নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিক্ষাবৃত্তি সংস্কৃতি থেকে মুক্ত হোক বাংলাদেশ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১২


ভিক্ষা বৃত্তির মতো জনপ্রিয় পেশা বাংলাদেশে একটিও নেই। বিনা পরিশ্রমে আরামে রাস্তাঘাটে বসে ভিক্ষা করার মতো সুখ পৃথিবীতে আর কি আছে। তাই তো যে দিকে তাকাই শুধুই ভিক্ষুক দেখি।
আমি বুঝিনা এতো ভিক্ষুক বাংলাদেশে কোথা থেকে আসে। ট্রেন ষ্টেশন, বাস ষ্টেশন, এয়ারপোর্ট, হাসপাতাল,স্কুল কলেজের সামনে, মাজার, বাসা বাড়ি,রাস্তা ঘাট কোথায় ভিক্ষুক নেই। কতো রকমের ভিক্ষুক যে ঢাকা শহর সহ পুরো বাংলাদেশে আছে সঠিক পরিসংখ্যান কারো জানা নেই। তবে এটাও কিন্তু সত্য বাংলাদেশে ভিক্ষুকদের যে আয় রোজগার তার এক তৃতীয়াংস হয়তো দৈনিক খেটে খাওয়া কুলি মজুরদের নেই। কোন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের নেই। যে কিনা সামান্য নির্দিষ্ট আয়ের জন্য সারাদিন কাজ করে। কেনো জানি মানুষ কাজ করতে চায় না। আজকাল ভিক্ষাবৃত্তি মতো সহজ আনন্দদায়ক পেশা হয়তো একটিও নেই। এই যে অন্যের আয় রোজগারের অংশ চেয়ে নেয়ার অভ্যাস থেকে বাংলাদেশীরা মুক্ত হতে পারে না। তাই হয়তো সহকর্মীর প্রমোশন হলে তাকে অভিবাদন জানানোর আগেই তার কাছে খাওয়ার আবদার থেকে টাকা ধার নেওয়ার আবদার থাকে। প্রতিবেশী নতুন জমি কিনেছে এখন তার কাছ থেকে কিছু আদায় করে নিতে হবে। প্রিয় বন্ধুর চাকরিতে বেতন বেড়েছে। কোন ভাবেই তাকে এগিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। এমন করে প্রতিটা জায়গায় আমরা যে নিজে কিছু করার চেয়ে অন্যের কাছ থেকে ভিক্ষা চাওয়ার অভ্যাস থেকে বেড়িয়ে আসতে পারিনা। কবে আর কবে আমরা ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়তে পারবো। কবে কাজ কে সম্মান করতে শিখবো।


মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩২

আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: ভিক্ষা বৃত্তির মতো জনপ্রিয় পেশা বাংলাদেশে একটিও নেই।

এই কথাটার আমি লজিক খুঁজে পেলাম না।
বলতে খারাপ লাগছে তবুও বলছি --
কেউ ভিক্ষা বৃত্তিকে নিজের পেশা হিসেবে কোনো সহজ পরিস্থিতিতে নেয়না।
আর কাজের কথা বলছেন তো, অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক কাজ নামক মহান বিষয়টা আজও নিজের করে নিতে পারেনি।
পরিসংখ্যানটা দেখা দরকার কতটা কর্ম স্থল আছে এই সকল কর্মহীন মানুষের জন্য।

শুভকামনা

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৪

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: দু:খিত আমার ও খারাপ লাগছে আপনি আমার লেখার বিষয় বস্তু বুঝতে পারেন নি। একজন সক্ষম মানুষ যদি আপনার কাছে ভিক্ষা চায় আর আপনি যদি তাকে কাজ করার কথা বলেন সে কাজ করবে না। কারন বাংলাদেশে কাজ করার চেয়ে ভিক্ষা করে বেশি রোজগার করা যায়।
বাংলাদেশে ভিক্ষুকদের নিয়ে আরো একটু জেনে নিবেন আপনার চারপাশের বাস্তবতা থেকে।
এখন চারপাশে আসল ভিক্ষুকের চেয়ে প্রফেশনাল এক শ্রেনীর দালাল চক্র ভিক্ষুক সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
আপনি ভিক্ষুকদের সাথে খুব ভালো করে মিশে এবং কথা বলে দেখেন কেনো কাজের চেয়ে ভিক্ষাবৃত্তি তাদের ভালো লাগে। পুনর্বাসন করলেও তারা সে পেশাতেই ফিরে যেতে চায় কেনো??

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৮

আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩২

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল একটি বিষয়ের উপর লিখেছেন । ভিক্ষাবৃত্তির অনেক রূপ । রাস্ট্রূিয় পর্যায় থেকে তৃনমুল পর্যায় পর্যন্ত । কেও করে নিরোপায় হয়ে কেও করে অর্থ প্রাপ্তির সহজ উপায় হিসাবে । বিদেশী অনুদানের জন্য সরকারী ও এনজিওদের প্রকল্পগুলি সে তো ভিক্ষা বৃত্তিরই সামিল আর এটা খুবই জনপ্রিয় তা না হলে ১০০০০ হাজারের উপর এনজিও অার হাজার খানেক সরকারী বিদেশী অনুদান নির্ভর প্রকল্প দেশে থাকে কিভাবে । আর যারা একান্ত নিরোপায় হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করছেন ( কিছু ভন্ড ভিক্ষুক ব্যতিত ) তাদের প্রতি রইল সহানুভুতি এবং এটা আমাদের সকলের সামাজিক দায়িত্ব তাদেরকে ভিক্ষাবৃত্তি হতে মুক্ত করে সন্মানজনক আয় অর্জনমুলক কর্মকান্ডে পুর্ণবাসন করা ।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইল ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৬

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: অন্যের উপর নির্ভর করা এবং নিজে কিছু না করার মানসিকতা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।
ঢাকার রাস্তায় এতো ভিক্ষুক আমার মাঝে মাঝে নিজের ভিতরেই খারাপ লাগা কাজ করে। কেনো আমরা এমন?
আশাকরি জনগন সচেতন হলে তাদের পূনর্বাসন হবে। ধন্যবাদ

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বাংলাদেশে যারা ভিক্ষা করে তার অধিকাংশই পেশাদার ভিক্ষুক। কিছু ভিক্ষুক আবার সংগবদ্ধ চক্র দিয়ে পরিচালিত হয়। আসলে এখানে সরকারের উদ্যোগ ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। সরকার কিছু ভিক্ষুককে পূনর্বাসন করে থাকে, হয়ত সেটার আওতা আরো বাড়াতে হবে।

তবে সহকর্মীদের প্রমোশন হল বা বেতন বাড়ল, তাতে সহকর্মীরা খাওয়ার আবদার করলে সেটাকে ভিক্ষার কাতারে ফেলা ঠিক হবে না। বাংলাদেশীরা উৎসব প্রিয় জাতি এবং ওটা তারই বহিঃপ্রকাশ। তবে খেয়াল রাখতে হবে চাওয়াটা যেন যে খাওয়াচ্ছে তার ওপর বোঝা হয়ে না যায়।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫০

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ঠিক বলেছেন আমরা উৎসবমুখর। তবে পাশের মানুষটার পরিস্থিতি বুঝা উচিত।
আমরা সাফল্যে অংশিদার হতে চাই। কেন জানি দু:খের ভাগিদার হতে চাইনা।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.