নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

খ্যাতিমান ইংরেজ ঔপন্যাসিক, গল্পকার ও সমালোচক গ্রাহাম গ্রিন এর ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৪


প্রখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক গ্রাহাম গ্রিন। ব্যাপক জনপ্রিয়তার সঙ্গে সাহিত্যিকের স্বীকৃতি তাকে ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে দেয়। আধুনিক বিশ্বের নৈতিক এবং রাজনৈতিক বিষয়গুলোর সাদৃশ্য ও বৈপরীত্বের প্রতিচ্ছবি তার রচনায় ফুটে ওঠে। রোমান ক্যাথলিক ঔপন্যাসিক পরিচয়টি পছন্দ না হলেও তার অসংখ্য লেখার বিষয়বস্তুই ছিল ক্যাথলিক ধর্মীয় বিষয়বস্তু। এগুলোর মধ্যে ব্রাইটন রক, দ্য পাওয়ার অ্যান্ড দ্য গ্লোরি, দ্য হার্ট অব দ্য ম্যাটার এবং দি এন্ড অব দি অ্যাফেয়ার উল্লেখযোগ্য। ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর গ্রিন সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। দি টাইমস পত্রিকায় তিনি সহ-সম্পাদক ছিলেন। একটি অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির কারণে গ্রিন ১৯৬৬ সালে দেশ ত্যাগ করেন। ১৯৮১ সালে তিনি জেরুজালেম পুরস্কারে ভূষিত হন গ্রাহাম গ্রিন। ১৯৯১ সালের আজকের দিনে সুইজারল্যান্ডের ভেভেতে পরলোকগমন করেন গ্রাহাম গ্রিন। আজ এই লেখকের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ঔপন্যাসিক গ্রাহাম গ্রিন এর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

গ্রাহাম গ্রিন ১৯০৪ সালের ২ অক্টোবর ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশায়ারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা চার্লস হেনরি গ্রিন এবং মাতা মেরিওন রেমন গ্রিন। ছোট বেলায় মানসিক ব্যাধি বাইপোলার ডিজঅর্ডারেও ভুগেছেন তিনি যার প্রভাব তার লেখায় বেশ স্পষ্ট। স্কুলে থাকতেই বেশ কবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি। ১৯২২ সালে গ্রিন ব্রিটেনের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হিসেবে সাময়িকভাবে সম্পৃক্ত হন। ১৯২৭ সালে তিনি ভিভিয়েন নাম্নী এক রমণীকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই সন্তান ছিলো। কিন্তু এক সময় তিনি ভিভিয়েনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করতেন। তবে ক্যাথলিক ধর্মানুসারী হওয়ায় তিনি বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটাননি বা আবার বিয়ে করেননি।

(ভারতীয় ঔপন্যাসিক রসিপুরম কৃষ্ণসোয়ামি আয়ার নারায়ণস্বামীর সাথে ১৯৫৭ সালে বিবিসি স্টুডিওতে গ্রাহাম গ্রিন)
বিশ্বখ্যাত কবি-সাহিত্যিক কিংবা বড়লেখক হয়েও গুপ্তচরের ভুবনে বিচরণ করেছেন অনেকেই। গ্রাহাম গ্রিনও গুপ্তরচরবৃত্তির সাথে যুক্ত ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে গ্রিন লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এমআই-৬ তাকে রিক্রুট করে। অতঃপর গ্রিনকে সিয়েরালিওনে পাঠানো হয়। সেখানে গুপ্তরচরবৃত্তির ফাঁকে তিনি মিনিস্ট্রি আর কিয়ার এবং দ্যা হার্ট অব দ্যা ম্যাস্টার নামে দু’টি গ্রন্থ লেখেন। দ্য কনফিডেনশিয়াল এজেন্ট, দ্য থার্ড ম্যান, দ্য হিউম্যান ফ্যাক্টর, আওয়ার ম্যান ইন হাভানা, দ্য কোয়াইট আমেরিকান প্রভৃতি রচনায় তিনি আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং গুপ্তচরবৃত্তির বিষয়গুলো ফুটিয়ে তুলেছেন।

গ্রাহাম গ্রিন তার বন্ধু কিম ফিলবির আত্মজীবনী মাই সাইলেন্ট ওয়ার-এর মুখবন্ধে লিখেছিলেন, আমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে দেশের চেয়ে বড় কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। পরে এমআই-৫ এর পক্ষ থেকে এমআই-৬ কে বলা হয়, আওয়ার ম্যান ইন হ্যাভানা বাইটির মধ্যে কিছু গোপন তথ্য ফাঁস করার দায়ে গ্রাহাম গ্রিনের বিচার হওয়া উচিত।

সুখ্যাতিমান লেখক হিসেবে যশ কুড়ানে গ্রাহাম গ্রিন ১৯৯১ সালের ৩ এপ্রিল সুইজারল্যান্ডের ভেভেতে পরলোকগমন করেন। মৃত্যুৃকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৬ বছর। আজ এই লেখকের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ঔপন্যাসিক গ্রাহাম গ্রিন এর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: বিখ্যাতদের জন্ম মৃত্যু আর তাদের কৃতী নিয়ে ব্লগারদের মনে হয় আগ্রহ কম।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার আগ্রহের কমতি নাই জনাব খান।
কে পড়লো, কে মনে রাখলো, কে শ্রদ্ধা
জানালো তাতে এইসকল কৃর্তিমানদের
কিছু যায় আসেনা। তবে আমাদের দ্বায়বদ্ধতা
থেকে তাদেরকে সম্মান জানানো উচিৎ ।
তা না আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবেই
রয়ে যাবো। মরে রাখবেরন কৃর্তিমানদের মৃত্যু নেই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.