নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যে ও সুন্দরের পক্ষে সব সময়

রাসেল উদ্দীন

জীবনের সবকিছু মহান স্রষ্টার জন্য নিবেদিত

রাসেল উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দোষ ইসলামের না মুসলমানদের?

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২৩

অনেকে মনে করেন, দারিদ্র্য ইসলামসম্মত। দুঃখ-যন্ত্রণা ও নিপীড়ন ভোগ করা ইসলাম সম্মত। নিম্ন মানের জীবন যাপন করা ইসলামের শিক্ষা। ইহকাল আমাদের জন্য নয়। পরকালই আমাদের আসল ঠিকানা। আমাদের জন্য আছে আখেরাতে বেহেশতের সুখ। আমাদের শুধু ধর্ম-কর্ম করতে হবে, নির্দিষ্ট ধরনের পোশাক পরতে হবে এবং একটা নির্দিষ্ট চেহারা ধারণ করতে হবে। আমাদের যেসব ভাই-বোন নিপীড়িত হচ্ছে, তাদের সাহায্য করতে আমাদের দুর্বলতা, পশ্চাদপদতা ও অক্ষমতা আল্লাহর ইচ্ছার অংশ। আখেরাতে বেহেশতের সুখ-শান্তি ভোগ করার আগে এই দুঃখ-যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হবে। আমাদের এই নিয়তি মেনে নিতে হবে। আমাদের কিছু করার প্রয়োজন নেই। আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমরা কিছুই করতে পারিনা। কিন্তু এটা কি সত্য যে, এটা আল্লাহর ইচ্ছা? আমরা কিছুই করতে পারিনা? অথচ সূরা আর রাদ এর ১নং আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,

"তিনি ততক্ষণ কোন সম্প্রদায়ের ভাগ্য পরিবর্তন করবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা নিজেরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করবে"

বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা এখন অনেক। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলের মজুদ আমাদের। আমাদের আছে বিরাট সম্পদ। আমরা বিশ্ব অর্থনীতি ও অর্থব্যবস্থার হালচাল সম্পর্কে জানি। পৃথিবীর 57 টি রাষ্ট্র আমরা নিয়ন্ত্রণ করি। আমাদের ভোটে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ভেঙে যেতে পারে। তবুও ইসলামের প্রথম পর্যায়ে যে স্বল্প সংখ্যক মানুষ হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে তাদের নবী হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন, আমরা যেন তাদের চেয়েও বেশি অসহায়। কেন আল্লাহর ইচ্ছাই? নাকি আমরা আমাদের ধর্মকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছি বলে? নাকি আমাদের ধর্মের সঠিক শিক্ষা মেনে চলতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি বলে? নাকি আমরা অনেক ভুল করেছি বলে?

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


সুন্দর কথা বলেছেন, "বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলের মোজুদ আমাদের"; এই "আমাদের" শব্দটার ভেতর বাংলাদেশ, ইয়েমেন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, উজবেকিস্তান, মিসর, মরক্কো, রোহিংগা সবাই আছেন?

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: এই সবাই না থাকাটাই আমাদের জন্য বেদনাদায়ক। আমাদের জিনিস হয়েও আমাদের না!
সুন্দর একটা পয়েন্ট ধরেছেন।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই "আমাদের"কে আপনি যেভাবে চিন্তা করছেন, উহা ছিলো না, সম্ভবও না।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: উহা আমাদেরই। যদিও এক শ্রেণীর গাদ্দার উহাকে বর্গা দিয়েছে। আমাদের ছিলনা- এর কোন যৌক্তিকতা নেই!

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫২

মাহের ইসলাম বলেছেন:
দোষ অবশ্যই ইসলামের নয়।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০০

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: জ্বী, আসলে ইসলামকে ইসলামের মত অনুসরণ করা হচ্ছে না। নিজেদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করা হচ্ছে!

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " উহা আমাদেরই। যদিও এক শ্রেণীর গাদ্দার উহাকে বর্গা দিয়েছে। আমাদের ছিলনা- এর কোন যৌক্তিকতা নেই! "

-মুসলমানদের এসব হিসেব কাযী গাভীর মতো, কাগজে আছে, গোয়ালে নেই

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিকই বলছেন দোষ ইসলামের না। দোষ ধর্মের। কারন দুষ্ট লোকেরা ধর্মকে ব্যবহার করে দেশের বারোটা বাজাচ্ছে।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১:৩৮

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: আপনার বোধ হয় টাইপ মিসটেক হয়েছে- "দোষ ধর্মের" এ কথায়।
আসলে ইসলামকে ইসলামের মত করে মানা হচ্ছে না।

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: মুসলমানেরা সঠিক পথে নেই। তারা নিজেদের ধর্মকে ভুলে পথভ্রষ্ট মোল্লাদের অনুসরণ করছে।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১:৪০

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: ধর্মীয় চেতনা না থাকা, গোড়ামী অজ্ঞতা, আংশিক ধর্ম পালন এ গুলোও অন্যতম!

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

আবু আফিয়া বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, সুন্দর একটি বিষয় উপস্থাপন করার জন্য।
ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং শ্রেষ্ঠ ধর্ম, আজকে আমাদের আদর্শ আমাদেরকে ইসলাম থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে।
ইসলাম ধর্মের মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্ব হলো, ইসলাম প্রত্যেক মানুষকে ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান করে। এই স্বাধীনতা কেবল ধর্ম-বিশ্বাস লালন-পালন করার স্বাধীনতা নয় বরং ধর্ম না করার বা ধর্ম বর্জন করার স্বাধীনতাও এই ধর্মীয় স্বাধীনতার অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতাআলা বলেছেন, ‘তুমি বলো, তোমার প্রতিপালক-প্রভুর পক্ষ থেকে পূর্ণ সত্য সমাগত, অতএব যার ইচ্ছা সে ঈমান আনুক আর যার ইচ্ছা সে অস্বীকার করুক’ (সুরা কাহাফ, আয়াত : ২৮)।
পবিত্র কোরআন পাঠে আমরা দেখতে পাই, মহান আল্লাহতাআলা যখন আদম সৃষ্টির মহাপরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন তখন ফেরেশতারা আল্লাহতাআলাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তুমি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করতে যাচ্ছো, যে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে আর রক্তপাত ঘটাবে? এর উত্তরে সর্বজ্ঞানী খোদা কেবল এটাই বলেছিলেন, ‘ইন্নি আ’লামু মা লা তা’লামুন’ অর্থাৎ আমি তা জানি, যা তোমরা জানো না’ (বায়হাকি)। লক্ষণীয় বিষয় হলো, মহান আল্লাহ কিন্তু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা রক্তপাতের কথা অস্বীকার করেননি। সে কথার উল্লেখ না করে তার উত্তরে তিনি কেবল তার মহাজ্ঞানের আমরা আর এ বিষয়ে ফেরেশতাদের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরেছিলেন।
ধর্মজগতের ইতিহাসে এক ঝলক ভাসাভাসা দৃষ্টি দিলে বাহ্যত ফেরেশতাদের কথাই ঠিক বলে মনে হবে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে, যেখানেই ধর্ম সেখানেই অশান্তি, যেখানেই ধর্ম সেখানেই বিগ্রহ ও নৈরাজ্য। কিন্তু না, একটু মনোযোগ দিয়ে গভীর দৃষ্টিতে দেখুন। দেখতে পাবেন, এই বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য ধার্মিকদের পক্ষ থেকে নয়, আর আল্লাহর পক্ষ থেকে আগত সত্য ধর্মের অনুসারীদের পক্ষ থেকেও নয়। কিন্তু যারা সমাগত সত্য সুন্দর জ্যোতিকে অস্বীকার করে অন্ধকারের পূজারি হয়ে থাকতে চেয়েছে, যারা তাদের প্রচলিত ধ্যান-ধারণা ও গলিত-মথিত সমাজ দর্শন পরিত্যাগ করতে চায়নি এসব অরাজকতা ও সন্ত্রাস সব সময় সর্বযুগে তাদের পক্ষ থেকে পরিচালিত হয়েছে।
পবিত্র কোরআনের ঐশী বাণীটি ভালোভাবে পড়লেই বিভিন্ন স্থানে হজরত আদম (আ.) থেকে আরম্ভ করে সর্বশেষ শরীয়তকে আর পূর্ণতম নবী খাতামান নবীঈন ও শ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত ইতিহাসের এই একই ধারার পুনরাবৃত্তি আমরা লক্ষ করব।
মহানবী, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদের (সা.) পবিত্র জীবনী সবাইকে স্মরণ রাখতে হবে। তিনি সত্য প্রচার ও প্রসারের কারণে সারা জীবন মার খেয়েছেন, কিন্তু কারও প্রতি ধর্মের ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগ করেননি। বরং তার পক্ষ থেকে পরিচালিত সব আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ ছিল সবার ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য। সুরা হজের দুটি আয়াত এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দান করে।
আল্লাহতাআলা বলছেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের (যুদ্ধ করার) অনুমতি দেওয়া হলো, কেননা তারা অত্যাচারিত। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের সাহায্যকল্পে পূর্ণ ক্ষমতাবান। যাদের নিজ বাড়ি-ঘর থেকে অন্যায়ভাবে শুধু এ কারণে বের করে দেওয়া হয়েছে যে, তারা বলে, ‘আল্লাহ আমাদের প্রতিপালক প্রভু! আল্লাহর পক্ষ থেকে যদি মানুষের একদলকে মানুষের আরেক দল দিয়ে প্রতিহত না করা হতো তাহলে সাধু-সন্ন্যাসীদের মঠ, গির্জা, ইহুদিদের উপাসনালয় (ধ্বংস করে দেওয়া হতো) যেখানে আল্লাহর নাম অধিক পরিমাণে স্মরণ করা হয়। আর আল্লাহ অবশ্যই তাকে সাহায্য করেন যে তাঁকে সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাশক্তিধর ও মহাপরাক্রমশালী’ (সুরা আল হজ, আয়াত : ৩৯ ও ৪০)।
মদিনায় অবতীর্ণ উল্লেখিত আয়াত দুটিতে স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, মহানবীর (সা.) অনুসারীরা দীর্ঘকাল মক্কার অত্যাচারিত নিপীড়িত থাকার পর যখন তাদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য আবারও মক্কায় কাফেররা যুদ্ধ চাপিয়ে দিল কেবল তখনই আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, এ কথা বলা হয়েছে, কেবল মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষার্থে এই যুদ্ধ পরিচালিত হবে না। বরং মঠ, গির্জা, মন্দির ও মসজিদ তথা সব ধর্মের উপাসনালয় রক্ষার্থে আল্লাহ এ ব্যবস্থা নিয়েছেন। সব ধর্মীয় ও বিবেকের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার এর চেয়ে স্পষ্ট ঘোষণা আর কী হতে পারে!
যেখানে সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদ, সেখানে ইসলাম নেই। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম কল্যাণের ধর্ম। সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই ইসলাম নামের ধর্ম আল্লাহতাআলা এই পৃথিবীতে ইসলামের নবী, বিশ্বনবী এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ শরিয়তবাহী নবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শান্তির অমিয় বাণী দিয়ে পাঠিয়েছেন। অথচ মহানবীর (সা.) নামেই সমাজে করা হচ্ছে বিশৃঙ্খলা।
ইসলাম ধর্মে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। যারা সামাজিক পরিমণ্ডলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে, রক্তপাত ঘটায়, ধ্বংসযজ্ঞ এবং নৈতিকতাবর্জিত ইসলামিক কর্মকা- চালায় তারা কখনো শান্তির ধর্ম ইসলামের অনুসারী হতে পারে না। শ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত হওয়ার দাবি সবাই করতে পারে, কিন্তু কার্যকলাপে শ্রেষ্ঠত্ব না দেখালে তারা কখনো প্রকৃত ইসলামের অনুসারী বলে আল্লাহর কাছে গ্রহণীয়তার মর্যাদা পাবে না।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১:৪১

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: আপনি আমার থেকেও ভালো বলেছেন! ধন্যবাদ!!

৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

বিজন রয় বলেছেন: দোষ ইসলামের না মুসলমানদের?............... আপনি এমনভাবে শিরোণাম করেছেন যেন আপনি স্বীকার করেই নিয়েছেন যে ইসলাম বা মুসলমানদের দোষ আছে!

আমি তা মনে করি না।
আমার মনে হয়..... ইসলাম অনেক আধুনিক অন্যান্য ধর্মের চেয়ে কিন্তু ইসলামিস্টরা আধুনিক নয়।

যেমন আপনি বলেছেন "আমাদের"......এটা আধুনিক বোধ নয় কিছুতেই। মজুদ তেল শুধু মুসলমানদের হয় কি করে?
ইসলামিস্টদের সমস্যা এখানেই। তারা বুঝতে পারে না যে মহান অাল্লাহ শুধু মুসলমানদের জন্য সবকিছু সৃষ্টি করেননি।

হা হা হা হা .....
ধন্যবাদ।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১:৪৪

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: আপনিও তাই বললেন- ইসলামিস্ট তথা মুসলমানরা আধুনিক নয়, অর্তাৎ তাদের দোষ রয়েছে!
মূলত দোষ ইসলামের নয়, মুসলমানদের। তারা ইসলামকে বুঝিনি। অজ্ঞতা, চেতনাহীনতা, ভন্ডদের অনুসরণ, আংশিক ইসলাম মেনে চলা মুসলমানদের অন্যতম সমস্যা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.