নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিনিয়াস \'নিকোলা টেসলা\'

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪



সময় তখন ১৮৫৬ সাল।
মধ্যরাতে জন্ম হয় এক সুপারম্যানের। বাইরে তখন তুমুল ঝড় বৃষ্টি হচ্ছিলো। নাম তার নিকোলা টেলসা। তারা মোট পাচ ভাইবোন। টেলসা পাচ বছর বয়সে স্কুলে ভরতি হোন। সময় তখন ১৮৪০ সাল। টেলসা মুখে মুখে অংকের সমস্যার সমাধান করে দিতে পারতেন। তার সময়ের মানুষেরা তাকে বুদ্ধিজীবি হিসেবে সম্মান করতো। কিন্তু অনেক বিজ্ঞানী তাকে ভালো চোখে দেখতেন না। টেলসার ভাগ্য খারাপ ছিলো। তার ল্যাবে আগুন লেগে যায়। পুরো ল্যাব পুড়ে যায়। তার দরকারী সব কাগজ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তারপরও টেলসা থেমে যাননি। তার আবিষ্কারগুলো কোটি কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করে গেছে এবং শত শত মিলিয়নিয়ার তৈরি করে গেছে। ১৮৮২ সালে টেসলা টমাস আলভা এডিসনের কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যান। কিন্তু এডিসনের সাথে টেলসার কঠিন ঝগড়া হয়ে যায়। টমাস আলভা এডিসন টেলসাকে ব্যবহার করেছেন।

মৃত্যুর আগে টেলসা একটি আবাসিক হোটেলে স্থায়ীভাবে থাকতেন।
সেই হোটেলেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে তেসলা প্রতিদিন বিকেলে হাঁটতে বের হতেন। পকেটে করে পাখিদের জন্য খাবার নিয়ে যেতেন। আহত পাখি ও পশুদের তিনি সেবা যত্ন করতেন। একদিন তিনি পার্কে যেতে পারেন নি। সেদিন তিনি রাতে পাখিদের খাবার দিতে বের হোন এবং গাড়ি দূর্ঘটনা হয়। দূর্ঘনায় তার পাজরের হাড় ভেঙ্গে যায়। তবু তিনি ডাক্তারের কাছে যাননি। এই মহান বিজ্ঞানী ১৯৪৩ সালের ৭ জানুয়ারি মারা যান। অসহায় ও দরিদ্র অবস্থায় মারা যান। এই বিজ্ঞানী জন্মেছিলেন বর্তমান ক্রোশিয়ায়। টেলসার মা সব সময় বলতে আমার ছেলে পৃথিবীতে আলো নিয়ে আসবে। মায়ের কথা সত্যি হয়েছিলো। ৩০ জুলাই ১৮৯১ সালে টেসলা আমেরিকার নাগরিকত্ব অর্জন করেন। ২৮ বছরের তাগড়া জোয়ান টেসলা আমেরিকায় পা রাখেন।

পৃথিবীতে টেসলাই প্রথম বিদ্যুৎ নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন।
টেলসা আমাদের দিয়েছেন গ্যাসের টিউবলাইট, ফ্লুরোসেন্ট বাল্ব, হাই ফ্রিকোয়েন্সি বিদ্যুৎ। ছোটবেলায় একবার টেলসার কলেরা হয়। প্রায় মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভালো চিকিৎসার কারনে সেবার বেচে যান। এরপর কিছু পর তাদের গ্রামে অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির যৌথ বাহিনী লোকজন আক্রমন চালায়। তখন গ্রামের সব লোকজনের সাথে টেলসাও পাহাড়ে লুকিয়ে থাকলো। এই সময়ে টেলসা বই পড়তে শুরু করলো। বই পড়লে সময় খুব সুন্দর করে কাটে। ১৮৭৫ সালে টেসলার প্রকৌশলবিদ্যা পড়তে শুরু করে। টেলসা একটা দিনও ক্লাশ মিস করে নাই। বুদ্ধিমান ছাত্র পেয়ে শিক্ষকেরা ভীষন খুশি। কিন্তু শিক্ষকদের সাথে টেলসার ঝগড়া হয়। এবং তিনি লেখাপড়া শেষ না করেই কলেজ জীবনের ইতি টানেন। পড়াশোনা নিয়ে টেলসা ভীষন সিরিয়াস ছিলেন। এজন্য ছাত্র থাকা অবস্থায় প্রেম ভালোবাসা পর্যন্ত করেন নাই।

তখন শিল্পসমৃদ্ধির স্বর্ণযুগ ছিল আমেরিকাতে।
কিন্তু সন্ধ্যা হলেই চারপাশ অন্ধকার হয়ে যেতো। লোকজন ঘরে লন্ঠন জ্বালাতো। একদিকে এডিসন অন্যদিকে টেলসা তারা চায় চারপাশ আলোকিত হোক। পরিশ্রম করলে সাফল্য আসবেই। তাদের দুজনের কল্যাণে বিশ্ববাসী পেলো বিদ্যুৎ। টেলসা কোথাও বেড়াতে গেলে সব সময় নামী-দামী বিলাসবহুল হোটেলে থাকতে পছন্দ করতেন। কোনো দিন প্রেম ভালোবাসা করেন নি। বিয়েও করেন নি। তবে তিনি সব সময় নারীদের সম্মান করতেন। টেসলা বেঁচে ছিলেন ৮৬ বছর বয়স। বিলয়ার্ড খেলতে টেলসা খুবই পছন্দ করতেন। টানা ২৪ ঘণ্টা তিনি বিলিয়ার্ড খেলেছেন। টেলসা মনে করতেন বিয়ে করলে তার কাজে বাঁধা আসতো। সংসারের ঝামেলায় তার কাজের ক্ষতি হতো এজন্য টেলসা বিয়ে পর্যন্ত করেন নাই। টেলসা ভাবতে পছন্দ করতেন। ঘন্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে ভাবতে থাকতেন। টাইম মেশিনের চিন্তা প্রথম মাথায় আসে টেলসার।

টেলসার সাথে আমাদের ব্লগার সোনাগাজীর বেশ মিল আছে।
দুজনেই দারুন বুদ্ধিমান। তারা দুজনেই বিশ্ব, দেশ, সমাজ এবং মানুষদের নিয়ে ভাবতেন। পৃথিবীবাসীর জন্য টেলসার অবদান অনেক। টেলসা পড়তে ভালোবাসতেন। উনি সবাইকে মন দিয়ে পড়ার কথা বলেছেন। চিন্তা করার কথা বলেছেন। আরো বলেছেন, প্রেম ভালোবাসা অতি তুচ্ছ ব্যাপার। তুচ্ছ ব্যাপারে সময় অপচয় করতে মানা করেছেন। বলেছেন, সময় খুব মূল্যবান। সময়কে কাজে লাগাতে হবে। তবেই জীবনে সফল হওয়া যাবে। এক মেয়ে টেলসার জন্য পাগল হয়ে যায়। টেলসা তাকে বলেছে, প্রেম ভালোয়াবসা আর বিয়ে আমার জন্য নয়। বিয়ে করে ঘর সংসারের মধ্যে আমার জীবন আবদ্ধ করতে চাই না। আমি পুরো বিশ্বের জন্য মহৎ সব কাজ করতে চাই। মানব জীবন তো একটাই। তাই সময়টা আমি ভালো কিছু করে কাজে লাগাতে চাই।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২১

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: আপনার পায়ের অবস্থা কেমন? এখন সুস্থ হয়েছেন দাদা?
নিকোলা টেসলা নিয়ে একবার আর্টিক্যাল পড়েছিলাম, সম্ভবত ইউটিউবে কে জানি উনাকে নিয়ে ব্লগ করলেন একটা। আজ আপনারটাও পড়লাম।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২২

রাজীব নুর বলেছেন: গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রেখেছিলাম। এরপর আর ব্যথা হয় নাই।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২২

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি এক বিখ্যাত বিজ্ঞানীর কথা বলতে গিয়ে আমার নিকটাও নিয়ে এসেছেন! আমি গ্রামের চাষীর ছেলে, বাবার অকাল মৃত্যুর কারণে পরিবার পালন করতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছি।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: টেলসার সাথে আপনার অনেক মিল আছে। যেটা আমার মনে হয়েছে, সেটা বললাম। ব্যস।

৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

এম ডি মুসা বলেছেন: গাজী সাহেবকে নিয়ে আমি একটা কবিতা লিখবো ভাবছি, কিন্তুু সে আবার ক্ষেপে যায় কিনা আমি জানি না

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: না ক্ষেপবেন কেন?
লিখে ফেলুন একটা সহজ সরল সুন্দর কবিতা।

৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মেঘবৃষ্টির গল্প বলেছেন: প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সাথে ঝগড়া, এডিসনের সাথে ঝগড়া। এত ঝগড়ার কারণ কি ছিলো?

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১১

রাজীব নুর বলেছেন: শিক্ষকেরা একবার তার বাবার কাছে চিঠি লিখেছিলেন, আপনার ছেলে ছাত্র হিসেবে অসাধারন। কিন্তু আপনার সন্তান লেখাপড়া নিয়ে অনেক পরিশ্রম করে, খুব বেশি পরিশ্রম করে। টেলসা অসুস্থ হয়ে যাবে। সেই শিক্ষকরাই টেলসাকে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে দেয়নি।

এডিসন টেলসার সাথে বেঈমানি করেছে।

৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: নিকোলা টেসলা, সত্যিই এক জিনিয়াস ছিলেন। জিনিয়াসরা সবসময় নানা কারণে সমাজের মানুষ দ্বারা হেনেস্তার শিকার হয় তাই তিনি বাধ্য হয়েই হোটেলে থাকা শুরু করেছিলেন।



০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আবিস্কারের নেশায় বিয়ে পর্যন্ত করেন নাই।

৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৬

কামাল১৮ বলেছেন: আলো হাতে এসেছিলো অভিজিত রায়।অন্ধকারের লোকেরা সেই আলো নিভিয়ে দিয়েছে।তার একটা লেখার হেডিং,হলো , আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী।সংক্ষিপ্ত জীবনে সে যা রেখে গেছে তার মূল্য অপরিসীম।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: অভিজিতকে হত্যা করে আসলে দেশের ক্ষতি করা হয়েছে।
অভিজিত আধুনিক মানুষ। উন্নত চিন্তার মানুষ। কুসংস্কার মুক্ত মানুষ।

৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:০০

আলামিন১০৪ বলেছেন: একটা তথ্য যোগ করি। টেসলা এসি কারেন্টের উদ্ভাবক (আপনার ভাষায় হাই ফিকোয়েসন্সী বিদ্যুত) আর এডিসন ছিলেন ডিসি কারেন্টের প্রবক্তা। এটা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিরাট মারামারি। শেষে এসি জিতল ডিসিকে পরাজিত করে, কারন ডিসি বিদ্যুতকে ট্রান্সফরমারের সাহায্যে উ্চ্চ ভোল্টে পরিবর্তন করা যায় না, ফলে দূরবর্তী জায়গায় প্রেরণের সময় প্রচুর এনার্জী লস হয়।

এসি আর ডিসি’র rivalry নিয়ে অনেক মজার ইতিহাস আছে। একবার এডিসন, এসি কতটা বিপজ্জনক তা সবাইকে দেখান, গরু -ঘোড়াকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মেরে ফেলেন আর দেখান যে ডিসি তার তুলনায় অনেক নিরাপদ। আর এতে টেসলা পড়েন বিপদে। পরে তিনি একটা কৌশল করেন, নিজের শরীরের ভিতর দিয়ে হাই ভোল্ট এসি আর্ক প্রবাহিত করে লোকদের দেখিয়ে দেন যে এসি বিদ্যুতও নিরাপদ।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:০৪

আলামিন১০৪ বলেছেন: কামাল বুঝি অভিজিতের সাগরেদ? টেসলার জায়গায় গুরুরে (গরু পড়তে হবে) বসাইলেন?

৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



Read more..
Learn more...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.