নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর কোন দেশের মেয়েরা সবচেয়ে সুন্দর?

১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৫৯

ছবিঃ আনন্দবাজার পত্রিকা।

সুন্দর বিষয়টা সবার কাছে একরকম নয়।
কারো কাছে পাহাড় সুন্দর, কারো কাছে সমুদ্র। কারো কাছে ঝর্না। আবার কারো কারো কাছে প্রকৃতি। আমার ভালো লাগে ভোরের আকাশ। একটু একটু করে আকাশ ফর্সা হয়। পাখি উড়ে যায়। স্নিগ্ধ বাতাস! অতি মনোরম পরিবেশ। অনেকে বলেন- চোখ যা দেখে আনন্দ পায় সেটাই সুন্দর। যেমন ধরুন, একটা ফুলদানি মেঝেতে পড়ে আছে। ফুলদানির আশেপাশে কিছু ফুল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। দৃশ্যটা মনোরম লাগবে না। তাহলে কি করতে হবে? ফুলদানিটা জানালার পাশে থাকবে। ফুল গুলো ফুলদানিতে থাকবে। দেখতে ভালো লাগবে। অর্থাৎ ফুলদানিতে প্রান ফিরে পাবে। সেটা দেখে চোখ আরাম পাবে।

পৃথিবীর সব দেশের মেয়েরাই সুন্দর।
মেকাপ নয়, শিক্ষা মেয়েদের ব্যাক্তিত্ব বাড়িয়ে দেয়। আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। মেয়েদের সমস্যা হলো তারা সাজগোছ করতে গিয়ে মুখে অতি মাত্রায় রংচঙ মাখে। তাতে তাদের আসল সৌন্দর্য আড়াল হয়ে যায়। বাঙালী মেয়েদের অনেক সাজগোজের কোনো প্রয়োজ নেই। নো নেভার। জাস্ট চোখে একটু মোটা করে কাজল দিলেই অসাধারণ লাগে। দুই হাত ভরতি থাকবে চুড়ি। মেয়েদের বেনী করলে দেখতে ভালো লাগে। দুই পাশে দুই লম্বা বেনী। দু:খের বিষয় এযুগের মেয়েরা বেনী করে না। তারা চুল কালার করে। হয়তো দু একটা সাদা চুল লুকাতে চায়। সৌন্দর্য দেখার চোখ থাকতে হয়। সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য গাঢ় অনুভূতি থাকতে হয়। একটা মানুষের সব কিছুই দরকার। শিক্ষা, রুপ, সরলতা, ভালোত্ব, মহত্ব, উদারতা ইত্যাদি।

অনেকের কাছে ফর্সা মানেই সুন্দর।
এখন যুগ বদলেছে। রুচিশীল মানুষেরা শুধু গায়ের রঙ না, আরো অনেক কিছুই দেখে। শিক্ষা, মানবিকতা, ব্যবহার, আন্তরিকতা। গায়ের রঙ কোনো বিষয় না। আমাদের রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, "কালো? তা সে যতই কালো হোক দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ"। শিক্ষা, রুচিবোধ, মহানুভবতা ইত্যাদি ফুটে মানুষের চোখে মুখে ও আচার আচরনে। জ্ঞানী মানুষেরা গায়ের রঙ নয়, গুনের মর্যাদা করে। যাইহোক, পৃথিবীর সব দেশের মেয়েরাই সুন্দর। নাক চ্যাপ্টা জাপানি গুলোও সুন্দর। আফ্রিকার কালো মেয়ে গুলোও সুন্দর। প্রতিটা মেয়েই আসলে মায়াবতী। ভালোবাসার আধার। আমার ওস্তাদ বলেন, নারীরা হচ্ছেন ধরনী, তাদের মাঝেই আমাদের বসবাস। তাই ঘরে বাইরে নারীকে সম্মান করতে হবে। ভালোবাসতে হবে।

আমার আগের অফিসে বসের রুমের দেয়ালে একটা হাতে আকা ছবি আছে।
ছবিটা এতই সুন্দর যে আমি চোখ ফেরাতে পারি না। বসের রুমে মিটিং হয়। আমি ছবিটার দিকে মুগদ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি। ছবিটা এই রকম: জ্যোছনা রাত। চারিদিকে উথাল-পাথাল জোছনা। চারপাশ ফকফকা। একটা মেয়ে পুকুর পাড়ের দিকে হেটে যাচ্ছে। মেয়েটা সুন্দর শাড়ি পরা। ব্লাউজ পরা নেই। মেয়েটা ধীর পায়ে হেটে যাচ্ছে। কোমর পর্যন্ত তার ঘন কালো চুল। না চাইলেও মেয়েটার কোমরের খাজে চোখ আটকে যায় বারবার। সুন্দর নিতম্ব। মেয়েটার মুখ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। ছবিটা দেখে মনে প্রশ্ন জাগে জোছনা রাতে মেয়েটা কোথায় যাচ্ছে? পুকুরে স্নান করতে? এত রাতে কেন স্নান করবে? আর যদি স্নান করতেই হয় এত রাতে তোলা পানিতে স্নান করবে। পুকুর ঘাটে কেন? নাকি এটা কোনো অলৌকিক দৃশ্য! মেয়েটা কোনো আত্মা? যাইহোক, বস বলেন রাজীব সাহেব আপনার মিটিং এ মন নেই। আসুন একটা শর্ট ব্রেক নিই। এই চা নাস্তা দাও। রাজীবকে দুই কাপ চা দাও।

পৃথিবীর সব জাতির মানুষের সাথে মেশার সুযোগ আমার হয়নি।
তবে ভাত রান্না করতে গেলে সব ভাত টিপে দেখতে হয় না। সব মানুষের রক্তই লাল। সবারই ক্ষুধা আছে। মানুষের মাঝে হিংস্রতা আছে, মানবিকতা আছে, ভালোবাসা আছে। একসময় আমি ওয়েডিং ফটোগ্রাফি করতাম। একবার বিয়ের ছবি তোলার জন্য অতি দুর্গম এক গ্রামে গেলাম। একদম অজপাড়া গা। প্রচুর গাছপালা, ধানক্ষেত। কোনো পাকা রাস্তায় নেই। গ্রামের নাম রসুলপুর। ছবির মতো সুন্দর গ্রাম। তিন দিন এই গ্রামেই ছিলাম। অলকা নামে একটা গ্রামের মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। সহজ সরল সুন্দর একটা মেয়ে। অলকার অনেক গুলো ছবি আমি তুলে দেই। মিথ্যা বলব, জীবনে প্রথম আমি এই মেয়েটাকেই চুমু খাই। ঢাকায় এসে আমি মেয়েটার কথা একেবারে ভুলেই যাই। মেয়েটা একদিন আমার বাসায় এসে উপস্থিত। যাইহোক, লেখা বড় হয়ে যাচ্ছে। অন্য কোনো সময় এই মেয়েটার গল্প বলব।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:১২

ইল্লু বলেছেন: মজাটা কি জানেন আপনার লেখাটা পুরুষালী দৃষ্টিকোন থেকে,
অনেকটা বলা যায় মেয়েদের জগতটাও কেমন জানি পুরুষের চোখের আওতায় আটকে আছে।ঐ সাজা গোজার ব্যাপারস্যাপার সবটুকুই তো পুরুষের কাছে আর্কষনীয় হওয়ার জনে।মেয়েরা কেমন জানি অদ্ভুত একটা শেকলে আটকে আছে,ওরা বের হতে চায় কি?অন্ততঃভারত,বাংলা,ঐ উপমহাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এটা বিশেষ ভাবেহ প্রযোজ্য,হয়তো পারে না।
আমরা গল্প উপন্যাস পড়ে একজন মানসী তৈরী করি,একেকজন টেনে আনে একেকরুপ।প্রেম,ভালবাসার জোয়ার আসে।তারপর আসে প্রয়োজনের ভাটা। এটাও হরিনী নয়না কৃষ্ণকলিদ্র বিয়ের সময় পাত্র জোগাড় এখনও বেশ দুষ্কর,(বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এখনও arranged marriage চলে বলে মনে হ্য়।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:



সব মেয়েই সুন্দরী

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: আগে সুন্দরীর সংজ্ঞা দিন।

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


প্রাণী জগতের দিকে তাকান।
মুরগীর চেয়ে মোরগ বেশী সুন্দর।
গাভীর চেয়ে ষাড় বেশী সুন্দর।

এমন আরো আছে। বের করে নিন।

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬

বাকপ্রবাস বলেছেন: হাসিনার চাইতে খালেদা সুন্দর হা হা হা

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:১৯

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: @মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন প্রাণী কূলে পুরুষ সুন্দর , মানব কূলে নারী সুন্দর বেশি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.