নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নোয়াখালি ইজ দ্যা গ্রেট!

সত্য পথের সন্ধানী

নোয়াখাইল্যা হোলা

সাধারণের মধ্যে সাধারণ হয়ে থাকতে চাই।

নোয়াখাইল্যা হোলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে আইনে ভারতে ব্রিটিশ রাজত্বের সমাপ্তি ঘটে

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

ব্রিটিশ সরকার ১৯৪৭ সালের ১৮ই জুলাই তারিখে "ভারত-স্বাধীনতা" আইন নামে একটি আইন পাস করেন।এই আইনের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ রাজত্বের সমাপ্তি ঘটে।



চলুন দেখে নেওয়া যাক এই আইনের সারমর্মঃ



(১) এই আইন অনুসারে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটো নতুন ডোমেনিয়ন সৃষ্টি হয়।



(২)এই আইন পাসের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ কতৃত্বের সম্পূর্ণ অবসান ঘটে। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ভারতেবর্ষের উপর ব্রিটিশ সরকারের এবং পার্লামেন্টের সমগ্র ক্ষমতা ভারত ও পাকিস্তানের হাতে ন্যস্ত হয়।



(৩)দুই দেশের ইচ্ছেমত স্ব-স্ব শাসনতন্ত্র রচনার পূর্ণ ক্ষমতা দেয়া হয় এবং দুই দেশের গণপরিষদকে স্ব-স্ব দেশের ক্ষমতাশীল আইন প্রণয়নকারী সংস্থা হিসেবে নতুন শাসনতন্ত্র রচিত ও প্রবর্তিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দেশের কেন্দ্রীয় আইন পরিষদ হিসেবে কাজ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়।



(৪)নতুন সৃষ্ট দুটি ডোমেনিয়ন কমনওয়েলথ বা ব্রিটিশ রাষ্ট্রপুঞ্জের মধ্যে থাকবে কিনা,এই সিদ্ধান্ত ভারত ও পাকিস্তানের গঠনতন্ত্র প্রণয়নের সময় নেওয়ার পূর্ণ অধিকার তাদেরকে দেয়া হয়।



(৫)নতুন শাসনতন্ত্র রচিত ও প্রবর্তিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক গভর্নমেন্টকে ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন অনুসারে চলার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।তবে,১৯৪৭ সালের এই স্বাধীনতা আইনে ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের কিছু ধারায় পরিবর্তন আনা হয়ঃ



(ক)গভর্নর জেনারেল এবং প্রাদেশিক গভর্নরদের 'ঐচ্ছিক' এবং বিচারবুদ্ধি (Discretionary powers & powers of individual judgement) অনুসারে কাজ করার ক্ষমতা বিলুপ্ত করা হয়।সকল সময়,সর্বাবস্থায় এবং সকল বিষয়ে মন্ত্রীপরিষদের পরামর্শ অনুযায়ীই কাজ করতে হবে - এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।



(খ) ১৫ আগস্ট,১৯৪৭ সালের পর পাকিস্তান ও ভারতের মন্ত্রীসভা ব্রিটিশ কমনওয়েলথের শাসনতান্ত্রিক প্রথাঅনুসারে স্ব-স্ব দেশের গভর্নর জেলারেল এবং প্রাদেশিক গভর্নর নিয়োগ করার অধিকার পায়।



(গ)নতুন সংস্কার অনুসারে,১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট হতে দেশীয় রাজ্যসমূহের উপর থেকে সম্রাটের সার্বভৌম-ক্ষমতা (Paramounty of the Crown) বিলুপ্ত হয় এবং রাজ্যগুলোকে দুই ডোমেনিয়নের যে কোন একটিতে যোগ দেওয়ার বা নিজেদেরকে স্বাধীন ঘোষণা করবার অধিকার দেওয়া হয়।





এই আইন ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট কার্যকরী করা হয় এবং এর ভিত্তিতেই ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। উভয় দেশের স্বাধীনতা দিবস একইদিনে পড়ে যায় বলে পাকিস্তান ১৪ আগস্টকে স্বাধীনতা দিবস এবং ভারত ১৫ আগস্টকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৫৬

মাহফুজ আহমাদ বলেছেন: রেফারেন্স দিলে ভালো হতো

২| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: হিটলারের কাছে পুঙ্গামারা খাইয়া ব্রিটিশের যখন ইয়ে ঢিলা হইয়া গিয়াছিল তখন আর উপনিবেশ রক্ষা করা ব্রিটিশের পক্ষে সম্ভব হয় নাই ! তাহারা বুঝিয়াছিলো, এখন উপনিবেশ রাখিতে গেলে মউত পর্যন্ত বুঙ্গা বুঙ্গা খাইতে হইতে পারে ! তাই আইন পাশ করিয়া সম্মানজনক পশ্চাৎপসারণের চেষ্টা করিয়া পশ্চাৎদেশ রক্ষার চেষ্টা ! তবে বেনিয়ার জাত, যাওয়ার সময়েও বানরের রুটি ভাগ করার মতন উপমহাদেশকে ভাগ করিয়া গিয়াছে !এখন ইংরেজ বানর কখনো পাকিস্তানের ভাগ খাইয়া সমান করিতে চায় কখনো ভারতের !!

পেজগি ছুটাইতে ভারত, পাকিস্তানের জান কাবার আর ইংরেজ আম্পায়ার হইয়া কে কয়টা ফাউল করতাছে তাহা গুনিয়া উপদেশ দিতাছে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.