নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অভিষেকহীন অভিসারিকা

নাসরিন চৌধুরী

সময় মানুষকে কিভাবেইনা বদলে দেয় ,বদলে যাই - বদলে যায় সবাই! আনমনে স্মৃতির পাতা উল্টাই বেছে বেছে জমে থাকা ক্লেদগুলোকে উগলে ফেলে দেই স্বস্তির নিঃশ্বাসের চাদরে নিজেরে জড়াবো বলে! কিন্তু কতটা পারি বা পেরেছি কতটাই বা পারা যায় খুঁতের মাঝে নিখুঁতের বীজ বোনা !

নাসরিন চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প; ডুবে যাই বিষের নীলে!

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৯





সেই কখন থেকেই ছোট বাচ্চাটা চিৎকার করছে। নবজাতকের আগমনে আনন্দের জোয়ার বইছে কিন্তু বাবা হবার খুশির কোন ছাপ অন্তু'র মুখে দেখা যাচ্ছেনা। সবাই অন্তুকে অভিনন্দন জানাচ্ছে, হাসপাতালের কেবিন ভরে গেছে ফুলে ফুলে। অন্তু'র খুব ইচ্ছা করছে চিৎকার করে সবাইকে বলতে -আমি বাবা হয়েছি, প্রথম সন্তানের বাবা। কিন্তু- এই “কিন্তু” শব্দটা বার বার দেয়াল হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাদের পিতা ও পূত্রের মাঝখানে। হাসপাতেলের ধবধবে সাদা বিছানায় শুয়ে আছে তিথি, পাশেই শুইয়ে রাখা হয়েছে কচি প্রাণটাকে। ইশারায় অন্তুকে ডাকছে তিথি, অন্তু সাড়া দিয়ে তিথি'র পাশে গিয়ে বসে। ছোট্র করে তিথিকে মা হবার জন্য অভিনন্দন জানায়। নবজাতককে হাত বুলিয়ে দেয়। তিথি প্রশ্ন করে, “তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেন অন্তু? সব ঠিক আছেতো?”

অন্তু মাথা নেড়ে জানায় সব ঠিক আছে। আস্তে আস্তে বলে, “আমি ওঠি তিথি, আমার অফিসে একটু ঝামেলা যাচ্ছে তাই কিছুটা টেনশনে আছি। আসব আবার আগামীকাল।”



রাত ন'টা। ঢাকা শহরের রাস্তা ঘাটগুলোর কোন বিশ্রাম নেই। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে অন্তু ভাবল একটা রিক্সা নেবে, একা একা সারা রাত রিক্সায় করে ঘুরবে কিন্তু পরক্ষণেই সিদ্ধান্ত বদলে নিল, ভাবল শুধু শুধু বেচারা রিক্সাওয়ালাকে খাটিয়ে কি লাভ! সাতপাঁচ ভেবে হাঁটারই সিদ্ধান্ত নিল। শরৎ এর আকাশ বেশ পরিষ্কার কিন্তু সোডিয়ামের বাতিগুলোর দাপটে চাঁদের আলো উপভোগ করার সাধ্য কার! সারাদিন আজ একটা বেশ ধকল গেল তিথিকে নিয়ে। যাক সব কিছু ঠিকমতই হয়েছে। পিচ্চিটা দেখতে একেবারেই তিথির মত হয়েছে। আবারও অন্তু'র ফোন বেজে উঠল। সারাদিন ধরে এই এক যন্ত্রণা, সমস্ত আত্মীয় স্বজনরা ফোন দিচ্ছে, তিথি'র ও বাচ্চা'র খবর নিচ্ছে। অন্তু ভাবল ফোনটা সুইস অফ করে দিবে কিন্তু পারলনা!



বিয়ের পাঁচ বছর পর সন্তান এল। বিয়ের এতগুলো বছর ওরা এতই পরস্পরের প্রতি প্রেমের মহিমায় উদ্ভাসিত ছিল যে তাদের সন্তান নেবার কথাটি একটিবার ও মাথায় আসেনি। তিথি একটা সরকারি ব্যাংকে চাকুরী করে আর অন্তু একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে বেশ ভাল বেতনের একটা জব করে। বিয়ের আগে ওরা দুজনই খুলনা ইউনিভার্সিটিতে পড়তো। সেভাবেই জানাশোনা থেকে প্রেম, পরিনতিতে বিয়ে। ঢাকাতেই আছে ওরা। লেকসিটিতে অন্তু নিজের জন্য একটি ফ্ল্যাট কিনেছে ওখানেই থাকে ওরা।



হাঁটতে হাঁটতে অন্তু কখন যে বাসার সামনে পৌঁছাল টেরই পেলনা। গেটের তালা খুলে বাসায় ঢুকল কিন্তু কেন জানি সব কিছুই অচেনা লাগছে, অস্বস্তি লাগছে। মনে হচ্ছে মস্ত বড় আকাশটা বুঝি ভেঙ্গে পড়বে! কিন্তু মুখ ফুটে কাউকে সে কিছু বলতে পারছেনা। তিথি'র মুখ জ্বলজ্বল করছে মাতৃত্বের খুশিতে কিন্তু সে খুশি দেখে অন্তু'র মাথায় খুন চেপে যাচ্ছে। এইতো সেদিনের কথা, তিথিই তাকে বাবা হবার সংবাদটি দিয়েছিল। বাসায় খুব বড়সড় একটা পার্টি হয়েছিল। অন্তু ও তিথির সব কাছের বন্ধুরা এসেছিল। অন্তু তিথিকে অবশ্য বলেছিল, দেখো তিথি এসব না করলেই কি নয়! তিথি বলেছিল, “কেন, করলে কি সমস্যা!” অন্তু আর কিছু বলেনি।



মাঝে মাঝে অন্তু'র বেশ ভাবনা হয় তিথিকে নিয়ে। বয়স ত্রিশের কোঠা পেরিয়েছে অথচ একফোঁটা বয়সের ছাপও নেই। যেখানেই যায় তিথিই সবার মধ্যমনি হয়ে উঠে। এতে অন্তুর কোন ক্ষোভ নেই, হিংসাও নেই কিন্তু মাঝে মাঝে কতগুলো লোলুপ চোখ মনে হয় তিথিকে গিলে খাবে -এই দৃশ্যগুলো অন্তুকে বড় পীড়া দেয়, সহ্য করতে পারেনা। কিন্তু তিথিকে সে জানে বেশ ভালই জানে। তিথিকে কোনদিন সে বলেনি, কোন ব্যাপারেই বাঁধা দেয়নি। কিন্তু তিথি কি সে সুযোগটা নিতে পারে না? না কক্ষনোইনা---এমনটাই অন্তুর বিশ্বাস।



বাসায় এসে শাওয়ার নিতে ইচ্ছা করলনা অন্তু'র। হাতে রিপোর্টটি নিয়ে বসে আছে। বার বার দেখছে কিন্তু নিজের মনটাকে কোনভাবেই প্রবোধ দিতে পারছেনা। ভাবছে কি করবে! কিভাবে শুরু করবে!



মায়ের গলা শোনা গেল। “কিরে খাবিনা? আমি খাবার দিচ্ছি।”

অন্তু বলে, না মা ক্ষুধা নাই।” পরক্ষণেই মা প্রশ্ন করলেন, “তিথি কেমন আছে, দাদা ভাই কেমন আছে? তিথি'র জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে, কি ধকলটাই না গেল মেয়েটার উপর দিয়ে! আগামী কাল সকাল ভোরেই আমাকে হাসপাতালে রেখে আসিস।”

অন্তু বলল, আজ সারা দিন ওখানেইত ছিলে, তিথি'র জন্য এত খারাপ লাগার কি আছে? মা ছেলে দুজন'ই ভাল আছে। কাল যেতে চাও যেও কোন সমস্যা নাই। এখন যাও আমি ঘুমোবো।” অন্তু'র কথায় মা কি খুব কষ্ট পাচ্ছে? নিজের মনকেই জিজ্ঞাসা করছে বার-বার। মা কোন কথা না বলে ভেতরে চলে গেল। অন্তু জানে মা শুধুই আদিখ্যাতা করছে, কোনকালেই মা তিথিকে ভালবাসেনি, ভালবাসেওনা। বিয়ের পরপর অন্তু ও তিথি খুলনায় বাবা -মা'র সাথেই ছিল একবছর। কোনোদিন পারেনি এই দুই নারীকে একসুতোয় গাঁথতে। অফিস সেরে বাসায় এলে ওদের দুজনের অভিযোগের আঙ্গুল একে অপরের দিকে। তিথিকে যতই বলি সমঝোতা কর কিন্তু না সে একই কথা, “আমাকেই কেন বল? তুমি তোমার মাকেও বল।পরের মেয়ে বলে যত সমঝোতা আমারই করতে হবে! মা বলে কি সে কোন ভুল করতে পারেনা?”

মাকে যখন বলি, “ মা নিজের মেয়ে হলে কি করতে? মেয়ে হিসেবে মেনে নাও কোন সমস্যা থাকবেনা। ভুল করলে তাকে ক্ষমা করে দাও, বুকে টেনে নাও যেটা তুমি নিজের সন্তানদের জন্য কর।” মা আমার তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠল বলল, “বউয়ের আঁচল ধরেছিস ধর কিন্তু মাকে জ্ঞান দিতে আসবিনা, একটা বউ ঠিক করতে পারেনা স্বামী হয়েছে!”



অন্তু জানে তার মাকে, তাই চুপ হয়ে চলে যায়। কিন্তু সে অবাক হয় যখন দেখে তিথি'র সাথে বাবা'র খুব খাতির। দুজনে মিলে খুব গল্প করে, চা- কফি খায়, বাবাকে খবরের কাগজ পড়ে শুনায়। তাই অন্তু তিথি'র দোষ দিতে পারেনা, সে জানে সমস্যা মা'রই বেশী, সে চায়না তার সংসারে অন্য কেউ চাবির গোছা হাতে নিক। ক্ষমতা হারাবার ভয়ে মা তিথিকে সহ্যই করতে পারতনা।কিন্তু তাই বলে এসব নিয়ে নতুন বউয়ের সাথে অশান্তি আর কত ভাল লাগে! তিথিও মানবার বা দমবার পাত্রী নয়।



অন্তু ভাবল ওরা বউ শ্বাশুড়ি একসাথে থাকলে সংসারে দাবানল ছড়াতে বেশীদিন লাগবেনা। তাই সে ঢাকা বদলী হবার জন্য চেষ্টা শুরু করল, বেশীদিন লাগেনি ছ'মাসের মধ্যেই ওরা ঢাকায় চলে এল। বাবা মা'র জন্য অন্তুর খুব খারাপ লেগেছিল কিন্তু বাবা'ই তাকে বেশ স্বান্তনা দিয়েছে, “ দেখ তুই ভাবিসনা, সব ঠিক হয়ে যাবে। তোর মা'র শরীরে এখনও বেশ শক্তি আছে তাই সে তার সংসারে তিথিকে তার জায়গাটা ছেড়ে দিতে পারছেনা, দেখ কদিন পর শরীর নরম হয়ে আসবে তখন আর সংসারের ভার নিতে পারবেনা তখন ঠিকই তিথি'র কাছেই সব দায়-দায়িত্ব তুলে দিবে। তোদের নতুন সংসার সুন্দরভাবে শুরু কর, আর আমরা মাঝে মাঝে যাব।”

বাবা'র কথায় অন্তু বেশ জোর পেয়েছিল। মা যদিও ছেলে'র জন্য বেশ মন খারাপ করেছে এবং তিথিকেই দোষারোপ করে বলছে, “আমার ছেলেকে আমার কাছে থেকে আলাদা করে দিয়ে খুব অন্যায় করেছো সেজন্য তোমাকে কখনও মাফ করবোনা।” অথচ অন্তু জানে এখানে তিথি'র কোন হাতই ছিলনা , তিথি কোনদিন বলেনি আলাদা হবার কথা। মাকে বুঝাতে যায়নি অন্তু, “মা যা বুঝে বুঝুক।”



এতগুলো বছর ওদের আসা যাওয়া ছিল খুলনায়। কিন্তু মা আসেনি কখনও ঢাকায়, বাবা এসেছে বেশ ক'বার। কিন্তু আজ মায়ের মুখ থেকে তিথি'র জন্য আলগা আদর দেখে অন্তু'র বেশ বিরক্তই লাগছিল। অন্তু জানে তিথি'র সন্তানের আগমনে তিথি'র উপর থেকে সকল নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। বংশের প্রদীপকে নিয়েই হয়ত টানাটানি শুরু হয়ে যাবে, হয়ত মা বলবে ছেলেকে খুলনায় আবার পোষ্টিং নিতে নয়ত মা নিজেই বাবাকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসবে। এতে অন্তু'র মাথা ব্যথা নাই। যেটা নিয়ে মাথা ব্যথা সেটা নিয়েই সে এখন ভাবতে চায়।



একবছর আগেই অন্তু'র ফ্যামিলি ডাক্তার তাকে পুরো চেক আপ করেছিল। কোন সমস্যা'র জন্য নয় নিজের কৌতুহলেই। কিন্তু ডাক্তার যা বললেন তা শুনার জন্য কোনভাবেই সে প্রস্তুত ছিলনা বারে বারে ভাবছিল যদি ডাক্তার বলত, “আপনার ক্যান্সার হয়েছে” সেটাও সে মেনে নিতে পারত কিন্তু তা না বলে ডাক্তার সরাসরি বললেন, “আপনি কখনও বাবা হতে পারবেননা।” অন্তু নির্বাক হয়ে বসে রইল, ডাক্তার বেশ বুঝালেন যে, “এটা এত বড় সমস্যা নয় যে এটার জন্য জীবন থেমে থাকবে! এমন অনেক সন্তান পৃথিবীতে আছে পিতৃ-মাতৃহীন। এমন একটা সন্তানকে বুকে তুলে নিলে কি ক্ষতি! আমাদের আরও উদার হতে হবে।” এসব জ্ঞানের কথা অন্তু'র কান দিয়ে ঢুকলনা। কোন কিছু না বলেই সে ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হয়ে এল।



আসতে আসতে সারা রাস্তায় ভাবছে তিথিকে সে কিভাবে খবরটা দিবে! তাড়াতাড়ি দিতে পারলেই সে হালকা হত। কিন্তু তিথি যদি তাকে ছেড়ে চলে যায়! না তিথি এমন করবেইনা। তাদের ভালবাসার উপর বিশ্বাস আছে তার। কিন্তু কিভাবে শুরু করবে এটাই বুঝতে পারছিলনা। আবার ভাবছে যখন তিথি বাচ্চা নেবার পরিকল্পনা করে তখন না হয় তিথিকে সম্পূর্ণ ব্যাপারটা খুলে বলবে। এসব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে এর মধ্যে একদিন অন্তু'র অফিস থেকে জানাল তাকে সিঙ্গাপুর যেতে হবে দু'মাসের জন্য। এই খবর তিথির মনকে খারাপ করবে নিশ্চিত তাই এর চেয়ে বেশী খারাপ খবরটা অন্তু তিথিকে দিতে পারলনা।



তিথিকে রেখেই সে রওনা হয়ে গেল কিন্তু মনটা বেশ খারাপ। কারন এর আগে দু'জন দুজনকে ছেড়ে এতদিন কখনও থাকেনি। তিথি বেশ কান্না করল। দু'মাস খুব কষ্ট হয়েছে দু'জনারই। তবে অন্তু নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছে। তিথিকে তার মা'র বাসাতে থাকতে বলেছিল তখনও কিন্তু তিথি রাজী হয়নি। দু'মাস পর অন্তু ফিরে এল কিন্তু কেমন জানি মনে হল সবকিছু! ভাবল দেশে ছিলনা বলে এমন মনে হতে পারে! আস্তে আস্তে সাহস যোগাচ্ছিল তিথিকে কথাটি বলার জন্য, এরই মধ্যে একদিন অফিস থেকে বাসায় ফিরে কলিংবেল চাপতেই তিথি দরজা খুলে তাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বলেছিল, “ অন্তু তুমি বাবা হতে যাচ্ছ।” নিজের কানকে কোনমতেই বিশ্বাস করাতে পারছেনা অন্তু। তিথিকে বলল, “কি বলছো তোমার মাথা ঠিক আছে?” তিথি বলল, “কি যে বলনা তুমি! এই দেখ ডাক্তারের রিপোর্ট। দু'সপ্তাহ বেবী'র বয়স।” অন্তু বার বার রিপোর্টটি দেখল। সে দেশে এসেছে প্রায় একমাস। এর মধ্যেই তিথি কনসিভ করেছে।



অন্তু পরদিন ডাক্তারে'র কাছে গেল এবং বলল, “ডাক্তার সাহেব আপনি আমাকে আরও একবার পরীক্ষা করুন, আমার মনে হয় কোথাও কোন ভুল আছে।” ডাক্তার বললেন, “ এমন মনে হবার কারন?” কিন্তু অন্তু চেপে গেল ঘটনা। ডাক্তার আবার পরীক্ষা করলেন, রিপোর্ট একই এল। অন্তু দৌড়ে ছুটল অন্য ডাক্তারের কাছে --না কোন লাভ নেই, সে একই রিপোর্ট। এখন সে কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা। কেন এমন হল, কি করে এ সম্ভব কোন মতেই সে এর হিসেব মিলাতে পারছেনা। ডাক্তারের ওখান থেকে মন খারাপ নিয়ে অফিসে গেলনা ফোন করে দিল। এর পর সারাদিন ধানমন্ডি লেকে'র পাড়ে গিয়ে বসে রইল। ফোনটা সুইচ অফ করে দিল। তার বেশ কান্না আসছে ---কিন্তু কাঁদতে পারছেনা।



সন্ধ্যার পর বাসায় রওনা হল। ড্রাইভারকে ছেড়ে দিয়েছিল তাই এখন একটা ট্যাক্সি খোঁজ করছিল এবং পেয়েও গেল। এসে বাসায় দেখে মহাআয়োজন। নিজের ও তিথি'র সকল বন্ধুরা এসেছে। তিথি বলল, “তোমাকে সারাদিন ফোন দিয়েই পাচ্ছিনা। অফিসে ফোন দিলাম ওরা বলল তুমি অফিসের বাইরে আছ কাজ নিয়ে। কিন্তু ফোন বন্ধ দেখে ভাবলাম চার্জ নাই। আর তোমাকে আরও একটা সারপ্রাইজ দিব বলে সবাইকে ডেকেছি।” অন্তু'র ভাল লাগেনি তিথি'র এই আয়োজন। তিথি'র সারপ্রাইজের চাপে তার দম বন্ধ হয়ে আসছে। পার্টি'র সবাইকে শরীর ভালনা এই অজুহাতে বেডরুমে গিয়ে শুয়ে পড়ল। তিথিকে বলল, “টেনশন করার দরকার নেই। তুমি থাক সবার সাথে।”



এভাবেই দিন যাচ্ছে। তিথিও অফিস নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাই অন্তু'র এই পরিবর্তন খুব একটা খেয়াল করছেনা। এর মধ্যে অন্তুও নিজেকে ব্যস্ততার মাঝে ডুবিয়ে দিয়েছে, বিদেশে দু'তিনটা ট্যুর করেছে।প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর করছে, আর মাঝে মাঝে ঢাকায় থাকলেও হোটেলে গিয়ে থকেছে।এই ন'মাসে সে ত্রিশ দিন বাসায় ছিল কিনা সেটাই সন্দেহ। এনিয়ে তিথি'র বেশ অভিযোগ, সে বলে, “স্বামীদের এই সময়েই স্ত্রীদের পাশে থাকা খুব জরুরী আর এই সময়ে তোমার অফিস থেকে তোমাকে ট্যুরে পাঠায়। ছেড়ে দাও এমন চাকুরী।” অন্তু বল, “কি করব বল সুযোগতো বারবার আসেনা। তুমি বরং তোমার মা'র কাছে গিয়ে না হয় থাক এই সময়টা। তোমার খেয়াল রাখার কেউত থাকা চাই।” কিন্তু তিথি রাজী হয়না, অন্তু জানে তিথি কখনও রাজী হবেনা। তবুও বলার জন্য বলা।



অন্তু এই নিয়ে কোন প্রশ্ন করেনি তিথিকে। সে যে কিছু জানে সেটা কিছু বুঝতেই দেয়নি। ভাবছে যাক তিথি মা হবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকবে কেন? কিন্তু কে সে ভাগ্যবান তার জানতে একবারও ইচ্ছা হলনা। তার অনুপস্থিতিতে সে কোনদিন অনুসন্ধান করতে যায়নি তিথি কি করে, কার সাথে মেশে! এমনকি তিথি'র মোবাইলটাও খুলে দেখনি কোনদিন। সে জানতে চায়না, কোন কিছুই জানতে চায়না।



এই দিনটার অপেক্ষায় ছিল অন্তু যেদিনটা তিথি মা হবে। আজ সে দিনটাকে উপভোগও করল সে। ভাবল এখন তিথিকে তার পুরুস্কার দেয়া যায়। রাতে বসে একটা চিঠি লিখল অন্তু। কাল এটা তিথিকে পাঠাবে। নিজের ফ্ল্যাট'টা তিথি'র বাচ্চাটিকে দিয়ে গেল। আর তার যত কথা যত প্রশ্ন ছিল সবই লিখে গেল চিঠিতে। তিথি যা বুঝার বুঝুক, তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ অন্তু দেবেনা এটাই তিথি'র শাস্তি।



সকাল দশ'টা বাজে। অন্তুকে বহনকারী প্লেনটি দু'ঘন্টা পর লণ্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। অন্তু শেষ বারের মত দেশকে বিদায় বলল কারন সে জানেনা সে আর কখনও ফিরবে কিনা-----!

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ভালো লাগা জানবেন। আপনার নতুন পোষ্টের কথাই ভাবছিলাম আজকে।


গল্প এগিয়ে যাচ্ছে দেখে ভালো লাগছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৮

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: গল্প পড়েননি বুঝি!!!

আসলে সময় করে বসতে পারছিনা। শনি ও রবি দুদিন ছুটি আছে ভাবলাম পোষ্টটি দিয়েই দেই।

তবে গল্পটি নিয়ে পাঠকের দৃষ্টিকোন থেকে কিছু বললে ভাল লাগবে কারন গল্পে হাতখড়ি তাই। ভাল থাকবেন।ধন্যবাদ রইল।

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৮

তাশমিন নূর বলেছেন: আসলে অনুসন্ধান করেও কোন লাভ নাই। ভালো যে বাসে সে নজরদারিতে না থাকলেও সেই ভালবাসার অবমূল্যায়ন করে না; আর ভালবাসায় ঘাটতি হলে হাজার নজরদারিতেও কাজ হয়না। গল্পটি ভালোই লাগল। অন্তুর জন্য একটু খারাপ লাগল। অভিমানী অন্তুরা এভাবেই জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৪

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপু মনোযোগ দিয়ে লেখাটি পড়ার জন্য এবং মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।

হুম আপনি ঠিকই বলেছেন----ভালবাসা শুধুই ভালবাসার প্রয়োজনেই হওয়া উচিত।

ভাল থাকবেন।

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: শেষটায় বিষাদ না থাকলেই কি না হতো :( ?

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: আমি পারিনা অভি, কারন বিষাদ থাকলে মনে হয় গল্প দাগ কাটে বেশি যা আমি ব্যক্তিগতভাবে ফিল করি। আর আমার কবিতাগুলোও ওই দিকেই টার্ন করে বেশি।

ভাবি হয়ত একভাবে কিন্তু ফিনিশিং এ এসে এমন হয়---কি আর করা চেষ্টা থাকবে-------বিষাদের সাথে সাথে শুভপরিণতি।

ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৭

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: itz amazing mam... itz really hurt :( :(

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন লেখাটি পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন/

৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০২

নূর আদনান বলেছেন: বিষাদের নীলে ভরে গেল বুকটা........

গল্পে ভাল লাগা জানবেন

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৭

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য। কিছু উপলব্দি হয়ত আমাদের জীবন থেকে নেয়া-----এভাবেই কিছু কিছু জীবন বিষাদে ভরে উঠে । ভাল থাকবেন।

৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:১৫

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: গল্পটা ভালো লেগেছে। আমি জেভাবে শেষটা হবে ভেবেছিলাম সেভাবে হয় নি। ভাবছিলাম হয়ত মেডিক্যাল রিপোর্ট ভুল ছিল। শেষে এসে হয়ত হ্যাপি এন্ডিং হবে। তবে এই শেষটাও খুব ভালো হয়েছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:০১

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় পাঠক--
আমিও একবার ভাবসিলাম হ্যাপি এন্ডিং করবো পরে কিভাবে জানি মোড় ঘুরে গেল।

ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ভাল থাকবেন

৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫২

আবু শাকিল বলেছেন: বেশ কিছুদিন ব্লগে ঢুকে আপনাকেইই খোজছিলাম
কবিতা অথবা গল্প লিখছে না কেন?

গল্পে সবটুকু ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।





২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল। কেমন আছেন ? খুঁজছিলেন জেনে নিজকে সম্মানিতবোধ করছি। আসলে সময় পাইনা।
সোম বার থেকে শুক্রবার জব নিয়ে ব্যস্ত। শনি রবি ছুটি। চেষ্টা করবো নিয়মিত হতে।

ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন।

৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: অসাধারণ গল্প।+++++

সাবলীল বর্ণনায় ভাল লাগল । যদিও শেষটা বিষাদময়।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অনেক ভাল থাকুন

৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫

মামুন রশিদ বলেছেন: খুব সুন্দর । গল্প পড়ে ভালো লেগেছে । শেষটায় দাগ কেটেছে ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই সময় নিয়ে লেখাটি পড়ার জন্য।
ভাল থাকুন।

১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মামুন রশিদ বলেছেন: খুব সুন্দর । গল্প পড়ে ভালো লেগেছে । শেষটায় দাগ কেটেছে ...

বিষে নীল নরোম দাগ ;)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন বিদ্রোহী, ভাল থাকা হোক

১১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গল্পটা পুরোটা পড়লাম, ভালো প্লট, এই প্লটে আগেও গল্প পড়েছি। একটু সমালোচনা করি... :) গল্পের শুরু থেকেই ঘটনা বুঝতে পারা যাচ্ছে, কিন্তু লেখক হিসেবে এই মূল ঘটনাকে লুকিয়ে রেখে হঠাৎ পাঠককে সারপ্রাইজ দেয়ার চেষ্টা চোখে পড়েছে... কিছু মনে করবেন না প্লিজ... গল্প সব মিলে মোটামুটি লেগেছে।

শুভকামনা জানবেন। ভালো থাকুন সবসময়।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: এই না হলে প্রিয় পাঠক---ইচ্ছেমত সমালোচনা করুন সেটাই আমি চাই। কারন গল্পে আমি একেবারেই কাঁচা। ঘষে মেজে নিজেকে তৈরি করতে চাই। চেষ্টা থাকবে দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে।

ভাল থাকবেন আপনিও, শুভকামনা

১২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: গল্প পড়লাম, ভালো লাগলো! তবে গল্পের শেষে একটা টুইস্ট বা কিছু একটার প্রত্যাশায় ছিলাম, সেই অর্থে সরল ভাবেই শেষ হল!

শুভেচ্ছা রইল!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ মনোযোগ দিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য---আমি শেষটা পাঠকের ওপর ছেড়ে দিতে চেয়েছি---যে যেভাবে ভাবতে পারে।

ভাল থাকবেন।

১৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: শেষটা পাঠকের ওপর ছেড়ে দিয়ে ভালোই করেছেন। গতানুগতিক টুইস্ট থাকলে শেষটায় এমন বিষাদী অনুভব থাকতো না।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ মাহবুব ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্যটির জন্য। আপনারা কত ভাল গল্প লিখেন , ওগুলো দেখে দেখেই চেষ্টা আরকি!!

আমি শেষটায় পরিপূর্ণ কোন সমাধান দিতে চাইনি। ভাবনার অবকাশ কিছুটা পাঠককে দিতে চেয়েছি।

ভাল থাকবেন।

১৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:



অন্তু'র চরিত্রটা ভীষণ ভালো লাগলো। যেখানে ভালোবাসাই বেঁচে নেই সম্পর্কের মাঝে চাওয়া পাওয়ার কিছু না থাকাটাই ভালো।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: আরে আমিন ভাইযে!

ধন্যবাদ লেখাটি পড়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য ও ভীষণ ভাল লাগছে আপনাকে পোষ্টে পেয়ে।

ভাল থাকুন অনেক অনেক

১৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪

 বলেছেন: অসাধারণ গল্প।+++++

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ার জন্য। ভাল থাকুন

১৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ৫ম ভালোলাগা +++++ যদিও বেশ পুরানো প্লট , কিন্তু আপনার লেখনিতে তা পুষিয়ে গিয়েছে ।

অনেক শুভকামনা :)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় লেখক ও পাঠক। আমাদের সমাজে এমন হয় , হচ্ছে।

আমি একটি সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে গল্পটি লিখেছি। চরিত্র ,স্থান সবকিছু কাল্পনিক কিন্তু থিমটা জীবন থেকে নেয়া। তাই প্লট পুরোনো মনে হচ্ছে কারন এমন প্লট আমাদের অনেকেরই জানা বা দেখা।

ভাল থাকবেন।

১৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

জাফরুল মবীন বলেছেন: যদিও এটা গল্প কিন্তু আমার মনে হয় বাস্তবে এধরণের সন্দেহের ক্ষেত্রে দু’জনের নিজেদের মধ্যে কথা বলা খুব দরকার।পেশাগত কারণে আমার বেশ এরকম কয়েকটি কেস স্টাডি করার সুযোগ হয়েছিল।যেসব স্বামীরা পেশাগত কারণে স্ত্রীদের থেকে দূরে থাকেন তাদের মধ্যে এধরণের সমস্যা একটু বেশী দেখা গেছে।আমার স্টাডি করা কেসগুলোর মধ্যে খুব সাধারণ বা রিপোর্ট ভুল বোঝাবুঝি খেকে নিন্দনীয় বাস্তবও ছিল।

ভাল লাগল আপনার গল্পটা।

ধন্যবাদ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ মবীন ভাই, বাস্তব কোন ঘটনা থেকেই এমন গল্পের প্লট মাথায় এসেছে, আপনি যেটা বলেছেন সেটার সাথে আমি নিজেও পুরোপুরি সহমত।
আমরা আমাদের জীবনে তাই করি , সামনা সামনি আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করি। কিন্তু কিছু কিছু ব্যতিক্রম আমাদের সমাজে দেখাই যায়। সবাই কি আর এক রকম!!! তবে যে কোন রিলেশন এর মাঝে বিশ্বাসের চেয়ে বড় কিছু নেই।

আপনার মূল্যবান মন্তব্যে আমি আমার চিন্তা ও ভাবনাকে আরও সম্প্রসারিত করতে পারব বলে বিশ্বাস। ভাল থাকবেন।

১৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০

আমি ইহতিব বলেছেন: স্বামী স্ত্রীর পবিত্র সম্পর্কে কখনোই এমন অবিশ্বাসের ছায়া থাকা উচিত নয়। যদিও এটি নিছকই একটি গল্প তবুও বললাম। গল্পের বিষয়বস্তুর সাথে নামটা যথার্থ হয়েছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪১

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপু লেখাটি পড়ার জন্য। যদিও গল্প কিন্তু লেখাটি আমি জীবন থেকেই নিয়েছি, মানে গল্পের থিমটা সত্য।

ভাল থাকুন---বিশ্বাসের জোরেই টিকে থাকুক আমাদের ভালবাসা।

১৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সুমন কর বলেছেন: পরিপূর্ণ গল্প। দারুণ বর্ণনা গল্পকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে। অন্তুর চরিত্রটি ভাল লেগেছে। তবে সে, বিষয়টি অালোচনা না করে, চলে গেছে। বর্তমান পেক্ষাপটে প্রায় অসম্ভব।

কিন্তু অাপনার গল্পটি চমৎকার লেগেছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সুমন ভাই। হুম তবে মানব চরিত্র বুঝা বড় দায়। একেকটা মানুষ একেকটা ধাঁচে গড়া। অন্তু কাউকে কিছু বলেনি কিন্তু যাকে সে বলার সে যাবার আগে চিঠিতে জানিয়ে গেছে। তিথিই ভাল জানবে বাকিটা-----

২০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: গল্পটা বেশ লেগেছে । তবে অন্তুর দুঃখে দুঃখ পেলুম আবার অন্তুর আচরনে অনেক ভালো লাগলো । সে ইচ্ছে করলে তিতির সাথে অনেক কিছুই করতে পারতো কিন্তু সে কিছুই করেনি বরং ভালোবাসার বিশাল কলিজাটা দেখিয়ে নিজেই অজানায় চলে গেল । আবার চিঠিটায় সে এক নীরব যন্ত্রনাও দিয়ে গেলো তিতিকে যে যন্ত্রনা আর কেউ জানবেনা কিন্তু সারা জীবনের জন্য জ্বালিয়ে দিবে তাকে অনেকখানি ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টে পেয়ে। হুম অন্তু চরিত্রটা আমার কাছে তাই বেশ লেগেছে।মানে তিথি যদি ভুল করে থাকে তাহলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ জ্বালা ভুলতে পারবেনা। যাক পাঠকের জন্য ভাবনার জাল বিছিয়েছি---ভাবুক সবাই সবার মত করে। ভাল থাকুন

২১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন: :)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

শাহ আজিজ বলেছেন: অন্তু চলে গিয়ে জিতে গেল আর মুক্ত হল অবিশ্বস্ততার কালো হাত থেকে। এরকম ঘটছে অহরহ আমাদের সমাজে। আমি এর আগে এই গল্প পড়িনি অথবা এটা সিরিজ ছিল? সামাজিক শৃঙ্খলা পুনস্থাপন খুবই দরকার আমাদের সমাজে। প্লট ভালো লাগলো ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আজিজ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
হুম আমাদের সমাজেরই বাস্তব চিত্র। দিন দিন আমাদের সম্পর্কগুলো অনেক হালকা হয়ে যাচ্ছে। অবিশ্বাস, পরকীয়া, নিত্য ঘটনা।

ভাল থাকবেন অনেক।

২৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৩

পার্থ তালুকদার বলেছেন: অন্তু'র জন্য মন কাঁদছে ।

খুবই ভাল লিখলেন ------

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৪

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন --আপনি নিজেও খুব ভাল লিখেন। গতকালই আপনার গল্প পড়ে আমি নিজেই অভিভূত।
ভাল থাকুন।

২৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৮

হামিদ আহসান বলেছেন: শেষটা ভাল লেগেছে বেশি ..................+++++++

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ হামিদ ভাই। ভাল থাকবেন।

২৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৯

ডি মুন বলেছেন:
গল্প বেশ ভালো লেগেছে। ++++

আরো সুন্দর সুন্দর গল্প উপহার দিন আমাদেরকে।

শুভকামনা রইল।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: আরে বাহ গল্পকারের কাছ থেকে এমন কথা!!!
জেনে খুশি হলাম। চেষ্টা করবো কিন্তু সময় নিয়ে উঠতে পারছিনা এই যা--

যাক লেখাটি পড়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

২৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:২৯

ভিটামিন সি বলেছেন: গল্প তো বেসম্ভব ভালো হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু আসলে ঘটনাটা কি সেটা তো এন্ডিং এ ও পেলাম না বা কোন প্রকার ধোঁয়ারও উপস্থিতি পেলাম না। তাহলে ঘটনাটা ঘটল কি করে? এতো ভালোবাসা-বাসির পরিণতিও এমন হয়, হতে পারে??

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:২৬

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: আমি ব্যপারটা ক্লিয়ার করতে চাইনি -সি ভাই তবে পরকীয়া'র কিছু ইঙ্গিত ছিল মানে অন্তু এমনটাই ভাবছে কারন সে নিজে বাবা হতে অক্ষম!! কোন মিরাকল না ঘটলে অন্তু'র সিদ্ধান্ত সঠিক বা যদি মিরাকেল ঘটে তাহলে ব্যপারটা অন্য দিকে মোড় নেয়। আমি পাঠকের ভাবনার উপর ছেড়ে দিয়েছি----যে যার মত করে ভাবুক,

ভাল থাকবেন--ধন্যবাদ জানবেন। শুভ রাত্রি।

২৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:০৫

ভিটামিন সি বলেছেন: আমি আসলে থার্ড পারসন ইন এর ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে চাই না। সবার ক্ষেত্রে ওটা হয় না। আর যেহেতু গল্পের নায়িকাও ব্যাংকে জব করেন, সুতরাং সারাদিনের ঝক্কি-ঝামেলা পোহানোর পর তার এই পথে যাবার পক্ষপাতী আমি নই। যারা যায় তারা থাকে কর্মহীন। অবশ্য ব্যতিক্রম ও হয়। তাছাড়া এতো ভালোবাসা-বাসির মাঝে এমন কল্পনাই করা যাবে না। আমি এই ঘটনাটি নিজেদের মধ্যেই হওয়ার পক্ষপাতী। কারণ বাংলাদেশের ডাক্তার বলে কথা! (ডাক্তাররা আবার রেগে যাবেন না যেন)।
আমার ফ্রেন্ডের ওয়াইফের ইয়ে তে সিস্ট হয়েছে। বিভিন্ন ক্লিনিক, ডাক্তার এমনকি বারডেমেও দেখানো হলো। তারা অপারেশন করতে বললো, করলোও। ৬ মাস পর আবার সমস্যা। এইবার বলে জরায়ূ কেটে ফেলে দিতে হবে। মহিলা তো এটা করবেন না। এটা করলে স্বভাবতই সংসারে অশান্তি আসবে। তাই আমি বুদ্ধি দেই ইন্ডিয়া নিয়ে যেতে। কলকাতায় ১৫ দিন একটা হাসপাতালে চিকিৎসা করেন, এখন সুস্থ্য হওয়ার পথে। সেখানকার ডাক্তার বলেন আপনার আগের অপারেশনটা না করলেও হতো। এখন আপনি বাচ্চা নাও ধারণ করতে পারেন সেই অপারেশনের কারনে। গত আট তারিখে আমি তাদের বাসায় গিয়ে দেখে আসলাম বেশ ভালোই হয়ে উঠেছেন উনি।
তাই ঘটনাটাকে আমি ডাক্তারদের ভুল রিপোর্ট বলে দেখতে চাই। আমি সহজ-সরল লোক তো তাই।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৩৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: দেরী হল মন্তব্যের জবাব দিতে সেজন্য দুঃখিত।

ওরকম হলে আমার কাছে মনে হত বাংলা সিনেমা টাইপের যেখানে ডাক্তারের রিপোর্ট হরহামেশাই ভুল আসে//যা আমার নিজের কাছেই ভাল লাগেনা।

আপনি আপনার সুন্দর ও মূল্যবান মন্তব্য দিয়েছেন সেজন্য কৃতজ্ঞ। আমি সামনে লিখতে গেলে নিজের ভাবনার জগৎটাকে আরও প্রসারিত করবো।

ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় পাঠক। ভাল থাকবেন।

২৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৮

ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: গল্পে ভাল লাগা !

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৩১

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন। ভাল থাকুন।

২৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৭

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
ভাবনার মতন প্লটখানি ৷ বর্ণনাও ধাবমান ছিল সমান্তরালে ৷

তবে আবেগাশ্রিত এ গল্পে শুধু বিবৃতির মতন বর্ণনার সাথে আবেগের আবহে খানিক বিস্তৃত শৈলীও থাকতে পারত ৷ তা রূপকের আদলে আনতে পারেন বা পরিবেশের ছটায় কিছুটা ছিল প্রথম দিকে ৷

চূড়ান্ত সিন্ধান্ত লেখকের ৷ ভাল থাকবেন ৷

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৪

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ও মনোযোগী পাঠক। বেশ ভাল লাগল আপনার গঠনমূলক মন্তব্য। আর আমি যেহেতু গল্প তেমন লিখিনি তাই পাঠকের পরামর্শ আমার লেখার মানোন্নয়নে সুদূর প্রসারী ভূমিকা রাখবে।
ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্যের উত্তর দেরীতে দেয়ায় খুব খুব খুব দুঃখিত ও লজ্জিত। সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃতভাবে ব্যাপারটা ঘটেছে। আপনাকে কারনটা ও বলছি --আমি আপনাদের দেয়া মন্তব্যটির প্রতিমন্তব্য ধন্যবাদ দিয়েই শেষ করতে চাইনি। আমি ব্যাখ্যা করতে চেয়েছিলাম আমার লেখাটি নিয়ে। তাই ভেবেছি আপনার মন্তব্যটির উত্তর ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে চিন্তে দেবো। কিন্তু দেখুন কিভাবে যেন বেমালুম ভুলে গেলাম যে আমার পোষ্টে একটি মন্তব্যের উত্তর আমার দেয়া হয়নি।

আপনার জায়গায় আমি হলে কোনদিন ওই লেখকের পোষ্টেই ঢুকতামনা যদি দেখতাম সবগুলো মন্তব্যের উত্তর দেয়া হয়েছে শুধু একটা ছাড়া। সত্যিই আমাকে ক্ষমা করবেন আমার অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য।

৩০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৯

তুষার কাব্য বলেছেন: অসাধারণ গল্প।অন্তু'র জন্য মন খারাপ হলো শেষটায়...শুভকামনা...

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৩০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটি পড়েছেন ও মন্তব্য করেছেন বলে।
ভাল থাকা হোক।

৩১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: বাবা হয়েছে জেনেও একটা ছেলে আনন্দিত হতে পারছে না- তখনই বুঝেছিলাম এমন কিছুই হবে।

আপনার লেখার হাত বেশ ভাল। নিয়মিত লিখুন। শুভকামনা রইল।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:২৯

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্যে অনুপ্রেরণা লিলাম।
ভাল থাকবেন।

৩২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: পৃথিবীর মানুষ গুলি সকলেই স্বার্থপর
কী ছেলে কী মেয়ে
ভেবেছিলাম
ভাল লেখক লেখিকাদের কমেন্টস পেলে
কিছু একটা লিখতে পারবো
কিন্তু হায়!
“অভাগা যেদিকে চায়
সাগর শুকিয়ে যায়”
আমার অবস্থাটাও ঠিক তাই
ভুল হলে আশা করি
ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন
আপনার লিখা পড়া হয়
কমেন্টস করা হয়না
কারণ
আমাদের মত লেখকদের
কমেন্টসের তো কোন মুল্য নেই
তাই......

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১২

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: আপনি এভাবে কেন বলছেন ভাই ! কখনও কি দেখেছেন আপনার কোন কমেন্টের উত্তর আমি দেইনি? আপনার প্রতিটি মন্তব্যকেই আমি মূল্যায়ন করি কেননা পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গি ও লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি কিন্তু একনা। পাঠক হিসেবে আপনার মতের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে । গঠনমূলক হলে আমি আপনার মন্তব্য কেন গ্রহন করবোনা?

আর লেখার ব্যাপারটা যেটা বলছেন আমি কিন্তু কোন সেলিব্রেটি বা খুব ভাল যে লিখি তা কিন্তু না। তবে চেষ্টা করি ভাল লিখতে। প্রতিটি লেখা নিয়েই বেশ ভাবি, বানানের দিকে খেয়াল রাখি, এবং লেখার সাথে সাথেই পোষ্ট দেইনা--লেখা নিজের কাছে রেখে তারপর পোষ্ট দেই।

৩৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১৪

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: এভাবে হতাশ হলে কি করে চলবে! লিখতে লিখতেই দেখবেন আপনিও সফলতা পাবেন। নিজের লেখাকে নিজে ভালবাসুন ও আত্মবিশ্বাস রাখুন।

ব্যস্ততার জন্য বসতে পারিনা সেজন্য আপনার লেখাগুলো মিস হচ্ছে। সবার লেখাই হচ্ছে। ভাল থাকবেন। পাশে পাবেন।

৩৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আবার পড়লাম :)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আবারও পড়ার জন্য।

৩৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১০

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
২৯ নং ও এ মন্তব্যটুকু মুছে দিতে পারেন ৷

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৯

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: সত্যিই খুব খুব খুব দুঃখিত ও লজ্জিত। সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃতভাবে ব্যাপারটা ঘটেছে। আপনাকে কারনটা ও বলছি --আমি আপনাদের দেয়া মন্তব্যটির প্রতিমন্তব্য ধন্যবাদ দিয়েই শেষ করতে চাইনি। আমি ব্যাখ্যা করতে চেয়েছিলাম আমার লেখাটি নিয়ে। তাই ভেবেছি আপনার মন্তব্যটির উত্তর ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে চিন্তে দেবো। কিন্তু দেখুন কিভাবে যেন বেমালুম ভুলে গেলাম যে আমার পোষ্টে একটি মন্তব্যের উত্তর আমার দেয়া হয়নি।

আপনার জায়গায় আমি হলে কোনদিন ওই লেখকের পোষ্টেই ঢুকতামনা যদি দেখতাম সবগুলো মন্তব্যের উত্তর দেয়া হয়েছে শুধু একটা ছাড়া। সত্যিই আমাকে ক্ষমা করবেন আমার অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৭

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: আর মন্তব্য মুছে দিব কেন? আশা করি আমি আমার ব্যপারটা ক্লিয়ার করতে পেরেছি।

আমাদের সবার পথ চলা শুভ হোক। অনেক অনেক ভাল থাকুন। লেখায় ভুল পেলে অবশ্যই বলবেন। সমালোচনার দরকার হলে সেটা নিঃসঙ্কোচে করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.