নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা বড়ো বর্ণচোরা। সে নানা রকম বর্ণ ধারণ করতে খুব পটু। এই রঙ হলুদ,নীল, বেগুনী কিংবা আকাশী নয়, অদৃশ্য কিছু হাজার রকম রঙের ছুড়োছুড়ি এ মনে।।ফেসবুকের: অদ্ভুত মানুষ

মধ্যবিত্তের ছেলে

একজন অদ্ভুত মানুষ

মধ্যবিত্তের ছেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ভালবাসা ফুরোয় না"

১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৬



দেখতে দেখতে যে ক'টা মাস কেটে গেলো তার সাথে সাথে move on করাটাও শিখে যাচ্ছি তাল মিলিয়ে। সত্যি করে বলতে এছাড়া ত আর গতি নেই। জীবনটা ত আর থেমে থাকবে না। আর আমি থামিয়ে রাখতে চাইলে পারব কিন্তু সময়ের সাথে যে জীবনের এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে সে ত কখনোও থেমে রইবে না, তাই না?

আমার কথা বলছিলাম। বেশ কিছু দিন বা মাস যাই বলি, কতকগুলো রাস্তার মোড়ে বসে রয়েছিলাম। জীবনের রাস্তাগুলোর কথা বলছি। সেখানে বসে থেকে আবেগগুলো ঝেড়ে ফেলেছি, যথেষ্টসংখ্যক সময়কে অবহেলা করে আজ বিবেকটাকে কাজে লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। অসাধ্য নয়, চেষ্টা করলেই তা পারা যায়।।

ওইত সেদিন বইয়ের দোকানে কতগুলো একাডেমিক বইয়ের prize জিজ্ঞেস করছিলাম দোকানদারকে। দাম শুনে মনে হলো বইগুলোর দাম একটু বেশিই। আমি অবশ্য বই তেমন দামাদামি করি না। এটা ভেবে যে, বই একটা বিষদ জ্ঞানকোষ। ভাইকে বললাম প্যাক করে দিতে। আমার এ কথার সাথে সাথে একটা খুব পরিচিত মেয়ের গলা শুনতে পেয়েছি। আমার নাম ধরে ডেকেছে বলেই কিন্তু আমার কানে ধরা দিচ্ছে কণ্ঠটা। যাই হোক, পিছন ফিরে পরিচিত কণ্ঠটা পরিচিত চেহারায় মোড় নিয়েছে। [চেহারাটা তার, যে কতকগুলো মাস আগে নিজ স্বার্থান্বেষী হয়ে আমাকে ডোবায় ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছিল]
-- কেমন আছো? (নি)
-- মমম......[কিছুক্ষন ভেবে নিয়ে আশ্চর্য হয়ে] ভাল আছি!! তুমি এখানে!?? (আ)
[ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলল]
-- কেমন আছি জিজ্ঞেস করলে না? (নি)
[একটা রাক্ষুসে অহংকারী হাসি নিয়ে বলেছি]
-- জিজ্ঞেস করা লাগবে না। তোমার চেহারা অব্দি পুরো শরীরটায় ভাল থাকার এক মহৌৎসব ফুটে উঠছে। যে আনন্দটা এখন এই মুহুর্তে আমাকে অনেক হিংসুটে করে দিয়েছে। (আ)
-- ব্যাখ্যাটা অনেকাংশেই আমার খুব ভাল লেগেছে। কিন্তু আমার আনন্দের ব্যাপার হলো...। থাক, এটা শুনে তোমার আমার কারোরই লাভ হবে না। (নি)
[বুঝলাম, কথাটা খুব গাড় করে দিয়েছি]
-- না বলাই শ্রেয়। তা, এই ভোড় দুপুরে, এখানে কি করতে? (আ)
-- বই কিনিতে এসেছি। রিক্সা থেকে দেখেছি তোমাকে। ভেবেছি দেখা করা যায় কিনা। তাই ডাক দিয়েছি। এখন ভাবছি, ডাক দেওয়াটা আমার মস্ত ভুল হয়ে গেছে। [মাথা নিচ করে মলিন সুরে বলল] (নি)
-- আমার কথাগুলো এভাবে বলা উচিত হয় নি। তার জন্য আমি সম্পূর্ণভাবে দুঃখিত। (আ)
[একপ্রকার নিরাশার হাসি হেসে দিয়ে বলেছে]
-- দুঃখ প্রকাশ করতে হবে না। এখন অনেকটাই বুঝতে পেরেছি, আমি তোমার হিংসার তালিকার কতটা উপরে আছি। আমি ব্যবহারটা মেনে নিয়েছি। (নি)
-- মেনে নিয়েছো!! বাহ, ভাল তো। সম্পর্ক বিচ্ছেদের অনেকদিন পর আমার কথা মেনে নিলে। তাহলে চলো, একটা যায়গায় বসি নাহয়! কিছুক্ষন কথা বলা যাবে এই সুবাদে। অনেকগুলো কথা জমা পরে গেছে আমার মস্তিষ্কে। (আ)
-- হা হা হা.... চলো। (নি)
[নিজেকে অপমানিত মনে করেই বলেছে]

ফার্মগেট থেকে হাঁটা শুরু করে সোজা নভোথিয়েটারের সামনের রাস্তার ফুটপাতে বসেছি। অনেকেই বসে আছে আগে থেকে। তাদের মনের খোশমেজাজে গল্প করে যাওয়া কথাগুলো কানের ভিতর ফুঁস ফুঁস করে ঢুকছে। শুনে বিরক্ত লাগছে না, বরং আগ্রহ সহকারে তাকিয়ে মনোযোগীও হয়েছি কখন তা খেয়াল করি নি। যাকগে, এসব চিন্তা বাদ দিয়ে এবার তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কেমন আছো?
[হাঁটুতে তার হাত ভর করে থুতনিতে হাত রাখা ছিল। আমার মত অমনোযোগী হয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে থেকেই জবাবটা মধুর করেই বলল]
-- ভাল। সত্যিই ভাল আছি। ভাল থাকতে গেলে মস্তিষ্কের দরকার হয়, কোনো নির্দিষ্ট কারনের প্রয়োজন হয় না। (নি)
-- বাহ, স্বতঃস্ফূর্ত উত্তর দিয়েছো ত!! এটা আমার ভাল লেগেছে। সত্যিই কোনো কারন লাগে না। নতুন কিছু শিখতে পেরেছি। ধন্যবাদ।
তা, আমাকে এতদিন পর দেখে আবার এখন কথা বলছো, হঠাৎ এই ইচ্ছেটা কেন জেগে উঠল? (আ)
[তার চোখে মুখে এক প্রকার অপরাধীর ছাপ দেখতে পাচ্ছি]
-- তোমার কাছে যেমন কতগুলো কথা জমা পরে গেছে, আমারও কিছু কথা বলার আছে। মাঝ সময়ে তোমাকে অনেক খুঁজেছি। হয়ত বলতে পারো, হতভাগী হয়েই খুজেছি। একটা কঠিন বেসারিত সময়ের মধ্যে জীবনের স্বল্প কিছু মুহুর্ত পার করেছি। যার জন্য আমি নিজেই দায়ী। সে খুব বাজে মুহুর্ত। তার আগে বলতে চাই, ক্ষমা করে দিও আমাকে। (নি)
-- হা হা হা। আমি বুঝতে পারছি তোমার কথাগুলো কেমন হতে পারে। আন্দাজ করতে পারছি।{কিছুক্ষন সময় চুপ থেকে বললাম,} তোমার হাত কাঁপছে, কেন জানো? কথাগুলো বলবে কিনা আমাকে তা ভেবে। তোমার ঠোঁট কথাগুলোকে আটকে দিচ্ছে, কারন, তুমি ভয় পাচ্ছ। তোমার চোখ গলে পানি ঝড়ার অবস্থা, কেন জানো? কারন, আমার সামনে তুমি অধিক লজ্জার সম্মুখীন আজকে। (আ)
[ কিছুক্ষন দুজনই চুপ হয়ে গেছি। নাক টানার শব্দ শুনে বুঝেছি মেয়ে কাঁদছে। না না, এটা কান্নার শব্দ না, ইহা পৃথিবীতে জীবিত থেকেও মরে যাওয়ার শেষ নিঃশ্বাস নেওয়ার শব্দ]
-- আদনান। তুমি সত্যিই বলেছিলে, একদিন খুব কান্না পাবে আমার অথচ তখন তোমার হাতটাও পাবো না আমার মাথা বুলিয়ে শান্তনা পাওয়ার জন্য। এতটাই হতভাগী হব যে, পুরো পৃথিবীর মানুষ আমাকে টেনে ধরে রাখবে কিন্তু তোমাকে ধরার শক্তিটা পাব না। তোমার কথাটা আজ সত্য করে দিয়েছো। চোখের সামনে প্রমান পাচ্ছি। (নি)
[ যাকে এতদিন যাবত ঘৃণা করার চেষ্টা করে আসছি, আজকে দীর্ঘদিন পর তার চোখের পানি বুকে হাহাকার তুলে দিচ্ছে। গলায় কে যেন খুড় পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। একটা ভাড়ি জিনিস আটকে আছে। এভাবেই চেষ্টা করে কাঁপা কাঁপা স্বরে বলেছি]
-- যে ভালবাসাটা আমি বেসেছিলাম আজকে নিঃসন্দেহে বলতে পারি আর কেউ তা পারবে না। আর যদি কেউ বলেই থাকে তবে তা শুধুই তোমার দেহ ভোগের জন্য। অথচ আমি তোমার মন ভোগ করে সারাজীবনের সময়গুলোকে খেতে চেয়েছি। আফসোস, তুমি না বুঝে, দেহটাই বেছে নিলে। (আ)
-- আদনান, স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বলছি, আমাকে ক্ষমা করে দিতে পারবে? এমন ক্ষমার ভাগিদার হতে চাইছি যেন পরকালে আর জবাবদিহি করতে না হয়!
বলো না, দিতে পারবে?? (নি)
-- আচ্ছা, তোমার মনে আছে কি একটা দিনের ঘটনা? ওই যে, তুমি আর আমি টিএসসি তে গিয়ে কাঁচা মরিচের চা খেয়েছিলা?? (আ)
[কিছুক্ষন চুপ থেকে মনে করে বলল, হ্যা মনে আছে]
-- সেদিন তুমি চা খেয়ে খালি কাপ খানা দিতে গিয়ে আমার পায়ের উপর কাপটা ফেলে দিয়েছিলে, মনে আছে?? (আ)
-- হুম, মনে পরেছে। কাপটা ভেঙে গিয়ে টুকরো টুকরো হয়েছিল আর একটা ধারালো টুকরো তোমার পায়ে বিঁধেছিল। অনেক রক্ত বের হয়েছিল সেদিন। আচ্ছা, কাটা যায়গাটা কি শুকিয়েছে?? (নি)
[কতক্ষন নিকৃষ্টতার হাসি হেসে নিয়েছি]
-- হ্যা, শুকিয়েছে। কিন্তু মিলিয়ে যায় নি। আগের অবস্থায় ফিরে আসে না আর। বাঁ পায়ের মত মসৃণতা আর হয় নি। (আ)
[একরাশ দীর্ঘশ্বাস দিয়ে অনেকটা জোর গলাতেই আমার এই ঘটনার সারমর্মটুকু বলেছি এভাবে:]
-- ঠিক তোমার দেওয়া কষ্টগুলোও না তরবারির ঘায়েলের মত আমার বুকটাকে কেটে কয়েক হাজার টুকরো করে দিয়েছে। কতগুলো দিন যে তোমাকে আর তোমার সাথে কাটানো দিনগুলোকে ঘৃণা করেছি, তার প্রমান দিতে পারব না কিন্তু এটাই সত্যি। এরকমভাবে প্রতিটা দিনই ক্ষমা করে দিয়েছি চোখের জল ফেলার সাথে সাথে। আবার এর পরের দিন মনে হয়, ক্ষমাটা যেন গ্রহনযোগ্য হচ্ছে না। তাই আবার ঘৃণা করি।তুমি যেভাবে নিজের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার জন্য move on করেছ, আমি তোমার কাছ থেকেই তো তা শিখেছি!! এজন্য পুনরায় ক্ষমা করি। তার পরেও ঘা শুকোয় না। আর ঠিক আছে, তুমি যেমন সামনে এসে বলছ ক্ষমা করে দিতে, দিলাম ক্ষমা করে। তবে জানি না গ্রহণযোগ্যতা পাবে কিনা আমার ভেতরটায়। (আ)
-- আজ তোমার এ কথাগুলোতে প্রমাণিত আমি কতটা নিকৃষ্টতম মানুষ। সেই সাথে আমাকে ঘৃণা করার বিশ্রী গন্ধটা অনুভব করছি। (নি)
-- একটা কথা কি জানো? তোমাকে ঘৃণা করতে গেলেও যে বারবার মনে করতে হয়। সুন্দর সুন্দর দিনগুলো মনে করতে হয় কুৎসিতে পরিণত করার জন্য। আমি তখন খিলখিল করে হাসি কান্না চোখে। কষ্টের কান্না কাঁদি না, তখন আনন্দের কান্নাটা চলে আসে হুট করেই। এই যে দেখো, কিছুক্ষন আগে তোমাকে বলছিলাম আমি ঘৃণা করছি, অথচ কখন যে ঘৃণার বিষয়টা ভুলে গেছি মনেই নেই। শুধু একটা পাশবিক আনন্দ হচ্ছে তুমি পাশে বসে আছো বলে। (আ)
[ এবার সে একেবারেই ছোট বাচ্চাদের মত হাঁটু গেড়ে আমার হাত দুটো একসাথে করে ধরে তার লিপস্টিক মাখা ঠোঁটের চুমু দিচ্ছে সাথে চোখ বেয়ে অনর্গল পানি ঝড়ছে। এভাবে কান্নার পানি ঝড়ার কষ্টটা আমি ভাল মত উপলব্ধি করতে পারি।]
দৃশ্যপটটুকু দেখে আমার ২ বছর আগের একটা স্মৃতি মনে পরছে। ঘটনাটা এমন ছিল, পল্টন থেকে শাহবাগের দিকে আসছিলাম বাসে করে, সাথে আমার এক বান্ধবি ছিল। কোনো একটা কাজে দুজনকেই যেতে হয়েছিল। যাই হোক, কাজ শেষ করে শাহবাগে এসে নেমেছি। কাশফিয়ার সাথে কথা বলতে বলতে এক সময় দেখলাম নিশি রাস্তার ওপাড় থেকে এক বিশাল পাহাড়ের সমান রাগ আর অভিমান নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এ এক ভয়ংকর দৃশ্য ছিল। ভয় পেয়ে আমি নিজেও জানি না কখন কাশফিয়ার হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছি। মন্দ কপাল, এটাও নিশি দেখল। দেখলাম, একটা রিক্সা ভাড়া করে চলে গেলো। কাশফিয়া বলছে, ও তোর গার্লফ্রেন্ড নিশি না? মাথা নাড়িয়ে বললাম, হ্যা। দিন থেকে সপ্তাহ, সপ্তাহ থেকে পাক্ষিক, পাক্ষিক থেকে এক মাস হয়ে গিয়েছে নিশি এই এতদিনে আমাকে একটা মেসেজই দিয়েছে, "আমি তোমাকে আর ভালবাসি না, ভাল থেকো।" তখন থেকে হাজার মিনতির শেষে দেখা করেছি প্রায় এক মাস পর। ঠিক এভাবেই তার সামনে বসে হাঁটু গেড়ে তার হাত দুটো একসাথে করে চুমু দিচ্ছিলাম আর বলছিলাম বিশ্বাস করো নিশি আমি শুধু তোমাকেই ভালবাসি। আর কাউকে না। জবাবটা যে এমন আসবে ভাবি নি। বলল, এই এক মাস যাবত আমি নাহিয়ানের সাথে সময় কাটিয়েছি।
I hope আমি move on করে নিয়েছি। কথাগুলো এভাবে বলেই হাত দুটো আমার হাত থেকে ছাড়িয়ে নিলো। হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছি তার চলে যাওয়ার দৃশ্য দেখে।
[এক করুন চোখ নিয়ে নিশি আমার দিকে তাকিয়ে বলছে]
-- আদনান, আমি ভুল করেছি। একবার তোমাকে ভুল বুঝে এত কষ্ট পেয়েছি। কষ্ট কাটিয়ে উঠার জন্য পুনরায় আরেক অসৎ সঙ্গে জড়িয়েছি। জড়িয়ে গিয়ে এখন আমি এই পৃথিবীতে একেবারেই নিকৃষ্ট মানুষ। বুঝতে ভুল করেছি যে, তুমিই সত্যি ভালবেসেছিলে। দয়া করে কি আরেকবার নতুন করে আমরা আবার ভাবতে পারি না?? আবার কি আমরা সব কষ্টগুলো মাটি চাপা দিয়ে দিতে পারি না?? আমার ভুলের মাসুল যদি দিতে হয় দিব। (নি)
{একবার ভেবে দেখলাম, প্রতিটা মেয়েই ভুল স্বীকার করার সাথে এই কথাই বলে যে, ভুলের মাসুল বা ভুল করেছি তার জন্য যা শাস্তি দেবে তাই মাথা পেতে মানে নিব। আমি ভাবলাম হয়ত সব ছেলেই মেয়েদের এই কথায় গলে যায়, তাই আমি না হয় ওই ছেলেদের থেকে একটু ব্যতিক্রমই হয়েই গলি!!}
-- আমি যেই শাস্তি দিব তা তুমি মাথা পেতে নিবে??
-- হ্যা, নিব।
আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এলো।
-- ঠিক আছে, তাহলে আমার এই মোটা ৩টা বই হাতে নাও। আর আমার সাথে এখন তোমাকে সংসদ ভবন হয়ে ধানমন্ডি দিয়ে কলাবাগান হয়ে নীলক্ষেত যেতে হবে, সেখানে আরোও দুইটা বই কিনতে হবে। এরপর আরেকটা যায়গায় যাব। (আ)
[কথা বলতে বলতে বই ৩টা তার হাতে গুজে দিয়ে হাঁটা শুরু করে দিয়েছি।]
-- আরেকটা যায়গা মানে?? কোথায় সেটা?? (নি)
-- এখন বলা যাবে না। (আ)
[ এক ঘন্টা হেটে নীলক্ষেত পৌঁছেছি। বই দুটো কিনে আবার তার হাতেই ধরিয়ে দিয়েছি]
রিক্সা ডাক দিয়ে রিক্সাওয়ালাকে বলেছি, মামা চলেন।
-- কই যামু মামা? (রি)
-- নিশির দিকে তাকিয়ে বললাম যেতে থাকেন।
টমেটোর মতো লাল হয়ে যাওয়া গোল গোল চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে আমার কথা শুনে। বুঝেছি, ভয় পাচ্ছে। তাই মনের ভেতর কাজ করা ego টাকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে বাম হাতে জড়িয়ে ধরে বললাম, ভয় নেই।
-- আমার ছাদের বাসাটায় একটা রুম। চাকরীটা permanent হয়ে গেলে দু রুমের বাসা খুঁজতে হবে। এখন এই একটা রুমে চলবে না তোমার? (আ)
নিশি আমার বুকে তার কান পেতে রেখেছে। আমার প্রশ্ন শুনে ভাঙা গলায় কাঁদো কাঁদো স্বরে বলছে, আমার একার না, তোমার আর আমার দুজনের একটা রুমেই চলবে।
-- হা হা...। তাই তো, এখন তো আমরা দুজন!
রিক্সা থামিয়েছি জিগাতলা বাস স্ট্যান্ডের সামনে। পরিচিত একটা কাজী অফিসের সামনে। পরিচিত কারন, দু'একটা বন্ধুর বিয়ে করিয়েছি। এই সুবাদে কাজী সাহেব পরিচিত হয়ে গেছে। আর এখন ভাগ্যের সুবাদে আমার বিয়ের কাজীও উনীই হচ্ছেন। যাক, কপালের লিখন মুছা যায় না।
-- এটাই সেই যায়গাটা যে যায়গায় তোমাকে নিয়ে আসতে চেয়েছি কিন্তু তখন বলি নি যখন জানতে চেয়েছো। এ যায়গাটা স্বরণীয় হয়ে থাকবে কেননা পুনরায় প্রেমিক-প্রেমিকা নয়, আমরা স্বামী-স্ত্রী হয়েছি এই হিসেবে।
নিশির চোখে তাকিয়ে বুঝলাম ওর চোখ "ভালবাসি" কথাটা বলে দিচ্ছে কিন্তু মুখ বলতে পারছে না।
তাই আমিই বলে দিয়েছি,
-- ভালবাসি খুব।।
#কাল্পনিক

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: পড়ে ভাল লাগল।

+++

১১ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

মধ্যবিত্তের ছেলে বলেছেন: thnk u bro ☺

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: শোনেন,
যে কেউ তো আর ইচ্ছে করলেই চাঁদ ছুঁতে পারে না । চাঁদ যে প্রথম ছোঁয় তার নাম .........
"নীল আর্মস্ট্রং"

১১ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

মধ্যবিত্তের ছেলে বলেছেন: আপনার মন্তব্যে আমার মনে হচ্ছে আমি কোথাও হয়ত ভুল লিখেছি নয়ত অন্য কিছু বুঝিয়েছি। যদি এমন হয় তবে ভুলটা ধরিয়ে দিলে ভাল হত।
ধন্যবাদ।

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কল্পনাতেই সম্ভব। বাস্তবে নয়...

১১ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

মধ্যবিত্তের ছেলে বলেছেন: গল্প সর্দাই কাল্পনিক হয়। :)

৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৮

শামচুল হক বলেছেন: ভালো লাগল। ধন্যবাদ

১২ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:১৭

মধ্যবিত্তের ছেলে বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ☺

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.