নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুশফিক এর বাংলা ব্লগ

মেঘনা পাড়ের ছেলে

জনারণ্যে নির্জনতায় আক্রান্ত

মেঘনা পাড়ের ছেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ, যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৭

আচ্ছা আসুনতো একটা খুব সাধারন প্রশ্ন করি, এদেশটাকে চালাচ্ছে কারা ? ১৬ কোটি মানুষকে দুবেলা খাইয়ে পরিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে কারা ? ঢাকার রাস্তায় রং-বেরঙের প্রাডো, ল্যান্ড ক্রুজার, হ্যামার, নিশান, টয়োটা দাপিয়ে বেড়ায় কাদের কল্যাণে ? এতএত শপিংমলএ দামি দামি বিশ্ববিখ্যাত ব্রান্ড এর দোকানগুলি চলে কিভাবে ? কিভাবে এবং কারা কেনে এসব দামি প্রোডাক্ট ? এতএত দামী হোটেল রেষ্টুরেন্টএ এত অর্থ কিভাবে ব্যয় হয় ?

দেশটা আসলেই চালাচ্ছে কারা ? সহজ উত্তর আসবে - ব্যাবসায়ী, আমলা, রাজনীতিবিদ, সরকারী-বেসরকারী অফিসাররা। কিন্তু আসলেই কি তাই ?

না, উত্তরটা সম্পুর্ন ভুল। এদেশটাকে চালাচ্ছে তিনটি শ্রেনী। প্রান্তিক কৃষক, গার্মেন্টস এর পোশাকশ্রমিক এবং বিশ্বব্যাপি ৮০ লক্ষ দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিক। প্রান্তিক কৃষকদের শ্রম-ঘামের ফলশ্রুতিতেই আমাদের মুল খাদ্যশস্য আমদানী করতে হয়না। যদি মুল খাদ্যশস্য আমদানী করতে হতো তাহলে আমরা টের পেতাম কত ধানে কত চাল। আর যেহেতু আমরা একটা আমদানীনির্ভর দেশ তাই বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের জন্য অক্সিজেন এর মতই দরকার। খাদ্যশস্যছাড়া আমরা প্রায় সবকিছুই বিদেশ থেকে আমদানী করি। আর পোশাকশ্রমিক ও বিশ্বব্যাপি বাকী ৮০ লক্ষ শ্রমিকের অর্জিত বৈদেশিক মু্দ্রা দিয়েই সেই আমদানী দায় মেটানো হচ্ছে। আর কারও সামান্যতম অবদানও এদেশটির জন্য নেই। এদের অনুপস্থিতিতে আমাদের অবস্থা আফ্রিকার দরিদ্রতম দেশের চাইতেও করুন অনেক আগেই হয়ে যেতো। সরকারের এত এত উন্নয়ন প্রকল্প সব মুখ থুবড়ে পড়তো এই প্রান্তিক জনদের শ্রম ও ঘামে অর্জিত অর্থ ছাড়া। বর্তমানের ২৬ বিলিয়ন ডলারের বিশার রিজার্ভের পিছনের মূল কারিগর এই তিন শ্রেণীর প্রান্তিক জনেরা।

প্রথমেই আসি প্রান্তিক কৃষকদের বিষয়ে :

ভুর্তুকি না দেয়ার বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের অব্যাহত চাপের পরও সরকারের নজর থাকায় এদেশের কৃষকরা সার-বীজ-বিদ্যুত বিষয়ে সীমিত হলেও সুবিধাজনক অবস্থায়। যদিও সঠিক দাম তাঁদের পকেটে নাগিয়ে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটেই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে যায়। এদের দাপটে আসল সুবিধা প্রকৃত কৃষকরা কমই পান। এমনকি অপ্রচলিত কৃষি পণ্যে সরকারের ক্যাশ সাবসিডির পুরোটাই মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে যায়, যার স্বাক্ষী এই অধমও। এই প্রান্তিক কৃষকদের শ্রম ও ঘামের কল্যাণেই আজ বাংলাদেশ উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্যের দেশ, যাকে প্রধান খাদ্যশস্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় না।

এরপরই আসে পোশাক শ্রমিকদের বিষয়ে :

পোষাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের আর্থিক ঝুঁকির বিষয়টা মাথায় রেখেও বলতে হচ্ছে এই হাড়-জিরজিরে শ্রমিক যার সিংহভাগই কিশোরী-তরুনী মেয়ে তারা যখন সকাল ও সন্ধ্যায় রাস্তাদিয়ে হেঁটে যায় লাইনধরে তাদের দিকে তাকালে নিজেকে চুড়ান্ত অপরাধী মনে হয়। কতইবা তাদের বেতন ? এমন বেতন তারা পায় যার সিংহভাগই চলে যায় বস্তির ভাড়া বাসার পিছনে। আর বাকী টাকা দিয়ে একজন মানুষ দুবেলা পেটপুরে খাওয়া এশহরে অসম্ভব। আর সেখানে সেই ছেলে বা সেই মেয়েটি নাখেয়ে বাড়ীতে টাকা পাঠায় সংসারে বাকী সদস্যদের বেঁচে থাকার জন্য। আর দিনদিন সেই শ্রমিকটি অপুষ্টিতে ভুগে ভুগে তিরিশ বছরে পৌছাতে পৌছাতেই বুড়ো মানুষের খাতায় নাম লেখায়। অথচ সেই বেতনের সামান্য বৃদ্ধিও সহজে আসেনা। আর সেখানে মালিকপক্ষ দিনদিন তেলচকচকে হতেই থাকে। নতুন নতুন গাড়ীর বাড়ীর মডেল পাল্টানো এবং দেশেবিদেশে ঘুরে বেড়ানো তাদের জন্য ডালভাত কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য মিনিমাম অর্থপ্রদান করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আর সামান্য ৫০০০- ৭০০০ টাকার জন্য নিজের জীবনটাকে এরা উৎসর্গ করে দেয় । এই অল্প মজুরীচক্রের জন্য মানবতার ধ্বজাধারী উন্নতবিশ্বের বড় বড় বায়ারদেরও অবদানও কোনঅংশে কম নয়।

আমাদের দেশের সমাজবিজ্ঞানীরা এবং পুষ্টিবিজ্ঞানীরা কি একবারও ভেবে দেখেছেন এই হাড়-জিরজিরে আন্ডারহাইটএর মেয়েরাই হলো এই দেশর ভবিষ্যতের মা। তাদের কাছ থেকে কিভাবে সুস্থ্য-সবল শিশু পাওয়া সম্ভব ? দেশটার ভবিষ্যত নাগরিকদের শারিরীক অবস্থা কি হতে যাচ্ছে বলে আমাদের মনে হয় ?

সব দেখেশুনে ফাইন্যান্সিং ইন্সটিটিউটের এর একজন হিসেবে আমার কিছু অভিজ্ঞতা দিনদিন আমাকে চুড়ান্ত হতাশাতে নিমজ্জিত করেছে ও করছে।

শিল্পবিপ্লব এর সময় বিশ্বপরিস্থিতি যেখানে ছিলো আজ শত বছর পরও আমরা সেখানেই আছি । কোন কোন ক্ষেত্রে আরও নিচে চলে গেছে পরিস্থিতি । লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়। অক্ষমতাজনিত দুঃখে নিজেকে কিটের চাইতেও ছোট বলে মনে হয়।

সর্বশেষে বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে থাকা ৮০ লক্ষ শ্রমিকের বিষয়ে :

মধ্যপ্রাচ্যে-দুরপ্রাচ্যে এবং বাকী বিশ্বে শ্রম বিক্রয় করা ৮০ লাখ শ্রমিক কতটুকু সুবিধা পায় এদেশের কাছ থেকে ? ভুমি-বাড়ী সহ নিজের সর্বস্ব বিক্রয় করে দিয়ে জানটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে যারা শ্রম বিক্রয় করতে যায় তারা কতটুকু অসহায় অবস্থায় বৈধ-অবৈধভাবে বিদেশ যায় তা নতুন করে বলার দরকার নেই। সেখানে গিয়ে অনেকেই নিজের জীবনটা হারিয়ে লাশ হয়ে ফিরে আসেন। অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে আসেন । আর যাদের ভাগ্য ভাল তারাও আসেন তবে বিমানবন্দরে কুকুর-বিড়ালের চাইতেও নিন্মস্তরের প্রানীর মত আচরনের শিকার হন।

শ্রম এক্সপোর্ট করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা এমানুষগুলি আলাদা বিশেষ কোন সুবিধা নিজস্ব সংগঠনের অভাবে পান না। যেখানে সরকারের কাছ থেকে সামান্য কৃষিজাত বা গার্মেন্টস পন্য এক্সপোর্ট করা মধ্যস্বত্বভোগীরা সর্বোচ্চ ২০ % পর্যন্ত্য ক্যাশ সাবসিডি পেয়ে লালে লাল হয়ে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। প্রশ্ন, ক্যাশ সাবসিডি যদি দিতেই হয় তাহলে এঁরা কেন নয় ? এরা কি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন না ?

এই পোষ্টটা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করা ছাড়া বেশী কিছু করার ক্ষমতা আমার মত সাধারনের যে নেই। এই বঞ্চিতদের জন্য যারা কিছু করার ক্ষমতা রাখে তাদের বিবেকবোধ জাগ্রত হোক এই কামনায়।

শ্রদ্ধেয় কবি জীবনানন্দ দাস সেই কতবছর আগে বলে গেছেন...

অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ,
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা;
যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই-প্রীতি নেই-করুনার আলোড়ন নেই
পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।
যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি,
এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হয়
মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা
শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: দেশটা আসলেই চালাচ্ছে কারা ? সহজ উত্তর আসবে - ব্যাবসায়ী, আমলা, রাজনীতিবিদ, সরকারী-বেসরকারী অফিসাররা। কিন্তু আসলেই কি তাই ?

না, উত্তরটা সম্পুর্ন ভুল। এদেশটাকে চালাচ্ছে তিনটি শ্রেনী। প্রান্তিক কৃষক, গার্মেন্টস এর পোশাকশ্রমিক এবং বিশ্বব্যাপি ৮০ লক্ষ দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিক।


আমি এক বিষয়ে একমত না। দেশটা সরকারই চালাচ্ছে। কিন্তু দূর্বিপাকে পড়ছে না এই তিন শ্রেণির কারণে। তবে দারুন লিখেছেন। আমাদের সরকারের যারা আমলা, কর্মচারী তাদের প্যাট্রিয়টিজম নিয়ে যদি কিছু থাকত তবে দুর্নিতির এ ভয়াল স্রোত থাকত না।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আমার পোষ্টটি ছিলো আবেগের বসে, আপনার কমেন্টটি হলো বাস্তবতার মাটিতে পা রেখে। অনেক ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য ।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৩

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: এই পোষ্টটা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করা ছাড়া বেশী কিছু করার ক্ষমতা আমার মত সাধারনের যে নেই। এই বঞ্চিতদের জন্য যারা কিছু করার ক্ষমতা রাখে তাদের বিবেকবোধ জাগ্রত হোক এই কামনায়।

এই বঞ্চিতদের জন্য যারা কিছু করার ক্ষমতা রাখে তাদের বিবেক বলতে কিছুই নেই। তাই তাদের বিবেক জাগ্রত হবে এমনটা প্রত্যাশাও করি না। আমার মন্তব্য হয়ত নিরাশাবাদিদের মত হয়ে গেল, তবে এটাই সত্য তাদের বিবেক বলতে কিছুই নেই।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আশা নিয়েই মানুষ বাঁচে.... :)

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মেঘনা পাড়ের ছেলে




মেঘনা পাড়ের ছেলের মতোই বিশাল এক অনুভব থেকে ঠিকই লিখেছেন -----
অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ,
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা----------------

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: জীবুদা সেই কবে ভুল বলেন নি............

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

মেহবুবা বলেছেন: নানা অসংগতি দেখলে এই কবিতার কথা মনে পড়ে।
যাদের যা প্রাপ্য সেটা পায় না।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: সামান্য প্রাপ্যটাও পায় না..........

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

সুমন কর বলেছেন: এই পোষ্টটা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করা ছাড়া বেশী কিছু করার ক্ষমতা আমার মত সাধারনের যে নেই। এই বঞ্চিতদের জন্য যারা কিছু করার ক্ষমতা রাখে তাদের বিবেকবোধ জাগ্রত হোক এই কামনায়।

চমৎকার বলেছেন। পূর্ণ সহমত। কিন্তু যাদের চিন্তা করার কথা, তারা তা কখনই করবে না।

পোস্টে +।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ :D

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: যৌক্তিক কথা। কিন্তু তাদের নিয়ে যাদের ভাবার কথা তারা ভাবছে কই?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আমরা তার জন্যই তো লিখে যাই................. :|

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: ভাই অবস্থাটা এমনই দাঁড়িয়েছে যে, সকালে সেলাই দিদি মনিদের তাড়াহুড়ো করে যেতে দেখলে বোধশক্তি সম্পন্ন মানুষগুলো অবশ্যই হতাশায় নিমজ্জিত হবে। কাদের জন্য এত কষ্ট?
রোজকার এই হতশ্রী দশা দেখলে হতাশা আরো বাড়ে।
আর সুস্থ-সবল শিশু আশা করা?
আল্লাহ যেন আমাদের অক্ষমতাকে ক্ষমা করে দেন। আমাদেরই মা-বোনদের জন্য আমরা কিছুই করতে পারছি না।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আশায় বুক বাঁধি, আজ না হোক কাল নিশ্চই কিছু হবে। নিজের স্বল্প সক্ষমতায় যতটুকু করা সম্ভব আমরা করে যাবো এটাই হোক আজকের অঙ্গীকার............

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

শাহরিয়ার ইসলাম খান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন! খুব ভালো লেগেছে...

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে :)

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এই ব্যাপারগুলা যাদের বোঝার তারা বুঝবেনা। কারন সেই যোগ্যতা তাদের নাই। রাজনীতি যারা করে তারা দেখবেন সমাজের দুস্ট প্রকৃতির লোক। নানা প্যাচ প্যাচ খেলতে খেলতে একে তাকে আসেপাশের তার মত লোকদের বাশ মেরেও ওরা রাজনীতির আরো উপরের স্তরে পৌছায়। সবচেয়ে বড় বড় ইতরগুলা হয় মন্ত্রী এমপি। আর এটা চেঞ্জ করাও রাতারাতি সম্ভব না। কার বর্তমানে বাবা মারাও শিশুদের নোইতিক শিক্ষার চেয়ে পুথিগত শিক্ষা, রেজাল্ট, ক্যারিয়ারটাই আসল এসবই বোঝায়। অপেক্ষা করেন যখন কোন এক মহামানব আমাদের দেশেও আসবে, চেসা করবে কিছু করার। তবে আসেপাশের মানুষগুলা তেমন কেউ আসলেও বাচতে দেবে নাকি সন্দেহ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: নিরাশ হলে কি চলবে ? সবাই যদি তার ছোট জায়গা থেকে একটু একটু করে কাজ করে যায় তাহলেই পরিস্থিতিরপরিবর্তন দুদিন পরে হলেও হবে। আর মহামানব হয়ে কেউ জন্মায় না , কাজই তাকে মহামানব করে তোলে। সাধারনই অসাধারন হবার যোগ্যতা রাখেন............ :)

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: আমাদের ভার্সিটির এক স্যার এর কথা মনে পড়ে যাচ্ছে "দেশ যখন চরম দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়বে, তখন দুর্নীতি তে দুর্নীতি তে মারামারি লেগে দুর্নীতি শেষ হয়ে যাবে। ভাল + খারাপের প্রতিযোগীতায় প্রাথমিক অবস্থায় খারাপ জয়ী হলে পরবর্তিতে খারাপে, খারাপে ধ্বংস হয়ে যায়, এটাই ইতিহাস। ধন্যবাদ চমতকার একটা পোস্ট এর জন্য।

আমার মতে এ ৩ শ্রেনী গাধা - যাদের কস্ট করা ছাড়া কিছু করার নাই। এবং আমি ও এ গাধা শ্রেনীর এক সদস্য। খারাপ রা দেশের আইন কানুন কে এমন ভাবে কুক্ষিগত করেছে...গাধা শ্রেনীর মানুষ জীবন চালানোর কাজে এত পরিশ্রম করতে হয় যে, ওই খারাপদের মনে মনে গালি (প্রকাশে গালি ও দিতে পারে না৫৭ ধারার ভয়ে)দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: একটু একটু করে সবাই নিজের জায়গা থেকে কাজ করে গেলেই পরিবর্তন আসেই.............। এই যে আমি আপনি যে লিখছি এটাও কয়েক স্টেপ, তাই বা মন্দ কি ?

১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:


আমি ২য় সেক্টরে আছি। নিজের চোখে দেখছি কিভাবে শোষিত হচ্ছে এরা অথচ দেখার কেউ নেই। ব্যবসায়ীরা ঠিকই অট্রালিকার পর অট্রালিকা করেই চলছে কিন্তু এদের দেখার জন্য না আছে ব্যবসায়ীরা, না আছে আমলারা, না আছে রাজনীতিবিদদেরা। অবশ্য এরা দেখবেই বা কেনো তাহলে তো নিজেদের আখের গোছাতে পারবে না।

এই কমেন্ট দেয়া ছাড়া আমারও কিছু করার নেই ... বড়ই অসহায় আমরা।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এই এক্টু লেখা বা কমেন্ট দেয়াই আমাদের দায়মোচন। উত্তরপুরুষের কাছে জবাবদিহীতার একটা উপলক্ষ। :|

১২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৩

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: দেশটা আসলেই চালাচ্ছে কারা ? সহজ উত্তর
আসবে - ব্যাবসায়ী, আমলা, রাজনীতিবিদ,
সরকারী-বেসরকারী অফিসাররা। কিন্তু
আসলেই কি তাই ?

না, উত্তরটা সম্পুর্ন ভুল। এদেশটাকে চালাচ্ছে
তিনটি শ্রেনী। প্রান্তিক কৃষক, গার্মেন্টস এর
পোশাকশ্রমিক এবং বিশ্বব্যাপি ৮০ লক্ষ দক্ষ-
অদক্ষ শ্রমিক।
প্রত্যক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে এটাইতো হচ্ছে

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০২

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

১৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আমাদের মানসিকতাই বিকৃত-নোংরা প্রকৃতির! আমরাই জেনে বুঝে এমনসব নেতা নির্বাচন করি!
নোংরা জাতির নোংরা নেতা, আর ফল তো তিতা হবেই!

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: শুধু পলিটিশিয়ানদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। সমাজের সর্বস্তরেই ক্ষমতাশালীদের কারনেই এই অবস্থা..........

১৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: প্রচণ্ড ভাল লেখা:D

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

১৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:

বাংলাদেশের সীমিত সুযোগকে াল্প কিছু লোক দখল করায় ভয়ানক অথনৈতিক সমস্যা চলছে দেশে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এটাই অাসল কথা। এর থেকে মুক্তি আমাদের পেতেই হবে......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.