নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যে ও সুন্দরের পক্ষে সব সময়

রাসেল উদ্দীন

জীবনের সবকিছু মহান স্রষ্টার জন্য নিবেদিত

রাসেল উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মীয় পোশাক ও বাঙালী সংস্কৃতি : একটি মুক্ত চিন্তা

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২০

পূজোর সময় হিন্দু পুরোহিতরা কিছু না পেলে অন্তত একটি গামছা মাথায় দিয়ে রাখেন| কারণ, মাথার চুল ঢেকে রাখা সৃষ্টিকর্তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের একটি উপায়| যা ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্মে অনুসরণ করা হয়| অতএব, ইসলামের অনুসারীরা মাথায় টুপি পরবেন, মুখে দাড়ি রাখবেন, এটাই স্বাভাবিক| এই স্বাভাবিক আচরণ যাদের মনে প্রশ্নের উদ্রেক করে তারা জেনে হোক আর না জেনে হোক, ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের ফাঁদে আটকে আছে| ভারতের মনমোহন সিং যখন পাগড়ী পরে প্রধানমন্ত্রিত্ব করতেন, তখন কারো আপত্তি করতে দেখা যায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৌদ্ধ ছাত্ররা যখন সাদা ধুতি পরে কাছা দিয়ে ক্লাস, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তখনও কারো আপত্তি করতে দেখা যায় না। অথচ মডারেট মুসলিম খ্যাত আজকের 'আধুনিক মুসলমানরা' কারো দাড়ি, টুপি থাকলে তাকে আর মানুষ বলে গণ্য করেন না| বিধর্মীরা শিখিয়ে দিল একটি কথা যে, টুপিওয়ালারা জঙ্গীবাদ, রাজাকার, মধ্যযুগীয়, আর আপনি মুসলমান হয়ে তাই বলে বেড়াবেন? নিজ ধর্মের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করবেন? ওদের সুরে সুর মিলাবেন তো, নিজেকে 'বেঈমান' বলে স্বীকার করতে সমস্যা কোথায়?

আবার "যারা মাথায় ঘোমটা দেয় তারা বাঙালী নয়" -এমন কথা বলার দুঃসাহস দেখিয়েছে কিছু আঁতেল মার্কা নারী নেত্রী। সঙ্গীত শিল্পী মিতা হকও কয়েক বছর আগে এমন মন্তব্য করেছিলেন প্রকাশ্যে।

পাকিস্তানের আইউব খানও একবার বলেছিলেন- "বাঙালী মেয়েরা পেটিকোট বা সায়া-সেমিজ পরে না, এমনকি তারা কাঁচুলী বা বক্ষবন্ধনীও পরে না"। আইউব খানের কথাটা আংশিক সত্যি| কারণ, বাংলাদেশের গরীব কিষানীরা সায়া-সেমিজ পরতেন না| উনারা হয়তো জানেননা ঘোমটা বাঙালী মুসলিম নারীদের সাংস্কৃতি বা ঐতিহ্য|

বিবাহিত হিন্দু নারীরা সিঁথিতে সিঁদুর দেয়, তাতে বোঝা যায় তিনি বিবাহিতা| বাঙালী, ইন্ডিয়ান ও পাকিস্থানী নারীরা সেলওয়ার-কামিজ-ওড়না পরে| তারাও মাথায় ঘোমটা দেয়!

কিন্তু প্রশ্ন হল, ঘোমটা দেয়ার সাথে বাঙালীত্বের কি সম্পর্ক? ঘোমটা ছাড়া শাড়ী-ই যদি খাঁটি বাঙালীর পরিচয় হয়, তবে আধুনিক বাঙালী মেয়েদের জিন্সের প্যান্ট, টি-শার্ট পরা কোন ধরণের বাঙালীত্ব? বুঝিয়ে দিবেন কি বুদ্ধিজীবিরা?
পশ্চিমা রুচীবোধে অভ্যস্ত কথিত এই বুদ্ধিজীবিরা বাঙালী সংস্কৃতির নীতিনির্ধারণের ঠিকাদারী হাতে নিয়েছেন। ভীনদেশী প্রভুদের ভৃত্যরা আমাদের সংস্কৃতির সবক দিচ্ছেন।

পোশাক বা সংস্কৃতি নির্ধারণ হবে ধর্মীয় বা ভৌগলিক জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে। ব্যক্তির জ্ঞান, যোগ্যতা, মানসিকতা বা গ্রহণযোগ্যতার মানদন্ড কখনো পোশাক হতে পারে না। বরং পোশাক ব্যক্তির আদর্শের পরিচয় বহন করতে পারে। আর এই সহজ কথাটাই মানতে চাইছেন না আজকের অসম্প্রদায়িকতার দাবিদাররা।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩২

জাহিদুল ইসলাম সুমন বলেছেন: খুব সুন্দর ভাবে বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: ধন্যবাদ!

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

আটলান্টিক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট :)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ভাল বলেছেন।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: কৃতজ্ঞতা

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

Razib Abdullah বলেছেন: তিক্ত বাস্তবতার সুনিপুন উপস্থাপন। ভাল লিখছেন ভাই।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই লেখার চেষ্টা। ধন্যবাদ আপনাকে!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.