নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেরিনার
আমি শুধু পেশায় যাযাবর নই ব্লগে লিখিয়ে হিসেবেও যাযাবর। শেষপোষ্ট দিয়েছি অনেক আগে। জাহাজে থাকতে ঠিকমতো ব্লগে ভিজিট করা সম্ভব হতো না। সময় পেলে অনুসারিত ব্লগে ঢুকে একটু দেখে নিতাম কে কি লিখছে। নির্বাচিত পাতায় দেখতাম ব্লগারদের মিথস্ক্রীয়া অনেক বেড়েছে ইদানিং। একঝাঁক নতুন ব্লগার ব্লগ মাতাচ্ছে। এবং পুরাতন অনেকে নিয়মিত হয়েছে। আমি যদি সময়ও পাই তবু তাদের সাথে মাততে পারিনা। ব্লগে তিন বছর পার করলেও এমন কোন ভূমিকা রাখিনি যে কেউ আমাকে নামে চিনবে। তাই সল্প সময়ে কারো সাথে ভাল বোঝাপড়া হয় না। তাই মাঝে মাঝে উকিঝুকি মেরে নতুন পুরাতনদের মাতামাতি দেখি। দেখি গত বছেরের তুলনায় এখন ব্লগবাড়িটি বেশ রমরমে। বিশেষ করে সামুর নতুন ভার্সনটি চালু হবার পরে ব্লগ ব্যবহার অনেক সহজ হওয়াতে এখন আর ব্লগে সময় কাটাতে কারো বিরক্তি লাগেনা বুঝি। তবে আমি ব্লগে বেশী সময় দিতে পারি না। নতুন নতুন দেশে দু এক দিনের জন্য নেটওয়ার্ক পেলে নেট কানেকশন নিয়ে পিসির সামনে বসে ব্লগিং করার মতো সুযোগ হয়ে ওঠে না। যা একটু সুযোগ পাই মোবাইলে প্যাকেজ নিয়ে ফ্যামিলির সাথে যোগাযোগ রাখতেই চলে যেত। বুঝতেই পারছেন ফ্যামিলি থেকে দুরে থাকলে হোমসিকনেসটা বাড়ে। বিশেষ করে আমাদের মতো নেটওয়ার্ক বিহীন অবস্থায় থাকলে।
হয়তো অনেকের মনে হতে পারে তাহলে আমার জাহাজে থাকা সময় গুলো কিভাবে কাটে? হ্যা যেখানে ইন্টারনেট নেই পরিবার নেই সেখানে একজন মানুষের সময় কিভাবে কাটে সেটা অবশ্যই প্রশ্ন হতে পারে। কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর দেয়াটা কঠিন। আমার মতো অনেক জাহাজী ব্লগার, লেখিয়ে আছে যারা প্রচুর জাহাজী জীবনের গল্প লিখেছেন। কিন্তু আমার কাছে সেগুলোর কোনটিই বস্তুত জাহাজী জীবনের গল্প নয়। আমরা যখন বিভিন্ন পোর্টে যাই ঘুরি ফিরি এবং সেগুলোর ছবি তুলে আপ্লোড দিই সেটা হয় জাহাজীর ঘোরাঘুরির গল্প। কিন্তু জাহাজে একজন জাহাজীর জীবনের গল্প কেউ লিখিনা। জাহাজে রুটিন করা খাওয়া আর ডিউটি করা ছাড়াও অনেক কিছু হয়, সেগুলো নিয়ে তেমন কিছু লেখা হয়নি কারো। তাই জাহাজের জাহাজী জীবনের গল্পটা সাধারণের কাছে অজানাই থেকে গেছে।
দেখি তেমন গুছিয়ে কিছু লিখতে পারি তবে সবার সামনে নিয়ে আসবো। তবে এটুকু বলি যে আর যাই হোক নিভৃতে লেখালেখিটা আমার হয় না। যদিও একসময় মনে হতো জাহাজের নিভৃত জীবনটা আমার লেখালেখির ইচ্ছেটা জিইয়ে রাখবে। কিন্তু সেটা করেনি। বরং ডিউটি শেষ করে যখন রুমে আসি তখনও অবচেতন মন চিন্তা করতে থাকে আমার নির্দেশিত রুট ধরে জাহাজটি নিরাপদে চলছেতো?
এ বিষয়ে ছোট্ট একটা উদাহরণ দিই। আমি যে র্যাঙ্কে জব করি আমার দায়িত্ব জাহাজের রুট প্লান করা এবং সেই রুটকে জিপিএসএ ইনপুট করে নির্দিষ্ট পথে জাহাজ চালনা করাতে ওয়াচ অফিসার কে সহায়তা করা। এখন আমি নিজে ওয়াচ অফিসার থাকি আট ঘন্টা। এই আট ঘন্টায় আমার বানানো রুটের প্রতিফলন আমি নিজে দেখে দেখে জাহাজ চালাচ্ছি। এখানে যদি আমার কোন ভূলও হয়ে থাকে রুট তৈরি করার সময় তবে আমি সুধরে নিতে পারছি। কিন্তু বাকি ষোল ঘন্টা? কিছুদিন আগে আমার কোম্পানির এক্টা জাহাজে এমন এক্টা ভুল রিপ্লেশন হয় রাডারে এবং একজন অফিসার তার ওয়াচে নিজের দায়িত্বে অবহেলা করে অন্ধের মতো সেই ভুল রিফ্লেশন দেখে জাহাজ চালিয়ে জাহাজকে এক্টা ডুবো পাহাড়ে উঠিয়ে দেয়। এই ঘটনায় ও সময় দায়িত্বে থাকা অফিসার সহ আমার র্যাঙ্কের ঐ অফিসারটিরও চাকরি যায় । এই কারনেই আমি যখন অফ ডিউটিতে থাকি তখনও আমার টেনশন চলতেই থাকে। এটা তো গেল এক্টা দিক। এমন আরো অনেক আছে। যার কারনে জাহাজে বস্তুত নিভৃত সময় আমার পাওয়া হয়ে ওঠে না।
যদিও আজকে জাহাজী জীবনের ইতিকথা লেখা আমার লেখার বিষয়বস্তু না। এই লেখাটির উদ্দেশ্য ওয়েলকাম ব্যাক রাইটিং। গত তিন বছরে ব্লগে কোন নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে লিখে স্থির হতে পারিনি। শুরুটা করেছিলাম কবিতা লিখে। মাঝে কিছু গল্প লিখেছি। এবং লিখেছি জাহাজী জীবনের গল্প। মাঝে মাঝে রাজনীতি ও সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে লিখেছি। কিন্তু এবার অনেকদিন পরে আবার কি নিয়ে লেখা শুরু করবো এটা নিয়ে বেশ খানিকটা চিন্তায় থাকতে থাকতে জাহাজ থেকে নেমে প্রায় একমাস কাটিয়ে দিলাম ভরপুর নেটওয়ার্কে থেকেও। ভাবলাম একটা কবিতা পোষ্ট দিই। আবার ভাবি না সমসাময়িক বিষয়াদি। তবে কোন কিছুই দিতে পারলাম না ভয়ে। জানিনা ব্লগে যারা আমার প্রিয় ছিল, বা আমি যাদের পরিচিত ছিল তারা আমাকে ভুলে গেছে কিনা, কিংবা এতদিন পরে তারা আবার আমাকে কিভাবে গ্রহন করবে? তাই একটা জবাবদিহীতার প্রয়োজন বোধ করছিলাম। জবাবদিহীতা আমার এই অনুপস্থিতির, জবাবদিহীতা ব্লগে আমার এই যাযাবরীয়তার। আমি পেশায় নিজে যাযাবর, তাই আমার ব্লগটি একটি যাযাবরের ব্লগ, এবং আমি ব্লগের একজন যাযাবর। এই যাযাবরের এইভাবে হারিয়ে যাওয়া এবং আবার ফিরে আসাটার জন্য একটা জবাবদিহীতার প্রয়োজনতো বটেই।
যাইহোক অনেক কথা হল। আমার এই অচল কাসুন্দি ঘেটে শুধু শুধু সবার সময় নষ্ট করলাম। এখন আসুন আপনাদেরকে আমার শেষ জাহাজের কিছু ক্লিক দেখাই।
১। নেভিগেশন ব্রীজ থেকে তোলা জাহাজের সামনের ছবি।
২। আমি নিজে বৃশ্চিক রাশির জাতক। রাতের বেলা ব্রীজের অন্ধকারে আকাশে তাকিয়ে বৃশ্চিক খোঁজা আমার প্রিয় একটা কাজ। এটি আমার মোবাইলের একটা স্ক্রীনশট। স্টারফাইন্ডার এপস এর।
৩। নীল সাগরে কনটেইনার ভর্তী আমাদের জাহাজ।
৪। কিছুটা খারাপ আবহাওয়ায় খালি জাহাজ নিয়ে আমরা যাচ্ছি চায়নার সাংহাই জাহাজের ড্রাইডক করাতে। তাইওয়ান স্ট্রেইট পার হবার পরে আমাদেরকে পেল সুপার টাইফুন দুজুয়াব। তীর্যক ভাবে পাল্লা দিয়ে আমরা এবং দুজুয়ান এগিয়ে যাচ্ছিলাম নর্থ চাইনার দিকে। এবং আমাদের জন্য কোন শেল্টার ছিল না যেসময়। আমাদের যেখানে আশ্রয় নেবার অবস্থা ছিল টাইফুনের সম্ভাব্য আঘাত করার জায়গাও ছিল সেটি। তবে আমরা আমাদের জাহাজের গতি বাড়িয়ে তাকে পিছে ফেলে সাংহাই চ্যানেলে ঢুকে যেতে পেরেছিলাম। যদিও যতটা খারাপ সাগর পেয়েছিলাম ইতিমধ্যে সেটা ছিউ আমার জীবনের সবথেকে ভয়াবহ। সমস্থ জাহাজটিকে যেন এক কাগজের নৌকার মতো উল্টিয়ে পাল্টিয়ে ফেলছিল। কেবিন, স্টোর এবং নেভিগেশন ব্রীজের সব জিনিসের স্থান হয়েছিল ফ্লোরে। এবং সেগুলো প্রচন্ড গতীতে গড়াগড়ী খাচ্ছিল।
৫। বন্দরে ভিড়তে যাচ্ছি আমরা। এই মূহুর্তটি প্রত্যেকটা জাহাজীর খুব প্রিয়। তবে আজকাল কন্টেইনার জাহাজগুলোর পোর্টস্টে খুব কম হয়। হয়তো ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা। তাই সবসময় বাইরের শহর ঘুরতে যাওয়া বা শপিং করতে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।
৬। জাহাজটি বন্দরের সাথে বাধা হলে ডেক ডিপার্টমেন্টের প্রথম কাজ থাকে গ্যাংওয়ে দেয়া। গ্যাংওয়ে হল বন্দর থেকে জাহাজে ওঠার একটা অস্থায়ী সিড়ি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে জাহাজের ডেকক্রুরা গ্যাংওয়ে সেট করছে এবং নীচে অপেক্ষামান পোর্ট অথরিটি সহ কার্গো সুপারভাইজাররা।
৭। কার্গো হোল্ডের কভার খোলা হচ্ছে গ্যান্টিক্রেন দিয়ে। কনটেইনারগুলো এই কার্গো হোল্ডে লোডিং হবে।
৮। বন্দরের গ্যান্ট্রিক্রেনগুলোর আলোয় জাহাজের চেহারাটা অন্যরকম লাগে।
৯। জাহাজীদের জীবনে অনেক কিছুই স্যাক্রিফাইস করতে হয়। কোন দিবস তাদের কাছে উৎযাপনীয় নাও হতে পারে। তবু মাঝে মাঝে যদি উপযুক্ত পরিবেশ থাকে আই মিন ক্যাপ্টেন যদি ভাল থাকে তবে সুযোগ পেলে পালন করা হয় কোন দিবস। আমার লাষ্ট জাহাজের হ্যাপি নিউইয়ার উৎযাপন।
১০। দুইজন ক্যাডেটের সহায়তায় একশটি বেলুন ফুলিয়ে পুরো মেসরুমের সিলিংটা সাজিয়েছিলাম আমি।
১১। প্লেইন এই কেকটির ওপর হ্যাপি নিউইয়ার লেখার চ্যালেঞ্জটা নিলেন চীফ ইঞ্জিনিয়ার সার। বাদাম ছিটিয়ে লেখা হচ্ছে হ্যাপি নিউইয়ার-২০১৬।
১২। ভলকানো পার্টি। পার্টি একরকম নামকনের পেছনে লম্বা কারন আছে। আমাদের জাহাজটি যখন ড্রাইডকে রিপেয়ারের জন্য ছিল তখন মালিকের একজন রিপ্রেজেন্টেটিভ ছিল জাহাজে। তার নাম ক্যাপ্টেন ভলগার। বৃটিশ এই ক্যাপ্টেন যতদিন আমাদের জাহাজে ছিল আমাদের সবার খাওয়া ঘুম সব হারাম ছিল। আমাদের জাহাজটির মালিক ছিল একজন গ্রীক। তিনি ইংল্যান্ড থেকে তার ব্যবসা পরিচালনা করেন। এবং জাহাজটির ম্যানেজমেন্টের জন্য সিঙ্গাপুরের ভি-শীপস্কে দায়িত্ব দেয়, ভি-শীপস্ বাংলাদেশের একটা মিনিং এজেন্সির মাধ্যমে আমাদেরকে জাহাজ চালনা করার নিয়োগ দেয়। কাজেই এখানে মালিকের কাছে আমাদের বাঙালিদের পারফর্মেন্স শো করার একটা ব্যাপার এসেই যাই। তাছাড়া ক্যাপ্টেন ভলগার খুবই বদমেজাজী একজন লোক ছিলেন। কারো কাজে সামান্য ত্রুটি পেলেই উনি নাকি তার চাকরী খেয়ে বসেন। তাই আমরা যতদিন ড্রাইডকে ছিলাম চোখ কান বন্ধ করে পারফর্মেন্স শো করার তালে আমাদের প্রাণ ওষ্টাগত ছিল। এবং ফাইনালি আমরা যখন ড্রাইডক থেকে সেইল করলাম তখন একটা পার্টি থ্রো করলাম ক্যাপ্টেন ভলগার থেকে মুক্তি পাবার আনন্দে। যার নাম অবধারিত ভাবেই ভলকানো পার্টি হয়ে গেল।
১৩। ভলকানো পার্টিতে আমাদের আনন্দ নৃত্য।
১৪। ভলকানো পার্টিতে গান পরিবেশন করছেন আমাদের ক্যাপ্টেন স্যার। আঞ্চলিক চিটাগাং থেকে শুরু করে এমন কোন গান ছিল না যে গানের সুর উনি উটাতে পারেন না। তার গানের সুরে প্রানবন্ত হয়ে উঠেছিল আমাদের পার্টি।
সবশেষে পার্টিতে থার্ড ইঞ্জি্নিয়ারের গাওয়া একটা ম্যাসআপ ভিডিও লিংক না দিয়ে পারলাম না।
এই এলোমেলো পোষ্টটি দিয়ে যাযাবরীয় ব্লগিং শুরু করলাম আবার।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আসলেই ব্লগিংটা একবার যাদের রক্তে ঢুকে গেছে তারা ফিরে না এসে পারে না। কেউ আসে অফলাইনে, কেউ আসে ভিন্ন নিকে। তাদেরকে আসতেই হয়। সামুর মায়া ছাড়া খুবই কঠিন।
ধন্যবাদ দরবেশমুসাফির প্রথম মন্তব্যের জন্য।
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬
তার আর পর নেই… বলেছেন: আপনার জাহাজের জীবন দিয়েই শুরু করে দিন। জাহাজের জীবন আমার খুব আনন্দের মনে হয়, নীল সাগরে ভেসে চলা … আবার যে কোন দুর্যোগে নতুন করে বেঁচে উঠার আনন্দ …
কয়েকটা ছবি সুন্দর! +++
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৩
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: জাহাজের একঘেয়েমি জীবনে এত বেশী গল্প তৈরি হয়না তাই লিখতে গেলে কলম তো নেই কিবোর্ড কামড়েতে হয়।
আপনি একমাসে ব্লগে অনেকগুলো পোষ্ট দিয়েছেন দেখলাম, এবং মন্তব্য করেছেন প্রচুর। আপনার ব্লগিং স্পীড প্রশংসানীয়।
ভালথাকবেন। শুভকামনা রইলো।
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯
শায়মা বলেছেন: যাযাবরী ব্লগিং অনেক সুন্দর হবেই ভাইয়া। বুঝাই যাচ্ছে এই পোস্ট দেখেই!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: দেখি না আপু কি করা যায়। ব্লগ ধরে একটা বিরাট ঝাক্কি দেবার ইচ্ছে জাগছে এবার। দিমু কি দিমুনা ভাবতেছি।
নতুন পুরাতন ব্লগারদের নিয়ে ব্লগিংকে আনন্দময় করে তোলার জন্য আপনার ভূমিকা দেখে ব্লগ থেকে বেশী দিন দুরে থাকতে ইচ্ছে করেনা আপু।
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৮
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অগোছালো বলছেন!!!
আমার কাছে তো বেশ গোছানো মনে হলো!!
একশটি বেলুন দিয়ে সাজানো মেসরুমটা তো মনোমুগ্ধকর!
অভিবাদন ক্যাপ্টেন।
শুভকামনা এবং শুভকামনা।
সুদীর্ঘ ও সুন্দর হোক প্রত্যাবর্তন।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৪
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: গোছালো কোথায় পেলেন ভাই। কি দিয়ে কি লিখে প্রত্যাবর্তন করবো বুঝতে না পেরেই এই পোষ্ট।
তবে আপনার মন্তব্যে খুশি হলাম।
ভাল থাকুন। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৬
পুলহ বলেছেন: "আমরা যখন বিভিন্ন পোর্টে যাই ঘুরি ফিরি এবং সেগুলোর ছবি তুলে আপ্লোড দিই সেটা হয় জাহাজীর ঘোরাঘুরির গল্প।" ঠিকই বলেছেন! আমার মেরিনের বন্ধুগুলোকে দেখি এখানে- ওখানে, এদেশে- ঐদেশে গিয়ে শুধু ঘোরাঘুরির ছবিই আপ্লোড দিচ্ছে
"জাহাজে একজন জাহাজীর জীবনের গল্প কেউ লিখিনা..."- সেটাই লেখা শুরু করুন ভাই! আমার মতে- পাঠক আগ্রহ নিয়েই গ্রহণ করবে! গাঢ় নীল সমুদ্র, অচিন বন্দর; গভীর রাতে জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে থাকা কোন যাযাবর-জাহাজী, নক্ষত্রের মতই যে সাতরে বেড়ায় পৃথিবীর এপার থেকে ওপারে...
শুভ প্রত্যাবর্তন! অনেক অনেক ভালো থাকবেন
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৪
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের কারনে একটা ছবি শেয়ার করতে মন চাইলো। আমার একটা বার্থডে কেকের ছবি। জীবনে অনেকবার বার্থডে কেক কেটেছি। কিন্তু জাহাজে কারো বার্থডে কেক কাটার দৃশ্য দেখিনি, নিজের তো তো অনেক পরের ব্যপার। কিন্তু আমার শেষ জাহাজের পরিবেশটা অনেক সুন্দর থাকাতে সেই কাজটি করতে পেরেছিলাম।
জাহাজীর জীবনের আরো অনেক দিক আছে। জাহাজের অনন্দের মূহুর্ত, দুঃখের মূহুর্ত। আপনার আগ্রহ দেখে উদ্ভুদ্ধ হচ্ছি জাহাজীদের আসল কাহিনী লেখার। দেখি যদি পারি শেয়ার করবো।
ভাল থাকবেন।
৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উরিব্বাস!!!!!!!!!!!
ভিনি ভিডি ভিগি
এলাম, লিখলাম, জয় করলাম
এরেই কয় পুরানা চাইল ভাতে বাড়ে
দারুন রোমাঞ্চকর জীবন! আপনার ৪ নং ফুটুক দেইখাইতো ডরাইছি... আহারে কিরাম ভয়টাই না পাইছিলেন তখন!!!
অসাধারন প্রত্যাবর্তনে উষ্ণ শূভেচ্ছা।
++++++++++++
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৭
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাই ব্লগে আপনারা শুধু দিয়ে গেছেন আর আমরা নিয়ে গেছি।
এই যে মন্তব্যটি আপনি করলেন আমার পোষ্টে এটিও দিলেন, আমি আগে বাড়ার আগ্রহ পেলাম।
৪ নং ছবিটি যে ইভেন্টের কথা লিখেছি ঐ ইভেন্টের এ্যকচুয়াল ছবিনা। ঐ মূর্হুতটি ছিল রাতের এবং যদি রাতের নাও হতো তবু ঐ অবস্থায় ছবি তোলা সম্ভব হতো না আমার পক্ষে। জাহাজটি মনে হচ্ছিল পানিতে না হাওয়ায় ভাসতেছে। প্রকৃতপক্ষে মৃত্যু ভয় পেয়েছিলাম সেদিন, কোন রোমাঞ্চ পাইনি।
একি রকম ঘটনার একটা ইউটিউব লিংক দিলাম নিচে।
Cargo ship in bad weather
৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৪
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া একটা মনের কথা বলি।তোমার আর ভাবীজীর ছবি দেখে আমার নতুন করে সারেং বউ লিখতে ইচ্ছা করে। তবে সেই গল্পটা হবে শুধুই প্রেম ও বিরহের । নো আলাদা কষ্ট দুঃখ!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৫
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: এই কথাটি এই যে আপনি বললেন , আমি বুঝতে পেরেছি আপনি আলরেডি নব সারেং বৌ এর দু চার লাইন লিখে ফেলেছেন।
মজার কথা হল এবার শর্মী তার বার্থডে কেকের ওপর সারেং বৌ লিখিয়ে এনেছিল। যদিও প্রফিশনালি জাহাজের প্রত্যকের আলাদা আলাদা ডেজিকনেশন আছে এবং আমি সারেং নই তবু অনেক মজা পেয়েছিলাম। আপনার লেখা পড়লেও অনেক মজা পাব।
উৎসর্গের ওপর দাবী রেখে গেলাম আপু আপনার সারেং বৌ এর।
৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৬
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ফিরে আসার শুভেচ্ছা জানবেন। হ্যাপি ব্লগিং।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪২
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন:
মন্ত্যবের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন। শুভকামনা রইলো।
৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: মৃদুল শ্রাবন ,
ওয়েলকাম ব্যাক রাইটিং।
ফাল্গুনের শুভেচ্ছা জানবেন ।
( আগেরটি অনুগ্রহ করে মুছে ফেলবেন টাইপো হবার কারনে । )
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২২
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই। ফাল্গুন ও ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা আপনাকে।
১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠুক সামু।
আজকের দিনে পড়া সেরা লেখা ছিল এই পোস্টটি। জাহাজ নিয়ে আমাদের আরো অনেক কিছু জানাতে পারেন। আর অবশ্যই জাহাজে থেক অফলাইনে লেখাগুলোও শেয়ার করবেন আশা করি।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: দেশে যতদিন আছি নিয়মিত হবার আশা প্রকাশ করছি। যখন অফ নেটওয়ার্কে থাকি তখনও সামু সার্কেলকে মিস করি অনেক।
তবে পোষ্ট সম্পর্কে যে কমপ্লিমেন্ট দিলেন তাতে লজ্জা পেলাম।
আশা করছি আরো লেখা নিয়ে আসবো।
১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০০
আরজু পনি বলেছেন:
পোস্টের অনেকটা জুড়ে দুশ্চিন্তা ছিল...ভাবছিলাম আজ সকালটা শুরু করেছি জাদিদের টেনশন পোস্ট দিয়ে আর শেষটাও কিনা টেনশন !
তবে ভলকানো পার্টির কারণ আর আনন্দ দেখে দুশ্চিন্তা কিছুটা কমেছে।
আপনি আপনার এই সব টেনশনই আমাদের শেয়ার করুন...আমরাও আপনার সাথে টেনশিত হতে চাই ।
শুভ প্রত্যাবর্তন, মৃদুল ।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ছোটবেলায় আমারা বিভিন্ন জাহাজের বিদ্রোহী নাবিকের কাহিনী পড়েছি। পড়েছি জাহাজের অন্তকলহে বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি হয়। ক্যাপ্টেনকে বন্দী করে জাহাজের কমান্ড নিয়ে ফেলে বিদ্রোহী কোন নাবিক। এই কাহিনীগুলো কমন ছিল। যদিও এখনকার জাহাজে এইগুলো সম্ভব না তবু এখনকার জাহাজে খুব কম পলিট্রিক্স হয় না। আমি যেদিন প্রথম জাহাজে জয়েন করি সেদিন ক্যাপ্টেন আমাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন ডিক্টেটরশীপ কি আমি জানি কিনা? আমি বললাম জানি। তিনি বললেন জাহাজ হল ডিক্টেটরশীপের জায়গা এবং তিনি হলেন সেই ডিক্টেটর।
এরকম আরো অনেক কিছু আছে জাহাজীদের জীবনের। যেটা সাধারণের অজানা ।
আরো একটু টেনশন দিলাম নাকি আপু?
১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ব্লগ আগে কেমন ছিল জানি না। তবে এখন অসাধারণ। চমৎকার মিথস্ক্রিয়া।
আসুন আবার ফিরে।
জাহাজি জীবনের গল্প নিয়েই। আমরা পড়ার জন্য আছি।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৫
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: একসময় ব্লগটা অনেক জমমজমাট ছিল এবং এখনও জমজমাট। তবে পার্থক্য হল এখনকার মিথস্ক্রিয়া অনেক পরিচ্ছন্ন এবং ব্লগারদের পারস্পরিক সম্পর্ক অনেক আন্তরিক।
ভাল থাকবেন। মন্ত্যবের জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৬
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: শুভ প্রত্যাবর্তন।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২০
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রবাসী ভাই। কেমন আছেন?
১৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক দিন পর জাহাজী শ্রাবণ ....
ভাললাগল আপনাদের দিনযাপন এর কথকতা ।
শুভ কামনা
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: হ্যা আপু অনেক দিন পরে আসলাম। মাঝ্র মাঝে পোষ্ট পড়তাম অফলাইনে। জাহাজের ব্যস্ত জীবন তারপর ইন্টারনেটের অভাব।
আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগছে।
১৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ওয়েলকাম ব্যাক বাডি!! এসেই তো ছক্কা মারলেন!! পুরো ফাটিয়ে দিয়েছেন। দারুন একটা পোস্ট। আসলে পরিবার ছেড়ে দীর্ঘদিন দূরে থাকা খুবই কষ্টের।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ছক্কা যদি হয়ে থাকে তবে সেটা ব্যাটে নয় প্যাডে লেগে হয়েছে ভাই। কারণ আমি ব্যাট চালিয়েছি বলেতো মনে করতে পারছিনা।
১৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২১
সুমন কর বলেছেন: ওয়েলকাম ব্যাক রাইটিং খুব ভালো লেগেছে আর আমরা তোমাকে ভুলবো কেন !! অবশ্যই মনে আছে। কাছের মানুষ থেকে দূরে থাকাটা খুব কষ্টের !!
ছবি এবং বর্ণনা ভালো হয়েছে। +।
যাযাবরীয় ব্লগিং-এর অনেক অনেক শুভকামনা রইলো....
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মনে রাখার জন্য। আসলে চোখের আড়াল হলে তো মানের আড়াল হয়ে যায় তাই এই কথা বলছিলাম পোষ্টে।
ভাল লাগছে তোমাদের সবার রেসপন্স পেয়ে। এভাবেই বারবার ফিরে আসার আশা পোষন করছি।
১৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
জুন বলেছেন: ফিরে আসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মৃদুল শ্রাবন ।
আমি অন্তত আপনার জাহাজের জীবন যাপন নিয়েই লেখা পড়তে ইচ্ছুক । নীল সায়রে ভেসে ভেসে কত দূর দূর দেশে কত নতুন বন্দরে চলে যান , সেখানকার বিচিত্র উপাখ্যান নিয়ে লেখা চাই ।
এই লেখাটিও অনেক ভালোলাগলো ।
+
অটঃ আমি আপনার পুরানা পরিচিত ব্লগার
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৫
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপু আপনি যেভাবে ঘোরাঘুরি করে পোষ্ট দেন আমি সারাজীবন জাহাজে ঘোরাঘুরি করেও তেমন একটা পোষ্ট দিতে পারবোনা। আমি ঘুরতে যাওয়ার প্লান করার জন্য আপনার ব্লগে উকি দিই।
অঃটঃ ও আপু আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম সেই আঁশি টাকার নাস্তার কথা। আবার মনে করিয়ে দিলেন এখন বলেন কবে খাওয়াবেন?
১৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: জাহাজী জীবনের গল্প চাই।
ও লেখা কিন্তু ভাল হয়েছে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: জাহাজী জীবন বড্ড একঘেয়ে আর বোরিং। তাই জাহাজী জীবনের গল্পও মজার হবেনা ভাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ গ্রহন করুন।
১৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪
দ্যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: যাযাবরী জীবন আমারও অনেক পছন্দ! উত্থাল সাগরের বুকে জাহাজে বসে সাগরের নীল ঢেউ দেখতে পাওয়ার ফিলিংসটাই অসাধারণ!
আপনার লেখাটাও ভাল্লাগলো! শুভ কামনা জানবেন!
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৯
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই। জাহাজী জীবনে অনেক রোমাঞ্চ আছে। মাঝ রাতে যখন সুবিশাল আকাশের নিচে অনন্ত নীলের মাঝে দাড়িয়ে ভাবি আসে পাশে এক দুইশ কি হাজার মাইলের মধ্যেও আর কোন মানুষের অস্থিত্ব নেই তখন অন্য রকম ফিলিং হয়।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিবেন।
২০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪
আবু শাকিল বলেছেন: সত্যি বলছি আপনি যখন জাহাজে ছিলেন।তখন ভূলেও আপনার ব্লগ বাড়ি আসা হয় নাই।যখন দেখলাম জাহাজ তীরে নোজ্ঞর করেছে।আপনার ব্লগ বাড়ি ঘুরে গেছি।
জানি-জাহাজ থেকে নেমেই ব্যাস্ত হয়ে যাবেন।তবুও আশা ছিল লিখবেন।
লেখা অগোছালো হয় নাই।একদম বল মাঠের বাইরে চলে গেছে অবশ্যই ছক্কা মেরেছেন সন্দেহ নাই।
জাহাজী জীবন নিয়ে আগ্রহ অনেক।সময় পেলেই লিখবেন আশা করি।
সবাই ব্যাস্ত মৃদুল দা-তবে সময় করে প্রিয়দের ঠিক ই খোজ নিয়ে যায়।
ধন্যবাদ ভাই। অনেক ভাল থাকবেন।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৩
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আবু শাকিল ভাই আপনার মতো একজন শুভাকাঙ্খি ব্লগার আমি খুব কমই দেখেছি। আমি জানি কর্মজীবনে আপনিও ব্যাস্ত থাকেন তবু ব্লগ থেকে দুরে থাকেন না বিন্দুমাত্র। সকলের পোষ্টে মন্তব্য তো বটেও আমার মতো একজন অনিয়মিত ব্লগারের ব্লগে ঢুকে তার অনুপস্থিতির খোঁজ খবর নেয়ার কাজটিও আপনি করেন। কিন্তু বস্তুত আমার ব্যাস্ততা একটু অন্যরকম ভাবে যাই। জাহাজের কাহিনী তো পোষ্টে বলেছিই আর দেশে আসলে আবার অন্যরকম। দেশে আসার সাথে সাথে শুরু হয়ে যায় ঘোরাঘুরি, আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে বেড়ানো। একটা নির্দিষ্ট ডেস্কে নিয়ম করে বসা হয়ে ওঠে না। তাই ঠিক ঐভাবে ব্লগে সময় দেওয়া হয়ে ওটে না। তবে চলতি পথে হোক বা যেভাবেই হোক মোবাইল থেকে পোষ্টগুলো কিন্তু পড়ার চেষ্টা করি।
ভাল থাকবেন। শুভকামনা রইলো।
২১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬
আরজু পনি বলেছেন:
হাহা আজকে টেনশন ফ্রি আছি একটু...সকালে ব্লগে আসার আগে জোর করেই নিজেকে টেবিলে বসিয়ে রেখে সকালের দরকারী কাজ সেরে নিয়ে একটু ফুরফুরে মেজাজে আছি
বাউন্টিতে বিদ্রোহ (Mutiny On The Bounty) পড়েছিলাম... ওটা স্মৃতিতে একটু আধটু রয়ে গেছে আর জাহাজী জীবনের আগ্রহ হয়তো সেখান থেকেই ।
সেই বয়সে সবাই যখন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হইতে চাইতো আমার তখন নাবিক হওয়ার খায়েশ ছিল
গোয়েন্দা হওয়ার খায়েশ ছিল
বাসায় সেই ইচ্ছার কথা বলার কল্পনাও করিনি কখনো
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০২
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার নাবিক হবার শখ ছিল?? বাহ্ দারুণ তো। আমার নিজের অবশ্য কখনো নাবিক হবার শখ ছিল না। আমার এ্যডমিশন টেষ্টের ভাইভাতে প্রশ্ন করা হয়েছিল আমি কেন এই পেশায় আসতে চাই? আমি কি বলবো ভেবে না পেয়ে শেষমেষ এ্যডভেঞ্চারের কথাটাই বলেছিলাম। কারণ তখন আমি নাবিক বলতে সিন্দাবাদই বুঝতাম। তবে পেশায় এসে আসলো কখনো সত্যিকার রোমাঞ্চের মুখোমুখি হয়েছি কিনা বুঝি নি। সেই ভাবে ফিল করা হয়ে ওঠেনি।
ভাল থাকুন আপু। টেনশন ফ্রি থাকুন। জাহাজী জীবনের টুকরো টুকরো কিছু গল্প নিয়ে আসবো আবার।
২২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪
মোঃ হাবিবুর রহমান (হাবীব) বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো ।
শুভ কামণা রইলো আপনার জন্য ।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ নিবেন আমার ব্লগে আসার জন্য।
ভাল থাকুন।
২৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওয়েলকাম ব্যাক!
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনাদের অনুপ্রেরনায় বারবার ব্লগ থেকে দুরে গিয়েও আবার ফিরে আসার সাহস পাই।
২৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: শুভ আগমন মৃদুল ভাই
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই।
২৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২
ডেল p4 বলেছেন: ভ্রমন কাহিনী পড়তে সব সময়ই ভাল লাগে । কাহিনীটা শেষমেশ ডকুমেন্টারির মত হওয়াতে লেখাটা জীবন্ত হয়ে উঠল।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আমার নিজেরও ভ্রমন কাহিনী অনেক প্রিয়। যখনই সময় পাই আমি নিজে ভ্রমন কাহিনী পড়তে পছন্দ করি।
আপনার মন্তব্য ভাল লাগলো।
২৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪
নেক্সাস বলেছেন: ওয়েল কাম ব্যাক।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনাদের উপস্থিতিতে ভাল লাগছে।
২৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১২
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
নাইস।
ওয়েলকাম ব্যাক ||
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইমরাজ কবির মুন ভাই। সত্যি কথা বলতে গেলে আপনার ফিরে এসে নিয়মিত হওয়া দেখে ভাবি এটা আসলে এমন কঠিন কিছুনা। শুধু একটু চাইলেই হয়।
এবার চাইবো আর না হারিয়ে যেতে।
ভালো থাকবেন।
২৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
উয়েলখাম ব্যাক!!!!
এলোমেলো হয় নি... ভালোই লেগেছে। জাহাজি জীবন সকলের কৌতূহলের বিষয়। আপনি এ নিয়ে সুনীলের মতো একটা পূর্ব-পশ্চিম রচনা করতে পারেন। তবু মানুষ হুমরি খেয়ে পড়বে এবং পড়বে
এগিয়ে যান.... মৃদুল ভাইয়া
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০০
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কি কইলেন ভাই। আমি তো ভিমরি খাইলাম আপনার মন্তব্যে। এমনিতে একসপ্তাহ ধরে চোখে ঘোলা দেখত্যাছি। চোখ কচলাইয়া দেখার চেষ্টা করতেছি আসলে আমি ঠিক দেখত্যাছি কিনা।
সত্যি কথা বলতে আমার পড়া প্রথম মেগা উপন্যাসটিই ছিল পূর্ব-পশ্চিম। ক্লাস নাইনে পড়তে এক নিশ্বাসে মানে চার-পাঁচ দিনের মধ্যে দুই খন্ড পড়ে শেষ করেছিলাম। তার পরে আর পড়া হয়নি। আমি নিজে যত গুলো বড় উপন্যাস পড়েছি তার সবগুলোই সুনীলের। কারণ তার লেখা পড়তে আমার বিন্দু পরিমান বোরিং লাগে না। আর আপনি আমাকে তার মতো লিখতে বলেন!!!! আমার লেখা আমি নিজে পড়েই তো পাঁচ মিনিট পরো বোর হয়ে যাই।
২৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৯
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
খুব ভালো লাগলো শ্রাবণ ।
জাহাজের জীবন অন্যরকম ! +++
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০১
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। জাহাজীর জীবনটা আসলেই অন্যরকম।
৩০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
""কিছুদিন আগে আমার কোম্পানির এক্টা জাহাজে এমন এক্টা ভুল রিপ্লেশন হয় রাডারে এবং একজন অফিসার তার ওয়াচে নিজের দায়িত্বে অবহেলা করে অন্ধের মতো সেই ভুল রিফ্লেশন দেখে জাহাজ চালিয়ে জাহাজকে এক্টা ডুবো পাহাড়ে উঠিয়ে দেয়। এই ঘটনায় ও সময় দায়িত্বে থাকা অফিসার সহ আমার র্যাঙ্কের ঐ অফিসারটিরও চাকরি যায় ।"
ঠিক এই প্রশ্নটাই করতে যাচ্ছিলাম যে মৃদুল ভাই ডুব পাহার গুলো আপনারা কিভাবে এভোইড করেন। একটু বিস্তারিত বলেন। কারণ জাহাজ তো মটর সাইকেল বা কার না যে স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দিক পরিবর্তন করে নিলাম।
পাহাড়ে উঠে দেওয়ার পরে কি ঘটেছিল? জাহাজ কতক্ষন আটকা ছিলো বা কি করমের ক্ষতি হয়েছিল?
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: পলাশ ভাই আমি নিজেও এই প্রশ্নের অপেক্ষায় ছিলাম। এই ব্যপারে একটু খুলে বলা দরকার বলেও আমি মনে করি।
প্রথম কথা হচ্ছে জাহাজ কিভাবে ডুবো পাহাড়গুলো এ্যভোয়েড করে? এর উত্তর একটাই। জাহাজ সমূদ্রে সবসময় প্রি-প্লানড্ রুট ধরে চলে। এই রুট তৈরি করার জন্যই কোম্পানি একজন অফিসার জাহাজে নিয়োগ দিয়ে থাকে। আমি নিজে এখন ঐ র্যাঙ্কেই আছি। আমার কাজ হলো জাহাজ একটা পোর্ট থেকে নতুন একটা পোর্টে যাবার আগে সমস্ত ডাটা ঘেটে জাহাজের জন্য নিরাপদ একটা রুট তৈরি করা। এজন্য আমি প্রথমে আশ্রয় নিই নট্যিকাল চার্ট এর। সারা পৃথিবীর সমস্ত জলভাগের এই চার্ট(ম্যাপ) প্রকাশের কাজটি করে থাকে United Kindom hydrographic Office(UKHO) এই ম্যাপে পানির নীচে প্রত্যেক জায়গার গভীরতা দেয়া থাকে। এবং দেয়া থাকে বিভিন্ন দেশের জাহাজ চলাচলের নিয়মকানুন, লাইট ও বয়ার পজিশন এবং সেগুলোর ক্যারেক্টার। জাহাজ লোডিং এর পরে আমাদের ড্রাফট(পানির নীচে ডুবন্ত অংশ) কত হবে সেই অনুয়ায়ী আমাকে প্লান করতে হয় আমার জাহাজের জন্য নিরাপদ রুট। এছাড়া আরো বেশ কিছু বই যেগুলোকে আমরা Nautical Publications বলি সেগুলোকেও আমাদের রেফারেন্সের জন্য নিতে হয়। যেকোন জায়গার স্রোতের দিক, জোয়ার ভাটায় পানির উচ্চতা প্রভৃতি আমাকে গননার মধ্যে আনতে হয়। এই কারনে একটা রুট তৈরির পরে আর জাহাজ ডুবো পাহাড়ে ওঠার প্রশ্ন আসে না। হ্যা হয়তো কখনো ট্র্যাফিকের কারনে মানে অন্য জাহাজ বা ফিসিং বোর্ট এর কারনে আমাদেরকে রুট থেকে কোর্স ডেভিয়েট করতে হয়। সেক্ষেত্রে ডিউটি অফিসার যে থাকে তার দায়িত্ব থাকে চার্ট দেখে নেয়া সে যেদিকে যাচ্ছে সেদিকে যথেষ্ট গভীর পানি আছে কিনা। এছাড়া জাহাজ যখন নির্দিষ্ট রুট ধরে চলতে থাকে তখনও নিয়মিত GPS থেকে পজিশন দেখে চার্টে বসিয়ে দেখতে হয় জাহাজ ঠিক রুটে চলছে কিনা। এই পজিশন বসানোর ইন্টারভ্যালটা কোষ্টাল এরিয়াতে 5/10 মিনিট এবং Deep Sea তে এক ঘণ্টা। একজন ডিউটি অফিসার যদি এই নিয়ম মেনে জাহাজের পজিশন প্লট করে তবে জাহাজ Aground হবার কোন চান্স থাকে না।
আমি বুঝতে পারছি না আপনাকে ঠিক ক্লিয়ার করে বোঝাতে পারলাম কিনা।
দেখি পরে না হয় জাহাজ কিভাবে সমূদ্রের পানিতে চলে শীর্ষক একটা পোষ্ট ই লিখতে চেষ্টা করবো আরো ডিটিলস ইনফরমেশন নিয়ে।
৩১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রত্যাবর্তনে অনেকখানি শুভেচ্ছা। জাহাজি জীবন আমার কাছে আকর্ষণীয় লাগে, তবে ধারণা করি বেশিদিন সে পেশায় থাকলে সেই আকর্ষণ উলটো ঘুরে বিকর্ষণে বদলে যেত। ছবিগুলো সুন্দর।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস ওপারে তে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস। ব্যপারটা অনেকটা একরমই প্রোফেসর শঙ্কু ভাই। জাহাজে থাকতে থাকতে থাকতে এখানে জীবিকা ছাড়া আর কিছুই দেখিনা। সত্যি কথা বলতে কি এখন মনে হয় দেশে কিছু করার পাইনা বলেই জাহাজের চাকরী ছাড়তে পারিনা।
৩২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: এক কথায় চমৎকার!
আমার কোন লেখায় প্রথম যারা মন্তব্য করেন, আমি সাধারণতঃ তার ব্লগে গিয়ে তার প্রথম লেখাটা পড়ে কিছু মন্তব্য রেখে আসি। আপনি আমার একটা পোস্টে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন। ্তাই আপনার ব্লগেও বেড়াতে এলাম এবং প্রথম নয়, সর্বশেষ লেখাটি দিয়েই মন্তব্য শুরু করলাম। খুবই সাবলীলভাবে লেখা আপনার এই পোস্টটা পড়ে চমৎকৃত হ'লাম।
প্রথম ছবিটা আর হ্যাপী নিউ ইয়ার এর ছবিটা খুব ভালো লেগেছে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৮
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আমি এর আগে আপনার লেখার সাথে পরিচিত ছিলাম না। তাই হয়তো আগে কখনো আপনার লেখায় আসা হয়নি। আপনার বইটি সংগ্রহের ইচ্ছা আছে।
শুভেচ্ছা গ্রহন করুন।
৩৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: যাযাবর মাঝে মাঝে ব্লগে নোঙর ফেললে খুব ভালো লাগে। যে জীবন জানি না, সে জীবন সম্পকে জানার আগ্রহ প্রায় সর্বগ্রাসী, আর জাহাজীর হলে তো কথাই নেই! একটা কথা শুনেছিলাম, নাবিকেরা বেশী দিন সমুদ্র থাকতে থাকতে নাকি স্থলে বেশীক্ষণ থাকতে পারে না, সমুদ্র তাদের টানে- সেটা কি সত্যি?
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৩
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: জাহাজ সম্পর্কে আপনার জানার কৌতুহল দেখে নতুন একটা ফানি ব্যাপার জানানোর ইচ্ছে হলো। দেশের ভেতর যেমন অনেকগুলো নিউজ চ্যানেল থাকে জাহাজেও তেমনি একটা নিউজ চ্যানেল আছে। সেটার নাম গ্যালি নিউজ। গ্যালি হল জাহাজের রান্নাঘর। গ্যালি নিউজে একদিনে একটা নিউজ সম্প্রচারিত হয়। গ্যালি ডিপার্টমেন্টের মেম্বার দুই জন। চীফ কুক ও স্টুয়ার্ড। খবরটা প্রথমে স্টূয়ার্ড ছড়ায়, তারপর চীফকুক। এভাবে জাহাজের বিশজনের মধ্যে ছড়ায়, এবং ক্রু ও অফিসারদের মধ্যে সারাদিন এই বিষয়টা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলতে থাকে। সব থেকে মজার কথা হল পুরো ব্যাপারটাই থাকে একেবারে আজুগুবি। যেমন ধরুন, একবার আমরা শুনলাম জাহাজ নাকি ইউক্রেন যাচ্ছে। অথচ আমাদের ইউক্রেন যাবার মতো কোন কারণই ছিল না। জাহাজে ছিল দুইজন ইউক্রেনিয়ান। তাদের সাথে মজা করার জন্য হঠাৎ ই এই খবরটা ছড়ানো হয়েছিল।
এমন অনেক মজার মজার ব্যাপার আছে। কিন্তু লিখতে খুব অলসতা লাগে।
ভাল থাকুন আপু।
৩৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জাহাজি ভ্রাতার জাহাজি যাযাবর জীবনের গল্প বহুদিন বন্ধ থেকে আবার শুরু হল দেখে ভাল লাগছে। আপনাকে অনেক মিস করি, নিয়মিত হচ্ছেন শুনে অনেক আনন্দিত হলাম। ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: এবার আমার জাহাজী ভ্রমণটা ঠিকভাবে হয় নি। মানে আমরা একটা নির্দিষ্ট রুটে চলাচল করতাম। তাই নিত্য নতুন জায়গা নিয়ে লেখার মতো রশদ পাচ্ছি না। জাহাজী ভ্রমণ আপনাদের মতো নিজের ইচ্ছেয় করা যায়না, যেমনটি আপনারা করেন। আপনার পোষ্টগুলো ও সংকলনগুলো পড়ে অনেক তৃষ্ণা মেটে আমার।
ভাল থাকুন বোকা মানুষ ভাই । আমাকে মনে রাখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: খুব ভালো লাগলো প্রত্যাবর্তন করলেন সুন্দর একটা লেখা দিয়ে।
volcano party যে কতটা আনন্দের ছিল আপনাদের জন্য সেটা ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। প্রিয়তে নিলাম লেখাটা।
বৃশ্চিকের ছবিটা ভালো লাগলো।
হ্যাপি হ্যাপি ব্লগিং
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০০
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।
Volcano পার্টিটি আসলেই অনেক আনন্দের ছিল আমাদের কাছে। রিলিফ পেয়েছিলাম তো এই কারণেই আর কি।
আকাশের বৃশ্চিকটাকে যদি খুঁজে বের করতে পারেন তবে দেখবেন সেটি আরো কতো সুন্দর।
অনেক ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন সবসময়।
৩৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২১
অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: পলাশ ভাইয়া বুঝেছে কিনা জানি না। তবে আমি বুঝেছি।
জলদি জলদি জাহাজ কিভাবে সমুদ্রে চলে এর ডিটেইলস জানিয়ে পোষ্ট আশা করছি।
০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৭
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বাহ আপনি তো খুব ভাল সমঝদার।
পোষ্টাইতে খুব আলসেমী লাগে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫
দরবেশমুসাফির বলেছেন: স্বাগতম আপনাকে। ইদানিং অনেক ভালো ভালো পুরনো ব্লগাররা ফিরছেন।