নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোরসন্ধানে

পুষ্পজিৎ

বাংঙ্গালী

পুষ্পজিৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধৰ্ম হল জীবন বৃদ্ধির বিজ্ঞান – শ্রীশ্রীঠাকুর

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২৩


Religion is the science of being and becoming এর অৰ্থ – ধৰ্ম হল জীবন বৃদ্ধির বিজ্ঞান ।


‘Being and becoming’ means ‘Life and Growth’

Lexicographical meaning অনুসারে – Being অৰ্থ Life বা Existence বা অস্হিত্ব বা বিদ্যমানতা বা থাকা ইত্যাদি। Becoming অৰ্থ any process of Change বা পরিবৰ্তন বা পরিবৰ্দ্ধন। যাহা বা যে সব ব্যাপার জীবন ও পরিবৰ্দ্ধন নিয়ে সব কিছু করে বা জীবনের সাৰ্বিক পরিবৰ্দ্ধন ও বিদ্যমানতা যা যা নিয়ে রক্ষা হয় এবং জীবনের উদ্দেশ্যকে সাৰ্থক করে তুলে সৰ্বাঙ্গীনভাবে তাহা-তাহাই ধৰ্ম।

শ্রীশ্রীঠাকুরের সমগ্র দৰ্শনের সৰ্বত্র “জীবন বৃদ্ধি” বা “বাঁচা বাড়া” বা “অস্তি -বৃদ্ধি” বা “সত্তা-পোষণ” শব্দগুলো আছেই আছে। কেন আছে তা মানব জাতি বুঝতে পারছে এবং ভবিষ্যতে আরও অনন্তগুণ বেশী বুঝতে পারবে। ‘ধৰ্ম ‘ জীবন বৃদ্ধির বিজ্ঞান- কেন, তার আরও গুরুত্বপূৰ্ণ ব্যাখ্যা আছে, যা আরও কিছুদিন পরে বলার চেষ্টা করব। ধৰ্ম বলতে সাধারণত মানুষ শুধুমাত্র কীৰ্ত্তন, সাধনা, নাম-ধ্যান, জপ-তপ, পূজা, আরতি, গুরু, মন্ত্র, দীক্ষা, মোক্ষলাভ ইত্যাদি বুঝায় বা কিছু মানুষ তাই মনে করে। শ্রীশ্রীঠাকুর জীবনের জন্য ত্রিবিধ কল্যানের বিষয়ে সুবিস্তৃত রুপরেখা দিয়েছেন । এমনকি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। যুগপুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর আধিদৈবিক ও আত্মিক কল্যাণের সাথে আধিভৌতিক কল্যানে উক্ত বিষয়গুলোর সাথে নতুন মাত্রা যুক্ত করে যাত্রা শুরু করেছেন। তিনি তাঁর বিশাল দৰ্শনকে প্রতিষ্ঠা করেছেন চারটি স্তম্ভের উপর, যেগুলো হল -কৃষি, শিল্প, শিক্ষা ও সুবিবাহ। এই বিষয়গুলোর শতভাগ বাস্তবায়নও করেছেন পরমতীৰ্থ হিমাইতপুরে। মানব জাতির অস্তিত্বের চারি স্তম্ভ বলে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন, শিক্ষা বাস্তবায়নের পথে দশবিধ সংস্কারের অন্যতম গুরুত্বপূৰ্ণ সংস্কার ‘ব্রক্ষ্মচৰ্য্য’ পালনের বিষয় জড়িত। এই ব্রক্ষ্মচৰ্য্য পালনের সময় সংসার সমরাঙ্গনে প্রবেশের পূৰ্বে সংসার সমরের বিষয়ে জ্ঞান শিক্ষা দিতেন ঋষি ও পণ্ডিতগণ। আজকাল কিছু লোক বিলুপ্তপ্রায় সমৃদ্ধ সংস্কৃত শ্লোক ভাষণে ও লেখনীতে ব্যবহার করে যে নিজের জ্ঞানের প্রসারতার পরিচয় দেন, সে জ্ঞানরাশি আদিকালে (৫০ বছর আগেও কিছু ছিল) সব ছেলে মেয়েকে শিখানো হতো। শিক্ষা গ্রহণের পর বিবাহ হতো। দশবিধ সংস্কারের অনেকগুলো সংস্কার জীবন ও জন্ম সংক্রান্ত। এসব কিছু আজ বিলুপ্ত। ছাত্রের জীবন এইভাবে গড়ে উঠলে কলেজের সব জানালার গ্লাস আজ ভাঙ্গা হতো না। শিক্ষক ছাত্রের হাতে লাঞ্চিত হতো না। শিক্ষকের চোখ উপড়ে ফেলতো না বা অপ্রাপ্ত বয়সে গাৰ্ল ফ্রেণ্ড/বয় ফ্রেণ্ড নেওয়ার রীতি হতো না। যিনি দেশের রাজা তিনি জ্ঞানীদের নিয়ে এসবের সমাধানের ব্যাপারেও চিন্তা করতে পারেন।

তাঁর ধৰ্মদৰ্শন বক্তৃতা মেরে দিয়ে হাত তালি পাওয়ার দৰ্শন মোটেই নয়। পুরোদস্তুর লেখাপড়া করতে হবে তাঁর অমিয় দৰ্শনকে নিয়ে, দৰ্শনকে বিকৃত করে বক্তৃতা মেরে দিয়ে চলে গেলে চলবে না। ফসল ফলাতে হবে। মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষিরা তাঁদের সংহিতাগুলোতে বিনিয়ে বিনিয়ে বলেছেন জীবের বাঁচা-বাড়ার কথা। বিভিন্ন রকমের দান যজ্ঞের কথা বেদেও উল্লেখ আছে। মোক্ষ লাভ পন্হী হলেও ততদিন বেঁচে থাকতে তো হবে। জীবন বাঁচাতে হবে, তাই তো ? আর বাঁচতে হলে সাৰ্বিকভাবে বাঁচতে হবে। ঐ শোনা যায় পরম পুরুষের ঐশী বাণী —

জীবন তোমাদের দাঁড়িয়ে আছে

কৃষি-শিল্প-সন্দীপনায়,

সুবিবাহ, সুপ্রজনন-

দেশটা জাগে যে উজ্জ্বলায়।

-অনুশ্রুতি



জমিজমা কৃষিভরা

ধান্য-গোধূম-শালী

প্রলয়েও সে নষ্ট না পায়

যাপে স্বজন পালি ।

-অনুশ্রুতি

ভেবে দেখুন অধিকাংশ আশ্রমগুলো ঠাকুরের বাণীর ধারে কাছেও আছে কিনা, শস্যের অভাব, মূল্যবৃদ্ধি, হাহাকার তো লেগেই থাকবে।

আজকাল কৰ্মহীনতা বা অলসতা কোন কোন পরিবারের অশান্তির মূল কারণ। এমনকি শ্রীশ্রীঠাকুরের পতাকাবাহী অনেকেই ঠাকুরের বাণী থেকে হাজার মাইল দূরে অবস্হান করে। এই পারিবারিক অশান্তি সমাজ ও রাষ্ট্র পৰ্যন্ত গড়িয়ে যায়। এইগুলোর কারণ হল, তাঁর বাণীকে বাস্তবে রুপ না দেয়া এবং বৃহত্তর সমাজের উপেক্ষাপরায়নতা, সৎসঙ্গীদের বিকৃতি, প্রচারকরা কোন কোন ক্ষেত্রে ন্যায্য ভাতা গ্রহণের বিনিময়ে কৰ্তার কাছে স্বাধীনতা বিকিয়ে দেয়া, দৰ্শন সম্পৰ্কে অজ্ঞানতা ইত্যাদি । সৎসঙ্গ ও ঠাকুর সবার জন্য। আজকাল অনেকগুলো আশ্রম থেকে মুদ্রিত সাহিত্যে শ্রীশ্রীঠাকুরের আসল বাণীগুলো প্রচার করে না। একটু করে প্রচার করলেও মিথ্যা লিখে প্রচার করে – এগুলো নাকি রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

দরিদ্র দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা কঠিন বিধায় এবং অৰ্থনৈতিক দূৰ্বলতার বহুমুখী কারণে ক্ষেত্র বিশেষে রাষ্ট্র হয়তো নাগরিকের ন্যায্য সব প্রয়োজন পূরণ করার কথা থাকলেও তা যথাযথ পালন করতে পারে না, ক্ষেত্র বিশেষে হয়তো পালন করে না, কিন্তু নাগরিক সমাজের যে দায়িত্ব তা তাঁদের পালন করা জরুরী নয় কি? এই কথাও ভুলে যাওয়া উচিত নয় বা অস্বীকার করছি না ঠাকুরের অনুসারী না হয়েও অনেকে তাঁর ঐশী বাণীর অনেক কিছু হয়তো ভিন্ন নামে পরিপালন করেন। আর সকলে (সম্প্রদায়)সকলের জন্য করতে পারেন, এতে বাধা কোথায় ?



Super developed দেশগুলোতে রাষ্ট্র নাগরিকের সব দায়িত্ব পালন করলেও নাগরিক সমাজ Gap পূরণের জন্য বহুমুখী কল্যানে সাহায্যের হস্ত প্রসারিত করতে বিভিন্ন তহবিল গঠন করে সমাজের দরিদ্র মানুষ ও ভূত জগতের(প্রাণী জগত) কল্যানে কাজ করছে। সেই তুলনায় অন্যান্য দরিদ্র দেশের জনগোষ্ঠী আলস্য, জড়তা, অসচেতনতা, ধৰ্মীয় অনুশাসন না মানা ইত্যাদির কারণেও অাংশিক অগ্রযাত্রায়ও পিছিয়ে রয়েছে।

শ্রীশ্রীঠাকুরের গগন বিদারী ঐশী আহ্বান ছিল যথাৰ্থ বাঁচা-বাড়ার জন্যে। এই বাঁচা-বাড়ার আহ্বান করতে গিয়ে বারবার মনোযোগ আকৰ্ষণ করতে চেয়েছেন উঁচু স্তরের লোকদের কাছে। কারণ, এই কাজ করতে গেলে অনেক কিছুর যোগান প্রয়োজন। এর সাথে অৰ্থনীতির মডিফিকেশন জড়িত। গ্লোবাল আধুনিকায়নের সঙ্গে তাল মিলানোর যোগ্যতা অৰ্জনের বিষয় জড়িত। এনালগ ও ডিজিটালের মধ্যে যে ভাল ও মন্দ আছে তা বিশ্লেষণের বিষয় জড়িত। আরও অনেক কিছু জড়িত। সাধারণ মানুষ অসাধারণ মানুষের সঙ্গে ভেলকিবাজী খেলল। বরেণ্য বুদ্ধিজীবিরা এগিয়ে এসে তাঁর কথার গুরুত্ব দিলে সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্ব আজ অনেক দূর এগিয়ে যেত। বুদ্ধিজীবি এসেছেন চার/ ছয় জন। আসা দরকার ছিল চারশত জন। দীক্ষা নেওয়া দরকার ছিল, কিন্তু নুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিয়ে নিজেকেই হারিয়ে ফেলল। বাংলার জাগরণ তিনি আশা করেছেন প্রথম। “বাংলা জাগলে ভারত জাগবে, ভারত জাগলে জগত জাগবে।” এই ছিল তাঁর ঐশী বচন। বাংলা বলতে তিনি দুই বাংলাকেই বুঝিয়েছিলেন, কারণ, ভারত উপমহাদেশ তখনও স্বাধীন হয়নি। আজ জীবনঘাতি রোগ ধেয়ে আসছে দিকে দিকে। দারিদ্র, শিক্ষা, স্বাস্হ্য, সুবিবাহ, সুপ্রজনন, সদাচার ঘঠিত সমস্যা লেলিহান শিখা বিস্তার করে ধেয়ে আসছে দিকে দিকে।

আমি উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান নই। আমি আমার ২৫ বছর বয়সে শহর এলাকায় একবার সমাজ-নেতা স্হানীয় কোটিপতিকে বলেছিলাম বিল্ডিং তৈরী করার পূৰ্বে বৈজ্ঞানিক মান সম্পন্ন নালা ও টয়লেট তৈরী করছেন না কেন? তিনি আমাকে বলেছিলেন, আপনি নালা-নৰ্দ্দমা নিয়ে থাকেন কেন ? অথচ আজ দেখা যায় তাঁর আশেপাশে পায়খানা-প্রস্রাবের উৎকট গন্ধের জন্য রাস্তা দিয়ে হাঁটা মুশকিল। এই স্বাস্হ্য সমস্যা পরিবেশগত। খাদ্যেও স্বাস্হ্য সমস্যা আছে। একজন তরতাজা যুবক লোক কয়েকদিন আগে জানালেন, পাকস্হলীতে খাদ্য হজম হচ্ছেনা। চিকিৎসা করাতে বিদেশ গিয়েছেন। পানীয় জলেও স্বাস্হ্য সমস্যা প্রকট। বৈজ্ঞানিক গবেষণার জটিল বিষয়গুলোকে অত্যন্ত সহজ-সরল ছড়ার মাধ্যমে ব্যক্ত করেছেন পরম পুরুষ। অনেকের কাছে মনে হতে পরে এ-তো পাাতি বাংলা ভাষায় বৰ্ণিত ছড়া, কিন্তু এই ছড়া সেই ছড়া নয়, এতে শেষ নিঃশ্বাসের প্রশ্ন জড়িত আছে। পরিবেশ বিপৰ্যয়ের মহাপ্রলয়ের সন্দিক্ষণে তিনি পাতি বাংলা ভাষায় বললেন,

সদাচারে রত নয়

পদে পদে তার ভয়।।

-শ্রীশ্রীঠাকুর

শিকনি ঝেড়ে ধোয় না হাত

বক্ষ ব্যাধির হয় উৎপাত ।।

-শ্রীশ্রীঠাকুর



কৃষ্টি, সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবেশ বাঁচাতে শ্রীশ্রীঠাকুর পঞ্চনীতির বিধান দিলেন। ইষ্টভৃতি, যজন, যাজন, স্বস্ত্যয়নী ও সদাচার।





বাণীর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি

১৮ হাজার ছড়া দিয়েছেন শ্রীশ্রীঠাকুর। তন্মধ্যে পাতি বাংলা, জটিল-বিজ্ঞান, ব্রক্ষ্ম-দৰ্শন সবই আছে। পাতি বাংলা ছড়াগুলোর পেছনে বিজ্ঞানের জটিল Causes বৰ্ণনা করতে ভুলেননি তিনি। একটি উদাহরণ দেয়া যায় – ঠাকুর বললেন,

অধিক ভোজন

যারাই করে,

দরিদ্রতায়

ধরেই ধরে।

-শ্রীশ্রীঠাকুর

উক্ত ছড়াটির পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন,



(10/10/14)উক্ত ছড়াটির বৈজ্ঞানিক দিক হলো Stomach যখন খাবারে পরিপূৰ্ণ হয়ে টান টান ভাব হয়ে যায় তখন পরিপাক যন্ত্র খাবারকে হজম করিয়ে খাবারের পুষ্টি শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রেরণ করতে পারে না। তাছাড়া আমরা দেখতে পায় অধিক ভোজীরা মুটিয়ে যায়। আর মুটিয়ে যাওয়া মানে শরীরে রোগের কারখানা তৈরী করা, যেটি সবার জানা। পাকস্হলীর দেয়ালে যে Gas pit আছে সেগুলো যথাযথ ক্রিয়া করতে পারে না। শ্রীশ্রীঠাকুরের ভাষায় অধিক ভোজনের ফলে পরিপাক জনিত রক্তচাপ বেড়ে যায়। ফলে পরিপাকে বিঘ্ন ঘটে। লোকটি পুষ্ট হওয়ার বদলে অপুষ্ট হয়ে উঠে এবং তার মস্তিষ্ক পুষ্টিহীনতায় ভুগে। উক্ত ব্যাপারটি আমরা অনেকেই জানার পূৰ্বে শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁর অনবদ্য ছড়ার সুরে বললেন-

পাকপোষণী রক্তচাপ

অধিক ভোজীর বেড়েই যায়,

মস্তিষ্ক না পোষণ পেয়ে

ক্রমেই চলে ক্ষীণতায় ।।

-শ্রীশ্রীঠাকুর

এইজন্যেই ক্ষুধায় ৩ ভাগ খাবার ১ ভাগ জল খেতে বলেছেন তিনি। মানুষের মাথা যদি ক্ষীণ হতে থাকে তাহলে তার সমস্যা বাড়া ছাড়া কমবে কি? শরীর ভারী হওয়াতে পারবে না পরিশ্রম করতে, মস্তিষ্ক ক্ষীণ হওয়াতে দূৰ্বল হবে মেধাশক্তি। আর মুটিয়ে যাওয়াতে শরীর হবে রোগের আকর।

ফিরে যায় বাঁচা বাড়ার মূল কথায়। একটি বিষয় স্পষ্ট দেখা যায়, শ্রীশ্রীঠাকুর শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসা ও অন্যান্য সবকিছুকে জীবন বৃদ্ধির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত করে দেখতে, শিখতে ও করতে শিখিয়েছেন। চিন্তা ও জীবন চলার জগতে এক নতুন পরিবৰ্তন তিনি এনেছেন। এর পেছনে রয়েছে গরুত্বপূৰ্ণ এক কারণ। সে কারণটি হল বৰ্তমান যুগসমস্যা। যে সমস্যাটি হল প্রথমে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা ও সংগ্রাম। তাঁর অমিয় দৰ্শন পড়ে দেখলে এই কথার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.