নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্য গল্পঃ গেস্ট হাউজ ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

এইতো কয়েক মাস আগের কথা। অনিশ্চিত ভবিষ্যত আর প্রচনড নিসঙগতা নিয়ে সাকিয়া গেস্ট হাউজের সামনের করিডোরে বসে ছিল। চারপাশের পরিবেশের মানুষের মন মানসিকতা,তাদের অসহযোগীতা এবং জীবনের কঠিন বাস্তবতা হতাশ করে তুলে ছিল। অর্থহীন জীবনটা নিয়ে প্রতিদিন মনের বিরুদ্ধে গিয়ে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে নিতে দম বন্ধ হয়ে যাচিছল। তখন শুধু জীবনের বাস্তবতা ভুলে থাকতে সাকিয়া বই পড়তো। আর অতীতের কিছু সুখ স্মৃতি মনে করে সময় কাটাতো। সেদিন হঠাৎ দুপুরে দুটো বাচচা মেয়ে গেস্ট হাউজের করিডোরের সামনে দিয়ে যাচিছল। একটি বাচচা সাকিয়া কে দেখে অবাক আর ভয় পেয়ে গেল। কাদতেঁ কাদতেঁ বলল, তুমি ভূত। এই গেস্ট হাউজে আগে একটা ভূত আনটি ছিল। সে ফাসি দিয়ে মরে গেছে। সাকিয়া একটু ভয় পেল। আবার একটু অপ্রস্তুত হল। তবে কেউ কোন সঠিক উত্তর দিল না। কেয়ার টেকার আর আশেপাশের মানুষ ঘটনাটা এড়িয়ে গেল। একটা কথা আছে প্রকৃতির কাছ থেকে কোন কিছু হারায় না। মানুষ যাই করুক প্রকৃতি নিরব সাক্ষী । তারপর আরো কয়েক মাস। সাকিয়ার দুই একজন বন্ধু হল। তাছাড়া ফেসবুক আর পুরনো বান্ধবীদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগটা আছে। একদিন ইলেকট্রিক কেটলিতে চায়ের পানি দিল। তখন ঠিক দুপুরের পরের ঘটনা। প্রায় তিনটার দিক। বাইরের মানুষের আওয়াজ পাওয়া যায় না। মনে হল পাশের রুম থেকে কেউ বের হল। সাকিয়া দরজা খুলল। কাউকে দেখলো না। একটা কাপ ময়লা থাকায় অন্যকাপে চা নিল। চা নিতে নিতে মনে হল কেউ টয়লেট থেকে বের হল। দেখল কেউ নেই। তারপর এসে নিজের চা খেতে লাগল। মনে হল সে মনে মনে অনেক আগের স্মৃতিতে চলে গেছে। এই সময় তারপাশে বসা এক বান্ধবী তাকে ঘারে ধাককা দিয়ে বলল,আরে গাধা নিঃসঙগতায় পড়ে সবাই কে যে সুখের আর সাফল্যের কথা বলছিস। তোর সামনে আর পাশে বসা ভয়ংকর শয়তানটা। তুই যখন সুখে গদগদ করিস তখন তোর কপাল টান টান করে। মুখ ভেংচি দেয়। তোকে সহ্য করতে পারে না। তুই প্রতিনিয়ত শত্রুর কাছে সুখ রাখতে দিস। সাবধান। আমরা মানুষ খুব কাছের মানুষরাই কাছের মানুষের ক্ষতি করি। ভাল থাকা সহ্য করতে পারিনা। তৃতীয় চোখ আর ইন্দ্রিয় ক্ষমতা সব বুঝে ফেলে।সাকিয়ার। ঘোর কাটলো। মনে হলো কেউ তার সাথে কথা বলছিল । আবার নিজেকেই বুঝাল। হয়তো মনের ভুল। কিন্তু বুকটা দুক করে উঠলো আরেকটা চায়ের কাপে অবশিষ্ট চা দেখে। টি ব্যাগটা এমন করে রাখা মনে হল এই মাত্র কেউ চা খেয়ে রেখেছে। সাকিয়া আর কিছুই ভাবতে পারলো না। মনে হল সামনের কাছে বসা বন্ধুর মনটা হঠাৎ শত্রুতায় ভরে উঠতে পারে। বাস্তবতা খুব কঠিন। মানুষের ভিতরের অন্য কাউকে বুঝাও কঠিন। শূন্য দৃষ্টি নিয়ে সাকিয়া বিকেলের আকাশের গভীর নীলের দিকে তাকায়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২০

মুসাফির নামা বলেছেন: ভালো লেগেছে।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:০৮

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: জেনে খুশী হলাম। ধন্যবাদ।

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আরো যত্ন নিয়ে লিখলে চমৎকার একটি রহস্য গল্প হতে পারত!! আইডিয়া ভাল লাগল।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৫২

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

টাইম টিউনার বলেছেন: পরে কি হলো ?

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আমাদের জীবনে অনেক কিছুই ব্যাখাহীন। তখন তারপরে কি হলো বলে কিছু থাকে না।শুধু সামনে বিস্তৃত খোলা আকাশটাই থাকে। ধন্যবাদ

৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৫৮

Foe বলেছেন: তুই প্রতিনিয়ত শত্রুর কাছে সুখ রাখতে দিস। সাবধান। আমরা মানুষ খুব কাছের মানুষরাই কাছের মানুষের ক্ষতি করি। ভাল থাকা সহ্য করতে পারিনা

আসলেই মানুষ খুব বিপদজনক

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৫

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: মাঝে মাঝে ভীষন সত্যি। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.