নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"যুদ্ধ ছাড়া কোনো জাতিকে ধ্বংস করে দিতে চাও, তবে ঐ জাতির তরুণদের মাঝে অশ্লীলতা বেহায়াপনা ছড়িয়ে দাও।\" সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী (রহ:)

সামিউল ইসলাম বাবু

যেটুকু পাও ছোট্ট সময়/কাজ করে যাও রবের তরে/ক্ষনিক সময় বিস্রাম নিও/ঘুমিও না তুমি অলসতা ভরে//

সামিউল ইসলাম বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল কোরআন থেকে দুটি কথা

১৪ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫



এলোমেলো অনেক কথায় ব্লগে লেখা ও কপি পেষ্ট করেছি। কিন্তু ধর্মীয় বিষয়ে তেমন একটা লেখা হয়নি। তাই একটু ব্যতিক্রমী পোস্টঃ

সূরা আল-আসর (ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায়)

وَالْعَصْرِ (1) إِنَّ الْإِنْسَانَ لَفِي خُسْرٍ (2) إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ (3)

অর্থঃ

সময়ের কসম। মানুষ আসলে খুবই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করতে থেকেছে এবং পরস্পরকে হক কথার ও সবর করার উপদেশ দিতে থেকেছে।

নামকরণঃ

প্রথম আয়াতের “আল আছর” শব্দটিকে এর নাম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

নাযিল হবার সময়কালঃ
অধিকাংশ তাফসিরকারক একে মাক্কী বলেছেন। এর বিষয়বস্তু থেকে বোঝা যায় মাক্কী যুগের প্রথম অংশে অবতীর্ণ।

বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্যঃ
এর মধ্যে স্পষ্ট ভাষায়, মানুষের সাফল্য ও কল্যাণ এবং ধ্বংসের পথ বর্ণনা করা হয়েছে।

ইমাম শাফেয়ী বলেন- মানুষ যদি এই একটি সুরা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে তাহলে এটিই তাদের হেদায়েতের জন্য যথেষ্ট।
‘রাসূলুল্লাহ (সা) এর সাহাবীদের মধ্য থেকে যখন দুই ব্যক্তি মিলিত হতেন তখন তারা একজন অপরজনকে সুরা আছর না শোনানো পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হতেন না।’ (তাবারানী)

ব্যাখ্যাঃ

মূলবিষয়ঃ এ সুরায় চারটি গুণাবলীর অধিকারী ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে যারা সময়ের ভেতর অবস্থানকালীন ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে-
– ঈমান
– সৎকাজ
– পরস্পরকে ভালোকাজের উপদেশ দেয়া।
– পরস্পরকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দেয়া।
এখানে সময়ের কসম খাওয়ার অর্থ হলো যাদের মধ্যে উল্লিখিত চারটি গুনাবলী রয়েছে তারা ছাড়া বাকী সমস্ত মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে সময় সাক্ষী।
১-৩ আয়াতঃ
সময়ের কসমঃ সময় বলতে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। এটি কোন দীর্ঘ সময় নয়। ভবিষ্যতের গর্ভ থেকে বের হয়ে আসা বর্তমান অতীতে নিপতিত হচ্ছে। অতীতের কসম হলো ইতিহাসের সাক্ষ্য। বর্তমানের কসম হলো বর্তমানের অতিবাহিত সময় মানুষকে কাজের জন্য দেয়া হচ্ছে। দ্রুত অতিবাহিত সময়ই হলো আসল মূলধন।

সময় সম্পর্কে ইমাম রাযীর সুন্দর একটা উদাহরণ -

এক বরফ ওয়ালা বাজারে হেকে চলছিল, দয়া করো এমন এক ব্যক্তির প্রতি যার পুজি গলে যাচ্ছে।

১) “মানুষ” বলতে সমস্ত জাতিকে বোঝানো হয়েছে।

২) “ক্ষতি” বলতে সাধারন অর্থে লাভের বিপরীত হলেও এখানে কল্যাণ ও সফলতা বিপরীত অর্থে।

৩) (সাফল্য ও ক্ষতির ব্যাখ্যা করতে হবে) প্রকৃত অর্থ হলো দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জায়গায় ক্ষতি বিরাজমান। চারটি গুন সম্পন্ন লোক দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জায়গাতেই লাভবান।

চারটি গুনঃ

১) ঈমানঃ ঈমানের সমন্বয় হলো ক) মৌখিক স্বীকৃতি খ) অন্তরে বিশ্বাস গ) কাজে পরিণত করা।

কোরআনে ঈমানের ব্যাখ্যা-

“যারা বলেছে আল্লাহ আমাদের রব তারপর তার উপর অবিচল হয়ে গেছে।”(হা-মীম সিজদা-৩০)

“আসলে তারাই মূমিন আল্লাহর কথা উচ্চারিত হলে যাদের দিল কেপে উঠে।”(আনফাল-২)

“আসলে তারাই প্রকৃত মুমিন যারা আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে এরপর কোনরূপ সন্দেহে পতিত হয়নি।”(হুজুরাত,১৫)

“যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকে সর্বাধিক ও অত্যন্ত মজবুতির সাথে ভালোবাসে।” (বাকারা-১৬৫)

ঈমানের আসল লক্ষ্য হলো প্রকৃত ঈমান, কেবল মৌখিক স্বীকারোক্তি নয়।

হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান আনো।”(নিসা-১৩৬)


২) সৎকাজঃ

দ্বিতীয় গুণটি হলো ভালোকাজ। ঈমান ও ভালোকাজ বীজ আর বৃক্ষের মতো।

পরবর্তী দু’টি গুণ হলো – যারা ঈমান আনে ও ভালো কাজ করে তারা পরস্পরকে হক কথা বলা হক কাজ করা এবং ধৈর্য্য ধারণের উপদেশ দিতে হবে।

চতুর্থ গুনটি হলো ধৈর্যঃ বিপদ মোকাবেলায় তারা পরস্পরকে অবিচল ও দৃঢ় থাকার উপদেশ দিতে থাকবে।

-ঃ শিক্ষাঃ-

(১) দুনিয়া ও আখেরাতের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রকৃত ঈমানদার হতে হবে।

(২) প্রকৃত ঈমানদারকে অবশ্যই সৎকাজ করতে হবে এবং পরস্পরকে হক কথা বলতে হবে।

(৩)বিপদে আপদে অবশ্যই ধৈর্য্য ধরে সামনে অগ্রসর হতে হবে।

সংগৃহীত পোস্ট

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৭

আরোগ্য বলেছেন:

২| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৮

কামাল১৮ বলেছেন: যদি আমরা তকদিরে বিশ্বাস করি তবে তো আমার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যাকিছু করছি সমস্তই লিখা আছে লৌহ মাহফুজে রাখা মহা গ্রন্থে।এক চুল এদিক সেদিক হবার উপায় নাই।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:১৩

চোখেরপর্দা বলেছেন: তকদির বা ভাগ্যে বিশ্বাস করা ঈমানের অংশ।
আল্লাহ এই ভাগ্য পূর্বেই নির্ধারিত করে রেখেছেন।
আধুনিক যুগে অনেকেই ভাগ্য বিশ্বাস করেন না।
তারা মনে করেন চেষ্টা ও অধ্যাবসায় দ্বারা ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়।
আর ইসলাম আমাদেরকে তকদিরের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে বলেছে।
এখন প্রশ্ন থেকে যায়, ভাগ্য যদি পরিবর্তন না করা যায় তাহলে এত খাটাখাটনি করে লাভ কি?
এর চেয়ে চুপ করে বসে থাকলেই তো হয়।
ভাগ্যে যেটা লেখা আছে সেটাই হবে।
এছাড়া আরো জটিল বিষয়ও এখানে এসে যায়।
ভাগ্য কি?
এক কথায় ভাগ্য হল নির্ধারিত ভবিষ্যত।
হ্যা, এটা নির্ধারিত থাকে কিন্তু বিষয়টি আমরা একটু ভুল বুঝি।
ধরুন আপনি সকাল ১০ টার সময় আপনার কম্পিউটারে এই লেখাটি পড়ছেন।
আপনি জানেন না যে দশ মিনিট পরে আপনার ভাগ্যে কি ঘটবে।
এমন হতে পারে যে ১০টা বেজে ১০ মিনিটের ভাগ্য এভাবে লেখা আছেঃ–
১.আপনি যদি রান্না ঘরে যান তবে একটি কাচের বাটি ভেঙ্গে ফেলবেন।
২.আপনি যদি রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে যান তবে অনেক আগে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর সাথে হঠাৎ দেখা হয়ে যাবে।
৩.আপনি একজন বন্ধুকে ফোন দিলে সে টাকা ধার চাইবে।
৪.আপনি যদি জানালা বন্ধ করতে যান তবে হাতে ব্যাথা পাবেন।
৫.আপনি যদি ঘর গোছাতে শুরু করেন তবে হারিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট খুজে পাবেন………ইত্যাদি।
আপনি যেটা করবেন বা বেছে নিবেন, সেটার ফলাফল নির্ধারিত আছে কিন্তু আপনি কোনটা করবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। আপনি যেকোনো একটা বেছে নিতে পারেন।
এটাই হলো মানুষের ইচ্ছার স্বাধীনতা।
আল্লাহ এখানে আপনাকে কোন জোর করেন না।
আপনি কি করলে কি হবে এটা আল্লাহ নির্ধারণ করে রেখেছেন কিন্তু আপনি কি করবেন সেটা আপনার ইচ্ছার উপরে ছেড়ে দিয়েছেন।
.
অতএব ভাগ্য বলতে আমরা যে ভবিষ্যৎ বুঝে থাকি সেটা অবশ্যই পূর্ব নির্ধারিত কিন্তু পূর্ব নির্ধারিত অনেক ভবিষ্যতের মধ্যে একটি আমরা নিজেরাই বেছে নেই।
আমরা নিজেরাই যখন বেছে নিচ্ছি তখন এর দোষ, গুণ, প্রাপ্তি, ক্ষতি সবই আমাদের।
এর দায়বদ্ধতা সম্পূর্ণ আমাদের।
**আপনি কি করবেন সেটা নির্ধারিত নয়।**
**আপনি কি করলে কি হবে সেটা নির্ধারিত।**
ভাগ্য আগে নির্ধারিত থাকলেও আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করে ভাগ্য পরিবর্তন করেন।
আপনি আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাইলেন।
আল্লাহ সর্বশক্তিমান সেটা অবশ্যই দিবেন।
সেটা যদি আল্লাহ আপনাকে না দেন তবে তার দুটি মূল কারণ থাকতে পারে।
প্রথম কারণ হলোঃ- আপনার চাওয়াটা ঠিকমতন হয়নি।চাওয়াটা দায় সারা গোছের হয়েছে।
দ্বিতীয় কারণ হলোঃ-
সেই জিনিসটি আপনার জন্য সুফল নয় বরং দুর্ভোগ বয়ে আনবে।
তা না হলে আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে কোন কিছু চাইলে আল্লাহ সেটা অবশ্যই দিবেন।
হাসরের ময়দানে শেষ বিচারের সময়, দোযখ থেকে বাঁচতে, অনেকেই আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করবে।
কিন্তু এসব মিথ্যা অভিযোগ তো মিথ্যাই।
কিন্তু কেউ যদি অভিযোগ করে “হে আল্লাহ, আমি অমুক দিন তোমার কাছে অমুক জিনিস চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে সেটা দাওনি।”
এটা কিন্তু সত্য অভিযোগ।
সর্ব শক্তিমান আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে এমন সত্য অভিযোগ কেউ করতেই পারবে না।
কারণ কেউ যদি কোন সত্য অভিযোগ করতে পারে তাহলে তো উনার ভুল বা ব্যর্থতা দেখানো হল (নাউজুবিল্লাহ)। তবে তো তিনি (আল্লাহ) কেমন উপাস্য, কেমন রব, কেমন সর্ব শক্তিমান এ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
কাজেই যারা আল্লাহর কাছে কোন কিছু চেয়ে দুনিয়াতে পায়নি, তারা হাসরের ময়দানে ওই দোয়ার জন্য এত বেশী পুরস্কার পাবে যে তখন সে বলবে, “হায়, দুনিয়াতে যদি আমার কোন দোয়াই কবুল না হত তবে আরো কত পুরস্কার পেতাম।”
দোয়াঃ
আল্লাহর কাছে বান্দার একটা চাওয়া। এটা কখনো বিফলে যায় না।
আল্লাহ কিছু এই দুনিয়াতে দেন কিছু পরকালে দেবার জন্য জমিয়ে রাখেন। কিন্তু তিনি দিবেনই।
বান্দা চেয়েছে আর আল্লাহ দেননি বা দিবেননা এমন কখনো হবে না।
বান্দা যত পাপীই হোক না কেন আল্লাহ তার দোয়া (চাওয়া) কবুল করেন।
এই চাওয়াটা অবশ্যই সরাসরি আল্লাহর কাছে চাইতে হবে।
ভাগ্য হল আমাদের ভবিষ্যৎ।
আল্লাহ এটা নির্ধারিত করেছেন।
কিন্তু নির্ধারিত কোন ভবিষ্যৎ আমরা বেছে নেব সেটা আমাদের ইচ্ছার উপরে নির্ভর করে।
আল্লাহ এখানে আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন।
কাজেই এই বেছে নেওয়ার দায়বদ্ধতা (লাভ/ক্ষতি) আমার।
আমাদের দোয়া (চাওয়া) কবুল করে আল্লাহ ভাগ্য পরিবর্তন করেন।
যদি আমাদের চাওয়া দুনিয়াতে পূরণ না হয় তবে সেটা আখিরাতে পুরণ হবে। দোয়া কখনো বিফলে যায় না।
আসুন, আমরা জীবনের ছোট বড় সব চাওয়া বেশী বেশী করে আল্লাহর কাছে চাই।
এতে আমাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ রয়েছে।
©️ সংগ্রহিত।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.