নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছিপছিপে গড়নের মেয়ে লিমিশা। রুপ মাধুর্যেও অতুলনীয়। ফাইটিংয়ে বেশ পারদর্শী। দেশের জন্য মৃত্যু ঝুকি নিতেও পিছপা হয় না।
সদলবলে রেমেজ জাহাজে আরোহন করল। অসীম সাগরের বুকে জাহাজ পূর্ণদ্যমে চলতে শুরু করেছে। একই জাহাজে আরেকটি গ্রুপও আছে। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ক্যাপ্টেন ম্যুর। ম্যুরের দলে রেমেজ কর্তৃক ছাটাইকৃত সদস্যরাও স্থান পেয়েছে। তিনি একজন ফরাসি নাগরিক।জাতিসংঘ মিশন থেকে পাঠানো হয়েছে তাকে।
একদিন অতিবাহিত হয়ে গেল ধ্বংসাবশেষের কোনো নমুনা খুঁজে পাওয়া গেল না। রেমেজ পেছনের ডেকে দাঁড়িয়ে কিছু নিরীক্ষণ করছে বাইনোকুলার হাতে। আশেপাশে কোনো লোকজন নেই, বেশ ফাঁকা জায়গা। হঠাৎ গম্ভীর একটা কণ্ঠস্বর শোনা গেল, 'মি. রেমেজ আপনার সাথে আমার একটু বোঝাপড়া ছিল। '
পেছনে তাকাতেই ক্যাপ্টেন ম্যুরকে দেখতে পেল সে। ভ্রু কুঁচকে উঠল তার। কিসের বোঝাপড়া করতে চান তিনি। রেমেজ বলল, 'জ্বী বলুন।'
ক্যাপ্টেন ম্যুর মুখ থেকে সিগারেটের একরাশ ধোঁয়া বের করে বললেন, 'আমি শুধু জানতে চাই আপনি কেন আমার ছোট ভাইটাকে ফাঁসিয়ে দিলেন? '
'কার কথা বলছেন আপনি? '
'লুইপাসের কথা বলছি আমি। '
'ওহ! প্যারিসের সেই ঘটনাটা? '
'হ্যাঁ। '
'দেখুন সত্যকে উন্মোচন করাই আমার কাজ। আপনার ভাই মাদক চোরাচালানিসহ দুইটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত, ও পরে প্রমাণিতও হয়। এতে তার ফাঁসি হয়েছে। অপরাধ করলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে। আপনার তো এই জাহাজে আসার কথা ছিল না। '
'তা বটে। আপনাকে হাতের মুঠোয় পাব বলে অনেক কৌশলে এসেছি। আপনার জন্য আমার ভাইটাকে পরপারে যেতে হয়েছে । '
'আপনি একজন সেনাসদস্য হয়েও ন্যায় -অন্যায়ের পার্থক্য বুঝছেন না?'
'আমি ন্যায় -অন্যায় বুঝতে চাই না। গত দুইটা বছর আপনার অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু হাতের নাগালে পাই নি। এবার আপনাকে ছাড়তে পারি না। আপনার লাশ না দেখা পর্যন্ত আমি শান্ত হব না। '
এতক্ষণ রেমেজ তাকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করছিল এবং প্রস্তুতি নিচ্ছিল। মুহূর্তের মধ্যে ম্যুরের অস্ত্রটা পকেট থেকে হাতে চলে আসল এবং তাক করল রেমেজের দিকে। একেবারে কপাল বরাবর। তারপর বলল, 'এবার আমার হাত থেকে বাঁচবি না তুই। '
দুজনের মধ্যকার দূরত্ব প্রায় পাঁচফুট। রেমেজ মুচকী হেসে একটি পা সামনে এগিয়ে গেল। ক্যাপ্টেন ম্যুর আরো কঠোর সুরে বলল, 'নড়াচড়া করলেই গুলি করব। '
.......চলবে
©somewhere in net ltd.