নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বৈজ্ঞানিক

কখগ

ডক্টর এক্স

ব্লগে লেখা প্রতিটি পোস্ট আমার নিজস্ব দৃষ্টিভংগী মাত্র।

ডক্টর এক্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

আধ্যাত্মিক স্বাধীনতা- পুরুষের সর্বোচ্চ মনস্তাত্বিক চাহিদা ও প্রেম

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭



পুরুষের মনস্তাত্বিকের সবথেকে বড় মোটিভেশন হলো যে কোন বাধা পেরিয়ে স্বাধীনতা খোঁজবার মধ্যে। আর এই স্বাধীনতা খুঁজে পাবার পরের পরম সুখের শুন্যতাটুকু অনুভব করবার মাঝেই পুরুষের মুক্তি। এবং কোন না কোন ভাবে পুরুষ সবসময় এই শুন্যতাটুকু খোজার মাধ্যমেই তার পূর্নতা পায়। হতে পারে এট মৃত্যু অথবা চরম বিপদের মুখোমুখি হয়ে জীবন নিয়ে বেঁচে আসার মধ্যে দিয়ে অথবা কঠিন কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবার মধ্যে দিয়ে। সবকিছু বাজি রেখে জেতার মধ্যে অথবা টিকে থাকার মাঝে আসলে পুরুষ তার মনস্তাত্বিকের স্বাধীনতা খোঁজ করবার রিচুয়ালটিই অবচেতনে পালন করে বলা যায়। আর তার জীবনের নারী প্রায়ই পুরুষের এই চাহিদাটুকু বুঝতে ব্যর্থ হয়। জুয়া খেলার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতার পেছনে তার এই ছুটে যাওয়াকে নারীর কাছে সবসময় পাগলামোই মনে হয়েছে। অথচ প্রতিটি পুরুষের হৃদয়ের ভালবাসাকে মুক্ত করবার আগের ধাপ হলো তার এই স্বাধীনতার খোঁজ।



বেশিরভাগ খেলাই কিন্তু পুরুষ মানুষের এই টান টান উত্তেজনার ভেতর দিয়ে স্বাধীনতা জয় করবার আরেকটি রিচুয়াল। সব বাঁধা পেরিয়ে প্রতিপক্ষের জালে মেসির গোল দেয়া অথবা শত সমালোচকের ভাষায় “ফুরিয়ে যাওয়া” আশরাফুলের সেঞ্চুরি- এগুলো সবই পুরুষ মানুষকে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ করে তোলে। ফুটবলে প্রতিপক্ষের সকল বাঁধা পেরিয়ে স্বাধীনতা [গোলপোস্ট] পর্যন্ত বলটি নিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটিং স্বর্গে ব্রেকথ্রু উইকেট, কঠিন যুক্তিতর্কের খেলায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সব যুক্তি খণ্ডন করতে পারা এমনকি মোবাইল ফোনে থাকা অর্থহীন গেমটিতে নিজের সর্বোচ্চ স্কোর পেরিয়ে যাওয়া- এগুলো সবই আসলে পুরুষের স্বাধীনতার প্রতি যেই চাহিদা তাকেই পূর্ণ করে। আর ঠিক ঐ মুহুর্তগুলোতে আমাদের একটি স্বত্বা এমন উন্মত্তভাবে উল্লাস প্রকাশ করে থাকে যে মনে হয় আমাদের হৃদয়ের সবথেকে গভীর আকাঙ্ক্ষাটি যেন পূর্ণ হয়েছে। সব বাঁধা জয় করে স্বাধীনতার এই যে আকাঙ্ক্ষা সেটাই কিন্তু কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে পুরুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়। অফিস, ব্যবসা, কি পর্বতারোহণ কি মেডিটেশন- সবকিছুর মাঝেই পুরুষ মনস্তাত্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে সেই স্বাধীনতাটুকুই প্রতিনিয়ত খুঁজে বেড়াচ্ছে।



স্বাধীনতার প্রতি তার এই চাহিদা শুধুমাত্র নিজের সামর্থ্যের চূড়ান্ত প্রান্তে গিয়েই পুরুষ অনুভব করতে সক্ষম যেখানে রুপক অর্থে আসলে সে তার মৃত্যুকেই অনুভব করে, যা মূলত পুরুষের মনস্তাত্বিকের সবথেকে বড় ভয় এবং একইসাথে স্বাধীনতার প্রতীক। জীবনের প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মাঝেই তাই সে এই মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে স্বাধীনতার অনুভুতিটিকেই মনের অজান্তে খুঁজে বেড়ায়।



“At the risk of seeming ridiculous, let me say that the true revolutionary is guided by a great feeling of love.” – Ernesto ‘Che’ Guevara



তার এই স্বাধীনতার প্রতি চাহিদার আরো ডার্ক বা চূড়ান্ত রুপই হলো যুদ্ধ, যা আসলে স্বাধীনতাকামী পুরুষের মৃত্যুর মুখোমুখি হবার সাধনা থেকেই অনুপ্রাণিত একটি রিচুয়াল মাত্র। আর খেলাধূলা অথবা প্রতিযোগিতাগুলো এই যুদ্ধেরই সামাজিক ভার্শন। এরপরও কিন্তু পুরুষের মনস্তাত্বিকে চূড়ান্ত আবেদন রাখে সত্যিকারের যুদ্ধ অথবা সে পর্যায়ের যে কোন কিছু। যুদ্ধের ওপর নির্মিত সিনেমাগুলো দেখে হৃদয়ের একদম গভীরে চরম উত্তেজনা অথবা আবেগ অনুভব করেনি এমন পুরুষ মানুষ মনে হয়না খুঁজে পাওয়া যাবে। মানবতার স্বাধীনতার তরে সবকিছু বাজি রেখে মৃত্যুর মুখোমুখি হবার বাসনা মনের অবচেতনেই ধারণ করে প্রতিটা পুরুষ, তবে হৃদয়ের এই গভীরতম পালসটির সাথে কানেকশন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে এই অনুভূতিটিই আমরা বাইরে খুঁজে বেড়াই, যুদ্ধের সিনেমা অথবা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে নায়কের আসনে বসিয়ে। আর ব্যর্থ হলে তাকে দোষ দেই, কারণ নিজেকে দোষারোপ করবার কথা ভুলেও চিন্তা করি না আমরা। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনাটা এভাবেই পুরুষের অবচেতনের গভীরতম স্থানটিতে অবস্থান করে, আর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে এই রিচুয়ালটিই সে সচেতন বা অবচেতনভাবে পালন করে থাকে- হোক সে সত্যিকারের যুদ্ধে, দাবার বোর্ডে কিংবা বাজির টেবিলে অথবা পর্বতচূড়ায়। এভারেস্টের অলিখিত নায়ক জর্জ ম্যালরীর একটি বিখ্যাত উক্তি-



“So, if you cannot understand that there is something in man which responds to the challenge of this mountain and goes out to meet it, that the struggle is the struggle of life itself upward and forever upward, then you won’t see why we go. “



মৃত্যুর মুখোমুখি হবার এই সামর্থ্যটাই প্রতিটা পুরুষের আধ্যাত্মিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় উপাদান। তার ভালোবাসাকে সীমিত করে এরকম প্রতিটি ভয়ের মুখোমুখি হয়ে তাকে পরাজিত করবার মাধ্যমেই তার মনস্তাত্বিক স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব আর মুক্ত করা সম্ভব নিজের একদম ভেজালহীন সত্তাটিকে। তার প্রতিপক্ষ সে নিজেই এবং আরাম-আয়েস ও নিরাপত্তার কৃত্রিম অনুভূতি হলো প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের সামনে দাঁড়ানো কঠিন প্রতিরক্ষাবূহ্য। যুদ্ধ নিজের সাথে। স্পিরিচুয়াল ফ্রিডম সম্ভব একমাত্র নিজের তৈরি খাঁচা ভেঙ্গে বের হয়ে আসবার মাধ্যমে। আর এটা তখনই ঘটে যখন নিজের ভেতরে থাকা কৃত্রিম সত্তাটিকে পুরোপুরি বর্জন করতে সক্ষম হয় একটি পুরুষ।



How to get the best of it all? One must conquer, achieve, get to the top; one must know the end to be convinced that one can win the end - to know there's no dream that mustn't be dared. . . Is this the summit, crowning the day? How cool and quiet! Have we vanquished an enemy? None but ourselves.“ - George Mallory



বিভিন্ন ধর্মে নানা উপমা এবং রূপক ব্যবহার করে বারবার এ কথাটি বলা হলেও কালের বিবর্তনে হয় তা হারিয়ে যাচ্ছে নয়তবা তার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে আরো একদল বিভ্রান্ত মানুষ। সাইকোলজির ভাষায় নিজস্ব ইগোকে পরাজিত করবার মাধ্যমেই শুধু অর্জিত হয় পুরুষের মনস্তাত্বিক স্বাধীনতা। আর তখনই মুক্ত হয় তার হৃদয় এবং তার মাঝের অসীম ভালবাসা দিয়ে ভরিয়ে দিতে পারে সে তার বাস্তবতাকে। তবে নিজের মুখোমুখি হবার এই চরম ঝুঁকিটি খুব কম সংখ্যক লোকই নিতে সক্ষম, কারণ সমাজ তাকে সচেতন এবং অবচেতন ভাবে ভিন্ন শিক্ষা দিয়েছে যেখানে সমর্থন করা হয়েছে কষ্ট বা ব্যাথাকে সবসময় এড়িয়ে চলাটাকেই। অথচ কষ্ট ছাড়া বিবেচনা বা চিন্তা সম্ভব নয়, যা ছাড়া নিজস্ব গন্তব্য অনুধাবন করারও সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আর এখানেই পুরুষ হারিয়ে ফেলে তার অবচেতনের সবচাইতে গভীর চাহিদাটির সাথের যোগাযোগ।



এরপরেও এই কষ্টহীন স্বাধীনতাকেই আমরা প্রতিনিয়ত খুঁজে চলেছি বিভিন্নভাবে- হয়তোবা জীবনে সহজেই প্রচুর অর্থ-সম্পত্তির প্রত্যাশা করে অথবা কম কাজে ব্যবসায় বেশি লাভের মাধ্যমে আর নয়তবা জীবনসঙ্গী হিসাবে শুধু বাহ্যিক ভাবে সুন্দরী কোন নারীর সহজসাধ্য ভালোবাসা পাবার মাধ্যমে। আর এরকম স্বাধীনতায় মৃত্যুর ভয়কে জয় করতে হয় না বলেই হয়ত তার মূল্যও আমাদের কাছে এত কম হয়। যদিও প্রতিটি স্বাধীনতারই অনুভুতি একদম ক্ষনিকের জন্য, তবে এই ছোট্ট অর্জনগুলো এতই সহজলভ্য যে তা সেই ক্ষনিকের পরিতৃপ্তি দিতেও ব্যর্থ হয়। আর নিজস্ব স্বাধীনতার চাহিদাকে এভাবে সীমিত করে ফেলার প্রভাব আমাদের মনস্তাত্বিকে রেখে যায় এক অবচেতন অসন্তোষ।



মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনবার এই অবচেতন প্রক্রিয়া তাই পুরুষ সবসময়ই উপভোগ করে যাবে, হয় মুষ্টিযুদ্ধ-ক্রিকেট-ফুটবল ও অ্যাকশনধর্মী সিনেমা এবং মার্শাল আর্টের মত প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে নয়তোবা নিজস্ব দার্শনিক মতবাদের সব বাধা পেরিয়ে মনস্তত্বের আরোও গভীর কোন অংশকে আবিস্কার করবার মধ্যে দিয়ে। তবে নিজেকে স্বাধীনতা দেবার এই প্রক্রিয়াটিকে অবচেতন থেকে বের করে সচেতনভাবে অনুভব করবার পূর্বে নিজস্ব গন্তব্য জানা সম্ভব নয় বেশিরভাগ পুরুষের বেলায়। বিশুদ্ধ স্বাধীনতার প্রতি এই চাহিদাটাকে হৃদয়ের গভীরেই রেখে না দিয়ে বরং তাকে নিজের সর্বোচ্চ উদ্দেশ্যতে পরিণত করবার মাধ্যমে প্রতিটা মুহুর্ত অনুভব করেই ব্যক্তিত্বকে আরো পূর্ণতার পথে নেয়া সম্ভব, কারণ শুধুমাত্র এই বিশুদ্ধ স্বাধীনতা অর্জন করেই একজন পুরুষ পারে তার পৃথিবীকে অসীম এবং শর্তহীন ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে দিতে।



অপরদিকে নারীর অবচেতন স্বাধীনতা নয় বরং ভালোবাসার কাছে আত্মসমর্পন করে পুর্নতা খুঁজে পায়। নারী তার জীবনের প্রতিটা শুণ্যস্থান পূরণ করে ভালোবাসা দিয়ে আর শূন্যতাকে ঘৃণা করে। আর শুন্যতাকে সে পূরণ করবে তার শো কেস অথবা পড়ার টেবিল বিশেষ কোন জায়গায় কুড়িয়ে পাওয়া ঝিনুক অথবা পাথর এবং নুড়ি দিয়ে সাজিয়ে। যুদ্ধ বা মুষ্টিযুদ্ধের মত অ্যাগ্রেসিভ প্রোগ্রাম না দেখে সে বরং সোপ অপেরা অথবা রোমান্স নভেলের মাঝে নিমজ্জিত হবে, অথবা আইসক্রিম এবং চকলেটের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে চাইবে। তার আধ্যাত্মিক শুন্যতা সে পূরণ করতে চায় তার হৃদয়কে ভালোবাসার কাছে আত্মসমর্পণ করে, যা পুরুষের স্বাধীনতার দিকে চলবার সম্পুর্ণ উল্টো। পুরুষ যেমন স্বাধীনতা থেকে প্রাপ্ত শুণ্যতার দিকে ধাবিত, সেখানে নারীর পুর্নতা আসে ভালোবাসায় হারিয়ে যাবার মাঝে। আর এই দুইয়ের মাঝে সাময়িক পূর্নতা আসে তাই একজন সত্যিকারের স্বাধীন পুরুষ যখন স্বাধীন ভাবে সম্পূর্ণ উপস্থিত থেকে তার প্রেমিকাকে ভালবাসতে সক্ষম হয় তখন।



নারীর ভালোবাসার খোঁজ এবং পুরুষের স্বাধীনতার অনুসন্ধান আপাত দৃষ্টিতে ভিন্নমুখী হলেও কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ঠিকই তাদের এক জায়গায় এনে দাড় করিয়ে দেয়। এমনকি নিজেদের অস্তিত্বকে আবিস্কার করবার পথে সাময়িক ভাবে তাদের বিচ্ছেদ হলেও তাই একসময় তারা আবার একে অপরের কাছেই ফিরে আসতে বাধ্য। কারণ তারা এক না হলে যে প্রকৃতি পূর্নতা পাবে না কখনোও।



https://www.facebook.com/DoctorXBD

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

নিকষ বলেছেন: আপ্নের ব্লগটারে ভালা পাইলাম। সাইকোলজিতে আগ্রহ আছে।

অনুসরণে নিলাম।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

ডক্টর এক্স বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। সাইকোলজি আসলে সবারই কম-বেশি জানা উচিৎ বলেই আমার ব্যক্তিগত অভিমত।

শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য। ভালো থাকবেন।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার একটা টপিক। ভালো লিখেছেন। উপভোগ করলাম লেখাটা।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

ডক্টর এক্স বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। টপিক ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম অনেক।

শুভ কামনা রইলো।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

শের শায়রী বলেছেন: আমি ঢাবিতে সাইকোলজিতে ভর্তি হয়েছিলাম পরে আর পড়া হয়ে ওঠেনি। কিন্তু ভাল লাগা রয়ে গেছে।

আপানার পোষ্ট গুলো পড়ে সেই ভালবাসার গভীরতা টের পাই।

আমার ভাললাগা জানবেন। এখনো সুযোগ পেলে সাইকোলজির সেই রকম বই পেলে নাওয়া খাওয়া ভূলে যাই।

ভাল থাকুন ভাই

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

ডক্টর এক্স বলেছেন: সাইকোলজি বিষয়টাই আসলে এমন। আর নিজেকে আবিস্কার করবার নেশাটা মানুষকে একবার পেয়ে বসলে সেটা থেকে বের হয়ে আসাও আর সম্ভব না।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার এই ভালোলাগাটুকুর জন্য। আর সাথে কৃতজ্ঞতা রইলো পোস্টে মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।

শুভ কামনা।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অত্যন্ত জ্ঞানগর্ভ পোস্ট।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭

ডক্টর এক্স বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকবেন সবসময়।

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৩

ভাম_বেড়াল বলেছেন: আপনি পাইরেটস অফ দি ক্যারিবিয়ান দেখেছেন? কার্স অফ দ্যা ব্ল্যাক পার্ল মুভিটিতে জ্যাক স্প্যারো আর এলিজাবেথ সোয়ানের সাইকোলজিক্যাল ডিফারেন্সটা বারবার সংঘাতের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। এলিজাবেথ জ্যাকের জলদস্যুতার পিছনের কারণ বুঝতে পারেনি। কিন্তু জ্যাক স্পষ্টভাবেই জানিয়েছে-

"It's not just a keel and a hull and a deck and sails. That's what a ship needs. But what a ship is... What the Black Pearl really is... is freedom."
- Captain Jack Sparrow


আপনার পোস্টের বক্তব্য কতখানি বাস্তব সেটা উপলব্ধি করেছি আগেই। এভাবে গুছিয়ে সেটা প্রকাশ করতে পারিনি। কিন্তু বারবার উপলব্ধি করেছি স্বাধীনতার এই প্রকাশপদ্ধতি পুরুষের নিজস্ব, নারীকে সেটা বুঝাতে পারা কঠিন।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

ডক্টর এক্স বলেছেন: মুভিগুলো দেখেছি, এককালে কেইরা নাইটলির বেশ ভক্ত ছিলাম। আর হ্যাঁ ভাই, জ্যাক এর চরিত্রটি আমাকে সবসময় হয় মুগ্ধ করেছে নয়তো মনে কৌতুহল জাগিয়েছে। আর এই উদাহরণটা যেন এ বিষয়ের জন্য একদম পারফেক্ট। থ্যাংকস এ লট।

সত্যি কথা বলতে কি, পুরুষেরা প্রায় সময়ই নিজের এই স্বাধীনতাকামী অংশটিকে অবচেতনেই চাপিয়ে রাখতে চায় বলেই ঝামেলা বাঁধে। সে যখন এই ব্যপারে সচেতন হতে শিখবে তখন নারীকে বোঝানো হয়তবা সহজ হবে আরো।

আপনার মন্তব্যটি নিশ্চিত ভাবে পোস্টে একটি মুল্যবান সংযোজন হিসাবে কাজ করবে। পাঠকদের কাছে ঠিক এমনটাই আশা করি। তাই আপনাকে কৃতজ্ঞতা এবং অভিনন্দন।

অনেক অনেক শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১০

ইলুসন বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। খুবই ভাল পোস্ট।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

ডক্টর এক্স বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা।

শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকা হোক।

৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৭

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: আগেই বলেছি দুর্দান্ত লিখেন আপনি। এই কারনেই সহ্য হয় না। :P :P


অবশ্য মাঝে মাঝে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

ডক্টর এক্স বলেছেন: হাহাহা। অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। আসলে পাঠকেরাই কিন্তু একটি লেখাকে অনেকাংশে ডিফাইন করে। আর ব্লগের ক্ষেত্রে ব্যপারটা আরো বিশেষভাবে খাটে। তাই বেশি অসহ্য লাগার আগেই জানিয়ে দেবেন কিন্তু।

শুভ কামনা রইলো।

৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

তোমোদাচি বলেছেন: আপনার পোষ্ট আগে থেকেই আমার অনুসরণে ছিল, এই লেখাটাও ভাল লাগল।

অফটপিকে একটা জিজ্ঞাসা ...

আচ্ছা বাচ্চাদের রাগ কমানোর জন্য তার সাথে কি ধরনের ব্যাবহার করা উচিৎ?

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

ডক্টর এক্স বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আসলে চাইল্ড সাইকোলজি বিশেষভাবে পড়িনি, তবে কিছু কিছু ব্যপার বলতে পারি।

বাচ্চাদের যে কোন আবেগকে কোনভাবেই আবেগ দিয়ে বিচার না করে বরং ঠান্ডা মাথায় অবজেক্টিভ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে হবে প্রথমেই। কেন তার রাগ হচ্ছে সে ব্যপারে তাকে জিজ্ঞেশ করা উচিৎ এবং কারণ অনুসন্ধানে তাকে সহায়তা করা উচিৎ।

যে কোন কাজে তাকে প্রশংসা করা ভালো। অনেক বাচ্চাদেরই রাগ আসলে অ্যাটেনশন পাওয়ার একটা অবচেতন চাহিদা থেকে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাকে আরেকটু বিশেষ ভাবে সময় দেয়া যেতে পারে। বাচ্চাদের বডি ল্যাংগুয়েজ [ চেহারার এক্সপ্রেশন, শরীরে কাঁপুনি, মুষ্টিবদ্ধ হাত, দেখেও তার আবেগের ব্যপারে বুঝতে পারা উচিৎ অভিভাবকের। অথবা কোন চাইল্ড সাইকোলজিস্টের সাথেও কথা বলে দেখতে পারেন।

তবে সবথেকে ভালো হয় যদি সময় নিয়ে চাইল্ড সাইকোলজির ব্যপারে হাল্কা পড়াশোনা করে নিতে পারেন। আমি মনে করি প্রতিটি অভিভাবকেরই চাইল্ড সাইকোলজি এবং টিনেজার সাইকোলজি এ দুটো বিষয় বাধ্যতামূলক ভাবে স্টাডি করা উচিৎ। এটা যে কি পরিমাণ ভাল প্রভাব ফেলতে পারে সে ব্যপারে আর নাই বললাম।

আপনাকে আবারো ধন্যবাদ। সাথে রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা।

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

ভাম_বেড়াল বলেছেন: একটা ‌প্রশ্ন, ভালো সাইকোলজির বইয়ের নাম দিতে পারেন? টেক্সটবুক জাতীয় জিনিস নয়, এমন বই চাইছি যাতে মিশির আলির মতন ইন্টারেস্টিং সব ঘটনার বর্ণনা পাবো। আগেও কয়েকজন বইয়ের লিস্ট দিয়েছেন। কিন্তু সেসবই টেক্সটবুক।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

ডক্টর এক্স বলেছেন: মিসির আলির মত ইন্টারেস্টিং ঘটনা নিয়ে পড়তে চাইলে আসলে আপনাকে প্যারা-সাইকোলজির ওপর লেখা বইগুলো পড়তে হবে। ওসব বইয়ে প্রচুর কেস স্টাডি থাকে। অথবা সিরিয়াল কিলার ক্রাইম সাইকোলজির বই পড়তে পারেন। যদিও আমি সেগুলো তেমন ঘাটাঘাটি করিনি। তবে খুঁজে দেখবো, যদি কিছু পাওয়া যায় তবে আপনাকে জানাবো, কথা দিচ্ছি।

আর সাইকোলজির ওপর সার্বিকভাবে জানতে চাইলে ফিফটি সাইকোলজি ক্লাসিক্স নামের বইটি একদম পারফেক্ট হবে। এখান থেকে সাইকোলজি বিষয়টিএ বিবর্তন এবং সবগুলো মতবাদের ব্যপারে জানতে পারবেন। সেখান থেকে পরবর্তী গবেষণার বিষয়বস্তুও পেয়ে যাবেন নিশ্চয়ই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কারণ তারা এক না হলে যে প্রকৃতি পূর্নতা পাবে না কখনোও।


বটম লাইন ...।

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

ডক্টর এক্স বলেছেন: এজন্যই বটমলাইন এত গুরুত্বপূর্ণ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য আর ভালোলাগার জন্য। শুভ কামনা সবসময়।

১১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

বোকামন বলেছেন:











সম্মানিত লেখক,
আপনার লেখা পড়ছিলাম আর সমুদ্র নদীর কথা ভাবছিলাম !!!

বুঝতে পারলেন তো ...

খুব সুন্দর উপস্থাপন ...
আমার মত সাধারন পাঠকের ভালোলাগা জড়িয়ে থাক পোস্টে

ভালো থাকবেন

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

ডক্টর এক্স বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় পাঠক।

সমুদ্র, নদী আর পাহাড় আসলে পুরুষের কাছে স্বাধীনতার সবচাইতে বড় প্রতীক। এজন্যই এরা পুরুষের হৃদয়ে আবেদন সৃষ্টি করে এসেছে সেই প্রাচীনকাল থেকে।

ভালোলাগা সব সময় ভালো লাগে, সেই সাথে আরোও ভালোলাগা পাবার চাহিদাও তৈরি করে।

আপনিও ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভ কামনা।

১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

তোমোদাচি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৭

ডক্টর এক্স বলেছেন: কৃতজ্ঞতা এবং শুভ কামনা অনেক অনেক।

১৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২

মহাকাল333 বলেছেন: খুবই ভাল পোস্ট।ধন্যবাদ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৭

ডক্টর এক্স বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রইলো পাঠক। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.