নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাপান অর্থনীতিতে নারী ।

২৪ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫


জাপান অর্থনীতিতে নারী হল অর্থনীতির সূর্য ।প্রধান মন্ত্রী শিনজে আবে তাঁর Womenomics Theory দিয়ে প্রমান করেছেন একটা দেশের আধুনিক অর্থনীতি গতিশীল রাখতে নারীর অংশ গ্রহন কতোটা অত্যাবশ্যক । ঘুমহীন অর্থনীতির এই দেশে চব্বিশ ঘণ্টা মানুষ মেশিনের মতো কাজ করে । মানুষের প্রতি মানুষের সম্মানবোধ ,কর্ম পরিবেশ ,দেশের আইন এবং কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই সব দিক থেকে জাপান হল শান্তির জনপদ।পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মী থেকে মন্ত্রিসভা সব জায়গায় নারীর স্বতঃস্ফূর্ত নিরাপদ অংশগ্রহন যেকোন মানুষের চোখ কে মুগ্ধ করবে ।অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহনে গড়ে উঠেছে এক অভিন্ন ইতিহাস বিশ্ব অর্থনীতির
মানচিত্রে ।নারীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে এই দেশের সার্বিক আর্থ সামাজিক অবকাঠামোতে নারী এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় । জাপান এর প্রতিটি জায়গায় নারীকে রাখা হয়েছে অর্থনীতির প্রান হিসাবে । জাপান এর অর্থনীতির দিকে তাকালে যেকোন মানুষের চিন্তা একটু হলেও থামবে । আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামুলক বাজারে জাপান কতোখানি সচেতন অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহন নিয়ে । জাপানিজ চিন্তা ভাবনা ,নীতি নির্ধারণ এবং ব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করলেই তার স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায় । শুরুর দিকে আমি একটু কৌতূহল এবং অভিভূত হয়েছিলাম জাপান এর আর্থ সামাজিক অবস্থা দেখে । একটি দেশ তার আইন শৃঙ্খলা কতোটা নিরাপদ যে একজন নারী ইচ্ছে করলে যেকোন সময়ে যে কোন বয়সে নিজেকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রাখতে পারে । শিক্ষা ,চিকিৎসা ,ব্যবসা,চাকুরি ,গবেষণা আর সৃষ্টিশীল জগত কোথায় জাপানিজ নারী নেই । অর্থনীতির প্রতিটি জায়গা নারীর পদচারনায় মুখর । চোদ্দ বছরের কিশোর কিশোরী আর আশি বছরের দাদা- দাদি এক সাথে কাজ করে।এখানে লসন,ডিনার বেল ,সুপার আরক্স, সেভেন এলিভেন , সেকোমারট নামের অনেক অনেক চব্বিশ ঘণ্টা খোলা দোকান আছে যেখানে যেকোন বয়সের যে কোন সময়ে নারীরা তাদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করতে পারে । শুধু তা নয় একজন মানুষ যদি তার স্থায়ী চাকুরী থেকে অবসর নেয় সে ইচ্ছে করলে খণ্ডকালীন চাকুরী করতে পারবে । এখানে খণ্ডকালীন চাকুরী গুলো ব্যাপক জনপ্রিয় । কারণ বিশেষ করে ছাত্র ছাত্রী ,নারী ,অবসর প্রাপ্তরা তাদের শারীরিক পরিশ্রম দিয়ে ঘণ্টা হিসেবে কাজ করতে পারে । সবার জন্য সমান সুযোগ সুবিধা রয়েছে । প্রাকৃতিক নিয়মে একজন নারীকে মা হতে হয় ।আর সে কারণে অনেক দেশের নারীকে কখনও কখনও প্রথম বাচ্চা হওয়ার পর চাকুরী ছাড়তে হয় । অনেক সময় সন্তান এবং সংসার এর জন্য নারী কে তার অর্থনৈতিক উৎস হারাতে হয় ।এমন হাজারো কারণ আছে। কিন্তু জাপান এ একজন নারী তার সংসারের কাজ সেরে অবসরে যেকোন প্রতিষ্ঠানে নিজেকে নিজের ইচ্ছেমত সময় বেঁছে নিয়ে অর্থনীতিতে এবং উন্নয়নে সম্পৃক্ত রাখতে পারে । আধুনিক অর্থনীতির লক্ষ্য অর্জনে যেন সমগ্র জনগোষ্ঠী সম্পৃক্ত । আর এটা কেবল জাপান এ সম্ভব । কারন জাপানিজ আইন শৃঙ্খলা এবং কাজের প্রতি সম্মান । কে কি কাজ করে সেটা কোন ব্যপারনা । বরং কে কতোটুকু কাজ করে বা করতে পারে সেটা ব্যপার ।এই দৃশ্য একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া কোণ উপায় নেই ।কারন এই আধুনিক সময়ে ও নারীর প্রতি বাংলাদেশের সামাজিক ধারনা খুব নিম্ন মানের এবং বৈষম্যমুলক । শিক্ষার বাণিজ্য সম্পসারনের ফলে এখন জিপিএ ৫ ,গ্র্যাজুয়েট এর সংখ্যা কম নয় ।কখনও কখনও অনুন্নত দেশের মেধার সার্টিফিকেট থাকায় নেহায়েত ভাগ্য গুনে কেউ কেউ উন্নত দেশের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়ে যায় ।কিন্তু এই শিক্ষার সহজকরনে অনেক নামে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ও কম নয়। যখন আমরা বাস্তব প্রেক্ষাপট পর্যালোচনা করি তখন দেখি প্রকৃতই মেধায় মননে ,চিন্তায় ,মানবিক জীবন চর্চা এবং জীবনবোধ সম্পন্ন মানুষের অভাব।তাই যোগ্য নেতৃত্ব দেওয়ার মতো মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন মানুষের ও অভাব ।যে কারনে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় নারীর প্রতি সঠিক ধারণা তৈরি হতে আরও অনেক বেশি সময়ের ব্যাপার ।আমাদের দেশে অধিকাংশ জনগণ মধ্যবিত্ত । এই শ্রেণি কে প্রতিনিয়ত পেটে ক্ষুধা রেখে সময়ের আধুনিকতার কাছে মিথ্যে হাঁসি দিতে হয় ।এখানে পড়াশুনার একমাত্র উদ্দেশ্য হল একটি চাকুরি ।আর বাংলাদেশে একটি ছেলে কিংবা মেয়ে সাতাশ থেকে ত্রিশ বছর বয়সটা পার করে দেয় মাত্র আঠারো থেকে বিশ হাজার টাকার একটি সামান্য চাকুরী পেতে । কখনও কখনও তার চেয়েও কম । মাত্র বিশ হাজার টাকার নিচে থাকে একটি মানুষ ,একটি জীবন ,একটি পরিবার এর সব স্বপ্ন । ঠিক এই বয়সের একটি জাপানিজ ছেলে মেয়ে নিজ খরচে কয়েকটা দেশ ভ্রমণ করার অর্থনৈতিক যোগ্যতা রাখে । কারণ এই দেশে ছেলে মেয়েরা অনেক অল্প বয়সে নিজের দায়িত্ব নিতে শিখে । অনেক অল্প বয়স থেকে তারা অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করে । দ্য গার্ডিয়ান এ শিনজে আবে এর [Japan must embrace " womenomics" to modernise economy ] শীর্ষক জার্নাল থেকে জানা গেল World Assembly For Women in Tokyu { WAW TOKYU} চারদিনের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শিণজে আবে এবং তাঁর স্ত্রী আঁকিয়ে আবে WOMENOMICS THEORY এর মাধ্যমে নারী কে তুলে ধরেছেন আধুনিক অর্থনীতির প্রান হিসাবে । ২০২০ সালের মধ্যে আধুনিক জাপানিজ অর্থনীতিতে নারী নেতৃত্ব কে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । শুধু তা নয় G 7 দেশ গুলোতে নারীর অর্থনৈতিক ভূমিকা এবং নারীর তুলনামূলক অংশ গ্রহণ তুলে ধরা হয়েছে । দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ উত্তর জাপান শুধু আধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং কঠোর পরিশ্রম দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে । বছরের অধিকাংশ সময় শীত এবং অনেক অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয় জাপান কে । মানুষ এর অস্তিত্ব যেখানে থাকে সেখানে সমস্যা ও থাকে । এখানে ও অনেক রকমের সমস্যা আছে । সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা হার মেনে যায় জাপান এর চলন্ত অর্থনীতিতে নারীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ।শুধু তা নয় আইন শৃঙ্খলা , অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা , মানবিক জীবন চর্চা ,প্রাকৃতিক শিক্ষা ,মানুষের প্রতি মানুষের সম্মান বোধের চর্চা অত্যন্ত নিখুঁত নিয়মে চলছে । অথচ আমাদের দেশে নারী এবং নারী উন্নয়ন সম্পর্কে আর্থ সামাজিক ধারণা এখনও গভীর অন্ধকারে ।মানুষের প্রতি মানুষের সঠিক আচরন ,চিন্তা চেতনার বিকাশ ,মানবিক মূল্যবোধ , পরস্পরের প্রতি সম্মানবোধ এর চর্চা আমাদের দেশের জীবন এবং সংস্কৃতিতে নেই । খুব কঠিন এবং অসুন্দর হলেও আমাদের দেশের অনেক উচ্চ শিক্ষিত জনগনের ও এই সব সম্পর্কে ধারনা নেই । অন্যকে অশ্রদ্ধা , চিন্তা কে কটূক্তি করা ,আত্মকেন্দ্রিকতা কিংবা স্বার্থপরতার চর্চা ,বহিঃশক্তির বা বহিঃ শত্রুর দালালী করা সবই যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে ।যেকোন রাজনৈতিক অস্থিরতায় কিংবা ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে দেশের সম্পদ নষ্ট সহ নাশকতামুলক কাজ করা এবং নারীর প্রতি অসৌজন্যমুলক আচরন করা কোন সভ্য সমাজের মানুষ করতে পারে না । দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্বহীন এবং জনগন ও দেশের নিয়ম কানুনের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল । আর এই সবের মধ্যে অর্থনীতিতে নারী ইস্যু ভীষণ অসহায় । একটি দেশ উন্নত হতে হলে সেই দেশের নারীদেরও অর্থনীতিতে সমান এবং যোগ্য সম্মানজনক সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে । নারীর প্রতি অন্যায় এবং বৈষম্যমূলক আচরন প্রতিরোধে কঠিন আইন এর প্রয়োগ করতে হবে । নারী তার যোগ্য অধিকার বুঝে পাবে । নারীর প্রতি সম্মানের জায়গাটা অনেক বেশি উজ্জ্বল থাকবে । তবে সময় হয়তো পালটাবে । মানুষ ও চিন্তা করতে শিখবে । স্বপ্নকে অনেকদূর বিস্তৃত করতে জানবে। নিজের দেশ এবং অর্থনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে । একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামোতে নারীকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে । আমি ও একজন বাংলাদেশি হিসেবে স্বপ্ন দেখি আমাদের দেশের নারীরা অনেক সম্মানের সাথে দেশীয় অর্থনীতি ছাড়িয়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে নিজেদের তুলে ধরবে ।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার ছবি, সাথে বর্ননা দিলে ভালো হতো।

২| ২৪ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

কাবিল বলেছেন: বর্ননা নেই।

শিরোনামটাও টাইপো ভুল । :(


ছবি চমৎকার । :)

২৪ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । আমি ট্রেন এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম । মনে হল একটা পোস্ট করি ।শুধু ছবি দিতে গিয়ে দেখি শিরোনাম ও দিতে হবে। ট্রেন চলে এল । আমি বাসায় এসে দেখলাম । এখন দেখেন সব ঠিক আছে কিনা । সবাইকে অনেক আন্তরিক কৃতজ্ঞতা । সবাই ভাল থাকুন । সুখী ব্লগিং ।

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

কাবিল বলেছেন: হা এখন সব ঠিক আছে।

২৪ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: কষ্ট করে দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

কাবিল বলেছেন: জাপান অর্থনীতিতে নারী।

প্রথম আলো দূর পরবাস অনলাইনে পড়েছিলাম।
ভাল লেগেছিল, আবার পড়লাম।

তার মানে আপনি কি হোক্কাইডোতে থাকেন?

৫| ২৪ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: শুধু প্রথম আলো নয় এর আগে ও অনেক জায়গায় এ লেখাটা ছাপা হয়েছিল । আমি যখন হোক্কাইডো এসেছিলাম আমি মানুষের ছুটে চলা আর বিরামহীন মেশিন এর মতো কাজ করা দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম । বাংলাদেশ যদি এমন হতো সবাই শুধু রাজনীতি ছেড়ে কাজনীতি করতো ।কাজের প্রতি সম্মান একটা দেশের চিত্র পাল্টে দেয় । জাপান এর অন্যতম উদাহরন ।

৬| ২৪ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দিন পাল্টাচ্ছে , আমরাও এগুচ্ছি । এখন দরকার শুধু নারীর সামাজিক নিরাপত্তা ।
চমৎকার পোস্টে +++++++++++++

৭| ২৪ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:১০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: জাপানে ঘরের বাইরে নারীর সতেজ পদচারণা জেনে ভালো লাগলো। কিন্তু আমি শুনেছি এখনও জাপানে গৃহের ভিতরে ঐদেশী মেয়েদের অবস্থান বেশ খারাপ, কোনঠাসা। ঘরের সার্বিক দ্বায়িত্ব পালন আগের মতই পুরুষের অসহযোগিতামূলক পিতৃতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করে। একারণে ঐ দেশী মেয়েরা জাপানি পুরুষের বাদে অন্য দেশের সঙ্গী বেছে নিতে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

৮| ২৫ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৭:২৯

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: তনিমা ,আপনি যা বলেছেন সেটা অনেক আগের চিত্র। আর অন্য দেশ ,সংস্কৃতি ,মানুষের প্রতি কিন্তু সবারই কম বেশি আগ্রহ থাকে । এই ছবি গুলো আমি নিজ হাতে তুলেছি । জাপান শান্তির জনপদ। মেয়েদের প্রানবন্ত জীবন যাপন আমাকে খুব মুগ্ধ করেছে । জাপান পুলিশ কতোটা সচেতন অপরাধী ধরতে সেটা লিখে অল্প প্রকাশ করা যাবে । সত্যি এই জাতি পরিশ্রম দিয়ে দেশটা কতোটা উন্নত করেছে । কাজের এবং মানুষের প্রতি সম্মান করার ব্যপার গুলো সত্যি অপূর্ব ।

৯| ২৬ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপু জাপানে চব্বিশ ঘন্টা নারীকে কাজ করিয়েই কিন্তু জাপান নিজের বারটা বাজাচ্ছে ! এইজন্য ওদের দেশে এখন বুড়োর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে আর জন্মহার ঋণাত্বক ! এইটা যে কত বড় সমস্যা, সেটার সিগনাল কিন্তু জাপান সরকার পেয়ে গেছে আর ভবিষ্যতে এর পরিণাম দেখতে পাবেন।

যেই দেশে মানুষ মেশিনের মত কাজ করে সেখানে শান্তিটা কোথায়, আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে বুঝে আসে না। মানুষ, মানুষ থাকলেই ভাল... :)

১০| ২৬ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আমি চোখের সামনে যা দেখতেছি ,বুঝতেছি এবং অনুভব করতেছি সেটাই প্রকাশ করেছি । সবার জীবন যুদ্ধ এবং চিন্তা ভাবনা এক নয় । সবার পরিস্থিতি এক নয় । ভাল এবং মন্দ সব কিছুতেই আছে । এখন কে কোনটা গ্রহন করবে কিংবা বর্জন করবে সেটা তার উপর নির্ভরশীল ।অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

১১| ২৬ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১

যোগী বলেছেন: প্রথমে লেখিকাকে বলি, আপনি স্কিপ করে কমেন্টের রিপ্লাই দিচ্ছেন কেন? যারা কষ্ট করে আপনার পোষ্টে কমেন্ট করেছে তারা সবাই আপনার রিপ্লাই আশা করে নিঃশ্চয়।

@মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বুড়োর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া কী সমস্যা? আপাতোত জন্মহার ঋণাত্বক হওয়াও আমি বড় সমস্যা মনে করিনা। সরকার এই ব্যাপারে কিছু সিদ্ধান্ত নিলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বেশি কাজ করলে মানুষ অশান্তিতে থাকে এই কথা আপনাকে কে বললো? আমি মনে করি মানুষ কাজের মধ্যেই বেশি শান্তিতে থাকে। বরং কাজ না থাকলেই মানুষ অশান্তিতে বেশি থাকে। এখানে সবাই কাজ নিয়ে ব্যাস্ত থাকে বলেই মানুষে মানুষে হানা হানি নাই, চুরি ছিন্তাই নাই, ইভটিজিং নাই, মানুষ নিরাপদে ২৪ ঘন্টা রাস্তায় চলাচল করে।

এক কথায় বলতে গেলে আমি বলতে পারি, ইসলাম আমাদের ঠিক যেই ধরনের সামাজিক অবস্থার স্বপ্ন দেখায় যদিও সেটা পৃথিবীর কোন দেশেই দেখা যায় না, ঠিক সেই ধরনের সামাজিক শান্তি বিরাজ করছে জাপানে কোনরুপ ধর্ম পালন ছাড়াই।

১২| ২৬ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: @যোগী ভাইঃ
বুড়োর সংখ্যা বেড়ে গেলে সমস্যা কি?? বলেন কি ভাই? ভবিষ্যতে দেশে কাজ করবে কে? বুড়োরা?
আমি ইরানে থাকি, একটা কোম্পানিতে কাজ করি। সেখানে কিছু দিন আগে আমার কোম্পানি দুই জাপানি ট্রেইনারকে নিয়ে এসেছিল। কাইজেন বা কন্টিনিউয়াস ইম্প্রুভমেন্ট এর উপর দুই দিনের কোর্স। সেখানে ওনারা নিজেরাই আমাদের বলল, এটা জাপানে এখন একটা বিরাট সংকট এবং তাদের বর্তমান তরুণ প্রজন্ম থেকে আর আগের মত মেধাবী লোকজন উঠে আসছে না!

আর ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স বলে একটা জিনিস আছে যেটা জাপানে একেবারেই নাই। এইজন্য সেখানে পরিবারগুলো মানুষ গড়ার জন্য পর্যাপ্ত সময়ই পাচ্ছে না। অবশ্যই এটা একটা বড় সমস্যা হয়েই দাড়িয়েছে তাদের দেশে।

১৩| ২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:২৫

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: দুঃখিত । সময় এবং সুযোগ এর অভাবে দেরিতে রিপ্লাই দিলাম । অর্থনৈতিক সমস্যার চেয়ে বড় সমস্যা পৃথিবীতে কিছু নাই । পেটের ক্ষুধার চেয়ে বড় সমস্যা দুনিয়াতে আছে কিছু ?আমি শুধু দেখাতে চেয়েছি কাজের প্রতি সম্মান এবং কাজের নিরাপদ পরিবেশ মানুষ এর জীবন কতোটা সহজ করে। আমরা কাজের চেয়ে অপ্রাসঙ্গিক কথা বেশি বলি তাই আমাদের দেশে উৎপাদনশীল এবং মানব সম্পদ নাই । একজন বাবা,একজন ভাই ,অথবা একজন ছেলে রোজগার করে আর সেই পরিবারের চার থেকে দশ জন সদস্য সেই লোকটার উপর নির্ভর করে । কোন মন্তব্য করার আগে যথেষ্ট জানা উচিত। জাপানিজ জাতি হল মাজিমে অর্থাৎ সিরিয়াস জাতি । এদের কাছে হেয়ালি /খামখায়ালি শব্দ এরা বুঝে না ।বৃদ্ধ বেড়ে যাচ্ছে । এটা আমাদের দেশে হলে সাধারন সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হত । জাপানিদের সংবেদনশীল চিন্তা । মিডিয়াতে যেভাবে আসছে আসলে বাস্তবতা অন্য । একটা দেশের অনেক আভ্যন্তরীণ গোপন ব্যাপার আছে । সব কি মিডিয়াতে প্রকাশ হয় ? জাপান সরকার সম্পদশালী এবং বুদ্ধিমান । ওদের নিয়ে আমাদের চিন্তার কিছু নাই । আমি চাই আমাদের দেশের মেয়েরা ঘর সংসার করার সাথে সাথে কিভাবে তার স্বামী ,ভাই বাবা কে সহযোগিতা করতে পারে ? যদি আমরা ঠিক এমন নিরাপদ প্রাণবন্ত অর্থনৈতিক পরিবেশ দিতে পারি । যখন একটা দেশের সবাই কাজ করে সে দেশটা স্বাভাবিক নিয়মে উন্নত হয় । কাজের প্রতি সম্মান এবং কাজের নিরাপদ পরিবেশ থাকলে সবাই স্বাভাবিক ভাবেই কাজ করবে । আমি প্রাত্যহিক জীবন জাপানিদের সাথে কাটাচ্ছি । কাজ করছি তাদের সাথে । অনেক বৃদ্ধ আমার বন্ধু । এখানকার বৃদ্ধরা যে আরাম ভোগ করে/ যে জীবন উপভোগ করে তার এক আনা ও আমাদের দেশের বৃদ্ধ মা -বাবা, দাদা- দাদি, নানা- নানিরা পায় না । আমার আলোচনা কিভাবে একটা সম্মানজনক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করা যায় । সেখানে কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা এনে পুরো বিষয়টা জটিল না করে বরং ভাল বিষয় গুলোকে বুঝার চেষ্টা করি ।

১৪| ২৮ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪

কাবিল বলেছেন: প্রত্যেকের মন্তব্যের উপরে একটি সবুজ তির চিহ্ন থাকে।
আপনি সেখানে ক্লিক করে প্রতিউত্তর দিন, তাহলে স্কিপ হবেনা।

২৯ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৫:৪৯

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

১৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপু, আপনার কি মনে হয়? মেয়েরা যে ঘর সংসার সামলায়, সন্তান লালন পালন করে, এর কোন অর্থনৈতিক গুরুত্ব নেই?

১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ভাই ধন্যবাদ । মেয়েরা ঘর সংসার সামলায় এটা পারিবারিক পবিত্র দায়িত্ব । এটা নারী এবং পুরুষ উভয়ের ।ভাইয়া আমি বুঝাতে চেয়েছি নিরাপদ কর্ম পরিবেশ । যে পরিবারের উপার্জনক্ষম পুরুষটি বাবা ,ভাই ,কিংবা স্বামী কোন কারনে অসুস্থ কিংবা অন্য কোন কারনে উপার্জন করতে অক্ষম তখন কিন্তু পরিবারের দায়িত্ব কিন্তু কাউকে না কাউকে নিতে হয় । ভাইয়া ভদ্রভাবে ঘর সংসার সামলেও কিন্তু মেয়েরা কাজ করতে পারে । ঘর সংসার করার পর অধিকাংশ মেয়েরা আমাদের দেশে অর্থহীন গল্প ,গুজব নিয়ে থাকে ।তাদের যদি পর্যাপ্ত কাজের নিরাপদ পরিবেশ থাকতো তারা কিন্তু সময় নষ্ট করতো না । অর্থ কষ্ট আর পেটের ক্ষুধার চেয়ে বড় আর কিছুর গুরুত্ব পৃথিবীতে নেই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.