নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সরলতাই আমার পথেয় জটিলতার ধার ধারি না!!!

দিনে সূর্য রাতে চাদঁ, নতুন আলোয় করবো মাত !

rakibmbstu

আমি বিশেষ কেউ নই!!!

rakibmbstu › বিস্তারিত পোস্টঃ

টি -২০ বিশ্বকাপ টিকেট নামাঃ স্বজনপ্রীতি, প্রহসন ও নোংরা রাজনীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫১

গত ১৭ নভেম্বর হতে সারা বাংলাদেশের এন সি সি ও অগ্রণী ব্যাংক এর মানিগ্রাম আউটলেট এর মাধ্যমে টি -২০ বিশ্বকাপ ২০১৪ এর টিকেট বিক্রি শুরু হয়। যেহেতু এবার নারী ও পুরুষ উভয় বিশ্বকাপই এইদেশে হবে, তাই টিকেট এর দামও বেশ কম এবং এক টিকেটে বেশীরভাগ দুই ম্যাচ

দেখা যাবে। আমরা বরাবরই ক্রিকেট পাগল জাতি তাই অন্য আন্তর্জাতিক ম্যাচ এর চেয়ে এই টি -২০ বিশ্বকাপ এর টিকেট পাওয়া আরও কঠিন হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।



সারা দেশে তাই টিকেট কাটার জন্য শীত উপেক্ষা করে আগের দিন হতেই লম্বা লাইন দেয়া হয়েছিলো। তারপরও যে তারা টিকেট পেয়েছে তা বলা যাবেনা। বরাবরের মত এইবারও বেশীরভাগ ব্যাংকে দেখা গেছে ব্যাংকের লোকজন, স্থানীয় নেতা কর্মী ও প্রশাসনের লোকরাই টিকেট পেয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার টিকেট তারাই বাগিয়ে নিয়েছে।



এবার আসা যাক টাঙ্গাইলে একমাত্র টি -২০ বিশ্বকাপ এর টিকেট বিক্রির আউটলেট এন সি সি ব্যাংক এ কিভাবে টিকেট বিক্রি হল তা দেখিঃ



টিকেট পাওয়ার আসায় ক্রিকেট প্রেমীরা ১৬ নভেম্বর দুপুর হতে লাইন এ দাঁড়াতে শুরু করে। এরা সবাই তীব্র শীত উপেক্ষা করে পরদিন ১৭ নভেম্বর সকাল ১০ টা টিকেট বিক্রি শুরু হবার আগ পর্যন্ত এই ব্যাংক এর সম্মুখে অবস্থান করে। যেহেতু নতুন নিয়ম অনুযায়ী ১ম দিন সর্বাধিক ৫০ জন কে টিকেট দেয়া হবে তাই, প্রথম ৫০ জন কে সিলেক্ট করে ব্যাংক এর গেটের ভিতর নেয়া হয়। বাকিদের পরদিন হতে দেয়া হবে আশ্বাস দেয়া হয়।



নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র দেখানো সাপেক্ষে, একজন সর্বাধিক ১০ টি ও এর মধ্যে এক ম্যাচে সর্বাধিক ৪ টি টিকেট কাটতে পারবে তা বলে দেয়া হয়।



বি সি বি কর্তৃক প্রদত্ত ১ জন সুপারভাইজার ও ৩ জন সহ মোট চারজন টিকেট বিক্রি শুরু করেন। চুক্তির আওতাএ আই সি সি কর্তৃক প্রদত্ত ভারতের স্লো সার্ভার, নিম্নমানের যন্ত্রপাতি আর গ্রামীণ ফোনের স্লো মডেমের কারণে প্রথম টিকেট কাতা হয় ১১.১০ এ। এইভাবে বিকাল ৪.৩০ নাগাদ মোট ৩৯ জনকে টিকেট দেয়া হয়। এই সময় টিকেট রশিদ প্রিন্টার হাং হলে ওই দিনের মত শেষ করা হয়। বাকি ১১ জনের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা রেখে পরদিন তাদের দিয়ে টিকেট বিক্রি শুরু হবে বলা হয়।



এবার আসা যাক টিকেট প্রাপ্ত ৩৯ জন বিষয়ে.........

এদের মধ্যে ১২ জন মির্জাপুর ইস্পাহানী চা এর কর্মচারী। তারা এসেছে মালিকের আদেশে টিকেট কিনে নিয়ে যেতে। তাদের বলা হয়েছে যারা টিকেট না আনবে তাদের চাকরি থাকবে না। তাই তো এক সময় শেষ দিকে টিকেট সর্বাধিক ১০ তা হতে ৬ টায় করে দিবে এমন বলাতে টিকেট বিক্রি কারকদের পায়ে ধরে কেদে দিয়েছে, ১০ টা না দিলে তাদের চাকরি যাবে। এতে তারা পাবে মোট ১২*১০= ১২০ টি টিকেট শুধু এই শাখা থেকেই। অন্য আরও শাঁখাতে তাদের লোক যে যায়নি এতে কে বলতে পারে? ভাবসেন এত টিকেট নিয়ে ইস্পাহানী মালিক কি করবে? তারা তাদের চা কিনার বিনিময়ে লটারি করে মানুষ কে দিবে। যা সাধারণ জনগনের প্রতি এক নির্ভেজাল প্রহসন। এই বিষয়ে উক্ত সুপারভাইজারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেও লাভ হয়নি কারন তার পকেট যে ঐ কোম্পানী দ্বারা ভারী হয়ে গিয়েছে।

বাকিদের মধ্যে আবার ১০+ আসে যারা ঢাকা থেকে এসেছে এইকাহ্নে টিকেট কাটবে বলে। যেহেতু এই ডি নাম্বার দেখে টিকেট দেয়, কই বাড়ি তা দেখে নয় তাই ওরা টিকেট নিয়েছে আর টাঙ্গাইলের ব্যাংক হলেও স্থানীয় জনগণ মাত্র হাতে গোনা কয়জনই পেয়েছে।



অতঃপর ১৮ নভেম্বর ব্যাংকে এসে দেখা যায়, নিয়ম অনুযায়ী ১০ টায় ব্যাংক না খুলে ১১.৩০ এ খুলা হয়। এই সময় টিকেট বিক্রিকারক লোক এসে জানান ঢাকার সব টিকেট শেষ শুধু চট্রগ্রাম এর টিকেট আছে তাও অপর্যাপ্ত। তাই গত কালের বাকি ১১ জন হতে শুরু করে যত জনকে দেয়া যায় প্রত্যেকে সর্বাধিক দুটি করে টিকেট পাবে। মাত্র এক দিনএ ঢাকার সব ম্যাচের টিকেট শেষ শুনে উপস্থিত শ'খানেক টিকেট প্রত্যাশীরা উত্তেজিত হলে, কিছুক্ষণ আগেই পৌছা পুলিশরা তাদের শান্ত হতে আহবান জানান। এক সময় উত্তেজিত জনগন শান্ত হয়। যারা ১৭ নভেম্বর রাত হতে ব্যাংক এর সামনে রাতে ছিল পর দিন তারা ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে মন খারাপ করে চলে যায়।



যেহেতু বলা হয়েছে, "গত কালের বাকি ১১ জন হতে শুরু করে যত জনকে দেয়া যায় প্রত্যেকে সর্বাধিক দুটি করে টিকেট পাবে" তাই ১১.৩০ এ এদের টিকেট দেয়া শুরু হয়। দুপুর ২.০০ নাগাদ উপস্থিত সবার টিকেট কাটা শেষ হয়। এরপর ব্যাংকের বাহিরে টিকেট নাই এই শীর্ষক নোটিস দেয়া হয়। আইখানে পর্যন্ত সব কিছু নিয়ম মত হয়েসে বলে মনে হয়। কিন্তু পাপ যে ঢেকে রাখা এত সহজ নয়...............।



দুপুর ২.৩০ এ শেষ দু-তিন জন টিকেট কেটে একটু বিশ্রাম নিবে বলে ব্যাংক এ বসে ছিল। এই সময় ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে টিকেট পাওয়া, না পাওয়া নিয়ে ঝগড়া বাধে। তখন সব থলের বিড়াল বার হয়।



এই ব্যাংক ম্যানেজার এর যোগ সাজসে প্রথম দিন ৪.৩০ তে প্রিন্টার গোলমাল ও ব্যাংক সময় শেষ ( অথচ অনেক ব্যাংক এ রাত ৮ টা পর্যন্ত টিকেট কাটা গেছে শুনা যায়।) দেখিয়ে শেষ ১১ জনের জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে বি সি বি নিযুক্ত সুপারভাইজার প্রতি পরিচয় পত্র হতে ৪ টি করে ৪*১১ = ৪৪ টি ঢাকার টিকেট এর রশিদ অনিয়ম করেই কেটে নিয়ে যায় যা তিনি তার ওই দিনের হিসাব ঢাকা বি সি বি কার্যালয়ে জমা দিয়ে, টিকেট উঠাবে (এবং কালোবাজারিদের কাছে বিক্রি করবে নিশ্চয়ই) ।

ওই ১১ জনের এক জন আবার লাইন এ দাঁড়িয়েও ৪ টার বেশী তুলতে পারেনি, সার্ভার অর আই ডি তে অলরেডি বুকড বা কোটা ফুল (১০ টা, যা একজনের জন্য সর্বাধিক) এমন দেখিয়েছে অথচ সে তুলেছে আগের ২ + পরের ৪ = ৬ টি। যা ওই দুনীতির প্রমাণ করে।

বিনিময়ে ম্যানেজার কে ওই দিন শেষ ও পরদিন প্রথম ঘণ্টা যত ঢাকা টিকেট থাকে দিতে হবে। কেননা এইবার বি সি বি গত বিশ্বকাপ এর টিকেট বিক্রি অনিয়ম রুখতে টিকেট বিক্রি শুধু ওই প্রতিনিধির মাধ্যমে হবে বলে ঘোষণা দিয়েসিল। শুনা যায় ব্যাংক কর্মকর্তারা নিজেরা টিকেট নিয়ে কর্মচারী দের কাওকেই দেইনি এতেই ওই গোলমাল বাজে।



জানা যায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ১৮ নভেম্বর প্রথম এক ঘণ্টায়ে ও ১৭ নভেম্বর বিকাল এ ওই ১১ জন কে বের করেই স্থানীয় নেতা কর্মী , পুলিশ ও প্রশাসনের লোক দের জন্য টিকেট কেটেছে। গোঁদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতই ঢাকার বাকি আরও টিকেট থাকলেও নিজেদের আই ডি দিয়ে ১৮ নভেম্বর বি সি বি নিযুক্ত ৩ জন (সুপারভাইজার মোট পাঁচ কেন্দ্রে দায়িত্ব থাকাতে আজ আর আসবেন না বলেছেন) বিশেষ ব্যবস্থা অনেক ঢাকার টিকেট ব্লক করে নিজেদের জন্য রেখেছেন।



এর আধাঘণ্টা পর টিকেট বিক্রি কারকদের একজন বিক্রির বুথ হতে বাহিরে আসলে টিকেট প্রত্যাশী ১ জন তাকে বেশী তাকার লোভ দেখাতেই সে ঢাকার টিকেট দিতে রাজি হয়। সে ৫০ টাকার দুটি ঢাকার টিকেট ৭৫০ টাকা করে ১৫০০ টাকা দিয়ে বিক্রি করে। এই সময় ব্যাংকের এক কর্মচারী ফোনে একজনকে ১৫০ টাকার গ্যালারি শেষ হয়েছে তাই ৫০ টাকার টিকেট দিবে বলে জানায়, যেহেতু ১৫০ টাকার গ্যালারি টিকেট কেবল ঢাকার হয় তাতে বুঝা যায় তখনও (দুপুর ২.৩০ এ) ঢাকার টিকেট আছে। অথচ সকালে ওরা বলেছিল ঢাকার কোন টিকেট নাই!!!



আশ্চর্যের বিষয় হল ওই বিক্রিকারক লোকটি টাকা নিয়ে টিকেট কাটার বুথে গিয়ে ওই টিকেট প্রত্যাশীর আই ডি দিয়ে পাঁচ মিনিটেই কেটে এনে দেয়। এখন কথা হল যারা গত ১৬ নভেম্বর হতে দিন-রাত না ভেবে টিকেট এর জন্য লাইন দিয়ে ছিল তারা কি পাপ করেছিল? সামান্য টিকেট এর জন্য যদি এত কামড়া-কামড়ি হয় তবে দেশ যে কতটুক আগাবে তা বুঝাই যায়।



টিকেটের বিক্রির নামে এই প্রহসন বন্ধ হয়া উচিত। বঞ্চিত জনগন এইভাবে শোষণের শিকার হলে এই খেলা যে একদিন জনপ্রিয়তার নিচে নামবে তা সুনিশ্চিত। এইসব দেখার কি কুনো লোক নেই? কাকে বলব? সবাই যে একই মনে হয়। আমাদের দেহের প্রতি কোনে-কোনে, শিরায় -শিরায় যে দুর্নীতি তা কি আর মুছবে কুনো দিন?



তাই হয়ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলে ছিলেন-



" সাত কোটি বাঙ্গালীর মুগ্ধ জননী

রেখেছ বাঙ্গালী করে মানুষ কর নি "







এবং ঝগড়ার ও দুর্নীতির প্রমাণ স্বরূপ ভিডিওটি দেখতেঃ



http://youtu.be/H1yS4PEVa8U



or,



https://www.dropbox.com/s/o5wq75qm3bpr15e/ncc bank.3gp





আরও তথ্য জানতেঃ



Detail in English:

Click This Link or Cruelty to get a ticket (2003 format).doc



Detail in Bangla:

https://www.dropbox.com/s/2iklzi6xl3paya6/New Text Document.txt

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.