নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলম

প্রকৃতিকে করো তব দাস-চে দ্য আইডল (ব্লগার নং - ৩১৩৩৯)

পাপতাড়ুয়া

আঁধার দুনিয়ার ছবি! ..... ছন্নছাড়ার পেন্সিল......সবার অন্ধকার থাকে না, অথবা অন্ধকার প্রিয় নয়। তাই সবাই কবিতা পড়তে পারে না, কবিতা পড়ার জন্য চোখের ভিতর সমুদ্র এবং বুকের ভিতর আদিগন্ত ধূ ধূ প্রান্তর লাগে। ..... কবি নির্ঝর নৈঃশব্দ্য *************************http://www.rabindra-rachanabali.nltr.org/node/2

পাপতাড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃষ্টির ভেতর ঘুমিয়ে ছিলো মগ্ন ভুলের মেঘ

১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:২০

তেপান্তরে রোদ ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো মেঘ

যাবতীয় সীমারেখা পেরিয়ে

আমাদের ঘরের টিনে বৃষ্টি হয়ে যায়



এইসব বৃষ্টির নাম হতে পারতো জলফেরি

নাম হতে পারতো ডাহুককেলি

অথচ এইসব বৃষ্টির নাম হয়েছিলো দেহপতন



উত্তাপের ভেতর বেড়ে উঠে তারপর ক্রমাগত

বৃষ্টির স্মৃতি মলিন হতে হতে ধূসর

তেপান্তরের পা উঠে এসেছে শহরের চাঁতালে

কালো জলে ঘোলা আকাশ

মেঘ এখানে প্রেমিকার বিচ্ছিরি নাক

সর্দিজলের মত ক্রমাগত ও অপ্রিয়



তবু কখনো কালো পীচ ভেসে যায় কালো কালো জলে

দ্রুতযানের চাকার ভাঁজে জেগে উঠে স্রোতের ভ্রান্তি

আর এইসব জলে পা ভিজে ভিজে

বিলবোর্ডে উঁকি মারে ফেলে আসা তেপান্তর



এভাবেই এক বিকেলের বৃষ্টি ভ্রান্ত হয়ে যায়

এক ভেজা শহর তেপান্তরের রুপ ধরে

অসম প্রেমের টানে ছুটে যায় রিকশায় রিকশায়



বৃষ্টির ভেতর ঘুমিয়ে ছিলো মগ্ন ভুলের মেঘ

সে মেঘের ঠোঁটের ভাঁজে অনেক বেলা শেষে

উঁকি মেরে যায় কোনো এক উলটো ছাতা

প্রথম ভুলের সুখস্মৃতি হয়ে ...

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর।

২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই।

২| ১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

মামুন রশিদ বলেছেন: এভাবেই এক বিকেলের বৃষ্টি ভ্রান্ত হয়ে যায়
এক ভেজা শহর তেপান্তরের রুপ ধরে
অসম প্রেমের টানে ছুটে যায় রিকশায় রিকশায়


চমৎকার!

২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: মামুন ভাই, ধন্যবাদ।

৩| ১৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৫১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +

২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: ধন্যবাদ, সেলিম ভাই।

৪| ১৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:২৫

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: কবিতাটা খুবই সুন্দর। এর মধ্যেও দ্বিতীয় স্তবক একটু আলাদা।

উত্তাপের ভেতর বেড়ে উঠে তারপর ক্রমাগত
বৃষ্টির স্মৃতি মলিন হতে হতে ধূসর
তেপান্তরের পা উঠে এসেছে শহরের চাঁতালে
কালো জলে ঘোলা আকাশ
মেঘ এখানে প্রেমিকার বিচ্ছিরি নাক
সর্দিজলের মত ক্রমাগত ও অপ্রিয়


বলা যেতো 'উত্তাপের ভেতর ক্রমাগত বেড়ে উঠে' কিন্তু তার অর্থ হতো ভিন্ন। এখানে একটু ধীরে পড়তে হয়, পড়ে বুঝতে হয়। মেঘ ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে এগিয়ে আসছে। চট করেই বোঝা যায় না। একটু যেন চিন্তা করতে হয়।

তেপান্তরের পা উঠে এসেছে শহরের চাঁতালে

এ লাইনটা পড়েও চিন্তা করতে হয়, তেপান্তরের মাঠ শুনেছি কিন্তু তেপান্তরের পা সে কি জিনিস। এই শহরের আকাশের দিকে তাকালে যে মেঘ দেখি সে এসেছে কোথা থেকে? চট করে নিশ্চয়ই এখুনি গড়ে উঠেনি। এসেছে তেপান্তরের কোথায় ও থেকে। আর সেখানকার জলাশয় বোধহয় হয়ে গেছে পা। 'পা' এটি প্রানীর থাকে কিন্তু জড় বস্তুর থাকে না। কিন্তু কল্পনায় অনেক কিছুর পা থাকে। পা কেবল পদ নয় এটা যেন একটা অবস্থানও। এই যে শব্দের ব্যবহার এটাই এই কবিতার মূল বৈশিষ্ট্য।

মেঘ এখানে প্রেমিকার বিচ্ছিরি নাক
সর্দিজলের মত ক্রমাগত ও অপ্রিয়


মেঘকে এর আগে কেউ এরকম ভাবে প্রামিকার বিচ্ছিরি নাক, সর্দিজলের সাথে তুলনা করেছে কিনা জানিনা। প্রেমিকার সব কিছু ভালো লাগে। যতই অপ্রিয় বলা হোক, তার এই সর্দিজল যেন আরো একটু বেশি করে ভালোবাসা দেওয়ার, যত্ন-আত্তি করার উপলক্ষ্য।

ভালো লাগলো। খুব সুন্দর। আরো ভালো লেখেন সেই প্রত্যাশায়।

২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১১

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: খুব সুন্দর আপনার অনুভব করবার ক্ষমতা।

ভালো থাকবেন নিরন্তর।

৫| ১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫

সাদরিল বলেছেন: যাবতীয় সীমারেখা পেরিয়ে
আমাদের ঘরের টিনে বৃষ্টি হয়ে যা

শহরে বড় হয়েছি, টিনের উপর বৃষ্টি কেমন সেটা নিয়ে ধারনা নেই। তবে এই দুটি লাইন বেশ লেগেছে।

মেঘ এখানে প্রেমিকার বিচ্ছিরি নাক
সর্দিজলের মত ক্রমাগত ও অপ্রিয়

২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: টিনের উপর বৃষ্টি কেমন , জেনে নিন এই বর্ষায়। বুঝবেন, এতদিন কি অপূর্ণতায় আছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.