নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে এখনো চিনতে পারিনি। চেনার চেষ্টায় আছি।

দুখু বাঙাল

মোর এক হাতে রবে সবুজ পতাকা এক হাতে কোরআন। বাংলাদেশি মুসলিম আমি বাঙালী মুসলমান।

দুখু বাঙাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আধুনিকতা ও একটি বাস জার্নি...

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

আসছিলাম পল্টনথেকে মিরপুর!

শাহবাগ পার হওয়ার পর একটু সামনে আগাতেই হঠাত্ গাড়ির মধ্যে সামনে থেকে থাপ্পড়ের আওয়াজ শুনে তাঁকালাম..
তাঁকিয়ে যা দেখলাম তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না! ত্রিশ-পয়ত্রিশোর্ধ মেকাপ করা আর ভ্রু- প্লাগ করা একটা দাইয়ুস আর নির্লজ্জ টাইপের মহিলা সামনের সিট থেকে পেছনের ছিটে একজন বয়স্ক লোককে থাপ্পড়ের উপর থাপ্পড় দিয়ে যাচ্ছে!
বয়স্ক লোকটা কোন প্রতিবাদ না করে কেবল বলছে, প্লিজ! আমি স্যরি!
আমি একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!!
এটলিষ্ট মহিলাটার দাবি হচ্ছে লোকটা পেছনের সিট থেকে সামনের ছিটে বসে থাকা মহিলাটার গায়ে
হাত দিয়েছে! যেটা আর একটু স্পষ্ট করে বললে বলতে হয়, মেয়েটার বগলের নিচ থেকে তার বুকে তথা দু* হাত দিয়েছে লোকটা! এজন্য লোকটাকে থাপ্পড় দিচ্ছে
মহিলাটা!

কি করবো, কার পক্ষে যাবো এসব ভাবতে ভাবতেই ৭/৮ টা থাপ্পড় দেয়া হয়ে গেছে মহিলাটার! আর বার বার বলছে 'তোর হাত কেন এখানে এসেছে'! মহিলাটার দাবি অনুযায়ী লোকটার
থাপ্পড় খাওয়া ঠিক আছে! কারন এমন নির্লজ্জ টাইপের পুরুষদেরকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা করার স্পষ্ট পক্ষপাতি আমি! তাই ততক্ষনও কিছু বলিনি! এমনকি গাড়ির কেউই ততক্ষন পর্যন্ত কিছু বলেনি! সবাই কেবল উপভোগ করে যাচ্ছে!

হঠাত ভালো করে লোকটার দিকে তাঁকানোর পর কেন যেন মনে হলো,
লোকটা লজ্জায় প্রতিবাদ করতে পারছে না!আসলে ওনার সাথে যা হচ্ছে তা অন্যায়!

তাই আর চুপ থাকলাম না! আওয়াজটা আমিই
তুললাম!!

আমার সিট ছেড়ে বেড়িয়ে মহিলাটার সিটের কাছে গিয়ে বললাম, আন্টি! থামুন!! আপনি ওনার গায়ে আর একটা হাতও দিবেন না!

কেন ? তাতে আপনার কি ?? জানেন? ও কি করছে ??

আপনার দাবি অনুযায়ী উনি যাই করুক, উনি বারবার স্যরি বলছেন তারপরও আপনি ওনাকে থাপ্পড়ের পর থাপ্পড় দিয়ে যাচ্ছেন! এটা মোটেও ভদ্রতার কাঁতারে পড়ে না! উনি বলছেন যে ওনার ঘুম
এসে যাওয়াতে ওনার হাতটা আপনার গায়ে লেগেছে! কিন্তু তারপরও আপনি চরম অসহিঞ্চুতার প্রমান দিয়ে যাচ্ছেন! এবার
পাল্টা উনি আপনাকে থাব্রাইলে কি করবেন আপনি ??

মহিলা বললো, এসব লোককে আসলে জুতাপেটা করা উচিত সাথে যারা ওদের ওকালতি করে তাদেরকেও!!

খুব মন চাইসিলো মহিলাটাকে তখন একটা থাপ্পড় লাগায়া দেই!
কিন্তু এদিক সেদিক চিন্তা করে সেটা না করে ওকে স্পর্শকাঁতর একটা মাইর দেয়ার পরিকল্পনায় বললাম, হ্যালো আন্টি!
আপনি যেই উদ্ভট ছিপছিপে পোষাক আর ভ্রু-প্লাগ সাথে চুল স্পাইক করে চেহারায় মেকাপ মাখিয়ে রাস্তায় বের হইছেন তাতে ওই মুরুব্বী যদি আপনার দাবি অনুযায়ী সেটা করেও থাকে তবে ভুল করেনি!! কেবল উনি কেন! সবারই মন চাইবে ওনার মত আপনাকে একটু ছুঁয়ে দেখতে! রাস্তায় বের হইবেন এমনভাবে যেন সবাই দেখে আপনাকে আর দেখলেই তখন ক্ষেপে যাবেন!! এটাতো হতে পারে না!

মহিলাটা এবার চোখ রাঙ্গিয়ে আমাকে বললো, এই বেয়াদপ ছেলে! চুপ করো!!

স্বাভাবিক ভাবেই বললাম, আপনি আমার বড় তাই আপনার সাথে এমন ব্যাবহারে আমি যদি বেয়াদপ হই তবে আপনার চেয়ে বিশ বছরের বড় এই
লোকটার সাথে আপনার করা ব্যাবহারের কারনে আপনি তো ডাবল বেয়াদপ!!

মহিলাটা এরপর আমার প্রতি আরো ক্ষেপে যাচ্ছিলো, আলহামদুলিল্লাহ! বাসের সবাই এমনকি বাসের ড্রাইভার হেলপার সহ অন্য দুটো মেয়েও আমার পক্ষে কথা বলা শুরু করলো! এক পর্যায়ে মহিলাকে সবাই মিলে শাসিয়ে শেষ পর্যন্ত
'ফার্মগেট' নামিয়েই দিলো! (অবশ্য আমি নামিয়ে দেয়ার বিপক্ষে ছিলাম)
কারন দাজ্জাল মহিলাটা সবার সাথেই দুর্ব্যাবহার করছিলো!

জানি, অনেক আপুই হয়ত এই লেখাটা পড়ার পর আমার প্রতি একটু ক্ষ্যাপবেন!
কিন্তু! ভালোভাবে খেয়াল
করলে দেখবেন, প্রথমে যখন মহিলাটা লোকটাকে থাপ্পড় দিচ্ছিলো তখন কেউ প্রতিবাদ করেনি
কারন যথার্থ বিচার হচ্ছে! কিন্তু লাইন ক্রস
করার পর অবশ্যই মহিলাটা জনরোষের শিকার হইছে!!
তবে আমার একটা মতামত আছে, যেই মেয়েরা নিজেদেরকে পসরার মত সাঁজিয়ে বের হয় আর যাদের আবেদন থাকে 'আমাকে ছুঁয়ে দাও' টাইপের এরপর তাদের সাথে কিছু করলে আবার ক্ষেপে যায় ঐ সব মেয়েদেরকে সেই ভাবে ঘাড়ানো দরকার!

এক্সাম্পলী, আজকে মহিলাটা যদি বোরকা পড়ে বের হতো এবং তারপরও এমন একটা ঘটনা ঘটতো
তবে আমি সুজোগ পেলেও লোকটাকে থাব্রাইতাম! কারন মহিলাটা নিজেকে ফুল প্রোটেক্ট করেই বের
হইছে তারপরও পুরুষ তার 'নুনুভূতি' ঠিক রাখতে পারেনি!! তাই থাপ্পড় তার অবশ্যই প্রাপ্য! কিন্তু, মহিলাটা তো বেরই হইসে পুরুষের 'নুনুভূতিতে' শিহরন জাগিয়ে! তাহলে সেই শিহরণের ছোঁয়া একটু নিবানা তুমি তোমার চাহিদার সেই 'ছোঁয়া' দিতে গেলে আবার ক্ষেপে যাবা
কেন ?
হোয়াই ????
-
স্পষ্ট কথা,
তুমি তোমার পোষাক
আর চলাফেরা ঠিক
করো! হাজারো লাখো
ছেলেকে তোমার
ইজ্জত রক্ষার্থে
দেয়াল হয়ে দাড়ানো
পাবে!
আর যদি এসব ঠিক না
করে চলো!
তবেও হাজারো লাখো
ছেলেকে আশে পাশে
পাবে!
তবে ইজ্জত রক্ষার্থে
নয়! বরং ইজ্জত খুবলে
খেতে !!
-
দ্যাটস ইট!!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

মুক্তির সংগ্রাম বলেছেন: ভালো লেখছেন ।

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৬

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: কথা সত্য। দৃশ্যমান দোষ নিয়ে সবাই হইচই করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.