নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে গ্রামীণফোনের সহযোগি প্রতিষ্ঠান একসেঞ্চার

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫



বাংলাদেশের বাজারে কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে দেশের শীর্ষ মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের ৫১ শতাংশ মালিকানার প্রতিষ্ঠান একসেঞ্চার কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড সলিউশনস লিমিটেড। এতে করে প্রতিষ্ঠানটির ৫৫৬ কর্মী চাকুরী হারাবেন।

একসেঞ্চার অপারেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুরুষোত্থামা কাদাম্বু এক ইমেইলে ১৭ জুলাই কর্মীদের খবরটি দেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা হতবিহ্বল হয়ে পড়েন।

আচমকা এমন একটা খারাপ খবরের জন্য কর্মীরা প্রস্তুত ছিলেন না, গত কয়েক বছর ধরে অল্প অল্প করে কর্মী ছাঁটাই করে আসছিলো একসেঞ্চার, কিন্তু ব্যবসা গুটানোর কোন আলামত পাননি কর্মীরা। ফলে কর্মীদের অনেকেই প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেলেও সেটাকে আমলে নেননি।

এখন এত সংখ্যক কর্মীর জীবিকার কি হবে? এমন প্রশ্ন রেখে একসেঞ্চার এমপ্লয়িজ ইউনিউয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমেদ জানান, ‘একসেঞ্চার বাংলাদেশে ৫৫৬ কর্মী কর্মরত আছেন, যাদের মধ্যে চার শতাধিক আমাদের এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সদস্য। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হলে এত লোকর কর্মসংস্থান কোথায় হবে?'

এর আগেও গ্রামীণফোন, জিপি আইটি এবং একসেঞ্চার থেকে চাকুরী ছাঁটাই হলেও সরকার এ ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ নেয়নি উল্লেখ করে ছাঁটাইয়ের কবলে পড়াকর্মীরা জানান, দিন দিন টেলিকম খাতের চাকুরি ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি এ বিষয়ে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি।

একসেঞ্চার অপারেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুরুষোত্থামা কাদাম্বু তার ই-মেইলে জানিয়েছেন একসেঞ্চার বাংলাদেশের কর্মীদের শেষ কর্মদিবস হবে ৩০ নভেম্বর , বৃহস্পতিবার । এই দিন পর্যন্ত কর্মীরা তাদের পুরনো সব সুবিধাও উপভোগ করতে পারবেন বলেও জানান কাদাম্বু।

কিছু কর্মীকে গ্রামীণফোনের সহায়তায় বাংলাদেশে বাজারে প্রবেশ করা ইনডিয়ান সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান 'উইপ্রো'তে নিয়োগ পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন কাদাম্বু। তবে সেখানে ঠিক কত সংখ্যক লোকের চাকুরী হবে? সেটা তিনি জানাননি।

গ্রামীণফোন থেকে ইতোমধ্যে কয়েকশ কর্মীকে ছাঁটাই করা হযেছে। চলতি বছর আরো কর্মী ছাঁটাই করার ঘোষণা দিয়ে কাজে নেমে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যদিও গ্রামীণফোন এর কর্পোরেট নাম দিয়েছে 'ভলান্টারি রিটায়ারমেন্ট স্কিম বা ভিআরএস' । এটাকে এখন তারা বলছে,' ঐচ্ছিক সেপারেশন'।

নতুন ভিআরএস প্রকল্পে গ্রামীণফোনে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর কাজ করেছেন এমন কর্মীদের আবেদন চেয়েছে। সেখানে একসেঞ্চারের কর্মীরা সেখানে কীভাবে জায়গা করে নেবে, সেটিও একটা প্রশ্ন বলে মনে করছেন চাকুরি হারা হতে চলা একসেঞ্চার বাংলাদেশের কর্মীরা।

২০১০ সালে গ্রামীনফোন ' গ্রামীণফোন আইটি ' বা জিপি আইটি নামে প্রতিষ্ঠানটি চালু করার পর এর ৫১ শতাংশ শেয়ার আমেরিকান প্রতিষ্ঠান একসেঞ্চারের কাছে ২০১৩ সালে বিক্রি করে দেয়। এরপর প্রতিষ্ঠানটি বড় ধরণের বিনিয়োগের কথা বললেও সেটি না করে উল্টো দেশের ৫৫৬ কর্মীকে বেকার করে ব্যবসা গুটানোর সিদ্ধান্তের খবরে ক্ষুব্ধ কর্মীরা

মূল সংবাদ সূত্র :http://www.theindependentbd.com/printversion/details/104761

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আসলেই দু:সংবাদ!

বলী দেশৈ হচ্ছেটা কি?

নতুন কোন লার্জ স্কেল ইনভেস্টমেন্টতো আসছেই না,উল্টো এভাবে বন্ধ হতে থাকলে ভবিষ্যত কোথয় গিয়ে দাড়াবে?
ভাবা যায়!!!

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১১

মোরতাজা বলেছেন: হুমমম। :(

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১১

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: কারণটা কি?

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১২

মোরতাজা বলেছেন: কারণ বলছে, তাদের ব্যবসা নাই!!

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০৬

মুমু পাখি বলেছেন: আমাদের দেশে IT Business / IT Industry কথা বলার মতো জ্ঞান আমার নেই, তবে যারা এই পরিস্থিতির শিকার তাদের জন্য আমার সহানুভুতি ও ঘুরে দাড়ানোর সহযোগীতা রইলো সহযোদ্ধা হিসাবে।

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

মোরতাজা বলেছেন: ধন্যবাদ।।

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: এটা একসেঞ্চার কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড সলিউশনস লিমিটেড এর ৫৫৬ জন কর্মীর জন্য এক নিদারুন দুঃসংবাদ বৈকি!
@মুমু পাখি, (৩ নং মন্তব্য প্রসঙ্গে) আমাদের দেশে IT Business / IT Industry কথা বলার মতো জ্ঞান আমার নেই, তবে যারা এই পরিস্থিতির শিকার তাদের জন্য আমার সহানুভুতি ও ঘুরে দাড়ানোর সহযোগীতা রইলো সহযোদ্ধা হিসাবে। -- আপনার এ স্পিরিটের জন্য আন্তরিক সাধুবাদ, এর প্রশংসা করছি। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর সহযোগিতা কিভাবে করবেন?

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

মোরতাজা বলেছেন: হুমমম।।

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

মৌমুমু বলেছেন: @খায়রুল আহসান ভাইয়া, আমার মনে হয় আল্লাহ্ পাকের কাছে সহযোগিতা ছাড়া ঘুরে দাঁড়ানোর কোন উপায় নাই। দ্বিতীয় হলো সরকারের সহযোগীতা আর তৃতীয়টি হলো নিজের প্রবল ইচ্ছা শক্তি। যদিও নিজের ইচ্ছে শক্তিটাকে দ্বিতীয়তে রাখা উচিত ছিল কিন্তু দেশে IT সেক্টর গুলোতে কর্মসংস্হানের স্কোপ অনেক কম। কত ছেলেমেয়েরা ভালো institute থেকে ইন্জিনিয়ারিং পাশ করে বেকার বসে আছে আর এখন নতুন করে আবার কতগুলো লোক চাকরি হারালো। এদের পরিবারের কথা ভাবলেও খারাপ লাগে। জমানো টাকা থেকে আগামী মাসে সন্তানের স্কুলের বেতন, বাসা ভাড়া দেয়ার সময় শুধুই তাদের চোখ গড়িয়ে অদৃশ্য পানি গড়িয়ে পড়বে। আমাদের দেশে মধ্যবিত্তরা আছে সবচেয়ে কষ্টে। না পারে লজ্জায় কারো কাছে হাত পাততে, না পারে বর্তমান পরিস্তিতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে।
সরকারের সহযোগীতা ছাড়া কোন উপায় নেই কিন্ত এসব মানুষের কথা ভাবার সময় কোথায় তাদের?!!

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

মোরতাজা বলেছেন: ''সরকারের সহযোগীতা ছাড়া কোন উপায় নেই। কিন্ত এসব মানুষের কথা ভাবার সময় কোথায় তাদের?''-সহমত।।

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১২

মুমু পাখি বলেছেন: @খায়রুল ভাই, আশা করি ভালো আছেন। ঠিকই বলেছেন, আমার মন্তব্যটি অসম্পুর্ন, আমি একসেঞ্চার এ না থাকলেও আমার পরিস্থিতি একই। তাই হয়তো আবেগ থেকে মন্তব্যটি করেছি। তথাপি উত্তর দিলে বলতে হয় "শুভ কামনা ও দোয়া", দু:খিত আসলেও মন্তব্যটি যর্থাত হয়নি, আপনার প্রশ্ন আসাটি খুবই স্বাভাবিক।
ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে দেশের জন্য এটি একটি ভয়াবহ সংবাদ। আপনি নিশ্চই জানেন মাত্র মাস খানেক হলো আরো একটি বৈদেশিক সফটওয়্যার কম্পানি VIZRT বন্ধ হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। এত unexpected sudden unemployment সেই সাথে প্রতিবছর CSE থেকে বের হওয়া নুতন চাকুরী প্রার্থী কোথায় যাবে সেটি ভাবার বিষয় অবশ্য আমাদেরই, সরকারের নয় ! আপনি জানেন কিনা জানিনা, upwork একটি outsourcing work platform যেখানে বর্তমানে আর বাংলাদেশ থেকে প্রোফাইল করা যায়না, সেটি কিসের ফলাফল তা এই industry তে যারা আছেন তারা ভালোভাবেই জানেন। আর তার শিকার হলো ভালো কাজ জানা বা যার কাজ করার জন্য দক্ষতা অর্জন করেছে ইতিমধ্যে, কিন্তু তারা আর প্রোফাইলই তৈরী করতে পারছেন না বাংলাদেশ থেকে। ----- ----- ডট ডট নানা উদ্যেগে মাত্র এক সপ্তাহে, বিছানায় ও কমোডে বসে বা শুয়ে, খেতে খেতে ও ঘুরতে ঘুরতে মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে হাজার হাজার ডলার ইনকামের প্রলোভনে যে অদক্ষ শ্রমিক আমরা তৈরী করছি তার ফলাফল এই বর্তমান। মফস্বল শহরের ছেলে ও মেয়েরা হুরমুরি খেয়ে পড়ছে ঢাকায় ডলার ইনকামের নেশায়, যাদের অনেকেই ডলার বানানটিও করতে পারেনা ইংরেজীতে হ্যা তাতে কোন কোন পক্ষের পোয়া বারো হচ্ছে, ট্রেনিং সেন্টার আর হার্ডওয়্যারের ব্যবসাটা ভালোই স্বাস্থ্যবান এখন। তবে সাধু সাবধান তাদের জন্য কিছু message আমার রয়েছে দিতে চাচ্ছি না, কেননা তারা সেই message বিশ্বাসী নয়।

VIZRT বা একসেঞ্চার এ সবাই অত্যন্ত দ্ক্ষ কর্মী সন্দেহ নাই, এখানকার প্রেক্ষাপট নি:সন্দেহে আলাদা। VIZRT শুনেছি across the globe সার্টডাউন হয়েছে, শুধু বাংলদেশ নয়। আমি পেশায় অতি সামান্য ওয়েব ডিজাইনার, অর্থনীতি বা this kind of giant business আমি বুঝিনা যেখানে শত শত কোটি টাকার ইনভেষ্টমেন্ট, তবে স্যার IT industry তে দীর্ঘ একযুগ একটি একটি বৈদেশীক কোম্পানিতে চাকুরী করার পর ক্ষুদ্র জ্ঞানে একটি বিষয় বুঝি, ঘরের আশে পাশে যদি গোখরা সাপ দেখেন তবে তা দুর করাই শ্রেয়, স্যার কিছু মিছু লিখলাম, ভুল ত্রুটি ক্ষমা ও সংশোধন করবেন। আসি, আমার মতো অদ্ক্ষ শ্রমিকের বরং একটু লেখাপড়া করা শ্রেয় সামুতে সময় কাটানের চেয়ে :) দোয়া প্রার্থি।

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩

মোরতাজা বলেছেন: B-)

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২১

রিজভী খান রাজ বলেছেন: এই যদি হয় আমাদের আইটি ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা তাহলে কিভাবে গড়বো আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ?

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪

মোরতাজা বলেছেন: হুমমম।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.