নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুরো নাম মুহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম রনি, জন্ম- যশোর, পৈত্রিক নিবাস- ঝিনাইদহ। পড়ালেখা করছি বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ। ঠিকানা- https://www.facebook.com/nasirul.rony

এন ইসলাম রনি

এন ইসলাম রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাবিজাবি

০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ২:২০

১।
কবিতাকে আমি দু দিক থেকে পড়ে
মেলাতে পারিনি কোনখানে
কোথাও মাঝে দুপুর থমকে দাঁড়িয়ে
কোথাও শুধুই সকাল, সকালের পরে রাত!
কোথাও শুধুই অখন্ড বিকেল, দুপুর নেই একটাও!
কোথাও দেখি চক্রাকার নদী
ডুব দিলেই এফোঁড় ওফোঁড়
জেগে ওঠে পানা পড়া দিঘি
কিংবা বিশাল ইদারা -কলকল করছে জল
তুলতে গেলেই শুন্য করতল!


২।
সবাই আমাকে ডিপ্রেসড দেখতে চাইছে
উল্টিয়ে দেখতে চাইছে হাত,
অথচ দেখানোর মতো কিছু নেই (যা তাদের সন্তুষ্ট করে)
যদিও হঠাৎ ই আমার প্রিয় ঋতু বর্ষা, প্রিয় সময় কুয়াশা সকাল,
দরজা বন্ধ অন্ধকার রাত....!
মানুষের সঙ্গ অসহ্য আর আমার তোলা সব ছবি ই সাদা কালো...
কবিতা নেই, প্রেম নেই, কোন উপন্যাস নেই হাতের নাগালে,
কিন্তু কেউ কি জানে কি গভীর চুম্বন আমি এঁকে দিচ্ছি রোজকার রাতের বালিশে?


৩।
শূন্যতা দিয়ে পূর্ণ ছিলো শুন্য বুক,
হঠাৎ কেন এলে,
অবেলার অবহেলায় নির্লিপ্ত আয়নায় নিজকে নিয়ে
মিলিয়েছি যখন যোগ বিয়োগ ভাগ-গুণ?
হঠাৎ কেন এলে, বোধের মধ্যে বাঁধার শিকল ভেঙে?
বহুতে যে বন্দি হবে না জানি
ঝড়ের অংক চিরদিনই লোকশানী।
ঘর ও নেই খাঁচাও নেই দেউরিতে,
এই ভালো, কতটুকুই বা জোর চলে,
কতটুকুই বা আটকাতে পারে দরজার চৌকাঠে?
ছুটতে থাকা বৃত্তটাকে আঁকড়ে চেপে চলছিলো দিন
হঠাৎ চারদিকে শোরগোল- ভীষণ কানাকানি,
ঘোলাটে মেঘের দশক পেরিয়ে
রৌদ্রু কুসুম দিন বুকের বারান্দায়!
অনেক পালক ছড়িয়ে এসে এ কেমন
খুঁজতে থাকা পালকের আশ্রয়,
হাতছানি দেয় গুঁজে রাখা ওম আদরের চঞ্চুতে হারানো ডানায়!

শুন্য বুকে উতাল নদীর মাতাল পিছুটান
অথচ ভালোই ছিলো দেরাজ মাঝে আঠারো বছর বয়স, গোলাপ ফুলের ফসিল
রাতের কোলে স্মৃতির এ্যালবাম। হঠাৎ কেন এলে?
হঠাৎ কেন এলে শুন্য মুঠোয় হারানো বৈভব?


৪।
প্রেম তারে ডেকে ছিলো
দীঘির মতো কালো দুটি চোখ মেলে,
অতলে ঘূর্ণির ক্ষয়ে ভেঙে ছিলো তীরের বাঁধ,
জলোচ্ছ্বাসে ভেসে ছিলো সব প্রতিরোধ সংস্কার,
শিওরে মৃত্যু রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলো সে -অতল অন্ধকারে,
প্রেমের হাত দুটো তারে নিয়ে ছিলো টেনে -চোরাবালি দ্বীপে,
শেষ বার চোখ দুটো বুজে ছিলো সে প্রেমের আশ্রয়ে
খাদের তীব্র কিনারে,
প্রেম তারে ডেকে ছিলো মরণের ডাক।


৫।
নিজেকে আমি শেষ করে ফেলতে পারি যেকোন সময়
অথচ প্রত্নতাত্মিক খনন এখনো অনেক বাকি,
সংগ্রহ কি? শুন্য থলে,
অতল তলে দু চার কড়ি শব্দ তোলে!
পুতির মালা কাঁচের চুড়ি
হাতল বিহীন সুরার পাত্র হেসেল ঘরের ছাইদানি টা
গৃহস্থলি বাসনকোশন এসব মেলে হরহামেশা,
হীরের আংটি রক্ত রুবি নীল মনি ঐ মুকুট খানা পাইনি কোথাও
খুঁজছি ওসব তাও হবে না,
তোমার বুকের ডান পাশেতে ছোট্ট এক তিলের কাছে
অব্যবহৃত এক চুমুর চিহ্ন নিশ্চয় কোথাও লুকিয়ে আছে।


৬।
জানতাম একদিন কবিতারা ফিরে এলে বড় গন্ডগোল হয়ে যাবে,
একটানা ডানার শব্দে চাপা পড়ে যাবে এ শহরের সব রোগ শোক
মহামারী ক্রোন্দন আর কোলাহলের খবর।
খবরের কাগজের অবিন্যস্ত শব্দরা দেখাবে আবাদযোগ্য জমির মানচিত্র
বড় গন্ডগোল হয়ে যাবে সকাল দুপুর রাতের ঘড়িতে,
সে উত্তাল অনতিক্রম ঝড়ের শাসনে ভেঙে যাবে অবাধ্য নদী বাঁধ
অনিবার্য আত্মবিস্মৃতির কিনার থেকে আমি উঠে আসবো এক অন্য মানুষ।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.