নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুসূর্যকে লেখা রূপকথা

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য

অনুসূর্যকে লেখা রূপকথা

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইয়েস গ্রান্ডমাদার

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০৪

ইরেন্দিরা বলে, আমি কখনো সমুদ্র দেখিনি। প্রত্যুত্তরে ইউলিসিস বললো, সমুদ্র হচ্ছে, মরুভূমির মতোই দেখতে, শুধু বালির বদলে থাকে জল ইত্যাদি।



পাশাপাশি দুইটা কবর এর ক্লোজশট দিয়ে সিনেমা শুরু হয়। পরে বোঝা যায় একই নামের পিতাপুত্রের কবর। ব্যাকগ্রাউন্ডে ঝড়োহাওয়ার শব্দ বাজে। একটি বালিকার কণ্ঠ শোনা যায়, ‘দ্য গ্রান্ডমাদার ওয়জ বাথিং হোয়েন দ্য উইন্ড অব মিসফরচুন রোজ।’ সঙ্গে সঙ্গে আমাদের গল্পটার কথা মনে পড়ে যায়। গল্পটাও এইভাবে শুরু।আমরা সিনেমা পজ রেখে ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখি গল্পটা বইয়ে প্রকাশিত হওয়ার অনেকদিন আগে এর চিত্রনাট্য মার্কেজ নিজেই লিখেছিলেন। এবং হারিয়ে ফেলেন মূল চিত্রনাট্য। আবার স্মৃতি থেকে লিখেন। তারপর সিনেমাটা দেখতে দেখতে আমরা প্রকৃতঅর্থে গল্পটার ভিতরেই পরিভ্রমণ করি। বলতে গেলে গল্পের সংলাপগুলিই সিনেমার সংলাপ। অবশ্য মার্কেজ মনে করতেন, সাহিত্য থেকে ভালো সিনেমা বানানো কঠিন। আর এই সিনেমাটার চিত্রনাট্য যদি তিনি না লিখতেন তাহলে এতো ভালো হতো না এটা। কারণ এটা ছাড়া তার কাহিনি নিয়ে সিনেমা বানানোর অনুমতি তিনি আর কোনো পরিচালককে দিয়েছেন কিনা আমাদের জানা নেই। আমরা তার কাহিনি নিয়ে বানানো বলতে গেলে সব সিনেমাই দেখেছি। কোনোটা নিয়েই লেখার প্রবৃত্তি হয়নি তার মানে তার গল্প কিংবা উপন্যাসকে উৎরে যেতে পারেনি। এটা নিয়ে লেখার কারণ এটা কোনো কোনো জায়গায় গল্পকেও উৎরে গেছে।

১৯৭২ সলে লেখা মার্কেজের ‘দ্য ইনক্রেডিবল অ্যান্ড স্যাড টেল অব ইনোসেন্ট ইরেন্দিরা অ্যান্ড হার হার্টলেস গ্রান্ড মাদার’ গল্প অবলম্বনে বানানো হয় এ সিনেমাটি। এক নিষ্ঠুর পিতামহীর নিপীড়নের শিকার চৌদ্দোবছরের বালিকা ইরেন্দিরাকে অর্থ উপার্জন করতে হয় নিজের শরীর বিকিয়ে। একদিন সে দেখা পায় ইউলিসিস নামে সোনালি চুল এক কিশোরের, যে তার গভীর প্রেমে পড়ে। যাকে সেও হয়তো ভালোবাসে। কিন্তু পিতামহীর হাত থেকে পালানোর কোনো উপায় থাকে না তাদের। ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিটের ব্ল্যাক কমেডিধর্মী এ ছবিটি নির্মাণ করেন ব্রাজিলিয়ান পরিচালক রাই গেরা। এটি মুক্তি পায় ১৯৮৩ সনে। যদিও মার্কেজ চিত্রনাট্যে লোকেশন ঠিক করেছিলেন কলম্বিয়া- কিন্তু রাই গেরা সিনেমাটা মেক্সিকোতে শুট করেন। এই পরিচালক মার্কেজের কাহিনি নিয়ে আরো কয়েকটা সিনেমা বানান। যেমন- দ্য ফেবল অব বিউটিফুল পিজিয়ন ফ্যান্সিয়ার (১৯৮৮), ইন ইভিল আওয়ার (২০০৪) ইত্যাদি।

সিনেমাটির গল্প অতি রূপবতী এক অনাথ বালিকাকে ঘিরে। নিরাসক্ত বর্ণনার মধ্য দিয়ে শুধু হয় সিনেমা। এবং সমস্ত সিনেমায় আমরা দেখি নিরাসক্ত এবং নির্বিকার ইরেন্দিরার মুখ। যেনো যাকিছু ঘটছে তাইই ঘটার ছিলো, যেনো এটাই নিয়তি, যেনো ইয়েস গ্রান্ডমাদার বলে পিতামহীর আদেশ পালন করার জন্যেই তার জন্ম। প্রকৃতঅর্থে এই নিরাসক্তি কিন্তু তার নিরাসক্তি নয়। এই নিরাসক্তি যে প্রক্রিয়াটিকে ধরতে চায় তা হলো মানুষের একা হয়ে যাওয়ার, স্মৃতির ভয়ানক দমবন্ধ চাপে বিস্মৃতির কথা বলে চলা।

ইরেন্দিরা চরিত্রটি বিচিত্র আর বহুমাত্রিক। গল্পটিতে তার সরলতা আর নিয়তির সঙ্গে নির্বাক বোঝাপড়া হয়ে কিছুটা কথা বলাও এর বর্ণনার নিরাসক্তি। মার্কেজের লেখা পড়তে গিয়ে বার বার যেটা চমকে দেয়, নিয়তির ভূমিকা।

ইরেন্দিরার হাতের কাচ কখনও লাল, কখনও নীল, কখনও সবুজ আলোয় ভরে যাচ্ছে। পিতামহী বললো, তুই প্রেমে পড়েছিস। প্রেমে পড়লে এই রকম হয়। মার্কেজ বললো, ওটাই জাদুবাস্তবতা। পৃথিবীতে প্রেমে পড়ার মুহূর্ত এতবার লেখা হয়েছে যে নতুনভাবে কথাটা বলতে হলো।

একদা মার্কেজের এই গল্পটি পড়ে আমরা এতোটাই আলোড়িত হই যে ইরেন্দিরাকে নিজের অস্তিত্বের অংশ মনে হতে থাকে। তাকে রক্তের ভিতর টের পেতে শুরু করি, তাকে অন্যরকম ভালোবাসতে শুরু করি। দীর্ঘদিন মাথার ভিতর ঘুরতে থাকে শুধু একটি বাক্য, ইয়েস গ্রান্ডমাদার। আর সিনেমাটা দেখার পর আমি আঁকলাম সেই ইরেন্দিরা অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে আছে। তার সামনে আলো নেই, তার পেছেনে যে আলো সেটা আসলে আগুন। নিয়তি তার তার ঘর পুড়িয়ে দেয় এবং সেই মাসুল দিতে হয় তাকে।

ইরেন্দিরা চরিত্রে অভিনয় করে ক্লদিয়া ওহনা। সে ব্রাজিলিয়ান। তার অভিনয় দেখে মনে হলো এই চরিত্রে সে ছাড়া অন্য কেউ পারতো না। আর পিতামহী চরিত্রে অভিনয় করেন ইরিন পাপা। ইনি বিখ্যাত গ্রিক অভিনেত্রী। এবং খুবই ভালো অভিনয় জানেন। সিনেমায় দেখা যায়, মধ্য বয়স্ক মহিলা, মনোবিকারগ্রস্থ, কড়া সাজগোজ করতে পছন্দ করে। বোঝা যায় দীর্ঘ নিঃসঙ্গতার কারণে তার এই মনোবিকার। আর সে কুড়ি বছর ধরে ঘুমের মধ্যে কথা বলে, হাঁটাহাঁটি করে। তার ঘুমঘোরে কথা থেকে আমরা জানতে পারি, তার স্বামী ছিলো বিখ্যাত চোরাকারবারি আমাদিস, তার পুত্রের নামও আমাদিস। আরো জানতে পারি কেমন করে তারা নিহত হলো ইত্যাদি।

এক অখ্যাত মরুভূমিতে মোটামুটি প্রাসাদের মতোই এক বাড়িতে থাকতো তারা। স্বামী ও পুত্রের মৃত্যুর পর ইরেন্দিরার পিতামহী কাজের লোকজন ছাটাই করে তাকে দিয়ে সংসারের সকল কাজ করাতে শুরু করে। কাজের দুর্বিষহ কাজের চাপে সে ক্লান্ত-তন্দ্রাতুর হয়ে পড়লেও মার্কেজ বলেন সে ঘুমের ঘোরেও কাজ করে। এই রকম অবস্থায় একদিন ঝড়ের রাতে জানালার পর্দায় মোমের আগুন লেগে সমস্ত ঘর পুড়ে যায়। ভস্ম বাস্তুভিটার উপর পোড়া একটা চেয়ারে বসে নির্দয় পিতামহী ইরেন্দিরাকে বলে, ‘ইউর লাইফ উইল নট বি লং ইনাফ টু রিপে মি।’ তারপর কুমারী ইরেন্দিরাকে গণিকাবৃত্তিতে নামায়। এইভাবে দেহ বিক্রির মধ্য দিয়ে দগ্ধ স¤পত্তির মূল্য পুনরুদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেয় এবং মরুভূমির পথে বেরিয়ে পড়ে। তার প্রথম খদ্দের মরুভূমিরই এক মুদি দোকানদার; দুইশো পেসোর বিনিময়ে তাকে তিনদিনের জন্য ভাড়া করে। অল্পদিনের মধ্যেই ইরেন্দিরা জনপ্রিয় ও পরিচিত হয়ে উঠে।

পিতামহীর প্রথম গন্তব্য সমুদ্রতীর আর তারপর সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে যাওয়া। গুজবও থাকে যে, আমাদিস তাকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপ থেকে অপহরণ করে এনেছিলো। সমুদ্র পেরনোর আগে ঘটে যায় অবিশ্বাস্য অনেক কিছু। খদ্দের যৌনসঙ্গের মূল্য পরিশোধ করে ইরেন্দিরাকে পাল্লায় মেপে। মাঝখানে কিছু সময়ের জন্যে এস্পানিয়ার চার্চের লোকেরা তাকে অপহরণ করে তাদের আশ্রমে নিয়ে যায়, নিদ্রিত অবস্থায় মশারিসুদ্ধ, যেনো জালে ধরা পড়া মাছ। চার্চে অনেক অনাথ মেয়ের বিয়ে দেয়া হয়, এইভাবে তারও বিয়ে হয়। কিন্তু ঘুরে ফিরে নিয়তি যেনো পিতামহীর কাছেই ইরেন্দিরাকে নিয়েআসে। এর মধ্যে পিতামহী তাকে পাঠায় ওই অঞ্চলের সিনেটর ওনেসিমো সানচেস এর কাছে; যে সিনেটর এর মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে। সিনেটর তার সঙ্গে মিলিত হয় বিছানায়, তার শরীরে হাত বুলায়, উরুসন্ধির কাছে হাত গেলে শক্ত কিছু অনুভূত হয়। কী জিজ্ঞেস করে। ইরেন্দিরা জানায়, এইটা একটা প্যাড-লক। চাবি পিতামহীর কাছে। যদি সিনেটর একটা কাগজে সই করে যে এই মরুভূমিতে তাদের ব্যবসায় কেউ বিরক্ত করবে না তাহলে পিতামহী চাবি নিয়ে লোক পাঠাবে ইত্যাদি। আমাদের মনে পড়ে যায় মার্কেজের ‘ডেথ কনস্টান্ট বিয়ন্ড লভ’ গল্পের কথা যেখানে ঘরে ঢুকার মুখে একই প্রজাপতি উড়ে, ঘরে ঢুকে ফ্যানের হাওয়ার টাকা উড়তে দেখা যায়, একই সিনেটর এর হাত লরা ফারিনার উরুসন্ধির একই প্যাড-লকে এসে থেমে যায়। আর সে লকের চাবি থাকে তার বাবার কাছে। একই সঙ্গে মনে পড়ে যায় ‘ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ার্স অব সলিচ্যুড’ এও ইরেন্দিরা ও তার পিতামহীকে আমরা একটুখানি পেয়েছিলাম; ওখানে সে অরেলিয়েনো বুয়েন্দিয়ার সঙ্গে মিলিত হওয়া সবচে’ কম বয়েসি গণিকা ছিলো। ইরেন্দিরাকে পাই ‘মেমরিজ অব মাই মেলানকলি হোরস’ এ। মার্কেজ একই চরিত্র ঘুরিয়ে ফিরে তার বিভিন্ন গল্পে আনেন। তবে এইখানে ওই গল্পের সঙ্গে বিস্তারিত মিলটা চিত্রনাট্যে এনেছেন পরিচালক রাই গেরা।

কিশোর ইউলিসিস পিতামহীর বানানো ভয়ানক গোলকধাঁধা থেকে ইরেন্দিরাকে বের করার জন্য পরপর কয়েকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। একবার পালায়, কিন্তু ধরা পড়ে। ইউলিসিস তাকে বলে, তুমি তাকে মেরে ফেলতে পারো না? প্রত্যুত্তরে ইরেন্দিরা বলে, সে তো আমার পিতামহী, তাকে আমি কেমন করে মারি? তারপর সে ইউলিসিসকে বলে, তুমি পারো না মেরে ফেলতে? ইউলিসিস বলে, অবশ্যই পারি, তোমার জন্য আমি সব করতে পারি। তারপর ইউলিসিস একদিন একটি রূপবতী কেক বানায়, কেকের মধ্যে ইঁদুরের বিষ মেশায়। যে বিষ দিয়ে অন্তত কুড়িটা ইঁদুর মরে যাবে। পিতামহী সেই কেক আয়েশ করে খায় ঘুমের ঘোরে। তারপর বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। তার ঘুম ভাঙার কথা না, কথা মরে যাওয়ার। কিন্তু যথারীতি তার ঘুম ভাঙে, সে মরে না; কেবল তার মাথার চুল সব উঠে যায়।

সবশেষে ছুরিকাঘাত করে ইউলিসিস ইরেন্দিরার পিতামহীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। এবং এক হাওয়ার রাতে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করে। ইরেন্দিরা নিজের হাতের তালুর দিকে তাকায়, হাতের তালুতে কোনো রেখা নেই। কিন্তু যেনো পিতামহীর মৃত্যুতেই তার হাতের রেখা আবার জন্ম নেয়। সব রেখো স্পষ্ট। যেনো নিয়তি তার করতলে ধরা দেয়। তার দেহ বিক্রির টাকাকে পিতামহী স্বর্ণে রূপান্তরিত করে, সেই স্বর্ণ দিয়ে বোনা যে জামাটা সবসময় পিতামহীর পরনে থাকতো সেটা সামনে পেয়ে যায় এবং জামাটা নিয়ে তাবু ছেড়ে ছুটে বের হয়ে যায়। ইউলিসিসের বুকভাঙা চিৎকার তাকে থামাতে পারে না। হরিণের চেয়েও ক্ষিপ্র গতিতে সে পেরিয়ে যায় সবকিছু, মরুভূমি, পেরিয়ে যায় কখনো শেষ না-হওয়া সূর্যাস্তগুলিও। এইসব কথা ইরেন্দিরার জবানিতেই সিনেমার শেষের দিকে আমরা শুনি, ‘…আই র‌্যান অ্যাগেইনস্ট দ্য উইন্ড ফাস্টার দ্যান আ ডিয়ার… এন্ড নো ভয়েস কোড স্টপ মি। নর ওয়জ দ্য স্লাইটেস্ট ট্র্যাস অব মাই মিসফরচুন এভার ফাউন্ড।’ কথা শেষ। মরুভূমির বালিতে তার পদচ্ছদগুলি জবালাল হয়ে উঠে। এইভাবে সিনেমা শেষ।

আমরা জানি, মার্কেজের প্রত্যেকটি গল্প, প্রত্যেকটা চরিত্রের প্রতীকী মূল্য বিদ্যমান। ইরেন্দিরা বারবার ধর্ষিত হচ্ছে এটা যেনো সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসনে নিপীড়িত জন্মভূমিরই ছবি। ইরেন্দিরা যেনো পৃথিবীর সকল শোষিতের প্রতিনিধি। আর পিতৃতন্ত্রের হাজার-হাজার বছরের শিকারের প্রতীক তো বটেই। মুক্তিকামী ইরেন্দিরার পথচলা শেষ হয় না যেনো। এই অনন্তের ব্যঞ্জনাও ফুরোয় না। নিজের অজান্তেই উচ্চারিত পিতামহীর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী তার হাতেও প্রতিষ্ঠিত হবে হয়তো কর্তৃত্ব ও নির্যাতনের আরেক পৃথিবী। হয়তো এ জন্যেই সে পিতামহীর স্বর্ণ দিয়ে বোনা জামা সঙ্গে নেয়। এবং নিষ্ঠুর এবং মরিয়া হয়ে ইউলিসিসকে ছেড়ে ছুটে যায় অজানা গন্তব্যের পথে। তার যেনো নির্দয় না হয়ে উপায় ছিলো না। ইউলিসিস ছিলো ইরেন্দিরা মুক্তির একমাত্র পথ। আর পথকে মানুষ সঙ্গে নেয় না- পেছনে ফেলে রেখে যায়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

রাতু০১ বলেছেন: সুন্দর রিভিউ।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১০

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ ভাল লাগল। শুভেচ্ছা নিন।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১১

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

আলী প্রাণ বলেছেন: +

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১১

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩২

সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো ও ছবিটি দেখার ইচ্ছে বেড়ে গেল....++++++++

৩১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: মাই কাপ অফ টি!

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১৭

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: :)

৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:১১

হাসান রাজু বলেছেন: গতকালই আপনার পোস্ট টা পড়লাম। আগামাথা তেমন কিছুই বুঝিনি।
সিনেমা নেটে খুজে পেতে বেশ কষ্ট হয়েছে।

মাত্রই দেখে উঠলাম। কাব্যিক একটা সিনেমা। সত্যি বলতে আপনার পোস্ট টি না পড়লে সিনেমাটি এতো ভালো লাগতো না। অসম্ভব ভালো লিখেছেন। সিনেমাটিতে আলো আধারের খেলা প্রথমে বিরক্ত করলেও এক সময় সয়ে এসেছে।
শেষ দৃশ্যটির যে বর্ণনা দিয়েছেন অসাধারন ছিলো।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.