নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নোয়াখালি ইজ দ্যা গ্রেট!

সত্য পথের সন্ধানী

নোয়াখাইল্যা হোলা

সাধারণের মধ্যে সাধারণ হয়ে থাকতে চাই।

নোয়াখাইল্যা হোলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চলছে

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২২

“এখন তোর আল্লাহ কোথায়? কে বাচাবে?

-আরটিভির টকশোতে তুহিন মালিক (দুই সন্দেহভাজন নিষিদ্ধ হিজবুত তাহেরির সদস্যা বহিষ্কারের পর শামসুন নাহার হল কতৃপক্ষ নাকি তাদের এটা বলেছিল!)

তুহিন মালিক কাদের প্রতিনিধিত্ব করেন সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। তিনি একাধিক বার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন থেকে একটি বিশেষ দলের সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে বিস্তারিততে যাচ্ছি না।

কিন্তু, একটা ব্যাপার বুঝা উচিত। যতদূর মনে হচ্ছে, তুহিন মালিককে বিশেষ কিছু Assignments দিয়ে টকশোগুলোতে পাঠানো হচ্ছে।
আপনারা সবাই জানেন, একটি বিশেষ দলের প্রধান বিগত বেশ কিছুদিন যাবত আন্দোলনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু,কাজের কাজ কিছুই করতে পারছেন না।

কেন জানেন? যে কোন আন্দোলন গড়ে তোলার পূর্বশর্ত হল দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সেই আন্দোলনের রেশ লাগিয়ে দেওয়া। কিন্তু,সত্যতো এটাই,সেই বিশেষ দলের ছাত্রসংগঠন এবং তাদের বন্ধুপ্রতিম ছাত্রসংগঠনগুলোর ক্যাম্পাসগুলোতে সেই অর্থে কোন অবস্থান নেই। এর কারণ হল,সেই ছাত্রসংগঠনের অধিকাংশ নেতাকর্মীরই এখন আর ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রত্ব নেই কিংবা যাদেরও আছে তারাও নিয়মিত ছাত্র না। আর,তাদের বন্ধুপ্রতিম ছাত্রসংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং প্রচারণার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরাই তাদেরকে ক্যাম্পাসে একপ্রকার অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।

ফলে,বাধ্য হয়ে বিকল্প ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগ নেয়া হচ্ছে।

মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কথা বার্তা বলতেছে বিভিন্ন ক্যাম্পাসের প্রশাসনগুলো,যারা নামাজ পড়তেছে, কোরান পড়তেছে, ইসলাম চর্চা করতেছে তাদেরকে সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠনগুলো হেনস্থা করছে - এমন প্রচারণা চালিয়ে ক্যাম্পাসগুলোতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার পায়তারা চালানো হচ্ছে।

এখানে একটা কথা বলে রাখি,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলাম ধর্মীয় মতবাদের অনুসারীদের মধ্যে তাবলীগ জামায়াতের শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই বেশী। ধর্মের কারণে যদি কারও কোন কটু কথা শুনতে হত বা হেনস্থা হতে হত-তাহলেতো সবার আগে তাবলীগ জামায়াতের শিক্ষার্থীদেরই শুনতে হত। কই, আজ পর্যন্ত কেউতো বলতে পারবে না, ধর্ম পালনের জন্য তাবলীগ জামায়াতের শিক্ষার্থীদের কোন কটু কথা শুনতে হয়েছে বা হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে!

আশা করি,সরল ব্যাখ্যায় বিষয়টা পরিষ্কার।

আর হ্যাঁ, তুহিন মালিক সাহেব কি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন? তিনি কি করে কোন যৌক্তিক প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের কথা বলেন- তিনিতো নিজেকে আইনজ্ঞ দাবি করেন,কিন্তু, আইনতো কখনো প্রমাণ ছাড়া কথা বলে না।

এখন মূল ব্যাপারটা হল, তুহিন মালিক সাহেব ব্ল্যাসফেমি আইনে অভিযুক্ত হবেন কিনা? আমার মতে, এইভাবে কোন প্রুফ ছাড়া ধর্মীয় উস্কানি দেওয়ার জন্য তিনি যদি ব্ল্যাসফেমি আইনে অভিযুক্ত না হন তাহলে বরং সেটাই হবে আশ্চর্যের বিষয়!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.