নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাসেমে আটকে থাকা সাহিত্যের রুচি অরুচি!

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০



কাসেম বিন আবু বাকার, ছবি- এএফপি, সংগ্রহ সূত্র: ডেইলি মেইল

প্রত্যেক লেখক তার এবং তার আশ-পাশের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাখ্যা করেন। সে ব্যাখ্যা ভুল হইতে পারে। সে ব্যাখ্যা আমি নাও নিতে পারি । কিন্তু জান্তে কোন অসুবিধা নাই। কাসেম বি আবু বাকারের লেখা বঙ্কিম , রবীন্দ্র-নজরুল- শরতের নিক্তিতে মাইপা পাঠ করনে আমি বিশ্বাসী না। আমার হাতে সময় আছে, আমি পড়ি। যা পাই পড়ি।

আমাদের কৈশোরে একটা বই পড়তে সময় নিতাম ১ থেকে দেড় দিন, তাইলে কী পরিমাণ বই দরকার! চিন্তা করেন! সেই বই কি সুশীল রুচিকর পাঁচক লেখকেরা লেইখা আমগো সামনে আন্তে পারছিলেন! এবং প্রকাশকরা!

হুমায়ূন পইড়া হলুদ রঙ ভালো লাইগতো। জুতা ছাড়া রাস্তায় হাঁটতাম, জোছনা খাইতাম, কুত্তার লগে কতা কইতাম! ভাল্লাগতো। যুক্তি মানতাম না। এটা ভালো কি খারাপ সেইটা তর্কের ব্যাপার। কিন্তু পাঠক হিসাবে আমি ত এটা নিছি। আপনি আমার নেয়াকে আপনার নিক্তিতে মাইপা রুচিকর অরুচিকর নির্ধারণ ক্যামনে।

সাহিত্য লইয়া কত রকমের কতা। বাজাইরা সাহিত্য কইয়া হুমায়ূনরে তো ব্যাপক সমালোচনা কইরছিল আহমদ ছফা। কিন্তু ছফার চিন্তা আপনার মইধ্যে সংক্রমিত অইতে পারে। তার সাহিত্য সে অর্থে কাউরে সংক্রমণ কইরছে, এ রকম চোখে পড়নের মত ঘটনা কোথাও পড়ি নাই।

এ দেশের যারা সাহিত্য কইরে খান, যারা সংস্কৃতির ব্যবসা করেন, তারা নিজের বাইরের লোকের সব কাজকে খাটো কইরা দেখেন।

হালের সমালোচনার টার্গেট এক কাসেম বিন আবু বাকার। তার বই আমি নিজেও পড়েছি। শব্দ-বাক্য গাঁথুনি ভাল্লাগবে না, আমার কিম্বা আপনার। আবার অনেকের কাছে ওইটাই অমৃত সমান! যার যার টা তারে নিতে দ্যান!

তার বই গল্প-উপন্যাস। ধর্মগ্রন্থ না। তার বই তো বাংলা একাডেমির পুরস্কারের জন্য এপ্লাই করে নাই। আপনাদের কম্পিটিটর তো তিনি নন। তার মত করে তিনি লিখেছে, একটা বড় পাঠক শ্রেণি ধরেছে। এইটা আপনারে চুলকায় ক্যান। আফনে নিজের দিকে তাকান না কেন? একটা বই বাইর কইরা কত রকমের প্রচারণা চালায়া ত ৫০০ কপি সারা বছরে সেল কইরতে পারেন না। সেইখানে কাসেমের বই হাজার হাজার বই বেচা কেনা অয়। ক্যামনে কি! আপনের রুচি বিবেচনায় আইনলে তো সব পাঠকই অরুচিশীল!

কাসেম বিন আবু বাকারের বই কিম্বা আবদুল সালাম মিতুলের বইয়ের পাঠককে আপনি অবহেলার চোখে দেইখতে পারেন না। তারা তো আফনের উপ্রে চাইপা বসেন নাই। আফনের ভালোলাগে না, আফনে তারে ইগনোর করেন, হুদাই ত্যানা প্যাঁচাইবার দরকার কি!

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি যখন ভালো বলছেন, ভালো না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

মোরতাজা বলেছেন: আমি ত ভালো বলি নাই! আমি বলেছি, আপনি কি নিবেন, কি নিবেন না, তা গ্রহিতার উপ্রে ছাইড়া দ্যান।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: বাংলা এখনও শিখতে পারিনি।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

মোরতাজা বলেছেন: আমাকে বললেন, নাকি !!

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

সালমান মাহফুজ বলেছেন: রুচি জিনিসটা আপেক্ষিক । প্রতিটা মানুষের রুচিই অবস্থানভেদে ভিন্ন ।

কিন্তু কাসেম বিন আবু বকররে যে অরুচিকর বলতেই পারে । তাতে দোষের কিছু দেখি না ।

তার বই বাজারে চলে, অথচ অনেক উচ্চমানের লেখকের বই চলতেছে না !( অবশ্য মান বিষয়টা নির্ধারণ যার যার নিজস্ব ব্যাপার । আমারটা আমি বললাম ।) এতে দুটো বিষয় বুঝা যাচ্ছে । হয়ত পাঠকের রিডারসেন্স নিম্নগামী হচ্ছে । নয়ত কাসেম পাঠককে মুগ্ধ করার মত লেখাই লিখছেন ।

যে পাঠকের যেটা ভাল লাগে, সে সেটা পড়বেই । বালিশের নিচে লুকাই লুকাই হলেও পড়বে । আর যার ভাল্লাগবে না সে ছুঁড়ে ফেলে দিবে । সমালোচনা করবে । রুচিকর অরুচিকর বলবে । এটা পাঠকের স্বাধীনতা বলেই আমার ধারণা ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

মোরতাজা বলেছেন: একমত। এবং এ কথাটাই বলার চেষ্টা করেছি।

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমাদের মধ্য থেকে পরশ্রীকাতরতা দূর করতে পারলেই সবকিছু ভালো হতে পারে।
আমি এই লেখকের কোন বই পড়িনি। আজই একটা নিউজ পোর্টালে তাঁর সম্পর্কে জানলাম।
ভালোই লাগলো তাঁর উপন্যাসিক হওয়ার অদম্য ইচ্ছা আর চেষ্টা। তিনি তাঁর চেষ্টায় আজ সফল।
তার জন্য শুভকামনা রাখি।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

মোরতাজা বলেছেন: :)

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫১

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠি এই কাশেম সাহেবকে নিয়ে এত প্রচার চালাচ্ছে। ফেসবুক কিংবা ব্লগে দুইটাতেই ঘেঁটে দেখলাম বেশিরভাগই মাদ্রাসা গোষ্ঠী (আমি মাদ্রাসাকে ছোট করছি না মোটেও। কিন্তু তারা কি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে তারা নিজেরাও মনে হয় জানে না)

প্রকৃত শিক্ষায় কবে যে শিক্ষিত হবে এই শালার বাঙালি!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

মোরতাজা বলেছেন: :P

৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২১

মোঃ আল-হাসান মৃধা বলেছেন: অনেক কথাই বলা যায় তবে একটা কথা বলবো যে এই লোকরে নিয়ে লিখলে সেখানে দয়া করে হুমায়ূন আহমেদের প্রসঙ্গ তুইলেন না। আপনি যতই বলেন হুমায়ূন পইড়া হলুদ রঙ ভালো লাইগতো। জুতা ছাড়া রাস্তায় হাঁটতাম, জোছনা খাইতাম, কুত্তার লগে কতা কইতাম! মানুষজন ভাবতে বাধ্য হবে আপনি হুমায়ূন সাহিত্যের রস আস্বাদনে ব্যর্থ হইছেন।
নাইন-টেনে যখন পড়তাম তখন গ্রামের এক বই মেলায় দেখি কিছু কিউট আপু এই সব বই হাতে নিয়া কি ভাব!! এমন একটা অবস্থা যে এ জগতের সবচেয়ে বড় বইপ্রেমী এরাই।কাসেম বিন বকরের পাংখাদের কাজকারবার দেখে তখন থেকেই মজা লাগে। আমি অবশ্য ততদিনে রহস্য পত্রিকার রস পেয়ে এসব ছাইপাশের গুনগত মান খুব ভালো ভাবেই বুঝে গেছি।
আর একটা কথা, বেশি মানুষ পড়ে দেখে এটাকে খারাপ বলা যাবেনা এই থেওরি কোথা থেকে পেলেন!!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০

মোরতাজা বলেছেন: ভালো খারাপের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার বিপক্ষে বলেছি। পাঠক কোন টা নিবে কোনটা নিবে না, সে ব্যাপারটা সামনে এনে তাকে রুচি-অরুচির প্রশ্ন করা আমি সমর্থন করি না। রুচি আর অশ্লীলতার সংজ্ঞা নিয়ে বহু তর্ক আছে! ... হুমায়ূনের সাহিত্যের রস আমার সামর্থানুযায়ী আস্বাদন করেছি, লোকের ভাবনা নিয়ে ভাবছি না। আমরা কৈশনের বাকার, মিতুল, মিলন, হুমায়ুন, তসলিমা, সুন্দর কথা, গোপন কথা রসময় সব পড়েছি। এখনো হাতের কাছে যা পাই পড়ি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমার কোনই আপত্তি ছিল না যদি তিনি অন্য অনেকের মত একজন লেখক হতেন। কিন্তু উনার থিম হলো ইসলাম। এটাতেই আপত্তি আমার বা অনেকের। ইসলামের নাম দিয়ে প্রেম, ভালোবাসা, ডেটিং জায়েজ করার কোন মানে হয় না। এটা ছাড়া উনার পাঠক আরো বাড়ুক বা কমুক তাতে আমার কী যায় আসে?

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মোরতাজা বলেছেন: কাসেম ধর্ম প্রচারক নন, অন্য দশজন বাজাইরা লেখকের একজন! বাকার ধর্ম টেনে পাঠক ধরেছেন। এটা আমার ধারণা। আর বাকার বললেই তো কোন কিছু জায়েজ বা নাজায়েজ হয়ে যায় না। ধর্মের সিদ্ধান্তে বাকার কে?

৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: লেখক ছাগু কিনা জানি না। হাতে নিয়া দেখিয়াছিলাম , পুরোই অখাদ্য ! হের বই দিয়া ঝালমুড়ি বেচা যাইতে পারে।ছাগু এবং ছাগীদের কাছে ইসলামী প্রেমপন্যাশ (!) বলিয়া বিশেষ সমাদৃত বলিয়া মনে হয় !

বয়স্ক মানুষরে সম্মান দেওয়া উচিত। না হইলে কইতাম হেতেরে বাশ দিয়া গুলিস্তানে খাড়া কইরা রাখা হউক।সে পাঠকরে ইসলামিক পিরিত শিখাইতেছে ! ছাগু ভাবধারার হইতে পারে। সময় পাইলে ছাগুরা ছিঃনেমা, পতিতালয় সবকিছুকেই ইসলামীকরণ করার চেষ্টা করিত !

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০

মোরতাজা বলেছেন: ছাগু- বলতে আমরা ব্লগে শিবির -জমাতকে বুঝি। আপনার জানার জন্য বলি, বাকার আদর্শিক ভাবে জমাত-শিবিরের বিপরীত বলয়ের লোক।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.