নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন এক বড় মহাজন

মনের কথা ব্লগে বলে ফেলুন,নয়তো মনে কথার বদহজম হবে

মুনযুর-ই-মুর্শিদ

মুনযুর-ই-মুর্শিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুনীর চৌধুরী স্মৃতিমালা

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৪২

আবু নয়ীম মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী - নাট্যকার,ভাষাবিজ্ঞানী,ভাষা সৈনিক,শহীদ বুদ্ধিজীবী।

জন্ম-২৭ নভেম্বর,১৯২৫ সালে,মানিকগঞ্জে ।

পৈত্রিক নিবাস - নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার গোপাইরবাগ গ্রামে ।

বাবা-খান বাহাদুর আব্দুল হালিম চৌধুরী

মা-আফিয়া বেগম

ভাই বোনঃ অগ্রজ-জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী

অনুজ-ফেরদৌসী মজুমদার

স্ত্রীঃ লিলি মীর্জা

সন্তানঃ প্রয়াত আশফাক মুনীর চৌধুরী(মিশুক মুনীর),পেশায় শিক্ষক,সাংবাদিক এবং চলচ্চিত্র গ্রাহক ছিলেন।







শিক্ষাজীবনঃ

মুনীর চৌধুরী ১৯৪১ সালে "ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল" থেকে ম্যাট্রিকুলেশন সম্পন্ন করেন।১৯৪৩ সালে "আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়" থেকে আই.এস.সি পাশ করেন।১৯৪৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।১৯৫৪ সালে পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।১৯৫৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাতত্ত্বে উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করেন।



কর্মজীবনঃ ১৯৪৯ সালে মুনীর চৌধুরী খুলনার বজ্রলাল কলেজে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।১৯৫০ সালে জগন্নাথ কলেজে যোগ দেন।১৯৫০ সালেই উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দান করেন।উ নি ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষাসৈনিক হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষকদের প্রতিবাদ সভা আহবান করেন।এই অপরাধে তাকে গ্রেফতার ও চাকরিচ্যূত করা হয়।

কারাভোগের পরে ১৯৫৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ মুহম্মদ আব্দুল হাই এর ইচ্ছায় ও প্রচেষ্টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন।১৯৬৯ সালে উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান হন।



রাজনৈতিক জীবনঃ মূলত বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই উনি বাম রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন।মুনীর চৌধুরী ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এজন্য তাকে কারা ভোগ করতে হয়েছে এবং তাকে চাকরীচ্যূতও করা হয়েছে। ১৯৬৬ সালে রেডিও ,টেলিভিশনে রবীন্দ্র সংগীত প্রচারে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে উনি প্রতিবাদ করেন। ১৯৬৮ সালে বাংলা ভাষা সংস্কারের নামে বিকৃতি করতে চাইলে মুনীর চৌধুরী তীব্র প্রতিবাদ জানান।১৯৭১ সালে অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে পাকিস্তান সরকারের দেয়া "সিতারা-ই-ইমতিয়াজ" পদবী বর্জন করেন।



উল্লেখযোগ্য রচনাবলীঃ

নাটকঃ ১)রক্তাক্ত প্রান্তর, ২)চিঠি, ৩)কবর, ৪)দন্ডকারণ্য, ৫)পলাশী ব্যারাক

অনুবাদ নাটকঃ ১)কেউ কিছু বলতে পারে না, ২)রূপার কৌটা, ৩)মুখরা রমণী বশীকরণ

প্রবন্ধ গ্রন্থঃ ১)ড্রাইডেন ও ডি.এল.রায়, ২)মীর মানস, ৩)রণাঙ্গন, ৪)তুলনামূলক সমালোচনা,

৫) বাংলা গদ্যরীতি।

বাংলা টাইপ রাইটার উদ্ভাবনে মুনীর চৌধুরীর অবদানঃ


১৯৬৫ সালে কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে বাংলা টাইপ রাইটারের জন্য বাংলা কীবোর্ড উদ্ভাবন করেন যাকে আমরা " মুনীর অপটিমা " বলে জানি।"An Illustrated Brochure on Bengali Typewritter" বইয়ে উনি ওনার পরিকল্পনা বর্ণনা করেন।



পুরস্কার ও সম্মাননাঃ বাংলা একাডেমী পুরস্কার(১৯৬২)

দাউদু পুরস্কার(১৯৬৫)



মানুষ মরণশীল ।মৃত্যু সবার জন্য প্রযোজ্য অপ্রিয় সত্য। তারপরেও কিছু কিছু মানুষকে মরতে দিতে নেই। মুনীর চৌধুরী সেই শ্রেনীর একজন মানুষ। যিনি হাজার বছর বেচেঁ থাকবেন বাঙালির হৃদয়ে। বাংলা সাহিত্যের দিকপাল,অসম্ভব মেধাবী এই মানুষটাকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ২ দিন আগে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানিদের এদেশীয় দোসর আল-বদর বাহিনী অপহরণ ও হত্যা করে।



তথ্যসূত্রঃ ১)http://www.gunijan.org.bd

২)উইকিপিডিয়া

৩)দৈনিক কালের কন্ঠ, ২৫ নভেম্বর,২০১৩ইং























মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৪৮

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: যুদ্ধের সময় উনার উচিত ছিল পালিয়ে ভারতে চলে যাওয়া, বা কমপক্ষে গ্রামে লুকিয়ে থাকা।

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৫৭

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শিক্ষকতা করা ভুল ছিল!

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:২০

খেয়া ঘাট বলেছেন: মুনীর চৌধুরী'র প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা।

৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯

মামুন রশিদ বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা ।

৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৭

কোলড বলেছেন: I lost all my respect for him. Didn't know he was a NOAKHAILLA!

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৩৯

মুনযুর-ই-মুর্শিদ বলেছেন: কোল্ড নোয়াখালীর কারো দ্বারা আপনার কি কোন ক্ষতি হইছে নাকি কখন ও ।

৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: আমি প্রিয় ব্লগার খেয়া ঘাটের সাথে একমত। এবং আংশিক কোলড-এর সাথে। তবে নোয়াখালীর অনেক শ্রদ্ধাভাজন ও মহানদের মধ্যে মুনীর চৌঃ অগ্রন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.