নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে আলাদা ভাবে কিছুই বলার নেই। খুব সাধারন মানুষ। অন্য আট, দশজনের মতোই।

রাসেলহাসান

লেখালিখি করতে ভালো লাগে তাই লিখি। নতুন কিছু ক্রিয়েট করতে সব সময় ভালো লাগে। ফেসবুক লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/rasel.hasan.7

রাসেলহাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আমার ডায়েরী থেকে... (১১/০২/০৯)

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১৩



যাচ্ছিলাম গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে। বাসে উঠলাম আমি আর সাথে আমার আরেকটা বন্ধু। খালা বাড়ি যাচ্ছি আজ অনেকদিন পর।

মনটা অনেক ফ্রেশ ফ্রেশ লাগতেছে। জানালার পাশের সিট টায় আমি বসেছি।

আমি আবার জানালার পাশে ছাড়া বসতে পারিনা।

বাস এখনো ছাড়েনি। জানালা দিয়ে তাকিয়ে বাইরের প্রকৃতি দেখছি। একের পর এক যাত্রী উঠছে বাসে। একটু পর একটা সুন্দর মেয়ে বাসে উঠলো।

সাথে বয়স্ক টাইপের একজন মুরুব্বী লোক। আগেই আন্দাজ করে নিয়েছিলাম লোকটি মেয়েটার বাবাই হবে। আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছি।

মেয়েটার বাবা টিকিট দেখে সিট খুঁজতে খুঁজতে

আমার সামনের সিট টায় গিয়ে বসলো। মেয়েটা বসেছে আমার সোজাসুজি সামনের সীটে। মেয়ে মানুষতো জানালার পাশে ছাড়া বসতে পারেনা।

জার্নিতে বমি হওয়ার সমস্যা থাকে অধিকাংশ মেয়েদের।

তাই জানালার পাশেই বসা বেটার।

আমার কানে "হেডফোন" দেওয়া। গান শুনছি আমার প্রিয় সিঙ্গার হাবিবের।

গাড়ি স্টার্ট নিলো, বাইরের #ফুরফুরে বাতাসে ভালোই লাগছে।

আকাশে আজ মেঘ জমেছে। সকাল থেকেই হাল্কা হাল্কা বৃষ্টি পড়ছে। ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় গান শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি ঠিক খেয়াল নেই।

কিছুক্ষন বাদে একটা ঝাঁকুনিতে ঘুম ভাঙলো ।

গাড়ি একটা স্ট্যান্ডে এসে দাঁড়িয়েছে কিছু লোক নেওয়ার জন্য।

জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছি। জানালার বাইরে

থেকে সামনের মেয়েটির হাত দেখা যাচ্ছে। মেয়েটি হাতটা বাইরে দিয়ে রেখেছে।

হাতে নতুন মেহেদি লাগিয়েছে বোঝায় যাচ্ছে।

তাকিয়ে মেয়েটির হাতে দেওয়া মেহেদির আর্ট লক্ষ্য করছিলাম।

গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে। মাতাল বাতাসে মনটা জুড়িয়ে যাচ্ছিলো। হঠাৎ সামনে দিয়ে মেয়েটির মাথার চুল গুলো উড়ে এলো।

চুল ছেড়ে দিয়ে মেয়েটি ঘুমিয়ে পড়েছে। বাইরের ফুরফুরে বাতাসে চুল গুলো আমার মুখের উপর দিয়ে উড়ছিল। আমি কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না।

চুল গুলো সরিয়ে দিবো? নাকি এভাবেই থাকবে?

চুলে শ্যাম্পু করেছে বোঝায় যাচ্ছে। চুল থেকে ঘ্রান আমার নাকে এসে লাগছে।

আমি হাত দিয়ে বার বার সরিয়ে দিচ্ছিলাম,

কিন্ত আবার এসে আমার মুখের উপর এসেই পড়ছিল।

আমার বন্ধু পাশের সীটে বসে হাঁ করে ঘুমাচ্ছে। নাহ, ওকে ডিস্টার্ব করা ঠিক হবেনা। চুল গুলো ওভাবেই ছেড়ে দিলাম। আর কিবা করবো?

মেয়েটাকে ঘুম থেকে ডেকে তো আর বলা ঠিক হবেনা যে ম্যাডাম আপনার চুল গুলো সরান আমার ডিস্টার্ব হচ্ছে।

তবে ঠিক ডিস্টার্ব হচ্ছে বলাও ঠিক না। খারাপও লাগছেনা। ভালোই,

আমার হেডফোনে গান বাজছে,



"চলতে চলতে দেখা হলো তোমাকে #লাগলো ভালো,

তাই তোমাকে আমি দেখছি।

যতই দেখছি ততোই লাগছে ভালো,

যতই দেখছি ততোই লাগছে ভালো।

চলতে চলতে দেখা হলো...



সঠিক সময়ে সঠিক গান বাজছে আমার মোবাইলে। গানের সাথে সাথে আমিও আস্তে আস্তে মুখ নাড়িয়ে নাড়িয়ে গান গাচ্ছি।

মনে মনে ইচ্ছা জাগলো মেয়েটার চুল ধরে একটা টান মেরে দেখি কিছু হয় নাকি। নাহ, শয়তানি করবো কি করবোনা?

করি, আস্তে করে একবার মেয়েটার চুল ধরে টান মারলাম। মেয়েটা ঘুমাচ্ছে কিছুই টের পাইনি। একটুপর আরেকবার টান দিলাম

তখন খেয়াল করি নাই মেয়েটা জেগে আছে। মেয়েটা পিছের দিকে তাকালো। আমিতো লজ্জায় লাল। আমি এমন ভাব ধরলাম

যে কিছুই জানিনা। এভাবে অনেক্ষন আমাদের #দুজনের রোমাঞ্চকর কিছু মুহূর্ত কাটলো। ধীরে ধীরে সময় চলে আসছে মুল

গন্তব্যে নেমে যাওয়ার। মেয়েটার বাবা, বার বার কন্ট্রাক্টটার কে ডেকে বলছিল তাদের স্ট্যান্ডে আসার আগে জানিয়ে দিতে।

মেয়েটা নেমে যাবে আমাদের নামার আগের স্ট্যান্ডে। আমার মনের মধ্যেও এক অজানা আশংখা কাজ করতেছিলো।

মেয়েটার সাথে তো একবারও কথা বলা হলোনা। শুধু চাওয়া চাওয়ি হয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে মেয়েটা ছিল একটা অপরূপ সুন্দরী।

যাকে প্রথম দেখাতেই অনেকেরই ভালো লেগে যেতে পারে। হ্যাঁ, আমারও অনেক ভাললেগেছিল। তবে আমার ওই ভালোলাগাটা ছিল ওই জার্নিতেই।

বাসেই প্রথম দেখা আবার বাসেই শেষ।

মেয়েটাকে আমার মোবাইল নাম্বার দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলাম, কিন্ত পারিনি। তবে মেয়েটা, জানিনা আমার কাছে মনে হয়

মেয়েটারও আমাকে ভালো লেগেছিল। বাস থেকে নামার আগে বার বার শুধু আমার দিকে কি করুন দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিল,

দেখে মনে হচ্ছিলো কিছু একটা বলতে চাই মেয়েটি। আমিও একটা কাগজে আমার মোবাইল নাম্বারটা লিখে ফেলেছিলাম,

কিন্ত নাম্বারটা আমার হাতেই থেকে গিয়েছিলো।

মেয়েটার হাত পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারিনি।

মেয়েটার বাবা মেয়েটাকে এমন ভাবে গার্ড দিয়ে রেখেছিলো যে আমার আর নাম্বারটা দেওয়ার সুযোগ হয়নি। বাস থেকে নামার পরে জানালা দিয়ে মেয়েটাকে দেখছিলাম। মেয়েটাও আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। বাস ছেড়ে দেওয়ার পরেও অনেকদুর পর্যন্ত, যতদুর পর্যন্ত শেষ দেখা দেখা যায়, সেই পর্যন্তও আমি এবং #মেয়েটা দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। নাম্বারটা হাতের মধ্যে নিয়ে, কিছুক্ষন পর জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দিলাম।।



"এটা ছিল আমার ক্ষণিকের ভালো লাগা, তবে ভালোবাসা নয়......

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

পাগলাগরু বলেছেন: তেতুল দেখলে লালা ঝড়বেই

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

রাসেলহাসান বলেছেন: :-P :-P :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.