নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা ঢাকাতে থাকেন তারা এখনও সাইকেল কেন চালানো শুরু করছেন না? /:)

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৫



আপনারা জেনে অবাক হবেন যে আমাদের বর্তমান সরকার ঢাকার যান চলাচল উন্নত করতে ১৩৫০০০ কোটি টাকা খরচ করেছে । সামনে আরো করবে আশা রাখা যায় । কিন্তু এতো এতো উন্নয়ের ফলে ঢাকার যান চলাচলের অবস্থার তো কোন উন্নয়ন হয়ই নি, বরং ঢাকা এখন পৃথিবীর সব থেকে ধীর গতির শহরে পরিণত হয়েছে । ২০০৭ সালে ঢাকা শহরের গড় গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ২১ কিলোমিটার আর এতো এতো উন্নয়নের ফলে ২০২৩ এসে সেটা ঘন্টার ৪.৮ কিলোমমিটারে ঠেকেছে ! আপনাদের বলে রাখি যে মানুষের হাটার গড় গতি ঘন্টার ৬ কিলোমিটার ।
যাইহোক, এখন এখন কী করা যাবে বলেন ! তবে কিছুই যে একেবারে করার নেই সেটাও কিন্তু না । কেবল তো উন্নয়ের আশায় বসে থাকলে চলবে না।

আমি চুয়াডাঙ্গাতে থাকতে আজীবন সাইকেলই চালিয়েছি । স্কুল কলেজ সব স্থানেই সাইকেল নিয়ে গিয়েছি । ঢাকাতে আসার পরে পড়লাম বেশ বিপদে । বাসে চড়তে বিশেষ করে ভীড়ওয়ালা বাসে চড়তে বেশ কষ্ট হত । আর জ্যামের কথা তো বাদই দিলাম । তখন আসলে খুব চাইতাম সাইকেল চালাতে । কিন্তু এতো এতো গাড়িঘোড়ার ভীড়ে ভয় লাগতো একটু । তারপরেও একবার চেষ্টা করেছিলাম । এবং সেদিনই বাসের সাথে আমার সাইকেলের ধাক্কা লাগে । এবং আমার মনে ভয়টা আরো বেশি পাকাপক্ষ হয় । তারপর অনেক দিন সাইকেলে চালানোর কথা মাথায় আসে নি । কিন্তু তারপর আবার একদিন মনে হল যে সাহস করে আরেকবার চেষ্টা করাই যাক । এবার আরেকটু সাবধান হওয়া যাক !


এক বানিজ্য মেলা থেকে দুরন্তের একটা সাইকেল কিনে ফেললাম । দামটা এগারো হাজারের মত নিল । এই সাইকেল নিয়ে আমি খুব সাবধানে যাতায়াত শুরু করলাম । সেই সময়ে একেবারেই আমি প্রধান প্রধান সড়কে বিশেষ করে যে সড়কে বাস চলে সেগুলোতে চলতাম না । গলির ভেতর ভেতর দিয়ে চলতাম । যেমন মগবাজার যাওয়ার জন্য আমি লাল মাটিয়ার ভেতর দিয়ে ধানমন্ডির দিকে যেতাম । তারপর মিরপুর রোড টা ক্রস করে চলে যেতাম গ্রিন রোডের দিকে তারপর পরিবাগ ! এভাবে ভেতর ভেতর দিকে চলতাম । তবে এক সময়ে সেই ভয় কেটে গেল ! আমি নির্ভয়ে সাইকেল চালাতে শুরু করলাম ! এবার আসি এই সাইকেল চালানোর ফলে আমার জীবনে কী কী লাভ হল সেটা আপনাদের বলি !

আমি তখন মগবাজারে তিনটা টিউশনি করতাম । ঘুরে ফিলে সপ্তাহে ছয়দিন আমাকে যেতে হত মগবাজার ! আমার গল্পের বেশির ভাগ বিয়ে গুলো হত মগবাজারে । এখান থেকেইআসলে সুত্রপাত ! যাই হোক, বাস ভাড়া ছিল ২০ টাকা । যাওয়া আসা ৪০ টাকা । এবং এক টিউশনি থেকে অন্য টিউশনিতে যাওয়ার জন্য আবার মাঝে ৩০/৪০ টাকা রিক্সা ভাড়া লাগতো । তার মানে হচ্ছে প্রতিদিন আমার পকেট থেকে ৭০ টাকা খরচ হত এই যাতায়াত বাবদ । এটা এড়ানোর কোন উপায় আমার কাছে ছিল না । কিন্তু আমার সাইকেল কেনার ফলে এই টাকাটা পুরোটা সেফ হল । মাসের হিসাবে সেটা ১৭শ টাকার বেশি ।

আমি সাইকেল কিনেছিলাম জানুয়ারিতে এবং সেটা ডিসেম্বরে বিক্রি করে দিই । এই পুরো সময়ে আমার এই সাইকেল চালানোর জন্য আমার পকেট থেকে ১৭ হাজার টাকার কম খরচ হয়েছে । আমার সাইকেলের দাম ছিল ১১ হাজার !

এটা তো গেল আর্থিক লাভ । এটা বলা যায় সব থেকে ছোট লাভ ! সব থেকে বড় সে ফলটা আমি পেয়েছি তা হচ্ছে সময় ! আগে আমার যেখানে সময় লাগতো দেড় থেকে দুই ঘন্টা সেখানে আমার সময় কমে এল আধা ঘন্টায় । ৩০ মিনিট থেকে ৪০ মিনিট । যদি খুব বেশি জ্যাম থাকে । তবে আমি ওলিগলির রাস্তা দিয়ে গেলে জ্যামে পড়ি কম । আগে যেখানে আমাকে ছয়টার টিউশনি ধরতে চারটার সময় বাসা থেকে বের হত সেখানে আমি ৫টা পনেরোর সময়ই বের হতে পারছি । ধীরে সুস্থ হেলতে দুলতে !

ঢাকার বাস গুলোতে আপনারা যারা চড়েছেন তারা জানেন কী এক ভয়ংকর অবস্থা সেখানে । আমাকে সেই চাপাচাপির ভেতরে আর যেতে হয় না, বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না কিংবা যুদ্ধ করে বাসে উঠতে হয় না । সকালে যারা অফিসে যাওয়ার সময় দেখি মানুষজন ফার্মগেটে তীর্থের কাকের মত বাসের জন্য অপেক্ষা করে আছে, একটা বাস এলে সেখানে হুড়মুড় করে ওঠার চেষ্টা করছে আমি তাদের দিকে তাকিয়ে আড়াম করে এগিয়ে যাই সামনের দিকে !

এরপর আরেকটা ব্যাপার আছে । এই যেমন হরতাল অবরোধের সময় যখন সব পরিবহন বন্ধ আমাকে তখন চিন্তা করতে হয় না এসবের । এছাড়া বাস ভাঙ্গচুর কিংবা বাসের আগুনের ভয় থেকেও আমি মুক্ত ।

তবে হ্যা সাইকেল চালানোর অভ্যাস যদি তৈরি হয়ে যায় তখন একটা বিপদে আপনাকে পড়তে হবে । আপনি তখন আর বাসে কিংবা রিক্সাতে চড়তে পারবেন না । যখন বাস গুলো থেমে থেমে যাবে কিংবা রিক্সা আস্তে যাবে আপনার মন মেজাজ চরম খারাপ হয়ে উঠছে । সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাবে যা এখন আমি অনুভব করি যদি কোন কারণে আমাকে বাসে বা রিক্সাতে চড়তে হয় ।

এখন প্রচুর মানুষ সাইকেল চালায় । আমার সাথে অফিসের একটা ছেলে আছে । থাকে ঢাকা উদ্যান । শান্তিনগরে বাসে করে যেতে কম করে হলেও আড়াই তিন ঘন্টা লাগবে যেখান ওর সাথে ৩০/৪০ মিনিট । ও খুব দ্রুত সাইকেল চালায় !

এছাড়া সাইকেল চালানোর আরেকটা সমস্যা রয়েছে। সাইকেল চুরি । যদি বাসায় বা অফিসে সাইকেল রাখার ভাল ব্যবস্থা না থাকে তাহলে এটা চুরির সম্ভবনা রয়েছে খুব বেশি । আপনি যত ভাল তালাই লাগান না কেন সেটা আপনার সাইকেলকে কোন ভাবেই রক্ষা করতে পারবে না যদি সাইকেল পাহাড়ার ব্যবস্থা মানে গ্যারেজে দারোয়ানের ব্যবস্থা না থাকে !


যাই হোক যা বলছিলাম, ঘন্টার পর ঘন্টা এভাবে সময় নষ্ট না করে আজই সাইকেল কিনে ফেলুন । যদি দূরত্ব ১০/১২ কিলোমিটারও হয় তবুও সাইকেল চালানো ভাল । একবার সাইকেল চালানো শুরু করলে আপনি এর আসল মজা বুঝতে পারবেন ।

ছবি নেট

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সারা বিশ্বেই সাইকেল জনপ্রিয়।
বাংলাদেশ বাদে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: বর্তমানে ঢাকার এর থেকে ভাল সমাধান আর কিছু নেই । অথচ আমরা এটার দিকে কোন আগ্রহ দেখাই না ।

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কয়খানা সাইকেল চুরি হয়েছে?

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০০

অপু তানভীর বলেছেন: প্রথমে একটা চুরি হয়েছে বাসার গ্যারেজ থেকে । সেটা অন্য বাসায় । বর্তমান বাসায় আগে একসাথে চারটা সাইকেল থাকতো ভাড়াটিয়াদের । সেদিন ভাগ্য গুণে আমারটা চুরি হয় নি বাকি তিনটা নিয়ে গেছে । এরপর থেকে আমি সাইকেল সাত তলার উপর তুলে রাখি।

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনার কথায় যুক্তি আছে।
আমি আছি আপনার সাথে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০০

অপু তানভীর বলেছেন: ঢাকা শহরের চলাচলের জন্য এর থেকে ভাল আর কিছু নেই আপাতত !

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: সাইকেল চালিয়ে আশুলিয়ার কাঠগড়ায় যাওয়াটা বেশী রিস্কি হয়ে যায় না- আমার উপায় কি?

সাত তলায় সাইকেল লিফটে নাকি সিড়ি দিয়ে ওঠান?

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২১

অপু তানভীর বলেছেন: বেশি দুরুত্ব হলে অবশ্য সাইকেল সমাধান না অবশ্যই । আমি ঢাকার ভেতরে চলাচলের জন্য বলেছি সাইকেল ব্যবহার কথা !

আমার বাসায় লিফট নাই । আমি সিড়ি দিয়েই উঠাই ।

৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বিডি সাইকেলিষ্টের সাথে ছিলাম এক্কেবারে প্রথম থেকে। আমি ওদের সাথে নিয়মিত রাইডে যেতাম। আমারও সাইকেল নিয়ে এদিক সেদিক যেতে ভালো লাগতো। আর মেজাজ খারাপ হতো সারা দুনিয়ার সব মানুষের উপরে। বাস, সিএনজি, প্রাইভেটকার... সব কিছুর ড্রাইভারেরা ছিলো এক একটা খচ্চর টাইপের ও খারাপ লোক।

বহু বছর পরে বুঝেছি, দুনিয়ার প্রায় ৯৯.৯৯৯৯% সাইকেলিষ্টই অহঙ্কারী ও বদমেজাজের। হয়ত তারা সাইকেল সাথে না থাকলে ভালো মেজাজের, কিন্তু সাইকেলে উঠলেই তাদের মেজাজ খিচড়ে যায়! নিজেকে তাদের থেকে আলাদা করতে পারিনি তখনও।

সৌদী আরবে সাইকেল চালাই। তবে এমন সব জায়গা দিয়ে চালাই, যেখানে কেউ বিরক্ত হবে না। ব্যস্ত রাস্তায় সাইকেল নিয়ে উঠি না। আমার একার সাইকেল চালিয়ে দুনিয়া উদ্ধার করতে গিয়ে শত শত মানুষ স্লো ট্রাফিকের মধ্যে পড়ে যায়!

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০

অপু তানভীর বলেছেন: এইটা অবশ্য ঠিক বলেছেন যে সাইকেলে চালানোর সময় আশে পাশের মানুষের উপর একটা চরম বিরক্ত ভাব চলে আসে । তবে যখন আবার সাইকেল নামি তখন এই ভাবটা কেটে যায় !

মানুষের ট্রাফিকে আটকে থাকার ব্যাপার আমার নিজের কি আসলেও কিছু করার আছে? কিছুই করার নেই এখানে ! আমি কেবল আমার নিজেরটা চেষ্টা করতে পারি !

আমি এতো গুলো বছরে এমন ভাবে সাইকেল চালিয়েছি যাতে অন্য পথের বাঁধা না হই । উল্টো পথে সাইকেল চালিয়েছি বলে খুব একটা মনে পড়ে না যদিও ঢাকার ক্ষেত্রে এটা খুবই স্বাভাবিক একটা চিত্র ।

৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫০

শায়মা বলেছেন: সাইকেল চালানো বাধ্যতামূলক করা হোক।
সবাইকে সাইকেল চালানো শিখতে হবে। তাহলে জানজট অনেক খানিই কমে যাবে।

শুধু বৃদ্ধা ও শিশু ছাড়া নারী পুরুষ নির্বিশেষে সাইকেল চালাতে হবে।

তাতে সাস্থ্যও খুবই ভালো থাকবে। :) :) :)

এই বাধ্যতামূলক আইনের জন্য কেউ ঢিল পাটকেল ছুড়ে মারতে পারে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

অপু তানভীর বলেছেন: এমন একটা আইন করতে পারলে খুবই ভাল হত । যদিও এটা বাধ্য করা উচিৎ না তারপরেও যদি সম্ভব হত ।

তখন সত্যিই যানযট কমে যেত অনেক বেশি । এখন একবার ভাবো যে ঢাকায় গাড়ির গড় গতি ঘন্টায় ৪.৮ কিলোমিটার অন্য দিকে মানুষের হাটার গতি ৬ কিলোমিটার ! তাইলে বুঝো !

৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: সাইকেল চালানো শুরু করছি না, কারণ ঢাকা শহরে বেশিরভাগ সময়ই দীর্ঘ দূরত্বে সাইকেল চালানোর মতো আবহাওয়া নাই। এখন গরম বাড়ছে। কয়েকমাস টানা ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকবে। এই সময় সাইকেল চালিয়ে অফিসে গিয়ে ঘেমে গোসল হয়ে ঐ অবস্থায় সারাদিন অফিস করা জঘন্য ব্যাপার। আমি এমনিতেই বেশি ঘামি। আমার মিরপুর মতিঝিল রুট সাইকেল চালানর উপযোগী না। স্বল্প দূরত্ব হলে কথা ছিলো তাও। আর এখন তো মেট্রো রেলে এসে গেছে। এখন আর সাইকেলের কথা চিন্তাও করবো না। তবে এমনিতে আমি প্রচুর হাঁটি। আর জিম তো করিই।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

অপু তানভীর বলেছেন: আমি অবশ্য মোহাম্মাপুর থেকে শান্তিনগরে যাই । এমন কি গরমের সময়েও । আমি তখন সাথে করে আমার শার্ট নিয়ে যাই ব্যাগে । টিশার্ট পরে সাইকেল চালাই । অফিসে গিয়ে শার্ট বদলে নিই ।
তবে মিরপুর থেকে মতিঝিল একটু বেশি দুরত্ব হয়ে যায়। এটা ঠিক । ফার্মগেট থেকে মতিঝিলের দূরত্ব হলে সেটা ঠিক আছে !

আর মেট্রোরেলের রুটে এখন আর সাইকেলের দরকার নেই, এটা তো বলাই বাহুল্য !

৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:




হাসান মাহবুব বলেছেন:
এখন গরম বাড়ছে। কয়েকমাস টানা ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকবে।


ঢাকায় এখন ঠাণ্ডা নাহ?

B:-)



২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

অপু তানভীর বলেছেন: এখন আবহাওয়া ঠান্ডা ! বর্তমানে আমার ঘরের তাপমাত্রা ২৪.২ ডিগ্রি আর বাইরে ২৮.৭ ডিগ্রি ।

৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: সাইকেল চালানো খুব ভাল ব্যায়ামও বটে। তবে যাদের গাড়ী চালিয়ে অভ্যস তারা পারে না। গাড়ি অলস করে দেয় শরীর।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের ঢাকা বাসীদের জ্যামে বসে থাকার অভ্যাস হয়ে গেছে । এখন আর আমাদের ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে সমস্যা হয় না । তবে একবার যদি অভ্যাসটা পরিবর্তন হয়, যেমন আমার হয়েছে, এখন আমার বসে থাকতে ইচ্ছে করে না । এমন কি গরমের ভেতরেও আমি বাসে করে যাওয়ার থেকে সাইকেলে করেই যাওয়াই বেশি পছন্দ করি।

১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

বাউন্ডেলে বলেছেন: জ্যাম, দুর্গন্ধ আর পানের দুস্প্রাপ্যতার জন্য ওয়াদা করে ঢাকা ও চাকুরি ছেড়েছি ২০০১ এ । ইদানিং সৈয়দপুরেও জ্যাম ও দুর্গন্ধ বেড়েছে। আমার পরবর্তী বাসস্থান ৮ কিলো দুরের গ্রামের বাড়ী। এখনো বেশীরভাগ সময় গ্রামেই থাকি। সাইকেল আমার প্রিয় সঙ্গী।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৫

অপু তানভীর বলেছেন: জন সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে আমাদের মত দেশে এসব বাড়বেই ।

ঢাকার চাকরী ছেড়েছেন এটা বড় আনন্দের বিষয় । আমি কতদিন থেকে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা আছি । কবে পারবো কে জানে !
সাইকেলকে সঙ্গী করা বড় চমৎকার একটা ব্যাপার ।

১১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: আমরা খুব আরামপ্রিয় তাই অল্প দূরত্ব হলেও হাঁটতেও চাই না, সাইকেল তো দূরের কথা।
আমি এমন অনেককে দেখি পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথ তার রিকশা না হলে চলে না।
আবার এপার বাস দাঁড়িয়ে আছে অনেক্ষণ তবুও অনেকে নামে না, ১৫ মিনিট পর সিগন্যাল ছাড়বে তার উনি ওপার গিয়ে নামবেন!

আর ১/২/৩ তালায় উঠতে একজন সুস্থ মানুষের লিফট ব্যবহার করা লাগে?

এখন বুঝুন আমাদের মানসিকতা ও অভ্যাস।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: এটা আমাকে বড় বিরক্ত করে । জ্যামে আধা ঘন্টা বসে থাকবে তবুও ১০ মিনিট হাটার দূরত্ব পার করবে না । আমি এমনও দেখেছি যে পাবলিক ১০ তলা থেকে লিফর ডেকে নিয়ে এসে দুই তলায় ওঠে । এই অলসতা আমাদের সবার আছে !

আমি ছয় তলা পর্যন্ত লিফট ব্যবহার করি না । অফিস ১২ তলায় বিধায় লিফটে উঠে তারপরও নামার সময় সিড়ি দিয়ে নামি বেশির ভাগ সময়ে !

১২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চাকরিতে জয়েন করে আমার আব্বা আমাকে একটা বিয়ের সেকেন্ড হ্যান্ড সাইকেল কিনে দেয়। আমার কাজের জায়গা রেল স্টেশন থেকে দেড়কিমি দূরে ছিল। কিন্তু ডিউটি করে রাতে অমন নুতন ( বিয়ের হলেও বড়জোর মাসখানেক বয়স হবে)সাইকেলটি গ্যারেজে রাখতে মন সায় দেয় নি। কাজেই ওটাকে বাসায় রেখে এবার খুব কম দামে আরেকটা পুরাতন ভাঙাচোরা সাইকেল কিনি।এই দুটি সাইকেল আমার বহু বছর কর্মজীবনের সাথী ছিল। বিয়ের পর রুট বদলানোর জন্য ট্রেনে আসা যাওয়া ছেড়ে অন্য জায়গায় বসবাস করি।তখন স্টেশনের গ্যারাজে রাখা পুরাতন সাইকেলটি ঠিক তত দামেই ঐ গ্যারেজ মালিককে বিক্রি করি। মাঝখানে প্রায় সাত বছর চালানো হয়ে গেছে। কাজেই পয়সা শোধ।

ওদিকে নুতন সাইকেলটার উপরেও যথেষ্ট ঝড়ঝাপটা গেছে। দুদুবার বাড়ি করতে গিয়ে মিস্ত্রিদের প্রয়োজনে মাঝে মাঝে দিতে হতো।মার্বেলের কাজ শেষে ওটাকে ট্রাক্টর মনে হতো। আমার অনেক পয়সা গচ্চা দিয়ে ঠিকঠাক করিয়ে দিব্বি চালাতাম। কিন্তু এবার ২৩ এর জানুয়ারিতে এরকম মিস্ত্রিরা কাছ করা অবস্থায় একদিন বাড়ি এসে দেখি সাইকেলটা নেই। আমার আবার শেষ স্মৃতিটুকুও চলে গেল। ২২ বছরের পুরানো সাইকেল বাজার দর সর্বাধিক ২০০০ টাকা হতে পারে। কিন্তু আমি এলাকার চোর ছ্যাচড়াদের পাঁচহাজার টাকা দর দিলাম।তিনটি চোরাই সাইকেল তারা তিন দিনে দেখালো কিন্তু আমারটিকে ব্যাটারা দেখালো না।
আসলে ঔ সাইকেলটি আমার কাছে কতোটা মূল্যবান ব্যাটারা তো আর জানে না।
যাইহোক তারপর থেকে আপাতত সাইকেল নিঃসঙ্গে আমার দিন কাটছে।

উল্লেখ্য আমি বহুদিন সকালে মর্নিং ওয়াক না করে দশকিমি সাইকেল চালিয়ে গা ঘামিয়ে বাড়িতে ফিরিছি। এবার মনে হচ্ছে আবার একটা সাইকেল কিনবো।

অপু ভাই সত্তরের শেষ ও আশির দশকেল শুরুতে ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় হেলিকপ্টারের ঘটনা জানেন? আমার একটা উপন্যাস 'ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া'-তে আসবে এহেন হেলিকপ্টারের প্রসঙ্গ।





২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০১

অপু তানভীর বলেছেন: আরে আমার আর আপনার ব্যাপার দেখি একদম এক রকম । শান্তি নগরে অফিসের নিচের গ্যারেজে আমার দামী সাইকেলটা রেখে শান্তি পেতাম না । তারপর আমি একটা সেকেন্ড হ্যান্ড সাইকেল কিনি । অফিস যাওয়ার দিন ওটা নিয়ে যাই । চুরি গেলে যাক । আর আগের টা অন্য সময় চালাই ।


সাইকেল হারানোর কষ্ট অনেক বেশি । আমি জানি । মনে হয় যেন কী যেন কাছের সিনিস হারিয়েগেল ।

১৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ক্লাস ফোরে ছোট সাইকেল চালানো শিখি ঘরের মধ্যে। ক্লাস ফাইভে সাইকেল নিয়ে কয়েক কিলো মিটার দূরে চলে যেতাম একা একা। তখন নিজেকে রাজা মনে হত। ক্লাস এইটে দিনে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কিলো মিটার সাইকেল প্রায়ই চালাতাম। আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় ছিল যশোরের এই দিনগুলি। এই ৩ বছর সাইকেল আমার জীবনের অবিচ্ছেদ অংশ ছিল। ৩ তলার বাসায় সাইকেল কাঁধে নিয়ে উঠে যেতাম। নিজের চেয়ে সাইকেলের যত্ন নিতাম বেশী।

তারপরে সাইকেল চালিয়েছি কদাচিৎ, মাঝে মাঝে। বাচ্চাদের দুইটা সাইকেল আছে। ভাবছি আবার চালানো শুরু করবো। সাইকেলের সুবিধা হল ক্লান্তি আসে না। আমাদের দেশের মানুষ খুব অলস। হাটতেও চায় না সাইকেলও চালাতে চায় না। অথচ এই দুইটাই খুব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: চুয়াডাঙ্গা শহরে আসলে এমন কোন রাস্তা নেই যেখানে আমার সাইকেলের চাকার দাগ নেই । সব স্থানে সব জায়গায় আমি গিয়েছি । এমন কি এক থানা থেকে অন্য থানাতে পর্যন্ত চলে গিয়েছি । ঢাকাতে এসে অবশ্য প্রথম দিকে সাইকেল চালানো বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখন আবার শুরু হয়েছে । যদিও আগের মত সেই ঘোরাঘুরি কমে গেছে। মাঝে মাঝে অবশ্য এখনও যাই সাইকেল নিয়ে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ।

অবশ্যই চালানো শুরু করবেন। সকাল বেলা কিংবা রাতেরবেলাও চালাতে পারেন । এটা আনন্দ দেবে স্বাস্থের জন্যও ভাল ।

১৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সাইকেল চালানোর মত যথেষ্ট নিরাপদ কী আমাদের রাস্তাঘাটগুলো ?

আমার এলাকাতে তো সাইকেল চালানো প্রায় কমে গেছে দুর্ঘটনার ভয়ে !!

২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬

অপু তানভীর বলেছেন: অল্প কিছু রাস্তা বাদ দিয়ে ঢাকার বেশির ভাগ রাস্তাই নিরাপদ । তবে সাইকেল দুর্ঘটনার জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাইকেল চালক দায়ী । তারা একটু সচেতন হলে এটা একদমই কমে যাবে।

১৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ঢাকায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে পরিবহন সম্বাবনা নিয়ে ভাল পরামর্শমুলক পোষ্ট ।
বাই সাইকেলই ঢাকার জন্য সর্বোত্তম পরিবেশ বান্ধব ও সহজলভ্য ব্যবস্থা
হতে পারে।উচ্চ বিত্ত, মধ্য বিত্ত ও নিন্ম বিত্ত সকলের কাছেই এটা ব্যবহার
যোগ্য হতে পারে ।

পৃথিবীর উন্নত দেশগুলিতেও এখন এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে ।
তবে সাইকেলের বহুল ব্যবহারের জন্য এর দামটিই প্রধানতম বিষয় নয়
প্রধান বিষয় হলো এর নিরাপদে পথ চলা ও এর পার্কিং এর সুব্যবস্থা করা ।
পৃথিবীর বড় বড় শহড়গুলিতে বাই সাইকেলের জন্য সড়কের একপাশে সাইকেল
লেন , সাইকেল পার্কিং এ সুবিধা দেয়ার জন্য অন- স্ট্রিট সাই নিরাপদ সাইকেল
শেড প্রতিস্থাপন করে দেয়া হচ্ছে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে যেমনটি চিত্রে
দেখানো হল-

তেমনিভাবে আমাদের দেশে ঢাকা শহড় সহ আন্যান্য শহড়াঞ্চণরেও নিরাপদ
সাইকেল পার্কিং ব্যবস্থা নীজ নীজ নগড়, শহর কতৃপক্ষ করে দিতে পারেন ।
এছাড়া বাসাবাড়ীতে ও কর্মস্থলে নীজ দায়িত্বে নীজের ক্ছাকাছি কোন স্থানে
নীজের বাড়ীতে কিংবা অফিসে নীজের কক্ষে বা বসার স্থানের কাছে সাইকেলটি
নিরাপদে রাখা যায় সে লক্ষে নিন্মের চিত্রে দেখানো ফোল্ডিং সাইকেল কিনে
ব্যবহার করা যেতে পারে ।

ফোল্ডিং সাইকেল বাজারে না পাওয়া গেলে এখন বিভিন্ন উৎস কিংবা আমাজন
হতে অনলাইনে কিনে নিতে পারেন কিংবা আগ্রহীগন বিদেশ হতে যথাযথোপায়ে
আমদানি করে নিতে পারেন । দেশে বাজার পেলে এর আমদানিকারকের কোন
অভাব হবে বলে মনে হয়না । এর দাম প্রকার ও গুন ভেদে ১০হাজার হতে প্রায়
এক লাখ টাকার মত হতে পারে ।

একে সহজেই ফোল্ড ও আনফোল্ড করে নিরাপদ জায়গায় নীজ হেফাজতে
রাখা সহ রাস্তায় নিয়ে গিয়ে চালানো যায় । যেমনটি ছবিতে দেখানো হল-



মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

অপু তানভীর বলেছেন: সত্যিই তাই । সব উন্নত দেশেই দিন দিন সাইকেলের ব্যবহার বাড়ছেই । সেখানে মানুষ কোর্ট টাই পরে সাইকেল নিয়ে অফিস যাচ্ছে এমন দৃশ্য স্বাভাবিক । তবে আমাদের দেশে এমন দৃশ্য আপনি একবার দেখতে পাবেন না । একজনকেও পাবেন না ।
কালে ভাদ্রে দেখা যায় কেউ হয়তো ফরমাল ড্রেস পরে সাইকেল চালাচ্ছে ।

আমাদের দেশে সাইকেল পার্ক করা একটা বড় সমস্যা । এই সমস্যা সমাধান করা গেলে সাইকেলের ব্যবহার আরও বাড়বে আশা করি । আমাদের দেশে সাইকেলে সাইকেল ভাড়ার একটা সিস্টেম চালু হয়েছিলো কয়েক বছর আগে । সেটা শুধু মাত্র ঢাবি এলাকাতে চালু হয়েছি । সেখানে এপের মাধ্যমে সাইকেল ভাড়া নেওয়া যেত । কিন্তু উদ্যোগটা ঠিক মত কাজ করে নি । কাজ করলে বেশ চমৎকার হত !

ঢাকার এই জ্যামের হাত থেকে মুক্তি করতে এখন এক মাত্র উপায় সাইকেল। এটা ছাড়া আর কোন উপায় আর নেই ।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

১৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: রাস্তায় প্রায় দেখি মোটরসাইকেলের চালকরা যে অনিয়ম করে ও দুর্ব্যবহার করে সাইকেল ওয়ালারা তেমন করলে তো উপায় থাকবে না।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭

অপু তানভীর বলেছেন: সময় সুযোগ পেলে এটা তো সবাই করে । এমন রিক্সাওয়ালারাও । এটা আসলে বাইক কিংবা সাইকেলওয়ালাদের সমস্যা না । এটা আমাদের নিজেদের সমস্যা ।

১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ঢাকা শহর এখন যেন জ্যামের শহর। তাই সাইকেল চালানোই উচিত। আমি সাতক্ষীরাতে যেয়ে দেখেছি ওখানের বউ, মেয়েরা সাইকেল চালায়। ওখানের সোসাইটি মেনে নিয়েছে। সাইকেল পরিবেশকে দূষিত করে না, আবার সাইকেল শরীরকে ভাল রাখে এবং সেইসাথে খরচও অ-নে-ক কম হয়।
সুন্দর একটি পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: ঢাকাতেও এখন প্রচুর মেয়েরা সাইকেল চালায় । শুক্রবার আগে সংসদ ভবনের সামনে সবাই একসাথে রাইড দিতো । আমি অবশ্য ইদানীং আর যাই না !

ঢাকার আসলে এখন যা অবস্থা এবং দিন দিন অবস্থা উন্নতির কোন লক্ষ্যই নেই । সাইকেল ছাড়া আসলে আর কোন উপায় আমাদের নেই । সত্যিই নেই ।

১৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৭

জুন বলেছেন: সাইকেল চালাতে ভয় পাই । চড়তেও ভয় পাই অপু তানভির । মটর সাইকেলে চড়তেও ভয় লাগে :-&

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪২

অপু তানভীর বলেছেন: মোটস সাইকেল আমারও পছন্দ না । তবে সাইকেল তো চমৎকার । তবে হ্যা বড় শহরে প্রথম প্রথম একটু ভয় লাগবেই তবে কদিন চালানোর পরে ভয় কেটে যাবে ।

১৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই পোষ্ট শেষ করে মনে হচ্ছে একটা সাইকেল ধার নেই।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: আমার কাছে দুইটা আছে । একটা ধার নিতে পারেন ।

২০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বিবেচনায় রাখলাম, কিন্তু সাইকেল ঝুরঝুর করে ভেঙে গেলে , দাবী রাখতে পারবেন না।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: ওকে তাহলে সেকেন্ড হ্যান্ড সাইকেলটা নিয়েন । ওটা ভেঙ্গে গেলে সমস্যা নাই।

২১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আহা সাইকেল! যদিও ছোটকাল থেকেই সাইকেল চালানোর অভ্যাস রয়েছে। ঢাকাতে থাকা কালিন সাইকেল ছিলনা। প্রবাসের ২৪ বছর পার করে গত ৫ মাস থেকে সাইকেল চালাচ্ছি। ২.২ কিলোমিটার পথ আসার যাওয়ার জন্য খরচ দেওয়া লাগত ১৫ হাজার টাকা র মতো যদিও টেক্সি চালক চার বার নামাতেন। এখন এক টাকাও খরচ নেই শুধু সাইকেল মেরামত ছাড়া। আপনার চিন্তাধারার সাথে আমি একমত।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭

অপু তানভীর বলেছেন: সাইকেলের মত চমৎকার যান আর নেই । বিশেষ করে কম দুরুত্বে শহরের ভেতরে দ্রুত চলাচলের এর মত ভাল সমাধান আর হয় না । আমি প্রতি দুই তিন মাসে একবার আমার সাইকেল সার্ভিভিং করে নিই । আর কোন সমস্যা হয় না । সাইকলে চলে স্মুথ । সাইকেলই চালাবেন এরপর থেকে !

২২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:

আমার সাইকেল চুরি হবার পর আমি বাইকে শিফট করেছি। সময় বাচানোর জন্য এই ব্যবস্থা। তবে সমস্যা ওই চুরি। এছাড়া আর কোন সমস্যা নেই।

আমি এখনও সাইকেল চালাতে চাই। কিন্তু পারছি না। শুধু মাত্র চুরি হয়ে যাবে এই ভয়ে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: সাইকেল চুরি একটা বড় সমস্যা । এটার জন্য একটা নিরাপদ গ্যারেজ থাকা দরকার । আপনার সাইকেল যদি অফিস থেকে চুরি হয় তাহলে অফিসের আশে পাশে খেয়াল করে দেখুন কারা পার্কিং সুবিধা দেয়। অফিসের নিচে না রেখে এই রকম পার্কিংয়ে রাখতে পারেন । আর যদি বাসা থেকে চুরি হয় তাহলে একই ভাবে দেখেন আপনার আশে পাশে কোন বাসায় খোজ নিয়ে দেখতে পারেন । এপার্টমেন্ট বিল্ডিং গুলোতে ২৪ ঘন্টা দারোয়ান থাকে । সেখানকার কেয়ারটেকারের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.