নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আঁধার দুনিয়ার ছবি! ..... ছন্নছাড়ার পেন্সিল......সবার অন্ধকার থাকে না, অথবা অন্ধকার প্রিয় নয়। তাই সবাই কবিতা পড়তে পারে না, কবিতা পড়ার জন্য চোখের ভিতর সমুদ্র এবং বুকের ভিতর আদিগন্ত ধূ ধূ প্রান্তর লাগে। ..... কবি নির্ঝর নৈঃশব্দ্য *************************http://www.rabindra-rachanabali.nltr.org/node/2
তুমি কেবল আমার রোদের ভেতর চোখ ফেলে যাও! আমি জেনেছিলাম সন্ধ্যাপ্রদীপের আলোয় ভাসে সাত সবুজের গ্রহণকাল। তুমি কেবল আমার রোদের ভেতর...
এইসব বলতে বলতে পাথর কুড়িয়ে ঘুড়ি ভাসায় অনামিকা। অনামিকা আমাদের খোলনলচে অন্ধকারের বাহিরে বেড়ে উঠা ফুল। তার চোখের ভেতর হাজার পাখির ঘুম। ঘুম ফেলে দিলে অনামিকা আহত কবিতা।
*
সাত সমুদ্দুরের গল্প তুমি জানো। নারী, তুমি শ্রেষ্ঠ কবিতা। মনের ভেতর মনের ছায়া পড়লেই বুঝি প্রেম! শরীর যদি কেবল শরীর চায়, যার মন পুড়ে গেছে অন্যঝড়ে, যার মনের সাথে মন মেলাবার মন বলে কিছু নাই, শুধুই শরীর, শরীরের ঘ্রাণে শরীর লিখতে চায়, তুমি তাকে প্রেম বলো না! তবে বলো, যে তোমাদের শহর ভেঙে মন হারিয়ে ফেলেছে নষ্ট রোদে, সে কি আর প্রেম পাবে না? যদি সে প্রেম পেতে চায়?
অনামিকার গালের রঙে চোখের পাতায় প্রশ্ন রেখে যে পালিয়ে যায়, তার নাম প্রয়োজন নেই। তবু নাম দেয়া যাক অবলোহিত, তবু তাকে একটা নামে ডাকতে হলে এই নামেই ডাক দেয়া যাক।
-অবলোহিত, এই যে তুমি আমার চুলের বনে আঙুল পাখি বেশ উড়াচ্ছো, আমার বুকে চিহ্ন দেবে বলে রোজ দুপুরে চুমু খাচ্ছো, আমায় তুমি নগ্ন করে নতজানু খুব, আমার সরোবরে খুব যতনে আপনখেয়াল ডুব, এইসব তবে কেন? যদি মন না না থাকে, যদি শরীর টানে শুধুই শরীর চাও, তবে সে কেনো আমার শরীর শুধু? হাজার পথ পেরিয়ে এসে শুধুই আমার শরীর কেনো!
ঘুড়ি হয়ে অন্য কেউ ডাকে, অবলোহিত! আসো! বুকের ভেতর আমারো সরোবর, দেবতা, স্নান করে।যাও। তবুও তার চোখ ঘোরে না। পথের উপর পাতার মত লেপ্টে থাকে চোখ। এই পথেই অনামিকার ঘর। যদি মন না থাকে, শুধুই শরীর, আরো আরো শরীর আছে অনেক, সেসব শরীর টানে না কেন! কেন শুধুই অনামিকার ঘ্রাণ! অনামিকার স্তন ছুঁয়ে একলা অভিমান! তবে কী এই একপেয়ালার সুখ, হাজার নারীর পথ পেরিয়ে শুধু অনামিকার নগ্ন বুক, এই বুঝি প্রেম!
মন তুই থাকিস কোথায় জানি না।
*
অবলোহিত, ফিরে যাও। আমার শুধুই শরীর চেয়েছিলে। আমি তোমার মনকেই চেয়েছিলাম। আজ শরীর বাদে মনের সন্ধান কেন করো!
আমি তোমায় শরীর শুধুই দেব। মন দেব না। মন দেব না।
অবলোহিত, আজ তুমি ফিরেই বরঙ যাও!
*
শরীর কেবল শরীর ঘ্রাণেই ভাসে। চায়ের কাপে হঠাৎ কফির মত। মন চেয়ে আজ ফিরে যেতে হলো। অনামিকা, তুমি মনে দেবে না, শরীর শুধু দেবে। মন যদি নাইবা দাও, শরীর কেন দিয়েছিলে?
২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১১
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সুন্দর +++
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৩
কলমের কালি শেষ বলেছেন: অনুভূতির লেখায় ভাল লাগলো । শরীর মন নিয়ে দ্বন্দ ।
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫০
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
তবে কী এই একপেয়ালার সুখ, হাজার নারীর পথ পেরিয়ে শুধু অনামিকার নগ্ন বুক, এই বুঝি প্রেম!
সত্যি দারুণ লিখেছেন, অনন্য! +++
সময় হলে আমার ব্লগে এসে ঘুরে যাবেন, ধন্যবাদ।
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০১
মাসুম সোহাগ বলেছেন: মনস্তাত্ত্বিক যেকোনো লেখাই ভালো লাগে। আপনারটাও ভালো লেগেছে। চমৎকার।
৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫৭
ডি মুন বলেছেন:
সুখপাঠ্য।
কাব্যিক আবহ পুরো লেখাটা জুড়ে।
চমৎকার।
+++
৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২৬
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: শেষে এসে সমতা টেনে দিলেন মনে হল। দেহ আর মনকে পরিপূরক করে দিয়েছেন। মুক্তগদ্যই মনে হল। যথেষ্ট কাব্যময়তা আছে। ভালো লাগলো।
৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:২৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পড়েছি| দারুন লিখেছেন
৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: শরীর এবং মনের দ্বান্দ্বিক অবস্থানে শরীরকে ব্রাত্য উল্লেখ করে মনকে তথাকথিত মহান ভালোবাসার পুরোধা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার যে চিন্তা তা আমার কাছে উৎকৃষ্ট ভণ্ডামী মনে হয়। তোমার লেখাটা খুব ভালো লাগলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
জেন রসি বলেছেন: শরীর এবং মনের দ্বান্দ্বিক সন্ধান।
ভালো লেগেছে।