নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবার কি ভোট দেওয়ার ক্ষমতা থাকা উচিৎ!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮

আমাদের দেশে ১৮ বছর হলেই ভোট দেওয়ার উপযুক্ত হিসাবে গন্য করা হয় । কেবল আমাদের দেশেই নয়, বোধ কর এটা পৃথিবীর প্রায় সকল গনতান্ত্রিক দেশের ক্ষেত্রেই সঠিক । একটা নির্দিষ্ট বয়স হলেই তার ভোট দেওয়ার ক্ষমতা আসে । ভোট দেওয়ার ক্ষমতা মানে হচ্ছে আপনি নিজে দেশের জন্য, আরো ভাল করে বললে নিজেই নিজের শাসক নির্বাচন করা । কিন্তু ১৮ বছর হলেই কি একজনের ভেতরে এই বোধটা এসে হাজির হয়?

কেউ যদি এমনটা বলে যে দেশের সব মানুষের ভোট দানের ক্ষমতা দেওয়া উচিৎ না তাহলে বোধহয় আমরা সবাই তার দিকে লাঠিসোটা নিয়ে তেড়ে যাবো তাকে মারার জন্য । বেটা বলে কি ! দেশের সব নাগরিকদের ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নিতে চায় । বেটা স্বৈরশাসক ! বেটা ফ্যাসিস্ট ! থাপড়ায়ে তোর দাঁত ফেলে দেওয়া উচিৎ !

তবে একটু অন্য ভাবে চিন্তা করি । রাষ্টকে শুধু মাত্র দেখি অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে । যদিও জগতে সব কিছুই এই অর্থনীতি কেন্দ্রীক । যা কিছু হচ্ছে এবং সামনে যা কিছু হবে তার মূলে রয়েছে অর্থনীতি ।

কয়েকদিন আগে একটা বই পড়লাম । বইটির নাম How an Economy Grows and Why It Crashes । কিভাবে একটি অর্থনীতি গড়ে ওঠে এবং কিভাবে এটির পতন হয় । সেখানে লেখক পিটার শিফ এবং অ্যান্ড্রু শিফ একটা গল্পের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াটি দেখিয়েছেন যে কিভাবে আসলেই একটা ছোট দল থেকে পুরো একটা রিপাবলিক গড়ে ওঠে । পুরো অর্থনীতি এগিয়ে চলে এবং এক সময়ে কী কারণে সেটি পতন হয় । মূলত আমেরিকান অর্থনীতি গড়ে ওঠা এবং ২০০৮ সালের পতনের ঘটনা টা খুবই সহজ ভাবে গল্পে দেখানো হয়েছে ।
গল্পটা শুরু হয় ছোট একটা দ্বীপ থেকে । এই দ্বীপের শুরুতে কেবল তিন জন মানুষ বাস করতো । এই তিনজন মানুষ কোথা থেকে এখানে এল সেটা অবশ্য বলা নেই ।

শুরুতে সেটা এমন একটা দ্বীপ ছিল যেখানে কোন কিছুই ছিল না । একেবারে প্রিমিটিভ অবস্থা । সেখানে খাওয়ার মত কেবল মাছ ছিল । ঐ তিনজন মাছ খেয়েই বেঁচে থাকত। এবং তারা দিনে হাত দিয়ে একটার বেশি মাছও ধরতে পারতো না । এই একটা মাছ ধরতেই দিন পার হয়ে যেত । পরের দিন আবারও সেই একই ভাবে একটা মাছ ধরতো । এভাবেই দিন পার করছিল।

তখন তাদের ভেতরে একজন ঠিক করলো যে এভাবে দিন পার না করে সে নতুন কিছু করবে । এমন কিছু যার ফলে সে দিনে একটা নয় দুটো মাছ ধরতে পারবে। অনেক চিন্তা ভাবনা করে একটা জাল তৈরি করলো এবং দেখা গেল সেই জাল ব্যবহার করেই দিনে সে দুইটা করে মাছ ধরতে পারছে । অর্থ্যাৎ একদিন মাছ ধরে সে দুইদিন চলতে পারছে ।

এভাবে পুজি সৃষ্টি করে উৎপাদন বাড়িয়ে ফেলল সে । এভাবে ধীরে ধীরে দ্বীপে আরো নানান জিনিস পত্র তৈরি হতে শুরু করল । এক সময়ে যেখানে কেবল খাওয়ার চিন্তা করতে এখন খাওয়া বাদ দিয়ে আরও অন্যান্য জিনিসের চিন্তা করার সুযোগ তৈরি হল ।

প্রাচীন সমাজ গুলোর দিকে যদি আমরা খেয়াল করি তাহলে দেখা যাবে ঠিক একই ঘটনা ঘটছে । আগে মানুষ কেবল খাওয়ার চিন্তাই করতো । অন্য কোন চিন্তা তাদের মাথায় ছিল না । সকালে ওঠো শিকার কর খাও । এছাড়া প্রকৃতি ও বন্য প্রাণী থেকেও তাদের রক্ষা পাওয়ার চিন্তা ছিল । কিন্তু যখন তারা ধীরে ধীরে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করলো তখন তাদের ভেতরে আরো নানান রকম জিনিস আসতে শুরু করলো । পোশাক বিনোদন এই সব ।

এখন যখন অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি পেতে শুরু করলো তখন নতুন নতুন ঝামেলাও সৃষ্টি হতে শুরু করলো । যখন ঐ দ্বীপে মাত্র তিনজন মানুষ ছিল, একেবারে শুরুর দিকে তখন যে ঝামেলাই নিজেরা আলোচনা করে সমাধান করতে পারতো । কিন্তু লোক সংখ্যা যখন তিন থেকে তিন হাজার তখন কেবল নিজেদের ভেতরে আলোচনা করে সমাধান করার ব্যাপারটা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাড়ালো । তখনই জন্ম নিল রিপাবলিক । দ্বীপে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হল । ঠিক হল যে বারোজনের একটা দল পুরো দ্বীপে সকল সমস্যা আরো ভাল করে বললে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করবে । এবং দ্বীপবাসীরা সেই বারোজনের দলটাকে নির্বাচন করবে । এবং দ্বীপবাসী তাদের আয় করা মাছের কিছু অংশ সেই বারোজনের হাতে তুলে দিবে এবং বারোজন সিদ্ধান্ত নিবে যে দ্বীপের প্রয়োজনের সেই মাছ কোন কোন কাজে খরচ হবে ।
আমরা এখন যেভাবে ট্যাক্স দেই আর কি ! এটার নাম হল ফিসট্যাক্স।

এখন ভোট কারা দিতে পারবে? অর্থ্যাৎ দ্বীপের ঐ বারোজন সিনেটরকে নির্বাচিত করতে কাদের কাদের ভোট নেওয়া হবে?
দ্বীপে থাকা সকলের ভোট?
গল্পে তেমনটা করা হয় নি । সিনেট নির্বাচনে কেবল তাদের ভোটই গ্রহন করা হবে যারা ঐ ফিসট্যাক্স দিবে ! যুক্তিটা হচ্ছে আমি যখন ট্যাক্স দিব তখন আমার মাথায় এই চিন্তা থাকবে যেন আমার টাকাটা সঠিক ভাবে ব্যবহার এবং আমার টাকাকে যে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারবে আমি তাকে তাকেই নির্বাচন করবো । যে কোন টাকা দেয় না, তার মাথায় আসলে এই চিন্তা থাকেও না যে সেই টাকা কিভাবে খরচ হল ।

বইয়ের এই অংশ টুকু পড়ার পরে মনে হল কথাটা কিন্তু একেবারেই ফেলে দেওয়ার মত না । একজন ২০ বছরের ছেলে যে কিনা কোন কর দেয় না অথ্যাৎ সরকার চালাতে যে টাকা লাগে তার কোন অর্থ সে নিজে দেয় না । সেখানে তার নিজের কোন অর্থ নেই নিজের পরিশ্রম নেই । তার কোন চিন্তাও নেই সরকার টাকা কোন ভাবে খরচ করবে ! অন্য দিকে একজন ৩০ বছরের যুবক, যে তার কষ্টের আয় থেকে একটা বড় পরিমান সরকারকে দিচ্ছে । নিজের টাকা ঢালছে তখন তার মনে এই চিন্তা অবশ্যই থাকবে যে আমার টাকা যেন সঠিক ভাবে খরচ হয় ! একজন নির্ভরশীল মানুষ যে কিনা অন্যের উপর নির্ভর করে আছে তার রাষ্ট্র পরিচালনায় কোন ভূমিকা নেই। তার কোন মাথা ব্যাথা যেমন নেই, তার কোন কিছু বদলানোর ক্ষমতাও নেই।
একটা দেশ গঠনে সব থেকে গুরুত্বপূরণ ভূমিকা রাখে সেই দেশের ওয়ার্কফোর্স আরো ভাল করে বললে সেই দেশে উৎপাদনশীল কাজে যারা নিয়োজিত তারা । একটা পুরো দেশের অর্থনীতিই টিকে থাকে এদের উপরে।

এটা কেবলই একটা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখা একটা ভিউ । অনেকের কাছে এটা অদ্ভুত আর অযৌক্তিক মনে হতে পারে বটে কিন্তু বই পড়ার সময় তেমনটা মনে হবে না মোটেও। আমাদের বিশ্বের বেশির ভাগ অর্থনীতি চলে কেইনসিয়ান তত্ত্বের উপরে ভিত্তি করে। যেখানে সঞ্চয় থেকেও খরচ করার উপর বেশি জোর দেওয়া হয়। অথচ এই তত্ত্বটি বয়স শখানেক বছর । তার আগেও আরও কত শত বছর ধরে একটা সমাজ গড়ে উঠেছে টিকে ছিল।

এই বইয়ের লেখক ২০০৮ সালর অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে একেবারে নির্ভুল ভাবে ভবিষ্যৎ বানী করেছিলেন । এই বইটা তার দুই-তিন বছর পরে বের হয়। তখনও এবং এখনও যারা বুঝতে পারেন না যে ২০০৮ সালে মন্দা কেন হয়েছিলো তারা এই বইটা পড়ে দেখতে পারেন। খুব সহজ ভাষার এবং গল্পের ছলে পুরো প্রক্রিয়াটা বর্ণনা করা হয়েছে। ইংরেজিটা পড়তে পারেন আবার বইটার একটা বাংলা সংস্করণও বের হয়েছে সম্প্রতি। অর্থনীতি নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে, তারা পড়ে দেখতে পারেন।

বইটির বাংলা ও ইংরেজি দুটো ভার্শনই পাবেন এই পেইজ থেকে।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪

এম ডি মুসা বলেছেন: ভোট কি দেবে যদি ভোট দিয়ে দেশের সমস্যা সমাধান না হয় তাহলে কি হবে লাভ আছে

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭

অপু তানভীর বলেছেন: দেশ যেহেতু জনগনের টাকায় চলে, এই ভোট দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত তাদের থাকা উচিৎ। সঠিক এবং সুষ্ঠ ভাবে ভোট হলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭

সোনালি কাবিন বলেছেন: ভেবে দেখার মত বিষয় তুলে ধরেছেন। মাথা চুলকানোর ইমো থাকলে ভালো হইত।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১০

অপু তানভীর বলেছেন: দেশ চলে জনগনের টাকাতেই কিন্তু। এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার আর কিছু নেই। আমি যদি আমাকে দিয়েই চিন্তা করি আমি যেভাবে আমার বাপের টাকা উড়াতাম সেভাবে কিন্তু আমি নিজের আয়কৃত টাকা উড়াতে পারি না । কারণ আমি জানি টাকা আয় করতে কত কষ্ট লাগে।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২০

আরইউ বলেছেন:




গল্পে, প্রশ্নে বইয়ের রিভ্যু ভালো হয়েছে। বইয়ের নাম, লেখক কোথায় কিনতে পাওয়া যায় তার লিংক পোস্টের শেষে যোগ করে দিলে ভালো হতো।

কোথায় জানি শুনেছিলাম গনতন্ত্রে মাথা গোনা হয় মাথার ভেতরে কী আছে তা নয়। গনতন্ত্রের কথা বলতে গেলে সবারই তো ভোট দেয়ার অধিকার থাকা উচিত! যারা আয় করেনা, ধরুন, এখনো পড়ালেখা করছে তাদেরও তো দেশের ভালো-মন্দে আগ্রহ আছে।

ভালো থাকুন, অপু!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮

অপু তানভীর বলেছেন: কেইনশিয়ান থিউরিতে কিন্তু এই প্রতি মাথাই গুরুত্বপূর্ণ । তারা আয়ের থেকে খরচের দিকে বেশি মনযোগ দেয়।
কথা বলা এক জিনিস আর শাসক নির্বাচন আরেক জিনিস। কথা বলুক কিন্তু শাসক নির্বাচনের অধিকার কি সকলের থাকা উচিৎ? বিশেষ করে অর্থনীতি দষ্টিকোণ থেকে যদি ব্যাপারটা চিন্তা করে দেখেন তখন?
অর্থনীতি দিয়ে চিন্তা করে দেখেন তাহলে সব কিছু অন্য রকম মনে হবে।

যে পড়াশোনা করছে, সেই দেশ নিয়ে ভাল মন্দ চিন্তা করবে, করুক কিন্তু তার সেই চিন্তা দিয়ে আসলে কাজ কী? যে যত সময় না নিজের সেই চিন্তা কাজে লাগাতে পারছে আরও ভাল করে বললে কাজ করে উৎপাদন /সেবা খাতে না যেতে পারছে তার দেশের মঙ্গল চিন্তা দিয়ে আসলে কোন লাভ হচ্ছে না। কিন্তু যখন থেকে ওয়ার্কফোর্সে যোগ দিবে ঠিক তখন থেকে তার চিন্তা এবং কাজ দেশের জন্য উপকারি !

বইয়ের নাম আর লেখকের নাম পোস্টের ভেতরেই আছে । অনুবাদকের নাম অবশ্য দিলাম না। পেইজের লিংকটা শেষে যুক্ত করে দিলাম।

ভাল থাকুন সব সময়।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি এখন পর্যন্ত যতগুলো প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি তার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন দুটি প্রশ্ন হলো-

১: সবার কি ভোট দেওয়ার ক্ষমতা থাকা উচিৎ?
২: এটা দেশের সরকার নির্বাচনে জন্য সবচেয়ে সঠিক পদ্ধতি কোনটি?

আমি প্রশ্নগুলো উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছি।

আরইউ বলেছেন- , গনতন্ত্রে মাথা গোনা হয় মাথার ভেতরে কী আছে তা নয়। =p~

গণতন্ত্র কোন কালেই আমার কাছে সহিহ তন্ত্র মনে হয়নি।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: গনতন্ত্রের থেকে ভাল কোন পদ্ধতি আসলেই কি আছে? তবে হ্যা এটাও সত্য যে গনতন্ত্রে সুফল পেতে হলে দেশের মানুষকে সভ্য হতে হবে।
সব দেশের জন্য হয়তো এই গনতন্ত্র সঠিক পদ্ধতি নাও হতে পারে।

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৭

হাসান রাজু বলেছেন: প্রথমেই বলে নিই, শোনা কথা। তাই কোন তথ্য উপাত্ত দিতে পারব না।
ব্রিটিশ আমলে। দেশের পৌরসভা নির্বাচনে শুধু তারাই ভোট দিতে পারত যারা কর।দিত। যুক্তি ছিল, যারা পৌরকর দেয় তারা তাদের কষ্টের টাকা কিভাবে খরচ হবে সে ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সচেতন হবেন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২১

অপু তানভীর বলেছেন: এই বইয়ের লেখকও খানিকটা সেই হিসাবেই চিন্তা করেছেন

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৩

আরইউ বলেছেন:




আমি আপনার আর্গুমেন্ট বুঝতে পারছি, অপু, এন্ড আই রেসপেক্ট ইট। কিন্তু, আপনি ভোট দেয়াকে শুধু অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন। আপনি Pareto principle বা ৮০-২০ রুল সম্পর্কে জানেন? সরলিকরণ করছি বাট, এই রুল মতে ২০% জনগন দেশের ৮০% অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে/উন্নতিতে অংশগ্রহন করে। আপনি যদি শুধু অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখেন তাহলে আমি আর্গু কর‌তে পারি শাসক নির্বাচনের অধিকার শুধু ঐ ২০% এর থাকা উচিত। অনেকে বলবেন, না ঐ ২০% ও বেশি হয়ে যায়, ঐ ২০% এর ২০% যারা সর্বোচ্চ ৮০% কনট্রিবিউট করেন তারাই নির্বাচন করবেন শাসক গোষ্ঠি!

ভোটিং, ভোটিং পাওয়ার, এর পেছনের ম্যাথমেটিক্স এসব নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক আছে। আপনার এবং @জ্যাক-এর এ বিষয়ে আগ্রহ দেখে ১টা লেখা এখানে দিচ্ছি। সময় পেলে পড়ে দেখবেন। ম্যাথ/স্টাট পার্টটুকু একটু টেকনিকাল। বাদ দিয়ে পড়লেও ভালোলাগার কথা।

The Mathematics and Statistics of Voting Power

@জ্যাক, আমি আপনার সাথে কিছুটা সহমত। কিন্তু, গনতন্ত্রের চেয়ে ভালো বিকল্পও তো দেখিনা!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: ডাউনলোড করে দিলাম । পড়ে দেখব যদিও কবে পড়তে পারবো সেটা একটা বিবেচনার বিষয় ।

হ্যা অবশ্যই আমি এখানে কেবম মাত্রই অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকেই এটা বিচার করেছি। অন্য কিছু বিচার করি নি।

অবশ্য বইয়ের কেবল একটা অংশের নিয়ে আজকের এই পোস্ট । পুরো বইটা আমেরিকা কিভাবে এতো বড় সুপার পাওয়ার হয়ে উঠলো সেটার একসা সহজ গল্পের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে এবং ২০০৮ সালের মন্দা কেন হয়েছিলো সেটা নিয়ে বলা হয়েছে । সময় থাকলে বইটা পড়তে পারেন।

৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: গনতন্ত্রের থেকে ভাল কোন পদ্ধতি আসলেই কি আছে? তবে হ্যা এটাও সত্য যে গনতন্ত্রে সুফল পেতে হলে দেশের মানুষকে সভ্য হতে হবে। সব দেশের জন্য হয়তো এই গনতন্ত্র সঠিক পদ্ধতি নাও হতে পারে। -

একমত, আসলে সব পদ্ধতি সব জাতির জন্য সমানভাবে কার্যকর নাও হতে পারে। গণতন্ত্রের কথা যদি বলেন তাহলে আমি বলবো তৃতীয় বিশ্বের জন্য গণতন্ত্র খুবই বিপদজনক এবং ভুল একটি পদ্ধতি, এই পদ্ধতি দ্বারা অযোগ্য এবং দূর্জন লোকজন ক্ষমতায় আসতে পারে। তৃতীয় বিশ্বে গণতন্ত্র এখন পর্যন্ত পরিক্ষিত পর্যায়েই রয়েছে, সময়ের সাথে সাথে বুঝা যাবে এটি আসলেই কতটা কার্যকর একটি পদ্ধতি।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: এর থেকে কার্যকর পদ্ধতি বের হবে না। সমাজতন্ত্র নিয়ে অনেকে বড় আশা দেখে কিন্তু বাস্তবে সমাজতন্ত্র আরো ভয়ংকর।

৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আরইউ - আর যে কারণে আমি বলেছি উক্ত প্রশ্নটি আমার কাছে খুবই কঠিন একটি প্রশ্ন আমিও এর উত্তর খুঁজছি।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৯

অপু তানভীর বলেছেন: কোন দিন সম্ভবত উত্তর পাবেন না

৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২২

এম ডি মুসা বলেছেন: সুষ্ঠু অনেক ভোট দিয়েছে মানুষ ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, চেহারা বদলে গেছে! আপনি নতুন করে এই মানুষ কে বিশ্বস্ত করতে পারবেন না। যে ভালো এমনিতেই ভালো ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

অপু তানভীর বলেছেন: বদলে যায় নি বরং আসল রূপ বের হয়েছে। ক্ষমতা আর টাকা মানুষের আসল রূপ বের করে নিয়ে আসে ।

১০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪১

আরইউ বলেছেন:




বইটি সংগ্রহ করবো। পড়ার আগ্রহ পাচ্ছি। ধন্যবাদ বইটি নিয়ে লেখার জন্য।

@জ্যাক, বুলস আই। ৩য় বিশ্বের দলগুলোতেই গনতন্ত্র থাকেনা, সেখানে সফলভাবে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার শাসক নির্বাচন কীভাবে হবে!

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫১

অপু তানভীর বলেছেন: বইটা দ্রুত সংগ্রহ করে পড়ে ফেলুন। সম্ভব হলে অনুবাদটা সংগ্রহ করুন । তাহলে একটা সারপ্রাইজ পাবেন।

১১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আমেরিকায় বাড়ী গাড়ী ইত্যাদি বড় এমাউন্টের জিনিষ সবার কাছে একই মুল্যে বিক্রি হয় না।
সু নাগরিকরা অনেক কম মুল্যে কিনতে পারে।
সু নাগরিক মানে, সরকারকে ভালো ট্যাক্স দেয়, ভাল ক্রেডিট স্কোর। ভাল ব্যাকগ্রাউন্ড। মানে, দির্ঘদিন ভাল ইনকাম, যারা ইউটিলিটি বিল। ক্রেডিড বিল বকেয়া রাখে না। ঋনের কিস্তি যথাসময়ে দেয়, কখনো গ্রেফতার হয় নি, মাতলামি কম, ট্রাফিক আইন কম ভংগ করেছেন।
এরা অনেক কম মুল্যে বাড়ী গাড়ীকিনতে পারে। কারন ব্যাঙ্ক এদেরকে কম ইনটারেষ্টে এবং উইদাউট মর্টগেজ ইনশুরেন্সে দিয়ে দেয় বিনা দ্বিধায়।
সেরকম ভাবে সু নাগরিকদের ভোট দেওয়ার ক্ষমতা কিছুটা বেশি (২ বা অধিক) থাকতে পারে।
সমাজ বিজ্ঞানী রাষ্ট্র বিজ্ঞানীদের গবেষনার দরকার কাছে।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫২

অপু তানভীর বলেছেন: কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সুনাগরিকের সংজ্ঞা একেক জনের কাছে একের রকম । তাহলে তো বিপদ হয়ে যাবে কে সুনাগরিক !

১২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৮

রানার ব্লগ বলেছেন: সবার কি ভোট দেওয়ার ক্ষমতা থাকা উচিৎ!

এই প্রশ্নের জবাব দিতে গেলে ঠগ বাছতে গাঁ উজার হয়ে যাবে ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: হবে না। অন্তত যদি অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন এবং একটা দেশ যদি নাগরিকদের করেই চলে তাহলে কোন সমস্যা হবে না।

১৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪

আহলান বলেছেন: আসলে স্থান কাল পাত্র ভেদে প্রয়োজনও রুপ বদলায়।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: সব সময় কিছুর সাথে বদলায়

১৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩০

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: চমৎকার বেশ কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। আসলেই তো ঠিক, ইয়ং যুবক ভোটারদের তো তেমন কোন রাষ্ট্রের দায় নেই। নেই কোন মাথা ব্যথা। তারা তাদের মতই ব্যস্ত। দেশে কী হচ্ছে, না হচ্ছে তার কিঞ্চিত ধারণাও তাদের থাকে না। তাহলে তাদের ভোট দেওয়ার সুবিধা কী! সুবিধা তাদের হচ্ছে। অসুবিধা রাষ্ট্রের হচ্ছে। যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে ব্যর্থ হচ্ছে...
খুব তৃপ্তি পেলাম পড়ে।
যদিও দুইবার গিয়েও ভোট দিতে পারিনি এইবার। কেন্দ্রে গোলাগুলির কারণে।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০১

অপু তানভীর বলেছেন: আমি এইবার নিয়ে তিনবার ভোট দিতে পারি নি । সেটা নিয়ে এখন আর কোন মন খারাপ হয় না। ভ্যাট ট্যাক্স বন্ধ করে দিতে পারলে ভাল হত। কিন্তু সেটা আর করতে পারছি কই । এটা বন্ধ করে দিতে পারলে তখন আর মন খারাপ হত না। আমার টাকায় দেশ চলছে না যা হয় হোক। অথচ দেখেন দেশ চালাতে আমি টাকাও দিচ্ছি অথচ আমার সেই অধিকারও দেওয়া হচ্ছে না।

১৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

বাউন্ডেলে বলেছেন: সময়ের বিবর্তনে গনতন্ত্র উন্নত ও আরো বেশী ভোটার বান্ধব হলে, পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। খেলার মাঠে প্রাকটিস খেলায় আমাদের এক কোচ বড় ভাই ক্যাপ্টেন নির্বাচন করতেন গোপন পছন্দ ভোটে। এ পদ্ধতিতে নিজের নাম বাদ দিয়ে বাকি ১০ জনের মধ্য থেকে যে কোন একজনের নাম লিখতে হতো। আমি দেখেছি এটাতে ৮০% শতাংশেরও বেশী সঠিক সিদ্ধান্ত আসে। সমস্যা বয়স বা ট্যাক্স নয়, সমস্যা নৈতিক “শিক্ষা” এবং “শিক্ষা” “শিক্ষা” “শিক্ষা” ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: দেখেন আপনিই নিজেই এই পোস্টের পয়েন্টের সাথে মিল রেখে উদাহরণ দিলেন । এবার ভাবুন দেখি ক্যাপ্টেন নির্বাচনে আপনাদের দলের বাইরে আমি গিয়ে বললাম আমিও এই নির্বাচনে অংশ নিব। তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে?
অথচ দেখেন আমি না আপনাদের খেলার কোন অংশ, না টিমমেম্বার। এমন কি যদি দর্শকরা এসে ভোটে অংশ নিতে চাইতো তাহলে ব্যাপারটা যুক্তিসঙ্গত হত? হত না ।
আমার পয়েন্টাও তাই। যারা কোন আয় করে না তারা আসলে খেলার কোন অংশ না। কেবল যারা খেলার অংশ তাদেরই ভোট দানের অধিকার থাকা উচিৎ।

১৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩১

নতুন বলেছেন: সমাধান শিক্ষা, শিক্ষা, শিক্ষা

মানুষের জ্ঞান থাকলেই সঠিক সিন্ধান্ত নিতে পারে।

আপনি যেমন খেলার টিমের ক্যাপ্টেন নির্বাচনে শুধুই ঐ দলের সদস্যদের ভোট নেবেন।

তেমনি রাজনিতিকরা যেহেতু আমাদের সবার জন্যই কাজ করবে তাই সবরাই ভোট নিতে হবে।

আমাদের দেশের মতন কম শিক্ষিত/জ্ঞানী জাতীর জন্য অবশ্যই গনতন্ত্র কার্যকর না। আয়ামীলগ/বিএনপির অনুসারীরা বিশ্বাস করে হাসিনা/খালেদা ই নেতা তার ছেলে মেয়ে রাই পরের নেতা..... তারা অন্যদের ভোট দিতে দেবে না যদি পাকি/ভারতের অনুসারীরা ক্ষমতায় আসে? <<< অর্থ হইলো দেশের রাজনিতিক দল এবং অনুসারীরা নিজেরাই গনতন্ত্রের উপরে বিশ্বাস নাই।

বাংলাদেশের একজন ভালো একনায়ক দরকার। কিন্তু সেটা অসম্ভব ব্যাপার। /:)

তাই দেশের ভবিষ্যত কি হবে সেটা নিয়ে ভাবনা চিন্তা কইরা কুল কিনারা পাবার সম্ভবনা নাই। B-)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৪

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের দেশের গনতন্ত্র অনেকটাই ধর্মীয় বিশ্বাসের মতই । একটা বসিয়ে দেওয়া বিশ্বাস থেকে তারা বের হতে পারছে না। যতদিন না পারবে ততদিন সত্যিই কার্যকর হবে না।

আমাদের দেশের জন্য একনায়ক তন্ত্র আরো ভয়ংকর হবে । বাঙালির রক্তের ভেতরেই এমন কিছু আছে যা ক্ষমতা পেলে কুলষিত হয়ে যায়।

১৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: জাতিসংঘ সনদে আছে ১৮ বছর বয়স হলে মতামত দেয়ার উপযুক্ত হয়।তাই বিয়ে বা ভোট দেয়া বা মতামত দেয়ার জন্য ১৮ বছর ধরা হয়।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৫

অপু তানভীর বলেছেন: একটা ১৮ বছরের বেকার ছেলে দেশের কোন উপকারে আসে না।

১৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: টাকার খেল থেকে বের হতে না পারলে গনতন্ত্র কার্যকর হবে না।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৭

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের দেশে ভোটাররা কোন কালেই কিছু পায় না। ভোটের সময়ে এই যা পেল সেটাই বা কম কিসের । তভে অবস্থার উন্নতি হলে এটাও বদলে যাবে।

১৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




বুক রিভিউ সুন্দর হয়েছ।
করদাতার উপর ভিত্তি করে ভোট দানের ক্ষমতা দানের আইডিয়াটা মন্দ নয় ।
১৭ কোটি মানুষের দেশে মাত্র ১ শতাংশ মানুষ বার্ষিক রিটার্ন জমা দিয়ে আয়কর দেন।
বাংলাদেশের জিডিপির আকার যত, এর মাত্র পৌনে ৯ শতাংশের কম আসে কর থেকে।
অথচ পার্শ্ববর্তী নেপালে জিডিপির মোট ২১ শতাংশের মতো কর থেকে আসে, যা দক্ষিণ
এশিয়ায় সর্বোচ্চ।
যে ভাবেই হোক করদাতার সংখ্যাটি বাড়াতে হবে । দেশে বর্তমানে টিআইএন ধারী মানুষের সংখ্যা ৮৮ লাখ ।
এর মধ্যে গত অর্থ বছরে মাত্র ৩৫ লাখের মত অর্থাত এক তৃতীয়াংশ মানুষ আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন ।

তাই এনবি আর এর তালিকাভুক্ত করদাতাকে ভোটদানের ক্ষমতা দেয়া হলে দেখা যাবে দুই তৃতীয়াংশ ফাকিবাজ
মানুষ ভোটদানের ক্ষমতা পেয়ে যাবেন ।এদের দ্বারা নির্বাচিত মানুষ কারা হবেন তাতো বুঝাই যাচ্ছে। তাই সমস্যা
সবদিকেই ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কর দেওয়ার জটিল প্রক্রিয়া এবং হয়রানির ভয়ে এ দেশের নাগরিকেরা করযোগ্য আয়
থাকলেও কর দিতে আগ্রহ বোধ করেন না। তবে বড় অংশই আয়কর ফাঁকি দেন। আবার অনেকে আয়করের
বিনিময়ে সরকারি সেবা কম পাওয়ার কথাও বলেন। দেশে আয়করদাতার সংখ্যা কম বলেই শুল্ক ও ভ্যাট
আদায়ে বেশি চাপ দেওয়া হয়। যেমন সাবানের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর নানা পর্যায়ে ভ্যাট আরোপ
আছে। অথচ ধনী-গরিব সবাই সাবান ব্যবহার করেন। ফলে ভ্যাটের মতো পরোক্ষ করের মাধ্যমে দেশের প্রায়
শতভাগ মানুষই পরোক্ষভাবে কর প্রদান করেন।তাই পরোক্ষ কর কমিয়ে দেশের গবীবকে বাঁচিয়ে অপেক্ষাকৃত
বিত্তবানদেরকে কীভাবে কর প্রদানে আগ্রহী ও বাধ্য করা যায় সে বিষয়টি সুরাহা করে ভোট দানের ক্ষমতাদারী
মানুষের কথা বিবেচনা করা যায় ।

শুভেচ্ছা রইল

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৬

অপু তানভীর বলেছেন: ভ্যাটের হিসাব আমারও মনে হয়েছে। মনে হয়েছে সবাই তো জিনিস পত্র কেনার সময় ভ্যাট দিচ্ছে সেটাই তো হয়। অথচ দেখেন সেটা তো তার নিজের আয় না। যেমন ধরেন, একটা পরিবারে চারজনের ভেতরে একজন কর্মক্ষম । বাবা আয় করে। মা ছেলে মেয়ে তার উপর নির্ভর করে। এখন ছেলে বাজার থেকে বিস্কুট কিনলে সেই টাকা তো আসে বাবার আয় থেকে, ভ্যাটটাও আসছে বাবার পকেট থেকেই । এখানে ছেলে তো আর কর দাতা হল না । কর তো আসছে বাবার কাছ থেকে, সেই করদাতা ।

আমাদের ভোটার সংখ্যা প্রায় বার কোটি। কাজ করছে সাড়ে চারকোটি। এখন এই যে সাড়ে চারকোটি ওয়ার্কফোর্স, এরাই কিন্তু দেশ চালাচ্ছে, ঐ বাদবাকি সাতকোটির থেকে এরা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ন । হ্যা কেইনশিয়ান অর্থনীতিবিদের মতে এই সাতকোটিই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এরা ভোগ করছে, এদের জন্যই উৎপাদ হচ্ছে, এবং সেই উৎপাদনের কারণে অর্থনীতির চাকা চলছে।
অথচ ব্যাপারটা অন্য ভাবে ভেবে দেখুন, যদি এই সাতকোটি নাও থাকতো তাহলে কি অর্থনীতির চাকা চলতো না, দেশ চলতো না?
চলতো খুব ভাল ভাবেই। কারণ সাড়ে চারকোটি ওয়ার্কফোর্স আছে, তাদের নিজেদের জন্য কাজ করতে পারবে উৎপাদন করতে পারবে। এই সাতে চারকোটি যদি না থাকে তাহলে কিন্তু দেশ চলবে না।

২০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:২৭

আলামিন১০৪ বলেছেন: আমার মতে, সততা আর শিক্ষা না থাকলে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া উচিত

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪২

অপু তানভীর বলেছেন: সততা কিভাবে আছে সেটা কিভাবে ঠিক করা হবে? এমন কোন নির্দিষ্ট উপায় কি আছে ?

২১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১১

শার্দূল ২২ বলেছেন: ভোট কারা দিতে পারবে সেটা আমি কোন একটা মন্তব্যে বলেছিলাম। যদিও আমি আপনার মত এত ল্যবরেটরি টেস্ট করে বলিনি কিন্তু আপনার ফলাফল অনেকটা আমার মন্তব্যের মতই।

আমি কিছুদিন আগে রুয়ান্ডার ইতিহাস আর বর্তমান পড়ে আমার মনে হয়েছে একটা দেশকে তুলে আনতে হলে একটু কঠিন কঠোর হতে হয়। যখন জনগণের চিন্তায় না কুলায় দেশকে তুলে আনতে তখন কিছু জ্ঞানি লোকের হাতে চোখ বন্ধ করে ছেড়ে দিতে হয়। যারা আসলেই দেশকে ভালোবাসে এবং মেধাবী। রুয়ান্ডা এমনি করেছিলো। আজকে রুয়ান্ডাকে আফ্রিকার সিঙ্গাপুর বলা হয়।তাদের জিডিপি সিঙাপুর কে ছুই ছুই অবস্থা।

আমাদের দেশে যার বুড়ো আঙ্গুল আছে আর যার বয়স ১৮ সেই ভোট দিতে পারে। এই ভোটার বুড় আঙ্গুল দেখিয়ে যাকে তাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিচ্ছে আবার যাকে তাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিচ্ছে। একজন ভোটারের ভোটে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং শিক্ষানীতি শানিত হয় কিন্তু মজার ব্যপার হলো সেই ব্যক্তি নিজেই শিক্ষিত না। সুতরাং একজন ভোটারকে অবশ্যই ২৫ বছর বয়স হতে হবে সেই সাথে ন্যুনতম এইছএসসি সনদ ধারী হতে হবে, তাতেই ক্ষমতায় আসবে সেই লোক যার দেশ চালানোর ক্ষমতা আছে।

আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এই গনতন্ত্রের সুবিধা একটা দেশের কতটুকু আর বিদেশি মোড়লদের কতটুকু। যেসব দেশে গনতন্ত্র নেই সেসব দেশে মোড়লদের সামরিক ঘাটি করে রাখতে হয় । আর যেসব দেশে গনতন্ত্র আছে সেসব দেশ ব্ল্যাক হাউজ কালার হাউজ এ বসে থেকেই হাস মুরগি পাঠিয়ে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব, শুধু বেকুবদের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে হবে তোমার পেটে ভাত আছে কি নাই তার চেয়ে বড় কথা তোমার বুড় আঙ্গুলের ব্যবহার কিন্তু করতে পারছোনা। সেই বলদ তার বুড় আঙ্গুল মাথার উপর তুলে রাস্তায় বের হয়ে যাবে গাড়ি ভাংবে। আর দুষ্ট লোকের পকেট ভারি করে খালি পেটে বাড়ি চলে যাবে।

একটা দেশের ফুশ ফুশ হলো তার যোগাযোগ ব্যবস্থা। যেই দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত সেই দেশ তত বেশি উন্নত। মানুষ কিছুদিন কষ্টে জীবন যাপন করে হলেও একটা সরকারকে এসব দিক দিয়ে কাজ করার সুযোগ দেয়া উচিৎ। যেমন ধরুন মেট্রো রেল এর কারণে ঢাকা মতিঝিল যেই দিয়া বাড়িও এখন সেই, গুলশানে হাজার কোটি টাকার বাড়ি না বানিয়ে এখন রুপগঞ্জে কম টাকায় ডুপ্লেক্স বাড়ি বানাতে পারবে অনেকেই, তাতে করে মানুষের অর্থনৈতিক সুবিধা হবে । কৃষক তার পন্য খুব দ্রুত নগরে পৌছে দিলে মানুষ খেয়ে বাঁচবে। ইত্যাদি ইত্যাদি।

আপনার পোষ্টের সাথে আমার মন্তব্য সঙ্গত কিনা জানিনা তবে শেষ কথা ভোট একটা গুরুত্বপুর্ন আমানত। এটা যার তার হাতে সময়ের আগে তুলে দেয়া আত্মহত্যার সামিল।

শুভ কামনা

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৫

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ শেষ কবে ভোট দিয়েছিলো সেটা তাদের কাছে ঠিক মত মনে আছে বলে মনে হয় না। তাই হয়তো অনেকেই এই ভোট দানের গুরুত্বটা আর বুঝতেই পারবে না। এমন অনেক মানুষই আপনি পাবেন যারা আসলে জীবনে কোন ভোটই দিতে পারে নি। একটা দেশে ভোট যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমরা আর আদৌও বুঝতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না সহসাই।
তবে ১৮ হলেই ভোট দানের যোগ্যতার বিপক্ষে আমি ।

২২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: গণতন্ত্র চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ভোটাধিকার প্রয়োগের বিকল্প নেই। এই ভোটাধিকার প্রয়োগ হতে হবে অবাধ এবং মুক্ত, স্বচ্ছ ও ভয়-ভীতিহীন পরিবেশে। ভোটারদের শিক্ষাগত কিংবা অন্য কোন বৈষম্যমূলক যোগ্যতা বেঁধে দেওয়াটা নিখাদ গণতন্ত্রের স্পিরিটের পরিপন্থী।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: গণতন্ত্রের স্পিরিটের পরিপন্থী এই মানদণ্ডটা অবশ্য আমাদের বর্তমান সমসাময়িক মনভাব থেকেই তৈরি হয়েছে । সবাইকে ভোট দিতে হবে । অথচ একটা দেশের টিকে থাকার পেছনে এই সকলের ভূমিকা সমান থাকে না । কারো কারো তো থাকেই একেবারে। সেই হিসাবে যদি চিন্তা করে দেখেন তাহলে হয়তো অন্য কিছু মনে হলেও হতে পারে।
আর ১৮ বছর যেখানে একটা নিয়ম বেঁধে দেওয়া আছে সেটা যদি সঠিক হয় তাহলে কর যুক্ত করলে সমস্যা কেন হবে?
ব্যাপারটা যদি এমন হত যে জন্মের পর থেকেই সবাই ভোট দিবে তাহলে বোঝা যেত সকলকে নেওয়া হচ্ছে কোন বাঁধা ধরা নিয়ম নেই । কিন্তু ১৮ বছর নিয়ম যুক্ত করা যুক্তিযুক্ত মনে হয়, আমার কাছে তো করের যুক্তিটা আরো বেশি ভাল হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.