নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন নির্মান শ্রমিক

ব্লগার মুহাম্মদ রাসেল

দেশের সার্বিক টেকশই উন্নয়নের জন্যে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কার আজ সময়ের দাবি।

ব্লগার মুহাম্মদ রাসেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরে সে তো লিমন নয় রাব্বি! কিন্তু ...

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

রাব্বী ভাই তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তার উপর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা, আবারও ছিলেন টিভি উপস্থাপক! ভাইয়ের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাগন এমনকি সয়ং গভর্নর, আর মিডিয়া তো আছেই।  কিন্ত ...
.
রাব্বি ভাইয়ের ঘঠনা তো সবাই জানেনই, সেই কথা লিখে আর কি হবে! আজ এই রকমই আমার ব্যক্তিগত একটা অভিজ্ঞতার কথা বলবো।
.
আমি আমি একটি সরকারি ডিপ্লোমা কলেজ থেকে পাস করে বের হয়েছি। রাব্বি ভাইয়ের ঘঠনা রাত এগারো টায়, আমার সাথে ঘঠনাটা ঘঠে সন্ধ্যা সাতটায়। আমার ভাল মনে আছে, ঐদিন ৫ম পর্ব ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছিল,ভাইবা পরীক্ষা বাকি। আমি আর মেসের এক বড়ভাই সোহাগ, দুইজন মেসের জন্যে বাজার করতে বাজারে গিয়েছিলাম। ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়েযায়। আমরা একটা রিকসা করে আমাদের কলেজের সামনে আসলেই, পেট্রোল ডিউটিতে থাকা দুই জন অল্প বয়স্ক কনস্টেবল আমাদের রিকসা আটকে ফেলে। রাস্তার পাশেই মসজিদ। মসজিদের বাতিতে আমাদের ভালই দেখা যাচ্ছিল। সন্ধ্যা বেলা রাস্তা দিয়ে আমাদের পরিচিত অনেকেই যাচ্ছিল। কিন্তু পুলিশ দেখে কেউ সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসছিল না! এদিকে পুলিশ তল্লাশি করতে করতে আমার শার্ট খুলে ফেলেছে, এখন নিচের দিকে তল্লাশি চলছে। আমাকে তল্লাশি করার সাথে সাথে বলতেছে, কি আছে দিয়ে দে। ঐদিকে বড় ভাইকে তল্লাশি করে যেন কি একটা পেয়েছে, তাকে নিয়ে সোজা পুলিশের গাড়িতে তুলে ফেলেছে।
.
আমার সারা শরীর তল্লাশি করার পর আমাকেও গাড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।আমি বারবার বলে যাচ্ছিলাম আমি এই কলেজের ছাত্র! আমি টেক্সটাইল কলেজের ছাত্র! কিন্তু তাও তারা আমাকেও গাড়িতে তুললো। এদিকে গাড়িতে এসে দেখি সোহাগ ভাইয়ের হাতে হাতকড়া! আমার তো দেখে মাথা ঘুরতে লাগলো। চড় থাপ্পড় টুকটাক তো চলতে ছিলই। তারপর আমার মানিব্যাগে মেস-মিলের ১৫০০ টাকাছিল, আর সোহাগ ভাইয়ের কাছেও ছিল হাজার খানেক।
.
এত্তো সব কাহিনীর পর যখন ছেড়ে দিল, তখন সোহাগ ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। ভাই আপনার কাছে কি এমন পেল? আপনাকে হাতকড়া পরিয়েদিল?ভাই বলেছিল, তার কাছে নাকি গান্জার পোটলা পেয়েছিল! ভাই তারপর কাদতেছিল। কিন্তু আমি তো জানি ভাই যে সিগারেটও খায় না!
.
পরে একসময় জানতে পারি আমাকে গাড়িতে তোলার সময় আমাদের মেসের মালিকের আত্নীয় বড় ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক নেতা। মসজিদ থেকে ঘঠনাটা দেখেন। এবং ডিউটিতে থাকা অফিসারকে রিকুয়েস্ট করে বলেছিলেন,আমরা তার পরিচিত এবং  আমাদের ছেড়ে দিতে। এবং আরো জানতে পারি, এইভাবেই পেট্রোল ডিউটিতে থাকা পুলিশরা দু -একটা মক্কেল ধরে থানা নিয়ে নির্যাতন করে অভিবাবকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে। দিনের পর দিন প্রতিদিনই এই ঘঠনাটা ঘঠে চলছে ... প্রত্যেকটি থানায়! দেখার যেন কেউ নেই!
.
সেই দিনের কথাটা আজ পর্যন্ত কাউকে বলিনি। সেই যে মনে একটা আতঙ্ক ঢুকেছিল। পুলিশ দেখলে আজও ভয়ে গলা শুকিয়ে আসে। পুলিশের গাড়ির শব্দ শুনলে, এমনকি এম্বুলেন্স এর শব্দে ও মনটা আতকে উঠে।
.
পরিশেষে টহল দেবার নামে পুলিশ সদস্যরা যাতে এই কাজ গুলো আর না করেন, সেই আহবান থাকলো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.