নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিটল রাইটার এবং জার্নালিস্ট

মোঃ রাকিব খান

লিটল রাইটার এবং জার্নালিস্ট

মোঃ রাকিব খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি হতভাগা লাশ

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৪১



পড়ন্ত বিকেল।সুর্য প্রায় অস্ত যাবার উপক্রম। নিউমার্কেটের পাশ্ববর্তী এলাকা আজীমপুর কবরস্থানের পাশের রাস্তা বরাবর হাটতে বেরিয়েছি আপন মনে একা একা। আর দশদিনের মতো আজকের দিনটাও সাভাবিক বলেই মনে হচেছ। কিছুটা সামনে এগিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ থমকে দাঁড়াতে হলো আমাকে। শরীরের শিরা -উপশিরায় শিহরন বয়ে গেল। নিজের চোখকেই যেন বিশ্বাস করতে পারছি না। একি দেখছি আমি! এসব রাস্তার ফুটপাতে অনেকেই রািএ যাপন করে। তাদের মতো আরো একজনকে দেখছি আমি কিন্তু ফুটপাতের উপরে নয় নিচে, রাস্তার উপর। মুখের উপর কয়েকটা মাছি উড়ছে আর ভো -ভো শব্দে আনন্দ -উল্লাস প্রকাশ করছে। লোকটা যে মারা গেছে এটা হয়তো কারো বোঝার বাকি নেই। আশচর্য হলাম আশেপাশে তো অনেক মানুষই আছে। কর্মব্যস্ত শহরে প্রত্তেকেই তাদের নিজেদের কাজে ব্যস্ত। কারো কোনোদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। কেউ কেউ দেখেও না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছে। আশেপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি করলাম। কেউ কেউ এগিয়ে এল আবার কেউ কেউ দ্রুত স্থান ত্যাগ করল। নিশ্বাস নিচ্ছে কিনা, হৃদ -স্পন্দন আছে কিনা দেখে নিশ্চিত হলাম লোকটি মারা গেছে। আমরা কেউ লোকটাকে চিনি না, জানি না হয়তো আগে কখনো দেখিও নি। তিনি আমাদের অপরিচিত হলেও মানুষ হয়ে মানুষের জন্য কিছু করা আমাদের দায়িত্ব। কয়েকজন মিলে ধরাধরি করে লাশটাকে উত্তর -দক্ষিণ বরাবর সোজা করে রাখলাম৷ লোকটার পরনে ছিল ছেড়া-ফাড়া মলিন একটা লুঙ্গি আর শার্ট।ছিপছিপে রোগা শরীর, মুখে গোঁফও আছে। বয়স আনুমানিক পঞ্চাশ -ষাট হবে।
লোকটা কোথা থেকে এখানে এসেছে আমরা কেউ তা জানিনা। তার আর কেউ আছে কিনা সেটাও জানিনা। কী করব ঠিক ভেবে উঠতে পারছি না। দু 'একজন যারা ছিল তারাও কেটে পড়তে চােচছ। প্রত্যেকেই ব্যস্ততা দেখাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশকে জানানো ছাড়া অন্য কোনো উপায় খুজেঁ পেলাম না আমি। যাহোক, পাশ্ববর্তী থানার নম্বর যোগাড় করে পুলিশকে জানালাম।
কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ চলে এল। লাশ পর্যবেক্ষণ করে কয়েকজন মিলে তা গাড়িতে তুললো। আর দুজন আমাকে জেরা করা শুরু করলো। এমন সব প্রশ্ন ছুড়তে লাগল আমার দিকে যেসব প্রশ্নের সাথে আমি মোটেও জড়িত নই। পাশে তাকিয়ে দেখলাম আমার সাথে যারা ছিল সবাই অদৃশ্য হয়ে গেছে। কিছু লোক দুরে দাড়িঁয়ে উৎসুক নয়নে পুলিশের সাথে আমার কথাবার্তা শোনার জন্য কান খাড়া করে রেখেছে। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসছে না। যাহোক, কথা বার্তার এক পর্যায়ে পুলিশ কর্তা আমাকেও থানায় যেতে বলল। কি মুশকিলে পড়লাম! আমার কাছে মনে হলো আমি যেন বড় ধরনের অপরাধী এবং আমাকে যেন রীতিমতো রিমান্ডে আনা হয়েছে।

যাহোক, সেই ঝামেলা সময়মতোই শেষ হয়ে গেল। বিবেকের কাছে আমার প্রশ্ন " ঐ লোকটি যদি কোনো ধনী বা নামীদামী ব্যক্তি হতেন তাহলে কি লাশটি রাস্তার উপর ওভাবে পড়ে থাকতো ? " আমরা মানুষেরা আজ এতই সার্থপর হয়ে গেছি!! সত্যিই ভাবতে অবাক লাগে! মানুষের মনুষ্যত্ব আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? আরেকটি বিষয় সকলের অবগতির জন্য বলা দরকার, "এটা পুরোপুরি কাল্পনিক কোনো গল্প নয়, বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া। "


মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পড়লাম

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

মোঃ রাকিব খান বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:০২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ধনী হলেও যে তার ওভাবে পড়ে থাকা লাগতো না তা ই বা কে জানে?
অপরিচিত হলে তো পড়েই থাকতো।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

মোঃ রাকিব খান বলেছেন: আপনার যুক্তি মন্দ নয়। তবে ধনীদের জন্য তাড়াতাড়ি সুব্যবস্থা হয়ে যায়।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

রাােসল বলেছেন: May Allah bless you. I would also avoid the matter as like others though it is my duty. My dead body may be found as like this incident.

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:১৫

মোঃ রাকিব খান বলেছেন: I indicate the mentality of human.

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:১৭

নোমান প্রধান বলেছেন: দক্ষিন এশিয়ার পুরোনো চিত্র, হয়ত পাল্টাবে একদিন

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:১৩

মোঃ রাকিব খান বলেছেন: হয়তোবা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.