নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

টেনশন কমাতে যা করতে হবে

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৫

ছবিঃ আমার তোলা।

টেনশন মানুষের ক্ষতি করে।
সমস্ত রকম অন্যায়, ভুল, মিথ্যা, জটিলতা ও কুটিলতা থেকে দূরে থাকলেই আপনি মানসিক টেনশন থেকে বাচতে পারবেন। ধরুন, আপনি চাকরিজীবি। অফিসে যদি আপনি আপনার দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করেন, তাহলে আপনার কোনো টেনশন হবে না। আবার ধরুন, আপনি ব্যবসা করেন। ব্যবসায় যদি আপনি প্রতারনার আশ্রয় নেন, তাহলে মানসিক টেনশন আপনাকে ঘিরে ধরবে। নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

মানসিক টেনশন থেকে বাচার জন্য আপনাকে সহজ সরল সুন্দর জীবনযাপন করতে হবে।
সমস্ত রকম মন্দ মানুষ থেকে দূরে থাকতে হবে। যদি কাছের আত্মীয়স্বজন জটিলতা কুটিলতা করে তাহলে তাদেরও জীবন থেকে মাইনাস করে দিতে হবে। আগে নিজের শান্তি, নিজের ভালো থাকা, নিজের পরিবার। জীবন থেকে লোভ এবং হিংসা পুরোপুরি ডিলিট করে দিতে হবে। মানুষকে ভালোবাসতে হবে। ছাদে বা ব্যলকনিতে টব বা ড্রামে গাছ লাগান। গাছের যত্ন নিন নিয়মিত।

প্রতিদিন বই পড়বে হবে। বই আপনাকে আনন্দ দিবে।
ভালো মানুষ হতে সাহায্য করবে। সারাদিন যতই ব্যস্ত থাকুন কমপক্ষে দশ পাতা হলেও পড়বেন। পৃথিবীর সেরা মুভি গুলো দেখবেন। সময় পেলে বিশাল আকাশের দিকে তাকাবেন। আর হ্যা অবশ্যই ভ্রমন করতে হবে। বছরে কমপক্ষে তিন চার বার ভ্রমনে যাবেন। বিশেষ করে পাহাড় এবং সমুদ্রের ধারে সময় কাটাবেন। গান শুনবেন। বুদ্ধিমান মানুষদের সাথে আড্ডা দিবেন। যা মন চায় লিখবেন। প্রতিদিন কিছু না কিছু লিখবেন। লেখালেখি করলে এক ধরনের অকৃত্রিম আনন্দ পাওয়া যায়।

মানসিক টেনশন থেকে বাচার জন্য আপনাকে কাজ করতে হবে।
ভীষণ রকমের ব্যস্ত থাকতে হবে। মনে মনে ধরে নিবেন, পুরুষের কোনো বিশ্রাম নেই, পুরুষের বিশ্রাম কবরে। কখনো কারো কাছে কিচ্ছু আশা করা যাবে না। শুধু মানুষের ভালোর জন্য কাজ করে যেতে হবে। মানসিক টেনশন দূর করার প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে একজন মানবিক মানুষ হওয়া। একজন হৃদয়বান মানুষ হওয়া। কৃপন ও ইতর মানুষকে কেউ ভালোবাসে না। কে কি করলো সেদিকে নজর না দিয়ে আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

মানসিক টেনশন দূর করার সবচেয়ে ভালো পন্থা হচ্ছে সমাজের জন্য কিছু করা।
লাইব্রেরী করা, গ্রামের কাচা রাস্তা পাকা করে দেওয়া, অসুস্থ ব্যাক্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়া, দরিদ্র অসহায় পিতা মাতার সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে নেওয়া। বেকারদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া, অথবা কর্মসংস্থান তৈরি করা। ক্ষুধার্ত মানুষকে পেট ভরে খাওয়ানো। শুধু একা ভালো থাকলে হবে না, আশেপাশের সকলকে নিয়ে ভালো থাকতে হবে। মানুষের পাশে দাড়াতে হলে, আপনাকে আগে যোগ্য ও দক্ষ হতে হবে। একজন সফল মানুষ হতে হবে। নইলে কখনই কারো জন্য কিছু করতে পারবেন না।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৪৮

সোনাগাজী বলেছেন:



ঢাকার মানুষ অনেক টেনশনে থাকেন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: কথা সত্য।

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




আমি আছি আরামে।
আমার কোনো টেনশন নাই।
বড়ই আচানক ঘটনা।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আজিব!!

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: টেনশন কমাতে দৌড় হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম ফর্মুলা। আপনি যত দ্রুত দৌড়াবেন আপনার টেনশন ততো কমবে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি একদিন দৌড়ে দেখব।

৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৭

রানার ব্লগ বলেছেন: মুভী দেখার চেয়ে বই পড়া টা বেশ কাজ দেয়।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০১

রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।

৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এসব তো বড়লোকদের জন্য। গরীবদেরকে মাসালা দেন কিছু।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০২

রাজীব নুর বলেছেন: গরীব থাকা যাবে না।

৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: ভালো লাগলো কথা গুলো-সুন্দর!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩০

ঢাবিয়ান বলেছেন: মোটিভেশনাল স্পিকার হতে চাচ্ছেন নাকি ?

৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আমাদের সমাজে মন্দ মানুষদের কাছ থেকে দূরে থাকতে চাইলেও পারা যায় না, ঘাড়ের উপরে এসে পড়ে।

৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


মানুষের বা ফেরেশতাদের নিজের কোন কিছু করার ক্ষমতা নেই। এমনকি আল্লাহ না চাইলে মানুষ কোন কিছু ইচ্ছেও করতেও পারে না। মহান আল্লাহ সোবাহানা তায়ালা কোরআনে ফরমাইয়াছেনঃ

২৯. আর তোমরা ইচ্ছে করতে পার না, যদি না সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ ইচ্ছে করেন।
[সূরাঃ আত-তাকভীর]


আপনি এই যে পোস্টখানা পোস্টাইয়াছেন ইহাও পারিতেন না যদি না আল্লাহ ইচ্ছা না করিতেন।

সুতরাং পৃথিবীতে যত কিছুই ঘটে উহা আল্লাহ ইচ্ছাও অনুমোদনক্রমেই ঘটে। নাদান নালায়েক মানুষ উহা বুঝিতে পারে না।

১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

অর্থাৎ তোমরা সরল পথে চলতে চাইলে এবং আল্লাহর দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে চাইলেই থাকতে পারবে না। যতক্ষণ আল্লাহ ইচ্ছা না করবেন। সুতরাং তাঁর কাছেই তাওফীক কামনা করো। তবে এটা সত্য যে, কেউ যদি আল্লাহর পথে চলতে ইচ্ছে করে তবে আল্লাহ্ও তাকে সেদিকে চলতে সহযোগিতা করেন। মূলত আল্লাহর ইচ্ছা হওয়ার পরই বান্দার সে পথে চলার তাওফীক হয়। বান্দার ইচ্ছা আল্লাহর ইচ্ছা অনুসারেই হয়। তবে যদি ভাল কাজ হয় তাতে আল্লাহর সস্তুষ্টি থাকে, এটাকে বলা হয় ‘আল্লাহর শরীয়তগত ইচ্ছা’। পক্ষান্তরে খারাপ কাজ হলে আল্লাহর ইচ্ছায় সংঘটিত হলেও তাতে তাঁর সন্তুষ্টি থাকে না। এটাকে বলা হয় ‘আল্লাহর প্রাকৃতিক ইচ্ছা’। এ দু' ধরনের ইচ্ছার মধ্যে পার্থক্য না করার কারণে অতীতে ও বর্তমানে অনেক দল ও ফেরকার উদ্ভব ঘটেছে। [দেখুন: ইবন তাইমিয়্যাহ, আল-ইস্তেকামাহ: ১/৪৩৩; মিনহাজুস সুন্নাহ: ৩/১৬৪]

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.