নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপন্যাস "অরোরা টাউন"১০-নুরুন নাহার লিলিয়ান

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৯



উপন্যাস অরোরা টাউন
পর্ব ১০
নুরুন নাহার লিলিয়ান

অনেক খোজাঁ খুজিঁর পর অরুনিমার একটা পার্ট টাইম চাকরি হল। ঠিক সেই প্রিয় জায়গা অরোরা টাউন। অরুনিমা মোটামুটি জাপানি ভাষা জানাতে শুরুতেই কাজের কিছু সুবিধা পেলো। রেস্তঁরা সম্পর্কে নিজের মতো কাজের বিষয়গুলো বুঝে নিলো। এটি একটি জাপানি নেপালি রেস্তঁরা । জাপানি নেপালিদের যৌথ মালিকানাধীন রেস্তঁরা । তবে জাপানি খাবারের সাথে ইন্ডিয়ান, নেপালি এমনকি বাংলাদেশি খাবারও পাওয়া যায়। এখানে কাজ পাওয়ায় অরুনিমার জীবনটা একটু সহজ মনেহলো। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো মুসলিমদের জন্য হালাল খাবারের ব্যবস্থা আছে। এই একটি কাজ পাওয়ার জন্য কতো কিছুই না করতে হয়েছে।

প্রতিটা দোকানে, রেস্তঁরায় আর কাছাকাছি অফিস গুলোতে খোজঁ রাখতে হয়েছে। নিজের দূরাবস্থার কথা জানাতে হয়েছে অনেক বিদেশি বন্ধুদের ও। প্রতি শনি আর রবি বার শুরু হলো নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন। ক্যাশ কাউন্টারে পেমেন্ট নিতে গিয়ে যা বুঝা গেলো এখানে পরিবারের গল্প গুলো যেন কোথাও আলাদা অর্থ বহন করে। একই পরিবারের স্বামী স্ত্রী একত্রে রেস্তঁরায় খেতে আসলেও পেমেন্ট দেওয়ার সময় স্বামী স্ত্রী আলাদা ভাবে নিজ নিজ পেমেন্ট দেয়।খুব হাসি মুখে অদ্ভুত নিয়ম মেনে চলা।

দিন সপ্তাহ তারপর মাস। খুব সুন্দর ভাবে কেটে যাচিছল। ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতায় যোগ হচেছ অনেক কিছু।এরই মধ্যে বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেক গুলো পরিবারের সাথে ভালো সম্পর্ক হয়ে গেলো। নিয়মিত বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া। সামাজিক অনুষ্ঠান গুলো নিজস্ব সংস্কৃতিতে উপভোগ করা। কয়েকমাস যাওয়ার পর হঠাৎ অরুনিমা টের পেলো। কিছুদিন যাবৎ সামাজিক অনুষ্ঠান গুলোতে ডাক এলেও পারিবারিক অনুষ্ঠান গুলো থেমে গেছে। নিজেকে কেমন ভীষন একা আর অসহায় লাগছে। নিজের জীবনের দায়িত্ব টা অনেক বেশী ভারী মনে হল।

সে যেন টেনে বহন করার। শক্তি হারিয়ে ফেলছে ক্রমশ! কেনো পরিবার গুলো তাকে এড়িয়ে যাচেছ? কিছুই সে বুঝে উঠতে পারছে না। তারপর একদিন গল্প করার সময় ছন্দা পরিস্কার করে বুঝিয়ে দিল। একটি অবিবাহিতা মেয়েকে বাসায় ডাকলে বিবাহিত পুরুষের স্ত্রী রা স্বামীদের নিয়ে অনিরাপত্তায় ভোগে। ভাবে নিজেদের স্বামীরা তাদের ছেড়ে অবিবাহিতা নারীদের প্রতি আসক্ত হয়ে যেতে পারে। মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস কতোটা ঠুনকো হয়ে পড়েছে। চেনা সহজ সরল জীবন ভীষন জটিল হয়ে উঠেছে। একটি অবিবাহিতা নারী হয়ে থাকা যেন সমাজের কোন কলংকের বোঝা বহন করা।

বেশ কিছুদিন প্রচন্ড কষ্টের মধ্য দিয়ে কাটলো। ব্যাপারটা বুঝতে পারার পর থেকে কেমন যেন একটা অস্থিরতা কাজ করছে। কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। খুব নিরবে নিজের জীবন নিয়ে ভাবনা গুলো কষ্ট দিতে লাগলো। হঠাৎ সেদিন তাকে চোখে পড়ল। সময়টা সন্ধ্যার কিছুক্ষন পর। অনেকটা সময় ধরে সে বসেছিল। রেস্তঁরার একটা কোনার চেয়ারে। তিনি বাংলা ভাষার কোন একটা বই পড়ছিল।খুব সম্ভবত রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন কবিতার বই। এর আগে অরুনিমা তাকে কখনও দেখেনি। ছোট চুলের প্রানবন্ত স্বচ্ছ চেহারার এক ভদ্র মহিলা। বেশভূষা কিছুটা এশিয়ান। তবুও দ্বন্দ্ব আর কৌতুহল।

এর মধ্যে রেস্তরা বন্ধ হওয়ার সময় হয়ে গেছে। অরোরা টাউনের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে রাত নয়টার মধ্যে। তিনি গভীর মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছিল। রেস্তঁরা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা বলতে গিয়েই তার সাথে পরিচয় হলো। তিনি গভীর ভাবে অরুনিমার দিকে পলক ফেললো। তারপরে স্মিত হাসি দিল। তার প্রানবন্ত হাসি ভরা ঠোট দুটোর সাথে চোখ দুটোও কেমন জ্বল জ্বল করে হাসছিল। অরুনিমা কিছু একটা বলার আগেই সে বলতে লাগল –

“হে তরু এ ধরা তলে রহিবনা যবে
সেদিন বসন্তে নব পল্লবে পল্লবে
তোমার মর্মর ধ্বনি পথিকেরে কবে
ভালবেসেছিল কবি বেঁচে ছিল যবে”।

অরুনিমা মমনোযোগ দিয়ে শুনছিল। কিছুতেই যা বলতে এসেছে তা বলতে পারছে না। খুব ধৈর্য নিয়ে বিনয়ের সাথে দাড়িয়ে আছে।তারপর তিনিই প্রশ্ন করলেন- “জানো কার কবিতা? ”
অরুনিমা লাজুক হাসি দিয়ে বলল,”খুব সম্ভবত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”।
তিনি ফের প্রশ্ন করলেন – সম্ভবত কেন? নিজের উত্তরের উপর আস্থা নেই? ”
অরুনিমা লজ্জা পেল। তিনি হয়তো ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছে। টেবিলে রাখা তার জিনিসপত্র গুলো গুছাতে গুছাতে বলল,”আমি রেশমা।পুরো নাম রেশমা উবুকতা।”
অরুনিমা আন্তরিকতার সাথে জানতে চাইল,”আপনি বাংলাদেশি?”
রেশমা উত্তর দিল, “আমার পূর্ব পুৃরুষ সবাই বাংলাদেশি।
কিন্তু আমার বাস্তবতার গল্প আলাদা। ”
অরুনিমা একটু কৌতুহল হল। তারপর একটু সাহস করে জানতে চাইলো, “আপনি জাপানি নাগরিকতা নিয়েছেন? ”
রেশমা সহজভাবে উত্তর দিল, “নিশ্চয়ই আমার নাম শুনে বুঝতে পেরেছো? ”
অরুনিমা হেসে দিলো, “অনেকটা তাই!”
রেশমা বলল,”আমি ইচ্ছে করেই পুরো নামটা বলেছি যেন বুঝতে পারো। ”
অরুনিমা বলল,ও আচ্ছা। তবে প্রথমে আপনার নামটা আমার কাছে একটু অদ্ভুত মনে হয়েছিল। ”
রেশমা একবার নি:শ্বাস ছেড়ে জানতে চাইলো, “তো তুমি হোক্কাইডোতে কেনো? ”
অরুনিমা সহজ ভঙিগতে উত্তর দিলো, “এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে মাস্টার্স করতে এসেছি। সাথে এই পার্ট টাইম চাকরিতে নতুন ঢুকেছি। ”
রেশমা এবার কৌতুহল হয়ে জানতে চাইলো, “জাপান খুব ব্যয়বহুল। তাই না? ”
অরুনিমা উত্তর দিলো, “জাপানিদের জন্য ঠিকই আছে। ওরা সবাই কাজ করে। সবার হাতে পয়সা আছে। সরকারকে ট্যাক্স দেয়।আর সরকার ও নিরাপদ পরিবেশ রেখেছে জনগনের জন্য।”
রেশমা বলল,”তোমার পর্যবেক্ষণ ঠিক। কিন্তু এই দেশেও কিছু গুরুত্বপূর্ন সমস্যা আছে। ”
অরুনিমা বলল,”সমস্যা সব জাতির মধ্যেই আছে। তবে বাংলাদেশের সমস্যা গুলো আমরা জনগনরাই তৈরী করি”।
রেশমা আরো একটু সহজ ভাবে বলল, “আমিও এই কথাটা বলতে চেয়ে ছিলাম। কিন্তু তোমরা হয়তো ভাবতে পারো যে আমি জাপানি নাগরিকতা নিয়েছি তাই নিজের দেশের বিরুদ্ধে বলছি”
অরুনিমা সঙেগ সঙেগ বলল,”আরে না না।আমরা সবাই সমস্যা গুলো একইভাবে অনুভব করছি। কিন্তু নানা রকম জটিলতার জন্য আমরা সমস্যা গুলো থেকে বেড়িয়ে আসতে পারছি না। যাইহোক আমার মনে হয় আপনি নিয়মিতভাবে সাহিত্য চর্চা করেন। ”
রেশমা উত্তর দিল, “বাইশ বছর আগে জাপান এসেছি। কিন্তু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর,কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাসকে ভুলিনি। ”
অরুনিমা অবাক হলো।তারপর বলল,” বাইশ বছর! ”
রেশমা দৃঢ়তার সাথে বলল,”হ্যাঁ বাইঁশ বছর! তবে এক মুহুর্তের জন্যও আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে ভুলতে পারিনি। একটা অদ্ভুত শূণ্যতা আমার মনের কোথাও দুকরে কেদেঁছে। ”
অরুনিমা জানতে চাইলো, “আপনি এর মধ্যে বাংলাদেশে একবারও যাননি?”
রেশমা হয়তো আবেগ আপ্লুত হয়ে গেছে। তার প্রানবন্ত চোখ দুটো গভীর কষ্টের পসরা নিয়ে কান্নার নোনা জলে থৈ থৈ করছে। ভাষা হীন এই ভারী দু:খ বয়ে বেড়ানোর ক্ষমতা হয়তো সে হারিয়ে ফেলেছে। রেশমা অনেক ক্ষন মাথা নিচু করে আছে।অরুনিমা অপ্রস্তুত হয়ে গেল। কি বলবে বুঝতে পারছে না। রেশমার প্রকৃত বয়সটা ঠিক বোঝা যায় না। খুব সম্ভবত পঞ্চাশের কাছাকাছি হবে। মনে মনে ব্যাপারটা বুঝার চেষ্টা করলো।কিছুক্ষন সময় যাওয়ার পর রেশমা নিজ থেকেই মাথা নাড়াল। একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস দিয়ে বলল,” না। এর মধ্যে যাওয়া হয়নি। তবে এর পেছনে আমার জীবনের অনেক বড় গল্প আছে। ”
অরুনিমা শান্ত কন্ঠে জানাল,”আমি সরি। আপনি বাংলাদেশি। আপনার সাথে পরিচিত হতে পেরে ভালো লাগছে। ”
এর মধ্যে অরুনিমা রেস্তরাঁর পরিস্থিতির দিকে চোখ ঘুরিয়ে নিলো। ক্যাশ কাউন্টারে একজন নেপালি নারী কর্মী ছাড়া আর কাউকে দেখা যাচেছ না। খুব সম্ভবত সবাই চলে গেছে।ক্যাশ কাউন্টারের কাছাকাছি আরো একটি টেবিলে দুজন জাপানি বসে কথা বলছে আর খাচেছ। কিচেনের দরজার ফাঁক দিয়ে বুঝা যাচেছ সেখানে দুজন কুক কাজ করছে। আর বেশি সময় নেই।

রেস্তরাঁ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই সবাই চলে যাওয়ার শেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে। অরুনিমা খুব সচেতন ভাবে সব অবলোকন করছে। সেই সাথে রেশমার সাথেও কথা বলছে।রেস্তঁরার বাইরের পরিবেশটা ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে আসছে। রাত নয়টার পর প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং ওষুধ ছাড়া যেকোন শপিং মল দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়।খুব প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং ওষুধের জন্য চব্বিশ ঘন্টা খোলা থাকে দোকান। সেগুলো সবার কাছে কমবিনি শপ হিসেবে পরিচিত।যেগুলোর মধ্যে লসন, সেভেন ইলেভেন, ডিনার বেল নামের ২৪ ঘন্টা খোলা দোকান গুলো খুব জনপ্রিয়। সাপ্পোরো শহরটা নিরাপদ।একজন নারী কিংবা পুৃরুষ মধ্য রাত থেকে সারা রাত বাইরে থাকলেও জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।

সাপ্পোরো শহরের পুলিশ প্রশাসন খুব বুদ্ধি মত্তার সাথে পুরো শহর মনিটরিং করে। তাদের নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে পুরো শহরটা কে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে যে কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটার আগেই তাদের গোয়েন্দা সংস্থা টের পেয়ে যায়। তাইতো এই শহরে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর নারীরা কর্ম ক্ষেত্রে সহ সব জায়গায় স্বাধীন ভাবে বিচরন করতে পারে।এই শহরের জনগন যেমন দেশের আইন কানুন সম্পর্কে সচেতন তেমনি আইন শৃংখলা বাহিনীর লোকজনও জনগনের প্রতি দায়িত্বশীল। বাইরের সব দোকান পাট বন্ধ হয়ে যাচেছ। অরুনিমা বাইরের দিকে তাকিয়ে উসখুস করছিল। কিছু না বলে রেশমার দিকে মনোযোগ সহকারে তাকিয়ে আছে।রেশমাও নিজের সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে অরুনিমার মনে সহস্র কৌতুহল আর জিজ্ঞাসা একটু অস্থির করে তুললো।

কিন্তু কিছুতেই পরিস্থিতি সে কৌতুহল কিংবা জিজ্ঞাসা কে প্রকাশ করতে দিলো না। রেশমা সব কিছু গুছাতে গুছাতে অরুনিমার দিকে তাকিয়ে একটা আন্তরিকতার হাসি দিল। অরুনিমা বুঝতে পারলো হয়তো তারও ভাল লেগেছে বাংলায় কথা বলতে পেরে।কোন কোন বাস্তবতার বিরোধ মানুষকে নিস্তব্ধ আর একা করে দেয়। মানুষ তখন বেচেঁ থাকার অর্থ না খুজেঁ নতুন পথ খুজেঁ বেড়ায়। যে পথে মানুষ গভীর শূণ্যতা অনুভব করলেও স্বপ্ন নিয়ে বেচেঁ থাকার সার্থকতা আছে। এমন নিরবিচ্ছিন্ন দ্বীপে এমন একজন মানুষের সাথে দেখা হবে ভাবতেও পারেনি। হয়তো এমন অনেক বাংলাদেশি আছে যারা একাকি নিজস্ব আদর্শ নিয়ে নিভৃতচারী হয়ে আছে। একবার বলতে ইচ্ছে হলো একসাথে ছবি তুলতে পারি । বলা হলো না। আবার বলতে ইচ্ছে আপনার ফোন নাম্বার টা কি পেতে পারি। আসলে তার সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্তে পৌছানো যাচিছল না। সে যেমন আন্তরিক তেমনি মুডি। তার ব্যক্তিত্বের কাছে নিজের কৌতুহল আর ইচ্ছে গুলো কেমন ধূসর হয়ে রইলো। সে চোখের সামনে দিয়ে চলে গেলো।

কিন্তু তার বাকি অর্ধেক জীবনের গল্প টা জানা হলো না।নিজের মধ্যে কেমন একটা কৌতুহল ঘোর প্যাচ খাচিছলো।আরো একটু আগে দেখা হলে হয়তো অনেক কিছুই জানা যেতো। সেই সাথে সাপ্পোরো শহরের অভিজ্ঞতা ও নেওয়া যেতো। যদিও সব মানুষের জীবনের অভিজ্ঞতা এক নয়। সব অভিজ্ঞতা দিয়ে ও সব মানুষের জীবনের গল্প বোঝা যায় না।তাই আপাতত রেশমার গল্পটা একটু নিজের মধ্যেই রেখে দিলো। সাপ্পোরো শহরটা খুব বেশি বড় নয়। মাত্র প্রায় বিশ লক্ষ লোক বসবাস করে। এই বিশ লক্ষ মানুষের মাঝে হয়তো রেশমার সাথে আবার দেখা হয়ে যেতে পারে।তাছাড়া বাংলাদেশিরা ইন্ডিয়ান আর নেপালি রেস্তঁরায় খেতে মাসে একবার হলেও আসবেই। এই রকম আরো অনেক কিছু ভেবে নিজের মনকে সান্ত্বনা দিলো।

এরপর অরুনিমা সব কিছু বুঝিয়ে দিয়ে নিজেও বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিল।
প্রতিদিন ঘরে ফেরার মুহুর্ত গুলো অরুনিমা একা একা ভীষন উপভোগ করে। বাইরে অসংখ্য নারী কর্মব্যস্ততা শেষে বাড়ি ফেরে। মনে হয় যেন কোন নারী ভুবনে সে বিচরন করছে।অরোরা টাউন টা পাড় হলেই স্টেশন। ট্রেন আসতে আসতে কিছুটা সময় সে নিরবে ছুটে চলা মানুষ গুলোকে দেখে।

কতো রকমের মানুষ আর কতো রকমের জীবনের পথেই ছুটে চলেছে। ছুটে চলা মানুষের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে গভীর নিস্তব্ধ নৈশব্দে ডুব দেয় অরুনিমার বিক্ষিপ্ত ক্লান্ত মন। এরই মধ্যে ট্রেন আসে। সেই সাথে মনের ভিতরের সব নিরবতা দ্রুত টুকরো টুকরো হয়ে ভাঙতে শুরু করে। তারপর অরুনিমা ট্রেনের দিকে ছুটে যায়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:২৮

অভিলাষ মাহমুদ বাকলিয়া বলেছেন: লিয়ান আপু যে !
আপনার লেখা আরে আগে পেলাম না ! দেখে খুব ভালো লাগছে ।লিয়ান আপু যে !
আপনার লেখা আরে আগে পেলাম না ! দেখে খুব ভালো লাগছে ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩৮

মহীয়সী (নারী বিষয়ক নিউজ পোর্টাল) বলেছেন: অসাধারণ আপু

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.