- আমাদের ধর্মে চার বউ এক সাথে রাখার নিয়ম করা আছে যদি আপনি সবাইকে সমান ভাবে চালাতে পারেন। এই সুবিধা পৃথিবীতে কেউ লুপে নিয়েছে কেউ এটা বিপক্ষে যুক্তি দাড় করিয়েছেন। যারা এটা লুপে নিয়েছেন এবং শর্ত মেনেছেন তাদের হয়তো বিধাতা শাস্তি দিবেননা কিন্তু একবার ভাবুনতো- আপনার ঘরে ৪ টা বউ ।রুমের চারটা দরজায় দাড়িয়ে,আপনি ঘরে ঢুকলেন,আপনার প্রতিটা বউ আপনাকে নিবিড় ভাবে চাইলো কিণ্তু সেখানে আপনাকে যে কোন একটাকে আগে প্রাধান্য দিতে হবে,আপনি যখন একজনের ঘরে প্রবেশ করলেন ভেবে দেখুন বাকি তিনজনের মনের অবস্থা।আমার এটা ভাবতে গা শিহরে উঠে। আমার মত এমন বহু মানুষ আছেন যারা এটা ভাবতে পারেননা, আবার এমন মানুষ আছেন তার কাছে এটা কোন ব্যপারিনা, ভাবতে না পারাটাই হলো বিবেক। আর ভাবতে পারার বিবেক হলো সাধারণ মানুষ যারা প্রতি নিয়ত হাদিস নির্ভরশীল হয়ে আছেন এবং হাদিসের কোন ভুল তথ্য নিয়ে চিন্তা করে নিজেকে চালিত করার শক্তি ওদের নেই,আমার হিসেবে তারা বিধাতার কাছে খুব বেশি প্রিয় হবেন বলে মনে হয়না।যাদের এমন অনুভুতি বিবেক নেই তাদেরকে হাদিস নির্ভরশীল হতে হয় সব ক্ষেত্রে।

আরেকটা উদাহারণ দেই- আমার ঘরে কিছু মোল্লা খেতে আসছে, খাবারের তালিকায় ডাল জাতীয় তরল খাবার ছিলো,সঙ্গত কারনেই সবার হাত খাবারের মাখামাখি অবস্থা, এখন হুজুর গুলো যেই হাতে খাচ্ছে সেই হাতেই চামচ ধরে খাবার নিচ্ছে। তাই চামচের হাতলে খাবার লেগে যাচ্ছে এবং সেই একি চামচ অন্যজনরা ধরতে বিব্রত বোধ করছে, আমি তখন বললাম- হুজুর আপনি বাম হাত ব্যবহার করেন চামচ ধরার সময়, তিনি বললেন ডান হাতে খাবার নেয়া সুন্নাত,আমাদের নবীজী বলে গেছে, আমি তখন বললাম -নবীজির সময়ে শুকনা রুটি খেজুরে প্রচলন ছিলো বেশি, তাই এসব খাবার ডান হাতেই নিয়ে খাওয়া যেত বা উচিৎ। আপনি এই সময়ে এসে ডাল দিয়ে খাবেন এবং হাতে এমন মাখামাখি হবে জানলে নবীজি হয়তো এই নিয়মটাও বলে যেতেন,সব কিছু হাদিস দিয়ে বিচার করতে হবে কেন,আপনার কি বিবেক বুদ্ধি নেই? এটা বলার পর যা হবার তাই হলো, হুজুর খাবার থেকে উঠে দাড়ালেন এবং আমাকে আস্তিক নাস্তিক বেদাত সহ যত রকম ফতোয়া আছে দিয়ে বসলেন।
এই শ্রেনীর লোক গুলোর জন্যই হাদিস খুব বেশি জরুরী যারা সময়ে বিবেক ব্যবহার করতে শিখেনি।আল্লাহ নবীজি জানতেন যে তার বান্দা উম্মতের মধ্যে এমন এক রোখা বিবেকহীন কিছু মানুষ আসবে দুনিয়াতে যারা এক মুহুর্ত নিজের বুদ্ধি দিয়ে কোন ভালো কাজ করতে পারবেনা।

( আবার আসছি পরে)

২১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

জোৎস্নাআলো বলেছেন: Vai, apni namaj poren ki? jodi poren, tahole amake apni bolen, namaj porar system apni kottheke pelen, ami challange korte pari quran er kuno jaygay namaj kivabe porte hobe tar shunirdishto niyom ullekh nei. apni hadith jodi na manen, tahole namaj quraner systeme kivabe porte hoy amake ektu shikhiye deben plz, amra quran shorif shudhu matro onushoron korte parbona, janina, apni alem kina, jodi hon, tahole apni janen, nos koto prokar? kuraner bivinno jaygay bivinno ayate nanan kichu shudhu matro ishara ingite bornito hoyeche, apni jodi sheshob er byakkha chan, tahole hadis to portei hobe, must. Amar to mone hoy, apni adow namaj porenna, naki nijer bibek buddhi die poren? amar kothar jobab deben plz.

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৪

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: জোৎস্নাআলো আপনি বলেছেন:Vai, apni namaj poren ki? jodi poren, tahole amake apni bolen, namaj porar system apni kottheke pelen, ami challange korte pari quran er kuno jaygay namaj kivabe porte hobe tar shunirdishto niyom ullekh nei আপনার এই কথায় কোরআনের ভাবমূর্তী খুবকি উজ্জল হলো? আপনার কথা মত কোরআনে এই নেই সেই নেয় যা হাদীসে আছে। তাতে আপনাদের মত গাধারা কোরআনকে খাটো করলো। কোরআনে যা নেই তা হাদীসে আছে, তার মানে হাদীসকে কোরআনের উপরে স্থান দিচ্ছেন?

২২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

জোৎস্নাআলো বলেছেন: Biday hajjer vashon jodi apni manen, taholoe rasul (SM) er shesh diker ekta kotha apnake shoron koriye dite chai, tini bolen,
tomra jodi duti jinish valo vabe akre dhoro tahole tumra pothvroshto hobena, e duti jinish holo 1.Al-Quran 2.Al-Hadith .

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: রাসুল (সা) কখনো বিদায় হাজ্জ্বের ভাষনে একথা বলেননী। তিনি বলেছেন তোমাদের জন্য রেখে গেলাম কোরআন ও আহলে বায়াত। হাদীস রাসুল লিখতে মানা করেছেন তায় চার খলিফা হাদীস সংকলন করেনি।

আমাদের কে বুঝতে হবে কোরআন আর হাদীস কখনো এক হতে পারে না। অনেকেই বলবে কোরআন আর হাদীস তো এক নয় আপনি বলছেন কেন। আমি অনেককে বলতে শুনেছি যে কোরআনে অনেক কিছু নাই তায় হাদীস দেখতে হয়! তার মানে আল্লাহ্ কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হলো যে, তার কোরআনে যা নাই হাদীসে তা আছে। কোরআন পড়লেই বোঝা যায় আল্লাহ্ কোরআনের বিধান দিয়ে ফায়সালা করতে বলছে কখনো বলেনী হাদীস দিয়ে ফায়সালা কর।

৫। সূরা মায়েদাহ ৫:৪৭ আয়াতঃ

وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ অর্থঃ যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।



৬। সূরা কাহফ ১৮:৫৪ আয়াতঃ

وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا

অর্থঃ নিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।



হাদীস লিপিবদ্ধ করা রাসুলের বারণ ছিলো নিম্নের হাদীস গুলি দেখি।

হযরত আবু ছাইদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন যে, কোরআন ব্যতীত আমার কোন কথাই লিখিও না। আর কোরআন ব্যতীত আমার নিকট থেকে অন্য কিছু লিখে থাকলে, তা যেন মুছে ফেলা হয়।” [ দ্র: সহিহ্ মুসলিম, আ. ফা. ভুইয়া, ১ম খ. ১ম সংস্করণ, পৃ: ৫১]

শরীয়তি আলেমরা কি সব মুছে ফেলেছে?

আমার কাছ থেকে তোমরা কোরান ছাড়া আর কিছুই লিখবেনা। যদি কেউ লিখে থাকে তবে অবশ্যই তা নষ্ট করে ফেল।'' -সহিহ মুসলিম, ভলিউম১, পৃষ্ঠা ২১১, হাদীস নং ৫৯৪, প্রিন্টার-মতকবে আদনান, বৈরুত,১৯৬৭।

শরীয়তি আলেমরা কি সব নষ্ট করে ফেলেছে

হাদীসটি সম্বন্ধে বিশ্বের সকলেই একমত; আবার বিশ্বের সকলেই (শরীয়ত) হাজারো ফন্দি-ফিকির, কুট-কৌশলে হাদীসটি বাতিল বলে সাব্যস্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকেন।

আসুন আমরা কোরআনের আলোয় আলোকিত হই। আল্লাহ আমাদের সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করুন----আমেন

রসূলের আনুগত্য প্রকাশ করার অর্থ এই নয় যে, রাসুলকে বাদ দিয়ে (মানুষ) বোখারী সাহেবদের আনুগত্য করতে হবে। আল্লাহ্ রাসুল মানতে গিয়ে কোরআন ও হাদীসের কারনে তাদের মধ্যে বিষদ পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে



হাদিছ সংকলনে খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের ভূমিকা


হযরত আবুবকর

প্রথম খলিফা হযরত আবুবকর ছিদ্দীক (রা) নিজে পাঁচ শত হাদিছের

এক সংকলন তৈরি করেছিলেন। কিন্তু জীবনের শেষ ভাগে তিনি নিজেই তা বিনষ্ট করে ফেলেন (জ্বালিয়ে ফেলেন)। এর কারণ স্বরূপ মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন যে, হাদিছসমূহ সংকলন করার পর তিনি মোটেই স্বস্তিলাভ করতে পারেননি। তার মনে কয়েক প্রকার ভয়ের সঞ্চার হয়। তিনি এজন্য ভাবিত হয়ে পড়েন যে, তাঁর সংকলিত হাদিছ সমূহের মধ্যে একটি কথাএকটি শব্দও যদি রাছুল করিমের মূল বাণীর বিন্দুমাত্রও বিপরীত হয়ে পড়ে, তা হলে রাছুলের কঠোর সতর্কবাণী অনুযায়ী তাকে জাহানড়বামের ইন্ধন হতে হবে।

দ্বিতীয়ত তার মনে এই ভয়ও জাগ্রত হল যে, তার সংকলিত হাদিছ

গ্রন্থকে মুসলিম জনগণ যদি কোরানের সমতুল্য মর্যাদা দিয়ে বসে কিংবা অন্যান্য ছাহাবীদের বর্ণিত ও সংকলিত হাদিছ অপেক্ষা অধিক মর্যাদা দিতে শুরু করে, তা হলেও মুসলমানদের পক্ষে বিশেষ ক্ষতির কারণ হইবে। তার ফলে হাদিছ সংকলনের ক্ষেত্রে ব্যাপক কাজ ও অগ্রগতি ব্যাহত হতে পারে। এই সব চিন্তার ফলেই তিনি তা নষ্ট করে ফেলেন। ব্যাপারটিকে আমরা যতই গভীর ও সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে বিচার করে দেখি না কেন, একে একটি বিশেষ মনস্তাত্ত্বিক ও মানসিক অবস্থার পরিণাম বলা ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না-।”



হযরত ওমর ফারূক

হযরত ওমর ফারূক (রা)-এর সময়ই সরকারি পর্যায়ে বিচ্ছিনড়ব হাদিছ সম্পদ সংকলন ও লিপিবদ্ধ করা হয় এবং সু-সংবদ্ধ করে নেয়ার প্রশ্ন সর্বপ্রথম উত্থাপিত হয়। হযরত ওমর (রা) নিজেই এই বিরাট কাজ সম্পন্ন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং এ সম্পর্কে অন্যান্য ছাহাবীর সঙ্গে পরামর্শও করেছিলেন। মুসলমানরা তাঁকে এর অনুকূলেই পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁর নিজের মনেই এই সম্পর্কে দ্বিধা ও সন্দেহের উদ্রেক হয় যে, এটা করা সমীচীন হবে কিনা! তিনি প্রায় একমাস কাল পর্যন্ত অনেক চিন্তা-ভাবনা ও ইস্তেখারা করতে থাকেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই একদিন বললেন: ‘আমি তোমাদের নিকট হাদিছ লিপিবদ্ধ ও সংকলিত করার কথা বলেছিলাম, একথা তোমরা জান। কিন্তু পরে মনে হল তোমাদের পূর্বের আহ্লে কেতাব লোকেরাও এমনিভাবে নবির কথা সংকলিত করেছিল, ফলে তাঁরা তাই আঁকড়ে ধরল এবং আল্লাহর কিতাব

পরিত্যাগ করল। আল্লাহর শপথ, আমি আল্লাহর কিতাবের সাথে অন্য কিছুই মিশ্রিত করব না।’ অতঃপর তিনি হাদিছ সংকলিত করবার সংকল্প ত্যাগ করেন-।”



হযরত ওসমান

হযরত ওসমান [রা] নিজে হাদিছ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু খুব অল্প সংখ্যক হাদিছই তার নিকট হইতে বর্ণিত হয়েছে। এর কারণ প্রদর্শন সম্বন্ধে তিনি নিজেই বলেছেন: ‘রাছুলের ছাহাবীদের মধ্যে রাছুলের অধিক হাদিছ সংরক্ষণকারী আমি নই; এই কারণটি আমাকে রাছুলের হাদিছ বর্ণনা করা হতে বিরত রাখে নি। বরং হাদিছ বর্ণনা হতে বিরত থাকার কারণ এই যে, আমি নিজেই রাছুল করীমকে [সা] এই কথা বলতে শুনেছি বলে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাছুল যা বলেননি তা যদি কেউ তার উপরে আরোপ করে তবে সে যেন জাহানড়বামে তাঁর আশ্রয় খুঁজে নেয়।’ হযরত ওসমান অল্প কয়েকটি হাদিছ বর্ণনা করা ছাড়া অপর কোনো বৃহত্তর খিদমত করেছেন বলে কোথাও উল্লেখ পাওয়া যায় না।



হযরত আলী

যে কয়জন ছাহাবী নিজেদের হাতে রাছুলের নিকট শ্রুত হাদিছ লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলেন, হযরত আলী [রা] তাঁহাদের অন্যতম। তিনি কোরানের ব্যাখ্যা ও বিশে−ষণ সম্পর্কে কয়েকটি হাদিছ রাছুলের নিকট হতে শ্রবণ করে লিখেছিলেন। - একে ভাঁজ করে তিনি তাঁর তলোয়ারের খাপের মধ্যে রেখে দিয়েছিলেন। এতে ব্যবহারিক কাজ-কর্ম সংক্রান্ত হুকুম আহকামের কয়েকটি হাদিছ লিখিত ছিল। (সূত্র-হাদিছ সংকলনের ইতিহাস; মু: আ: রহিম; ১ম সংস্করণ, সলামিক ফাউন্ডেশন; ৬ষ্ঠ প্রকাশ, পৃ: ২৯০-৩০০, খায়রূন প্রকাশনী;, পৃ: ২৯০ ও কোরান বনাম শরিয়ত


(ক) কোরআন বাদে আমিকি হাদীস দিয়ে ফায়সালা করবো?

(খ) কোরআন বাদে আমরা কি হাদীস দিয়ে ফায়সালা করছি না?

(গ) আমরা কি তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের নামে বেশীর ভাগ'ই

হাদীসের বয়ান করছি না?

কোরআনের পাশে হাদীসকে জুড়তে গিয়ে আলেমরা অনেক মতবাদ সৃষ্টি করেছে, তর্ক সৃষ্টি করেছে। সাড়ে তিন থেকে চার শত বছর মানুষের মুখে মুখে ধরে রাখা কথা যে রুপ কথার গল্প হতে পারে যা কেবলী আন্দাজ আর অনুমানের ভিত্তি ছাড়া বিশ্বাসের কোন পথ নাই। এই সম্পর্কেও কোরআনে আল্লাহ্



৫। সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে বলেছেনঃ

وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ

অর্থঃ বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।

(ক) আমরা আজ যে হাদীস পড়ছি তা কি আন্দাজের উপর নয়?

(খ) হাদীস কি কখনো পৃথিবীতে লিখিত আকারে ছিলো? যে ভাবে

কোরআন ছিলো?


পৃথিবীতে এত নবী রাসুল আসলো কেবল মুহাম্মাদের উম্মতদের বেলায় হাদীস দরকার হলো?

ক। ঈশা (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?

খ।ইব্রাহীম (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?

গ। ইসমাইল (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?

ঘ। ঈশাহাক (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?

ঙ। ইদ্রীশ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?

চ। ইয়াকুব (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?

ছ। ইউসুফ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?

আসুন বোখারী সাহেবদের উম্মত না হয়ে প্রকৃত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উম্মতে পরিনত হই।

আল্লাহ্ কি বলেন চলুন দেখি:
পৃথিবীতে এর আগেও বহু নবী রাসুল এছেছিলো। তাদেরও চলা, কথা বলা এমন সব কিছুই সেই সব নবী রাসুলরা করেগেছে। কিন্তু তাদের উম্মতদের প্রয়োজনে সেই সব হাদীস গ্রন্থ কি ছেলো? সেই সব হাদীস গ্রন্থ কি আছে? অনুমান বড় গুনাহ্।

সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে আল্লাহ্ বলে

وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ

অর্থঃ বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।





আল-হাদীস আর জাল হাদীস কোনটায় কোনআন সমর্থন করে না। আল্লাহ্ কেবলী তার কিতাবের কথা বলে এবং এও বলে যে এই কোরআনের সংরক্ষ সে নিজেই। আর হাদীস (মুখে মুখে চার শত বছর ধরে ছিলো) মানুষের লিখা এর সংরক্ষ সয়ং মানুষ নিজেই।

১। আল্লাহ্ কোরআনের সূরা কাহফ ১৮:২৭ আয়াতে বলেনঃ

وَاتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِن كِتَابِ رَبِّكَ لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَلَن تَجِدَ مِن دُونِهِ مُلْتَحَدًا

অর্থঃ আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না।



২। সূরা ইয়াসিন ৩৬:৬৯ আয়াতঃ

وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُّبِينٌ

অর্থঃ আমি রসূলকে (নিজস্ব কথা) কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।

৩। সূরা আনকাবুত ২৯:৪৮ আয়াতঃ

وَمَا كُنتَ تَتْلُو مِن قَبْلِهِ مِن كِتَابٍ وَلَا تَخُطُّهُ بِيَمِينِكَ إِذًا لَّارْتَابَ الْمُبْطِلُونَ

অর্থঃ আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেননি এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা কোন কিতাব লিখেননি। এরূপ হলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত।



লিখার ৩ নং সূরায় আল্লাহ বলছে রাসুল তার নিজ হাতে কিছু লিখেনী। এইরকম কিছু লিখলে মুশরেক, মিথ্যাবাদীরা সন্দেহ পোষন করতো, বা বিতন্ডা করতো। কেন একজন সফল সয়ং সম্পূর্ণ রাসুল তার উম্মতদের জন্য হাদীস লিখলেন না তা ভাবতে হবে। কেনই বা তার চার জন খলিফা এই গুরু দায়ীত্ব পালন করলেন না। তবে কি তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে! নাকি হাদীস লিখা তাদের জন্য নিষেধ ছিলো? যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে এবং তার বিনিময়ে কিছু অর্থ উপার্জন করে তাদের সম্পর্কেও কোরআন এর

৪। সূরা বাবারা ২:৭৯ আয়াতে বলেছেঃ

فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَـذَا مِنْ عِندِ اللّهِ لِيَشْتَرُواْ بِهِ ثَمَناً قَلِيلاً فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُمْ مِّمَّا يَكْسِبُونَ

অর্থঃ অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।

বললে অনেক বলা হবে, তবে এই রকম অনেক নবী রাসুল পৃথিবী থেকে বিদায় নিলো তাদের উম্মত গুলি কিসের ভিত্তিতে ইবাদত করলো বা চললো। অনুমানের চর্চা না করে কোরআনের সঠিক চর্চা করুন। আল্লাহ্ যেন সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করেন---আমেন

২৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২৩

জোৎস্নাআলো বলেছেন: Tachara, rasul (SM) er kotha ,kaj o mouno shommoti k sunnah bole. jar biboron hadis chara onno kuthaw pawa oshomvob . Apni ki tahole sunnat namaj o manenna? Sunnat kaj kormo o manenna?
Sunnat e muakkadar nam to shunechen , ja owajib er kachakachi, apni to mone hoy oigualo bad diben. Aree, mia, nijer matha khatan, tarpor hadis nie chinta koren, namaj koy rakat ta ki apni hadith theke panni? kun wakter namaj koto tuku shomoyer moddhe porte hobe ta o to apnar janar kotha na, namaj holo kufri r islam er majhe parthokko, apni jodi shetai gorbor koren, taholeapnar islam shomporke kotha bolar kuno odhikar nai.

২৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২৭

জোৎস্নাআলো বলেছেন: Shunen vai, torkatorkir moddhe jeye lav nai, Rasul (SM) bolechen,
Amar ofater por shesh jamany amar ummot 73 ta dole vag hobe, er moddhe 72 ta jahannami , only one 1 ta jannati.
Apni mone hoy eidao manenna? ki bolen?

২৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

জোৎস্নাআলো বলেছেন: Tachara hadith shomporke apni kototuku janen? hadis er prokarved ase sheta janen, ? Bukhari (RH) nijei bolechen , tar hadith er moddhe 7000 or something holo full sohih, bishuddho, jar byapare tar kunoi shondeho nai, kintu onek hadith ase jeta gorib, ba totota valo noy, shondeho jukto, erpor ase dubol hadith, jar bornona kari valo na, apni vai kuttheke physics e masters kore ekhane kahini korchen,? manush k vul pothe porichalito korar kuno odhikar apnar nei. nijer jodi hadis bisshash korte koshto lage, r iccha na kore, taile apni bad den, onnoderke dhukay feilenna, ..

২৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৪৪

মাসূদ রানা বলেছেন: @সেলিম জাহাঙ্গীর

এখনতো অনেক অসহায় গরীব দু:খি আছে তারাও কি পেট চালানোর জন্য স্বেচ্ছায় দাসত্ব বরন করবে? এটা একটা খোড়া যুাক্তি।

স্বেচ্ছা দাসত্ব তো খারাপ কিছু না। নিজের শ্রম আর কাজের বিনিময়েই সে তার জীবিকা নির্বাহ করছে ........ আমার মতে এটা ভিক্ষাবৃত্তি কিংবা পতিতাবৃত্তির চেয়ে উৎকৃষ্ট ।

আপনি কোথায় দেখাতে পারবেন না যুদ্ধ জয়েরপর যুদ্ধবন্দিনীদের ইসলাম ছেড়ে দিয়েছে।

কেন ছেড়ে দিবে ?

আপনি কোরআনের সূরা আল বালাদ এর ৯০ নং আয়াত দিয়ে দেখিয়েছেন দাস মুক্তির কথা। আপনার মাথায় ঘিলু থাকলে ঠিকি বুঝতের দাসরা অর্থ হিসাবে বিনিময় হতো, কাপফারা হিসাবে দাস মুক্তি দেওয়া হতো। দাসকে যখন কাপফারা হিসাবে মুক্তি দেওয়অ হতো তখন দাসকেতো অর্থ কিংবা মাল হিসাবেই মানুষ রাখতো, প্রয়োজনে তাকে বিক্রিও করা হতো এটা ইতিহাস বলছে। আমার কথা ইসলাম এটা রাখার;ইবা বিধান কেন দিলো।

কাফফারা হিসেবেই মুক্তি দেয়া হোক আর যেভাবেই হোক, মুক্তি দেয়া হতো এটাই বাস্তবতা । স্বীকার করার জন্য ধন্যবাদ :)

আপনি কি শিকার করেন ইসলাম দাসদের যৌনসম্ভোগের অনুমোতি দিয়েছে?


ইসলাম দাসদের সাথে ব্যাভিচার করার অনুমতি দিয়েছে এটা ঠিক নয়। তবে দাসদেরকে বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছে, যা প্রাক ইসলামী যুগে আরবদের মধ্যে নিষিদ্ধ ছিল ; ইহুদিরা দাসীদের ভোগ করতো কিন্তু বিয়ে করতো না । আমনার সুবিধার্থে পবিত্র কোরানের একটি আয়াত উপস্থাপন করলাম :)

"And if you fear that you shall not be able to deal justly with the orphan girls then marry (other) women of your choice, two or three, or four; but if you fear that you shall not be able to deal justly (with them), then only one or (slaves) that your right hands possess. That is nearer to prevent you from doing injustice”

[al-Nisa’ 4:3]

ভালো থাকুন ।

২৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯

জোৎস্নাআলো বলেছেন: onek mubarakbad @masud rana, apni chomotkar likhechen.

২৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:৪৩

বাঘ মামা বলেছেন: মাসুদ ভাই আর সেলিম ভাই আপনাদের যুক্তি তর্ক গুলো পড়লাম, এই পোস্টের টপিক ছিলো গনিমতের মাল হিসেবে নারীদের ব্যবহার বন্টন নিয়ে। আমি এই টপিক থেকে সরে গিয়ে হাদিসের সংগ্রহ সংস্কার ও সত্যতা বিষয়ে মতামত দিয়েছিলাম,কারণ হাদিসে উল্ল্যেখিত অনেক বিষয় আমাদের বিব্রত করছে বলে আমাদের জানতে হবে হাদিস গুলো কিভাবে আসছে আজকের এখানে।

আপনারা খুব শক্তভাবে হাদিসের পক্ষে বিপক্ষে দাড়িয়ে আছেন দুজন, ধর্ম ধ্যান এবং অনুধাবন সম্পুর্ন তিক্ষ্ম অনুভুতির বিষয়।এসব হাতুড়ি বাটাল নিয়ে তেড়ে আসার মত কিছু নয়।কিংবা কে কি করছে,কোথায় কিসের প্রচলন,কিংবা কোন পুস্তকে কি আছে সেসব দিয়ে আপনি হাদিস কে প্রতিষ্ঠা বা প্রমান করতে পারবেননা। আমি আগেই বলেছি এগুলো একান্তুই নিজের বিবেক বুদ্ধি বিবেচনার বিষয়। যাহাতে যুক্তি নেই সেটা ধর্ম নহে।যাহা বিবেকহীন তাহা ধর্ম নহে, ইসলাম তো নয়ই।

আসুন আমরা ধর্ম থেকে দুরে সরে একটু নিরপেক্ষ যায়গায় দাড়িয়ে চিন্তা করি গনিমতের মাল নারীর ব্যবহার বন্টন ভোগ নিয়ে- যুদ্ধে জয়ী হয়ে কাফেরদের হত্যা কিংবা আটক করে তাদের স্ত্রী বা মা বোনদের আপনি নিয়ে আসলেন আপনার কব্জায়,এই নারী গুলো যেই ধর্মের হোক তারা মানুষ,আল্লাহই বানিয়েছেন। এই নারী গুলোর মানের অবস্থা চিন্তা করুন, যুদ্ধে এদের বাবা ভাই স্বামী নিহত বা বন্ধি হয়েছেন। এমত অবস্থায় আপনি এদেরকে শারীরিক ভাবে ব্যবহার করছেন।সেই নারী কি স্বাচ্ছন্দে আপনার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে পারবে? এটাকি আদৌ সম্ভব? দুনিয়াতে কি এমন নারী সৃষ্টি হয়েছে যারা নিজের অনিচ্ছায় অন্যের ইচ্ছেয় নিজেকে সমর্পন করবে অন্যের হাতে হাসিমুখে?বাদ দেননা হাদিস বোখারি মুসলিম যত যা আছে। আপনার সামনে কোন নারী এই মুহুর্তে থাকলে তাকে একটু প্রশ্ন করুন,তার আপন জনের মৃত্যু বা বন্ধি অবস্থায় সে কতটা অবলীলায় নিজের শরীর অন্য অচেনা পুরুষকে দিতে পারবে? এই সাধারণ বিষয়টা বুঝতে কেন আপনাদের পাতায় পাতায় প্রমান দিতে হচ্ছে এখানে আমাকে একটু বলবেন? আপনি আমাকে বিশ্বাস করতে বলেবন আল্লাহ যেই মানুষের মন মগজ বানিয়েছেন যিনি তার বান্দার মনে বাস করেন তার বিপক্ষে এমন নিয়ম তৈরী করবেন? তিনি অপরাধের জন্য হত্যা করতে বলবেন সেটা মানা যায় কিন্তু শরীর সম্পর্ক সৃষ্টি করতে বলবেন অসহায় নারীর উপর এমন কথা আমি অন্তত আমার আল্লাহ বলেননি সেটা আমি নিশ্চৎ।যদি চারটা হাদিস কেন চার শত হাদিস বই আমার সামনে এনে রাখলেও আমি দু-হাতে তা ঠেলে দেবো অন্তত এই বিষয়ে।

শরীর একমাত্র ভালোবাসার বিনিময়ে হতে পারে, এর বাইরে আর যতগুলো উপায় আছে তা সবগুলোই অবৈধ হোক সেটা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। কোন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যদি ভালোবাসা না থাকে তারা যদি শরীর সম্পর্কে যায় স্ত্রীর অবাধ্যে তাহলেও সেই স্ত্রী স্বামী কর্তৃক ধর্ষিত হচ্ছে বলেই আমি বলবো।আর গনিমতের মাল?প্রশ্নঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈ উঠেনা।

(আবার আসবো)

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: বাঘ মামা আপনার ২৮ নং কমেন্টস এর সাথে আমি একমত। আপনি যা বলেছেন তা আমার মনের কথাই বলেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, তবে শুরুতে আমি আপনাকে বুঝতে পারিনী। ভালো থাকবেন।

২৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:২৮

মাসূদ রানা বলেছেন: @বাঘমামা,
এই নারী গুলোর মানের অবস্থা চিন্তা করুন, যুদ্ধে এদের বাবা ভাই স্বামী নিহত বা বন্ধি হয়েছেন। এমত অবস্থায় আপনি এদেরকে শারীরিক ভাবে ব্যবহার করছেন।সেই নারী কি স্বাচ্ছন্দে আপনার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে পারবে?

বিপরীত দিকটা ভাবুন। তাদের বাবা, ভাই, স্বামীর নিহত বা বন্দি হবার কারন কি ।

৩০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

জোৎস্নাআলো বলেছেন: apni amar onno comment gulur, uttor denni, r , quraner upore hadith k pradhanyo deyar kotha ami bujhate chaini, apni namaj kivabe poren, kindly bolben? r tachara, quran o hadith jodi, eke oporer birodhi mot pushon kore, tahole, apnar uchit hobe quran follow kora. tobe emon hadith onek kom, o nei bollei chole, , jara hadith k bishwash korbena, tara obosshoi kafir. apni onno dhormer reference den, onno dhormo r amader dhormo ki ek? apni eta kivabe bolen j, onno dhorme ja deyni ta amader dhorme deya jabena, allah ja iccha, tai koren,, Allah Bolechen,
Atiullaha Owa Atiurrasul, Owa ulil amri minkum .
(ami arbi likhte parina, sorry.)
asha kori ei ayat ta porrechen. ekhon apni bolen, kottheke apni rasuler onushoron korben? tar kaj kormo shombolito, o bani shombolito gronthoi hadith, are vai, Hadis shobder ortho janen? er ortho holo, Bani, kotha. er shonga holo, Rasul (SM) er kotha kaj o mouno shommoti k hadith bole, ekhon to dekha jacche apni islam k kete kete chuto korte korte nai kore diben. Quran shorif otyonto shundor o marjito vashay najil hoyeche, kintu er byakkha to koreche manush, tahole apni tader k keno bisshash koren? jekhane islamer ekti otib gurutyopurno bishoy hadith er shongkolon korechen, Bukhari (RH), Muslim (RH) ebong onekei.
Ekhon onno kotha, apni bolechen, hadith keno Muhammad (SM) shomoy kora holona ? er karontao hadith e ullekh ache. Hujure Karim (SM) er kache jokhon tar kotha gulo lijkhe rakhar onumoti chan sahabira, tokhon tini nishedh koren , kenona, tohkkon Quran najil hocchilo, ebong arbi lekhay hadith o quran mile jawar ashonka chilo. ebong oboosshoi islamer shotru munafique ra islamer vetor theke shotruta korchilo, tai nabi (SM) hadith shongkolone badha den, erporer jamanay ashi, Khalifa der amole, jara shoyong nabi (SM) er kach theke hadith shomporke obogoto chilen, tara eta shongkolon korenni , kenona, tara nijerai nobi (SM) er mukh theke shunechilen, ebong tarai sheshob bornona korten. Er por jokhon sahaba ser jamana shesh holo, tokhon tabe-e ra prothom hadith shongkolon shuru koren, ইমাম বুখারি (র) ekjon tabe-e chilen. Apni budh-hoy, keno rasul (SM) hadis shongkolon korte bolenni ta bujhte perechen.

৩১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: ভাই, আপনার কথা বুঝলাম। এখন ব্যাপার হল- বোখারী (রাঃ) যেই হাদিসগুলো সংগ্রহ করেছেন তা কোরআন ও নবীজির (সাঃ) কথা অনুসারে কতটা ঠিক করেছেন তা বির্তকিত হতে পারে। কিন্তু তার উদ্দেশ্য ভাল ছিল এটা নিষ্চয় বলা যায়, তিনি চাইতেন আমরা যেন নবিজী (সাঃ) এর জীবনপ্রনালি অনুসরন করতে পারি ( ভুল বুঝবেন না, কোরআনকে অনুসরন করা ফরজ এবং এর অগ্রাধিকার আগে) কিন্তু জিবনে এমন কিছু বিষয় পাবেন যেটা কোরআনে পরিস্কারভাবে ব্যাখ্যা দেয়া নাই।
আপনি বলছেন যে, খলিফারা তো এটা করেন নি। উনারা যে এটা করেননি এই তথ্যটাও কিন্তু আপনি হাদিসের মাধ্যমেই, জানতে পেরেছেন। কোরআনের কোথাও বলা নাই খলিফাদের রাজত্বের কথা তাহলে আপনি জানলেন কেমনে? হতে পারে খলিফাদের সময় (নবিজির ইন্তেকালের পর) নবীজির জিবন প্রনালি তখনকার সময়ও তাদের মনে, সৃতিতে প্রত্যক্ষ ছিল বিধায় তাদের এগুলো সংগ্রহ বা সংরক্ষন করার প্রয়োজন ছিল না, (আমি তাদেরকে খাট করছি না শুধুমাত্র প্রয়োজনের কথা বলছি)। যেমনটা আমাদের মোবাইলের ফোনবুক প্রত্যক্ষ থাকায় সব নাস্বার লিখে রাখার প্রয়োজন নেই। এখন কথা হল যে, নবিজী যেখানে নিজে বলে গেছেন উনার হাদিসকে সংগ্রহ না করতে সেখানে আমরা কেন তা করব (বোখারি সাহেব কেন করলেন) ? নবীজি যে মানা করেছেন তাও আপনি হাদিসের মাধ্যমেই জানতে পেরেছেন (যেটাকে আপনি মানতে চাইছেন না) । আপনি একটা জিনিস মানবেন না অথচ সেখান থেকেই রেফারেন্স দিবেন এটা কেমন বোকামি হয়ে গেল না?
এবার মূল প্রসংগে আসি আমি নিষ্চয় একটা বিষয়ে একমত হব যে, ৪০০ বছর পরে লোক মুখে সংগ্রহ করা হাদিসের মধ্যে ভূল থাকাটা স্বাভাবিক (আল্লাহই ভাল জানবেন)। এখানে ইসলামে (হাদিসে) কোন বিব্রতকর অবস্থা পরতে হবে এমন কিছু থাকলে বুঝতে হবে কোথাও কোন ঘাপলা হয়েছে। আমাদের মস্তিক, বিবেক, প্রজ্ঞা দ্বারা কোন জিনিস যদি না বুঝি বা যুক্তিসংগত মনে না হলে আমরা তা থেকে বিরত থাকব সেটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে (গোরামি করা আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি না)। এই প্রসঙ্গে আমি ”বাঘ মামার” ২৮ নং মতামতের সাথে সম্পূর্ন একমত।
তবে আপনি যদি ভালভাবে দেখেন হাদিসের শতকরা ৯৫% কথা, আদেশ বা মতামত কিন্তু আমাদের সমাজের বা ব্যক্তি জিবনের ভালর কথাই বলছে। আমরা সেসব অনুসরন করব (অন্ধভক্তি নয়) । হতে পারে তিনি (নবীজি সাঃ) এইসবের অনেক কিছুই বলেছেন আবার হয়তবা অনেকিছুই বলেননি (আল্লাহই ভাল জানবেন), সেটা মূখ্য নয় কিন্তু ভাল ব্যাপারগুলো তো অনুসরন করতে আপত্তি থাকার কথা নয়।
নবিজির হাদিস মানা (বির্তকিত নয় যুক্তিসংগত হাদিস) মানেই যে কোরআনের উপরে স্থান দেয়া এই থিওরী আপনি কোথায় পেলেন? পৃথিবীর কোন মুসলমানই এমন দাবি করবে না যদি কেউ করে তাহলে সে মুসলমান থাকবে না। কোরআন বলছে নামাজ কায়েম করতে, যাকাত দিতে, রোজা রাখতে আর হাদিসের মাধ্যমে আমরা শিখতে পারছি কিভাবে নামাজ পরতে হবে, কিভাবে যাকাত দিতে হবে, কিভাবে রোজা রাখতে হবে ইত্যাদি, তাহলে কোরআনের উপরে স্থান দেয়া হল কিভাবে? বরং কোরাআনকে কিভাবে সঠিকভাবে পালন করা যায় তার ব্যাখ্যা করা হয়েছে, কোন মৌলিক বিষয়ে সংর্ঘষ হলে অব্যশই কোরআনকে প্রাধান্য দিতে হবে। (দয়া করে উল্টাপাল্টা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না)।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কথা হল, নবীজির আমলে কোরআন থাকা সত্তেও সাহাবিরা কিন্তু প্রতিনিয়তই সাধারন জিবনের সাথে জড়িত কোন সমস্যায় পড়লে অথবা কিছু জানার কৌতূহল হলে নবীজিকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করতেন, তিনিও কোরআন ও নিজের প্রজ্ঞা দ্বারা উত্তর দিতেন (বলতেন না যে আমাকে প্রশ্ন করো না কোরআনের কাছে যাও)। কিন্তু আমরা সমস্যায় পরলে কার কাছে প্রশ্ন করব..? সুতরাং উনার মতামত গুলো (যুক্তিযুক্ত হাদিস) থেকেই আমাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর খুজতে হবে।
পরিশেষে বলতে চাই কোন বিরোধ নয়, আমরা সবাই চাই একটা সত্য ও শান্তিময় ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে। কারো দ্বিমত থাকতেই পারে তার মানে এই নয় যে, সত্য মিথ্যা হয়ে যাবে..তাছাড়া ছুরি, চাপাতি নিয়া নামতে রাস্তায় নেমে পরতে হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্যের পথে পরিচালিত করুন। আমিন।।

৩২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:১০

জোৎস্নাআলো বলেছেন: @biborno shovyota
Apni amar moner kotha bolechen, dhonnobad, amar mone hoy, uni ektu beshi research kore load nite parenni, othoba kuno ateler pallay porechen, nahole uni keno emon sporshokator bishoy nie torko kore kafir howar proyash chalaben? Allah take diner shothik bujh ebong gyan dan korun, Amin .

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আল্লাহ্ সকল মানুষকে কোরআনের জ্ঞান দান করুন----আমেন

৩৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬

জোৎস্নাআলো বলেছেন: হাহাহাহা বেচারা ।

৩৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: বিবর্ন সভ্যতা ৩১ নং কমেন্টে আপনি বলেছেন: প্রশ্ন ১। : উনারা যে এটা করেননি এই তথ্যটাও কিন্তু আপনি হাদিসের মাধ্যমেই, জানতে পেরেছেন। কোরআনের কোথাও বলা নাই খলিফাদের রাজত্বের কথা তাহলে আপনি জানলেন কেমনে?

উত্তর: পৃথিবীর কোন দেশের অতিত জানতে হলেকি সেই দেশের হাদীস পড়তে হয় নাকি ইতিহাস থেকে জানা যায়? নিশ্চয় ইতিহাস হচ্ছে কালে স্বাক্ষী, আমি ইতিহাস থেকে জেনেছি।
প্রশ্ন ২। : নবীজির জিবন প্রনালি তখনকার সময়ও তাদের মনে, সৃতিতে প্রত্যক্ষ ছিল বিধায় তাদের এগুলো সংগ্রহ বা সংরক্ষন করার প্রয়োজন ছিল না, (আমি তাদেরকে খাট করছি না শুধুমাত্র প্রয়োজনের কথা বলছি)। যেমনটা আমাদের মোবাইলের ফোনবুক প্রত্যক্ষ থাকায় সব নাস্বার লিখে রাখার প্রয়োজন নেই।

উত্তর: আপনার কথামত নবীজির জিবন প্রনালি তখনকার সময়ও তাদের মনে স্মৃতিপটে গেথে ছিলো বা মনে ছিলো তায় এগুলো সংগ্রহ বা সংরক্ষনের প্রয়োজন ছিলোনা। আপনার কথা মত যদি তায় হয় তাহলে সে সময় কোরআনের বিষয়টিওতো একই ছিলো। অনেকে ছিলো তারা কোরআনের হাফেজ, এমনকি এগুলো বিভিন্ন চামড়া, গাছেল ছাল ও হাড় ও পাথরে লেখা ছিলো। এমন পাঁকা পোক্ত ভাবে কোরআনের বাণী লেখা থাকার পরেও ওসমান (র) সময় কেন কোরআন সংকলন করলেন? তৌরাত, জব্বুর ও ইঞ্জিল যেসব নবীদের উপর বোর্তালো সেই সব নবীদের উম্মতদের তৌরাত, জব্বুর ইঞ্জিল বুঝতেকি তাদেরকেও সেই নবী-রাসুলদের হাদীসের প্রতি নির্ভর করতে হয়েছে? যদি নির্ভর করতে হয় তাহলে সেইসব নবী-রাসুলদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.