নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিজ্ঞতার গল্প ; বাঙালি কাজকে সম্মান করতে শিখো ।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪১


বাংলাদেশ । এমন এক দেশ যে দেশের অধিকাংশ মানুষ কাজ করার ক্ষমতা রাখে কিন্তু কাজ করতে গেলেই তাদের অনেক অনেক মিশ্র চিন্তা চলে আসে । নিজের হাতে নিজের ঘর বাড়ি রাস্তা ঘাঁট পরিস্কার করার মতো সুন্দর অনুভূতি হয়তো আর কোথাও নেই । মানুষ ইচ্ছা করলে কি না হয় । নিজের দেশের আলো বাতাসে প্রান ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো শান্তি পৃথিবীর কোন কিছুতেই এর বিকল্প নাই । আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ রাজনীতি সংস্কৃতিতে মনোযোগ নিবিষ্ট করে রাখে ।
পৃথিবীর অনেক দেশ লোকবলের অভাবে নিজেদের দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে পারেনা বলেই আমাদের দেশের মতো গরীব দেশ থেকে শ্রমিক নেয় । বিদেশে মানুষ যে সাধারন কাজ গুলো নিজের হাতে করতে পারে কিন্তু নিজ দেশে গেলে নাক সিটকায় ।কিন্তু কেন ? মানুষ বছর বছর শিক্ষিত হওয়ার তকমা অর্জন করছে কিন্তু সুন্দর মন ,গঠনমূলক চিন্তার চর্চা ,সামাজিক সমস্যা নিয়ে তাদের মধ্যে সচেতনতা নেই । আমাদের দেশের মানুষ গুলো যদি কাজ কে ভালোবেসে কাজে ঝাঁপিয়ে পরতো বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক বেশি সমৃদ্ধ থাকতো । জাপানিজরা পরিশ্রমী । দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ এর মতো একটি ইতিহাস কে অতীত করে দিয়ে কেমন করে আবার পরিশ্রম দিয়ে দেশ টাকে সাজিয়ে ফেলেছে । শুধু তাদের জ্ঞান আর পরিশ্রম । এখানে সবাই কাজ করে জীবন যাপন করে । জাপান এ সেচ্ছাসেবক মূলক কাজের সংস্কৃতি আছে । আমাদের দেশের অধিকাংশ বৃদ্ধ বৃদ্ধা এক সময় অবসর নিয়ে নানা রকম চিন্তায় নিজেদের জীবন কে বোঝা মনে করে । কিন্তু এই দেশে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই দল বেঁধে দেশ কে সুন্দর রাখার জন্য সব ধরনের কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখে ।এতে তারাও নিজেদের জীবন টা সুন্দরভাবে উপভোগ করে ।সমাজের দেশের ও সার্বিক উন্নতিতে সহায়তা হয় । আমাদের দেশে যে কোন মধ্য বিত্ত পরিবারে একজন পুরুষ রোজগার করে আর সেই পুরুষটির উপর চার থেকে দশ জন সদস্য নির্ভর করে ।কিন্তু কেন ? কেন আমরা ছোট বেলা থেকে আত্মনির্ভরশীল হতে শিখাই না । কেন আমরা অন্য আরেকজনের উপর বোঝা হয়ে বাঁচতে ভালবাসি ।আমাদের দেশে নারী পুরুষরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্য দেশে যায় । আজ থাইল্যান্ড ,মালয়েশিয়া তে গণকবর পাওয়া যাচ্ছে । কিন্তু কেন ? যদি আমাদের দেশে কাজের প্রতি সম্মান ,কাজের প্রতি ভালবাসা ,কাজের পরিবেশ থাকতো একটি মানুষ ও বিদেশে যেত না । নিজ দেশে সাধারন কাজ করতে গেলে আশে পাশে কিছু অলস অন্ধ মানুষ নানা রকম সামাজিক কান কথায় থামিয়ে রাখে । অনেকে মান সম্মান কিংবা সম্মান এর কথা ভেবে বিদেশে চলে যেতে চায় । কারন আমরা অতি নোংরা সমাজের এবং শিক্ষিত অন্ধ সমাজের মানুষ । যেখানে কাজের চেয়ে কথা সংস্কৃতি বেশি । এখন সব পত্রিকায় যে খবরটা তা হল ক্লিন আপ ঢাকা । খুব সাধারন নিয়মে ছবি হয়তো তোলা । কিন্তু এই ছবি গুলিই প্রমান করে আমরা বাঙালিরা কোন প্রজাতির । নিজেদের এই লজ্জা বলতে ও ঘৃণা । জাপানিজরা সবাই কাজ করছে আর আমাদের দেশের মানুষগুলো ওদের কাজ করা দেখে মজা পাচ্ছে । কি অদ্ভুত জ্ঞানহীন জাতি আমরা !! নিজের পরিশ্রমে কিছু অর্জনের মতো সুন্দর সাফল্য আর কিছু হয়না । কাজের বিকল্প কিছুই নেই । নিজ হাতে কাজ করার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে । নিজের হাতে কাজ করাও একটা শিল্প । জীবন কে খুব গভীর ভাবে বুঝবার শিক্ষা । যা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় সম্পূর্ণ পাওয়া যায় না । বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা নয় সম্পদ । প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন , প্রেসিডেন্ট ওবামা ,প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ , অনেক অনেক বিখ্যাত মানুষ খুব সাধারন কাজ করেছে জীবনে যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছেন । নিজের হাতে কাজ করা হউক পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিল্প ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

ডক্টর লেকটার বলেছেন: কয়েকদিন ধইরা ফেসবুকে ঢুকলেই ওয়ালে এক আজিব ছবিতে পাবলিকরে শেয়ার-কমেন্ট করতে দেখতাছি। ছবির বিষয় হইলো বৃষ্টির পানি ভেজা ফুটপাথের মধ্যে বইসা এক নাকবোচা উদাস দৃষ্টিতে চাইয়া আছে, হাতে গ্লোভস আর আবর্জনা - পিছনে কয়েকজন ফটো তুলতাছে।
'ক্লিন আপ ঢাকা' পেজে এই ফটোটা পোস্ট করা হইছে - তাতে স্থূল ভাবেই বাঙালরে অপমান করা হইছে। বক্তব্যটা এমন - আমরা বিদেশীরা আইসা কষ্ট কইরা তোমাদের রাস্তা পরিষ্কার করি - আর তোমরা ফডো খিচো।
ছি:... শেইম অন ইউ...
ফটোডা পোস্টের পর থেকে বাঙাল দলে দলে এইটা শেয়ার দিচ্ছে আর হীনম্মন্যতায় ভুগছে।
প্রশ্ন হইলো বিদেশী হারামিগুলা বাংলাদেশে কি করতে আসছে- ময়লা পরিষ্কার করতে নিশ্চই না। আইছে স্রেফ টাকা কামাইতে। দিনে ৮ ঘণ্টা - সপ্তাহে ৫ দিন কাজ কইরা দুইহাতে ডলার কামাই কইরা উরাইয়াও শেষ করতে পারে না এগুলায় - MNC আর NGO গুলার ফরেনারগোর বেতনের ব্যপারে আইডিয়া থাকলে আমার সাথে একমত হবেন।
আর 'ক্লিন আপ ঢাকা' এর ব্যানারে যেগুলা এই ড্রামাটা করতাছে তারা কারা? ইউনিভার্সিটি অব জাপানের স্টুডেন্ট। অখন প্রশ্ন হইলো জাপান রাইখা এইখানে এরা ময়লা ঘাটে ক্যান? একটা কারণ মে বি- দেশে দেইখা আইছে সব ঝকঝকা - তাই আমাদের নোংরা ঢাকা দেখলে তাগোর গা চুলকায়।
এইবার আসেন আসল জিনিসে।
এইযে উনারা এততো কষ্ট কইরা এগুলা করতাছে - এগেইন --- ইউনিভার্সিটি অব জাপানের পোলাপাইন বাংলাদেশে ক্যান? এই রাস্তাগুলা কয়দিন পরিষ্কার থাকবো? দুইদিনও না।
ক্যান?
কারণ কেউই ওয়েস্টার্ন দেশগুলার মতো প্রতি বাড়ির সামনে, রাস্তায় 50-100 ফুট পর পর ছোট বাস্কেটের ব্যবস্থা করার কথা কইতাছে না। কেউই জনবহুল এলাকায়/বস্তিতে পাবলিক টয়লেটের কথা কইতাছে না। কেউই সিটি করপোরেশনের সক্ষমতা বাড়ানোর/দুর্নীতি প্রতিরোধের কথা কইতাছে না। বাঙাল আজ দুই ভাগে বিভক্ত - এক ভাগ বিদেশীদের রাস্তা পরিস্কারের দৃশ্যরে ফ্রেমবন্দী করতে ইন্টারেস্টেড। আরেকপার্ট নিজেদের ছি:/শেইম/অপমান ব্লা ব্লা ব্লা কইয়া মাথা মাটিতে লাগাইয়া ফেলতে ব্যস্ত।
আরে ভাই, বাংলাদেশের আর্থিক পরিস্থিতি আর জনসংখ্যার ঘনত্ব টোকিওতে বসাইয়া দিলে ওরাও গলা ছাইরা কান্না লাগাইতো।
সাদা চামড়ার চিড়িয়াগুলা আমাদের ময়লা হাতাইতাছে দেইখা মুগ্ধ হওয়ার কিছু নাই - অপমানিত বোধ কইরাও লাভ নাই। খোঁজ নিলে দেখা যাইবো এইসব ঢং আসলে তেনাদের PhD এর থিসিস/ইনস্টিটিউটের রিসার্চ প্রজেক্ট, আর কিচ্ছু না। এমন কি পশ্চিমা ড্রাগ এডিক্টেড পোলাপাইনের পুনর্বাসন হিসেবেও এইসব ভলানটারি কাজ করানো হয়। মোদ্দা কথা হইলো নিজের সিভির ওজন বারাইতে এইসব লোকদেখানো ভলানটারি কাজের বিকল্প নাই।
মাথা মাটিতে লাগাইয়া সাদা চামড়ারে শ্রদ্ধায় সেজদা না দিয়া বাস্তবতারে গ্রহণ কইরা নিজেদের ইম্প্রুভ কেমনে করা যায় সেইটা ভাবলে কামে দিবো। ইন ফ্যাক্ট ধারের কাছে ময়লা ফেলার বাস্কেট আর মোবাইল টয়লেট না দিলে সচেতনতা ধুইয়া কেউ পানি খাইবো না। একটা জিনিস আমি স্বচক্ষে দেইখা বুঝছি - ধারের কাছে বাস্কেট/টয়লেট না থাকলে সাদা চামড়াও চামে ময়লা রাস্তাতেই ফালায় - আর রাস্তার পাশে গাছের গোড়ায় চেইন খুইলা দাড়াইয়া যায়।
সচেতন নিজে হওয়া ভালো, অন্যেরে করতে পারলেও ক্ষতি নাই। তয় ক্রেডিটটা ধান্দাবাজ থার্ড পার্টিরে দেয়া ঠিক না। সেই সাথে অন্যের ধান্দাবাজিতে মুগ্ধ হইয়া নিজেদের আত্মসম্মানরে জলাঞ্জলি দেয়ারও কোনো মানে নাই।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আমরা সব কিছুইতেই নেগেটিভ টা দেখি । একটু সহজ সরল চিন্তা করেন ।সব চেয়ে বড় সত্য আমরা নোংরা সমাজের মানুষ তাই চিন্তা গুলো ও পরিস্কার না । জাপান এ কয়েক বছর কাটিয়ে দিলাম ।পরিশ্রম মানুষকে ভাল ছাড়া খারাপ কিছু দেয় না । আমার পোষ্ট টা কাজের প্রতি সম্মান নিয়ে অন্য কিছু নয় । এটা তো সত্যি আমরা এতো সুন্দর দেশটাকে নোংরা করে রাখি ওরা এটা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে । সমস্যা তো এটাই কোন কোন কিছুই বাঙালি ভাল ভাবে নিতে পারে না ।

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫

সুমন কর বলেছেন: নিজের হাতে কাজ করা হউক পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিল্প ।

ভালো বলেছেন।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আমি সত্যি বাংলাদেশিদের কাজ করা নিয়ে এতো নাক সিটকানো কেন ? উন্নত দেশ গুলোতে সাধারন কাজ গুলো নিজের হাতেই করে । আমরা একটা গরিব জাতি কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ নিজের হাতে কাজ করতে চায়না । কি অদ্ভুত ! সব জায়গায় কাজের বুয়া সংস্কৃতি । অন্য কে দিয়ে কাজ করাতে আমরা বাংলাদেশিরা খুব আনন্দ পাই ।

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: কাজকে সম্মান করতে শিখি।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩০

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশে যে পরিমান জনসংখ্যা সঠিকভাবে যদি অর্ধেক লোকও কাজ করতো তাহলে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যেতো । বেশীর ভাগ পাছে লোকে কিছু বলে কিংবা আলগা নাক সিটকানো ভাব নিয়ে চলে । কাজের প্রতি সঠিক সম্মান বোধ এবং কাজের নিরাপদ পরিবেশ ছাড়া দেশের উন্নতি আশা করা যায় না ।

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: কাজকে ঘৃনা না করে
কাজ করতে শিখুন তা
যত ছোট কাজই হোকনা কেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.