নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু লেখার চেষ্টা

মজিদুল হক মুনির

কিছু লেখার চেষ্টা

মজিদুল হক মুনির › বিস্তারিত পোস্টঃ

উনারা কিছুটা আলাদা

১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩

পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যাক্তিরা সবসময়ই সাধারণ মানুষের থেকে কিছুটা আলাদা । আলাদা বলেই হয়ত বিস্ময়কর কিছু করতে পারেন । সাধারণ মানুষ থেকে আলাদা হওয়ার কারণে তাদের জীবনে ঘটে বিভিন্ন ঘটনা। শিশুরা সাধারণত জন্মায় দশ মাস দশ দিন মায়ের গর্ভে থাকার পর আর বিজ্ঞানী নিউটন মায়ের গর্ভে ছিলেন সাত মাস । হয়ত পৃথিবীতে আসার জন্য তিনি অস্থির হয়ে ছিলেন। তাই বেশ কিছুদিন আগেই এসে পরেছিলেন । বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন আর টমাস আলভা এডিসনের স্কুল নিয়ে অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখের নয় । আইনস্টাইন প্রথম চেষ্টায় স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ার জন্য। আর টমাস আলভা এডিসনকে তার স্কুলের শিক্ষক বলেছিলেন ক্লাসের সবচেয়ে খারাপ ছাত্র ।
প্রথম এভারেস্ট জয়ী এডমন্ড হিলারি যখন ছোট চিলেন তখন তার মা তাকে বাড়ির ছাদে উঠতে বারবার নিষেধ করতেন । আর সেই এডমন্ড হিলারি বড় হয়ে উঠলেন এভারেস্ট এর চূড়ায় ।
চাকরি জীবনে নাইট ডিউটি কি কেউ চায় । কিন্তু টমাস আলভা এডিসন এটাই চেয়েছিলেন । তিনি উপরমহলকে বলেছিলেন রাত্রিকালীন কাজের জন্য । বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নে চাকরি নিয়েছিলেন টেলিগ্রাফ অপারেটর হিসেবে । কিন্তু সেই অফিসেই তিনি তার বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতেন । তাই রাতে জাতে নিরিবিলি কাজ গবেষণার কাজ করতে পারেন তাই তিনি রাতের বেলা অফিসে কাজ করতেন ।

বিখ্যাত মানুষেরা বেখেয়ালিও বটে । আইনস্টাইন একবার ট্রেনে করে যাচ্ছিলেন । ট্রেনের টিকেট চেকার যাত্রীদের টিকেট দেখছিলেন । টিকেট চেকার যখন আইনস্টাইনের কাছে আসলেন তখন তিনি তার টিকেটটি বের করার জন্য পকেটে হাত দিলেন কিন্তু টিকেটটি পেলেন না । খোঁজা শুরু হল টিকেট । আইনস্টাইন উদ্বিগ্ন হয়ে তার পকেট, ব্যাগে খুজলেন কিন্তু পেলেন না । টিকেট চেকার আইনস্টাইনকে চিনতেন। তিনি বললেন “আপনার উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারন নেই । আমি আপনাকে চিনি । আমি জানি আপনি টিকেট ছাড়া ট্রেনে উঠেননি । আপনার টিকেট দেখানোর দরকার নেই ।” টিকেট চেকার অন্য যাত্রীদের টিকেট চেক করতে লাগলেন । কিন্তু তারপরও তিনি দেখলেন আইনস্টাইন তার টিকেট খুজেই চলেছেন কিন্তু টিকেটের টিকিটিও পাননি। তাই তিনি আইনস্টাইনকে আশ্বস্ত করার জন্য বললেন “আপনি উদ্বিগ্ন হবেন না। আমি আপনাকে চিনি ।” আইনস্টাইন তখন বললেন “আমি সেটা বুঝেছি কিন্তু টিকিটটা আমার দরকার কারন টিকিটে লেখা আছে আমি কথায় যাব । আমি আমার গন্তব্য ভুলে গেছি। সেজন্যই আমি টিকিট খুঁজছি।”।




আইনস্টাইন কাপড় পরিধানের ব্যাপারেও ছিলেন উদাসীন । আইনস্টাইন তার কাজে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী তাকে একদিন বললেন “ভাল কাপড় পরে যাও ।”
আইনস্টাইন বললেন “কি দরকার । ওখানে তো আমাকে সবাই চেনে ।”
একদিন এক সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে যাচ্ছিলেন আইনস্টাইন । তার স্ত্রী তাকে আবার ভাল ও ভালভাবে কাপর পরতে বললেন।
আইনস্টাইন এবার বললেন “কি দরকার । ওখানে তো আমাকে কেউ চেনে না।”

এত গেল আইনস্টাইনের কথা এবার আসি শেক্সপিয়ারের কথায় । তিনি নাটক লেখার পাশাপাশি লিখে গেছেন বিখ্যাত কিছু সনেট । সবাই বলে প্লেগ রোগ খারাপ জিনিস কিন্তু খারাপ জিনিসও ভাল কিছু নিয়ে আসে । শেক্সপেয়ারের সনেট লেখার পিছনে কারণ ছিল প্লেগ । একবার প্লেগ রোগ ছড়িয়ে পরার কারণে নাট্যমঞ্চ গুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । সুতরাং নাটকের চাহিদা ছিল না আর শেক্সপিয়ারের নাটক লেখার তাগিদও ছিল না । তিনি হাত দিলেন সনেট লেখায় । আর আমরা পেলাম কিছু অমর সৃষ্টি । এর পিছনে কাজ করেছে কিন্তু প্লেগ রোগ ।

শেষ করা যাক একটি মজার ঘটনা দিয়ে । আইনস্টাইন তখন বিখ্যাত হয়ে গেছেন । তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত সম্মেলনে যান বক্তৃতা দিতে । সঙ্গে থাকতেন তার গাড়ি চালক হ্যারি । হ্যারি সব সম্মেলনে দর্শকদের পিছনে বসে আইনস্টাইনের বক্তৃতা শুনত । আইনস্টাইন সব সম্মেলনে গিয়ে একি বক্তৃতা দিত । এটা হ্যারির কাছে বিরক্ত লাগত । তাই সে আইনস্টাইন সাহেবকে একদিন বলল
- আপনি তো সব সম্মেলনে একই কথা বলেন । একই কথা শুনতে শুনতে তো মুখস্ত হয়ে গেছে । আপনার মত আমিও যে কোন জায়গায় গিয়ে এমন বক্তৃতা দিতে পারব ।
আইনস্টাইন বললেন
- তাই নাকি তা হলে আমার পরবর্তী সম্মেলনে আমি দর্শকদের পিছনে বসে থাকব তোমার গাড়ি চালক হিসেবে আর তুমি বক্তৃতা দিবে । ওখানে আমাকে কেউ চেনে না ।
হ্যারি সানন্দে রাজি হল ।কাজ ও করল ঠিকঠাক । পরবর্তী সম্মেলনে গিয়ে হ্যারি আইনস্টাইনের মতই বক্তৃতা দেয়া শুরু করল । বক্তৃতা শেষে ছিল প্রশ্নোত্তর পালা । বাধাধরা বক্তৃতা দেয়া যায় কিন্তু বাধা ধরা প্রশ্ন তো আর সবাই করে না । প্রস্নের রকমফের থাকে । একাজ হ্যারির দ্বারা হবে না এটা হ্যারি নিজে জানত । একজন দাড়িয়ে “থিউরি অব রিলেটিভিটি” নিয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করল । হ্যারি তৎক্ষণাৎ জবাব দিল
- এই প্রস্নের উত্তর এতটাই সহজ যে আমার গাড়ি চালক ও এর উত্তর দিতে পারবে । আমি আমার গাড়ি চালককে ডাকছি ও এসে উত্তর দিবে ।
গাড়ি চালক তো উত্তর জানবেন । গাড়ি চালক যে আইনস্টাইন নিজেই ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

নুসরাত ইকবাল বলেছেন: সত্যই যারা বিখ্যাত তারা আলাদা।তা না হলে তারা বিখ্যাত হবেন কেন? পড়ে মজা পাইলাম।

২| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৬

বিজন রয় বলেছেন: কেম বেশি জানা আছে।
আবার জানলাম।
+++++

৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

সুরাইয়া বীথি বলেছেন: হাহা হাস্য রসের মধ্যে দিয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিদের ব্যাপারে অনেক তথ্য জানলাম ! :-D ধন্যবাদ এরকম পোস্টের জন্য ! :-D

৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বিখ্যাতদের জীবন আসলেই আলাদা আর এজন্যই তারা বিখ্যাত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.