নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠক ছিলাম, লেখক হলাম। পড়ব বেশী, লিখব কম। পছন্দের বিষয় প্রকৃতি, জীবন ও দর্শন। ভালোলাগে প্রবন্ধ ও সম্পাদকীয়। প্রতীক্ষায় আছি একদল বিচক্ষণ লেখকের। যারা সমাজের সমস্যাগুলো বুঝবে, তা নিয়ে ভাববে ও লিখবে। যে লেখায় মানুষ হবে সচেতন, দেশের হবে উন্নয়ন।।জয় বাংলা।।

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল

এই নিকে আর লিখি না

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল › বিস্তারিত পোস্টঃ

"মীরজাফরদের সেকাল-একাল।" (ড্রাফট পোস্ট)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৫



১৭৫৭ সালের মীরজাফরঃ
"মীরজাফর" শব্দটা এখন শুধু একটা নাম নয়, গালিও বটে। আচ্ছা? আপনাদের কখনো মনে হয় না? পলাশীর যুদ্ধে অনেকেই তো খলনায়কের ভূমিকায় ছিল/ইংরেজদের সাথে হাত মিলিয়ে ছিল। তাহলে সবাইকে ছাড়িয়ে "মীরজাফর" নামটাই কেন সবচেয়ে বেশী ঘৃণার পাত্র হয়ে ওঠে? ভেবেছেন কখনো?

আমার মতটা সংক্ষেপে বলিঃ সেদিন অনেকে শত্রুতা করলেও ২৩শে জুনে মীরজাফর বসে না থেকে যদি নবাবের পক্ষে লড়তো, ইংরেজরা বাংলা দখল করতে পারতো না। ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে (বাংলা ১১৭৬/ইং 1770 সাল) এক তৃতীয়াংশ মানুষ মরতো না।

মিরজাফরের মীরজাফর হবার কারণঃ
১. যুদ্ধ না করে হাজার হাজার সৈন্য নিয়ে বসে ছিলেন। মানে দায়িত্বে অবহেলা।
সেনাপতির দায়িত্বটা কেন পালন করলেন না?
- নবাবের উপর ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও নিজেই নবাব হবার লোভ। (মানে তিনি দেশের স্বাধীনতার চেয়ে নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখছিলেন।)


১৯৭১ সালের মীরজাফরঃ
৫৭'র মীরজাফর ইরেজদের হয়ে যুদ্ধ করে নি, কিন্তু ৭১ এর মীরজাফররা সরাসরি পাকিদের হয়ে যুদ্ধ করেছে। ৩০লক্ষ মানুষকে হত্যার কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। এরা আজ "রাজাকার" নামে পরিচিত। এই শব্দটাও একটা গালি।
অপরাধঃ
১. পাকিদের অন্যায় কাজকে(হত্যা, ধর্ষন....) সমর্থন। শুধু সমর্থনই নয়, তাদের কাজে সরাসরি সহায়তা করা।
কেন সহায়তা করেছিল?
- ক্ষমতাস্বীনদের চোখে প্রিয় হয়ে, সুবিধা লাভের জন্য। (কানকাটা রমজানরা যেটা করে থাকে।)


এ যুগের মীরজাফরঃ
সরাসরিভাবে এটা নিয়ে কথা বলা রিক্স। কারণ, অ্যান্টিভেনম ছাড়া সাপ নিয়ে খেলা করাটা বেঠিক। তবে আমার কাছে যেহেতু কার্বলিক এসিড আছে, সেহেতু নিরাপদ দূরত্বে থেকে সাপ খেলা দেখা যাক.....;)

উপরের দুটি ঘটনা থেকে মীরজাফরের বৈশিষ্ঠ্য:
১. দেশের স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিগত/দলীয় স্বার্থকে বড় করে দেখা। (দেশের ক্ষতি হবে জেনেও এটা করলে)
২. দায়িত্বে অবহেলা। যার কারণে দেশের বা দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর ক্ষতি হয়।
৩. দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করে, অন্যায়ভাবে নিজে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা। (ন্যায়ভাবে হলে আলাদা কথা)
৪. সুবিধা লাভের জন্য ক্ষমতাস্বীনদের অন্যায় কাজকে সমর্থন করা/নিজেও সেই অন্যায়ে জড়িয়ে পড়া।



পুরান মীরজাফরদের গালি দেয়া/তাদের নিয়ে কাঁসুন্দি ঘাঁটা সহজ, নতুনদের নিয়ে বলাটা কঠিন। আবার, আবেগে পড়ে যাকে তাকে মীর যুক্ত জাফর বানানোটাও অন্যায়। তার চেয়ে বরং আমরা নিজেরাই নিজেকে বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় করাই। আমি কী....

আজ অনেক দিন পর স্কুলের শপথের কথা মনে পড়ল। "আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব।... ...
অন্যায় কোন কাজ করিব না এবং অন্যায়কে প্রশ্রয় দিব না।..... "

শেষ বাক্যটা মনে হয়ে ভাবছি; আমি নিজেই তো একটা ভন্ড। অন্যের দিকে আঙুল তুলি কোন মুখে???:(

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.