নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি দেশ,একটি তর্জনী আর আড়ালে একজন মানুষ

২২ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩





আমি লিখতে পারি না । লেখক হবার মত গুন আমার নেই । শুধু মনের কথা গুলো কে একটু প্রাণ দেয়ার চেষ্টা করি ।

বাংলাদেশ, হ্যা আমার আপনার সবার দেশ । প্রিয় মাতৃভূমি বলি, মা, মাটি দেশ । কিন্তু এদেশ একদিনে আসেনি । হয়নি সব কিছু জাদুকর এর কোন জাদুতে তৈরি । এসেছে বহু রক্তের বিনিময় এ । দিতে হয়েছে অনেক মূল্য । যাদের ঋণ কোন দিন শোধ করা যাবে না । না আমি না আপনি এই ঋণ শোধ করতে পারব । তবে হ্যা কিছু হলেই ঋন এর বোঝা কমাতে পারব আর তা হচ্ছে দেশের জন্য যদি কিছু করে যেতে পারি । দেশের মানুষ এর জন্য যদি কিছু করা যায় ।

আসলে লিখছি একটা বুক রিভিউ । হ্যা বই পড়েছি সেটার অভিব্যক্তি লেখার চেষ্টা করা । " সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ " বইয়ের কথা বলছি । বইয়ের কয়েক পাতা পড়ার পর বাসা চেঞ্জ করি । তারপর চাকরি থেকে সময় ও বের হচ্ছিল না । তাই শেষ ও করতে পারছিলাম না । কিন্তু অসুস্থ শরীর যেন আমাকে সুযোগ করে দিল বইটা পড়ার । তাই শেষ করে বসে গেলাম রিভিউ দিতে । কিন্তু রিভিউ লেখা তো সম্ভব না । এই বইয়ের রিভিউ আমার মত নগন্য মানুষ এর পক্ষে সম্ভব না ।

একজন মানুষ যিনি দেশে কে ভালবেসে । শুধু দেশ, দেশ আর দেশ এটাই ভেবেছেন । ছুটে বেরিয়েছেন এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে শুধু মাত্র দেশের জন্য । কিন্তু সেই দেশেই তাকেই নৃশংস ভাবে হত্যা হতে হয় । তর্জনী উচু করে যে মানুষ টা এনে দিয়েছে স্বাধীনতা সেই মানুষ টাই রক্ত দিতে হয়েছে দেশের কথা ভেবেছেন বলে । হ্যা তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । তিনি এই স্বাধীনতার কারিগর ।

বঙ্গবন্ধুর ডাকে যখন সাড়া দেশ উত্তাল । ২৫ শে মার্চ এরপর তিনি গ্রেফতার হন । সবাই যখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত আর একজন মানুষ তখন আড়াল থেকে সব কিছুর দায়িত্ব নিয়ে গড়ে চলেছেন এক দেশ । হ্যা তিনি এক যুদ্ধরত দেশের প্রতিনিধি । লড়াই করছেন এক অসম শক্তির বিরুদ্ধে । না শুধু পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নয়, লড়াই করছেন অদৃশ্য এক শক্তির বিরুদ্ধে । যে শক্তি প্রতিদিন ই তাকে সরিয়ে নিতে চাইছে লক্ষ্য থেকে । সব শক্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জয় করা মানুষটির নাম তাজউদ্দীন আহমদ । তিনি হচ্ছেন সেই মানুষ যাকে সব সময় আড়ালে ই থাকতে হয়েছে । যিনি বঙ্গবন্ধুর ছায়ায় থেকেছেন সব সময় । কখনো তাকে এই বিষয়টি ভাবায়নি । তিনি সব সময় থেকেছেন বঙ্গবন্ধুর পিছনে, তার ছায়ার সঙ্গী হয়ে ।

তাজউদ্দীন আহমেদ ইতিহাস এর সেই মানুষ যিনি সব করেও কিছুই করেন্নি । যিনি সব কিছু শেষ হওয়ার পর ও নতুন ভাবে নিজেকে সাজিয়েছেন । যাকে বাংলার মানুষ বঙ্গতাজ নামেই চেনে । সেই মানুষটিকেও বাচাতে পারেনি তার সততা । তার ত্যাগ আর নিষ্ঠা তাকে কক্ষ পথ থেকে বিন্দু মাত্র সরাতে পারেনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত । অথচ যার হওয়ার কথা ছিল বাংলার মুকুট । যিনি গড়তে পারতেন এই বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ । তাকেসহ বাচাতে পারেনি আরো তিন নক্ষত্র কে । যারা নীতি আর আদর্শ থেকে এক বিন্দু পরিমাণ ও সরেননি ।

দেশ তুমি সত্যি বড় কঠোর ছিল । তোমাকে রক্ষায় যারা ছিল অগ্রজ । সেই তাদের ই রক্তে তুমি ভিজেছ বার বার । একটু কি কষ্ট লাগেনি ।

বইটা পড়ে শুধু মনে হয়েছে, দেশ মনে রাখে তাদের ই যারা রক্ত দিয়েছে । জীবিতদের ঠাই নেই ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


" সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ " বইয়ের কথা বলছি । "

-কে লিখেছেন বইটি?

আমি পড়িনি; আন্দাজে মনে হচ্ছে তাজুদ্দিন সাহেব? উনি খুবই কমবুদ্ধিমান মানুষ ছিলেন; জায়গা দখল করে ছিলেন, কাজের কাজ কিছুই করেননি।

২২ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: সুহান রিজওয়ান
তবে তাজউদ্দিন কম বুদ্ধির লোক ছিলেন এটা মানতে পারলাম না ।
কিন্তু তার আস্থা আর বিশ্বাস ছিল সবার উপর । কিন্তু তিনি যেটা চেয়েছিলেন সেটা করতে পারেন নি ।।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন,
"তবে তাজউদ্দিন কম বুদ্ধির লোক ছিলেন এটা মানতে পারলাম না ।
কিন্তু তার আস্থা আর বিশ্বাস ছিল সবার উপর । কিন্তু তিনি যেটা চেয়েছিলেন সেটা করতে পারেন নি ।। "

-মানতে পারছেন না, কারণ তালগাছটা আপনার থাকতেই হবে!
-শেখ সাহেবকে হত্যা করার পর, উনি কি ডিম পাড়তে বাসায় বসে ছিলেন? বুদ্ধিমান মানুষ এভাবে হায়েনাদের হাতে পড়ে?

২২ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: বিচার মানি তাল গাছ আমার এই নীতিতে আমি বিশ্বাসী না ।

আপনার বোদ হয় মনে নেই শেখ সাহেব কে মারার আগেই চার নেতার বাড়ি আক্রমণ এর প্ল্যান করা হয়েছিল । তিনি চাইলে হয়ত পালাতে পারতেন । এই প্রসঙ্গ এ আমি যাচ্ছি না । কিন্তু তখন পালাতে চাইলেও হয়ত পালাতে পারতেন না । কারণ ইতিহাস তাই বলে ।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পালিয়েছেন কারণ শেখ সাহেব বলেই গিয়েছেন এক সাথে সবার ধরা পরা যুক্তিসংগত না । কিন্তু স্বাধীন হওয়ার পর পট পরিবর্তন হয় । হায়েনাদের হাত থেকে রক্ষা পাবেন সেটা মনে হয় না । যেভাবেই হোক তাকে খুজে মারা হতো ।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:০২

সালমান মাহফুজ বলেছেন: পারছি না, পারছি না -- বলেও বেশ লিখেছেন । পড়ে ফেলেছি একদমে ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: ধন্যবাদ

চেষ্টা করলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.