নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক যে ছিল মুগ্ধকর (হুমায়ূন আহমেদ) - শাকুর মজিদ (বুক রিভিউ)

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৮



"চরণ ধরিতে দিয়োগো আমারে
নিয়ো না, নিয়ো না সরায়ে।


কোন কোন সময় মনে হয় বাংলাদেশের বইপ্রেমী যারা আছেন তারা বইয়ের প্রতি আগ্রহী হয়েছেন কিভাবে। সবার ক্ষেত্রে বিষয়টি এক নয়৷ দেখা যায় কেউ কেউ তিন গোয়েন্দা, মাসুদ রানা, এসব পরে বড় হয়েছেন। আবার কেউ সুনীল, সমরেশ, শরৎ, বঙ্কিম, শীর্ষেন্দু পড়েছেন। তবে সকল বই প্রেমী পড়েছেন এমন একজন লেখক সম্ভব হুমায়ূন আহমেদ।

হুমায়ূন আহমেদ কে নিয়ে তর্ক বিতর্ক থাকতে পারে৷ তিনি বাজারী লেখক হতে পারেন, অথবা সাহিত্যে গভীরতা কম থাকতে পারে, অনেক কিছুই হতে পারে। তবে তিনি যেটা করেছেন সেটা বিপ্লবের কাছাকাছি থাকবে। বাংলাদেশে বইপ্রেমীর সংখ্যা বাড়াতে তিনি যে অবদান রেখেছেন সেটা অনস্বীকার্য। তার একটিও বই পড়েনি এমন বই পড়ুয়া খুব কম রয়েছেন।

যতদূর জানি তিনি কখনই এটা বলেননি যে আমার বইয়ে সাহিত্যের গভীরতা অনেক বেশি, বা আমার লেখায় সাহিত্য উতরে যাবে। তিনি শুধু লিখেছেন। যদিও তাকে ও তার সাহিত্য নিয়েও কম বিতর্ক নেই। তবে মানুষ হুমায়ূন সম্ভবত অনেক একা ছিলেন। ওই যে দিন শেষে আমরা সবাই একা এমন নয়। সত্যিকার অর্থেই একা।

এত যশ, খ্যাতি তাকে স্পর্শ করলেও রেখে কর্পদশুন্য। তিনি চারপাশে মানুষ নিয়ে থাকতে পছন্দ করতেন। তবে সব সময় সেটা হয়ে উঠত না৷ হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠ মানুষ খুব কম ছিল। সেখানেও তিনি অনেক সময় সবাইকে ধরে রাখতে পারেননি। হয়ত মান অভিমান অভিযোগ সব কিছু মিলিয়ে সেই মানুষটা আর তার যোগাযোগ হয়ে ওঠেনি৷

ব্যক্তিগত জীবনের বাইরে লেখালিখির জীবনে হুমায়ূন আহমেদ অন্য একজন মানুষ ছিলেন। এছাড়া সিনেমা বানানোর প্রতি তার অসম্ভব রকমের তাড়না ছিল। তার সে ছবি "ঘটুপুত্র কমলার" জন্য তিনি নিজেই সব কাজ করেছেন। বলা যায় তিনি নিজ মুখেই বলেছেন এটাই তার শেষ সিনেমা। সিনেমা বানানোর ধকল আর নিতে পারছেন না৷

লেখক শাকুর মজিদ হুমায়ূন আহমেদের শেষ দিন গুলোতে খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। মোটামুটি সব জায়গাতেই তার অবস্থান ছিল৷ তিনি খুব কাছ থেকে হুমায়ূন আহমেদ এর ব্যক্তিগত ও লেখালিখির জীবন তুলে এনেছেন। তবে "যে ছিল এক মুগ্ধকর" বইটিতে হুমায়ূন আহমেদের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিচ্ছবি বেশি প্রস্ফুটিত হয়েছে। তবে লেখক চেষ্টা করেছেন বিতর্কিত বিষয় গুলোকে বাদ দিতে। আর সেটা করেছেনও। এজন্যই হয়ত বইটি আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে।

হুমায়ূন আহমেদ নিয়ে আমার সেভাবে ফ্যাসিনেশন কখনও ছিল না। তবে ওনার লেখা কিছু বই অবশ্যই পাঠ্য বলা যায়। আত্মজীবনী বা এই স্মৃতিকথা হুমায়ূন আহমেদের শেষ দিন গুলিকে বেশ সুন্দর ভাবে তুলে এনেছেন। লেখকের সাথে শেষ কথোপোকথন ও হুমায়ূন আহমেদের বিদায় সব কিছুই তুলে এনেছেন এখানে।

হুমায়ূন আহমেদ হয়ত বাংলা সাহিত্যের সেই গভীরতা দিয়ে যেতে পারেননি অথবা পেরেছেন এটা পাঠকবোদ্ধা সমাজ ও সাহিত্যপ্রেমীরা ভাল বলতে পারবেন। আমি ক্ষুদ্র বই পড়ুয়া এটাই বলতে পারি যে তিনি বইবিমুখ একটা প্রজন্মকে বইয়ের দিকে আসতে অনেক বেশি উৎসাহী করেছেন।

বইয়ের শেষ কথাটি লিখছি,
স্যার, আমরা ভাল আছি।
আপনি আছেন তো

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২১

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যকে কী দিয়ে গিয়েছেন সে আলোচনায় যাব না। তবে হুমায়ূন আহমেদকে অবশ্যই মনে রাখা উচিত একজন দারুণ কথা নিয়ে খেলতে পারা লেখক হিসাবে। অনেক জটিল মনের অনুভূতি, যা প্রকাশ করতে আমাদের ব্যয় করতে হবে বাক্যের পর বাক্য; হুমায়ূন আহমেদ তা অবলীলায় কয়েক শব্দে লিখে ফেলতে পারতেন। আমি তার বই পড়তে গিয়ে এই বিষয়টায় ভীষণ অবাক হতাম।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১০

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


হুমায়ূন আহমেদ নিজেই স্বীকার করেছেন ওনার লেখায় সাহিত্যমান যেন কেউ খুজতে না যায়। উনি লিখেছেন লেখার জন্য।

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪১

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: আমাকে পাঠক বানানোর কারিগর ছিলেন উনি...
বই পড়ার রুচিবোধ তৈরি করেছিলেন উনি...
স্যারের প্রায় বই পড়া...
যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক স্যার এই কামনা করি...
চমৎকার রিভিউ লিখেছেন দাদা...
ধন্যবাদ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১২

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



এটা অবশ্যই সত্যি যে ওনার বইয়ের কারনে অনেকেই বইয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সমস্যা হচ্ছে যারা নতুন পাঠক ছিলেন তারা ওনার বাইরে আর কোন বই পড়ায় যেন আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৫২

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের বই এখন কম কম পড়ি,শেষ হয়ে যাবার ভয়ে।অবশ্য উনার পড়া বই-ও একাধিকবার পড়া যায়।উনার লেখার ধরনটা অনেক সুন্দর,সাবলীল,ঝরঝরে এবং লেখায় উইট থাকে।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


আসলে হুমায়ূন আহমেদ এমন একজন ছিলেন যার লেখা আপনি এড়িয়ে যেতে পারবেন না। তিনি যেন দু হাতে লিখেছেন।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:২৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমিও স্যারের ফ্যান । শুধু গল্পের বই নয় তিনি টিভি নাটকের জনপ্রিয়তায় দিয়েছেন নতুন মাত্রা। কেউ কোথাও নেই নাটকের বাকের ভাইকে নিয়ে মিছিল হয়েছে রাজধানীর রাজপথে।

২৩ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:

তিনি বাংলা নাটকের একটি নতুন পথ দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। যদিও সেটা এখন কেউ ধরে রাখতে সক্ষম হয়নি।

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪০

কালো যাদুকর বলেছেন: আমরা সবাই কম বেশী হুমায়ূন স্যারের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়েছি। তিনি সত্যিই বদলে দিয়েছেন বাংলার পাঠক সমাজ।

২৩ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



এটা অবশ্যই মানতে হবে বাংলাদেশের পাঠক সমাজ তৈরির পেছনে তার ভূমিকা অপরিসীম। তিনি একটা জেনারেশন কে বইয়ের দিকে নিয়ে এসেছেন। সেটা পাঠক হোক বা ক্রেতা।

৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৯

বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে কিছু সিরিয়াস ব্লগার আছেন, তাদের মধ্যে আপনি অন্যতম।
সব সময় মূল্যবান পোস্ট নিয়ে হাজির থাকেন।
এটা আমার ভালো লাগে এবং এজন্যই ব্লগটি এখনো বেঁচে আছে।

অনেক শুভকামনা দ্য গ্রেট ম্যান।

২৩ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


ধন্যবাদ দাদা।

সিরিয়াস ব্লগাদের তালিকায় নিজেকে দেখতে পেরে ভাল লাগছে। আমি চেষ্টা করছি। সমস্যা হচ্ছে আমাদের যান্ত্রিক জীবন সময় দেয় না।

৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: শাকুর মজিদ লোকটাকে নিরপেক্ষ বলে মনে হয় না।

২৩ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


আসলে আমি তার সম্পর্কে এত কিছু জানি না। তবে ওনার লেখা থেকে বুঝলাম উনি হুমায়ূন আহমেদের শেষ সময়ে কাছাকাছি ছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.