নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাহাড়: ভূমি সমস্যাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাধান জরুরি

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪



ময়াময় পাহাড়ি জনপদের জন্য শুভ কামনা।


পাহাড়িদের সাথে ১৯৯৭ সালের এই দিনে সরকার যে 'চুক্তি' করে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে তার দুই দশকপূর্ণ হলো আজ। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের তিনটি জেলা নিয়ে পার্বত্য অঞ্চল। এটি দেশের মোট ভূখণ্ডের এক দশমাংশ। ভারত ও মায়ানমারের সাথে মূল সীমান্ত সেখানে।

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর রাঙামাটি স্টেডিয়ামে সন্তু লারমা এবং সরকারের পক্ষে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ যে চুক্তি সই করেন, সেটি পার্বত্য চুক্তির বদলে শান্তি চুক্তি নামেই পরিচিত। সম্ভবত এ চুক্তির পর পাহাড়ি ও বাঙালিদৈর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসায় এটাকে সবাই শান্তি চুক্তি হিসাবে বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।

তবে পাহাড়ে কিন্তু সঙ্কট সমাধান এখনো হয়নি। পাহাড়ি গ্রুপগুলো সন্ত্রীস অব্যাহত আছে। বাঙালিদের মধ্যেও সন্ত্রাসী আছে। সে সব খবর আমরা জানি। তবে দুপক্ষকেই যে সহনশীল হতে হবে, সে বার্তা বহুদিন ধরেই রাখা হলেও এর প্রতিষ্ঠা এখনো হয়নি। হয়নি বলে যে হবে না, সেটিও আমার মনে হয় না। আমরা আস্থা রাখতে চাই।

পাহাড়ি-বাঙালির কোন বিভেদ নেই। একই মাটির সন্তান তারা। একই আলো বাতাসে বেড়ে উঠছে, বড় হচ্ছে। তবে তাদের বেড়ে ওঠা, বড় হওয়া বা সম্প্রীতির সাথে সঙ্ঘাত তৈরি হয়েছিল আশির দশকে। সে সময় থেকে জনসংহতি সমিতির সন্ত্রাসবাদে আশ্রিতরা বাঙালিদের উপর নিপীড়ন চালায় বলে অভিযোগ। আবার বাঙালিারও পাহাড়িদের উপর নিপীড়ন চালানোরম অভিযোগ সমতল ও পাহাড় থেকে আছে।

এ অভিযো্গ, পাল্টা অভিযোগের সুরাহা করার জন্য অনেকে বাঙালিদের পাহাড়ে অভিবাসী বা সেটেলার হিসাবে উল্লেখ করে তাদের সরিয়ে নেওয়ার পক্ষে বলে থাকেন। তাদের সরিয়ে নিলে সঙ্কট সমাধান, সাথে সেনা প্রত্যাহারও চাইছেন সুশীল ছদ্ধাবরণের 'কিছু' এনজিও ব্যবসায়ী। সাথে পাহাড়ি কিছু নেতা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের বাইরের অংশ নয়। সেখানকার নিরাপত্তা, পাহাড়ি অঞ্চল হিসাবে ঝুঁকি বিবেচনায় পাহাড়ে সেনা অবস্থানের বিষয়ে যারা দ্বিমত করে থাকেন, তারা যে পাহাড়ে স্থিতি চান না, সেটি এখন পরিষ্কার।

সন্তু লারমা মাঝে মধ্যে হাঁকডাক দেন। তার হাঁকডাক শুনে ধোঁয়া তোলেন। আসলে আশির দশকের সন্তু আর ২০১৭ সালের সন্তুর মধ্যে বিরাট তফাৎ। তারই সশস্ত্র সংগঠন শান্তিবাহিনীর 'মেজর' সুধাসিন্ধু খীসার কথাটা খুবই পরিষ্কার'' সন্তুর টেম্পার শেষ'। এ একটি কথা অনেক বার্তা দেয়।

সন্তু লারমা বা তার দলের নেতারা এখন নিজের পদ পদবী আর সুবিধা আদায়কেই বড় করে দেখছেন।

নইলে দীর্ঘ দিনের ভূমি সঙ্কট ঘিরে তার রা্জনীতি এতদিন চলতো না। ভূমির জন্য সরকারের বিচারপতি খাদেম কমিশন কাজই করতে পারেনি। অথচ তার প্রতি আস্থা রেখে কয়েক হাজার অভিযোগ সে সময় জমা পড়েছিল। সন্তুদের রাজনীতি শূণ্যে নেমে যাবে, সে শঙ্কা থেকে তারা খাদেম কমিশনকে সরাতে বাধ্য করেছিল। সন্তুদের নজর সমস্যা সমাধানে নয়, সমস্যা জিইয়ের রেখে ব্যক্তিগত সুবিধা আদায়ের দিকে।

পাহাড়ে সেনা উপস্থিতিকে অনেকে নেতিবাচক হিসাবে দেখেন। বাস্তবতা ভিন্ন, সেটি সরজমিন অনুসন্ধান ছাড়া বোঝা কঠিন। আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ, সেনা উপস্থিতির কারণে পাহাড়ি বাঙালি সঙ্ঘাত নেই বললেই চলে। সেনারা কেবল নিরাপত্তা নয়, পাহাড়ের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় অংশীজন। দুর্যোগে সেনাদের আত্মত্যাগ, স্মরণীয়।

তাই পাহাড় থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ। এটি কেবল স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা ইসু নয়, দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নেও একটা আপস। সরকার সেটি করননি, সামনেও করবেন না বলেই আমার বিশ্বাস।

শান্তি চুক্তির দুই দশকে শেষে আমার মত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র নাগরিকের চাওয়া হলো, পাহাড়িদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা দিন এবং বেকারত্ব নিরসন করুণ, তাহলে সন্তুদের হাঁকডাক চায়ের কাপেই ঝড় তুলবে, মাঠে আর কোন প্রভাবই পড়বে না। আজকের তরুণ পাহাড়িরা বাংলাদেশেই বিশ্বাস করে। তারা বেড়ে উঠছে স্বভূমির প্রতি ভালোবাস নিয়ে, দেশপ্রেম নিয়ে। তাই তাদের নিয়ে রাজনীতি করা সঠিক হবে না।

ভালো থাকুন পাহাড়ি বন্ধুরা। ভালো থাকুন সবাই।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারের কারনেই আজ পাহাড়িদের এই অবস্থা।
সরকার আরও বেশি মনোযোগ দিবে তাদের উপর এই আশা করি।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মোরতাজা বলেছেন: সরকারের না বলে এখানে ' রাজনীতি' বলাটা সঠিক হবে!!

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো ভালোভাবে মিটাতে পারলে কোনো চুক্তি-ফুক্তির দরকার হয় না। কিন্তু এগুলো সঠিকভাবে হয় না বলেই অসন্তোষ বাড়ে। এখনও পাহাড়ের কিছু দুর্গম এলাকায় মানুষ না খেয়ে থাকে খাদ্যের অভাবে। বিশেষ করে জুম চাষ ব্যাহত হলে বা ইঁদুরের উপদ্রব বেশি হলে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মোরতাজা বলেছেন: দ্বিমত করছি না। ধন্যবাদ।

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৯

ইলিয়াস খান বলেছেন: সঠিক বলেছেন রাজীব নূর সাহেব

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মোরতাজা বলেছেন: :)

৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২১

আবু তালেব শেখ বলেছেন: পাহাড়ি জাতিরা পার্বত্য এলাকা থেকে বাংগালিদের বের জন্য এতো উদগ্রীব কেন? সেই সাথে সেনাদেরও? আসলে তারা কি চাই এটা সবার কাছে পরিস্কার। তাই সরকার কে অনুরোধ করছি আদিবাসি গোষ্টি গুলো কে যেন আস্কারা না দেওয়া হয়।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

মোরতাজা বলেছেন: পাহাড়ি-বাঙালি বিভেদ নয়,ঐক্যটাই জরুরী।

৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: জনাব আখেনাটেন, ,,, পাহাড়ে এখন কেউ না খেয়ে মরে না। তাদের কাছে কাড়ি কাড়ি টাকা জমে গেছে। দেখলে হইতো বোঝা যাবেনা। আসলে ওসব ভান ধরা ওদের স্বভাব।

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: এ নিয়ে গোলাম মোর্তজার লেখাটি পড়ে আরো বিরক্ত হলাম। ওখান থেকে বাংগালীদের কেন সরাতে হবে? কি অদ্ভুত দাবী! দীপুমনিই তো এটা বলেছিলেন পার্বত্য এলাকায় বাংগালীরা আদিবাসী, অন্য কেউ নয়। সেক্ষেত্রে বাংগালীদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার কথা আসে কেন? মোর্তজার কথা - বাংলাদেশ যেভাবে রোহিংগাদের পুনর্বাসন করেছে, সেভাবে বাংগালীদের পাহাড় থেকে সরিয়ে নেওয়া কঠিন নয়। কি হাস্যকর কথা। বাংলাদেশ কোথায় রোহিংগাদের পুনর্বাসন করেছে। বিপদে পড়ে যারা এসেছে তাদের বাধ্য হয়ে সাময়িক আশ্রয় দিয়েছে, সেটা রোহিংগা পুনর্বাসন হতে যাবে কেন?

সেনা ক্যাম্পের বিষয়টিও সেরকম। পাহাড়ী এলাকায় সশস্ত্র গ্রুপ গুলোর তৎপরতা রয়েছে। ইদানিং রোহিংগা সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপগুলোও মনে হচ্ছে সেখানে সক্রিয়। এমন অবস্থায় পাহাড়ী এলাকা থেকে সেনাবাহিনী সরানো মানে সেখানকার অবস্থান রত শান্তিপূর্ন মানুষগুলোকে ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি করা। এছাড়া বার্মার সাথেও সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। পাহাড়ী এলাকা সব সময় সবদেশে বেশ ঝুকিপূর্ন, সশস্ত্র গ্রুপগুলো সেখানে ইচ্ছামত অপারেশন চালিয়ে যায়। সেজন্য পাহাড়ী এলাকায় স্বাভাবিক ভাবে সেনা ক্যাম্প বেশীই থাকতে পারে, সেটা অযৌক্তিক নয়।

সন্তু লারমা তার অবস্থান ধরে রাখতে মাঝে মাঝে হুমকি ধামকি দেবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি আর তিন দশক আগের পরিস্থিতি এক নয়। এখন পাহাড়ীরা যথেষ্ঠ ভাল রয়েছে। তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে অনেক। শিক্ষাদীক্ষায় এগিয়ে গিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। সরকারের নেয়া সমাজকল্যানমূলক পদক্ষেপগুলো তাদের অবস্থানকে পোক্ত করেছে। সুতরাং এরা এখন আর কোনভাবেই অস্ত্র নেবে না। বরং সামনের দিন গুলোতে সেখানকার পাহাড়ীদের অবস্থান বাংলাদেশে আরো মজবুত হবে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

মোরতাজা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দেশ একটা, পাসপোর্ট একটা অথচ ঐ জায়গায় বাংলাদেশীরা থাকতে পারবেনা এটা কেমন আবদার? আসলে জিয়াউর রহমানের মত কোন রাষ্ট্রপ্রধান থাকলে বহু আগেই এগুলোরে সাইজ করা যেত। তখন আব্বা আব্বা বলে লাইনে থাকত। আজকেও দেখি শন্তুর পাশে সব বাংলাদেশী ঝামেলা পাকানো কিছু নেতা...

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

মোরতাজা বলেছেন: পাহাড়ি-বাঙালি বিভেদ নয়,ঐক্যটাই জরুরী।

৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সন্তুর তো পাহাড়ে কোন অবদান নেই।। শুধু উক্তরাধীকার সুত্রে পাওয়া ক্ষমতা!! এতে কি আর জোর তেমন থাকে! না থাকে না।।
আমি বাঙ্গালী বা সেনা, কোনটাই সরানোর পক্ষে নই।। কারন এলাকাটা বাংলাদেশেরই।।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

মোরতাজা বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.