নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কখনো কখনো লিখার ইচ্ছাটা এতই বেড়ে যায় যে কি লিখব বিষয়বস্তু খুঁজে পাই না। লিখতে তো কত কিছুই না ইচ্ছে করে কিন্তু সবকিছুই কি আর লিখা যায়! জীবন এমনি এক বৈচিত্রময় গল্প যেখানে কখনো ছন্দের মিল থাকে আবার কখনো থাকে না। যেগুলো লিখতে চাইলে কলমের কালি শেষ হয়ে যাবে তবু গল্পটা শেষ হবে না, কারণ সে তো ফুরোবার নয়।
এই যেমন সময় ছুটে চলে আপন গতিতে, ঝর্ণার পানির ধারা চলার পথে কোথাও বাঁধা পেয়ে তৈরী করে সরোবর আবার কোথাও গহীন অরণ্যে সৃষ্টি করে গভীর খাঁদ। তেমনি মানুষও সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলার পথে জেনে না জেনে, বুঝে না বুঝে তৈরি করে কত না কত গৌরবময় সৃষ্টি আবার কখনো কখনো কুৎসিত কদাকার বীভৎস রূপ। যে বীভৎস রূপ শরীরটাকে দীর্ধকাল আঁচড়ে ধরে রাখে। অথচ এই দীর্ঘকাল ধরে রাখা বীভৎস রূপটার পুর্বের জীবনটাতে সবকিছু কতই না স্বাভাবিক থাকে! স্বাভাবিকতার মধ্যে থাকে হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, গান, কবিতা, স্মৃতি সবই। আর তখন বুঝা সহজ হয়ে যায় জীবন কখনো সুখের আবার কখনো দুঃখের হতেই পারে, তাই বলে থেমে থাকা! না! এভাবে কখনোই হয়ে আসে নি, হবেও না।
কিছু ভালবাসা, কিছু স্মৃতি আর কিছু কষ্ট যা মানুষের সবসময় মনে থাকবে। ভালবাসা এমনই একটা অনুভূতি, যা কারো সাথে সারাজীবন থেকেও আসে না। আবার কারো সাথে হয়তো কিছু মুহুর্তই যথেষ্ট যা কখনো জোর করে হয় না। এটাই কি স্বাভাবিক না!?
আমি বামপন্থী ভালবাসাগুলোর কথা বলছিলাম। এই বামপন্তী ভালবাসাগুলো ছলনার ছন্দে ছন্দপতন হয়ে যখন ভূপাতিত হয় তখন ভঙ্গুর মনের টুকরো গুলো একটু আশ্রয় চায়, আশ্রয় পেয়ে প্রশ্রয় পেলে সূচনা হয় এক প্রেমের নতুন দিগন্তের। যেখানে মূল উদ্দেশ্য থাকে কেটে যাওয়া ক্ষতস্থান যেন মলিন হয়ে না যায়। কেন মলীন হয়ে না যায়? কারন, ব্যর্থতার উদ্ভব হয় নতুন করে গড়ে ওঠার জন্য। আমি গড়ে ওঠা বলতে গুছিয়ে নেওয়াকে বুঝি। আর যদি প্রশ্রয় না পেয়ে অবহেলিত হয় তবে সেই বামপন্থি ভালবাসার ভাঙ্গা টুকরোগুলো উগ্রপন্থি হয়ে শুষে নিতে থাকে জীবনামৃতের সবটুকু আনন্দ। ভেবে দেখুন তো, এটাই কি স্বাভাবিক না??
কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হল ‘সম্মান’, যেটা সবকিছুতেই আবশ্যক। কেউ কেউ বলবে আমরা আবশ্যক বানিয়ে নিয়েছি। সমাজটাই ত এমন। কিছু ঘটনা থাকে যা অন্যকে শুনালে আপনার মত করে বুঝতে চায় না। ঘটনাগুলোকে আনন্দ-বেদনা দিয়ে বিশ্লেষণ করা যায়। বিশ্লেষণ করলে অনুশোচনা করার মত অনেক ঘটনাই থাকে যা নিজেকে তিলে তিলে পুড়িয়ে দিতে থাকে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর উল্টোটাও ঘটতে পারে। অনুশোচনার দহনে পুড়ে খাটি সোনা হয়ে উঠতে পারে। আসলে সবটুকুই নির্ভর করে ব্যাক্তির দৃষ্টিভঙ্গির উপর। আমি মনে করি একটি ব্যাক্তি ভুল করলে তার প্রতি সমাজের বুড়ো আঙুল কিংবা রূঢ় আঙুল না উঠিয়ে ভুলটা শুধরে দেয়া যদি তাও সম্ভব না হয় অন্তত ভুলটা ধরিয়ে দেয়া কিংবা তাকে অনুশচনা করার সুযোগ দেয়া। আমি সে চেষ্টাটাই নিজ উদ্যোগে করেছি। একটু ভেবে দেখলে বুঝা যায় যে অপমান সইতে পারে সেই তো জীবনের বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে বহুদূর যেতে পারে। এটা ভাবা উচিত, কাঁচা হাতের রান্নায় নুনের পরিমানটা কম হতেই পারে। তাই বলে সে কখনো হেরে যায় না, হয়তো জিতে নয়তো শিখে।
অতীত কোন ঘটনায় অনুশোচনাকে কেন্দ্র করে জীবনকে থামিয়ে দেয়া কোন বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কেননা অতীতকে যে পরিবর্তন করা যায় না তা ধ্রুব সত্য। তাই অতীতকে অনুশোচনার মাধ্যমে বর্তমানকে শুধরে ভবিষ্যতকে আলোকময় করার চেষ্টা করাই কি উচিৎ নয়!? নিজের নেয়া কোন সিদ্ধান্তকেই ছোট করে দেখা ঠিক না, কেননা তোমার জীবন তোমার দুনিয়া। অন্যের সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার চেয়ে নিজের সিদ্ধান্তে বার বার হোঁচট খাওয়াটা অন্যের কাছ থেকে দুর্নাম শুনার থেকে অনেক ভালো। সব কিছু শিখে গেলে বুঝা সহজ হয়ে ওঠে নিজের পৃথিবী, নিজের ইচ্ছা, নিজের লক্ষ্য। এটাই স্বাভাবিক।।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩৬
মধ্যবিত্তের ছেলে বলেছেন: হে হে হে। আমার মতে টাকা দিয়ে সম্মান কেনা যায় না। তারপরেও আমাদের মত সমাজে টাকা দিয়েই সম্মান পাওয়া যায়। এটা ঠিক।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১১
রাজীব নুর বলেছেন: টাকা থাকলে সম্মান আপনা আপনি আসে।