নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলম

প্রকৃতিকে করো তব দাস-চে দ্য আইডল (ব্লগার নং - ৩১৩৩৯)

পাপতাড়ুয়া

আঁধার দুনিয়ার ছবি! ..... ছন্নছাড়ার পেন্সিল......সবার অন্ধকার থাকে না, অথবা অন্ধকার প্রিয় নয়। তাই সবাই কবিতা পড়তে পারে না, কবিতা পড়ার জন্য চোখের ভিতর সমুদ্র এবং বুকের ভিতর আদিগন্ত ধূ ধূ প্রান্তর লাগে। ..... কবি নির্ঝর নৈঃশব্দ্য *************************http://www.rabindra-rachanabali.nltr.org/node/2

পাপতাড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতার মৃত্যু ও আবার মৃত্যু

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩১



হয়তো আমি চিনতাম না কিংবা চিনে উঠতে পারি নি, তবে আমার অঙ্কনে ভুল ছিলো না। কবিতার সব বানান ঠিক হতেই হবে এবঙ এটাই শ্রেয়, তবুও কিছু বানান ভুল রয়েই যায়। ভুল বানানের যন্ত্রণা নিয়ে কবিতা কাতরায়, কবি চাইলে এখানেও সৃষ্টিসুখ নিতে পারে। সমস্যা হচ্ছে, আমি কবি নই।

কবিতাসদৃশ কিছু শব্দজট আমার আছে বৈ কি, কিন্তু সেসবের কল্যাণে আমাকে কবি উপাধী দিতে পারে কেবল আমার অতি আপন কেউ কিংবা কবিতামূর্খ।

তাহলে কবিতা কেন? কবিতাসদৃশ শব্দমিছিলকে আরোপিতরুপেই কবিতা বলে নিলাম, এতে আমার ও পাঠকের সুবিধা হবে।



একটা দৃশ্য ভাসছে চোখে। ঝুম বৃষ্টির দৃশ্য। সেখানে ঘাসের ঘরে জলের নৃত্যে উলটো ভাসছে রঙিন ছাতা। এই ছাতার মালিককে আমি চিনতাম এবং চিনি না। সে একদিন বলেছিলো, লিখে ফেলো!

আমি লিখে ফেললাম।

সে বলল, কবিতা!

আমি মেনে নিলাম।

মেনে না নিয়ে উপায় ছিলো না। অথবা আমি অন্য উপায় খুঁজিইনি।



আরেকটা দৃশ্য আঁকা হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। থই থই কুয়াশায় একটা চাদরের উষ্ণতা। চাদরের মালিককে আমি চিনতাম এবং চিনি না। সে বলল, লিখে ফেলো!

আমি লিখে ফেললাম।

সে বলল, কবিতা!

আমি মেনে নিলাম।

প্রবল কুয়াশায় মেনে না নেয়ার ইচ্ছাশক্তি থাকে না।



এভাবেই কিছু কবিতাসদৃশ শব্দজট কবিতার স্বীকৃতি পেয়ে গেলো। এভাবেই কবিতা একদিন রক্তাক্ত হয়ে গেলো। সে বলল, এইসব কবিতা নয়, এইসব জঞ্জাল! এসবের মৃত্যু হোক!

আমি মেনে নিলাম। মৃত কবিতার হা করা মুখে গুঁজে দিলাম ধোঁয়া ও জল। কবিতার মৃত্যু বিবশ করে গেলো, নির্ঘুম করে গেলো।



সময় ফিকে হয়। জোছনা ফিকে হয়। কবিতার মৃত্যুও ফিকে হয়। অন্য কোথাও একই সময়ে কোনো প্রকৃত কবিতায় ভুল হয়। এই প্রথম আমি মেনে নিলাম না। এই প্রথম আমি ভুলের শাস্তি দিলাম। এই প্রথম আমি সচিৎকারে প্রতিবাদ করে গেলাম।

যে ভুল করেছে তাকে আমি চিনি এবং জানি না। তার অনুতাপ তাকে মার্জিত ও প্রতীয়মান করে তুললো। আমি চোখ মেলে দেখলাম। দেখি মৃত কবিতা আবার প্রাণ পেয়েছে, অনুপ্রাণিত করছে আমায়।

আমি আবার শব্দের সাথে শব্দ জুড়ে শব্দজট খেললাম। সে বলল, লিখে ফেল!

আমি লিখে ফেললাম।

সে বলল, কবিতা!

আমি মেনে নিলাম।

মেনে নিতে আমার ভালো লাগছিলো। অনেককাল ভালোলাগারা অনুপস্থিত ছিলো। সবাই আবার দলবলে হাজির হচ্ছে সময়ে অসময়ে!

ভরে গেলো কাগজের স্তুপ, ভরে গেলো ইনবক্স! চারিদিকে কবিতাসদৃশ কবিতা। চারপাশে কানাকানি। কেউ ভাবে কেউ বলে। তাতে কবিতার কিছু যায় আসে না। কবিতা সৃষ্টি হতে থাকে যত্রযত্র, যখন তখন!



তারপর স্রোতে শীত নামে। শীতে কবিতা জমে যায়। দুইদিনেও সেই কবিতার বরফ গলে না। আমি কবিতার অধিকার পেয়েছি, উত্তাপের তো নয়!

এভাবেই জমে উঠে তরল কবিতা। শীতল হয়ে আসে প্রেম ও মমতা। সাহচর্য ও বন্ধুতা।

সে বলে, এইসব তেমন প্রগাঢ় কবিতা নয়, এসবে আর ভালো লাগা নেই।



আমি দেখি কবিতার গায়ে খসখসে আবরণ। শুষ্ক ও কঠিন। নাড়া দিতেই খসে পড়ে গেলো। আড়ালে সব কৃত্রিম, সাময়িক মুগ্ধতা। কবিতার প্রাণ কমে আসছে। হা হয়ে যাচ্ছে কবিতার মুখ। আমি এবার বিষ দিলাম। কবিতা মরে গেলো। কবিতাসদৃশ কিছু আর কবিতা উপাধি পাবার পাঁয়তারা করতে পারবে না। একেবারে গলা টিপে দিলাম।



তারচেয়ে বরঙ কিছু গল্প হোক। গল্পের শিরোনাম হোক, কবিতার মৃত্যু ও আবার মৃত্যু!

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

আদম_ বলেছেন: কবিতা নামক এই সব অত্যাচার বন্ধ করেন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১১

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: তুমি হচ্ছো একটা রামছাগল। এইটা যে কবিতা নয়, এই বুঝার ক্ষমতাও নাই তোমার।

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: কবিতা সর্বংসহা এবং প্রতিকূল পরিবেশে মহাঅভিযোজিত। তাকে নিয়ে গল্পও অনেকসময় কবিতা হয়ে যায়। কীভাবে কখন যে কবিতা হয়!

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১১

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই।

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এভাবেই জমে উঠে তরল কবিতা। শীতল হয়ে আসে প্রেম ও মমতা। সাহচর্য ও বন্ধুতা।
সে বলে, এইসব তেমন প্রগাঢ় কবিতা নয়, এসবে আর ভালো লাগা নেই।

সুন্দর। কবিতার মৃত্যু হয় না। তবে কবির মৃত্যু হয় ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১২

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: শুভ দুপুর।

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এভাবেই কবিতা একদিন রক্তাক্ত হয়ে গেলো। সে বলল, এইসব কবিতা নয়, এইসব জঞ্জাল! এসবের মৃত্যু হোক!

পড়তে ভালো লাগছিল !

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১২

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: ধন্যবাদ অভি দা।

৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কবিতা বড্ড চতুর, বড্ড বিক্ষিপ্তমনা। তাকে ধরতে গেলে সরে যায়, সরে গেলে ধরতে আসে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: কবিতা বড্ড চতুর, বড্ড বিক্ষিপ্তমনা। তাকে ধরতে গেলে সরে যায়, সরে গেলে ধরতে আসে।


সত্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.