নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই নাবিকঃ হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা

নিজের সম্পর্কে গুছিয়ে কিছু লেখা আমার কাছে খুবই কঠিন গদ্য। আমি এক এলেবেলে মানুষ। লেখালেখির কিচ্ছু জানি না। গায়ের জোরে লিখে যাই। তবে ছোটকালে ভালো লিখতাম। বড় হয়ে মনে হয় নষ্টদের অধিকারে চলে গেছি।

মৃদুল শ্রাবন

মেরিনার

মৃদুল শ্রাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরবানীর গরুতে বিষ !!!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩২

ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক

সামহ্যোয়ারইন ব্লগের পক্ষ থেকে ব্লগের সকল ব্লগার ও ভিজিটরদের জানাই পবিত্র ঈদ উল আয্‌হার শুভেচ্ছা।

চারিদিকে শুরু হয়ে গেছে ঈদের আমেজ। পবিত্র ঈদুল আয্‌হাকে সামনে রেখে ছোট বড় শপিংমল গুলোতে এখনো ভিড় জমতে শুরু না করলেও জমে উঠতে শুরু করেছে গরুর বাজার। জাহাজে থাকার সুবাদে হাটে গিয়ে কোরবানীর গরু কেনার সুযোগ খুব একটা পাই না। কিন্তু এবার সেই সুযোগ পেয়ে গরু কেনার ব্যপারে খোঁজখবর করতে গিয়ে জানলাম আশ্চার্যজনক কিছু তথ্য। জানলাম কোরবানীর এই গরুর মাংস হতে পারে আমার শরীরের জন্য বিষের সমান।

বেশ ঘাবড়ানোর মতো কথা। সঠিক ভাবে গরু চিনতে না পারলে গরুর মাংস হতে পারে আমাদের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর। তাই গরু কেনার আগে ভালো গরুটি চেনার জন্য সচেতনতার প্রয়োজন এখনি।

এই প্রসঙ্গে নাসিরউদ্দিন হোজ্জার একটা গল্প মনে পড়ছে। বিবির পিড়াপিড়িতে নাসিরুদ্দিন একবার একটা গরু কিনল। কিন্তু গরু ও গাধার জন্য গোয়াল ঘরে পর্যাপ্ত যায়গা না থাকায়, একটা ঘুমালে আরেকটাকে দাড়িয়ে থাকতে হতো। প্রিয় গাধার এই দুরবস্থা দেখে হোজ্জা একদিন খোদার কাছে প্রার্থনা করছে, "হে আল্লাহ, দয়া করে গরুটাকে মেরে ফেল যাতে আমার গাধাটা একটু আরাম করে ঘুমাইতে পারে" ।পরদিন সকালে সে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখে যে গাধাটা মরে পরে আছে। প্রানপ্রিয় গাধার মৃত্যুতে হতাশ হয়ে হোজ্জা বিরস বদনে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, "কোন অভিযোগ করবনা, খোদা, কিন্তু তুমি এতদিন ধরে সারা দুনিয়ার মালিক হয়েও, কোনটা গরু কোনটা গাধা এইটা চিনলানা!"



এটা নিতান্তই একটা জোকস। এখানে কেউ ধর্ম খোজার চেষ্টা করবেন না। আসল কথা হল গরু চেনা। আমরা সবাই নিজের সাধ্যমতো ভালো আর বড় গরু কেনার চেষ্টা করি। সোসাইটিতে কে কতো বড় গরু কোরবানী দিল সেটা নিয় চলে প্রতিযোগিতা। যদিও কোরবানীর মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত প্রিয় জিনিসের কোরবানী। কিন্তু আমরা শুধু মাত্র টাকার জোর দেখাতে বড় বড় গরু কোরবানী দিয়ে থাকি। এই বড় গরু কেনার প্রতিযোগিতায় আমরা শুধুমাত্র ধর্মের উদ্দেশ্যকেই ক্ষুন্ন করছিনা, করছি নিজের ক্ষতি।

বাজারে বিভিন্ন পন্যের ভেজাল নিয়ে আমাদের সাধারনের মাঝে কিঞ্চিত সচেতনতা ইদানিং দেখা যাচ্ছে। আমরা দোকানের ফরমালিন দেয়া ফল বাসায় এনে একঘণ্টা পানিতে ডুবিয়ে রেখে খাই। কিন্তু কোরবানীর হাটের ভেজাল গরুর ব্যাপারে আমরা কতোটা জানি? কিছুদিন আগে জানলাম ফার্মের মুরগীকে ট্যানারির বর্জ্য খাওয়ানোর ফলে মুরগীর মাংসে মিশে যাচ্ছে মানব দেহের জন্য বিষাক্ত ক্রোমিয়াম।



আর গরুর ব্যাপারটা আরো ভয়ংকর। বলা যায় কোরবানীর জন্য বেশী টাকা দিয়ে আমরা বাজার থেকে বিষ কিনে আনছি। কারণ স্টেরয়েড, হরমোন, উচ্চমাত্রার ভিটামিন অথবা রাসয়নিক দিয়ে মোটাতাজা করা গরুতে ভরে উঠছে রাজধানীসহ সারা দেশের গরুর হাটগুলো। কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভের আশায় গরু মোটাতাজাকরণের অবৈধ কর্মসূচি হাতে নেয়। এ উদ্দেশ্যে তারা ঈদের এক দুই মাস আগে রোগা পাতলা গরু কিনে নিষিদ্ধ পদ্ধতিতে গরু কে হরমোন ইনজেকশন, স্টেরয়েড, ডেক্সামেথাসন, ডেকাসন, ডাইক্লোফেন ইঞ্জেকশন, বেটামেথাসন ও পেরিঅ্যাকটিন মতো মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে মোটাতাজা করে বাজারজাত করে।

আসুন কয়েকটি ধাপে দেখে নিই বড় গরু কোরবানী করতে গিয়ে কিভাবে আমরা নিজেদের ক্ষতি করছি।

কয়েটি অবৈধ উপায়ে গরু মোটাতাজাকরনঃ

ডাইক্লোফেনাক, কেটোপ্রোফেন ইনজেকশনঃ গরুকে সুস্থ, ব্যথামুক্ত ও রোগমুক্ত রাখার দোহাই দিয়ে স্থানীয় হাটে ডাইক্লোফেনাক, কেটোপ্রোফেন ইনজেকশন পুশ করছেন। এসব ওষুধের কার্যকারিতা এক সপ্তাহ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত প্রাণীদেহে বিদ্যমান থাকে। যদিও প্রাণিদেহের জন্য ডাইক্লোফেনাক নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন।

হেমাটোপিনঃ গরুকে ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়ানো শুরুর ১০/১৫ দিন পর হেমাটোপিন বিএস (১০এমএল) ইনজেনশন মাংসপেশিতে দিয়ে মোটাতাজা করা হয়।

ডেক্সামেথাসনঃ এই জাতীয় ওষুধ পশু বা মানুষকে খাওয়ালে এক সপ্তাহের মধ্যে মোটাতাজা হবে। তবে এই মোটাতাজা বেশি দিন স্থায়ী হয় না, বড়জোর দুই থেকে তিন মাস।

তবে গরু মোটাতাজাকরনের জন্য সবথেকে বেশী পরিমাণ ব্যবহৃত হয় স্টেরয়েড



স্টেরয়েড কিঃ

চর্মরোগ, হাঁপানি ও আর্থাইটিস রোগের চিকিত্সায় অনেক আগে থেকেই স্টেরয়েড ব্যবহার হয়। আমাদের দেশের চিকিত্সকরাও বিভিন্ন ধরনের স্টেরয়েডজাতীয় ঔষধ প্রেসক্রাইব করে থাকেন। এছাড়া জরুরী ফাস্ট এইড দিতে কেউ হঠাৎ অজ্ঞান হলে কিংবা রক্তচাপ কমে গেলেও জীবনরক্ষাকারী ওষুধ হিসেবে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়। তবে এসব ব্যবহারবিধি ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে স্টেরয়েডের ব্যবহার মারাত্মক ক্ষতিকর। স্টেরয়েডের অযৌক্তিক ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।



কিন্তু বাংলাদেশের অনিয়ন্ত্রিত বাজারে প্রচলিত মোটা হওয়ার ওষুধ, ব্যথা কমানোর টোটকা প্রভৃতিতেও ক্ষতিকর স্টেরয়েডের অবৈধ ব্যবহার লক্ষ করা যায়। এক্ষেত্রে করটিসন, হাইড্রোকরটিসন, প্রেডনিসোলন ও ডেক্সামিথাসনের ব্যবহারই বেশি লক্ষণীয়। এগুলো আবার বিভিন্ন নামে ট্যাবলেট, ক্রিম-অয়েন্টমেন্ট, ইনজেকশন ও ইনহেলার হিসেবে বিক্রি হতে দেখা যায়। সম্প্রতি কোরবানির ঈদ সামনে রেখে হাটে উঠানো গরু মোটাতাজাকরণে এ স্টেরয়েড বিশেষ করে ডেক্সামিথাসনের অস্বাভাবিক ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে। বস্তুত মানুষের জন্য ব্যবহৃত স্টেরয়েড পশুর ক্ষেত্রে একটু উচ্চমাত্রায় ব্যবহার করা হয়। বিশেষ ধরনের এ স্টেরয়েড অতিরিক্ত ব্যবহার করলে তা বৃক্কের নেফ্রনের ‘স্টেরয়েড রিসেপ্টর’-এর সঙ্গে ক্রিয়া করে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করে। এই অতিরিক্ত পানি শরীরের বিভিন্ন কোষে জমা হয়ে অস্বাভাবিক স্থূলতা সৃষ্টি করে বলেই গরুকে মোটাতাজা মনে হয়।

মানুষের শরীরে ক্ষতিকর প্রভাবঃ

১। অতিরিক্ত স্টেরয়েড খেয়ে শারীরবৃত্তীয় জটিলতায় আক্রান্ত গরুর মাংস খেলে মানুষের ক্ষেত্রেও স্টেরয়েডের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। অতিরিক্ত ডেক্সামিথাসন তথা স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ রেচনকে বাধাগ্রস্ত ও অনিয়ন্ত্রিত করে বলে তা কিডনির রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

২। স্টেরয়েডের প্রভাবে পশুর তো বটে মানুষেরও মুখ, গলা, ঘাড় ও পেটে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেখা যায়। স্টেরয়েড রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি ও উচ্চরক্তচাপ সৃষ্টি করে। ফলে ডায়াবেটিস কিংবা উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত মানুষ এ ধরনের স্টেরয়েডযুক্ত গরুর মাংস খেলে তাদের ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ আরো বেড়ে যাবে।

৩। গ্লুকোজের পরিমাণ ও রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় রোগী ভয়ানক জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে যাদের স্বভাবতই রক্তে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে, তাদের ক্ষেত্রে এ-জাতীয় মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি পর্যন্ত থেকে যায়।

৪। অতিরিক্ত স্টেরয়েড অস্থি ক্ষয় ও মাংসপেশি ক্ষয়জনিত জটিল রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ফলে হাত-পায়ের মাংসপেশিতে টান পড়তে পারে, পেশি দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। হাড়ের ঘনত্ব কমে গিয়ে অস্টিওপোরোসিস রোগ দেখা দিতে পারে।

৫। অতিরিক্ত স্টেরয়েড চোখে গ্লুকোমা সৃষ্টি করতে পারে কিংবা পূর্বস্থিত গ্লুকোমার অবনতি ঘটিয়ে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে দিতে পারে।

৬। প্রজননক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।

৭। মাত্রাতিরিক্ত ডাইক্লোফেনাক ইনজেকশন পুশ করা গরুর মাংস খেলে কিডনির রোগসহ বিভিন্ন মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

৮। ব্যাথানাশক ওষুধের ব্যবহারে যার শ্বাসকষ্ট আছে বা নেই-এমন রোগীরও তা প্রকট আকার হতে পারে। ডাইক্লোফেনাকসমৃদ্ধ গরুর মাংস খেলে লিভার, কিডনিসহ বিভিন্নঅঙ্গ প্রত্যঙ্গের রোগ দেখা দিতে পারে। লিভার ফেইলিউরের ঘটনাও ঘটতে পারে।

৯। এতে লিভার ও কিডনির রোগসহ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে।

১০। এটা আস্তে আস্তে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগের সৃষ্টি করে।



চেনার উপায়ঃ

১। ঔষুধ দিয়ে গরু মোটাতাজা করলে গরুর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, মাথা উঁচু, শরীর টানটান, তীক্ষ্ম থাকবে। তাই গরু কেনার সময় ওজনে ভারী, ফোলা ও চর্বিজাতীয় গরু না কেনা।

২। স্টেরয়েড খাওয়ানোর ফলে গরু অসুস্থতার কারণে সবসময় নীরব ও নির্জীব থাকে। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। খাবারও খেতে চায় না। এসব গরুর পেছনের দিকে উরুর পেশীবহুল জায়গায় আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে তা উল্লেখযোগ্যভাবে দেবে যাবে। কারণ বাইরে থেকে মাংস মনে হলেও এখানে মাংসের সঙ্গে ব্যাপক পরিমাণে পানি থাকে।

৩। গরুকে যে কোন ধরনের হরমোন খাওয়ানো হোক না কেন ৭ দিন পরে এর কার্যকারিতা থাকে না। এক্ষেত্রে ক্রেতারা ঈদের ৭ দিন আগে গরু ক্রয় করতে পারেন। স্টেরয়েড সেবন করা গরু ৭ দিন পর বেশিরভাগ মারা যায়।


ঈদকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ৮০ লাখ গরুর চাহিদা আছে। এর মধ্যে ভারত থেকে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২০ লাখ থেকে ২৫ লাখ গরু বাংলাদেশে আসে। এইসমস্ত গরুর বেশীর ভাগই ক্ষতিকর পদ্ধতিতে মোটাতাজা করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৫ লাখ গরুর খামার আছে। এখানেও গরুর ব্যবসায়ীরা গরু মোটাতাজা করার জন্য বেছে নিচ্ছে অবৈধ পন্থা।

যদিও ২০১০ সালে গবাদি পশুর চিকিৎসায় বিশেষ করে গরু মোটাতাজাকরণে এসব ইনজেকশন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু সেই আইন বাস্তবায়নের সরকারের উচিত এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এজন্য স্টেরয়েডের মতো ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধ বিক্রি ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত অসাধু ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। কোরবানির গরুর হাটগুলোকে পশুসম্পদ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তদারক করা যেতে পারে। ম্যাড কাউ কিংবা ওই জাতীয় রোগ হলে বিশ্বের অন্য দেশগুলোয় যেমন সতর্কতা জারি করা হয়, স্টেরয়েড খাওয়ানো গরুর ক্ষেত্রে সেভাবে সরকারি উদ্যোগে পশু চিকিত্সক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযান চালানো যেতে পারে। এভাবে স্টেরয়েড খাইয়ে মোটাতাজা করা গরুগুলোকে শনাক্ত করে এর পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনলে ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব।

পাশাপাশি স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ বিক্রি, আমদানি ও বিপণনের ক্ষেত্রে একটি উপযুক্ত বিধি নির্ধারণ করে দেয়া উচিত। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি ওষুধ বিক্রি বন্ধ করা সম্ভব। অতিরিক্ত স্টেরয়েড চিকিত্সকের ব্যবস্থাপত্র বাদে কেউ কিনলে তাকে অপরাধী হিসেবে শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।


আমরা বাঙালিরা জন্মসূত্রে ভেজাল খেতে অভ্যস্ত। আমাদের শরীরে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিকর জিনিস ঢুকছে। যার কারনে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা আমাদের জন্য কষ্টকর। কিন্তু এর তো একটা সমাপ্তি দরকার। আমার একার পক্ষের কিংবা আপনার একার পক্ষে দেশ বদলানো সম্ভব না। আপনি পারবেন না যে ব্যাক্তিটি সামান্য লাভের আশায় তারই ভাইয়ের শরীরে অবলিলায় বিষ ঢুকিয়ে দিচ্ছে তার মনোভাবের পরিবর্তন করতে। তাই ভালোভাবে বেঁচে থাকতে সতর্ক হওয়া উচিত আপনারই। এ বিষয়ে আমাদের সরকারী পদক্ষেপ কখন আসবে সেটা নিয়ে আশা করি কারো কোন সন্দেহ নেই। তাই ঈদের বাজারে বড় বড় গরুর গলায় মালা পরিয়ে সেলফি তুলে ফেসবুকে আপলোডের চিন্তা না করে বাজার থেকে কিভাবে একটি সুস্থ গরু কিনবেন সেটি নিয়েই ভাবুন।



আসুন দেখে নিই ভেজাল গরু চেনার তিনটি সহজ উপায়।





তথ্যসূত্র

১। Click This Link

২। Click This Link

৩।www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2014/09/30/13508

৪।www.streetdirectory.com/food_editorials/cooking/meat_recipes/harmful_chemicals_in_the_meat_you_eat

ভিডিও কার্টেসীঃ মজা লস?

মন্তব্য ৮৯ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৮৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কিন্তু এর তো একটা সমাপ্তি দরকার। আমার একার পক্ষের কিংবা আপনার একার পক্ষে দেশ বদলানো সম্ভব না। আপনি পারবেন না যে ব্যাক্তিটি সামান্য লাভের আশায় তারই ভাইয়ের শরীরে অবলিলায় বিষ ঢুকিয়ে দিচ্ছে তার মনোভাবের পরিবর্তন করতে। তাই ভালোভাবে বেঁচে থাকতে সতর্ক হওয়া উচিত আপনারই।

সচেতনতা পোষ্টে প্লাস!

আমার বাস্ত দেখা একবার- আমার কেনা গরুটা ছিল দেশি.. একটু হালকা পাতলা। পাশের বাসার একেবারে রসে ঠাসা ফৌলা গরু..।
কোরবানীর সময় ঘটল অদ্ভুত ঘটনা।

মোল্লা না আসায় নিজেই চাকু নিয়ে দোয়া পড়ে জবেহ সেরে ফেল্লাম, ফিনকি দিয়ে তাজা লাল রক্ত বেরুল।

অত:পর পাশের বাসার তারাও রিকোয়েস্ট করল মোল্লা আসেতেছেনা আমাদেরটাও জবাই করে দেন..

দিলাম। রক্থ বেরুল থৌকা থৌকা কালচে পরিমাণে অল্প।
তারচেও বড় বিস্ময়- জবেহ করার ৫-৭ মিনিট পর গরুটা যেন ফোটা বেলূনের মতো চুপসে গেল!!!! এখন সবা্ হায় হায়... গরুর মাংসটাও কলচে টাইপ..

যেখানে আমার হালকা শুকনা গরুর পিসগুলো জ্বলজ্বল করছিল!!!!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা পোষ্টের শ্রী বৃদ্ধি করলো।

আজকে নোমান নমি ভাই তার ফেসবুক ওয়ালে একটা জোকস পোষ্ট করেছেন

-আপনি খুব পঁচা
-হু, উপযুক্ত বয়সে ফ্রিজে রাখেনি তাই পঁচে গেছি।
-কী বলতে চান? আমাকে ফ্রিজে রাখা হয়েছে?
-মোটেও না!
-তাহলে?
-ফরমালিন


এই ফরমালিনের থেকে হাজার গুন বেশী ক্ষতিকর হল অতিরিক্ত মাত্রার স্টেরয়েড।

আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা রইলো। আশ করি এবারও আপনার গরুর মাংস জ্বলজ্বল করবে।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

মামুন রশিদ বলেছেন: খুব প্রয়োজনীয় একটা পোস্ট । আমাদের লোভের ফল আমরাই ভোগ করছি । সচেতন করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।


ঈদ হোক আনন্দময় । শুভেচ্ছা ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। লোভ আমাদেরকে যে কত নিচে নিয়ে গেছে তা বলে শেষ করা যাবে না। জানতে পেরেছি ঈদের আগে ঔষুধ প্রয়োগ করে এক সপ্তাহে গরুর ওজন ২০ থেকে ২৫ কেজি বৃদ্ধি করা হয়। কি সাঙ্ঘাতিক।


আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আর রইলো অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা। আশা করি সুন্দর একটা গৃহপালিত গরু কোরবানী করতে পারবেন।

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: +++++++++ কি বলব ভেবে পাচ্ছি না । হায়রে লোভ ।

ভাল থাকবেন ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বিভংস এই সব কথা জানছি আর শিউরে উঠছি। জন্মগত ভাবেই আমরা বাঙালিরা ভেজাল সেবী। আমাদের দেশের মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা এই ব্যপারটা খুব ভালো ভাবেই জানে। তাই তারা কোন সুযোগই মিস করতে চায় না।

ঈদের শুভেচ্ছা রইলো মাহমুদ ভাই।

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার, সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহু্ল পোস্ট। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি সুন্দর পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য। +++

আর সামু কতৃপক্ষের নিকট বিশেষ অনুরোধ থাকবে, জনস্বার্থ বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় এই পোস্টটি দ্রুত স্টিকি করা হোক।

আসুন সবাই সচেতন হই।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:২০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: খুবই আশা জাগানিয়া কমেন্টস। ঈদ উপলক্ষে একটা শুভেচ্ছা পোষ্টের কথা ভাবছিলাম কিন্তু হঠাৎ করেই এই বিষয়টি মাথায় ঢুকে গেল। খোঁজখবর করে দেখি ভয়ংকর ব্যপার। তাই ভাবলাম কিছু একটা লেখা দরকার। পোষ্ট পড়ে যদি একজনও সচেতন হয় সেটাও ভালো।

আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো। আর রইলো অগ্রিম ঈদ মোবারক। ভালো থাকবেন সবসময়।

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১০

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। পোস্টে ++++


ঈদের শুভেচ্ছা।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:২২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ নিবেন ভাই। এবার ভাগ্য ক্রমে দেশেই দুইটা ঈদ করতে পারছি। আপনাকে ঈদ মোবারক।

আপনার ঈদ সংকলনের কতদূর??

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

আবু শাকিল বলেছেন: কাজের পোষ্ট।

শহরে থাকা লোকজনের জন্য দেখেশুনে গরু কেনা কিছুটা সমস্যায় পড়তে দেখেছি।
তাই শহরে থাকা টেকাটুকা ওয়ালা আত্নীয়দের উপদেশ দিয়েছি-

গ্রামে থাকা পরিচিত গৃহস্তঘর দেখে ঈদের ৬/৭ মাস আগে তাদের দিয়ে গরু কিনে তাদের দিয়েই লালনপালন করতে। তারপর কুরবানী ঈদে গরুর মূল্য নির্ধারণ করে নিজেই কিনে নিতে।এতে সুবিধা দুইটা পাওয়া যায়।
১-গরু লালনপালন কারীর আর্থিকভাবে সচ্ছলতা আসল।

২- আমিও নিজে ভাল দেশী গরু পেলাম এবং গরু লালনপালন কারীকে সাহায্য করতে পেরে তৃপ্তি পেলাম।

পোস্টের জন্য মৃদুল শ্রাবণ ভাইকে ধন্যবাদ।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: দারুন একটা মন্তব্য করেছেন ভাই। পোষ্ট লেখার সময় আমিও এই কথা লিখতে চেয়েছিলাম পোষ্টে। কিন্তু কি কারনে যেন লেখা হয় নি। যাক আপনি পোষ্টের সম্পূর্নতা এনে দিলেন।

ধন্যবাদ শুভকামনা এবং ঈদ মোবারক নিবেন।

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০০

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: ভাই , এসব কথা বৈলা মানুষের মধ্যে ,.মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার একটা প্রয়াস কিছু মহল , মিডিয়ার থাকেই। তাই বলে , তাদের সব কথা বিশ্বাসযোগ্য এটা মানা বোকামি। কয়েকদিন আগেও একটি টিভি চ্যানেল এ এ বিষয়ে বিশেসগ্গের মতামত শুনছিলাম। ..তার বক্তব্যের সারাংশ এই লিংক এ পাবেন http://shobujbanglablog.net/68399.html

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ভাই এইডা আপনি কি কইলেন? কেউ কি আপনাকে কোরবানী দিতে না করছে? আপনাকে ক্ষতিকর গরু সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। আপনি কোরবানী দিচ্ছেন তো ভালো গরু দিন না?

১৫ নং মন্তব্যটা একটু দেখবেন? কুনো ভাইয়ের নিজের গরু মরে গেছে।

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৫

মুহিব জিহাদ বলেছেন: খুব ই গুরুত্বপুর্ন পোষ্ট,পোষ্টটি ইস্টিকি করা হউক

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কি কন না মুহিব ভাই। ব্লগে কি হ্যাকার আছে?

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। ‌‍ভেজাল গরু চেনার উপায়' ভিডিওটিতে ২য় ও ৩য় উপায়টিতে ছবি দিয়ে দেখিয়ে দিলে আরও ভালো হতো।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পরামর্শের জন্য। আসলে পোষ্ট করার পরে ভিডিওটি হাতে এসেছিল তাই ঐ ভাবে দেয়া হয়নি। পরে শুধু ভিডিওটি এড করে দিয়েছি।

ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।

১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

অশ্রুকারিগর বলেছেন: গরু মোটাতাজাকরণ এবং ওষুধ নিয়ে আমাদের সবার ধারণা আরেকটু পরিষ্কার হবে এই লিংকের লেখা পড়লে
[|কোরবানীর মোটাতাজা গরু ও স্টেরয়েড নিয়ে গন-আতঙ্ক (১) ] কোরবানীর মোটাতাজা গরু ও স্টেরয়েড নিয়ে গন-আতঙ্ক (২)

কোরবানীর মোটাতাজা গরু ও স্টেরয়েড নিয়ে গন-আতঙ্ক (৩)

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ। ধারনা আরো ক্লিয়ার হলো।
ভালো লাগা ও ঈদের শুভেচ্ছা নিবেন।

১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১

ইমিনা বলেছেন: গত ঈদে কান্ডারী ভাইয়ের পোস্ট পড়ে সেমাই খাওয়া বাদ দিয়েছিলাম। এবার আপনার পোস্ট পড়ে গরুর মাংস খাওয়া বাদ দেওয়া উচিত। কিন্তু গরুর মাংস যে আমার খুব প্রিয়। এটা যে কোন মতোই বাদ দিতে পারবো না। ইইইই :(

অসাধারন ও সময়োপযোগী পোস্ট। ধন্যবাদ দিলেও কম হবে। তাই পোস্ট পড়ে ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।

আর হ্যা, আমি গরুর মাংস খাওয়া বাদ দিতে না পারলেও সর্ব ক্ষেত্রে ও সবার জন্য সচেতনতা জরুরী

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কান্ডারী ভাইয়ে তো খুঁজে পাচ্ছি না সো এই ঈদে দেদারছে সেমাই খান কোন সমস্যা নেই। B:-/

আর গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে কালকে কুনো ভাইয়ের সাথে ফেবুতে গুতাগুতি হচ্ছিল। উনার আজকে সার্ভেতে বেরোনোর কথা। আত্মীয় স্বজন যাদের বাড়িতে দাওয়ার পাবার সম্ভাবনা আছে তাদের গরুর ব্যাপারে উনি বিষদ খোঁজখবর নিবেন। আপনিও একই কাজ করতে পারেন।

ভালোলাগা জানিয়েছেন। আমিও ভালোলাগা জানালাম। আপনারা পাশে থাকেন দেখেই এই করতে সাহস পাই।

অগ্রিম ঈদ মোবারক রইলো।

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

টুম্পা মনি বলেছেন: বাঙ্গালী পারেও! শেষ পর্যন্ত কোরবানির গরুতেও ভেজাল দিতে ছাড়লো না।

অসাধারণ পোষ্ট।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: :-B :-B ঠিকই বলেছেন। বাঙালিরা পারেনা কি? একবার আমরা জার্মানি থেকে জাহাজের জন্য কিছু খাবার নিছিলাম। আমাদের বাংলাদেশের এজেন্ট কোত্থেকে খুঁজে খুঁজে ওখানকার এক বাঙালি সাপ্লায়ার বের করলো। তার সাপ্লাই দেয়া জিনিসের যে নমুনা সেদিন দেখেছিলাম!!! বাঙালিরা খালি বাংলাদেশেই ভেজাল দেয় না যেখানে সুযোগ পায় সেখানে দেয়।


মন্তব্যে ধন্যবাদ নিবেন।

১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

মেগা পোস্ট!

গরু চেনা সত্যিই কঠিন.... B-) ;)
তবে আপনার পোস্ট পড়ার পর অনেকটাই সহজ হবে।


চমৎকার লেখাটির জন্য অভিনন্দন.... )

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন:



আমরা আগে যখন ঈদের শপিংয়ে যেতাম আমার দাদি বলতেন, দেখে শুনে কিনিস। কারণ "সুতো আর জুতো, চেনা বড় গুতো"

এখন দেখছি ঈদের গরু কেনার জন্যও একই কথা প্রযোজ্য। গরু শুধু আমাদের গুতো দেয়ই না গরু চেনাও গুতো। B:-/


আপনাকে পোষ্টে পেয়ে ভালো লাগছে মঈনুল ভাই। ধন্যবাদ ও ঈদ মোবারক নিবেন।

১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৫

বেলায়েত হােসেন ইমন বলেছেন: লেখককে অভিন্দন জানালে নতুন কিছু বলা হবেনা। তবু অভিন্দন। দূর্নীতিতে যে দেশ বরাবরই প্রথম হয়ে আসছে, সে দেশে এর চেয়ে বেশি আশা করা দুরাশার ই সামিল। হত্যার পরিবর্তে হত্যা,কোরআনের আইনের সাথে আমাদের রাষ্ট্রীয় আইনের এ ক্ষেত্রে প্রায়শই মিল খুঁজে পাই আমরা। কিন্তু যারা খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে স্লো পয়জনে নীরবে প্রান নাশ করে যাচ্ছে মানুষের, তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড না হয়ে যদি পঁচিশ হাজার থেকে সর্বোচ্ছ এক লক্ষ টাকা জরিমানা হয় সে দেশে এমন লেখা পড়ে মন্তব্য মানেই বৃথা।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: যারা খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে স্লো পয়জনে নীরবে প্রান নাশ করে যাচ্ছে মানুষের, তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড না হয়ে যদি পঁচিশ হাজার থেকে সর্বোচ্ছ এক লক্ষ টাকা জরিমানা হয় সে দেশে এমন লেখা পড়ে মন্তব্য মানেই বৃথা।

জাষ্ট ওয়াও। কঠিন প্রতিবাদমূলক মন্তব্য। ধন্যবাদ দিয়ে আমিও আপনাকে ছোট করতে চাই না। শুধু বলবো ভালো থাকুন, ভালো থাকার চেষ্টা করুন।

ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা নিবেন।

১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ভালো এবং জরুরী পোষ্ট। দুইদিন আগে কেনা আমাদের গরুটা আজ মারা গেছে।

ঈদ যদিও প্রায় চলে এসেছে তারপরও পোষ্টটি স্টিকি করলে অল্প করে হলেও কিছু মানুষের উপকার হবে বলে আশা করছি।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার গরুর জন্য থুক্কু আপনার জন্য অনেকগুলো সমবেদনা।

তবে বলতেই হয় আপনারা অনেক ভাগ্যবান যে ঐ দুষিত মাংস খাওয়া লাগেনি।

কিছুটা স্বার্থপরের মতো কথা বলি। এই পোষ্টের বাস্তব সাক্ষী হিসেবে আপনাকে পেয়ে আসলেই ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে আপনার মতো একজন স্বনামধন্য ব্লগারের গরু মারা যাওয়াতেই কর্তৃপক্ষ পোষ্টটিকে স্টিকি করেছে। কারন পোষ্টের সত্যতা নিয়ে আর কারো কোন সন্দেহ নেই।

১৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৫৫

তন্ময় দেবনাথ 007 বলেছেন: ★★★★★

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: সামুতে প্লাস দেবার অপশন ছিল কিন্তু স্টার র‍্যাঙ্কিং দেবার অপশন মনে হয় আপনিই চালু করলেন।

ফাইভ স্টারের জন্য কৃতজ্ঞ থাকলাম আপনার কাছে।

ঈদের শুভেচ্ছা নিবেন।

১৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২৮

কলমের কালি শেষ বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক । :(

দারুন সচেতনতামূলক পোষ্ট । :)

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আসলেই অত্যন্ত দুঃখজনক। :( আমাদের সচেতন হওয়া দরকার এখনি।


ঈদ মোবারক

১৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২১

মাহমুদুল করিম লিংকন বলেছেন: শুধু পোস্ট এ একটা প্লাস দেয়ার জন্য লগিন করলাম... খুবই কাজের একটা পোস্ট

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কৃতজ্ঞ হয়ে গেলাম। অনলাইনে এত কম ব্লগার দেখে মাঝে মাঝে খারাপ লাগে। আপনি লগইন করাতে খারাপ লাগা কিছুটা কমলো। ;)




ঈদ মোবারক।

১৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩

আলম দীপ্র বলেছেন: স্টিকি হল ! চমৎকার ।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনাকে মনে হয় প্রথম পেলাম আমার ব্লগে। তবে অফলাইনে আপনার কথা শুনি ইদানিং।


ধন্যবাদ নিবেন।

ঈদ মোবারক।

২০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ন ও সময়োপযোগী পোস্ট।+++

পোস্টটি স্টিকি করার জন্য ব্লগ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।


আপনাকে জানাই ঈদ মোবারক।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: সামু সবসময় এ ধরনের পোষ্টের গুরুত্ব দিয়েছে। এজন্যই মডারেশন টিমের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি।

ঈদ মোবারক।

২১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০

করিম মিয়া বলেছেন: পোস্টটি দেখে আমের ফরমালিনের কথা মনে পড়লো।

সারা বছর ফরমালিন না ধইরা, বাজারে যখন পাকা আম চাষীরা নিয়ে আসবে তখন তাদের মাথায় বাড়ি দিয়ে সব আম ফালাইয়া দাও.........!!!!
গরুর ব্যবসাটাও সেই দিকেই যাক..... এই কামনায় আছি!!!!

সবচাইতে বড় কথা এই দেশে গরু কুরবানী বন্ধ হউক, সেই টাকা দান করে দিন গরীব দুখীদের.....
তবে পূজার অর্থ পূজাতেই থাকুক, আরো বেশি মণ্ডপ বাড়ুক!!

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:৩০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার রসবোধ দেখে মজা পাইলাম। কোরবানীর টাকা গরীব দুঃখী পাক আর পূজার অর্থ পূজাতেই থাকুক।

ভাই চাষীতো আর আমে ফরমালিন দেয় না। ফরমালিন দেয় ব্যপারি।

চমৎকার মন্তব্যে ধন্যবাদ নিবেন।

২২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন:



পোষ্টটি স্টিকি করাতে জানা আপুকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

ইদানিং একশ্রেনীর লোক বলছে সামু এখন সাহিত্য পাতা হয়ে গেছে। আর ব্লগ শুধু সাহিত্য দিয়ে চলে না। তাদের উদ্দেশ্যে বলি সামু তার নিজস্বতা এক বিন্দুও হারায় নি। সে বহাল আছে তার স্বকীয়তা নিয়ে। সামুর পোষ্টগুলো দেখুন। নাগরিক সাংবাদিকতা, জনগনের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য সামুর অবস্থান আগের থেকে বিন্দুমাত্র এদিক সেদিক হয় নি।

একটা ব্লগ দিয়ে দেশ বদলানো যায় না। কিন্তু একটা সমাজ বদলানো যায়। সামুর সচেতনমূলক পোষ্ট দেখে আমরা ব্লগাররা সচেতন হচ্ছি এটাই সামুর স্বাত্থকতা। জানা আপু যে পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে ব্লগের সূচনা করেছিলেন সেই পরিবর্তন হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে।

২৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মৃদুল শ্রাবন বলেছেন:



পোষ্টটি স্টিকি করাতে জানা আপুকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

ইদানিং একশ্রেনীর লোক বলছে সামু এখন সাহিত্য পাতা হয়ে গেছে। আর ব্লগ শুধু সাহিত্য দিয়ে চলে না। তাদের উদ্দেশ্যে বলি সামু তার নিজস্বতা এক বিন্দুও হারায় নি। সে বহাল আছে তার স্বকীয়তা নিয়ে। সামুর পোষ্টগুলো দেখুন। নাগরিক সাংবাদিকতা, জনগনের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য সামুর অবস্থান আগের থেকে বিন্দুমাত্র এদিক সেদিক হয় নি।


সহমত, সহমত, সহমত।

অবশেষে পোস্ট স্টিকিতে দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সামু কর্তৃপক্ষকে জনস্বার্থে এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি স্টিকি করার জন্য।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:০২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ঠিক তাই ভাই। বিষয়টি নিয়ে আমার লিখতে দেরি হয়েছে কিন্তু কর্তৃপক্ষ স্টিকি করতে দেরি করেনি। আসলেই সামুর কাছে কৃতজ্ঞতার কোন শেষ নেই। যখনি যে উদ্দেশ্যে ব্লগে লিখতে চেয়েছি সামু বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।

ঈদের শুভেচ্ছা রইলো ভাই।

২৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১০

মামুন রশিদ বলেছেন: সচেতনতামুলক সময়োপযোগী চমৎকার এই পোস্টকে স্টিকি করার জন্য মডারেশনকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৪১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: জনমানুষের কাজে সামু সর্বদা এগিয়ে এসেছে। এজন্য মডারেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা।


ঈদ মোবারক মামুন ভাই।

২৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:০৪

ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: কেবল গরু, ছাগল, ভেড়া, উট আর দুম্বার প্রান আছে? হাঁস-মুরগী এমন কী গাছের প্রান নেই? তাহলে কোরবানীর ঈদের আগে হঠাৎ করে প্রানী অধিকার রক্ষকদের পরান এত উথলে ওঠে কেন?
নিরামিষ ভোজীরা কী গাছের প্রান সংহার করেন না? গরুর বাছুরকে বঞ্চিত করে সেই দুধ পান করেন না?

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:১৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অবশ্যই গরু ছাগলের মতো হাঁস মুরগী ও গাছ পালার প্রান আছে। এই বিষয়ে কারো কোন দ্বিমত নেই। তবে ভাই পোষ্টের কোথাও তো প্রানী অধিকার রক্ষার কথা বলা হয়নি। আপনি যত খুশি গরু কোরবানী দিন কেউতো আপনাকে বাঁধা দিতে আসবে না। তবে অতিরিক্ত মাত্রার হরমোন ইঞ্জেকশন ব্যবহারের ফলে গরুর স্বাস্থের চরম অবনতি হয়। এটাইতো বলা হয়েছে এখানে।

ভালো থাকবেন। ঈদ মোবারক।

২৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২৫

কালীদাস বলেছেন: যাক অন্তত একটা স্টিকি পোস্ট স্টিকি করার মত!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:১৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: :!> :#> তাই নাকি??

ঈদ মোবারক।

২৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪৮

এহসান সাবির বলেছেন: ভালো লাগা রইল।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:২০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ নিবেন সাবির ভাই।

ঈদ মোবারক।

২৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৫:৪৫

এযুগের মাস্টারদা বলেছেন: জনস্বার্থে পোস্টটি স্টিকি করার জন্য ধন্যবাদ ব্লগ কর্তৃপক্ষকে।



মৃদুল শ্রাবনদা, আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না। সামনেও এরকম সচেতনমূলক পোস্ট আশা করছি। :D

ঈদ মোবারক

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৩৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার সাথে গলা মিলিয়ে আর একবার আমিও কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ দিয়ে দিলাম।

পোষ্ট নিয়ে আপনার দারুন অনুপ্রেরনামূলক মন্তব্যে যতপরনাস্তি আহ্লাদিত হইলাম।

ভালো থাকবেন।

ঈদ মোবারক।

২৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২৩

কোমানডস বলেছেন:
Nice informative post & thanks to blog authority to hang it as a sticky post.

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: নিজে বিষয়টি জানার পরে চেষ্টা করেছি সবাইকে জানানোর। আপনিও আপনার পাশের লোকদেরকে জানান।

ধন্যবাদ।

ঈদ মোবারক।

৩০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: লেখাটা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন-সুন্দর থাকুন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিবেন। সামুর প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে জনসচেতনা তৈরির কাজে সামু সবসময় পাশে এসে দাড়িয়েছে বলেই এইগুলো লিখতে সাহস পাই।

ঈদ মোবারক।

৩১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

টেকনিসিয়ান বলেছেন: তখন বিটিভি তে বাপ-বেটা দুজনে বসে থাকতাম শাইখ সিরাজের উপস্থাপনা ও গ্রন্থনায় "মাটি ও মানুষ" দেখার জন্য........

সেখানেই গরু মোটা তাজাকরণের পদ্ধতিগুলো ধাপে ধাপে দেখানো হতো.....

এত বছর পর হঠাৎ করে এসব নিয়ে মাতামাতির কারণ হচ্ছে আমরা মানুষেরা অতি মাত্রায় লোভী হয়ে গেছি..... চাট্টিখানা কথা নয় কমপক্ষে ২০-২৫কেজি মাংস বৃদ্ধি হয় এসব ক্ষতিকর স্টেরয়েড ওষধে.....

কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে সারা বছর চুপ থেকে সচেতনা বৃদ্ধি না করে কোরবানীর কয়েকদনি আগে থেকে সচেতন করলেই কি সমাধানে আসা আদো সম্ভব ? গণ সচেতনতা আগেই তৈরী করলে নিশ্চয় গরু ব্যাপারীরা আরো সাবধান হয়ে যেত।

আমরা সহজাত বাঙ্গালীরা আসলে মৌসমী সাবধানতা অবলম্বনকারী.. যেমন ঈদের সময় বলি পায়ে মাড়ানো সেমাই খাবো না, কৃত্রিম মোটাতাজা গরু কিনবো না। সারাবছর ধরে এতো টেনশন নিয়ে কি সংসার করা যায় ?

সরকার কেন আজো খাদ্য গুণাগুণ তরতাজা রাখার জন্য শক্ত অবস্থানে যাচ্ছে না বোধগম্য নয়। দুঃখের বিষয় হলো মৌসুম শেষ হলেই সবকিছুই আমরা সহজেই ভুলে যায়।

সবাইকে ঈদ মোবারক।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন আমরা মৌসুমী সচেতনতা অবলম্বন কারী। আসলে আমাদের মাঝে এত্ত এত্ত সমস্যা যে কোন সমস্যা গায়ের ওপর এসে না পড়া পর্যন্ত আমরা সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় পাই না। ঈদের আগে ছিল গরু কেনা নিয়ে টেনশন আর ঈদের পরে আসছে ঈদের বৈর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে। এই মৌসুমী সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামাতে ঘামাতে কোন বিষয় নিয়ে আগে থেকে সাবধানতা অবলম্বন করা হয়ে ওঠে না।

সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন। ঈদ মোবারক।

৩২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬

ফা হিম বলেছেন: তারচেয়ে মনে হয় আমেরিকার ক্লোন করা গরু খাওয়া আরো বেশি নিরাপদ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ঠিক ঠিক :!> :!>

৩৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

রিচার্ড পার্কার বলেছেন: অনেক কিছু জানলুম। সতর্ক হলুম।

''৩। গরুকে যে কোন ধরনের হরমোন খাওয়ানো হোক না কেন ৭ দিন পরে এর কার্যকারিতা থাকে না। এক্ষেত্রে ক্রেতারা ঈদের ৭ দিন আগে গরু ক্রয় করতে পারেন। স্টেরয়েড সেবন করা গরু ৭ দিন পর বেশিরভাগ মারা যায়।''

৭ দিন আগে কিনে যদি দেখি ঈদ এর ৩ দিন আগে মারা গেলো, মাথায় হাত না?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কি বলেন, আপনার গরুও কি মারা গেছিল?

৩৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: সচেতনতামূলক পোস্টটি স্টিকি হওয়াতে খুব ভালো হলো। আপনাকে ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আসলেই কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতার কোন শেষ নেই।

ভালো থাকবেন।

ঈদ কেমন কাটলো?

৩৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৩২

আমিনুর রহমান বলেছেন:




দারুন পোষ্ট। আপনার ভাবীসহ আবার পোষ্টটা পড়লাম। সে বড়ই আতংকিত হয়ে বাসার সবাইকে পড়লাম আর গরু মাংস না খাওয়ার প্রতিজ্ঞা করলো :P

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কঙ্কি????

বুঝতে পারছি। মনে হয় খাসী কোরবানী দিচ্ছেন!! =p~ =p~

৩৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২১

প্রীতম ব্লগ বলেছেন: সর্বসাধারণ জ্ঞাতার্থে


বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদে গরু মোটা-তাজাকরণে যে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয় তা মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলেই প্রচার করা হচ্ছিল। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে এসব সংবাদকে অতি বাড়াবাড়ি বলে এসবের বিরুদ্ধে কথা বললেন ঢাকা কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের প্রধান ভেটেরিনারিয়ান এ বি এম শহীদুল্লাহ।
তিনি বলেন, পশু মোটা-তাজাকরণ বা গ্রোথ হরমোন বাড়ানোর জন্য যে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয় তা সহনীয় পর্যায়ে। এতে গরুর কোনো ক্ষতি হয় না এবং মানুষের শরীরের জন্যও কোনো ক্ষতি নেই।
কারণ এই ধরনের ওষুধ গরুকে খাওয়ানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এছাড়া ৭৭ কেজি গোশতের মধ্যে যে পরিমান স্টেরয়েড থাকে তার সমপরিমান স্টেরয়েড থাকে একটি ডিমে।
অন্যদিকে প্রাকৃতিকভাবে কিছু সবজি আছে যার মধ্যে প্রচুর স্টেরয়েড থাকে। কিন্তু এতে তো আমাদের শরীরের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। বরং উপকারই হচ্ছে। তবে পশুকে সহনীয় মাত্রার অধিক স্টেরয়েড দিলে পশুর বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য : গরুর মধ্যে ল্যাথারজিক ভাব দেখা দিতে পারে, খাওয়ায় অরুচি চলে আসবে, অবসাদগ্রস্থ মনে হবে, শরীরে পানির পরিমাণ বেড়ে যাবে। ফলে গরুর পেছনের দিকটা একটু নাদুস-নুদুস মনে হবে।
কিন্তু তিনি দাবি করেন এ ধরনের গরু একশ’র মধ্যে তিনটা পাবেন। কারণ বর্তমানে সরকারিভাবে পাঁচ লাখ গরুর খামার আছে। এ সব খমারে গরুকে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ যেমন: ডেক্সামেথাসন বা ডেকাসন, বেটামেথাসন ও পেরিঅ্যাকটিন খাওয়ানো হয় না।
তবে অনেকে অধিক মুনাফার লোভে এই ধরনের ওষুধ খাওয়ান এতে প্রকৃত পক্ষে গরু তেমন মোটা হয় না বরং শরীরে পানি জমে যায়। তারা এই কাজ করে তিন মাস ব্যাপী। কিন্তু প্রকৃত খামারিরা এক বছর মেয়াদে গরুকে বিভিন্ন সুষম খাদ্য দিয়ে থাকেন এতে করে গরু সহজে মোটা-তাজা হয়।
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোতে গ্রোথ হরমোন প্রতিদিন একটি গরুকে ২০ থেকে ৩০ মিলি গ্রাম ব্যবহার করা হয়। এতে গরুর শরীর কিছুটা উন্নত হয়। গোশতে ভেতর ফ্যাট বাড়ে। যাকে মোবলিং অব মিট বলা হয়। এতে গোশতের স্বাদ এবং ঘ্রাণ সুন্দর হয়। মানুষের স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হয় না। আমাদের দেশে এই স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি নেই।
কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের এই প্রধান ভেটেরিনারিয়ান বলেন, আমাদের দেশে অনেকে বলে থাকেন এই স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহারে মানুষের অতিরিক্ত মাত্রায় স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে।
তারা এই বিষয়ে জ্ঞানের অভাবের এমন বিভ্রান্তকর তথ্য দিচ্ছেন। তারা কোনো গবেষণামূলক প্রমাণ দেখাতে পারেননি এবং পারবে বলেও আমি মনে করি না। আমরাও অনেক গবেষণা করে দেখেছি এতে মানুষের কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।
ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি পশুর হাটে বিশেষ মনিটরিংয়ের কথাও জানান তিনি। তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে প্রতি বাজারে আমাদের বিশেষ মোবাইল টিম থাকবে। ঈদে ৭ দিন পর্যন্ত তারা ২৪ ঘণ্টা বাজার মনিটরিং করবেন এবং পশুর বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় এই টিম চিকিৎসা দেবে।
এ ছাড়া দেশের বাইরে থেকে যে গরুগুলো দেশে আসবে সেই গরুগুলো বিভিন্ন ভাইরাস সঙ্গে নিয়ে আসতে পারে বিধায় বর্ডারে টিকা দেয়ার ব্যাবস্থা থাকছে। তাই মানুষ নিশ্চিন্ত থাকতে পারে এই ভেবে কুরবানি পশুতে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যহানীকর কিছু নেই এবং নিশ্চিন্তে গোশত খেতে পারেন।

এর পরেও যারা দ্বিমত পোষণ করেন তাদের বলতে চাই-”যারা জেগে ঘুমায় তাদের জাগানো যায় না।”

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৩৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ দিতে হয় আপনাকে ভালো একটা সংবাদ দেবার জন্য। আমরা কেউই স্বেচ্ছায় ক্ষতিগ্রস্থ হতে চাই না। কৃত্রিমতার আশ্রয় নিয়ে হঠাৎ করে মোটা করা গরুর মাংসে যদি মানব দেহের কোন ক্ষতি না হয় তবে সেটা আমাদের জন্য অবশ্যই সুসংবাদ। এই সংবাদটি সকলের সাথে শেয়ার করায় আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। তবে,

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উৎপাদন শাখার পরিচালক লিয়াকত আলী বলেন, ‘গরুর খামারের কোনও নিবন্ধন না থাকায় দেশে কতটি খামার রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। ফলে খামারগুলোও যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারছি না আমরা।’

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এনিমেল প্রোডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘স্টেরয়েড হরমোন এতটাই মারাত্মক যে মাংস রান্না করার পরও তা নষ্ট হয় না। যা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে কিডনি, লিভারসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিকল করে দেয়।’

তিনি আরও বলেন, অনেক ক্ষেত্রে এ হরমোন বন্ধ্যাত্ব, মেয়েদের অল্প বয়সে পরিপক্কতা এবং শিশুদের ‍অল্প বয়সে মুটিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এছাড়া এটি জীবনরক্ষাকারী স্টেরয়েড ওষুধ (লাইফ সেভিং স্টেরয়েড ড্রাগ) হিসেবে পরিচিত।

প্রাণিবিশেষজ্ঞ জাহাঙ্গীর আলম জানান, মূলত গরু বিক্রির কয়েকদিন আগে স্টেরয়েড হরমোন জাতীয় ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়। আর ইনজেকশনের কার্যকারিতা পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই ক্রেতারা গরুকে জবাই করেন। ফলে গরুর শরীরে ক্ষতিকর স্টেরয়েড বিপজ্জনক মাত্রায় থেকেই যায়। এভাবে মাংসের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এ ক্ষতিকারক পদার্থ।

ঢাকা কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের প্রধান ভেটেরেনারিয়ান ডা. এ বি এম শহীদুল্লাহ জানান, ‘দেশে কি পরিমাণ ভেটেরেনারি ট্যাবলেট আছে তারও কোনও পরিসংখ্যান নেই। এরই মধ্যে হরমোন জাতীয় স্টেরয়েড ব্যবহার পশুসম্পদ আইন ২০১০ এ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তা কেউ মানছেন না।

তিনি জানান, খামারিরা যদি ক্ষতিকারক স্টেরওয়েডের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করেন, তবুও তাতে বাধা দেওয়া বা তা আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষমতা নেই। এই সুযোগে অবাধে অবৈধভাবে এসব ওষুধ অবাধে ব্যবহার করছেন খামারিরা।



সবশেষে বলতে চাই, এই বিষয়টি আজকে এমনি এমনি আলোচনায় আসে নি। নিশ্চয় কিছু না কিছু আছে। তাই আমরা যেন নিজেরা ক্ষতিগ্রস্থ না হই তার জন্য সচেতনতা প্রয়োজন।

ভালো থাকবেন। ঈদ মোবারক।

৩৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:২৫

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ঈদ মোবারক মৃদুল ভাই ...
শুভেচ্ছা রাশি রাশি!
আমাদের সচেতনতা যথেষ্ট হবে এই ক্ষেত্রে .. সময় উপযোগী পোষ্ট এর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনাকেও ঈদ মোবারক অভি ভাই।

ঠিকই বলেছেন আমাদের দেশে ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য নিজের সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। যেভাবে সব জিনিসেই ভেজাল তারে চোখ কান বুজে কোন কিছুই গ্রহণ করা স্লো আত্মহত্যার সমান।

ভালো থকাবেন।

৩৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১২

কোবিদ বলেছেন: দূর্নীতিতে যে দেশ বরাবরই প্রথম হয়ে আসছে, সে দেশে এর চেয়ে বেশি আশা করা দুরাশার ই সামিল। সচেতনতামূলক পোস্টটি স্টিকি হওয়াতে খুব ভালো হলো। পোষ্টটি স্টিকি করাতে জানা আপুকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনাকেও ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:১৭

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: খুব ভালো একটা মন্তব্য করলেন ভাই। আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দূর্নীতি মিশে আছে। আমরা কোন ক্ষেত্রকেই কুলশিত করতে দ্বিধা করি না। আজকে প্রতিটা ব্যক্তিগত দূর্নীতি সম্মিলিত হয়ে আমাদেরকে জাতিগত ভাবে একটা দূর্নীতিবাজ জাতিতে পরিণত করেছে।

ভালো থাকবেন।

৩৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

প্রবাসী১২ বলেছেন: আমার গরুটি ছিল মোটামুটি স্লীম ফিগারের। টগবগে, খুবই চঞ্চল। এর মাংস খেতে খুবই নরম সুস্বাদু। দয়া করে বলবেনকি এত নরম হওয়ার পিছনে কোন নষ্ট করান আছে কিনা?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: খবই নরম সুস্বাদু??? :| আমার মনে হয় নরম সুস্বাদু হবার পেছনে গরুর কোন কেরামতী নেই।

রান্না করছে কেডাই? প্রেসার কুকারে দিয়ে কি মনে হয় চাপ একটু বেশীই দেয়া হইছে।

আপনার সুস্বাদু মাংস খাবার লোভ সংবরণ করলাম। :-&

৪০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

সুমন কর বলেছেন: অামি কোন মন্তব্য দেখতে পারছি না।

রহস্য কি ??? X(( X(( X((

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আমরা সবাই কিন্তু আপনার মন্তব্য দেকে পেলেচি।

:#) :D B-)

৪১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৯

আরজু পনি বলেছেন:

ইসসস কী ভয়ংকর ! :|

অনেক ধন্যবাদ এমন একটি তথ্যসমৃদ্ধ রেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্যে ।

কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই লেখাটিকে দৃষ্টি আকর্ষনের ব্যবস্থা করে দেয়ায়।

ঈদের শুভেচ্ছা রইল, মৃদুল ।।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: :| :|


আসলেই ভয়ংকর। এই পোষ্টের দুইজন কমেন্টকারীর গরু কেনার দুইদিনের মাথায় মারা গেছিল। বলতে হয় তারা দূষিত মাংস খাওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেছে। জানিনা আমাদের কতো জনের পেটে গরুর মাংস গুতো দিচ্ছে?? :-& :-&

ঈদ কেমন কাটালেন আপু???

৪২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:৫৬

মো : অাজিজুল হক বলেছেন: news bd

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ইডা কিসের লিংক?

৪৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

সোহানী বলেছেন: খুবই প্রয়োজনীয় একটা পোস্ট। ঈদের আগে লিখাটা পড়লে ভালো হতো ... যাহোক ভবিষ্যতের জন্য শিখে নিলাম..... +++++++

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: হুম। আপনিতো ঈদের দাওয়াত দেবার ভয়ে ব্লগেই আসলেনই না। কিন্তু আমি মাইন্ড করিনাই। দাওয়াত এখনো কবুল করার অপেক্ষায় আছি।

কেমন আছেন আপু?

৪৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

সোহানী বলেছেন: আরে এবার সব দাওয়াত বন্ধ রেখেছিলাম। একটা মেড়িকেল ক্যাম্প নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। একটু জনসেবায় দিন কাটালাম কয়দিন.... B:-/ B:-/ B:-/ B:-/ B:-/

১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বাহ ভালোতো। মানুষের জন্য কাজ করার মতো প্রশান্তি আর কিছুতে নেই। বেশ ভালো আছেন বুঝলাম।


;) ;) ;)

৪৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

সোহানী বলেছেন: হুমমমম.... ঈদের পরদিন আমরা কয় ভাইবোন ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছিলাম। দারুন সাড়া পেয়েছি... প্রায় ৩০০ রোগীর ট্রিটমেন্ট সাথে যতটুকু পেরেছি মেডিসিন এর ব্যবস্থা করেছিলাম আমরা। খুবই ভালো কেটেছে... বিশেষ করে ছেলে মেয়েরা এ প্রথম গ্রামে গেছে........... তারাতো দারুন এক্সাইটেড ছিল।

আসলে এগুলো আমার অবদান নয় আমার বড় বোনদের অবদান। ওরা দু'জনের ইচ্ছাতেই এ উদ্যোগ। পরিবারের ৬ জন ডাক্তার হওয়াতে এ উদ্যোগ। তাই এবার দাওয়াত পর্ব বন্ধ রেখেছিলাম।

আপনার কেমন কেটেছে?? জাহাজে?? এবার কোন লেখা পাবো না জাহাজীদের ঈদ নিয়ে !!!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৩২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: একই পরিবারের ছয়জন ডাক্তার?? :( :( আপনাদের বাড়ীতো তাইলে একটা জেনারেল হসপিটাল :!>

ভালো লাগলো আপনাদের কার্যক্রমের কথা শুনে।


আমার এই বছরটা অনেক স্পেশাল গেছে। রোজার ঈদের আগে দেশে আসছিলাম। দুইটা ঈদ করলাম। তাই জাহাজীর ঈদ নিয়ে কোন পোষ্ট দেয়া হয়নি।

শুভকামনা নিবেন। ভাল থাকবেন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.