নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রিকেট মাফিয়াদের যড়যন্ত্রে আক্রান্ত বাংলাদেশ মনে কি পড়ে আব্দুল্লাহ উপন্যাসের সেই লাইনটা? - "এক ঘরমে দো পীর নেহি রাহেগে, যাও বাচ্চা শো রাহো"

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৫



সাহেব কহেন, ”চমৎকার ! সে চমৎকার !”
মোসাহেব বলে, ”চমৎকার ! সে হতেই হবে যে !
হুজুরের মতে অমত কার ?”
সাহেব কহেন, ”কী চমৎকার,
বলতেই দাও আহা হা।”’
মোসাহেব বলে, ”হুজুরের কথা শুনেই বুঝেছি
বাহাহা বাহাহা বাহাহা ! ”

বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের আইন উপদেষ্টা মোস্তাফিজুর রহমান খান এর আইনি বিশ্লেষণে স্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত তাসকিন আহমেদকে এই বিশ্বকাপে বোলিং করা থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত পূর্ব পরিকল্পিত। ঐ দিন ভারতীয় ও অস্ট্রেলিয়ার আম্পায়ার মাঠে নামার পূর্বেই সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেমেছিলেন।

ঐ দিন খেলার সময় তাসকিন যে প্রকৃতির বল গুলো করেছিলেন পরীক্ষার সময় তার কোন প্রকারেই নিষিদ্ধ বোলিং একশনের প্রমাণ পাওয়া যায় নি। পরীক্ষার সময় তাসকিনের ৯ টি বাউন্সার বোলিং এর সময় ৩ টা বোলিং এর সময় সন্দেহজনক একশন পাওয়া গেছে কিন্তু যেদিন খেলার মাঠে ভারতীয় ও অস্ট্রেলিয়ার আম্পায়ার তার বোলিং নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দিয়েছে ঐ দিন কোন বাউন্সার দেয় নাই। ফলে ঐ দিন খেলার মাঠে বোলিং নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দেওয়াটা পুরো আইন বহির্ভূত কাজ করেছে ভারতীয় ও অস্ট্রেলিয়ার আম্পায়ার।



আব্দুল্লাহ উপন্যাসের সেই লাইনটা মনে আছে? - "এক ঘরমে দো পীর নেহি রাহেগে, যাও বাচ্চা শো রাহো"। বিশ্ব ক্রিকেটে শ্রীলংকা আজকের এই পর্যায়ে আসতে পেড়েছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছে কারণ তার কারণ যে সময়টাতে তারা উপরে উঠিতেছিল সেই সময় ক্রিকেট খেলার প্রধান লক্ষ ছিলও মানুষকে বিনোদন দেওয়া ও ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ ছিলও ক্রিকেট স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে বর্তমান সময়ের মাফিয়াদের হাতে না। সুতরাং ক্রিকেট খেলতে হলে শূদ্র বর্ণের হিন্দুরা যেমন শত-শত বছর ধরে ব্রাক্ষমন বর্ণের হিন্দুদের শ্রেষ্ঠত্ব মানিয়া নিয়া মাথা নিচু করিয়া বসবাস করিয়া আসিতেছে ঠিক তেমনি ভাবে খেলিতে হইবে।



ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলা থাকিলে পরবর্তীতে মোস্তাফিজুর, আল আমিনদের পাতলা পায়খানা হওয়ার অজুহাতে বসাইয়া রাখিতে হইবে। ঐ টাই হলো মনিবদের খুশি রাখিবার একমাত্র সমাধান মাফিয়াদের হাত থেকে রক্ষা পাইবে।



তাসকিনের কথা আর উল্লেখ করিলাম না কারণ তার অধ্যায় আজকেই শেষ হইয়া গেল। এর পরে সে যখন ক্রিকেটে ফিরিবে তখন সে হইবে ভেন্কাটেশ প্রসাদের মতো বোলার রিকি পন্টিং, গিলক্রিষ্ট, সাংগাকারার মতো ব্যাটসম্যানদের ভোগ্যপণ্য।



এখনও সময় আছে মোস্তাফিজুর ও আল আমিনকে নিয়ে চিন্তা করার। ক্রিকেট মাফিয়াদের কাছে মুচলেকা দিতে হবে যে আমরা তাদেরকে খেলাবো শুধুমাত্র আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে এর বিরুদ্ধে; তোমাদের বিরুদ্ধে না।



তাসকিন আজ থেকে তোমাকে আর পিতার মতো স্নেহে শাসন করা বড় ভাই মাশরাফির গালি খেতে হবে না কোন খারাপ বল করে।



তাসকিন তুমি যেনে রাখ দেশের ১৬ কোটি মানুষ অগোচরে অশ্রু মুছবে মাঠে তোমার ও মাশরাফির ইউনিক বিজয় উদযাপন করা থেকে। সব ক্রিকেটারই ক্রিকেট খেলে; তবে খুব কম ক্রিকেটারই আছে যারা একই সাথে ক্রিকেট খেলে ও দলের সমর্থকদের বিনদিত করে। তুমার অবস্থান হবে ক্রিকেট বিশ্বের প্রথম ৩ জন ক্রিকেটারের মধ্যে যার মাঝে একই সাথে দুটি গুন বিদ্যমান।

আমি দিব্য চোখে কল্পনা করতে পারতেছি আজকে রাতটা ১৬ কোটি বাংলাদেশি মানুষের মধ্যে অন্তত ১ জন ঘুমাতে পারবে না আর সে হলো তোমার পিতৃ তুল্য বড় ভাই মাশরাফি মূর্তুজা। যে মানুষটা সব সময়ই মাঠে নামে দেশের পতাকার জন্য। আমি জানিনা ক্রিকেট বিশ্বে ২য় কোন ক্রিকেটার সেভাবে মাঠে নামে কি না। আমি ক্ষমা চাচ্ছি যদি অন্য ক্রিকেটাররা আমার মন্তব্যে কষ্ট পেয়ে থাকেন।







তাসকিন ও আরাফাত সানি তোমাদের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর কবিতাটা তুলে দেওয়া ছাড়া আমাদের আর কিছুই করা নাই রে ভাই। অর্থের লোভে পড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট কতৃপক্ষ আনেক পূর্বেই নিজেদের মাথা বিক্রি করেছে ক্রিকেট মাফিয়াদের কাছে।

তুমি কি কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা।
ওই-যে সুদূর নীহারিকা
যারা করে আছে ভিড় আকাশের নীড়,
ওই যারা দিনরাত্রি
আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী গ্রহ তারা রবি,
তুমি কি তাদের মতো সত্য নও।
হায় ছবি, তুমি শুধু ছবি॥
নয়নসমুখে তুমি নাই,
নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই-- আজি তাই
শ্যামলে শ্যামল তুমি, নীলিমায় নীল।

আমার নিখিল তোমাতে পেয়েছে তার অন্তরের মিল।
নাহি জানি, কেহ নাহি জানে--
তব সুর বাজে মোর গানে,
কবির অন্তরে তুমি কবি--
নও ছবি, নও ছবি, নও শুধু ছবি॥


তাসকিন কত টুকু যড়যন্ত্রের স্বীকার তা জানার ইচ্ছে থাকলে বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের আইন উপদেষ্টা মোস্তাফিজুর রহমান খান এর ফেসবুক ওয়ালে দেওয়া পুরো বিশ্লেষন পড়ে দেখার অনুরোধ করবো।

বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের আইন উপদেষ্টা মোস্তাফিজুর রহমান খান এর আইনি বিশ্লেষণ

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৩

বিজন রয় বলেছেন: ছিঃ ছিঃ।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এর তীব্র প্রতিবাদ দরকার!

এভাবে বিনা বিচারে মেনে নেয়া যাবে না......

শেইম ইন্ডিয়া শেইম!!!

খেলে জিততে পারোনা .. ভিন্ন পথে চাও

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

মাই নেম ইজ খান-১ বলেছেন: তীব্র প্রতিবাদ করে কোন লাভ নেই। তাহারা আমাদের জনম জনমের প্রেমিক। জানের দোস্ত। প্রকৃত বন্ধু। তাহাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করলে আমাদের শহীদদের আত্না কষ্ট পাবে। X( X( X(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.