নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই নাবিকঃ হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা

নিজের সম্পর্কে গুছিয়ে কিছু লেখা আমার কাছে খুবই কঠিন গদ্য। আমি এক এলেবেলে মানুষ। লেখালেখির কিচ্ছু জানি না। গায়ের জোরে লিখে যাই। তবে ছোটকালে ভালো লিখতাম। বড় হয়ে মনে হয় নষ্টদের অধিকারে চলে গেছি।

মৃদুল শ্রাবন

মেরিনার

মৃদুল শ্রাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যদি নাই জানতাম রাজন মরেছে, তবে কি বেঁচে থাকতো রাজন?

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২১




যদি এমন হত আমি রাজনের কথা জানতাম না মানে রাজন মরনি তাহলে চাইতাম সাগরের বুকে এই পথ চলা যেন শেষ না হয়। জাহাজে আমরা জানিনা ১৩ বছরের একটি শিশুকে চোরের অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়, জানিনা সেই ঘটনার দৃশ্য ভিডিও করে ফেসবুকে আপলোড দেয়া হয়। যদি এমন হতো আমরা জানিনা মানে সেই ঘটনা ঘটেনি।

যদি বাইরের পৃথিবীটা যদি আমাদের পৃথিবীর মতো হতো? যেমনটি আমাদের সকাল দুপুর রাত একটা নিয়মে চলে। কি খাবো, কি করবো সব কিছু সাজানো। এখানে কোন রাজনেরা মধ্যযুগীয় কায়দায় মরেনা !! যদি রাজন আজ কি করবে সেটা সাজানো থাকতো, যদি রাজনের হত্যাকারীরা আজ কি করবে সেটা সাজানো থাকতো তবে কি রাজনের মায়ের বুক এভাবে খালি হবার কোন পরিকল্পনা আমরা করতাম?

আজ চারদিন পরে নেটওয়ার্ক পেলাম। দেশ থেকে অনেক দূরে বসে জানলাম আমাদের দেশে হত্যাকারীরা ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড দেয়। সেলফি ক্রেজ নিয়ে আমি একটা কথা বলতাম, কোন সেলফিই সম্পূর্ণ নয় যতক্ষণ পর্যন্ত যেটি ফেসবুকে আপ্লোড দেয়া না হয়। মোবাইলের মেমোরি কার্ডে জমে থাকা সেলফির কোন দাম নেই। এখন মনে হয় হত্যাকারীরা তাদের হত্যা নীতিতে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে। কোন হত্যাই সম্পূর্ন নয় যতক্ষণ পর্যন্ত না সেটির ভিডিও ফেসবুকে আপলোড না নেয়া হয়। কি সাহস। তারিফ করতে হয় তাদের দেশের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর দুঃসাহস কে। তারিফ করতে হয় মানবিকতাকে এইভাবে জয় করে অমানাবিক, পৌশাচিক আনন্দে ডুবে যাবার পন্থা খুঁজে নেওয়ার সাহসিকতার জন্য।

কি বলবো?? আমি ভিডিওটি খুঁজে দেখার সাহস পাচ্ছিনা। আমি জানিনা মানবিকতার এমন পরাজয় হয়েছে জানিনা রাজন নামের ১৩ বছরের কোন বালককে ক্যামেরার সামনে হত্যা করা হয়েছে। আমি দেখতে চাইনা এই পৌশাচিকতা।

কিন্তু এইভাবে খড় গাদায় মুখ লুকিয়ে থেকে আর কতদিন? আমি জানিনা রাজন মরেছে মানে রাজন বেঁচে নেই। রাজনের বেঁচে থাকা আমার জানা না জানার ওপর নির্ভর করেনা। আমার জানা না জানার ওপর নির্ভর করেনা আমার পৌশিকতা করদূর গড়িয়েছে।

এই অবস্থা থেকে আমাদের পরিত্রাণ নেই। সামাজিক মাধ্যমে আমরা নতুন কোন ইস্যু আসার আগ পর্যন্ত রাজনকে নিয়ে বড় বড় কথা লিখবো। যেমনটি আমরা বিশ্বজিৎ কে নিয়ে লিখেছি, যেমনটি আমরা বৌশাখী মেলায় পাব্লিক প্লেসে আমার মা বোনদের ধর্ষন নিয়ে লিখেছি। এখন আমরা রাজনকে নিয়ে লিখছি। এমন এক একটা রাজন আমাদের লেখার রসদ হয়ে আসবে সামাজিক মাধ্যমে। নতুন রসদ পেয়ে আমরা ছুড়ে ফেলবো পুরানো রসদ। হ্যা এভাবেই হয়ে আসছে, এভাবে হবে । এভাবেই হবে আমাদের সমাজের পরিবর্তন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৩৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: নতুন রসদ পেয়ে আমরা ছুড়ে ফেলবো পুরানো রসদ। হ্যা এভাবেই হয়ে আসছে, এভাবে হবে । এভাবেই হবে আমাদের সমাজের পরিবর্তন।কিন্তু আমরা মানুষ হবো না,জানোয়ার থেকে যবে যারা কামরুলকে বিমন বন্দর পার হতে দিয়েছে।। সুতরাং আপনার ভাবনাকে একেবারেই উড়িয়ে দিতে পারছি না।।

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:০৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: এভাবেই আমরা সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি। ভাবি এভাবেই আমাদের বিবেক টিকে থাকবে।
অথচ দিন পরিবর্তনের জন্য কোন ইস্যুর দরকার হয়না। ঘুনে ধরা সমাজ ব্যবস্থা কে পাল্টাতে নিত্য ইস্যু না খুঁজে আমাদের বিবেককে উন্মুক্ত হতে দিতে হবে। বিবেক কি শুধু ব্লগ লিখেই খ্যান্ত কিনা বুঝতে হবে।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:২৬

আমি বন্দি বলেছেন: চমৎকার ভাবনা হ ভাই ঠিক বলেছেন আপনার ভাবনার সাথে সহমত ।

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:০৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: হ্যা আসলেই এমনটি হচ্ছে। এভাবেই আমরা পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছি। ধন্যবাদ নিবেন।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:২৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:


কোন হত্যাই সম্পূর্ন নয় যতক্ষণ পর্যন্ত না সেটির ভিডিও ফেসবুকে আপলোড না নেয়া হয়। কি সাহস। তারিফ করতে হয় তাদের দেশের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর দুঃসাহস কে।

আমাদের দেশের আইনের অবস্থা যা দৃশ্যমান তাহলো যে পক্ষ বেশী শক্তিশালী সেই নির্দোষ। সত্যিকার অর্থে তাইতো ঘটেছে। প্রশাসনকে টাকা দিয়ে একজন খুনি বিদেশে পালিয়ে গিয়েছে। সে ধরা পড়তো না যদি এর প্রতিবাদ ছড়িয়ে না পড়তো।

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:১২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আমাদের দেশের সাংবাদিকের ক্যামেরার সামনে মানুষ মরে। সাংবাদিক ফটোশুটে ব্যাস্ত থাকে। একজন সাংবাদিকের কাছে মিডিয়া কভারেজ বড় একজন মানুষের জীবনের থেকে। আমার মনে হয় দূষ্কৃতিকারীরা সাংবাদিকের কষ্টটা কমানোর ভার নিয়েছে। এখন ওপেন মিডিয়ার জগতে আমরা সবাই রিপোর্টার। ফেসবুকের ঐ ভিডিওটা কত বার সীন হয়েছে সেটা ভাবা যায়!!!

আর প্রশাসনের কথা কিই বা বলবো। যে পক্ষ বেশী শক্তিশালী সেই নির্দোষ। একেবারে যতার্থ কথা বলেছেন ভাই।

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩

মোঃ আশিক বিল্লাহ্ বলেছেন: সহমত।

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:০৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কোন হত্যাই সম্পূর্ন নয় যতক্ষণ পর্যন্ত না সেটির ভিডিও ফেসবুকে আপলোড না নেয়া হয়। কি সাহস। তারিফ করতে হয় তাদের দেশের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর দুঃসাহস কে। তারিফ করতে হয় মানবিকতাকে এইভাবে জয় করে অমানাবিক, পৌশাচিক আনন্দে ডুবে যাবার পন্থা খুঁজে নেওয়ার সাহসিকতার জন্য। সহমত। অবাক করার মত ব্যাপার হল রাজনের ঘটনার পর গত কয়েকদিনে আরও তিন থেকে চারটি এরকম হত্যার ভিডিওর কথা জানা গেছে যেগুলো অতি সাম্প্রতিক সময়ে সংঘঠিত হয়েছে।

আপনার শেষের কথাগুলো দিয়েই শেষ করি,
এই অবস্থা থেকে আমাদের পরিত্রাণ নেই। সামাজিক মাধ্যমে আমরা নতুন কোন ইস্যু আসার আগ পর্যন্ত রাজনকে নিয়ে বড় বড় কথা লিখবো। যেমনটি আমরা বিশ্বজিৎ কে নিয়ে লিখেছি, যেমনটি আমরা বৌশাখী মেলায় পাব্লিক প্লেসে আমার মা বোনদের ধর্ষন নিয়ে লিখেছি। এখন আমরা রাজনকে নিয়ে লিখছি। এমন এক একটা রাজন আমাদের লেখার রসদ হয়ে আসবে সামাজিক মাধ্যমে। নতুন রসদ পেয়ে আমরা ছুড়ে ফেলবো পুরানো রসদ। হ্যা এভাবেই হয়ে আসছে, এভাবে হবে । এভাবেই হবে আমাদের সমাজের পরিবর্তন।

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:৩৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: একটু খেয়াল করে দেখুন আমরা ভুলে যাচ্ছি রাজনের কথা। পুরোনা হয়ে যাচ্ছে এই রসদ। আমাদের নতুন কোন রসদ চাই, চাই কথা বলার মতো আর একটা অন্যায়, যেটা নিয়া আমরা আরো দুইদিন লাফাতে পারি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.