নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাল শাপলা

২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:০০



পুকুরের টলটলে জলে যখন বড় বড় লাল শাপলা ফুটে থাকে, তখন সেটি দেখতে এতোটাই সুন্দর লাগেযে তাতে মন উদাস হয়ে যায়। মন চায় জলে নেমে তুলে নিয়ে আসি কয়েকটি। কিন্তু হায়!! আমি সাঁতার জানি না, মন উদাস হওয়ার সেটাই বড় কারণ।

দেখতে গিয়েছিলাম জমিদার বাড়ি, সাটুরিয়াতে। সেখানে জমিদারদের ঘাটলা পুকুরে দেখতে পেলাম বড় বড় লাল শাপলা ফুটে আছে। সেই পুকুরের ঘাটে বসে ছিলাম বেশ কিছুটা সময়। লাল শাপলার ছবিও তুলেছি কিছু। দেখতে পেলাম একটি শাপলাতে বসে আছে ফড়িং।



লাল শাপলা
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : রক্ত কমল, লাল কমল, আলগন্ধা, অলিপ্রিয়া, আলোহিতা, নিলুফার
Common Name : Red Water Lily
Scientific Name : Nymphaea Rubra


লাল শাপলা বা রক্ত কমল নাতিশীতোষ্ণ ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকার স্বল্প গভীর জলের হ্রদ ও পুকুরে জন্মে। সাধারণত বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, চীনের ইউনান প্রদেশ, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশে শাপলা ফুটতে দেখা যায়।



সারা বাংলাদেশের সমস্ত বদ্ধ জলাশয়েই জলজ ফুল শাপলাকে ফুটে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাংলার চিরায়ত এক দৃশ্য বিলের জলে কিশোর ছেলে ছোট্ট নৌকোয় তুলছে শাপলা। আমাদের বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী চোখে পরে সাদা শাপলা। এবং তারপরেই আছে লাল শাপলার অবস্থান। এই লাল শাপলার বৈজ্ঞানিক নাম Nymphaea Rubra। প্রচীন যুগে গ্রীকরা এই জাতীয় ফুলকে Nymph (জলপরীদের) উৎসর্গ করতো, সেখান থেকেই এই Nymphaea শব্দটি এসেছে।

Hylas and the Nymphs by John William Waterhouse (উইকি)

বাংলাদেশে কয়েক প্রজাতির শাপলা দেখতে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে শুধু মাত্র সাদা শাপলাই আমাদের জাতীয় ফুলের মর্যাদা পেয়েছে, অন্য কোনো রঙের শাপলা তা পায়নি।

যতদূর জানি সারা পৃথিবীতে মোটামুটি ৩৫ প্রজাতির মত শাপলা দেখতে পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশের শাপলাদের রং সাধারণত সাদা, লাল, লালচে গোলাপি, নীল, আর নীলচে সাদা, বেগুনী হতেই বেশী দেখা যায়।



জলের উপর ভেসে থাকে শাপলা ফুল আর তার বড় সবুজ পাতা। সাধারণত শাপলা ফুল পানির উপরে ছড়ানো অবস্থায় থাকে। কদাচিৎ পানির অল্প নীচে থাকতে পারে, কোথাও কোথাও এই অল্প ডুবে থাকা শাপলাকে “ডুবুরি শাপলা” বলে

শাপলার পাতা আর ফুলের কান্ড বা ডাটি বা পুস্পদন্ড পানির নিচে মূলের সঙ্গে যুক্ত থাকে আর এই মূল যুক্ত থাকে মাটির সঙ্গে। এই মূল থেকই আবার নতুন শাপলা জন্ম নেয়। শাপলার কান্ড বা ডাটা বা পুস্পদন্ড সবজী হিসেবেও খাওয়া হয়। আজকাল এই শাপলা ফুলের কান্ড বা ডাটা বা পুস্পদন্ড বাজারে বিক্রি হচ্ছে হরহামেসাই। তবে লাল শাপলা অনেকেই খেতে চায় না।



পূর্ণবিকশিত শাপলা ফুলের গর্ভাশয়ে গুড়ি গুড়ি বীজ থাকে। আঠালো এই বীজ গ্রামের ছোটো ছোটো বাচ্চাদের খেতে দেখা যায়। তাছাড়া এই বীজ ভেজে এধরনের খাবার তৈরী করা হয় যার নাম “ঢ্যাপের খৈ”। খেতে খুবই চমৎকার। কিন্তু উপযুক্ত সময়ে গর্ভাশয়ের এই বীজ সংগ্রহ না করা হলে শেষ পর্যায়ে তা শুষ্ক হয়ে যায়।



শাপলা সারা বছর ধরেই একটু-আকটু ফুটতে দেখা যায় তবে বর্ষায় ও শরৎ কালে এদের ফুটার সিজন বলা যায়। তখন এরা ফুটে প্রচুর পরিমানে।



ছবি তোলার স্থান : বালিয়াটি জমিদার বাড়ি পুকুর, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৫শে নভেম্বর, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ।
তথ্য সূত্র : বাংলাপিডিয়া, উইকিপিডিয়া, অন্তর্জাল।
ছবি ও বর্ণনা : নিজ।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
তবে ছবি গুলো এ ক্লাশ হয়নি।

অবশ্য আমি নিজেও হয়তো আপনার চেয়ে ভালো ছবি তুলতে পারবো না।
আচ্ছা, দাঁড়ান খুঁজে দেখি আমার তোলা শাপলা ফুলের ছবি আছে নাকি। অনেক আগে কয়েকটা তুলেছিলাম।

২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এ ক্লাশ ছবি তোলার লোক আমি নই। আপনার ধারে কাছে যাওয়ার যোগ্যতাও আমার নাই।

২| ২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:২৯

রাজীব নুর বলেছেন:

২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৩৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- চমৎকার ছবি তুলেছে।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৩২

রাজীব নুর বলেছেন:

২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৩৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:

৪| ২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি তোলার সময় সাবজেক্ট কে গুরুত্ব দিবেন।
আপনার ছবি গুলোতে অদরকারী এলিমেন্ট বেশি চোখে লাগছে। এবং ফ্রেমিং এ নজর দিবেন। ব্যস।

দয়া করে ভাববেন না আমি পাকনামি করছি। প্লীজ।

২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৪৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপনি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফর। অদরকারী এলিমেন্ট, ফ্রেমিং এই সব তো নজরে পরবেই। আমি ফটোগ্রাফাই নই তাই এই সব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আমার মাথায় থাকে না, ছবিতেও থাকে না।

ভালো কথা, Rule of thirds বলে একটা জিনিস আছে। আপনার তোলা ছবিতে প্রায় কখনো সেটা দেখতে পাইনা। সম্ভবতো প্রফেশনাল হয়ে উঠতে পারলে Rule of thirds ব্যবহারের দরকার পরে না।

৫| ২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু,




শাপলাফুলের বৈজ্ঞানিক নাম - "নিম্ফেইয়া রুবরা" , এটা এখন জানলুম আপনার কাছ থেকে। তবে " নিম্ফ" শব্দটি মনে হয় প্রথম ব্যবহার করেছিলেন "ভ্লাদিমির নভোকভ" তার " লোলিতা" বইটিতে।
এটা ঠিক, জলের বুকে একরাশ শাপলাফুল যেন একঝাঁক যৌনাবেদনময়ী, দেবীতুল্য সুন্দরী কুমারী ললনাদের মতোই মাথা তুলে রাখে, মানুষকে ভোলানোর জন্যে।
৩নং প্রতিমন্তব্যের শাপলাফুলরাজীর ছবিটি মনে হয়েছে , তেমনিই সুন্দরী ললনাদের মতোই .......

২২ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- Nymphaea Rubra হচ্ছে লাল শাপলার বৈজ্ঞানিক নাম। আমাদের সাদা শাপলার বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Nymphaea pubescens.

- লোলিতা বইটি আমার পড়া হয়নি।

- অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই মন্তব্যের জন্য।

৬| ২১ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শাপলার সাথে আমার খুব নিবিড় শৈশব স্মৃতি আছে। আড়িয়াল বিল সহ বাড়ির পাশের ঝিল থেকে ছোটোবেলায় প্রচুর শাপলা তুলেছি। পানিতে ডুব দিয়ে শাপলার গোড়াসহ তুলে এনেছি, যেটাকে শালুক বলে। শাপলা তুলতাম মূলত মায়ের জন্য, যা ভাজি হিসাবে রান্না করা হতো এবং এর স্বাদ অসাধারণ। শাপলার ফুল থেকে ফল হয়, যেটা আসলে এক ধরণের বীজ/বিচি, যা থেকে মুড়ি বা খই হয়। মুখে দিলেই হাওয়া হয়ে যায় অবশ্য :) আমি বিলে বা পুকুরে কোথাও লাল শাপলা দেখেছি কিনা মনে পড়ে না, তবে, শাপলা বলতে আমরা সাদা শাপলাকেই চিনে থাকি। শাপলার সৌন্দর্য হলো শাপলার ফুলে, কিন্তু শাপলার লতা বা কাণ্ডটাই আমরা সবজি হিসাবে খেয়ে থাকি। শাপলা আজকাল বাজারেও বিক্রি হয়, আমার স্ত্রীর খুব প্রিয় সবজি এটা। এক হাঁড়ি শাপলা ভাজি করলে ছোটো এক বাঁটি হয়ে যায়, সমস্যা এখানেই :( শাপলা ভাজি আমারও খুব প্রিয়।

রক্ত কমল যে লাল শাপলার নাম, আজই আপনার পোস্ট থেকে জানলাম। এ পোস্ট আগেও দিয়েছিলেন বলে মনে পড়ে, ছবিটা চেনা চেনা লাগছে।

সুন্দর পোস্ট।

২২ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- শাপলা নিয়ে আমারও শৈশবের স্মৃতি রয়েছে। আমার এলাকাতেও লাল শাপলা কখনো হতে দেখিনি। তাই এই লাল শাপলার প্রতি একটা আকর্ষণ আমার রয়েছেগে।
- শাপলার যে ফলের কথা বললেন সেটিকে আমাররা বলতাম শাপলার ডেপ। ওর দানা গুলি কাচাই খেতাম আমরা।
- শাপলা ডাটা সবজি হিসেবে বেশ সাদের হয়। আমি বেশ আগ্রহ নিয়েই খাই। চিংড়ি বা ইলিশ দিয়ে ঝোল ঝোল করে রান্না করতেন আমার মা।
- এটিকে রি পোস্ট পলতে পারেন। শুধু শাপলার ছবিগুলি আলাদা।

৭| ২১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: Rule of thirds নিয়ে সিরিয়াস হওয়ার কিছু নেই। এটা অতীব গুরুত্বপূর্ন কিছু নয়।

২২ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপনার মতামত শিরোধার্য।

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮

শাওন আহমাদ বলেছেন: ছবি দেখতে এসেছিলাম, দেখলাম।

২৭ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বুঝলাম ভালো লাগেনি।

৯| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ২:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার শাপলা বৃত্তান্ত; ছবিগুলো দৃষ্টিনন্দন- পোস্টের এবং মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যগুলোরও।
শাপলা বিষয়ক তথ্যগুলো অনেকটাই অজানা ছিল। তথ্য ও চোখ জুড়ানো ছবিসহ শাপলা নিয়ে এই পোস্টে প্লাস। + +

২৭ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য ও মতামতের জন্য।
- ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.